Dangerous_Mafiya_King. Writer:_Sumaiya_Moni_😍😍. Part-11.

#Dangerous_Mafiya_King.

Writer:_Sumaiya_Moni_😍😍.

Part-11.

মাহিরা আজ কলেজে যায় নি।বাজারে চলে যায় বাজার করতে। বাজারে করতে গিয়ে মাহিরা অবাক হয়ে যায়। বাজারের কোন লোক মাহিরার কাছে জীনিস পএ বিক্রি করতে চাচ্ছে না।কেন এমন করছে,কি কারনে এমন করছে মাহিরা কিছুই বুঝতে পারছে না।ব্যার্ধ হয়ে বাজারের বাহিরে চলে আসে।মাহিরা বাহিরে এসে দেখে।

নিহাল এর বডিগার্ড রা কিছুটা দূরে দাড়িয়ে আছে। মাহিরা এটা দেখে বুঝে যায় এই কাজটা কে করেছে। রাগে মাহিরার হাত-পা কাঁপতে লাগলো। জোর পায়ে হেঁটে বডিগার্ড দের কাছে গিয়ে বললো।

মাহিরা: তাহলে আপনারাই এই কাজটা করেছেন তাই না?(রাগি গলায়).

বডিগার্ড: ম্যাম! বস আমাদের পারমিশন দিয়েছে এই কাজটা করার জন্য।(নিচু স্বুরে).

মাহিরা : আপনাদের বসের কাছে আমাকে নিয়ে চলুন।এখনি!(জোর গলায়).

বডিগার্ড: ওকে। আসোন আমাদের সাথে।

বডিগার্ড রা গাড়ির দরজা খুলে দিল।মাহিরা রাগি মুডে গাড়ির ভিতরে গিয়ে বসলো। গাড়ি স্টার্ট দিল ড্রাইবার।কিছুক্ষন পর গাড়ি একটা বড় বাংলর সামনে এসে থামালো। মাহিরা তাড়াতারি করে গাড়ি থেকে নেমে বাংলর দিকে তাকিয়ে হা হয়ে যায়। বাংলর থেকে চোখ সরিয়ে মাহিরা ভিতরে যাবার জন্য পা বাড়ায়। গেট এর ভিতরে পা রাখার সাথে সাথে মাহিরার উপরে গোলাপ ফুলের পাপড়ি পরতে লাগলো। মাহিরা কিছুটা অবাক হলো। মাহিরা সোজা হয়ে দাড়িয়ে আছে কিছুই বলছে না ।উপর থেকে সব ফুল পড়া শেষ হয়ে গেল, মাহিরা ওর গায়ের ফুল গুলো জাড়তে লাগলো । এর মধ্যে নিহাল সিড়ি দিয়ে নামছে আর বলছে।

নিহাল: Welcome Mahira! Welcome! (গম্ভীর কন্ঠে বললো).

মাহিরা উপরে তাকিয়ে দেখে নিহাল উপর থেকে নামছে আর কথাটা বলছে। নিহাল এর গায়ে ছিল পাতলা কালো রঙের শার্ট।যেটাতে নিহাল কে অনেক সুন্দর লাগছিল। মাহিরা কিছুক্ষন নিহাল এর দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ সরিয়ে ফেললো।নিহাল মাহিরার সামনের সোফায় বসে পড়লো ।

মাহিরা: আপনার সমস্যা কি? কেন করছেন এই সব ? কি চান আপনি?(কিছুটা রাগি গলায় বললো).

নিহাল: আমার সমস্যা? কেন করছি? কি চাই? সেটা কি তুমি জানো মাহিরা ?(বাঁকা হেঁসে বললো).

মাহিরা: না জানি না।বলুন কেন করছেন ?(জোর গলায়)

নিহাল:Speak down the low? ভুলে যেও আমি কে?(ধমকের স্বুরে বললো কথাটা)

মাহিরা: চুপ,,,, ।

নিহাল: আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই?(গম্ভীর গলায়)

মাহিরা: সেটা কোন দিন ও সম্ভব না। আপনার মতো একটা খুনি কে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

নিহাল: মাহিরা,,,,(রাগি গলায়) ভালো ভাবে বলছি তোমাকে ।আমাকে কঠিন হতে বাধ্য করো না।

মাহিরা: আমি আপনাকে বিয়ে করবো না। আপনার যা মন চায় তাই করুন।এটা আমার শেষ কথা।(রাগি গলায় বলে চলে যেয়ে নিলে নিহাল এর কথা থেমে যায়)

নিহাল: দাড়াও মাহিরা।আজকে থেকে তুমি আমার ভয়ংকর রুপটা দেখবে।তুমি নিজে থেকে বিয়ে করতে রাজি হবে আমাকে ।(রাগি গলায়).

মাহিরা এটা শুনে আর‌ এক মিটিন ও না দাড়িয়ে সেখান থেকে বাসায় চলে আসে।

মাহিরার মা: কিরে মা বাজার করতে গেলি খালি হায়ে ফিরলি যে?

মাহিরা: এমনি।কাল কে বাজার করবো।আজকে ভালো লাগছিল না তাই চলে এসেছি।

মাহিরার মা: আচ্ছা ঠিক আছে ।ঘরে কিন্তু চাল,ডাল,আনাচ তরকারি শেষ হয়ে গেছে।কাল কে বাজারটা করে আনিস।

মাহিরা: হুমমম।

মাহিরার মা চলে গেল।

মাহিরা: কি যে করি।এই নিহাল টা কেন যে আমার পিছু পড়ে আছে।মেয়ের কি আভাব পড়েছে নাকি।ধেতঃ!

মাহিরা দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আছরের পর ঘুম থেকে ওঠে।টিউশনি করাতে যায়। সেখানে গিয়ে ঘটে আরেক কান্ড। মাহিরা কে না করে দেয় পড়াতে আসতে ।কারনটা জিজ্ঞেস করলে মালকিন কিছুই বলে না।মাহিরা সেখান থেকে আরেকটা টিউশনি করানো জন্য যায়।সেখানেও সেই একি ঘটনা ঘটলো। মাহিরা ভালো করে বুঝতে পেরেছে এটা নিহাল এর কাজ হবে।মাহিরা রাগ করে বাসায় চলে আসে ।রাতের খাবার না খেয়ে শুয়ে পড়ে।

The Snake Group,,,,

নিহার এর রুমে মাহিরার বড় একটা ছবি দেয়ালে ঝুলানো ছিল।সেটার সামনে দাড়িয়ে মদ খাচ্ছে আর বলছে?

নিহাল: আমিও দেখতে চাই মাহিরা তোমার কত টুকু ধৈর্য আছে । তুমি নিজে থেকেই আমার কাছে ধরা দিবে মাহিরা । এই নিহাল খান কখনই হার মানতে শিখে নি।আমি জিতে যাবো তুমি হেরে যাবে মাহিরা?(বাঁকা হেসে বললো).
.
.
.
সকালে,,,

মাহিরা কলেজে গিয়ে কলেজ থেকে তাড়াতারি বাসায় ফিরে এসেছে।মাহিরা একটু খুশি মুডে বাসায় প্রবেশ করলো।

মাহিরা: আম্মু ,ফাহিম কই তোমরা। আম্মু,,,আম্মু! আরে কোথায় গেলা তোমরা। এই ভরদুপুরে কোথায় গেল। (বিছানায় বসে বললো) আচ্ছা একটু পানি খেয়ে আসি।
মাহিরা পানি খাবার জন্য রান্না ঘরে চলে গেল।গ্লাস হাতে নিয়ে টেপ ছেড়ে পানি নিতে লাগলো ।পানি গ্লাস এ পড়ার সাথে সাথে মাহিরা গ্লাসটা ফেলে দিল ।কারন গ্লাস এর ভিতরে লাল রক্তের দেখা যাচ্ছে।মাহিরা ভয় পেয়ে কিছুটা দূরে সরে যায়। টেপ ছাড়া থাকায় টেপ থেকে লাল পানি পড়তে লাগলো।

মাহিরা: এ,,এটা তো রক্ত মনে হচ্ছে।(ভয় পেয়ে মাহিরা বাহিরে যেতে নিলে একটা লোক এসে মাহিরার মুখে রুমাল চেপে ধরে মাহিরা সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে যায়)
.
.
.
.
পিটপিট করে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে একটা বড় রুমের বিছানায় শুয়ে আছে মাহিরা।আস্তে করে ওঠে বসে চার দিক ভালো করে দেখতে লাগলো ও কোথায় আছে ।হুট করে ওদের বাসার সেই ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়।তাড়াতারি করে বিছানায় থেকে নামার সময় রুমে নিহাল প্রবেশ করে।

নিহাল: মাহিরা তুমি শুয়ে থাকো।বিছানা ছেড়ে ওঠবে না।(গম্ভীর গলায়).

মাহিরা: আপনি এইখানে কেন।আর আমাকে এখানে কে নিয়ে এসেছে?(ভ্রুঁ কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো).

নিহাল: এটা আমার বাসা।সব কথা জানতে পারবে আগে তুমি সান্ত হও।(মাহিরার কাছে যেতে যেতে বললো).

মাহিরা: আপনি আমার কাছে আসবেন না।ঐ খানে দাড়িয়েই বলুন সব কথা।(হাত জাগিয়ে হামিয়ে দিল).

নিহাল মাহিরার কথায় সেখানেই থেমে যায়।

নিহাল: ঠিক আছে ।তুমি চুপ করে বিছানায় বসো ।(গম্ভীর কন্ঠে).

মাহিরা: আমি বসবো না। আমি এখন বাসায় যাবো।আমাকে বাসায় যেতে দিন?

নিহাল: তুমি কোথাও যেতে পারবে না। তোমাকে এখানেই থাকতে হবে।(গম্ভীর গলায়).

মাহিরা: আপনার ফালতু কথা শুনার টাইম নাই আমার, আমাকে যেতে দিন ।(এই কথা বলে নিহাল এর পাশ কাঁটিয়ে যেতে নিলে নিহাল মাহিরার হাত ধরে ফেলে).

মাহিরা: leave my hand,,leave me! (জোরে ছিড়া দিয়ে হাত নিহাল এর হাত থেকে ছাড়িয়ে নিল).
মাহিরা আবার ও চলে যেতে নিলে নিহাল বাঁধা দেয় ।

নিহাল: মাহিরা তুমি কোথাও যাবে না।এখানেই থাকবে তুমি!(এই কথা বলে মাহিরার হাত ধরে বিছানায় ছুটে ফেলে দিয়ে রুম লক করে বেরিয়ে গেল).

মাহিরা: দজরা খুলুন মি.নিহাল খান।আমাকে আটকিয়ে রাখার মানে নাকি ।আমি বাসায় যাবো।দরজা খুলুন।(দরজায় বারি দিয়ে জোরে জোরে চিল্লিয়ে বললো)

নিহাল বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠে সেই গোডাউনের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লো।
মাহিরা দরজা নক করতে করতে চিল্লাতে চিল্লাতে ক্লান্ত হয়ে পড়লো।মাহিরা মাটিতে বসে কান্না করতে লাগলো।মনে মধ্যে ভয় কাজ করছে মাহিরার।ওর মা আর ভাই এর কিছু হলো না তো আবার।
নিহাল এর গাড়ি এসে থামলো গোডাউনের সামনে।নিহাল গাড়ি থেকে নেমে সোজা গোডাউনের ভিতরে চলে গেল ।

ওমর: বস এতো মারার পর ও মুখ খুলে নি।

নিহাল ওমর এর কথা শুনে হাতে থাকা গান নিয়ে সোজা বেঁধে রাখা লোকটার কাছে গিয়ে মাথার সামনে গান ধরে।
লোকটা গান দেকে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
নিহাল ওর গান দিয়ে লোকটার পায়ে শুট করে।লোকটা ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে ওঠে।

নিহাল: এবার বল তুই কে? তোকে কে পাঠিয়েছে?(উঁচু গলায়).

লোকটা কিছু বলছে না চুপ করে আছে ।নিহাল আবার ও লোকটার আরেন পায়ে গান দিয়ে শুট করে দিল।লোকটা আরো জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠলো।

,,,,,,,,,,,ব,,,,,ব,,,ব,বলছি সব।(কাঁপা কাঁপা স্বুরে বললো).

নিহাল চেহায়ে পায়ের উপর পা রেখে বসে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে সেই লোকটার দিকে ।
লোকটা নিহাল এর চোখের দিকে তাকিয়ে আরো ভয় পেয়ে যায় ।কাঁপা কাঁপা স্বুরে বলতে লাগলো?

,,,,,,,,,আ,,আ,,আমাকে জামান শেখ পাঠিয়েছে।ঐ মেয়েটা ও তার পরিবারের সবাই কে মেরে ফেলতে।

নিহাল: কেন?(গম্ভীর গলায়).

,,,,,,,,,,জামান শেখ জানতে পেরেছিল।আপনি ঐ মেয়েটাকে ভালোবাসেন।তাই তাদের কে শেষ করতে চেয়েছিল।আপনাকে দুর্বল কারার জন্য!(মৃদ স্বুরে বললো).

নিহাল বসা থেকে ওঠে গান দিয়ে শুট করে দেয় লোকটা কে। লোকটা সেখানেই মারা যায়।

নিহাল সেখান থেকে চলে যেতে নিলে ওমর বলে ওঠলো?

ওমর: বস! ম্যাম কে কি বলবেন?(মৃদ স্বুরে)

নিহাল কিছু না বলে সোজা গাড়িতে গিয়ে বসে। সেখান থেকে বাসায় চলে আসে নিহাল। সিড়ি দিয়ে ওঠে মাহিরাকে রাখা সেই রুমে যায়।
মাহিরা নিহাল কে দেখে বলতে লাগলো?

মাহিরা: প্লিজ আমাকে আমার মা,ভাই এর কাছে যেতে দিন ।ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।আপনার কাছে হাত জোর করছি,,,(কান্না জড়িত কন্ঠে বললো).

নিহাল মাহিরা কে এবাবে কান্না করতে দেখে ওর কাছে গিয়ে বললো?

নিহাল: মাহিরা প্লিজ কান্না করো না। আমার কথাটা একটু শোনো।তোমার সেখানে যাওয়াটা ঠিক হবে না।(গম্ভীর কন্ঠে বললো).

মাহিরা: প্লিজ আমাকে যেতে দিন ।(কান্না কন্ঠে বললো)

নিহাল: যেতে দিব তবে আমার একটা condition আছে।(গম্ভীর গলায়)

মাহিরা: আমি আপনার সব শর্তে রাজি আছি।তারপর ও আমাকে যেতে দিন? (কান্না জড়িত কন্ঠে বললো).

নিহাল: আমার শর্তটা আগে শুনে নেও! আগামি দুই দিন এর মধ্যে আমাকে বিয়ে করতে হবে তোমার ।বলো তুমি রাজি কি না?(গম্ভীর কন্ঠে বললো).

মাহিরা নিহাল এর মুখে এই কথা শুনে থ হয়ে যায়।
চুপ করে বসে আছে মাহিরা ।

নিহাল: কি হলো কথা বলছো না কেন মাহিরা। আমার শর্তে রাজি না হলে তোমার মা,ভাই কে জীবনেও দেখতে পারবে না তুমি ।(কিছুটা রাগি কন্ঠে)

মাহিরা: আ,,আ,,আমি আপনাকে বিয়ে করতে রাজি আছি।তবুও ওদের কোন ক্ষতি করবেন না প্লিজ? (কান্না করতে করতে বললো).

নিহাল মাহিরার কাছে গিয়ে দু হাত দিয়ে মাহিরার গাল ধরে চোখ মুছিয়ে দিয়ে কঁপালে চুমু দিয়ে রুমে থেকে বেরিয়ে যায়।মাহিরা বিছানায় বসে কান্না করতে থাকে।

রাতে,,,,
.
.
.
.
.
(কি চলবে)😉.