৬৪-৬৭
প্রেমঘোর
#পর্ব_৬৪_৬৫
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
নৌশিন কখনও রাঙামাটি যায় নি।তাই সাদাদ ঠিক করেছে নৌশিনকে সেখানেই নিয়ে যাবে।
তবে পাঁচ দিন পর।
কারণ দু দিন পর অর্থাৎ পাঁচ জুন প্রাপ্তির জন্মদিন।
যদিও এ বাড়িতে জন্মদিন নিয়ে কোনো পার্টি টার্টি করা হয় না।তবুও বন্ধুবান্ধব দের নিয়ে কিছুটা সময় আনন্দে কাঁটতে সবাই মিলে এক সাথে খাওয়া দাওয়া করা হয়।
আর এবার তো নৌশিন আছে…..তাই প্রাপ্তি নিজের জন্মদিন নিয়ে যেনো একটু বেশি মেতে উঠেছে।
প্রাপ্তির সব ফ্রেন্ডসদের দাওয়াত দেওয়া হয়ে গেছে।প্রাপ্তির বায়নায় সারা বাড়ি ফুল আর বেলুন দিয়ে সাজাতে হয়েছে।
মেয়েটা আঠারো বছরের হলেও স্বভাবে একদম বাচ্চা।এই জন্মদিনের অযুহাত ধরে…..নৌশিন আর রাফসার বাড়ির সবাইকেও দাওয়াত হয়েছে।
তাই প্রাপ্তির এবারের জন্মদিনে প্রতিবারের চেয়ে আয়োজন টা একটু বেশি ই করা হয়েছে।এর জন্য বাড়ির সবাই নানা ভাবে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
!
“আম্মু……আম্মু…….”
কলেজ থেকে এসে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে রেখেই প্রাপ্তি তাঁর মা কে ডাকা ডাকি শুরু করেছে।
প্রাপ্তির মা মেয়ের হাঁকাহাঁকি থামাতে রান্না ঘর থেকে দ্রুত ড্রয়িং রোমে আসে।
“কি হয়েছে??এতো চিল্লাছিস কেন??”
প্রাপ্তি সোফায় ব্যাগ রেখে দু পা সোফায় তুলে বসে আছে।
“কি হয়েছে??বল….”
“আব্বুকে কি বলেছো তুমি??”
এতক্ষণে প্রাপ্তির চেঁচামেচিতে নৌশিনও এসে হাজির হয়েছে।
“কি বললাম আমি??”
“আমি আব্বুকে ফোন করেছিলাম…..”
“তাতে কি হয়েছে?তোর আব্বুকে কি বলেছি আমি??”
“আমি কাল কে রাতে বললাম না আমি শপিং এ যাবো…..তোমাকে বলেছিলাম টাকা রাখতে আব্বুর কাছে তুমি রাখো নি কেন??”
“তোর কথাতে তো সব হবে না……এতো এতো নতুন জামা আছে একদিনও পড়িস নি….সেগুলোর কি হবে??”
“আমি পড়বো না সেগুলো…..আমার নতুন জামা চাই আবার…..”
প্রাপ্তি এই কথাটা একটু জোরে করেই বলে ফেলেছে।রেগে গিয়ে বলছে একটু।
প্রাপ্তির মা মেয়ের এসব বায়না কম শোনে।আর প্রাপ্তির মাঝেমাঝে এরকম রাগারাগি করা টাও তিনি মেনে নেয় না।আজও স্বাভাবিক ভাবে তিনি প্রাপ্তির জোরে কথা বলা মেনে নেয় নি……এগিয়ে যায় প্রাপ্তির দিকে………
ধমক দিয়ে বলে,
“কি বললে তুমি??আবার বলো???”
মায়ের চোখ রাঙানো দেখে ভয় পায় প্রাপ্তি……তবুও কাঁদোকাঁদো হয়ে বলল,
“একটা জামা কিনে দিলে কি হয়??”
“কি হয় সেটা তোমার কাছ থেকে শিখতে হবে আমার??এতো জোরে কথা বলো আমার সাথে??এত সাহস তোমার?তোমার আব্বু টাকা দিয়ে গেছে তোমার জন্য….আমি না বলে দিয়েছি তোমার আব্বুকে….আজকে তোমাকে টাকা দিবো না শপিং এর জন্য….এটাই বলেছি….আর তুমি আমার কাছে জানতে চাইছো…..??”
নৌশিন এতক্ষণ শুধু শুনছিলো….কিন্তু প্রাপ্তির চোখে পানি দেখে বলল,
“কাকি কি হয়েছে?বাদ দাও না….বুজতে পারে নি….”
“উঠাও লাই দিয়ে আরও মাথায় উঠাও ওকে……”
প্রাপ্তি কাঁন্না করতে করতে আবারও বলল,
“লাগবে না কিছু করা…..আমি সবাইকে না করবো যেন কাল কে কেউ না আসে….আজ তো চার জুন….কাল পাঁচ তারিখ…..
শুধু শুধু গত কাল এত কষ্ট করে বাড়ি সাজানোর কোনো মানে হয় নি…”
কথা গুলো বলেই প্রাপ্তি দৌঁড়ে উপরে নিজের রোমে চলে যায়।
প্রাপ্তির মা রেগে গিয়ে…মেয়ের যাওয়ার দিকে তাঁকিয়ে রেখে বলল,
“হ্যাঁ….যাও….সব বায়না মানতে হবে এমন কথা নেই…..দিন দিন বড়ও বেশি একরুখা স্বভাব হয়ে গেছে…..বাবার টাকা থাকলে শুধু উড়াতে হবে নাকি??অন্য সব বড় লোকদের মতো??কেন??ইসলাম বলেও তো একটা কথা আছে??সব কিছুর সীমত ব্যবহার করা উচিত….ওকে কি আমি বলেছি যে জামা পড়েছো সে টাই পড়বে??বলেছি কত জামা আছে যে গুলো পড়োই নি সে গুলো পড়ো…তা না সে শপিংয়েই যাবে….এগুলোর তো যাকাত দিতে হবে নাকি??
টাকা থাকলেই উড়াতে হবে??….”
প্রাপ্তির মায়ের বকাবকি শোনে অরূপের মা আর দাদীও ড্রয়িং রোমে হাজির হয়……….
“কি হয়েছে???এত বকাবকি করছিস কেন???ছোট মানুষ এমন তো একটু করবেই……”(সাদাদের মা)
“ভাবী,তোমরাও না…..ও যা চায় তাই দাও আর তাতে ওর স্বভাব খারাপ হয়…..বড় হচ্ছে তো দিন দিন…..শশুড় বাড়ি যাবে আর এমন করবে…….তখন??”
“তখন আমার মা মানি কে সব দিবে….যা চাইবে তাই দিবে…..”
মেইন ডোর দিয়ে বাসায় ডুকছে আর কথাগুলো বলে যাচ্ছে সাদাদের বাবা……..
বাসায় ডুকে সোফায় বসে আবারও তিনি বলা শুরু করেন,
“আর ওর তো চাওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না,আমার পুরোপুরি বিশ্বাস আমার প্রাপ্তি মা মনিও আমার নিপা মামনির মতো এত বড় বড় ব্যবসা একাই সামল দিতে পারবে আর তাই তাঁর যা দরকার সে সব নিজেই করতে পারবে কারও কাছে চাওয়ার কোনো প্রয়োজন হবে না আল্লাহর রহমতে…..দোয়া করি আল্লাহ ওকে সব ঙ্গান বুদ্ধি দান করে যেন সব কিছুর সঠিক ব্যবহার করতে পারে….আর সে ও ভবিষ্যৎ এ সেটাই করবে,আমার বিশ্বাস……..
এখন যাও প্রাপ্তি মনি কে রেডি হতে বলো আজকে আমি তাঁকে শপিং এ নিয়ে যাবো……..বউ মা তোমরা দু জনেও তৈরী হয়ে নাও…….”
প্রাপ্তির মা আর কি বলবে,যেখানে তাঁর ভাসুরমশাই এত কিছু বলছেন…..তাঁর উপর তো আর কথা চলে না…………
“ভাইজান!!!!!”
“হ্যাঁ…..যাও রেডি হতে বলো আমার প্রাপ্তি মাকে…..আর ভাবার কিছু নেই আমার প্রাপ্তি মণি বেস্ট ইন বেস্ট…….”
“আচ্ছা….বলছি বলছি….আপনাদের মেয়ে আপনারাই সামলান…….”
প্রাপ্তির মা চলে যায় প্রাপ্তিকে ডাকতে….
“বাবা,আমরাও যাচ্ছি তোমার সাথে??”(রাফসা)
“তাহলে??কি বললাম আমি??আজকে আমার সব মেয়ে দের আমি নিজে শপিং করে দিবো….নৌশিন মা তুমিও তৈরী হয়ে নাও…আর সাদাদকে ফোন করে বলো যেন বসুন্ধরা তে তাড়াতাড়ি চলে আসে অফিস থেকে……সেখান থেকেই তোমাদের রাঙামাটি যাওয়ার জন্য শপিং টাও করে নিও তোমরা দুজনে……..”
নৌশিনেরও শপিং করতে ভালোই লাগে….তাই সে ও ভীষণ খুশি!!কয়টা মেয়ের কপালে শুশুড়ের সাথে শপিং এ যাওয়ার ভাগ্য হয়!!
যেটা নৌশিনকে আরও বেশি অভিবিত করছে।
!
!
নৌশিন রোমে গিয়ে রেডি হওয়ার আগে সাদাদকে ফোন করে……..
“হ্যালো,আসসালামু আলাইকুম……”
“হ্যাঁ,ওয়ালাইকুম আসসালাম…….কি করছে আমার জানপাখি?”
“উমমমম….কিছু করছি না তবে…..”
“তবে???”
“তুমি কি করছো??”
“ম্যাডাম আমি কি করি এই সময়ে??”
“হুম….ফিরতে কি রাত হবে তোমার??”
“কেন বলো তো??”
“বাবা সাথে শপিং এ যাবো আমি…..”
“আচ্ছা!!!এই ব্যাপার তাই তো বলি আমার জান পাখির কথাগুলোতে আজ একটু বেশি খুশি মিশ্রিত কেন!!!…তোমাকে না বললাম সকালে শপিংয়ের কথা…..তুমি বললে ভাবীর সাথে গিয়ে নাকি শাড়ি কিনেছো রাঙামাটি যাওয়ার জন্য করবে যাওয়ার আগের দিন….আমার সাথে যেতে ইচ্ছে করে না??তাই না??”
“সাদাদ!!!!আমি কবে বললাম তোমার সাথে যেতে ভালো লাগে না….তোমার সাথেই তো যাই….একদিন শুধু ভাবীর সাথে গেলাম…..আর আমার তো প্লেনিং ই ছিলো না শপিংয়ের যতগুলো শাড়ি আছে!!!আল্লাহ্….সেগুলোর ই তো যাকাত দিতে পারছি না…..”
“হেয়…..আচ্ছা….কোথায় শপিং এ যাচ্ছো??”
“বসুন্ধরাতে যাবে মে বি বাবা……তোমাকেও অফিস থেকে সেখানে আসতে বলছে…..ভাবী…প্রাপ্তিও যাচ্ছে….প্রাপ্তির জন্যই যাওয়া হচ্ছে… ও বেচারী কলেজ থেকে এসেই শপিং এ যাওয়ার জন্য বায়না করছে আর কাকি বকাবকি শুরু করেছে…. তো বাবা ঐ টাইমে বাসায় এসে সব শোনে নিয়েছে তাই…..”
“এই ব্যাপার….দেখেছো আমার বোন টার জন্য সবার ই আবার নতুন করে শপিং করা হয়ে যাচ্ছে….এটার জন্য আমার পুঁচকি বোনের একটা দারুণ গিফ্ট পাওয়া উচিত….”
নৌশিন হেঁসে বলল,
“ঠিক বলেছো…..”
“আচ্ছা,ম্যাডাম তো আপনি রেডি হয়ে নিন….আমি এসে যাবো তোমরা শপিং করতে থাকো…..”
“ওকে….বাই….”
“হুম…….বাই জান….”
!
!
এদিকে প্রাপ্তি যেতে চাইছিলো না একন শপিং এ……ওর মা যা বকাবকি করছিলো!!!!
তাই ওর মা ই বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার শপিং এর জন্য রেডি করে দিলো।
!
নৌশিন,রাফসা,অরূপ,প্রাপ্তি সবাই রেডি…………….
সবাই মিলে শপিং এ যাওয়ার মজা টাই আলাদা।
“দাদু ভাই আব্বু কোথায়??”(অরূপ)
“তোমার আব্বু অফিসে দাদু……আমরা শপিং এ যাই…….”
“আব্বু শপিং করবে না??”
“করবে….তুমি আর আমি আগে করে নিই….তোমার আব্বু অফিস থেকে শপিং চলে আসবে…..”
“চাচ্চুর মতো??”
“হ্যাঁ…..বাহ্…রাফসা মা আমার দাদুর র দেখি ঠিকঠাক র হয়ে গেছে….”
গাড়িতে উঠতে উঠতে হেঁসে দেয় রাফসা…….
“ওফ দাদু আমি বড় হয়ে গেছি তো……”
“তাই নাকি!!!”
“হুমমমমমমমমম…….”
…….
গাড়ি চলছে……সবার মুখে হাঁসি…….নৌশিনের শশুড় কাউকে ফোন করছে……..
কিন্তু ফোন টা ঐ পাশ থেকে রিসিভ হলো না।
তাই একটা এসএমএস সেন্ড করে দিলেন।
“বড় বউ মা……”
“হ্যাঁ বাবা…..”
“রিদি কেও এসএমএস কর দিলাম আসার জন্য…..ফোন রিসিভ করে নি মে বি মিটিং এ আছে……আমরা সবাই যাচ্ছি সে ও না হয় আসুক….”
“ঠিক আছে বাবা…..”
“কি প্রাপ্তি মনি খুশি তো এবার??যত শপিং ইচ্ছা করবে ঠিক আছে??”
“হ্যাঁ জেঠু মনি….খুব খুশি আমি…..অনেকগুলো ধন্যবাদ তোমায়………”
“নো নো….মা কি কখনও ছেলেকে ধন্যবাদ দেয় নাকি!!!”
“ওহ্…তাহলে রিটান নিয়ে নিলাম…..”
“হা হা হা…….”
………………………….
https://www.facebook.com/groups/2837664109643809/permalink/2935151703228382/
!
#প্রেমঘোর#৬৫#
শপিং এ ব্যস্ত সবাই।
ইতিমধ্যে রিদিওও এসে গেছে।
“রাফসা,তুমি তো শুধু দেখেই যাচ্ছো মা…..”
“বাবা,আমার পচ্ছন্দ ই হচ্ছে না……”
“হা হা হা….একদম আমার নিপা মায়ের মতো দেখছি…..মেয়ে টাকে নিয়ে শপিং এ এলে বেচারী সব দেখতো কিন্তু পচ্ছন্দ আর হতো না……..”
“বাবা!!!!…..”
“আচ্ছা,আচ্ছা তুমি দেখে যাও……”
“এই তোরা এদিকে থাক তো….আমি ঐ দিক টাই আছি শাড়ির দোকানে……নৌশিন যাবি আমার সাথে??”
“হ্যাঁ…হ্যাঁ….নৌশিন ও তো তেমন কিছু কিনে নি….যাও তোমরা দুজনে শাড়ির শপে গিয়ে শাড়ি নিয়ে নাও…..”
“ওকে বাবা……ভাবী চলো…”
নৌশিন আর রাফসা শাড়ির দোকানে শাড়ি দেখছে।
“রিদি চাইলে তুমিও শাড়ি কিনতে পারো……”
“ওহ্ আঙ্কেল,তুমি তো জানো আমি শাড়ি টারি লাইক করি না…..আই জাস্ট লাইক ওয়ের্স্টান….”
“ওকে,তুমি যা লাইক করো তাই নাও…..”
প্রাপ্তি এরমধ্যে দুটো জামা কিনে নিয়েছে এখন কসমেটিকস কিনতে ব্যস্ত।
আর সাদাদের বাবা অরূপকে নিয়ে বাসার বাকী সবার জন্য শপিং করছে।
নৌশিন একটা সবুজ রংয়ের গর্জিয়াস শাড়ি দেখছে…..বেশ দেখতে শাড়িটা।
“ভাবী,দেখো….এই শাড়ি টা….”
“বাহ্….বেশ তো…..অনেক সুন্দর দেখতে……”
“তোমার তো কিছু পচ্ছন্দ হচ্ছে না এটা তুমি পড়ে দেখো খুব মানাবে তোমায়….”
“আসলেই এটা খুব সুন্দর…..কিন্তু এটা তো তুই পচ্ছন্দ করলি??”
“ভাবী!!!এটা আমি তোমার জন্য দেখলাম…..কাল তো ভালোই লোক আসবে তাই এইটুকু গর্জিয়াস তো চলতেই পাড়ে….তা ছাড়া তোমার সাথে খুব যাবে এই রং টা…….যা ফর্সা তুমি আর সুপার কিউটি (রাফসার গাল টেনে)……”
“নৌশিন!!!!!….”
“ওকে যাও আগে পড়ে তো আসো…..”
নৌশিন রাফসাকে ঠেলে দিয়ে ট্রায়েল রোমে ডুকিয়ে দিলো।
এবার নৌশিন নিজের জন্য শাড়ি দেখছে………
!
রাফসা নৌশিনের পচ্ছন্দ করা শাড়ি টা পড়ে নিজেকে দেখছে।
বেশ মানিয়েছে।রাফসা এমনিতেই গুলুমুলু মানে চিকন না আর কি একটু মোটা যেমন টা বাচ্চা কাচ্চা হলে মেয়েরা হয় আর কি।স্বাভাবিক মোটা,তার উপর ডক্টর মানুষ তো শরীর সব সময় ফিট তার।
আর রাফসাও অনেক ফর্সা।সবুজ রংয়ের জমকালো শাড়ি টা রাফসার রূপ কে যেন ধরে খাচ্ছে।তবে বেচারীর যে একটা বাচ্চা আছে সেটা এমনিতে কম বুঝা যায়।আর এই শাড়ি টাতে তো একদম ই বুঝা যাচ্ছে না।
রাফসা নৌশিনকে দেখানোর জন্য ট্রায়েল রোমের বাইরে বের হয়।
শাড়ির দোকানের দিকে যাচ্ছে রাফসা….কিন্তু যেতে পারলো না।
….তার আগেই পেছন থেকে কেউ একজন এসে মুখ চেপে ধরে ট্রায়েল রোমে পেছন দিকে নিয়ে যায়,যে দিকে মানুষ যায় না বলেই চলে।
রাফসার তো ভয়ে জীবন যায় যায় অবস্থা।
মুখ দিয়ে আওয়াজও করতে পারছে না,আর লোক টাকে দেখতেও পাচ্ছে না পেছন দিক থেকে।
পেছনে থাকা লোকটা রাফসা ট্রায়েল রোমের পেছনে নিয়ে আসে,নিজে দেওয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়ে রাফসাকে নিজের বুকের সাথে নিয়ে দাঁড়ায়।তবে এখনও রাফসার মুখ ছাড়ে নি…..
লোক টার বুকের সাথে রাফসার পিঠ লেগে আছে,তাই রাফসার আরও বেশি অসস্তি হচ্ছে।সর্ব শক্তি দিয়ে নিজেকে ছাড়াতে চাইছে রাফসা….চোখ দিয়ে পানি বের হওয়ার উপক্রম প্রায়।
এমন সময়……
রাফসা স্থির হয়ে যায় হঠাৎ,স্পর্শ টা খুব ভালো করে খেয়াল করছে রাফসা।খুব বেশি সময় লাগলো না,রাফসা বুঝতে পারলো এটা কে!…..
আর চিনবেই না কেন??এ যে সারা জীবনের সব চেয়ে চেনা মানুষের স্পর্শ।এর স্পর্শেই যে সব সুখ লুকিয়ে আছে।
তবে এখন খুব রাগ হচ্ছে রাফসার,এমন কেউ করে।
হঠাৎ করে শপিং মলে পেছন থেকে এভাবে মুখ চেঁপে ধরলে যে কেউ ই তো ভয় পাবে।
রাফসা বুঝতে বুঝতে,পেছনে থাকা মানুষ টা আবেগের বশে রাফসার মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছে।ব্লাউজের ফাঁকে যে টুকু উন্মুক্ত পিঠ দেখা যাওয়ার কথা সে টুকু তো হিজাবের পেঁচে ডাকা,তাই নেশাতুর হয়ে হিজাব টা সরিয়ে সেই ফর্সা পিঠে মুখ ডুবায়।
রাফসা ভেবেছে এবার ছাড়াতে পারবে নিজেকে,
কিন্তু না মানুষ টা যে নিজের দু হাত রাফসার পেটের উপর রেখে উন্মুক্ত পিঠে উষ্মতা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ইশশশশ….শপিং মলে!!!কেউ যদি এসে যায়…….
ভালোই লাগছে রাফসার….এমন চির চেনা আবেশ তো যে কোনো নারীর ই ভালো লাগে।
তবুও নিজেকে সংযত করে নিয়ে বলল,
“ছাড়ো……”
“উমহু।।।।।।”
“পাগল হয়ে গেছো তুমি??কোথায় কি করছো??”
পিঠ থেকে মুখ সরিয়ে রাফসার কাঁধে থুতনি রেখে সাদ(সাদাদের বড় ভাই সাদ)জানায়,
“হুম….আমি জানি তো…..বাট আমার রূপসীকে এই বেশে দেখে কন্ট্রোল হারা হয়ে গেছিলাম…….”
“ইশশশ…ছাড়ো তো….কি এমন বেশ….জাস্ট শাড়ি টা পড়েছি নতুন…..”
“এই শাড়ি টা পড়ে প্লিজ শপিং মলে আর ঘুরো না….বাসা থেকে যে টা পড়প এসেছো সে টা পড়ো…”
“সাদ….প্লিজ সরো….যে কেউ এসে যাবে…..আর তোমার ছেলে কিন্তু অনেকক্ষণ হলো আমায় দেখছে না পড়ে কান্না কাটি শুরু করবে……”
“একটু কান্না করুক না….বাসায় তো ছেলের জন্য পাই ই না তোমায়….আর কান্না করবেও না বাবা,নৌশিন ওরা আছে না-সামলে নিবে…….বাট তুমি এই শাড়ি টা চেন্স করে নাও….”
“এই শাড়ি টা কি করলো??আর তুমি হঠাৎ করে কোথা থেকে এসে এভাবে মুখ চেঁপে ধরলে,আমি ভয়ে পেয়ে গেছিলাম……”
“হেয়,,,,,চিনতে পারো নি??”
“হ্যাঁ পেরেছি কিন্তু কিছু সময় পর….তুমি তো শপিং মলে ছিলে না,অফিস থেকে এসে এভাবে এখানে নিয়ে আসবে আমি কি জানি নাকি??তাই একটু সময় লেগেছে……”
“আচ্ছা!!!”
“হ্যাঁ….এখন সরো তো….ঢং করতে আসছে শপিং মলে…..”
রাফসাকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে দাঁড় করায় সাদ।
কাঁধের পেছনে দু হাত বেঁধে রাফসার মুখের কাছে মুখ এনে বলল,
“আমি না আর কন্ট্রোল করতে পারবো না…..প্লিজ এই শাড়ি টা চেন্স করে নাও…..”
“মানে???তুমি!!!আমি তো এটা কাল পরবো….আজকে তো বাড়ির টাই পড়বো এখন…”
“হ্যাঁ…তা ঠিক বার এটা পড়ে এখানে হাঁটি হাঁটি করার দরকার নেই…..আর নৌশিনকেও কাল ই দেখিও কারণ শাড়ির দোকান তো অনেক গুলো কাপল দেখলাম আর ট্রায়েল রোমের পাশের শপ টাতেও অনেক ছেলে দাঁড়িয়ে নজর লেগে যাবে আমার রূপসীর উপর…….”
“সাদ!!!!!!!!”
“রিয়েলি….এই শাড়ি টাতে তোমাকে জাস্ট এটম বম লাগছে…..”
“সাদদদ!!!!!”(বুকে ঘুষি দিয়ে)
“ইশশশশ রিয়েলি বলছি গো…..আমার তো আবারও বাসর করতে ইচ্ছে করছে…..আচ্ছা!!!বাই এনি চান্স তুমি আমাকে পাগল করার জন্য এই শাড়ি টা নাজ নি তো…..”
“দেখো….ভালো হচ্ছে না কিন্তু….সরো তুমি।।।আর যাও নিজের কিছু কেনার থাকলে কিনে নাও
…আমার এখনও অনেক কিছু কেনার বাকী আছে….”
“ওয়েট…কিনবে তো….আমি এসেছি যেহেতু অনেক দিন পড়ে তো আমার সাথে শপিং এ তাল মিললো তোমার….এমনিতে তো তোমার কাজ ই শেষ হয় না….আজ বাকী শপিং টা না হয় আমার সাথে সেরে ফেলো…..ওরা ওদের মতো করুক শপিং……”
“সাদ!!!বাবার সাথে এসে এখন আবার তোমার সাথে আলাদা করে শপিং করবো??আর রিদি,নৌশিন,প্রাপ্তি ওরাও তো এসেছে…..এখন ওদের থেকে আলাদা হয়ে শপিং করবো??কেমন দেখায়!!!”
“আজব!!!বরের সাথে শপিং করবে…এতে কেমন দেখায় আবার কি??আর তা ছাড়া আমার ছোট ভাই অলরেডি রওনা দিয়ে দিয়েছে…..আর আমি নৌশিনকে ফোন করে বলে দিচ্ছি তুমি আমার সাথে আছো….ব্যাস হয়ে গেলো….”
“ওহুুু…তুমি না…..বাট বাবা??আর অরূপ তো তোমার কথা বলছিলো আসার সময়….ওকে ছাড়া শপিং করবো??ভালো লাগবে না আমার…..”
“আচ্ছা!আমি কি শপিং মল চেন্স করছি না কি??আমি জাস্ট তোমাকে আলাদা করে নিয়ে যাচ্ছি যেন নিজের পচ্ছন্দ মতো শপিং করে দিতে পারি তোমায়….কত দিন হলো আমার সাথে শপিং এ আসা হয় না তোমার…আর আমিও সময়ের অভাবে আমার মন মতো সাজতে পারি না তোমায়……..আর ছেলেকে আমরা পরে আমাদের সাথে নিয়ে নিবো….আগে তোমার শপিং টা কমপ্লিট করে নিই….তাহলে হবে তো???”
!
চলবে।
#প্রেমঘোর
#পর্ব_৬৬_৬৭
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
সাদ নৌশিনকে ফোন করে জানিয়ে দেয় রাফসা তাঁর সাথে আছে।
এদিকে নৌশিন নিজের জন্য শাড়ি দেখছে,পচ্ছন্দ হচ্ছে না তাই শশুড়কে দিয়ে দেখাচ্ছে।
!
“সাদ,আর কত কিনো এসব??”
“এতো বলতে বলছি তোমায়??চুপচাপ হাঁটো আমার সাথে….”
“আজব!এতো শাড়ি নিলে কিছু বললাম না বাট এত জামা কেন নিচ্ছো তুমি??আমি কি বাসায় জামা পড়ি?খুব বেশি হলে সপ্তাহে একদিন….”
সাদ এবার রেগে যায়,এরা দু ভাই একটু রাগী ই বটে।কিন্তু সাদাদেরর রাগ টা ভাইয়ের চেয়ে দ্বিগুণ।
রাফসার দিকে চোখ রাঙিয়ে তাঁকাতেই রাফসা চুপচাপ হয়ে যায়।
!
সাদাদ এখনও আসে নি….
সাদাদের বাবা নৌশিনের জন্য একটা বেগুনী রংয়ের গর্জিয়াস শাড়ি কিনে নেয়।
যেহেতু কাল বাসায় পার্টি তাই সবারর সব কিছুই জমকালো।
অরূপের জন্য সব কেনা শেষ।প্রাপ্তিও নিজের জন্য দুটো জামা,জুতো,কসমেটিক্স সব নিজের পচ্ছন্দেই কিনেছে।
!
সাদ রাফসার জন্য নৌশিনের পচ্ছন্দ করা শাড়ি সহ এক্সটা আরও তিন টা শাড়ি কিনে দিয়েছে
।আর থ্রি পিস তো আছেই বরং শুধু মাত্র তার সামনে পড়ার জন্য রাফসার বারণ সত্বেও বেশ কয়েকটা দু পিস আর ওয়ান পিসও কিনেছে।
“এবার না আমার রাগ হচ্ছে,এই টু পিস আর ওয়ান পিস গুলো কখন পড়বো আমি??”
সাদ রাফসার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
“রাতের বেলায় ই পড়ো….”
রাফসা সাদের দিকে আড় চোখে বড় চোখ করে তাঁকাতেই সাদ সামনের দিকে তাঁকিয়ে মুচকি হাঁসি দিয়ে গহনার দোকানে ডুকে যায়।
!
সাদাদ এসে গেছে……
নৌশিনকে সাদাদ ওর বাবার থেকে আলাদা করে নিয়ে আসে।
“কি ব্যাপার তুমি এতক্ষণে শুধু এই একটা শাড়ি ই কিনলে??”
“আমি কি কিনবো আর??আমার বিয়ের সময়ের কত শাড়ি পড়ে আছে যেগুলোর ভাজও ভেঙে দেখি নি আমি…….”
“তুমি!!!!”
“আমার কি দোষ??”
মুচকি হেঁসে সাদাদ বলে,
“হয়েছে আমার রাণী…চলুন এবার রাঙামাটির জন্য শপিং টা করে নিই…..”
নৌশিনও মিষ্টি একটা হাঁসি দিয়ে সম্মতি জানায়…..
সাদ আর রাফসা নিজেদের শপিং করে নিয়ে অরূপকে নিজেদের সাথে করে আবারও ছেলের জন্য ডাবল করে শপিং করে নেয়।
প্রাপ্তি আর সাদাদের বাবা বাসার বাকী সবার জন্য শপিং করে নেয়।
অনেকক্ষণ রিদিকে দেখা যাচ্ছে না।রিদি এমনি যদিও সবার সাথে শপিং এ এসেছে তার পরও সবার থেকে আলাদা হয়ে শপিং করছে।এটা ওর অভ্যাস।
.
“আচ্ছা,আমি যে এত দেরীতে আসলাম তোমার রাগ হয় নি??”(সাদাদ)
“মানে??তুমি অফিসে ছিলে সাদাদ আসতে দেরী হতেই পারে…..রাগ করবো কেন??”
“জানো,আমার না মাঝে মাঝে নিজেকে সব চেয়ে সুখী আর ভাগ্যবান পুরুষ মনে হয়….আর এর প্রধাণ হচ্ছো তুমি…..”
নৌশিন কিছু বললো না শুধু সাদাদের দিকে একটা দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।যা অত্যন্ত প্রবিত্র।
!
সবার শপিং করা শেষ…..
সাদাদ নৌশিনকে নিয়ে নিজের গাড়িতে করে বাসায় আসে।যদিও নৌশিন সবার সাথে আসতে চেয়েছিলো কিন্তু সেখানে রিদি থাকায় সাদাদ রাজি হয় নি।
আর সাদ অফিসের কাজে ময়মনসিংহ যাবে তাই আর বাসায় আসে নি….রাফসা-অরূপ,প্রাপ্তি আর রিদি ওরা সাদের থেকে বিদায় নিয়ে একসাথে বাসায় ফিরে।
!
সবাই খুব ক্লান্ত…..
অরূপ বাসায় আসা মাত্রই ওর মা চটজলদি ছেলেকে হাত মুখে ধুইয়ে খাবার খাইয়ে দেয়।অথচ সব চেয়ে ক্লান্ত সে ই। অথচ তার মাঝে কোনো ক্লান্তির ছাপ নেই,নিজে একটু না বসেই ছেলের সব কিছু নিজের হাতে করে দিলো।আর চেন্স টাও করলো ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে।
ওনি যে মা💜💜 তার হৃদয়ে মাতৃত্বের চেয়ে ক্লান্তির স্থান তো অনেক আলোক বর্ষ দূরে………
!
#প্রেমঘোর#৬৭#
💜💜
আজ প্রাপ্তির জন্মদিন।
সকাল থেকে বাড়িতে নানা রকমের তোড়জোড় চলছে।
রাফসার বাবা মা তো সকাল সকাল এসে গেছে।
অনেক দিন যে হলো মেয়ে যায় না বাবার বাড়ি তাই মেয়ে আর নাতিকে দেখের তর আর সইছিলো না তাদের।
বিকালে সব আত্মীয়রা আর প্রাপ্তির বন্ধুরা আসবে।
“দাদা ভাই কি গিফ্ট দিবে তুমি আমাকে??”
“তোর আবার কি চাই??আজকে জন্ম নিয়েছিস হতে না হতেই গিফ্ট!!!”
“দাদাভাই!!!!!!”
“আস্তে….গলা তো না যেন ফাটা বাঁশ……”
“কি????কি বললে তুমি??মা………বড় ভাবী……….জেঠি মনি……..বড় ভা………”
ভাবী আর বলা হলো না প্রাপ্তির তার আগেই সাদ বিছানা থেকে উঠে গিয়ে প্রাপ্তির মুখ চেপে ধরে,
“এত চিল্লাস কেন তুই??থাম…..”
“উমমমমমমম……ওমমমম….”
“কি উম উম করছিস???চুপ কর……সব দিবো তুবু ভাবীকে ডাকিস না…..”
প্রাপ্তি সাদের হাতে একটু চিমটি কাটতেই সাদ ছেড়ে দেয়।
প্রাপ্তি হাপানোর বদলে চরম লেভেলের হাঁসি শুরু করে।
“হাঁসা হচ্ছে তাই তো??যা ভাগ কিচ্ছু পাবি না……..”
প্রাপ্তির হাঁসি যেন থামার নয় তবুও অনেক কষ্টে হাঁসি থামিয়ে বলল,
“ওহ দাদাভাই……তুমি কি বললে??” আবারও হাঁসি শুরু করলো প্রাপ্তি……
“স্টপ…… ”
“আচ্ছা…ওকে ওকে…..তুমি একটু আগে বললে ‘ভাবী কে ডাকিস না’।।।হা হা হা হা……”
“মানে??”
“দাঁড়াও একটু হেসে নেই…..হি হি হি হি……
”
“হি হি হি হি…. ভাবী???কার ভাবী???তোমারও ভাবী???হি হি হি হি……”
“প্রাপ্তি……..”
“ওকে আর হাঁসবো না……বাট তুমি কেন ভাবীকে ডাকতে বারণ করছো আমি জানি….তুমি ভয় পেয়েছো তাই…..”
“হেয়….ওকে ভয় পাওয়ার কি আছে??বউ কে ভয় পায় নাকি মানুষ???যাহ্ তো কফি আনতে বল তোর ভাবীকে……ভাগ যা…..”
প্রাপ্তি মুখ টা ফুলিয়ে দু হাত কমড়ে রেখে চোখের ভ্রু নাঁচিয়ে বলা শুরু করলো,
“ওওওওও আচ্ছা….বউকে কেউ ভয় পায় না তাই না???আর কি বলবো??কফি আনতে!!!…….ঠিক আছে বলবো তবে এটাও বলবো আমি কলেজে যাওয়ার সময় শপিং মলের সাইডে একজনকে একদিন স্মোক করতে দেখেছিলাম……”
কথাগুলো শেষ করেই প্রাপ্তি চলে যাচ্ছিলো রোম থেকে বের হওয়ার আগেই সাদ হাত টান দিয়ে আবার ভেতরে আনে,
“আমার কিউটি বোন…..অনেক গিফ্ট দিবো তোকে…..যা চাইবি তাই দিবো……দরকার পরলে তোর ফ্রেন্ডসদের জন্য পুরো তিন দিন রেসুরেন্ট বুক করে দিবো……. ”
“সত্যি তো????”
“তোর দাদাভাই কবে তোকে মিথ্যা বলেছে??আর কোন বার্থ ডে তে তোকে গিফ্ট দেয় নি??”
“হুমমমমম….তা ঠিক…. ওকে যাও তাহলে বলবো না……..”
“গুড গার্ল….. যা এখন…….গিফ্ট পেয়ে যাবি আর কফি আনতে বল যা….”
“ওকে ওকে…..যাচ্ছি….ভালো গিফ্ট চাই কিন্তু….”
“আচ্ছা রে যা…….”
“থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ দাদু…💜💜💜💜💜”
সাদ প্রাপ্তির কান্ডে মুচকি হেঁসে বিদায় জানায় তাঁকে।
………..
বিকাল হতে চলেছে…নৌশিনের মা,বাবা,ভাবী এসেছেন। নৌশিন বেশ খুশী তবে মা বাবার চেয়ে ভাইপো কে পেয়ে যেন ওর খুশী ধরে না………
রাফসা,প্রাপ্তি আর বাড়ির বাকী সবার সাজগুজ শেষ অথচ নৌশিন এখনও বাচ্চা নিয়ে নানা তালবাহনায় মেতে আছে।আজকে যে বাসায় মেহমান আসবে সেটা হয়তো মাথা থেকে সরে গেছে তার।
সাদাদ অফিস থেকে ফিরে আসে যদিও সবাই বাড়িতেই ছিলো কিন্তু সাদাদ দরকারী কাজে অফিসে গিয়েছিলো।
কিন্তু রোমে ডুকে তো অবাক সে………………………………..
https://www.facebook.com/groups/2837664109643809/permalink/2935151703228382/
!
চলবে।