Dangerous_Mafiya_King. Writer:_Sumaiya_Moni_😍😍. Part-8.

#Dangerous_Mafiya_King.

Writer:_Sumaiya_Moni_😍😍.

Part-8.

মাহিরা ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে কলেজে যাবার জন্য বাহিরে বের হয়ে অবাক হয়ে যায়।

মাহিরা চার দিক তাকিয়ে হা হয়ে যায়,কারন চার দিক ফুলের বুকে রাখা। অনেক রকমের ফুল ছিল।মাহিরা চোখ বড় বড় করে চার দিক তাকিয়ে দেখতে লাগলো। মাহিরার খুব ভালো লাগছিল। মাহিরার মুখে এক চিতলে হাসি ফুটে ওঠলো।হঠাৎ করে মুখের হাসি ভাবটা সরিয়ে ভাবতে লাগলো কে দিয়েছে এই ফুল গুলো।চারদিক তাকিয়ে খুজতে লাগলো।

মাহিরা: আরে এই ফুল গুলো এখানে কে রেখেসে! কাউ কেই তো দেখতে পাচ্ছি না। (ডানে বামে তাকিয়ে বললো)

হঠাৎ করে মাহিরার চোখ যায় একটা ফুলের বুকের দিকে।সেই ফুলের বুকে টার কাছে গিয়ে বুকেটা হাতে নিয়ে দেখলো।

মাহিরা: এটাতে তো কিছু লেখা আছে। Just For You My Mafiya Queen “Nihal” । তার মানে এই ফুল গুলো সেই লোকটা মানে নিহাল এর লোকেরা এই খানে রেখে গিয়েছে । ওহহহহহ গড,,,,,দরকার নাই আমার এই ফুল এর।(এটা বলে সব ফুল মাটিতে ফেলে দিয়ে ইচ্ছা মতো লাফিয়ে পাড়াতে লাগলো।সব ফুল পা দিয়ে চিড়ে চেপ্টা করে দিল মাহিরা).
যাহ্ কাম খাতাম হুয়া।বলা নাই কওয়া নেই ফুল দিয়ে গেছে।যতোসব ফালতু লোক হুহহহহ।(এই কথা বলে মুখ বেকিয়ে কলেজে যাবার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লো).

এতোক্ষন মাহিরার সব কান্ড নিহাল দেখছিল।ফুলের মধ্যে মিনি সিসি ক্যামেরা লাগালো ছিল।সেটা মাহিরার চোখে পড়ে নেই। মাহিরার হাসি মাখা মুখ দেখে নিহাল ও খুব খুশি হলো। লাস্টের কথা গুলো ও মাহিরার ফুলের ওপর পাড়া দেওয়াতে ক্যামেরা ভেঙে যায় ।তাই বাঁকি টুকু আর দেখতে পারে নি। নিহাল ভালো করে বুঝতে পেরেছে মাহিরা ফুল গুলো নিচে ফেলে উরাধুরা পাড়িয়েছে। নিহাল এটা ভেবে বাঁকা হাসলো।

মাহিরা কলেজ ছুটির পর রিক্সার জন্য বাহিরে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতেছিল। হুট করে মাহিরার কম দামি Nokia ফোনটা বেজে ওঠলো।

ক্রিং,,,ক্রিং,,,ক্রিং,,,,

মাহিরা: হেলো ভাইয়া ।আপনি ভালো আসেন?

,,,,,,,,হ্যাঁ তুই কেমন আসিছ রে?

মাহিরা: ভালো।তা কি মনে করে কল দিলেন ? কোন দরকার ছিল ভাইয়া?

,,,,,,,,,হ্যাঁ ! তুই কি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এ একটু আসতে পারবি?

মাহিরা: হ্যাঁ অবশ্যই আসবো। এখনি আসছি আমি।

,,,,,,,,,ঠিক আছে তুই আয়! আমি রাখছি?

মাহিরা: আচ্ছা ভাইয়া ।

মাহিরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এ গিয়ে কাজ শেষ করে বাজারে যায় কিছু সদায় ও বাজার করতে।

মাহিরা: ভাই আমাকে এই টমেটু আর আলু দেন। কত হয়েছে ভাইয়া?(দোকান দার এর উদ্দেশ্যে বললো)

দোমান দার: আফা আপনার টাকা দিতে হয়বো না। আপনার যা যা লাগে সব নিয়া যান।(হাসি দিয়ে বললো).

মাহিব: কিন্তু কেন ভাইয়া? আমি তো এগুলা টাকা দিয়েই কিনতে চাই তাহলে আমার কেন টাকা দিতে হবে না?

দোকান দার: কারন আপনার টাকা এক জন দিয়া দিছে। আর কইছে আপনার কাছ থেকে যেনো কোন টাকা না নেই।

মাহিরা: কে দিয়েছে টাকা ?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো).

দোকান দার: হেইড়া কয়তে পারি না। তবে হেরা ভিরাট বড় লোক । পরনে কালো কোর্ট ছিল ।

মাহিরার বুঝতে বাঁকি থাকে না ওরা কারা ছিল।মাহিরা কোন কথা না বলে সেখান থেকে চলে আসে মাছের দোকানে।

মাহিরা: ভাইয়া এই ইলিশ মাছটার দাম কত?

মাছওয়ালা: আফা আপনার মাছ কয়টা লাগবো সেটা কন ? আপনার কাছ থেকা টাকা নিমু না আমি! কন আফা কোয়টা লাগবো আপনার?

মাহিরা ভালো করেই বুঝতে পেরেছে এখানেও নিহাল এর লোক গুলো টাকা দিয়ে রেখেছে।মাহিরা রাগ করে সেখান থেকে চলে যায় বই এর দোকানে। কিন্তু বই আর কিনতে পারে না সেখানেও আগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছে নিহাল এর লোক । মাহিরা রাগে গজগজ করতে করতে বাসায় এসে পড়ে। বাসায় এসে দেখে আরেক কান্ড। নিহাল এর লোকেরা ওদের বাসায় ফ্রিজ,এলিডি টিভি,ওয়াশিং মেশিং,নতুন বক্স খাট,আরো অনেক যাবতিও জিনিস পাঠিয়েছে। মাহিরা এগুলা দেখে ওর মা কে জিজ্ঞেস করলো,,?

মাহিরা: আম্মু এগুলা কে পাঠিয়েছে?

মাহিরার মা: মা তুই এসেছিস । দেহ না মা ১০-১২ জন লোক এসে ট্রাক ভরে আমাদের ঘরে এগুলা রেখে যায়। আমি অনেক কিছু জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু তারা কিছুই বলে নি আমাকে?

মাহিরা এই কথা শুনে অনেক রাগ হয়। মাহিরার আম্মুর কথা শুনে কিছু না বলে গেট এর বাহিরে চলে যায়। কিন্তু বাহিরে কাউ কেই দেখতে পায় না।

মাহিরা: ঐ লোক গুলো কই ওদের আজ,,,,।(রাগি গলায়).

বডিগার্ড: Excuse me mem! আপনার ফোন?(মৃদ স্বুরে ডাক দিয়ে একটা ফোন মারিরার দিকে ধরলো).

মাহিরা একটু ঘাবড়ে গেল,,,,

মাহিরা: এই লোকটা কোথাই ছিল। এতোক্ষন তো এখানে ছিল না। তবে কোথা থেকে বের হলো তারা।(মনে মনে).

বডিগার্ড: ম্যাম আপনার ফোন?

মাহিরার ধ্যান ভাঙলো বডিগার্ড এর ডাকে। মাহিরা কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা কানে দিয়ে বললো।

মাহিরা: হেলো,,,!

নিহাল: হেই মাই কুইন! তুমি কি আমাকে খোঁজছো।(মুচকি হাসি দিয়ে বললো).

মাহিরা: দেখ,,,,মানে আপনি যা করসেন সেটা কিন্তু ভালো হচ্ছে না। (রাগি কন্ঠে).

নিহাল: কুল মাই কুইন! তুমি এতো কষ্টে থাকবে সেটা আমি কি করে মেনে নেই বলো। এগুলা তো ছোটখাটো জিনিস । তার চেয়ে দামি হচ্ছো তুমি। আমি চাই না তোমার কোন কষ্ট হোক মাই কুইন।(বাঁকা হেসে বললো).

মাহিরা: দরকান নেই আপনার জিনিস। আর আমি আপনার কুইন না। আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। নিয়ে যান আপনার এই জিনিস পএ।আর একবার যদি আপনার লোক আমার পিছু নেয় তো আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না,,,mind it,,,(ঝাড়ি দিয়ে বলে ফোন কেঁটে জোরে একটা আছাঁড় দিয়ে ভেঙে ফেললো) চলে যান এখান থেকে। আপনাদের জিনিস পএ সব নিয়ে যান। দরকার নেই আপনাদের কোন জিনিস পএ।যান বলছি আমার সামনে থেকে,,,(জোরে চিল্লিয়ে বললো).

বডিগার্ড রা ভয়তে আর এক মিনিট ও না দাড়িয়ে সেখান থেকে চলে গেল।

The Snake Group,,,,,,

এদিকে মাহিরার কথা শুনে নিহাল এর রাগ ওঠে গেছে। ফোন কাঁটার সাথে সাথে নিহাল ঘরের সব জিনিস পএ ভাঙতে শুরু করলো।ওমর ভয়তে টেবিলের নিচে লুকিয়ে আছে।

নিহাল: তোমার এতো বড় সাহস তুমি আমার সাথে উচু গলায় কথা বলেছো। তুমি যানো না আমি কে? আমার পাওয়ার সম্পর্কে তোমার কোন দারনা নেই মাহিরাআআআআআ,,,(জোরে চিৎকার দিয়ে বললো)
.
.
.
.
মাহিরা সব জিনিস পএ গুলা ঘরের বাহিরে ফেলে দিল।কাজ শেষ করে বিছানায় ধুপ করে বসে পড়লো । মাহিরার মা মাহিরার পাশে এসে বসে মাথায় হাত দিয়ে বললো?

মাহিরার মা: মাহিরা মাথা ঠান্ডা কর মা। মেয়েদের এতো রাগ থাকতে নেই মা। (মাহিরার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো).

মাহিরা নিজের উপর রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে ওর মা কে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।

মাহিরার মা: আরে পাগল কান্না করিস কেন। কান্না থামা এবার। থামা বলসি।(চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো).

মাহিরা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে থাকে ।

মাহিরার মা: আচ্ছা আমাকে একটা কথা বল তো। ঐ লোক গুলো কারা।আর আমাদেরই বা এতো দামি জিনিস পএ কেন দিল? বল মা।

মাহিরা সেদিনের সব ঘটনা ওর মা কে বললো ।

মাহিরার মা: তার মানে ঐ ছেলেটা তোকে ভালোবেসে ফেলেছে।তার জন্য এতো কিছু করেছে।

মাহিরা: কিসের ভালোবাসা! এটা কে তুমি ভালোবাসা বলছো । এটা শুধু টাকার খেলা।এটাকে কোন দিক দিয়েও ভালোবাসা বলে না মা।তুমি এই বিষয় নিয়ে আর এটাও কথা বলবা না।

মাহিরার মা: মা রে তোকে নিয়ে অনেক চিন্তা হচ্ছে। এখন আবার নতুন করে কোন মছিবত শুরু হলো তোর জীবনে।

মাহিরা: মা জীবনে মছিবস আসবেই,সেটাকে জয় করে সামনে এগিয়ে যেতেই হবে। হেরে গেলে তো আর চলবে না মা।

মাহিরার মা: সেটা ভালো মনে করিস সেটাই কর।কিন্তু সাবধানে করিস মা।মাথা ঠান্ডা করে সব কাজ করবি।(মাথায় হাত দিয়ে বললো).

মাহিরা: তুমি আমাকে নিয়ে একদম চিন্তা করো না। এবার যাও‌ আমাকে ভাত খাওয়ে দেও।(মুচকি হাসি দিয়ে বললো).

মাহিরার মা: আচ্ছা ঠিক আছে ।তুই হাত মুখ ধুয়ে আয় যা।

মাহিরা: আচ্ছা।
.
.
.
That Snake Group,,,,,

নিহাল থাইগ্লাস এর সামনে মদের গ্লাস হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। হাত থেকে রক্ত জড়ছে। নিহাল এর সেদিক কোন খেয়াল নেই ।ভাঙ-চুড় করার সময় কাঁচ এর কোনায় লেগে নিহাল এর হাত কেঁটে যায়।ওমর পিছন থেকে ডাক দিল।

ওমন: বস,,,,(মৃদ স্বুরে)

নিহাল: What,,,! (গম্ভীর কন্ঠে)

ওমন: বস আপনার হাত থেকে রক্ত জড়ছে যদি হাতটা একটু ড্রেসিং করে বেঁধে নিতেন তাহলে খুব ভালো হতো।(মৃদ স্বুরে বললো)

নিহাল: সেটা নিয়ে তোমার না ভাবলেও চলবে। কাল থেকে মাহিরার পিছনে আরো লোক লাগিয়ে দেও। আর হ্যাঁ মাহিরা যেনো এটা জানতে ও বুঝতে না পারে।(রাগি গলায়).

ওমর: ঠিক আছে বস।(এটা বলে চলে যেতে নিলে নিহাল ওমর কে ডাক দেয়).

নিহাল: ওমর,,,,কাল আমি মাহিরার কলেজে যাবো। সব ব্যাবস্থা করে রেখো।( গম্ভীর কন্ঠে).

ওমর: ওকে বস।

ওমর চলে যায়।
নিহাল সেখানে দাড়িয়েই মদ খেতে থাকে।মনের ভিতরে রাগ জমে আছে নিহাল এর।
.
.
.
সকালে,,,,,

মাহিরা কলেজে যাবার জন্য বাহিরে বের হয়ে দেখে আজ কিছুই নেই। দেখে কিছুটা খুশি হলো। আস্তে আস্তে হেঁটে হেঁটে কলেজে পৌচ্ছে গেল।ক্লাস করার সময় হেড স্যার মাহিরা দের ক্লাস রুমে এসে উপস্থিত হলো।

হেড স্যার: Good morning Students,,,!

সবাই :Good morning sir!

হেড স্যার: আজ তোমাদের সাথে একজন ব্যাক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো।সে আমাদের কলেজের গরিব ও মেদাবী ছাএ-ছাএী দের জন্য অনেক টাকা ডোনেশন দিয়েছে। তোমরা হয়তো The Snake Group এর নাম শুনেছো। হ্যাঁ সেই গ্রুপ এর বস এবং লিডার নাম নিহাল খান।সে আমাদের কলেজে একজন অতিথী হয়ে এসেছে।

নিহাল এর নামটা শুনে মাহিরার রাগ হয়।

ক্লাস রুমে নিহাল এসে উপস্থিত হলো।মাহিরা নিহাল দেখে মাথা নিচু করে বসে আছে। ক্লাস রুমে ডোকার সাথে সাথে নিহাল এর নজর যায় মাহিরার উপর ।

মাহিরা: Hi boy’s and Girls ।

নিহাল এর দিকে সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে আছে ।এতো Hansoms, Dashing,Smart ছেলের দিকে তাকিয়ে বসাটাই সাভাবিক। মাহিরা আস্তে করে পিছনের গেট দিয়ে বাহিরে বেরিয়ে যায়। কেউ এটা না দেখলেও নিহাল এর চোখে এটা এড়ালো না।নিহাল ঠিক দেখতে পেরেছে মাহিরা পিছনের গেট থেকে পালিয়ে গেছে।

মাহিরা: যাক ভালো হয়েছে পালিয়ে এসেছি। বুঝতে পারছি আজ কে আর ক্লাস করতে পারবো না।যাই লাইব্রেরি থেকে গুরে আসি।

মাহিরা লাইব্রেরিতে পা রাখহার সাথে সাথে কেউ ওর হাত ধরে বন্ধ ক্লাস রুমে নিয়ে যায়।

.
.
.
.
.
(কি চলবে)😉.