#জিদ_অনুভূতির_অন্য_এক_স্তর
#পর্ব_৩৪ ( শেষ পর্ব )
#লেখিকা : #Kaynat_Ash
আমান বাসায় প্রবেশ করে যখন তার রুমের দিকে চলে যাচ্ছিলো, রেহানা তার পথরোধ করে বললেন “আমান, আইজা কোথায়, বিয়ে আর কখন পড়ানো হবে?!”
তিথি এক কোণে দাঁড়িয়ে ভীত হয়ে সব পর্যবেক্ষণ করছে এতক্ষন ধরে।
আমান তার মায়ের উদ্দেশ্যে বলল “কোনো বিয়ে হচ্ছে না এখন আর।”
এই বলে সে ঝড়ের বেগে নিজের রুমে চলে গেল। সবাই স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল তার কথা শুনে।
আমানের পিছু পিছু বাসায় প্রবেশ করা আনিসকে তখন তিথি জিজ্ঞেস করল “এই বিয়ে যদি না হয়, তবে কি আমান আমাকেও ছেড়ে দিবে, আবারও আমাকে তার বাসা থেকে বের করে দিবে?!”
আনিস বলল “হয়তো না। আমানকে কিছু সময় দাও, সে তোমাকে গ্রহণ করে নিবে হয়তো।”
লায়লা চিন্তিত গলায় বললেন “আর আইজা কোথায়?”
আনিস বলল “তিথির সতীন হয়ে তার সুখের সংসারে যেন ভাগীদার হতে না হয়, সেজন্য সে তাদের দুজনের মাঝখান থেকে সরে গিয়েছে।
আইজা অস্ত্রেলিয়া ফিরে গিয়েছে।”
সবাই যেন আকাশ থেকে পড়ল এই কথা শুনে। ফারুক চিন্তিত হয়ে বললেন “এভাবে আমাদের কিছু না জানিয়েই সে কীভাবে যেতে পারে?!”
আনিস বলল “হয়তো এই সিদ্ধান্ত সে নিজেও হঠাৎ করে নিয়েছে। কারণ দুঃসাহসী যেকোনো সিদ্ধান্ত মানুষ হঠাৎ করেই নিয়ে থাকে।
এছাড়া আপনাদের কিছু জানালে তাকে নিশ্চয়ই এভাবে যেতে দিতেন না। আমি সবাইকে অনুরোধ করি, কিছুদিন অপেক্ষা করুন, আমানকে একটু সময় দিন। আশা করি, সব ঠিক হয়ে যাবে।”
.
.
.
বেশ কিছু বছর অতিবাহিত হয়ে গেল।
পরবর্তীতে আনিসের বিয়ে হয় আমানের দত্তক নেয়া বোন রাণীর সাথে, তারা একে অপরকে পছন্দ করেই বিয়ে করে।
তিথির ছোট একটি সংসার তার স্বামী আমান আর ছেলে আয়ানকে নিয়ে। আমান এরপর থেকে আর কখনো খারাপ কোন আচরণ করে নি তার সাথে, তাকে আর তার সন্তানকে পৃথিবীর সব সুখ এনে দিয়েছে। নিজের সব দায়িত্ব সে নিষ্ঠার সাথে পালন করে সবসময়। আর তার ছেলেকে তো সে সবচাইতে বেশি ভালোবাসে।
এতটা সুখে রেখেছে আমান তাকে যে মাঝে মধ্যে এই সুখই তার জন্য অনুতাপের আগুনের কাজ করে। সুখে রেখেও কাউকে এভাবে শাস্তি দেয়া যায় তিথির আগে জানা ছিল না। সে কার কাছে এখন কি অভিযোগ করবে! যে তার কাছে এই সুখই টর্চারের আরেক নাম হয়ে গিয়েছে! মানুষ কি তাকে পাগল ভাববে? আসলেও কি সে তবে পাগলই হয়ে যাচ্ছে!
তবে আজও ক্লান্ত কোন বিকেলে আমানের দৃষ্টি আকাশের ভাসমান রক্তলাল মেঘের সারির দিকে তাকিয়ে স্মরণ করে কেবল একটি মুখই। আর তিথিও জানে সেই মুখটি তার মুখ নয়।
আমানের চোখের দিকে তাকালে যে শূন্যতা সে সবসময় দেখতে পায়, নিজেকে দায়ী ভেবে তার বুকে যেন রক্তক্ষরণ শুরু হয়। নিজের উপরই এক প্রকার ক্ষোভ আর ঘৃণা জন্ম নেয় তার মনে। শারীরিক যেকোনো শাস্তির চেয়ে বড় হচ্ছে মানসিক শাস্তি। আর এই মানসিক শাস্তির মধ্য থেকে পৃথিবীর সবচাইতে বড় শাস্তি হচ্ছে মানুষের অপরাধবোধ, যা তাকে না ঠিকমত বাঁচতে দেয় আর না মৃত্যু দিয়ে তাকে মুক্ত করে দেয় এই দম রুদ্ধকর অনুভূতি থেকে, তার অপরাধের উপলব্ধি থেকে।
.
.
.
এখন যেন তিথির পুরো পৃথিবীই তার স্বামী আমান আর তার ছেলে আয়ান।
পৃথিবীর সব সুখ তিথির জন্য এনে দিলেও এই পর্যন্ত একটি শব্দ উচ্চারণ করে নি সে তিথির জন্য, আর তা হচ্ছে, ভালোবাসি।
তিথি বেশ অনেকবার বলেছে মিথ্যা করে হলেও অন্তত একবার বলো যে তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু প্রতিবারই আমানের একটাই উত্তর, তিথি যা বলবে সে তা-ই করতে পারে। কিন্তু এই একটি শব্দের উপর তার কোন জোর নেই। তা সম্পূর্ণ তার মনের ব্যাপার। তার মনে, তার হৃদয়ে কেবল একটি নামেরই রাজত্ব, ভালোবাসা বলতে এর দৃশ্যপটে কেবল একটি চেহারাই ভেসে উঠে। আর সে মানুষটি তিথি নয়।
তখন মাঝে মধ্যেই তিথি উদাস মনে চিন্তা করে,
ভালোবাসা কি কেবলই অর্জনের নাম? সব সুখ কি এই অর্জনে? যদি তা-ই হয়, তবে আজ আমান তাকে এতটা সুখে রাখার পরেও সে সুখী না কেন?! কেন এই উপলব্ধি তাকে কুড়ে কুড়ে খায় যে, যে মানুষটি তাকে এত সুখে রেখেছে সে-ই পৃথিবীর সবচাইতে বেশি অসুখী। এই কেমন অপ্রাপ্তি সব পাওয়ার পরেও।
এই কথাগুলো সে আগে উপলব্ধি করে নি কেন, হয়তো এতগুলো মানুষ এতটা কষ্ট পেত না।
এই ছোট জীবন সবচেয়ে বড় যে শিক্ষা তাকে দিয়েছে বলে সে মনে করে, জোর করে সব হয়, তবে ভালোবাসা নয়। আর বিয়ের মতো পবিত্র একটি সম্পর্কের ভিত্তি প্রতারণার মতো ঘৃণ্য একটি জিনিস হলে তা সত্যিই এই সম্পর্কটির এক বড় অবমাননা। আর সে তো কেবল ভালোবাসারই নয়, বিয়ের মতো এত পবিত্র একটি সম্পর্কের অবমাননা করেছে। এখন হয়ত বাকি জীবন তার এই বোঝা হয়ে যাওয়া জীবন আর সম্পর্ককে এভাবেই টেনে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এভাবেই হয়তো তার নিজের লাগানো আগুনে তাকে পুড়তে হবে।
মাঝে মধ্যে আইজার সাথে কথা বলতেও খুব ইচ্ছে করে তিথির, যে মানুষটি থেকে একসময় সে সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল, সে একই ব্যক্তি তাকে তার সবকিছু ফিরিয়ে দিয়ে চলে গেল।
তিথির কিংবা আমানের সাথে আইজার আর কোন যোগাযোগ নেই। আইজা নিজেও আর কোন যোগাযোগ করে নি। আর আমানও কখনো চেষ্টা করে নি তার সাথে যোগাযোগ করতে। তারা এটাও জানে না, আইজা কেমন আছে, অস্ত্রেলিয়ায় কোথায় আছে।
এছাড়া লায়লা, ফারুককে চিরদিনের জন্য অস্ত্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তো আইজার সম্পর্কে আর কোন খবরই পায়নি তিথি। আগে অন্তত ফারুক থেকে একটু আধটু তার সম্পর্কে জানতে পারত।
মোনাজাতে হাত তুলে মাঝে মধ্যেই তিথি আইজার জন্য, তার সুখের জন্য দোয়া চায়।
আর ভাবে, আইজার সব সুখ কেড়ে নেয়া মানুষটিই আজ তার জন্য দোয়া করতে বাধ্য হচ্ছে। তার নিজের কাছেই আজব লাগে বিষয়টি!
তিথি মনে মনে বলে “নিজের সব সুখ আমাকে দিয়ে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকো না কেন, আইজা। সবসময় ভালো থেকো। সুখ আর সাফল্য যেন তোমার পদচুম্বন করে।”
সবার জীবন গল্পের শেষটা সুখের হয় না, নির্দিষ্ট কারোর হৃদয় জোড়া লাগলে হয়তো অপরজনের-টা ভেঙে যায় আর তাকে ভাঙা হৃদয় বহন করেই বাকি জীবন পার করে দিতে হয়। সবার প্রেমকাহিনী তো আর একসাথে সফল হওয়া সম্ভব না। কারো দুনিয়া যখন নতুন সাজে সজ্জিত হয়, হয়তো অপরজনের-টা শ্মশানের মত নিষ্প্রাণ থাকে, তবে এতে কি! কোন একজন তো প্রেমে সফল, কোন একজনের দুনিয়া আজ রঙিন। অপরজন নাহয় পর্দার আড়ালেই থাকুক।
সমাপ্ত।।
{ #পুরো_লেখাটি_পড়ার_অনুরোধ_রইল।।
গত কয়েক পর্ব যারা পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বেশ তাড়াহুড়ো করেই গল্পটা শেষ করেছি। গল্পের ক্লাইমেক্স আসলে কিছুটা অসম্পূর্ণ মনে হতে পারে, কারণ আমি নিজেও অনেক কিছু ডিটেইলস এ দেই নি, জানি।
আসলে এই গল্পটার সব ডিটেইলস দিয়ে সুন্দর করে লিখলে আরো আকর্ষণীয় হতো,, তবে প্রথম থেকে অনেক পাঠকই অনেক কনফিউশনের মধ্যে ছিলেন বিধায় বারবার অনুরোধ করেছেন যাতে তাড়াতাড়ি একটা conclusion এ পৌঁছাই গল্পটাকে। সেজন্যই এই তাড়াহুড়ো করা। তবে পরবর্তীতে সময় পেলে একই গল্প আরো সুন্দর করে সব ডিটেইলস সহ আপনাদের জন্য নতুন করে লিখবো ইনশা আল্লাহ।
#Read_It_Plz
যাই হোক, এখন আসি আসল কথায়। আমি আপনাদের বলেছিলাম, গল্প শেষ হলে কিছু কথা বলবো। তো এখন সেগুলোই বলবো।
আসলে এই গল্পটা কিছু stereotype break করার জন্যই লেখা। যা নিচে পয়েন্ট আকারে দিলাম।
১) বিয়ে একটি পবিত্র সম্পর্ক, এটা ওয়ার্ক আউট করতে হলে দুই পক্ষকে অবশ্যই ছোট বড় বিভিন্ন বিষয়ে compromise করতে হয়, এতেই এই সম্পর্কটি পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর সম্পর্কে পরিণত হয়।
#কিন্তু_আমার_পয়েন্ট_আমি_এখন_তুলে_ধরবো। আমি একজন social activist এর চিন্তা ধারা থেকে বলছি, যে পত্রিকা খুললেই এমন খবর সচারচর দেখা যায়, এই জন অমুক জনকে বিয়ে করেছে প্রতারণার মাধ্যমে। আর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর এই সমাজ ভিকটিম ছেলে বা মেয়েকে পরামর্শ দেয় যে বিয়ে তো হয়েই গিয়েছে, এখন মেনে নাও, কম্প্রোমাইজ করো।
ছোট খাট কোন বিষয় হলে হয়তো মেনে নেয়া যেতেই পারে, কিন্তু অনেক সময় বড় বড় বিষয়েও যখন এমন প্রতারণা হয় এবং ভিকটিম কোনভাবেই সেই প্রতারকের সাথে সংসার করতে চায় না এরপরও এই সমাজ তাকে বাধ্য করে, এই একটি কথা বলে যে “বিয়ে তো হয়েই গিয়েছে এখন মেনে নেয়া উচিত সবকিছু।”
ভিকটিম যদি রাজি না থাকে তবে কোনভাবেই তাকে বাধ্য করা উচিত নয়। কারণ যার জীবন সে-ই সিদ্ধান্ত নিবে যে সে এই বিয়ে মানবে কি মানবে না। এই বাক্যটির অপব্যবহার করে তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন একটি ধারণা এই society থেকে অবশ্যই change হওয়া প্রয়োজন।
নতুবা কেবল প্রতারণা বৃদ্ধি পাবে না, অন্যান্য প্রতারকরাও এসব করতে আরো বেশি সাহস পাবে।
২) এছাড়া আমি আগেই বলেছি, গল্পের প্লট যখন থেকে ভেবে রেখেছি তখন থেকেই স্থির করেছি গল্পটি কীভাবে উপস্থাপন করবো, বা তা কীভাবে এগিয়ে যাবে।
আমি চাইলে উল্টোভাবে শুরু করতে পারতাম, যেমন আইজা আর আমানের ভালোবাসা দিয়েও গল্পটা শুরু করতে পারতাম, যেভাবে শুরু করেছি সেভাবে না করে। অর্থাৎ প্রথম পর্ব নিশ্চয়ই আপনাদের মনেই আছে। ( যদিও অনেকেই তা গতানুগতিক ধরনের এমন গল্প ভেবেছিলেন যেখানে নারীদের উপর বিনা কারণে অকথ্য নির্যাতন করা হয়, আর তারাও চুপ করে সব সহ্য করে। আমি কখনোই এমন লেইম গল্প লিখতাম না। আমি যদি গতানুগতিক থিমে গল্প লিখিও তবে সেটাতেই আলাদা ধরনের নতুনত্ব নিয়ে আসার চেষ্টা করি। এবং আমি মনে করি এটাতেই একজন ভালো রাইটারের স্বার্থকতা।)
যাই হোক, back to the point, আমি ইচ্ছাকৃতভাবে শুরুটা এভাবে করেছি। এর কারণ জানতে চাইলে আপনাদের পরিবর্তিত হওয়া কমেন্টগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন।
প্রথম দিকে অনেকেই আইজাকে ভিলেন ভেবে অনেক কিছু বলেছে, আর তিথির জন্য তাদের আলাদা ধরনের সহানুভূতি ছিল, সেই মুহূর্তে যা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরবর্তীতে হয়েছে সম্পূর্ণ বিপরীত।
এই থেকে এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি আমরা প্রথম দৃষ্টিতে যা দেখি তা-ই বিশ্বাস করে ফেলি। কোন ঘটনা পুরোটা না শুনে, না বুঝে আগেই মানুষকে জাজ করে ফেলি ( যেমন এই গল্পে আইজাকে করা হয়েছে। অনেকে আইজা সম্পর্কে বেশ খারাপ কথাও বলেছিল গল্পের শুরুর দিকে।)
যাই হোক, এই জিনিসটা সমাজে অহরহ ঘটছে, যে মানুষ মানুষকে তার সম্পর্কে কিছু না জেনে না বুঝে আগেই জাজ করে ফেলে। জাজ করুন তবে যে ব্যক্তিটিকে করবেন তার সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে নিবেন। আর সমাজে প্রচলিত এই এই জিনিসটাও চেঞ্জ হওয়া উচিত। মানুষ মানুষকে তার সম্পর্কে কিছু না জেনেই, কিছু না বুঝেই জাজ করে। এমনটা কখনো হওয়া উচিত নয়।
৩) এই গল্পের নামকরণে যে শব্দটি ব্যবহার করেছি, এবার তার সম্পর্কে কিছু বলি।
জিদকে আমি সাপের বিষাক্ত বিষের সাথে তুলনা করবো। এই বিষ সঠিক জায়গায় প্রয়োগ করতে পারলে তো কথাই নেই, যেমন সাপের বিষ দিয়েই কিন্তু ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা করা হয় ক্যামোথ্যারাপির মাধ্যমে।
তবে সঠিক জায়গায় না করে ভুল জায়গায় এই জিদ প্রয়োগ করলে! তখন এটা এমনই ভয়াবহ এক বিষ যা মানুষের জীবন এতটা বিষাক্ত করে তুলে যে এই বিষের প্রভাব শেষ হয় মৃত্যুর মাধ্যমেই।
এছাড়া আরো কিছু জিনিস ছিল। তবে লেখাটি আর বড় করতে চাচ্ছি না। বাকিগুলো আপনারা নিজেরাই বের করে ফেলুন, যেসব ছোট ছোট মেসেজ আছে পুরো গল্প জুড়ে।
~~~
Last but not least, আমি আমার সে সমস্ত পাঠককে ধন্যবাদ জানাই যারা এত সুন্দর আর এত ভালো ভালো কমেন্ট করে সবসময় আমাকে inspired করেছেন। যারা পাশে ছিলেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ❤️
হয়তো ক্লাইমেক্স নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, যাদের মনমতো হয়নি তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। }
আমার পড়া সব গল্পের মধ্যে খুব বাজে গল্প আর শেষ টা ও খুব খুব বাজে আইজার জীবন টা শেষে ও তো গুছিয়ে দেওয়া নাই আর তিথির কি বা শাস্তি হল আর আমন চরিত্র কে কি বলব কেবল মুখেই ভালোবাসি বলে বিশ্বাস নাই হটকারীতাই তিথি কে বিয়ে করে শেষে সত্যি জেনে আইজা কে ও চাই আবার তিথির দায়িত্ব ও নিবে বলে ছি ছি কি বাজে গল্প