শেষ বিকেলের তুমি❤ #writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤ #part:7

0
485

#শেষ বিকেলের তুমি❤
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤
#part:7


শুভ্র?এই শুভ্র??তুই এখনো কুল কেমনে??প্রিপারেশন নে,, কেমনে কিডন্যাপ করবি,,??

হয়ে গেছে

কি হয়ে গেছে?(অবাক হয়ে)

কিডন্যাপ হয়ে গেছে,,

কেমনে কি?তুই তো এখানে তো কিডন্যাপ কিভাবে হলো?

কিডন্যাপার হায়ার করেছিলাম,,তারাই করেছে।। আমি নিজে কিডন্যাপ করবো এটা তুই ভাবলি কিভাবে ডাফার?

কই আছে ও এখন??(অবাক হয়ে)

যেখানে থাকার কথা ছিলো,,সেখানেই আছে,

তাহলে চল জলদি নয়তো আবার গন্ডগোল হয়ে যাবে সব,,

হুমম চল,,

★★

ডাফার খোল বলছি আমায়,,,খোলে দিয়ে দেখ একেকটাকে কিমা বানিয়ে ছেড়ে দিবো হুহ,,,

ম্যাম আপনি শান্ত হোন,,স্যার আসলেই খুলে দিবো,,

তোর স্যারের চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার হোক,,অসভ্য লোক।।কোথায় তোদের স্যার??ডাক তাকে,,,(রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে)

আমি এসে গেছি বেবি…(টেডি স্মাইল দিয়ে)

শুভ্র ভাই,,তুমি??(অবাক হয়ে)

জি আমি….তোকে তো বলেছিলাম বিয়ে আমি তোকেই করবো,,তুইই রাজি হলি না।।কি আর করা… আই ওয়াজ হেল্পলেস।।

তুমি এতোটা নিচে নামবে ভাবি নি…এবার কি তুমি জোড় করে বিয়ে করবা??

দরকার হলে তাই…

কখনো না,,তোমাকে আমি কিছুতেই বিয়ে করবো না না না

আগে তো এই আমার জন্যই পাগল ছিলি এখন কি সমস্যা??(গাল চেপে ধরে)

ওইযে আগে মাথার স্ক্রু ডিল ছিলো এখন ঠিক হয়ে গেছে তাই এখন আর তোমায় বিয়ে করার মতো বোকামো করতে চাই না,,ছাড়ো আমায়,,

প্লিজ রোদ,,সোনা….বুঝার চেষ্টা কর প্লিজ।।এমন জেদ করিস না।।তোকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না…ভালোবাসি রে..খুব ভালোবাসি

দুই দিনে এতো ভালোবাসা আসে কোথা থেকে??

ভালো তো আগে থেকেই বাসতাম,,তুই বলার বা বোঝার সুযোগ দিয়েছিলি কি??আগেই তো হারিয়ে গেলি ধরা ছোঁয়ার বাইরে।।তখন আমার সাথে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই ছিলো না।।

মিথ্যে অজুহাত দিবে না,,ছাড়ো আমায়।।শুধু ভালোবাসা কেন,, ভালোবাসার পাহাড় এনে দিলেও আমি তোমায় বিয়ে করছি না।।ছাড়ো তো,,আমার বর নিশ্চয় এসে গেছে।।

ঠাডায় দিবো একটা….আমি এখানে তোর হাতে পায়ে ধরছি আর তুই তোর বর নিয়ে চিন্তায় মরছিস??এতো ভালোবাসা??মেরে পুতে ফেলবো তোর বরকে,, আসিফ??

হ্যা দোস্ত বল,,

কাজি কই??নিয়ে আই তাড়াতাড়ি…বিয়েটা এক্ষুনি হবে

দোস্ত কাজি রাস্তায়… জ্যামে পড়ছে…এসে পড়বে কিছুক্ষণের মধ্যেই

ওকে

দেখো ভালো হচ্ছে না বলে দিলাম,,বললাম তো করবো না বিয়ে।।জোর করছো কেন??

ভালোবাসি তাই

ভালোবাসো??মনে আছে বলেছিলাম,,,”ভালোবাসার রং গাঢ় লাল,,হয়তো আজ তা আমার কাছে…কাল হবে তোমার কাছে…শুধু সময়টা ভিন্ন আর কিছুই না” সেদিন হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলে…তো আজ কি হলো??

তোর কথাটা তো সেদিনই বুঝেছিলাম…যখন আমায় ছেড়ে দূরে চলে গিয়েছিলি…প্রতিটি মুহূর্তে তোকে মিস করেই বুঝেছি ভালোবাসাটা আসলে কি।।দূরে থাকাটা কতো কষ্টের।।শূন্যতাটা কতো ভয়াবহ…

দেখো শুভ্র ভাই,,তখন আমি ভালোবাসতাম তুমি বাসতে না…আর এখন তুমি বাসো আমি বাসি না…একুয়াল একুয়াল,, এবার আমায় যেতে দাও… প্লিজ আমি আমার হবু বরকে ভালোবাসি তোমাকে নয়,,প্লিজজ

চুপপ…একদম চুপপপ…বিয়ে তো তোকে করতেই হবে…এখন এবং এই মুহূর্তে…. সাহেল কাজি এখনো এলো না কেন??

এইতো চলে এসেছে বাবা…নো চাপ

কথাটা শুনে পিছনে তাকিয়েই শুভ্রর চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম… একি ফুপা??শুধু ফুপা না শুভ্রর বাবা-মা সহ… আত্মীয় স্বজন সব।।কেমনে কি??ওরা কিভাবে জানলো শুভ্রদের লোকেশান??এবার কি হবে??

ত,,তোমরা??

তো?ছেলের বিয়ে তো আমরা আসবো না??(খুশি খুশি মুখে)

মানে?তোমরা রেগে নেই আমার উপর??(অবাক হয়ে)

রাগবো কেন??আজিব কথা বলিস…আরে ওকে বেঁধে রাখছো কেন খুলো।।আর কাজী সাহেব আসেন আসেন

এবারও যেনো সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে তার,,,হচ্ছে টা কি??বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে দেখলো তাদের মুখও হাসি হাসি…আরে এখানে হাসির কিছু হয়েছে নাকি??রোদও মহাখুশি,,

মা??তোমরা একটু ও রেগে নেই??আমি যে রোদকে কিডন্যাপ করলাম,,বরযাত্রীরা তোমাদের অপমান করে নি??

নিজেদের নিজেরা কিভাবে অপমান করবো??আমরাই তো বরযাত্রী,,,

মানে??

মানেটা খুবই সহজ সরল আর সাবলীল,,, আজ রোদের বিয়েটা তোর সাথেই ছিলো,,,(দাঁত কেলিয়ে)

হোয়াটট???

জি হ্যা…আন্টি তোর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে তোর ডায়েরীটা উদ্ধার করে যেখানে রোদকে নিয়ে তোর প্রেম বাক্যের ছড়াছড়ি।।হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া রোদকে পাওয়ার আশায় যে,, একের পর এক মেয়েকে রিজেক্ট করছিস তা বেশ বুঝতে পারে আমাদের ইন্টেলিজেন্ট আন্টি।।তারপরই বিয়ে ঠিক করা হয় রোদের সাথে….কিন্তু রোদ বিয়ে করতে নারাজ…সে কিছুতেই তোকে বিয়ে করবে না।।ওকে হাজার বুঝিয়েও যখন লাভ হলো না তখন শেষ চেষ্টা হিসেবে তোর ডায়েরীটা পাঠানো হলো ওর কাছে….আর মাইয়া দেখো ইমোশনে ভেসে গিয়ে রাজিও হয়ে গেলো….তবে ওর একটা শর্ত ছিলো…

এই রুহান তুই থাম এখন আমি বলি এবার,,,শর্তটা ছিলো তোকে যেনো বিয়ের কথাটা বলা না হয়….সে তোকে শাস্তি দিতে চায়…তাই সবাই চুপপ।।

তারমানে তোরা সব জানতি….তাহলে এসব কেনো??

দোস্ত এসব আমাদের করা,,তুই বন্ধু হিসেবে হেল্প চাইলি না করে পারি??তাই তুমুল আগ্রহে হেল্প করলাম…তোর বউকেই তোকে কিডন্যাপ করে এনে দিলাম…দারুন করছি না??একেই বলে কর্তব্যবোধ

সাহেলের কথায় সবাই হেসে উঠলো।।শুভ্রর তো নিজের বোকামোতে নিজের গালেই চড় মারতে ইচ্ছে করছে।।তার আগে ফাজিল ফ্রেন্ডগুলোকে আছাড় দিতে ইচ্ছে করছে।।প্রেস্টিজের ১৩ টা বাজিয়ে ছেড়ে দিয়েছে ইয়ার।।শুভ্রর পেঁচা মুখ আর রোদের হাসি মুখ অবশেষ ক্যামেরাবন্ধী হলো…আর ওরাও বন্ধী হলো একটা নতুন বন্ধনে…. ভালোবাসার পবিত্র বন্ধন।।

#চলবে❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here