প্রেম ঘোর_৩৬_৩৭_৩৮ 💜💜

0
1927

#প্রেম ঘোর_৩৬_৩৭_৩৮
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹

নৌশিন অরূপকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে-দু হাত দিয়ে নিজের চোখ,মুখ ঢেকে চিৎকার করছে…..ঘুম ভেঙে যায় অরূপের,বাচ্চা টা বুঝার চেষ্ঠা করছে কি হয়েছে,নৌশিনের কান্নার আওয়াজ পেয়ে হয়তো বুঝতে পেরেছে যে,’তার নতুন বউ কান্না করছে’ তাই নৌশিনকে নিজের সব শক্তি দিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,ঘুম ভাঙা শব্দে বলছে,
“নতুন বউ কেঁদো না…..কেঁদো না……”
সাদাদও ধরমরিয়ে উঠে পড়েছে এতক্ষণে-নৌশিনের চিৎকার কমছে,কান্নার শব্দ টা ধীর কিন্তু কেমন ভারী হয়ে আসছে……সাদাদ চোখ খুলে আন্দাজ করতে পারে নৌশিন কেন করছে………..
বেচারা রীতিমতো ভয় পেয়ে যায়-নৌশিনের আচরণে……আর অরূপ তো শক্ত করে ধরে রেখেছে যেন ওর নতুন বউ ভয় না পায়………….
সাদাদও নৌশিনকে জড়িয়ে নিলো……..
নৌশিন সাদাদের বুকে মুখ রাখতেই সাদাদ এমনভাবে চেপে ধরে যাতে নৌশিন চোখ মেলে আর কিছু দেখতে না পারে………
সাদাদ নৌশিনের কান্নার শব্দেই অনেকটা ভয় পেয়ে গেছে কিন্তু জড়িয়ে ধরার পর ভয় টা দশগুণ বেড়ে গেছে……কারণ এসি চলছে অথচ নৌশিন ঘেমে পুরো ভিজে গেছে…….
“নৌশিন জান, আমি আছি না?শান্ত হও সব ঠিক হয়ে যাবে……”
“ও কাকাই নতুন বউয়েল কি হয়েছে?”
“নৌশিন,এই নৌশিন……..”
“নতুন বউ…..নতুন বউ……উঠো….কি হয়েছে?
ভয় পেয়েছো?? ”
নৌশিন না কোনো চিৎকার করছে,না কোনো কান্নার শব্দ করেছে….কোনো আওয়াজ দিচ্ছে না মেয়টা….এমন কি সাদাদ আর অরূপের ডাকাডাকিরর কোনো সারাও না…….
“ও কাকাই লাইট অফ কেন কলেছো?তুমি ই তো বলেছিলে নতুন বউ লাইট নিভালে ভয় পায়-তাহলে কেন অফ কললে??লাইট দাও তালাতালি……..”
টেনশনে সাদাদ লাইট জ্বালাতেই ভুলে গেছে-অরূপের কথায় হুশ আসে সাদাদের……..নৌশিনকে বেডে শুয়িয়ে দিয়ে-মোবাইল খুঁজতে থাকে,
বিপদের সময় ঝামেলা গুলো যেন এমনিতেই পা বাড়িয়ে দেয়-এমনি সময় মোবাইল হাতের কাছেই থাকে আর আজ পাচ্ছেই না………অনুমান করে রোমের লাইটের সুইচ অন করতে যায়…….সুইচে হাত দিতেই সাদাদ চরম পর্যায়ে অবাক হয়-এসি চলছে তারমানে কারেন্ট যায় নি কিন্তু লাইটের সব সুইচ অন করা সত্বেও ঘর পুরো অন্ধকার এমনি বারান্দাও…..সাদাদ দ্রতগতিতে দরজা খুলে দেখে ড্রয়িং রোমেও আলো আছে……আর এদিকে অরূপ নৌশিনকে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে ডেকে চলেছে অথচ নৌশিন কোনো সারা দিচ্ছে না……সাদাদ আবারও ফোন খুজার জন্য বেড সাইড টেবিলে হাত দিতেই-হাতে লেগে মোবাইল টা ওর পায়ের কাছে পরে যায়…..ফোন টা উঠিয়ে আলো জ্বলে নৌশিনের দিকে ধরতেই সাদাদ আরও চমকে যায়,
অরূপও এবাস নৌশিন মুখ দেখে কান্না করে দেয়………
“বাবা,কাঁদিস না….নামো বেড থেকে তোমার নতুন বউকে যেখানে আলো আছে সেখানে নিয়ে যেতে হবে….তুমি ফোন টা ধরে রাখো…..আমরা নতুন বউকে তোমার পিউমনির রোমে নিয়ে যাবো…..”
অরূপ কান্না করতে করতেই বেড থেকে নেমে সাদাদেরর হাত থেকে ফোন টা নিয়ে নৌশিনের দিকে ধরে রাখে……..সাদাদ নৌশিনকে কোলে তুলে প্রাপ্তির রোমের দিকে দৌঁড়াতে থাকে আর পেছন পেছন অরূপও ফোনের লাইট নিয়ে দৌঁড়াচ্ছে……
প্রাপ্তির রোমের সামনে দাঁড়াতেই অরূপ সাদাদের আগে দরজায় বারি দিয়ে থাকে……..
“পিউমনি দলজা খুলো….দলজা খুলো….”
“প্রাপ্তি,গেট আপ…..দরজা খুল….”
অরূপ অনেক জোড়ে জোড়ে দরজায় বারি দেওয়া প্রাপ্তির ঘুমম ভেঙে যায়-পাশ থেকে ফোন টা নিয়ে দেখে রাত তিনটার মতো বাজে….এতো রাতে অরূপ ডাকছে!তাড়াতাড়ি লাইট অন করে দরজা খুলতেই আরও শকড হয়ে যায়…….
“এ কি?কি হয়েছে ভাবীর?”
সাদাদ কোনো কথা না বলে পাশ কাটিয়ে নৌশিনকে নিয়ে প্রাপ্তির বেডে শুইয়ে দিলো………
অরূপ বেডে উঠে নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে ডাকতে শুরু করে,
“নতুন বউ উঠো…..উঠো….ও নতুন বউ…”
প্রাপ্তি অরূপকে জোড় করপ কোলে তুলে নেয়…
সাদাদ নৌশিনের ওড়না দিয়েই মেয়েটার শরীরের ঘাম মুছে দিতে থাকে…..
“ভাইয়া,কি হেয়েছে ভাবীর??এভাবে ঘামলো?ভিজে গেছে পুরো….”
“লাইট অফ ছিলো রোমে….”
প্রাপ্তি চেঁচিয়ে উঠে,
“লাইট অফ ছিলো মানে??তুমি জানো না ভাবীর প্রবলেম আছে??”
” আরে আমি কেন বন্ধ করতে যাবো ……রোমের লাইটেরর সুইচ অন করা বাট আলো আসছে না……”
সাদাদ নৌশিনের হাত পা মাজতে মাজতে কথাগুলো বলছে…………
“আজব তো এটা কি করে সম্ভব,দাদা ভাই তো আজকে পুরো বাড়ির লাইটিং সিস্টেম নতুন করিয়ে নিয়েছে……….আর তোমার রোমে তো দুটো এক্সট্রা লাইট লাগানো হলো……”
“এসব কিচ্ছু জানি না…..যা ভাবী কে ডেকে নিয়ায়…..”
!
সাদাদ নৌশিন চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না……..
প্রাপ্তি অরূপকে রেখে-অরূপের মাকে ডাকতে চলে যায়………অরূপও সাদাদের টা দেখে নৌশিনের হাত মেজে দিচ্ছে…..!এই বাচ্চা ছেলে টা যেন মুর্হতেই বড় হয়ে উঠেছে!……….সাদাদ একবার নৌশিন পা ঘসছে তো আরেকবার হাত………
কিন্তু নৌশিন নিথরভাবে শুয়ে আছে-কোনো সারা নেই……….
অরূপের মা রোমে ডুকেই নৌশিনের পাশে বসে নৌশিনের পালস চেক করে,
“হায় আল্লাহ্,পালস এতো স্লো কেন??লাইট বন্ধ হলো কিভাবে??হাত পা তো ঠান্ডা হয়ে আসছে……প্রাপ্তি যা ময়নার মা কে ডাক…..কি হলো হা করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?যা…….”
অরূপেরর বাবা এসে অরূপকে কোলে নিতে চাইলে ছেলে কোলে উঠে না-নৌশিনের পাশে ঠাঁই বসে রইলো,ছেলে যেন না কাঁদে তাই অরূপের বাবা ছেলের পাশে বসে ছেলেকে জোর করে কোলে তুলে নৌশিনের পাশে বসলো…
প্রাপ্তি ওদের সার্ভেন্টকে ডেকে আনতেই অরূপের মা বললো,
“যান তাড়াতাড়ি গরম পানি করে আনুন।।।।”
সার্ভেন্ট দ্রত চলে যায়…….
“শুনছো,ঐ দিন আন্টি ইনজেকশন দিলো না??কার কাছে দিয়েছিলো?মা না কাকির কাছে??”
“আম্মুর কাছে…..আম্মু ডিপ ফ্রিজে রেখার সময় বলছিলো……”(প্রাপ্তি)
“দেখেছিস কোথায় রেখেছে??”
প্রাপ্তি মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়……….
“আন যা…….”
প্রাপ্তি আবারও দৌঁড়ানো শুরু করে…….
সাদাদ রীতিমতো ‘থ’।।।।ও জানতো নৌশিনের এরকম প্রবলেম হয় কিন্তু সেটা শুধু শুনেছিলো দেখে নি কোনো দিন…….আজ এই অবস্থায় নৌশিনকে দেখতে পারছে না সে,দম টা বুজি বন্ধ হয়ে যাবে এখনি……..
“টেনশন নিস না ঠিক হয়ে যাবে…..বাট আমি কিছুতেই বুজলাম লাইট কি করে নষ্ট হতে পারে….আগে থেকে রোমে দু টো লাইট….আর আজকে আরও দুটো লাগানো হয়েছে….কারেন্ট চলে গেলেই একটা এমনিতে জ্বলে উঠবে আর অন্য একটু পর পাশের টাও….তা ছাড়া বারান্দার লাইটগুলো সারা রাত জ্বলবে এমন করেই সেট করা হয়েছে……..তাহলে এই ঘটনা টা কি করে হলো???”
!
কেউ কিছু বলার আগেই গরম পানি আর ইনজেকশন এসে গেছে,
তাই আর কোনো কথা না বলে অরূপের মা ইনজেকশন টা পুশ করতে যান……কিন্তু নৌশিন ফুল ব্যান গলার জামা পড়ছে,
ইনজেকশন টা পুশ করতে হবে নৌশিনের কজ্বির উপরে,তাই এখন জামা খুলা ছাড়া কোনো উপায় নেই…….অরূপের মা ইশারা করতেই অরূপের বাবা অরূপকে নিয়ে বাইরে চলে যায়….যদিও অরূপ যেতে চায় নি তবুও জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়……প্রাপ্তি আর সার্ভেন্টকেও রোম থেকে সরিয়ে দিয়ে-দরজা লক করে দিয়ে সাদাদকে নৌশিনের জামা টা খুলে দিতে বলেন……….
সাদাদ কোনো কথা বলছে না….স্তব্ধ হয়ে গেছে নৌশিনের এমন অবস্থা দেখে…….
সাদাদ তাড়াতাড়ি নৌশিনের জামা টা খুলে দিলো,আর অরূপের মা নৌশিনের ইনজেকশন টা এতক্ষণ গরম পানিতে ডুবিয়ে রেখেছিলো সেটা তুলে দ্রুত নৌশিনের হাতে পুশ করে দেয়………
“ভাবী?”
“নো টেনশন….আধা ঘণ্টার মাঝেই সেন্স চলে আসবে….তুই এক কাজ কর……এই যে আলাদা করা গরম পানি টা আছে-এলটা টাওয়েল ভিজিয়ে ওর সারা শরীর মুছে দে,ঘেমে গেছে তো মুছে দিলে বেটার ফিল করবে……..আর আমি ড্রেস নিয়ে আসছি…..তুই আগে শরীর টা মুছে দে……”
!
ভাবী চলে যাওয়ার পর সাদাদ নৌশিনের দু গালে হাত দিয়ে ডাকতে থাকে,
“প্লিজ জান,উঠো…..আমি আর নিতে পারছি না….আধা ঘন্ঠা অপেক্ষা করা সম্ভব না আমার পক্ষে…….প্লিজ উঠো….”
কিছু করার নেই অপেক্ষা করতেই হবে!…….সাদাদ নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে আবারও ডাকতে থাকে…
এর মাঝেই ওদের ভাবী রোমে ডুকে পড়েছে…..
“কি করতে বললাম তোকে?আর তুই কি করছিস??”
সাদাদ করুণা মাখা গলায় ওর ভাবীকে বলে, “ভাবী প্লিজ….কিছু করো…ওকে আমি এভাবে দেখতে পারবো না……প্লিজ ভাবী”
“সাদাদ শান্ত হ….এ রকম পেশেন্ট রা এ রকম ই হয়…তবু ভাগ্য ভালো দশ মিনিটের উপর অন্ধকারে থাকে নি তাহলে প্রবলেম হয়ে যেতো…….এখন আর চিন্তার কিছু নেই…ধৈর্য ধর আধা ঘন্ঠার মাঝে কথা বলতে পারবি…….”
“সর তুই,আমাকে দেখতে দে…..”
!
সাদাদ সরে গেলে,ওর ভাবী নৌশিনের শরীর টা গরম পানি দিয়ে মুছিয়ে দিলো…ড্রেস পড়িয়ে দিতে চাইলে সাদাদ বারণ করে-নিজেই ড্রেস টা নিয়ে পড়িয়ে দিলো…………
অরূপকে অনেকক্ষণ ওর বাবা জোর করে আটকে রেখেছে এবার আর পারলো না ছেলেটা দৌঁড়ে এসে নৌশিনের পাশে দাঁড়ায়…….
“আম্মু….নতুন বউয়েল কি হয়েছে??”
মা ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে বলছে,
“আব্বু,নতুন বউ একটু ইল-কেমন??তুমি কথা বলো না….এখন কথা বললে নতুন বউয়ের আরও অসুখ হবে…..চলো আমরা ঘুমিয়ে পড়ি….নতুন বউ আর তোমার কাকাই থাকুক এখানে…..”
“আমিও থাকবো….কথা বলবো না….”
“না সোনা,তুমি কালকে আবার থালবে নতুন বউয়ের সাথে……একটু পরেই সকাল হয়ে যাবে তখন তোমার নতুন বউয়ের সাথে দেখা করবে,কেমন??”
“আমি নতুন বউকে আদল কলবো…..”
“আচ্ছা একটু করে দাও… ”
অরূপের মুখে হাঁসির চিহ্ন….মায়ের কোল থেকে নেমে নৌশনের মুখে ইচ্ছে মতো হাত বুলিয়ে দিয়ে-বেশ কয়েকটা কিস করলো……….
“আব্বু,হয়েছে….চলো…আরও আদর করলে নতুন বউয়ের ঘুম নষ্ট হয়ে যাবে ….আমরা সকালে আসবো… ”
অরূপ বাধ্য ছেলের মতো মায়ের সাথে চলে যায়,প্রাপ্তি সাদাদের রোমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,
অরূপের মা যাওয়ার আগে সার্ভন্টকে দুধ গরম করে নৌশিনের জন্য রেখে যেতে বলে……আর সাদাদকে বলে যায় যেন নৌশিনের সেন্স ফিরে আসার একটু পরেই গরম দুধ টা ওকে খাইয়ে দেয়……..সার্ভেন্ট দুধ গরম করে দিয়ে নিজেও ঘুমাতে চলে যায়-যদিও তিনি থাকতে চেয়েছিলেন কিন্তু সাদাদের জোড়াজোড়িতে ঘুমাতে যান।
প্রায় মিনিট পঁচিশ পর নৌশিন চোখ খুলে,সাদাদ নৌশিনের হাত ধরে চোখ বন্ধ করে বসে আছে…….
নৌশিন একটু নড়া মাত্রই সাদাদ চোখ খুলে দেখে নৌশিনের সেন্স এসেছে…..
সাদাদকে দেখেই নৌশিন আবারও কান্না শুরু করে…
সাদাদ নৌশিনের পাশে শুয়ে নৌশিনকে শক্ত করে জড়িয়ে নিলে নৌশিন সাদাদের মুকে মুখ রেখে আরও জোরে কান্না করতে থাকে………
সাদাদ নৌশিনকে একটানে নিজের বুকের উপর তুলে নেয়…..”আমি আছি না???এতো ভয় পাওয়ার কি আছে???শান্ত হও…আর কাঁদবে না…..”
সাদাদ নৌশিনকে বুকে নিয়েই উঠে বসে……….
নিজে খাটে হেলান দিয়ে নৌশিনকে বুকের উপর রাখে…….নৌশিন সাদাদকে এমন করে ধরে রেখেছে মনে হয়,একটু ছাড়া পলেই সাদাদ চুরের মতে পালিয়ে যাবে……..নৌশিন এখনও কান্না থামায় নি……….
সাদাদ নৌশিনের মুখ তুলে,নৌশিনের চোখ বন্ধ,
সাদাদ নৌশিনের চোখের পানি মুছে দিয়ে-দুগালে হাত রেখে বলছে,
“চোখ খুলো….দেখো কত আলো…..আর তোমার সামনে আমি আছি…..চোখ খুলো…”
নৌশিন চোখ খুলে আবারও সাদাদকে জড়িয়ে ধরে….সাদাদও শক্ত করে আকড়ে নেয় নিজের প্রাণপ্রিয়াকে……..
“খুব কষ্ট হচ্ছিলো তাই না?”
“হুম….খুব ভয় করছিলো….”
“ভয় কিসের আমি ছিলাম তো…..”
“আমার সে সময় শুধু কান্না পায় আর মাথা ব্যথা করে….আর কিছু খেয়াল থাকে না……খুব ভয় করে খুব….”
সাদাদ নৌশিনের পিঠে চাপ দিয়ে নিজের আরও কাছে নিয়ে আসে-নৌশিনের মোড টা অন্য দিকে ঘুরানোর জন্য ঘাড়ের পাশের চুলগুলো সরিয়ে অসংখ্য চুমু দিতে শুরু করে…………
“আমি আছি,সব সময়….কোনো ভয় নেই……..”
এবার সাদাদ নৌশিনকে ওর বুকে হেলান দিয়ে বসিয়ে দিয়ে-টেবিলে থাকা দুধের গ্লাস টা হাতে নিতেই-নৌশিন আচমকায় লাফ দিয়ে বিছানার অন্য পাশে চলে যায়………
“আমি এটা কিছুতেই খাবো না….”
“প্লিজ জান,এমন করো না….ভাবী সাজেস্ট করেছে….পুরো টা খেতে হবে না হাফ খাবে……”
নৌশিন দু হাত দিয়ে নিজের মুখ চেপে ধরে,মাথা নাড়িয়ে না করে-খাবে না….
সাদাদ নৌশিনের দিকে একটু এগিয়ে যেতেই বেচারী বিছানা থেকে নেমে কান্না শুরু করে……
“আমি দুধ খাবো না…..কোনো দিন না… ”
সাদাদ গ্লাস টা টেবিলের উপর রেখে বলছে,
“ওকে,খেতে হবে না…..কাছে আসো…..”
“তুমি দুধ ফেলে দাও আগে….না হলে আমি ঘুমাবোও না….আমার বমি আসে এটা দেখলে আর তুমি খাওয়াতে এনেছো…..খাবো না আমি এটা-জীবনেও না……”
“জান,এটা অন্য কেউ খেতে পারবে….শুধু ফেলে নষ্ট কেন করবো??তুমি জাস্ট ঔষধ টা খাবে দুধ খেতে হবে না তোমায়…..”
সাদাদের অনেক জোড়াজোড়িতে নৌশিন এসে ওর পাশে বসে…..
আর আসা মাত্রই সাদাদ জোর করে নৌশিনকে ওর বুকের সাথে চেপে ধরে আর টেবিল থেকে গ্লাস টা হাতে তুলে নেয়……….
গ্লাস টা দেখেই নৌশিন আবারও কান্না শুরু করে-নিজেকে ছাড়ানোর হাজার চেষ্ঠা করেও পারে না…….
“আমি খাবো না।।।।।এটা না অন্য যে কোনো কিছু….”
“একটু খাবে।।।।বেশি না….”
“বমি আসে আমার…..”
“আচ্ছা ওকে,চামচ দিয়ে দিচ্ছি…..”
সাদাদ একটা ছোট চামচ দিয়ে একটু দুধ নৌশিনের মুখে জোর করে ডুকিয়ে দিতেই নৌশিন ফেলে দেয়……ফেলে তো দিলোই তারপর আবার হাত দিয়ে মুখ মুছছে…..থু থু করতে শুরু করেছে……..
“পারবো না আমি….”(কাঁদো কাঁদো গলায়)
সাদাদ কিছু না বলে নৌশিনকে একটানে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়……..”আজ পুরো টা খেতে হবে”বলেই গ্লাস টা নিয়ে নিজেই দুধ মুখে তুলে নেয়……
নৌশিন তো মহা খুশি-নিজেকে আর দুধ খেতে হবে না,এটা ভেবে……
কিন্তু নৌশিন আর কিছু ভাবার আগেই সাদাদ নৌশিনকে শুয়িয়ে দিয়ে নিজেও ওর উপর উঠে….
দু হাত দিয়ে নৌশিনের দু হাত বিছানার সাথে চেপে ধরে-নৌশিনের ঠোঁটে ঠোঁট চাপিয়ে নিলো-এমন ভাবে চাপ দিলো যেন নৌশিনেরর মুখে খুব সহজেই দুধ ডুকাতে পারে……নৌশিন নিজের সব রকম চেষ্ঠা চালিয়েও পারছে না…
এখন সাদাদ যা করছে তা মেনে নেওয়া ছাড়া নৌশিনের আর কোনো উপায় নেই………
সাদাদ এক ফোঁটা করে দুধ নৌশিনের মুখে দিচ্ছে আর নৌশিন বিকল্প কোনো উপায় না পেয়ে সেটা পান কর নিচ্ছে……মুর্হুতেই নৌশিন নিজের সব নাড়া চাড়া বন্ধ করে দিলো…….
সাদাদ হাতগুলো চেপে ধরেছিলো এতক্ষণ সেগুলোও শক্ত করে ধরে নেই এখন-দুজনেই একে অপরের হাত পরম বাঁধনে বেঁধে রেখেছে………সাদাদ এক ফোঁটা করে দুধ নৌশিনের মুখে দিচ্ছে আর নৌশিন পরম সুখে সেটা চুয়ে চুয়ে খাচ্ছে………..
মুখের দুধ টুকু শেষ হতেই সাদাদ নৌশিনের মুখের দিকো তাঁকায়ি দেখে-নৌশিন চোখ বন্ধ করে হাঁপাচ্ছে………সাদাদও হাঁপাচ্ছে….সাদাদ আর দেরী না করে টেবিল থেকে গ্লাসটা নিয়ে আরও দুধ নিজের মুখে পুরে নিয়ে-আগের বারের মতোই নৌশিনকে খাইয়ে দিচ্ছে কিন্তু নৌশিন এবার আর কোনো বাঁধা দিচ্ছে না….
সাদাদ একটু একটু করে দুধ নৌশিনের মুখের ভেতর দিচ্ছে আর নৌশিন পরমসুখে সেটা পান করে নিচ্ছে……এই স্বাদ টা যেন আলাদা-পৃথিবীর কোনো দুধের এমন স্বাদ নেই…….
নৌশিন এই দুধের স্বাদে হারিয়ে গেছে…….যদি এমন স্বাদ ই হয় তবে শুধু আজ কেন!সারা জীবন ই নৌশিন দুধ খাবে……
সাদাদের মুখের দুধ আবারও শেষ,সাদাদ আবার গ্লাস থেকে নিজের মুখে দুধ নিলো-এবার গ্লাস পুরো ফাঁকা……নৌশিনের উপর আবারও শুতে নিলে নৌশিন চোখ মেলে তাঁকায়-
ইশারা করে আর খেতে পারছি না……সাদাদ এক মুর্হুত নৌশিনের দিকে তাঁকিয়ে থেকে-নৌশিনের দুগালে হাত রেখে আবরও ঠোঁটে ঠোঁট চুবিয়ে দেয়-আবারও সেই স্বাদ চুষে নিতে থাকে নৌশিন…….
মুখের দুধ শেষ-নৌশিন তবুও সাদাদের ঠোঁট চুষে নিচ্ছে…সাদাদ তার প্রিয়তমার নরম ঠোঁটে কমড়ে দিচ্ছে……….শ্বাস টা তো অনেক আগে থেকেই ঘনিয়ে আসছে আর এখন যেন শ্বাস চলে যাবে,বন্ধ হয়ে যাবে সব কিছু……..
বেশ কিছুক্ষণ পর সাদাদ নৌশিনের ঠোঁট ছেড়ে দিতে ওর উপর থেকে সরে যেতে নিলো……আর নৌশিন সাদাদের শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে আবারও নিজের উপর নিয়ে আসে-
সাদাদ ভ্রু কুঁচকে নৌশিনের দিকে তাঁকাতেই নৌশিন চোখ দুটো বন্ধ করে,মাথা টা উঁচু করে সাদাদের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবায়……এবার সাদাদ নয় নৌশিনই সাদাদের ঠোঁট কামড়ে দিচ্ছে……….
শুধু কি নৌশিনই সুখ নিবে নাকি!সাদাদ নিবে না?
সাদাদ নৌশিনের পিঠের নিচে হাত দিয়ে নৌশিনকে উঁচু করে নিয়ে ঠিক করে শুইয়ে দিলো,কিন্তু এক মুর্হুতের জন্যও কেউ কারও ঠোঁট ছাড়ে নি…….দুজেনই দুজনাতে মেতে গেছে…….
নৌশিন সাদাদের পিঠে ইচ্ছা মতো খামচি দিচ্ছে,
সাদাদ ঠোঁট সরিয়ে নিয়ে,
বসে নিজের শার্ট খুলে ফ্লোরে ছুড়ে মারে-হাপাচ্ছে নৌশিন!সাদাদ নৌশিনকেও টেনে তুলে জামার চেইন খুলে দেয়-ভালোবাসার পরশে ভরিয়ে দিচ্ছে নৌশিন ঘাড়-পিঠ,
আর কোনো কথা না-সাদাদ আবরও আদরে ভরিয়ে তুলে নৌশিনের বুক-পেটের দিকে নেমে জিহ্বা দিয়ে লিক করতে থাকে,নৌশিন কোনো বাঁধা দিচ্ছে না মেতে উঠেছে সাদাদের ভালোবাসার আদরে……..কিন্তু সাদাদ যে ভালোবেসে সারা শরীরে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে….
“প্লিজ জিহ্বা দিও না…আমি তো মরে যাচ্ছি”
সাদাদ বার বার নাভীর চারপাশে জিহ্বা দিচ্ছে-
ও তো নৌশিনকে ভালোবাসায় মেরে দিতেই চায়……..
নৌশিন দু হাত দিয়ে সাদাদের চুল চেঁপে ধরে-এতে করে সাদাদের মুখ নৌশিনের নরম পেটের আরও গভীরে চলে যায়…
নৌশিন আবারও বারণ করে,
“এমন করো না জান,আমি তো শেষ হয়ে যাবো…….”
“শেষ করতেই আমি চাই….মারতে চাই আমার ভালোবাসায়….একটু আগে যতটা কষ্ট পেয়েছো তার চেয়ে হাজার গুণ সুখ এনে দিবো……ভয় নেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছি সেটা আমিই নিভিয়ে দিবো……আগুন তো জ্বালিয়েছি তোমাকে ঘায়েল করে নিতে-না হলে তুমি তো……”
সাদাদ আর কিছু বলতে পারলো না-নৌশিন সাদাদের ঠোঁট ঠোঁট চেপে নেয়-জড়িয়ে ধরে দুজন দুজনকে………..
আবারও ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে যায় দুজন…..
!
কিছু সময় পর সাদাদ টেবিল লাইট অন করে,
ঘরের বড় বাল্ব টা নিভিয়ে দিয়ে আবারও বেডের কাছে আসে-নৌশিনের দিকে দৃষ্টি দিয়ে দেখে নৌশিনের চোখ বন্ধ-বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে শুধু……..
সাদাদ নৌশিনের এমন অবস্থা দেখে আরও মাতাল হয়ে উঠেছে-আর নৌশিনও মনে মনে সাদাদের মাঝে হারিয়ে যেতে চাইছে…….সাদাদ বুঝতে পারছে নৌশিনের এমন ছটফট করার কারণ,
তাই আর দেরী না করে নৌশিনের উপর শুয়ে পড়ে,
“চোখ খুলবে না??”
!
“আচ্ছা খুলো না!ইশ নৌশিন লাইটের আলোতে সব এভাবে দেখাচ্ছো….আমি তো ঘায়েল হয়ে গেছি……”
নৌশিন কিছু না বলে জড়িয়ে ধরে সাদাদকে…
সাদাদ নৌশিনকে ছাড়িয়ে নিয়ে ওর মুখের দিকে তাঁকিয়ে থাকে-আর এমন সময় নৌশিনও চোখ খুলায় চোখাচোখি হয়ে যায়-নৌশিন লজ্জায় নিজের চোখ সরিয়ে নেয়……..
মুঁচকি হাঁসে সাদাদ,
নৌশিনের দু হাতে নিজের দু হাত আকড়ে ধরে বলছে,
“তুমি একটু আগে ইল ছিলে জান,তুমি কি আরোও পারবে?আমার মনে হচ্ছে না……আমাদের এখানে থেমে যাওয়া উচিত…….জান?”
নৌশিন এক রকম ঘাবড়ে যায়,কি বলছে সাদাদ!”এই মুহুর্তে এসে ও ছাড়তে চাইছে আমাকে?আমি তো শেষ হয়ে যাবো…”
সাদাদ নৌশিনকে নিশ্চুপ থাকতে দেখে উঠে পড়তে নিলে,নৌশিন আটকে দেয়,
চোখে চোখ রেখে বলে,
“আমি শুধু তোমাকে চাই,আর এই মুহুর্তে আমার সব সুখ চাই…..সব…..আর সেটা তুমি দিবে আমায়…..আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না…..”
মুচকি হাঁসে সাদাদ……
!
দু জনেই মুহুর্তেই তলিয়ে যায় ভালোবাসার অতল সাগরে,নৌশিন সাদাদের দেওয়া সুখে মাতাল হয়ে পরম সুখের গুঙানী দিচ্ছে আর সাদাদ সেই গুঙানীতে মেতে উঠছে-যে সাগরে ডুব দিয়েছে সাদাদ আরও গভীরে যায়……
ভালোবাসায় দুজনেই বিভোর-পরম সুখে জড়িয়ে গেছে দুজনেই,এ সুখ যেন শেষ হওয়ার নয়……
!
মসজিদের আযান ভেসে আসছে,সাদাদ বিছানায় শুয়ে আর নৌশিন সাদাদের বুকে শুয়ো আছে,
সাদাদ আকড়ে ধরে আছে নৌশিনকে……..
“কি হলো জান???আযান দিচ্ছে তো ফ্রেস হবে না??”
নৌশিন নিশ্চুপ……
“কু ব্যাপার জানটা কি উঠতে চাইছে না আজ?”
“উম না….”
“আচ্ছা!…..তাহলে তো আমার সৌভাগ্য……কি বলো??”
নৌশিন সাদাদের বুকের লোম টানতে টানতে বলে,
“তুমিই জানো-আমি কিচ্ছু জানি না…..”
“তাই!!!”
“হুম…..”
আবারও দূর থেকে আযানের ধ্বনু ভেসে আসে,নৌশিন এবার উঠে পড়তে নিলো,
“কি হলো?উঠবে না তো বলছিলে?তাহলে?”
“নামায পড়তে হবে….তুমিও উঠো….”
সাদাদও মুঁচকু হেঁসে নৌশিনের সাথে সাথে উঠে যায়…..নৌশিন বিছানা থেকে নামতেই দু হাতে নিজের মাথা চেঁপে ধরে বিছানায় বসে পড়ে-চোখ এড়ায় না সাদাদের………
বাহুডোরে আকড়ে নেয় নোশিনকে,ভীত কন্ঠে জানতে চায়,
“কি হয়েছে?খারাপ লাগছে?
নৌশিন মাথা চেঁপে ধরেই বলছে,
“মাথা কেমন জানি ঘুরাচ্ছে,দাঁড়াতে পারছি না…..”
“আমার মনে হয়,আমি বেশি করে ফেলেছি….তোমার অসুস্থতার সময় আমার এমন কিছু করা ঠিক হয় নি……”
” না না সাদাদ,আমিই তো তোমাকে কাছে চাইছিলাম-আর কি বলো তো!তোমাকে কাছে পেয়ে আমি আগের ঘটনা টুকু ভুলেই গিয়েছিলাম,,,এতে বরং আমার ভালো হয়েছে….না হলে আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়তাম….কিন্তু তোমার ভালোবাসা সেটা হয়ে দেয় নি”
“থামো তো!তাহলে মাথা ঘুরাচ্ছে কেন?”
দুষ্টুমী কড়া নাড়ে নৌশিনের মাথায়…..একটু হেঁসে নিয়ে বলছে,
“আমার মনে হয়….”
“কি?”
“আমার মনে হয়….যে আমি…”
“কি?বলবে তো??আমার কিন্তু টেনশন হচ্ছে…..”
নৌশিন মাথা নিচু করে একদমে বলে ফেলে,
“আমার মনে হয় তুমি বাবা হতে চলেছো তাই আমার মাথা ঘুরছে……”
সাদাদ অবাক,
“মানে??”
“মানে আবার কি??যা সত্যি তাই বললাম,তুমি বাবা হতে যাচ্ছো……খুশি হও নি??”
“একটা থাপ্পর দিবো…..আধাঁ ঘন্টার মধ্যেই তুমি মা হতে চলেছো নাকি??মজা করার সময় পাও না তুমি?দু দিন যা হলো সেখানে প্রটেকশন আমি নিয়েছি শুধু আজ ইউথ আউট এনি প্রটেকশন………”
লাফিয়ে উঠে নৌশিন,
“এই জান,তার মানে আজকের ঘটনার জন্য আমি কনসিভ করতে পারবো….ইশ কি মজা হবে তাই না?আল্লাহ্ আজকের কারনেই যেন আমি কনসিভ করি…প্লিজ আল্লাহ,প্লিজ……….”
সাদাদ নৌশিনের মোনাজাত ধরা হাত টা ঝটকা মেরে নামিয়ে নেয়,
“চুপ,কিচ্ছু হবে না-আমি তোমাকে প্রটেকশন নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবো আজ…..”
“ইননন না…..আমি কোনো প্রটেকশন নিবো না…….”
সাদাদ নৌশিনের দুহাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বলছে,
“না জান,এমন করো না প্লিজ,তুমি জানো?ভাবী বলছিলো তোমার প্রেসার খুব লো……আর কিছু সময় নাও তুমি,প্লিজ…..আর আমি তোমার স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই তোমাকে কোনো প্রটেকশন নিতে দিই না-সব আমি নিজে করি….বাট নরমালি তো মেয়ে রাই প্রটেকশনেরর জন্য পিল নিয়ে থাকে-কিন্তু আমি চাই তোমার কোনো প্বার্শপ্রতিক্রিয়া যেন না আসে তাই আমি নিজে প্রটেকশন নিচ্ছি…..শুধু আজকেই এমন হলো….প্লিজ শুধু আজকের দিনটা তুমি একটা পিল নিবে-আর বলবো না তোমায় পিল নিতে…..শুধু আজ…..”
“না আমি নিবো না,আমি মা হবো ব্যস এটাই শেষ কথা…….তুমি দেখেছো অরূপ কি সুন্দর আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছিলো…..”
“জান প্লিজ…..”
“এই অরূপ কোথায়??আর আমরা তো প্রাপ্তির রোমে….”
“অরূপ ওদের রোমে…আর বাদ দাও সে সব কথা….এখন আমি যেটা বলছি সেটা শোনো……..”
“একটা বেবি নিলে কি এমন হয়…..আমাদের কি টাকার অভাব যে বেবি পালতে পারবো না??”
“এবার না সত্যিই একটা থাপ্পর খাবে তুমি??টাকার কথা কোথা থেকে আসলো?আল্লাহ্ আমাদের যথেষ্ঠ দিয়েছে,আমি বলতেছি তোমার শরীরের কথা…..”
নৌশিন মুখ গোমড়া করে বসে আছে…….
সাদাদ নৌশিনের আরও কাছে গিয়ে বসে,নৌশিনের দু গালে হাত দিয়ে বলছে,
“জান মন খারাপ কেন করছো?আমরা খুব তাড়াতাড়িই বাবা-মা হবো,আমি তেমাকে বলেছি না?লাস্ট সেমিস্টার টা কম্পিল্ট হোক তোমার তারপর আমরা ডিসিশন নিবো,আর আজ আমি তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো-ওনি কি বলেন শুনি….ওনার পরামর্শ মতে চলে আমরা এগুবো….আ হ্যাঁ!এমন কেন করছো,শুধু এটার জন্য না-তুমি কেমন ইল হয়ে গেলে বলো তো?আমি তো তোমার সব মেডিকেল হিস্টরি জানি না সে সব জানতেও তো যেতে হবে……প্লিজ মন খারাপ করো না…….”
কাঁদো কাঁদো কন্ঠে নৌশিন বলে উঠে,
“ঠিক আছে,তবে শুধু আজকেই আমি প্রোটেকশন নিবো আর কোনো দিন না,আর সেমিস্টারের পর আমার কিন্তু বেবি চাই……”
হেঁসে দিয়ে সাদাদ বললো,
“ওকে,ওকে……”
!
নৌশিন ফ্রেস হওয়ার জন্য আবারও উঠে দাঁড়ায় কিন্তু এবারও মাথায় হাত দিয়ে থেমে যায়-পড়ে যেতে নিচ্ছিলো কিন্তু সাদাদ এসে ধরে ফেলায় পড়ে যাওয়ার সুযোগ পায় নি,
“এই তোমার কি হয়েছে?খারাপ লাগছে?”
“কেমন জানি মাথা ঘুরছে??”
“আগে হতো এমন?মানে যদি অসুস্থ হয়ে পড়তে তারপর এমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পেতো?”
সাদাদ ভয়ে ভয়ে প্রশ্ন অনেক প্রশ্ন করে চলেছে নৌশিনকে……
“না….মাথা এমন করতো না…বাট সেন্স আসার পর মাথা খুব ব্যাথা করতো বাট আজ তো ব্যাথা করে নি,এখন মাথায় কেমন জানি অসত্বি লাগছে….”
সাদাদ সময় নষ্ট না করে,নিজেই নৌশিনকে বাথরোমে নিয়ে যায়….
“আরে কি করছো?আমি পারবো….”
“চুপ…..কোনো কথা বলবে না…..”
সাদাদ গরম পানি দিয়ে নৌশিনকে গোসল করিয়ে-সারা শরীর মুছে নিজেই প্রাপ্তির আলমারী থেকে একটা শাড়ী নিয়ে নৌশিনকে পড়িয়ে দিলো…
আর নৌশিনের যেন কোনো মতে ঠান্ডা না লাগে সেজন্য ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে দিচ্ছে,
“কি করছো??ড্রায়ার কেন করছো?তুমি ই তো না করতে…..”
“সেটা চুলের জন্য,বাট আজ তোমার ভালোর জন্য…….ভাবী বলে গেছে তোমার যেন কোনো মতেই ঠান্ডা না লাগে……..”
!
নৌশিন আর কোনো কথা বললো না,সাদাদ নৌশিনের চুল ড্রাই করে দিয়ে নিজেও সাওয়ার নিয়ে এলো-তারপর দুজনেই এক সাথে ফজরের নামায আদায় করে নিলো………
অবশ্য নৌশিন বসে বসেই নামায পড়লো আজ-কারণ মাথা টা একটু বেশিই ঘুরছে তাই ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছে না মেয়েটা
!
“এখনো খারাপ লাগছে??”
“একটু একটু……”
অথচ নৌশুনের মাথা অলরেডি ব্যথা করতে শুরু করছে,তবুও সাদাদকে বললে সে টেনশন করবে তাই আর বললো না…….
“টেনশন নিও না,একটু ঘুমালে সব ঠিক হয়ে যাবে….”
!
সাদাদ নৌশিনকে বুকে নিয়ে শুয়ে আছে,চুলে আলতো করে বিলি কেটে দিচ্ছে যেন নৌশিন ঘুমিয়ে পড়ে…….সাদাদের ভেতর টা কেমন যেন আনচান করছে নৌশিনের জন্য,মেয়েটা উঠে দাঁড়াতে পারলো না ঠিক মতো মাথার জন্য-সাদাদ ঠিক মেনে নিতে পারছে না……
ঐদিকে নৌশিনের মাথা ব্যাথা টাও বেড়ে যাচ্ছে,
ব্যাথাটা নৌশিনের খুব চেনা -তবুও দাঁতে দাঁত চেঁপে সহ্য করে নিচ্ছে,যেন সাদাদ কিছুতেই টেনশনে না পড়ে……………………
!

#প্রেমঘোর#৩৭#
💜💜

কিছুক্ষণ পর………….
“ও মা………ওহহু…….”
“এই কি হয়েছে তোমার?”
“ওহু……”
মাথায় চাপ দিয়ে ধরে ওহু,আ কান্না করেছে নৌশিন।
অনেকক্ষণ যাবত চেঁপে রাখলেও এখন ব্যাথা বেশি হওয়ায় আর চেঁপে রাখতে পারলো না।
“জান,কি কষ্ট হচ্ছে বলো আমায়??মাথা ব্যাথা করছে??”
“প্লিজ জান,কান্না করো না…..দেখি উঠো,উঠো…..”
সাদাদ নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে ওর বুকে মাথা দিয়ে বসিয়ে দিলো,নৌশিন মাথা চেঁপে ধরে আছে।
“”চুপ একদম কান্না করবে না,আমি আছি না?”
সাদাদ নৌশিনের মাথা টিপে দিচ্ছে….আর ওর ভাবীকে ফোন করে এই রোমে আসতে বললো।
ভোরের আলো কেবল একটু একটু আসতে শুরু করেছে রোমগুলোতে,
এমন সময় সাদাদের ফোন পেয়ে দৌঁড়ে আসে অরূপের আম্মু।
!
“বোন,দেখি কি কষ্ট হচ্ছে বল আমায়?”
নৌশিন সাদাদের শার্ট খামচে ধরে আছে ব্যাথার চোটে আর সাদাদ এক হাতে নৌশিনকে বুকে আগলে রেখেছে আর অন্য হাতে মাথা টিপে ধিচ্ছে…….
সাদাদ ওর ভাবীকে জানায় নৌশিনের খুব মাথা ব্যথা করছে……….
“আমিও এটাই এক্সপেক্ট করেছিলাম,বরং আমি এটা ভেবে অবাক হয়েছিলাম যে নৌশিনের সেন্স ফিরার পর ওর মাথা ব্যাথা বা বমি কোনো কিছুই হয় নি কেন……”
“কান্না করিস না বোন,কান্না করলে আরও চাপ লাগবে মাথায়…..বাট সাদাদ এতো সকালে কোনো ট্রিটমেন্ট দেবো কি করে?আন্টি তো ঐ দিন আমাকে জাস্ট ওর ড্রেড টাইমের ইনজেকশন দিয়ে দেখিয়েছিলো,ব্যাথার ইনজেকশন টা তো ফার্মেসী থেকেই আনতে হবে……..”
“মানে??ও কি নয় টা দশ টা পর্যন্ত এমন যন্ত্রণা নিয়ে থাকবে নাকি??”
“আমার মনে হয় ওকে হসপিটালাইস করলে ভালো হবে,রাগ করিস না তুই,এতো সকালে কোনো ইর্মাজেন্সি ডাক্টর পাওয়া যাবে না প্রাইভেট হসপিটালে আর এ ধরনের ইনজেকশন সব জায়গায় পাওয়ায় যাবে না,তুই এক কাজ কর ওকে গর্ভামেন্ট….”
“তুমি কি বলতে চাইছো ভাবী??ও এখন সরকারী হাসপাতালের বেডে থাকবে নাকি??ইমপসেবল…….”
“আরে কথা টা শেষ করতে দে,আমার তো আর জব নেই-প্রাইভেটে নিয়ে গেলে এই মুর্হুতে ধানমন্ডি ছাড়া অন্য কোথায় ভালো ট্রিটমেন্ট পাবো না আমরা,আর ট্রিটমেন্ট কি ওকে জাস্ট ইনজেকশন টা দিয়ে নিয়ে আসবো-দেন বিকালের দিকে আমার এক ফ্রেন্ডের কাছে নিয়ে যাবো…..এখন যদি তুই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাস আমি সেখানে কাজ করতে পারবো-আর দায়িত্বরত কোনো নিউরোসার্জেন কে কিছু টাকা ধরিয় ইনজেকশন টা লিখিয়ে ডেলটা মেডিকেল কলেজের ফার্মেসী থেকে আনিয়ে পুশ করলেই তো হলো,ব্যাস এই টুকু নৌশিনকে তো সেখানে রেখে আসছি না আমরা…তা ছাড়া এসব কেস এ ডাক্তার দের বিশ্বাস কম করতে হয়……তুই বেশি কথা বাড়াস না-চল ওকে নিয়ে,আমি তোর ভাইয়াকে বলে আসছি…….”
“ওকে,তুমি যা ভালো মনে করো বাট ভাবী ওর অবস্থা…”
“কোল ডাউন ভাই…..দেখা ছাড়া তোর আমার কিচ্ছু করার নেই……”
!
সাদাদ নৌশিনকে নিয়ে গাড়িতে উঠায়…….সাদাদের বাবা,মা এখনো ঘুমাচ্ছে,
টেনশন করবে বলে বড়দের আর জানানো হয় নি………
সাদাদের ভাবী নৌশিনকে নিজের কোলে মাথা রাখিয়ে শুইয়ে দিলো….
আর সাদাদ সামনে বসে ড্রাইভ করছে,
“সলিমুল্লাহ তে চলে যাবি,আমি স্যারকে ফোন করে ডিটেলস বলে রেখেছি…….”
“হুম…..”
নৌশিন পাগলের মতো ছটফট করে চলেছে….
সাদাদ গাড়ির আয়না স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে সেটা,ভেতর টা ধুমরে মুচড়ে যাচ্ছে বাট সে কিছু করতে পারছে না…
!
“আচ্ছা সাদাদ,একটা কোয়েশ্চেন করবো??যদিও পার্সোনাল বিষয় তোদের….”
সাদাদ ড্রাইভ করতে করতেই বলে,
“সিউর…….বলো….”
“আমি যতদূর জানি সেন্স আসার মিনিট পাঁচেক পর ই প্রিডিমনেসিয়ান দের মাথা ব্যাথা তীব্র হয় বাট নৌশিনের তিন ঘণ্টা পর…আই মিন ড্রেড যদি ভুলে গিয়ে থাকে তাহলে ব্যাথা টা হওয়ার কথা নয়-আর আমি ওকে কোনো ঘুমের ইনজেকশন ও দিই নি যে ও ঘুমিয়ে যাবে ব্যাথা হবে না…….তাহলে ওর মাইন্ড টা অন্য দিকে ঘু….”
সাদাদ বুজে গেছে ওর ভাবী কি জানতে চাইছে,
সাদাদ ওর ভাবীর প্রশ্ন শেষ করার আগেই বলে উঠে,
“হ্যাঁ…ভাবী তুমি ঠিক ধরেছো…..ওর সেন্স আসার কিছু সময় পর ই আমরা ফিসিক্যাল রিলেশনে চলে গিয়েছিলাম……তাই মে বি ওর মাইন্ড অন্য দিকে ছিলো……..”
নৌশিন এই মুহূর্তে স্বাভাবিক থাকলে সাদাদের মাথায় মারতো……..বাট অসুস্থ থাকায় ওদের দুজনের কথা শুনছে না আগে নিজের জীবন তারপর অন্য কিছু….
“আই সি…..আমিও একটা বই তে পরেছিলাম,যে ধরনের রোগীরা যদি বিবাহিত হয়ে থাকে তাহলে এটা খুব কাজে দেয় বাট যে এই বই টা লিখেছিলেন তাঁকে জেলে পাঠানো হয় এবং বই টার লাইসেন্সও নিয়ে নেয় সে দেশের সরকার…..লোকটা একজন সাহিত্যিক ছিলেন-চিকিৎসা বিষায়ক এমন জটিল সমস্যার এমন অদ্ভুদ সমাধান তৎকালীন সময়ে কেউ মেনে না নিলেও বেশ কিছু বছর পর আমেরিকান চিকিৎসকরা এটা প্রমাণ করেন যে ‘সাহিত্যিক একদম ঠিক উপায় বলছেন’…..কারণ এই সব রোগ ছেলেদের ই বেশি হয়…. যেহেতু এগুলো থ্যালামাস থেকে নিসৃত বিশেষ রসের কারণে হয়ে থাকে আর সে সময় যদি মন কে অন্য দিকে ঘুরানো যায় তবে রোগী অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠে….আর মন পুরোপুরি অন্যদিকে ঘুরাতে হাইপোথ্যলামাসের আবেগ ক্রিয়ার প্রভাব সব চেয়ে কার্যকরী-আর এটা খুব ভালো কাজ করে ইভেন সব কিছুর চেয়ে উইথ আউট এনি মেডিসিন সেটা হচ্ছে ‘যৌনক্রিয়া’ কেন না একমাত্র এই সময়েই দুটি মানুষ এতটাই তৃপ্ত থাকে যে অন্য সব কিছু মেমোরি থেকে সে সময়টুকুর জন্য বান হয়ে থাকে……আমি কাল যাওয়ার সময় তোকে একবার বলতে চেয়েছিলাম বাট সাহস পায় নি-কিন্তু তোরা না জেনেও এটা করে খুব ভালো করেছিস,আফটার অল নৌশিন কিছু সময় মানসিক চাপ থেকে দূরে ছিলো…….”
সাদাদ কিছু বললো না,ও ভেবেছিলো ওর ভাবী ইচ্ছে মতো কথা শুনাবে,’নৌশিনের এমন অবস্থায় ওর সাথে এটা করার জন্য’ বাট ওর ভাবী যা বললো তারপর ওর আর কি বলার থাকে….
রাস্তা ফাঁকা থাকায় বারো-তেরো মিনিটেই ওরা হসপিটালে পৌঁছে যায়….
সাদাদের ভাবী আগে থেকেই সব রেডি করে রেখেছিলো,ওনার স্যার নৌশিনের কান্ডিশন দেখে তার সাথে পরামর্শ করে ইনজেকশন টা লিখে দেন……….
সাদাদ তাদের কথা মতোই সেটার আনার জন্য বেরিয়ে পরে,
অনেকেই হয়তো ভাবছেন,যদি সাদাদের ভাবী ইনজেকশনের মানটা জানতেন তাহলে কেন ওনি লিখলেন না?
তার কারণ হলো:দায়িত্বরত কোনো চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যতীত কোনো জটিল মেডিসিন বা ইনজেকশন বিক্রি করা হয় না বিশেষ করে নিউরন বিষায়ক কোনো সমস্যাতে তো নয় ই………..
সাদাদ ইনজেকশন টা আনার আগ মুর্হুত পর্যন্ত নৌশিন চিৎকার করে কান্না করছিলো….যদি সে ব্যাথার কথা টা সাথে সাথে সাদাদকে বলতো তাহলে তকনি সাদাদ কিছু একটা করতে পারতো বাট সে তো বলেছে যখন আর সহ্য করতে পারছিলো না….
সাদাদ আসার আগে ওর ভাবী নৌশিনকে সামলাচ্ছিলো……
সাদাদ আসায় ওনি উঠে বাইরে চলে যান-ডক্টরের সাথে কথা বলতে………
সাদাদ আসা মাত্রই নৌশিন সাদাদকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে……
সাদাদ অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিলো,
“জান,আরেক একটু সহ্য করো……উম্মামমমম্মা……”
সাদাদ নৌশিনের মাথায় চুমু দিচ্ছে……অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে….কেবিনে থাকায় সেখানে সাদাদ আর নৌশিন ছাড়া কেউ নেই….
সাদাদ নৌশিনকে অনেক বুজিয়ে সুজিয়ে বেডে শুইয়ে দিলো আর তখনি ওর ভাবী আর ডক্টর কেবিনে ডুকে……….
নৌশিন জানে এই ইনজেকশনে কতটা ব্যাথা হবে ওর-এটা কোনো সাধারণ ইনজেকশন না সেটা ও ভালো করেই জানে……..তাই ইনজেকশন দেখেই কেমন একটা আঁতকে উঠে……….
সাদাদের ভাবীও জানেন এটাতে কতটা কষ্ট হবে বাট সাদাদ?সে তো জানেই না কতটা ব্যাথা নিতে হবে তার প্রিয়তমা কে…….ইনজেকশন টা দেওয়া হয় সাধারণ ভাবেই বাট সেটার তরল টা যখন শরীরের শিরা দিয়ে যেতে থাকে তখন রোগীর কাছে মনে হয় সারা শরীরে কেউ কেটে মরিচের গুড়া লাগিয়ে দিয়েছে-এতটা জ্বালা করে……….
যদিও পনেরো বিশ মিনিট পরেই জ্বালা সহ ব্যাথা টাও কমে যায়-কিন্তু এই পনেরো মিনিটে জান টা বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়-আর এরপর শুধু পানির পিপাসা লাগে…..
তাই ইনজেকশন পুশ করার আগে সাদাদের ভাবী জোর করে সাদাদকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়…….নৌশিনও সাদাদকে থাকতে বলে নি কারণ ও চায় না সাদাদ ওকে এই যন্ত্রণা টা পেতে দেখুক-এক রকম এ কথাটা ভেবেও সাদাদের ভাবী নৌশিনকে হসপিটালপ নিয়ে আসেন যেন বাসার কেউ এটা দেখলে ঘাবড়ে না যায়-
ডাক্তারদের পক্ষে এটা দেখা সম্ভব বাট দেখে নি কোনো দিন-রোগীর ছটফটানী আর চিৎকার শুনলে ওরা ভয় পেয়ে যাবে………
ইনজেকশন পুশ করার আগে দুজন নার্স ডুকে নৌশিনের কেবিনে তারা নৌশিনের পাশেই দাঁড়ায় আর সাদাদের ভাবী নৌশিনের মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বুলাতে থাকে……..
ডক্টর মানে সাদাদের ভাবীর স্যার ইনজেকশন টা নৌশিনের কজ্বির উপর পুশ করে দেওয়ার দু সেকেন্ডের মাঝেই নৌশিন “আল্লাহ গো বলে চিৎকার করে উঠে”
আর নার্স দুটো নৌশিনের হাত চেঁপে ধরে……..
নৌশিন এমন জোরে চিৎকার করে যে তার আওয়াজ টা সাদাদের কান ভেদ করে কলিজায় গিয়ে লাগে-দৌঁড়ে ভেতরে আসে সাদাদ……..
দেখে…..নৌশিন বেডের উপর কই মাছের মতো ছটফট করছে-এমন ভাবে পা ছুড়ছে যেন স্বপ্ন দেখে জোরে বাইসাইকেল চালাচ্ছে………
নৌশিনের হাতের ছিটকানিতে নার্সের হাত সরে যায় ওরা আবার ধরতে চাইলে সাদাদের ভাবী ধরতে দেয় না……
সাদাদ পাগলের মতে নৌশিনের কাছে এসে সবার সামনে নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে……….
নৌশিনের কোনো খেয়াল নেই কে ওকে জড়িয়ে ধরেছে,ইনজেকশন টা দেওয়ার পর ওর সারা শরীরে আগুন ধরে গেছে এখন কেউ হাত দিয়ে ছুঁলেও আগুনের মাত্রা বেড়ে যায়-নৌশিন কারও জড়িয়ে ধরায় এতো জোরে শরীর ঝাকুনি দেয়-এতে সাদাদও ছিটকে পড়ে….
সাদাদ ভয়ে,আতঙ্কে ওর ভাবীর দিকে ভ্রু কুচকে তাঁকায়…….
ওর ভাবীর চোখ ছলছল করেছে,ওনি অনেক কেই নিজের চোখের সামনে এই যন্ত্রণা পেতে দেখেছেন কিন্তু আজ যে ওনার আপনজন পাচ্ছে,এটা চোখের সামনে দেখা যে কতটা কষ্টের যে দেখেছে সে জানে-সাদাদ তো শুধু নৌশিনের চিৎকার শুনছে আর ছটফট করা দেখছে বাট ওর ভেতরে যে কতটা কষ্ট হচ্ছে সেটা নৌশিন ছাড়াও উপস্থিত দুজন ডাক্তার ভালো ভাবে ই উপলব্ধি করতে পারছেন,কারণ তারা বইয়ের পাতায় এই কষ্ট টা সুন্দর উপমা সহ পড়েছেন……
সাদাদের এমন চাহনীতে ওর ভাবী নিজেকে অনেক কষ্টে স্বাভাবিক করে বলেন,
“কিচ্ছু হবে না,দশ মিনিট পর ই……”
আর কিছু বলার আগেই সাদাদ চিৎকার দিয়ে ওঠে,”কিচ্ছু হবে না মানে,আমার নৌশিন এমন করছে আর তোমরা বলছো কিছু হবে না…..তামাশা করছো আমার সাথে ওর তো শুধু মাথা ব্যাথা ছিলো ও এমন তো করছিলো না তোমরা কি করেছো ওর সাথে……ও এমন কেন করছে……”
সবাইকে চুপ থাকতে দেখে সাদাদ আবার চেঁচিয়ে উঠে,
“আন্সার মি….কি করা হয়েছে ওর সাথে……..বলো…..”
সাদাদ আবারও দৌড়ে নৌশিনের কাছে যায়-নৌশিন ঘেমে গেছে….হাত পা আগের চেয়ে কম নাড়াচ্ছে তার মানে শরীরের জ্বালা টা কমে আসছে-মেডিসিন টা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার কিছু সময় পর ই যন্ত্রণা কমতে শুরু করে নৌশিনেরও তাই হচ্ছে…
তবুও সাদাদ যেন পাগল হয়ে গেছে-নৌশিনের এই অবস্থা সে চোখে দেখতে পাচ্ছে না………
আবারও জড়িয়ে ধরে নৌশিনকে-মুখের ঘাম না মুছেই চুমু দিতে শুরো করে,
“কিচ্ছু হবে তোর….সব ঠিক হয়ে যাবে …….”
নৌশিন এবার আর সাদাদকে সরিয়ে দিতে পারলো না-ব্যাথা,ইনজেকশন,মেডিসিনের জ্বালা সব মিলিয়ে এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে আস্তে আস্তে নড়ার শক্তি টাও যেন হারিয়ে ফেলেছে….
সাদাদ নৌশিনকে চুমু দেওয়ার সময় ই সবাই কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়-শুধু ওদের ভাবী ছাড়া……..
সাদাদ এখনও নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে আছে-নৌশিন শুধু গাঢ় শ্বাস নিচ্ছে,ওর কাছে মনে হচ্ছে একটুর জন্য প্রাণ টা রয়ে গেলো বোধহয়,শেষ সেই ক্লাস টেন এ থাকতে এমন একটা ইনজেকশন নিতে হয়েছিলো আর আজকে আবার………..
সাদাদের ভাবী পেছন থেকে সাদাদের কাঁধে হাত দিয়ে বলে,
“ওকে ছাড়,ওর গরম লাগছে…….আর এটা নে বাতাস কর এখানে এসি নেই আর ফ্যানও স্লোলি ঘুরছে…….”
সাদাদ কোনো কথা না বলে ওর ভাবীর কাছ থেকে কার্ড টা নিয়ে নৌশিনকে বাতাস করতে থাকে…..
নৌশিনের চোখ আধখোলা-ঘুম আসে নি তবে ক্লান্ত হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে……আর জিহ্বা দিয়ে বারবার ঠোঁট ভিজাচ্ছে…….সাদাদের ভাবী বুজতে পারেন,নৌশিনের পানির পিপাসা পেয়েছে-তাই সাদাদকে বলছে,
“এটা আমাকে দে,আমি বাতাস করছি তুই যা সামনের কোনো দোকান থেকে খাবার পানি নিয়ে আয়,আর পারলে পাশের হোটেল থেকে একটা ডিম সিদ্ধ নিয়ে আসিস……”
“পানি…..আর ডিম সিদ্ধ??”
“হ্যাঁ…..দু লিটার আনিস কারণ ও এখন অনেক পানি খাবে….এ ধরনের ইনজেকশন শরীর পড়লে খুব জ্বালা করে তাই এতো লাফাচ্ছিলো এতক্ষণ আর এখন শুধু পানি চাইবে….এগুলো কেসে গলা বার বার শুকিয়ে যায়….”
“ও তো পানি ই খায় না….দু লিটার খেতে পারবে নাকি???তুমি যেমন করে বলছো মনে হয়ে দু লিটার ও একাই খাবে….”
“শুধু দগ লি. না….আগে নিয়ে আয় পরে দেখ কি করে ও……”
সাদাদ আর কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে গেলো…..
ভাবী নৌশিনের বেড টা উঁচু করে আধ শোয়া করে বসিয়ে,ঘাম মুছিয়ে দিলো-তারপর খোলা চুলগুলো পেছনে নিয়ে খোপা করে বাতাস দিচ্ছে………..
সাদাদ এসে দেখে নৌশিন চোখ মেলে জানালার দিকে তাঁকিয়ে আর ওর ভাবী বাতাস করছে……….
সাদাদ এসে নৌশিনের পাশে বসতেই নৌশিন সাদাদকে ধরে ফুপিয়ে কেঁদে দেয়……….
“কাঁদিস না…..পরে আরও ক্লান্ত হয়ে পড়বি……..”
“এখন কেমন লাগছে জান??”(অস্ফষ্ট সরে সাদাদ প্রশ্ন করে….গলাটা জড়িয়ে আসছে শুনলেই বুজা যায়…..”
নৌশিন কোনো উত্তর দিলো না সাদাদের বুকে মুখ রেখে কান্না করেছে…….
সাদাদ আবারও নৌশিনকে স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্ঠা চালায়……..
দু-এক মিনিট পর নৌশিন নিজেই মুখ তুলে বলে,
“পানি…….”
সাদাদ সাথে সাথে বোতল থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে নৌশিনকে খাইয়ে দিতে নিলে নৌশিন সাদাদের হাত থেকে গ্লাস টা কেড়ে নিয়ে ঢকঢক করে সব টুকু পানি খেয়ে নেয়……..সাদাদ অবাক হয়ে যায় যে মেয়েকে সকাল বেলা বকাবকি করেও হাফ গ্লাস পানি খাওয়ানো যায় না আর আজ সে কি না এভাবে পানি খাচ্ছে….
সাদাদ ডিম টা নৌশিনের সামনে দিতেই,নৌশিন বলে,
“না….আমি ডিম খাবো না….”
সাদাদ খাওয়াতে চাইলে ওর ভাবী বারণ করে “থাক জোর করিস না,বসায় নিয়ে গরম ভাত খাইয়ে দিলেই হবে….”
সাদাদ আর জোর করলো না……..
এদিকে বাসায় সবাই উঠে বাকী তিনজনকে না পেয়ে হরতোকল বাঁধিয়ে দিয়েছে…অরূপের বাবা সবাইকে সবটা বলাতে সবার টেনশনে হাত পা শুকিয়ে যাচ্ছে…..আর সাদাদের মা তো কান্না ই জোরে দিয়েছে………
অরূপকে এতো কিছু বলা হয় নি ওর বাবা খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে হাজার টা মিথ্যা বলে ড্রাইভার কে দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছে……..
কিছুক্ষণ পর পর অরূপের মা কে আর সাদাদকে ফোন করেছে সাদাদের বাবা…..ওরাও হসপিটালে যেতে চায় কিন্তু সাদাদ জানায় ওরা আসছে………
তাই ওরা বাসায় আসা পর্যন্ত এই সময় টুকুতে বাসায় বসে টেনশন করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই তাদের………………..
!
#প্রেমঘোর#৩৮#
💜💜

নৌশিনকে বাসায় নিয়ে আসা মাত্রই সবার চিন্তার অবসান টুকু উৎসুকে পরিণত হয়ে যায়।
সাদাদের মা নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে হাইমাউ করে কান্না করতে থাকে।
সবার প্রাণ যেন ফিরে এসেছে এমন অবস্থা।
“মা,নৌশিনের এখন রেস্টের দরকার…….”
“আচ্ছা,আচ্ছা মা ঠিক আছে যাও ওকে নিয়ে যাও…..সাদাদ বাবা তুইও যা……”
সাদাদ আর রাফসা নৌশিনকে নিয়ে উপরে চলে যায়।
সাদাদ নৌশিনকে খুব সাবধানে বিছানায় শুইয়ে দিলো।
“আমি খাবার পাঠাচ্ছি,ওকে খাইয়ে দিয়ে ঔষধ টা খাইয়ে দিবি……..”
“আচ্ছা…..তুমি পাঠাও……”
মেয়েটার শরীর টা পুরো নিস্তেজ হয়ে আছে।
সাদাদ নৌশিনের বাবা মাকে জানাতে চাইলে নৌশিন বারণ জানায়।
এখন তো সে বিপদ থেকে মুক্ত তাই শুধু শুধু ওদের চিন্তায় ফেলতে চাচ্ছে না।
খাবার খাওয়া শেষ হলে সাদাদ নৌশিনের মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্ঠা করছে।টলমল চোখে নৌশিনের মুখ টা দেখে যাচ্ছে সাদাদ কিন্তু বেচারী এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে সাদাদের টলমল চোখ দেখেও নিজে আর চোখ খুলে রাখতে পারলো না….পারবে কি রে ঘুমের ঔষধ যে খাওয়ানো হয়েছিলো আর তার উপর যা হাল শরীরের।
নৌশিন ঘুমিয়ে পরলে সাদাদ সারা ঘর টা ভালো করে দেখলো। কাল সারা বাড়ী নতুন করে ইলেকট্রিক সংযোগ ঠিক করা সত্বেও এমন তো হওয়ার কথা না।
সাদাদের ধারণাই ঠিক হলো,সাদাদ খেয়াল করলো তার ঘরের সব গুলো বাল্বের সংযোগ টা কেঁটে দেওয়া অথচ ফ্যান,এসি দুটোই ঠিক ঠাক সংযোগ।
সাদাদেরর মনে একটাই প্রশ্ন…..রিদি নয় তো???
!
সাদাদ বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়,
কতটা কষ্ট পেলো তার নৌশিন আজ।ভাবতে পারবে না সাদাদ…..কখন এতটা কষ্ট নৌশিন পাবে তার সামনে এটা তো সাদাদের কল্পনার বাইরে ছিলো।আর আজ কিনা!!অন্য কারও কাজের জন্য নৌশিন এতটা……ভাবতে সাদাদের দুনিয়া অন্ধকার হয়ে আসছে।
সাদাদ রোমে প্রবেশ করবে হঠাৎ নজর যায় বারান্দার টি টেবিলে পেপার ওয়েটের নিচে রাখা এক টুকরা কাগজের দিকে।
অনেক বেশি আগ্রহ জাগে সাদাদের মনে।তাড়াতাড়ি কাগজের টুকরো টা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করে।
বেশি কিছু লেখা না…………বেশ বড় বড় করে লেখা……….”বলেছিলাম না নৌশিনের কষ্টের শব্দ শোনাবো তোমায়??শুনতে পেরেছো নিশ্চয়,জানি আমার কাছে আসতে চাইবে জবাব নেওয়ার জন্য কিন্তু আমি তো জানতাম আমার মনের সুপুরুষ টা খুব সাহসী তাই আশা করবো সে যেন আমার কাছে জবাব চাইতে না এসে আমার দাপট থেকে তার ভালোবাসার মানুষ টা কে রক্ষা করে……”
সাদাদের মাথায় রাগ উঠে যায় চরম পর্যায়ে…..এই মুহুর্তে রিদিকে সামনে পেলে খুন করে ফেলতো সাদাদ।
হাজার চেষ্টা করে নিজের রাগ টাকে দমিয়ে রেখে ফোন বের করে ছোট্ট একটা এসএমএস করে দিলো রিদি ফোনে,”I accept your challenge.”
!
সাদাদ নিজেকে সামলে নিয়ে রোমে চলে আসে……নৌশিনের ঘুমন্ত মুখটার দিকে পলকহীন ভাবে তাঁকিয়ে আছে।
ওর মা,ভাবী অনেক বার খাওয়ার কথা বলে গেছে কিন্তু এত বেলা হওয়ার পরও সাদাদ নৌশিনকে ছেড়ে রোম থেকেই বের হচ্ছে না,খাবার তো বহুদূর।
তাই ব্যর্থ হয়ে কেউ আর ডাকতে এলো না।
প্রায় অনেকটা সময় পর ঘুম ভাঙে নৌশিনের……….
নৌশিন একটু নড়ে উঠতেই সাদাদের জীবন নদীতে সুখের জোয়ার আসে।নৌশিনের বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরে ঐ সময়েই।বুকটা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে সাদাদের,তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য কেউ তার জীবনসঙ্গীকে এতটা কষ্টের ভেতর দিয়ে পাড় করালো।
কাঁদছে সাদাদ,নৌশিনের ভেতর টাও যে দুমড়ে মুচড়ে উঠলো।হাজার কষ্ট সহ্য করেও বাঁচতে পারবে,হাঁসতে পারবে কিন্তু এই মানুষটার চোখের পানি দেখতে পারবে না কখনও।শেষ হয়ে যাচ্ছে নৌশিন সাদাদের এমন ডুকরে কান্না দেখে।সাদাদের চুলগুলো দুহাতে আকড়ে ধরে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয় সাদাদকে……যেন সাদাদকে নিজের বুকেই রাখবে সারা জীবন।দুজন দুজনকে এভাবেই বেঁধে রেখে চোখের পানি ফেলতে থাকে………
কথা আসছে না মুখ দিয়ে একরকম জোর করে কষ্ট সহ্য করে ধীরে ধীরে বললো,
“আমার কষ্ট হয় তুমি কাঁদলে……..”
সাদাদ নৌশিনের কথা শোনে সাথে সাথে নৌশিনের বুক থেকে নিজেরমাথা সরিয়ে এনে,চোখ মুছে নিলো।
“কোথায়??আমি কেন কাঁদবো……আর কোনো কষ্ট কেন হবে??সব ঠিক আছে….”
“তাহলে হাঁসো না একটু…..”
সাদাদ না চাইতেও জোরপূর্বক একটা হাঁসি প্রকাশ করলো।
প্রশ্ন করে নৌশিন,”খেয়েছো??”
“পরে খাবো……”
“কেন??”
“ক্ষুদা লাগে নি এখনও……”
“লেগেছে…..প্লিজ খেয়ে নাও….”
“খাবো।।।তুমি টেনশন করো না…..শুয়ে থাকো একটু আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি…..”
সাদাদ উঠতে যাবে নৌশিন হাত ধরে ফেলে,”আমি তো খেয়েছি….”
“সকালের সেটা তো অল্প ছিলো…..এখন একটু খেতে হবে……”
“পারবো?? না পেট ভরা তো…..”
“আচ্ছা…….আমিও খাবো না তাহলে……গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা উঠলে তুমি সামলিয়ে নিলো….”
নৌশিন আচমকায় খুব জোড় দিয়ে বলল,
“আমি খাবো,আমার খুব ক্ষুদা লেগেছে…….”
মুচকি হাঁসে সাদাদ……নৌশিনের মাথায় হাত রেখে বলল,
“এই তো গুড গার্ল……তুমি থাকো একটু আমি নিয়ে আসছি…..”
“আমি যাই না??”
“উমমমহু….একদম চুপচাপ বিছানাতেই থাকবা……”
নৌশিন মিষ্টি একটা হাঁসি টেনে বলছে,
“ওকে…….”………
দুটো হাত নৌশিনের গালে রেখে কপালে ঠোঁটের উষ্মতা দিয়ে সাদাদ বলল,
“লাভ ইভ সো মাচ……..”
“লাভ ইউ টু…….”……………
!পুরো গল্পের লিংক
https://www.facebook.com/groups/2837664109643809/permalink/2935151703228382/

To..be…continue….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here