অনুভবের_প্রহর #অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম) #পর্ব___০২

0
1269

#অনুভবের_প্রহর
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব___০২

কাঁধের ব্যাগটা সামনে নিয়ে এক পা এগোতে কেউ পেছন থেকে হাত চেপে ধরলো আমার। কপাল কুঁচকে পেছনে তাকালাম। দেখি সিমরান হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আমার কুঁচকানো কপাল প্রসারিত হলো। এক পলক অনুভব ভাইয়ের দিকে চেয়ে আবার সিমরানের দিকে তাকালাম। অবাক হয়ে বললাম,

‘সিমরান আপু?’

মুহূর্তে সিমরানের মুখ থেকে হাসি গায়েব হয়ে গেল। আমার হাতটা একটু মুচড়ে দিয়ে বলল,

‘প্রহর? তুই বুঝতে পারছিস না অনুভব তোকে পছন্দ করে না? তুই আশপাশে থাকলে ও বিরক্ত হয়?’

‘আপু তুমি আমায় এসব বলছো কেন? আমার আর অনুভব ভাইয়ের ব্যাপারে তুমি কথা বলছো কেন? তোমার কি সম্পর্ক?’

‘কারণ অনুভবের পাশের সিটটা আমার জন্য বরাদ্দ। উই আর ইন অ্যা রিলেশনশিপ! ইন অ্যা ডিপ রিলেশনশিপ প্রহর।’

টান দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিলাম আমি। মাথা ঘুরতে লাগলো। বুকের ভেতরটা পুড়ে খাক হয়ে উঠলো। অবিশ্বাসের নয়নে অনুভব ভাইয়ের দিকে তাকালাম। তার মুখে কেমন প্রফুল্লতার ছাপ। ভীষণ খুশি দেখাচ্ছে উনাকে! আমি তো ভেবেছিলাম উনি মিথ্যে বলছে। উনি সত্যি সত্যি সিমরানের সাথে রিলেশনশিপে চলে গেছে?

আমার ভাবনার মাঝে সিমরান আপু আমাকে ঠেলে রিকশায় উঠে পড়লো। অনুভব ভাইয়ের কাছ ঘেঁষে বসে বাঁকা হাসলো। অনুভব ভাই আমার দিকে তাকিয়ে সিমরানের কোমড় চেপে ধরতে হৃদয়ে ভাঙচুর শুরু হলো আমার। দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়ে রইলো সিমরানের কোমড়বন্ধনীর উপর। অনুভব ভাই ডান হাত নেড়ে বলল,

‘দেখো অন্য কোনো ছেলের পাশের সিট খুঁজে পাও কি না। টাটা!’

চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এলো আমার। ততক্ষণে রিকশা ছেড়ে দিয়েছে। মুহূর্তে সেটি আমার দৃষ্টির অগোচর হয়ে গেল।

ঘড়িতে রাত বারোটার এলার্ম বেজে উঠতে প্রহরের হাতের কলম থেমে গেল। ডায়েরিটার দিকে তাকিয়ে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। এতক্ষণ লিখতে থাকা আজকের ঘটনাটা আরেকবার পড়লো সে। অক্ষর গুলো আলতো হাতে ছুঁয়ে দিল। ডায়েরির শেষে আজকের তারিখ আর বার লিখে বন্ধ করলো। এত মোটা ডায়েরিটা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিটি পাতা শুধুমাত্র একজনকে নিয়ে লেখা। তার সাথে প্রথম দেখা হওয়া, প্রথম ভালো লাগা, ভালো লাগা থেকে শুরু হওয়া ভালোবাসা, তার রাগ, অভিমান, তার দেওয়া ছোট-বড় আঘাত সব নিয়ে লেখা। অনুভবের সাথে তার ঘটা অজস্র টুকরো টুকরো ঘটনার একমাত্র সাক্ষী এই মোটা ডায়েরি! এই ডায়েরিটা সেদিনই পূর্ণতা পাবে যেদিন অনুভবের হাতের স্পর্শ পাবে।

টেবিল ল্যাম্পটা নিভিয়ে রুম অন্ধকার করলো প্রহর। বিছানায় শুয়ে পেটের উপর ল্যাপটপটা নিয়ে অন করলো। এতদিন যাবত কালেক্ট করা অনুভবের সাতশ বাইশটা ছবি সে একের পর এক দেখতে থাকলো।

____________

আকাশে দুপুর সূর্য। তেজ নেই তেমন। তার মিষ্টি রোদে চারপাশ ভেসে যাচ্ছে। ধূলোযুক্ত গাছের পাতায় রোদের ঝলকানি। মিষ্টি রোদের বিপক্ষে দক্ষিণ আকাশ কোণে কালো মেঘ জমাট বেঁধেছে। অল্প অল্প মেঘ জমে বিশাল আকার ধারণ করছে। বৃষ্টি পড়ার আগেই গাড়ি পার্কিং লটে নিতে হবে। মোতালেব মিয়া চিন্তিত হলেন। নতুন রঙ করা হয়েছে গাড়িতে। কিছুতেই বৃষ্টির ছিঁটে ফেলানো যাবে না।

তার কালো রঙের মাইক্রো গাড়িটা বর্তমানে থেমে আছে। গাড়িটা তার নয়, মালিকের। কিন্তু গাড়িটা তার সন্তানের মতো আপন। সেই গাড়িটা আপাতত দাঁড়িয়ে আছে নোংরা একটা গলির সামনে। গলির মাথায় ময়লার স্তূপ! ময়লার উপর কিছু পঁচা ভাত দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে কলার খোসা। আধ খাওয়া পাউরুটির উপর নীল রঙের বড় একটা মাছি ভনভন করছে। গলির ভেতর একটা কুকুরও চোখে পড়ছে। কুকুরটার পিঠের উপর গভীর এক ক্ষত যা এতদূর থেকে চোখে পড়ছে। সে মরার মতো শুয়ে আছে। গলি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ড্রাইভার মোতালেব মিয়া পিছনে ঘুরলেন। বললেন,

‘এত চিপা গলি দিয়া তো গাড়ি ঢুকবে না, মা।’

প্রহর বিস্মিত হলো না। সে জানতো এই গলি দিয়ে গাড়ি ঢুকবে না। পাশ থেকে সাইড ব্যাগটা উঠিয়ে গাড়ির দরজা খুলল সে। বের হয়ে আশপাশে এক নজর তাকালো। তারপর ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে বলল,

‘আপনি গাড়ি নিয়ে চলে যান চাচা। সামনেই আমার বান্ধবীর বাড়ি। ওর সাথে কথা শেষ করে আমি রিকশা নিয়ে চলে যাব।’

‘বৃষ্টি তো হইবো মনে হয়। ছাতা আনছো?’

‘বৃষ্টি আসবে না। আকাশ পরিষ্কার।’

‘তোমার কাজ কখন শেষ হইবো, তাই কও। আমি গাড়ি নিয়া দাঁড়ায় থাকবো তখন।’

‘আসতে হবে না চাচা। কখন কথা শেষ হবে বলতে পারছি না। অনেকদিন পর দেখা হবে আমাদের। আপনি চিন্তা করবেন না, আমি বিকেলের মধ্যে চলে যাব। বাবার অফিস শেষ হলে তাকে নিতে যাবেন। আমি সময় মতো চলে যাব।’

‘ঠিক আছে তাইলে।’

মোতালেব মিয়া গাড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। প্রহর একপাশে দাঁড়িয়ে পড়লো। ব্যাগ থেকে চশমাটা বের করে চোখে পড়লো। অপেক্ষা করলো মোতালেব মিয়ার চলে যাওয়ার। উনি চলে যাওয়ার পরেই সে গলিতে ঢুকবে।

কিছুক্ষণ পর মোতালেব মিয়া গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গেল। আশপাশে তাকিয়ে চশমা খুলে পুনরায় ব্যাগে পুড়লো প্রহর। পরণের গাউনের ওড়না টা সামলে নিয়ে সে গলির ভেতর ঢুকলো। দু পাশে স্যাঁতস্যাতে দেওয়াল। দেয়ালের রঙ চটে গেছে বহু আগে। সিমেন্টের ঢালাই খসে পড়ে লাল ইট বের হয়েছে। ইটের উপর সবুজ শ্যাওলা। দেয়াল থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নাকে ওড়না চেপে ধরলো সে। কি দূর্গন্ধ! কুকুরটাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার পথেই কুকুর মুখ তুলে তার দিকে তাকাল। কলিজা কেঁপে উঠলো তার। ছোটবেলা থেকে কুকুর ভীষণ ভয় পায় সে। অথচ এই গলিতে ঢুকলে তার কুকুুরের সম্মুখে পড়তে হয়। কুকুরটা এক পলক দেখে পুনরায় চোখ বুজে শুয়ে পড়লো। মনে মনে দোয়া দরুদ পড়তে পড়তে প্রহর এগিয়ে চলল।

পুরনো এক ঘরের সামনে এসে দাঁড়াল সে। এই দিকটা বস্তি এলাকার মতো। আশপাশে ভাঙাচোরা, ক্ষয়ে যা-ওয়া ঘরবাড়ি। সে যে ঘরটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে সেটারও বেহাল দশা। ইটের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। উপরের টিনের চালে জং ধরে রঙ পাল্টেছে। জীর্ণ দশা! সে বুক ভরে শ্বাস নিল। এই বাড়িটার সামনে এর আগে সে বহুবার এসেছে। কিন্তু এই প্রথম বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তটি হলো ভেতরে প্রবেশ করার। এই দুঃসাহসিক কাজ সে এর আগে করেনি।

সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে সে কাঠের দরজায় মৃদু টোকা দিল। ভেতর থেকে ভারী গলায় কেউ বললেন,

‘অপেক্ষা কর অনুভব।আসছি আমি।’

প্রহর অপেক্ষা করলো। মিনিট চার-পাঁচ বাদে দরজা খুলে গেল। ভেতর থেকে উঁকি দিল এক মধ্য বয়স্কা মহিলার মুখ। প্রহরের বুঝতে অসুবিধা হলো না এটা অনুভবের মা। সে বিনীত স্বরে বলল,

‘আসসালামু আলাইকুম আন্টি। আমি অনুভবের বন্ধু। একটা গ্রুপ প্রজেক্টের কাজ আমাদের একসাথে করতে হবে। সেজন্য ও আসতে বলেছিল।’

মহিলাটি সন্দেহের চোখে তাকালেন। বললেন,

‘কিন্তু অনুভব তো বাড়িতে নেই।’

প্রহর হাসলো। সে জানে অনুভব এই মুহুর্তে বাড়িতে নেই। সেজন্যই তার আসা। অনুভব থাকতে এ বাড়ি আসার মতো অতো বড় কলিজা তার এখনো হয়নি। আজ তার ডিপার্টমেন্টেন অফ ডে। কিন্তু অনুভবের বিকেল চারটা পর্যন্ত ল্যাব ক্লাস। এখন বারোটা বাজে। হাতে ঢেড় সময় আছে অনুভবের মায়ের সাথে আলাপের। বিকেল চারটার আগেই সে সটকে পড়বে। মুখে হাসি টেনে সে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল। বলল,

‘আন্টি আমি জানি অনুভব বাড়িতে নেই। ও আমাকে কল করেছিল। বলল, প্রহর তুই আমার বাড়ি যা। আমি খুব তাড়াতাড়ি আসছি। সেজন্যই আমার আসা আন্টি।’

‘আমি অনুভবের মা।’

অনুভবের মা ফাতেমা একটা কাঠের চেয়ার এগিয়ে দিলেন। প্রহর চট করে সেটাতে বসে পড়লো। এক নজরে চারিদিক দেখে নিল। ঘরের ভেতরটা বেশ বড়। মাঝামাঝি খানিকটা জায়গা বসার জন্য। সাথে ছোট্ট রান্নাঘর। আর দুপাশে দু টো শোবার ঘর বোধ হয়।

চেয়ার টানার শব্দে প্রহর সামনে তাকাল। ফাতেমা রঙ উঠা আরেকটা চেয়ার টেনে সামনে বসে পড়লেন। গভীর মনোযোগ দিয়ে ক্রমাগত হাতের আঙুল নাড়তে থাকা মেয়েটির দিকে তাকালেন। অসম্ভব সুন্দরী একটা মেয়ে। উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের রঙ, কৃষ্ণকায় চোখের মণি, গোলগাল নাক, গোলগাল মুখ। মাথার চুলগুলোও বেশ। ছিমছাম সুন্দর। পরণের পোশাক দেখে মনে হচ্ছে বড় কোনো ঘরের। কিন্তু তার ছেলে তো মেয়ে বন্ধু বানানোর মতো ছেলে নয়। আবার সেই বন্ধুকে বাড়ি নিয়ে আসা। অসম্ভব! তিনি বললেন,

‘তোমার নাম কি যেন বললে মা?’

‘প্রহর। পূর্বিতা মাহমুদ প্রহর।’

‘ভালো। কিন্তু অনুভব আজ অবধি কোনোদিন কোনো ছেলে বন্ধুকে বাড়ি নিয়ে আসেনি। মেয়ে বন্ধু তো দূরের ব্যাপার।’

প্রহর জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করলো৷ বাইরে অস্বস্তি হলেও ভেতরটা পুলকিত হলো এটা ভেবে যে সিমরানকে কোনোদিন অনুভব বাড়ি নিয়ে আসেনি। তার মায়ের সাথেও পরিচয় করিয়ে দেয়নি। সে বলল,

‘আসলে আন্টি, আমি জানি অনুভব এমন। আমাকেও আপনাদের বাড়ি প্রথমে আসতে দিতে চাইছিল না। কিন্তু প্রজেক্টের কাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য শেষ মেষ রাজি হয়ে গেল। এসে পড়বে এক্ষুণি।’

প্রহরের ‘এসে পড়বে এক্ষুণি’ কথাটা বোধ হয় প্রকৃতি কান পেতে শুনে নিল। তবে অনুভব আসলো না, ঝমঝম করে টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ হলো। ফাতেমার সাথে সাথে প্রহরও চমকে উঠলো। খোলা দরজা দিয়ে দেখলো, প্রবল ধারার বৃষ্টি। মাথার উপরের টিনের চালে একের পর এক বৃষ্টির তীর নিক্ষেপ হচ্ছে। আকস্মিক বৃষ্টিতে দুজনেই কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েছে। ফাতেমার ঘোর কাটলো। তিনি দৌঁড়ে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দিলেন। তার শোবার ঘরের দিকে যেতে যেতে বললেন,

‘ঘরের জানালা বন্ধ করতে হবে৷ কাপড়ও তুলতে হবে।’

প্রহরের মন সচকিত হয়ে উঠলো। তার উল্টো দিকের ঘরটার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো এটা অনুভবের রুম। রুমটাতে যাওয়ার লোভ সামলাতে পারলো না সে। চেঁচিয়ে বলল,

‘আমি এই রুমটার জানালা বন্ধ করে দিচ্ছি আন্টি।’

বলেই সে ভো দৌঁড় দিয়ে রুমটার দিকে এগোল। ভেড়ানো দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতে পা থেমে গেল প্রহরের। বুকের ভেতরটা এক প্রকার ভালো লাগার বিষণ্নতায় ছেয়ে গেল। দরজাটা পুনরায় ভিড়িয়ে দিয়ে সে এগোল। জীর্ণ শীর্ণ রুম। হসপিটালের বেডের মতো একজনের শোয়ার মতো ছোট্ট একটা স্টিলের খাট। খাটের উপর মলিন একটা বালিশ। খয়েরি রঙের কাঁথাটা একপাশে গুটানো। একপাশে দেয়াল ঘেঁষে একটা টেবিল। টেবিলের পাশেই ছোট্ট একটা আলনা। বিছানার মাথার কাছে প্লাস্টিকের একটা র‌্যাক। তার উল্টো দিকে লাগোয়া ওয়াশরুম।

রুমের ভেতরের গন্ধটা বুক ভরে টেনে নিল প্রহর।সব জায়গা অনুভবের গায়ের গন্ধ ছড়িয়ে আছে যেন। ধীর পায়ে সে বিছানার দিকে এগিয়ে গেল।

প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ফিরলো অনুভব। দরজায় টোকা দেওয়ার জন্য স্পর্শ করতে খুলে গেল। চমকালো না সে। তার জন্য হয়তো মা খুলে রেখেছে। ভেতরে ঢুকে সে চারপাশে নজর বুলালো। ক্ষীণ স্বরে ডাক দিল,

‘মা? কোথায় তুমি?’

কোনো উত্তর এলো না। অনুভবের শরীর ভেজা জবজবে। গলির এটুকু আসতে নিয়ে সম্পূর্ণ ভিজে গেছে সে। এতক্ষণে শীতে কাঁপুনি ধরে গেছে। মাড়িতে মাড়ি আটকে আসছে। পরণের সাদা শার্টটা ভিজে শরীরের সাথে লেগে গেছে। তার গায়ের পানিতে ফ্লোর ভিজে যাচ্ছে দেখে সে দ্রুত রুমের দিকে পা বাড়াল।

শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে অনুভব রুমের ভেতর ঢুকলো। দরজাটা পুনরায় বন্ধ করে পেছন ঘুরলো সে।

(চলবে)….

রাতে বোনাস পার্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। আগের পার্টের লিংক কমেন্ট বক্সে।🧡

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here