#একটুখানি_সুখ
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ২৫
“মোহ আপু, স্বচ্ছ ভাইয়েরা তো এখনো এলো না। আসবে না নাকি? বিয়ে করবে তো?”
মোহের মাথায় লাল রঙের পাতলা কাপড় জড়িয়ে দিতে দিতে কিছুটা ভার কন্ঠে বলে উঠল কথাটা তৃণা। সঙ্গে সঙ্গে কপালে বেশ কয়েকটা ভাঁজ পড়ল মোহের। ঘরে থাকা বড় ঘড়িটার দিকে তাকালো সে। ঘড়ির কাটা ২ টা ৩০ মিনিট পার করে যাচ্ছে। নামাজ শেষ করেই রওনা দেওয়ার কথা ছিল পাত্রপক্ষের। বেশ অনেকক্ষণ আগেই নামাজ শেষ হওয়ার কথা! আর মোহের ও স্বচ্ছের বাড়ির দূরত্ব অনেক দূরেও না। বেশ কয়েকটা বড় শ্বাস ফেলে মোহ বলল,
“আমি কি করে জানব? এসে যাবে হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যে।”
“সত্যি আসবে তো?”
“আসবে না কেন? কি বলতে চাইছো তুমি?”
তৃণাকে কটাক্ষ করে প্রশ্নটা করল মোহ। তৃণা কিছুটা বিদ্রুপ করেই বলল,
“আমি কিন্তু জানি সকাল বেলা তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে স্বচ্ছ ভাইয়ার সঙ্গে দেখা করে এসেছো। আমি দেখেছি।”
বিস্ময়ের সঙ্গে তাকালো মোহ।
“তুমি এতো ভোরে…”
“আসলে কি বলো তো! আমার ঘুমই কেঁড়ে নিয়েছো তুমি। স্বচ্ছ ভাইয়াকে আমার থেকে কেঁড়ে নিয়ে আমার ভালো থাকাটাও কেঁড়ে নিয়েছো। খুব নিষ্ঠুর তুমি। জানি না দেখা করতে গিয়ে আর কি কি হয়েছে তোমাদের মাঝে। আজকাল ছেলেরা তো…”
তৃণাকে কথাগুলো সম্পূর্ণ করতে দেয় না মোহ। ধমকে ওঠে সে।
“চুপ করো তৃণা। তুমি এতো ছোট হয়ে কি করে এতো নিচু কথাবার্তা ভাবছো বলো তো? মাথা ঠিক আছে তোমার? তুমি না জেনে এসব কি আজেবাজে কথা বলছো? তুমি আমার ছোট বোনের মতো। তোমার সঙ্গে আমি মিসবিহেব করতে চাই না। সো প্লিজ বিহেব ইউরসেল্ফ! মিমি তো এসব জানে না তোমার ব্যাপারে। আমি চাই না জানুক। তাই আমায় বাধ্য করো না এসব করতে।”
বেশ রেগেমেগে তাকায় তৃণা মোহের দিকে। এতো দিন মোহের সঙ্গে কথাও বলেনি সে। মোহ কথা বলতে এলে বার বার এড়িয়ে করে চলে গেছে। আজকেই নিজ থেকে কথা বলল তাও আবার বিদ্রুপ করে। ছোট বয়সে নিজের পছন্দের মানুষকে অন্য কারো হয়ে দেখা যেন তার সহ্যই হচ্ছে না। মোহও কিছু করতে পারছে না। কারণটা তার বাধ্যবাধকতা।
নিজেকে ভালো করে একবার দেখে নিল মোহ। ড্রেসিংটেবিলের সামনে বসা সে। আশেপাশে ছড়িয়ে গেছে তার পরনের লাল রঙের জাঁকজমকপূর্ণ কাজ করা লেহেঙ্গা। এটা পড়ে সে হাঁটতে পারবে তো? তার ওপর পেন্সিল হিল! মনে মনে সে পরিকল্পনা করে নিল হাতে জুতো নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামবে। ভেবেই তার হাসি বের হলো। হাসতে গিয়েও হাসল না সে। আচমকা তার কানের কাছে বাজতে থাকল,
“এতোটা সুন্দরী কে হতে বলেছে তোমায়? আমায় গ্রাস করে ফেলবে নাকি? এবার তো আমার ভয় লাগছে!”
চমকে পেছন তাকালো মোহ। আশেপাশে কেউ নেই। সে ঘরে একা। অথচ সে শুনতে পেয়েছিল স্বচ্ছ কানের কাছে ফিসফিস করে কথাটা বলছিল। কিন্তু কোথায় সে? তার কি ভ্রম হয়েছে। ভেবে আবারও আয়নার দিকে তাকালো সে। এরূপ ভ্রমের কথা ভেবে তার মুখশ্রী লাল হয়ে এলো। আজকাল কি সব ভাবনা স্বচ্ছকেই ঘিরে হতে হবে? কেন, কেন, কেন? অনুভূতিরা কি পাল্টাচ্ছে? ভাবনারা কি পাল্টাচ্ছে। মনে দোলা লাগা কীসের সংকেত?
স্বচ্ছ আর তার পরিবার এখনো এসে পৌঁছায়নি। এবার বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন মিসেস. নিরা। বার বার কল করে চলেছেন ওই বাড়িতে। কিন্তু কারোর ফোন থেকে কল ধরছে না। ড্রয়িংরুমে বেশ কয়েকটা অতিথিতে ভর্তি! উনারা এবার কানাকানি শুরু করে দিয়েছেন। অবশেষে মোহের এক দূর সম্পর্কের চাচি জিজ্ঞেস করেই বসলেন,
“কি গো নিরা? কোথায় পাত্রপক্ষ? পাত্রপক্ষ তো নিজেদের লোকই। এতো দেরি হয় কেন? সব ঠিকঠাক আছে তো?”
“হ্যাঁ। ঠিকই আছে ভাবি। এইতো আর কিছু্ক্ষণ।”
মুখে জোরপূর্বক হাসি ফুটিয়ে বলে উঠলেন মিসেস. নিরা। একজন বিড়বিড় করে বলে উঠলেন,
“মনে তো হয় কিছু ঠিকঠাক আছে। থাকলে এতো দেরি হতো? কয়েকদিন আগেই না ওদের কুকীর্তি ফাঁস হলো? তারপরই তো এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে! এখন ছেলে মানা করে দিল নাকি কে জানে!”
কথাগুলো বিড়বিড় করে বললেও মিসেস. নিরার কানে ঠিকই এসে পৌঁছালো। অবশেষে বিরক্ত হয়ে বিষণ্ণ মুখ ভেবে চলেছেন ওদের আবার কিছু হলো না তো? নাকি স্বচ্ছ নিজের মত পাল্টে দিল? স্বচ্ছ এমন একটা ছেলে সে যদি ‘না’ বলে তাকে দিয়ে কখনো হ্যাঁ করানো সম্ভব নয়। এবার বেশ আতঙ্কে পড়ে গেলেন মিসেস. নিরা। বেশ জোরে জোরে তিহানকে ডাকতে শুরু করলেন উনি।
“তিহান? তিহান? কোথায় এদিকে আয় না রে।”
ডেকোরেশন কিছুটা বাকি থাকায় সেসবেই হাত লাগিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছিল তিহান সকলকে। মায়ের ডাক পেয়ে কিছুটা ছুটে এসে বলে,
“হ্যাঁ মা?”
“শোন না রে! সময় তো পার হয়ে যাচ্ছে। খাবার জায়গাতে যতটুকু অতিথি এসেছিল সবাইকে বসিয়ে রেখেছে বাড়ির সার্ভেন্টরা। ওখানেই তো স্টেজও আছে। না জানি এতক্ষণে কে কি বলা শুরু করে দিয়েছে। স্বচ্ছকে ফোন কর। ছেলেটা মত পাল্টে দিল না তো? ভয় হচ্ছে আমার। আবার যদি ওর পরিবারও মত পাল্টে দেয়? তাহলে তো স্বচ্ছও রাজি হবে না।”
তিহান কিছু বলতে উদ্যত হলেই বেশ জোরে কারো কন্ঠে শোনা যায়।
“হোয়াট ছোট ফুপি? তোমার স্বচ্ছ যদি একবার হ্যাঁ করে তাকে ফ্যামিলি কেন সে নিজেই নিজেকে না করাতে পারবে না। সরি লেট হয়ে গেল!”
চেনা কন্ঠস্বরে হকচকিয়ে তাকান মিসেস. নিরা। স্বচ্ছকে দেখে বেশ উৎফুল্লতা প্রকাশ করলেন উনি। উঠে দাঁড়ান। সবার উদ্দেশ্যে বলে ওঠেন,
“আরে এইতো এসেছে স্বচ্ছ!”
সামান্য লোকজন হলে কি হবে? হৈ-হুল্লোড় পড়ে যায় স্বচ্ছকে নিয়ে।
গোমড়া মুখে মোহের বাড়িতে প্রবেশ করলেন মিসেস. রেবা ও নেহাল সাহেব। স্বচ্ছ হাঁটছিল নেহাল সাহেবের পাশাপাশি। সে হাঁটতে হাঁটতে তার বাবার কানে ফিসফিসিয়ে বলল,
“মনে আছে তো আমার শর্তের কথা? বিয়ে হবে! বউ বাড়িতে যাবে। তারপরেই ভাই কোথায় আছে সেটা জেনে যাবে। কিন্তু বিয়েটা ঠিকঠাক হতে হবে বাবা। সো স্মাইল প্লিজ!”
জোর করে হাসলেন নেহাল সাহেব। এবার এই ছেলেটাও অচেনা হয়ে উঠেছে। মরিয়া হয়ে উঠেছে এক রমনীকে পাবার জন্য! এক নারী যখন কোনো পুরুষের মাথায় ঝেঁকে বসে এবং যখন সেই পুরুষের মনের সাথে মিশে যায় তখনই এতোদিনের নিয়মের পরিবর্তন ঘটিয়ে সে মরিয়া হয়ে ওঠে সেই নারীকে পাবার জন্য। ভালোবাসা বড়ই বিষাক্ত!
ঘরে দম বন্ধ লাগছিল মোহের। বাহিরে চেঁচামেচি শুনে এবার ছটফটিয়ে উঠে দাঁড়াল সে। এতো ভারি কাজ করা কাপড়ে যেন সে ঠিকঠাক হাঁটতেও পারবে না। লেহেঙ্গার নিচের অংশের দুদিকে ধরতেই ভ্রু কুঁচকে আসে তার। কোনোমতে ধীর পায়ে দরজা ঠেলে বাহিরে করিডোরে বেরিয়ে আসে সে। দুদিক দিয়েই সিঁড়ি মোহের বাড়িতে। সিঁড়ির ঠিক মাঝখানে দাঁড়ায় সে। মাঝখান থেকে স্টেজ ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে। তার দুচোখ খুঁজছে কাঙ্ক্ষিত মানুষটিকে। এতো ভীড়ে কোথায় সে? অবশেষে মোহের চোখ আঁটকায় খয়েরী রঙের শেরওয়ানি পরিহিত এক সুদর্শন পুরুষের দিকে। মুক্তভাবে হাসিতে চমৎকার লাগছে তাকে। এভাবে কেউ হাসে? হঠাৎ তাকালে তো যে কেউ হার্টবিট মিস করে ফেলতে পারে। মাথায় পাগড়ি দেওয়াতেও স্বচ্ছের অগোছালো চুল ঢাকতে পারেনি। সেটা দেখে বেশ হাসি পাচ্ছে মোহের। আরেকটু গভীর মনোযোগ দিয়ে যদি ধূসর বর্ণের মাদকতা চোখজোড়া দেখা যেত কতই না ভালো হতো! এই ভাবতেই হুট করে স্বচ্ছ মাথা উঠিয়ে করিডোরে থাকা মোহের দিকে তাকায়। কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে ওঠে মোহ। রেলিং ছেড়ে চলে আসে মৃদু হাসি দিয়ে। আজ তার ধরা দিতে মন চাইছে না স্বচ্ছের চোখে।
এলো কাঙ্ক্ষিত সময়। লজ্জায় একেবারে তটস্থ হয়ে গিয়েছে মোহ। মুখে রাজ্যের লজ্জা ভর করেছে তার। মুখ নিচু করে থাকতে থাকতে যেন একেবারে পড়েই যাবে। স্বচ্ছ নির্বিকার ভঙ্গিতে বসে আছে। যেন কিছুই হয়নি। সকলে অধীর আগ্রহে বসে আছে কখন মোহ ‘কবুল’ শব্দটি উচ্চারণ করবে। অথচ স্বচ্ছকে বলার সঙ্গে সঙ্গে সে দম ফেলে এক নিশ্বাসে তিনবার কবুল বলে একধ্যানে মোহের দিকে তাকিয়ে আছে। সকলে হেঁসে ফেলেছিল স্বচ্ছের কান্ডে। কেউ কেউ তো বলছে, ‘ছেলের বিয়ের দেখি খুব তাড়া’। তারপরেই এসেছে মোহের পালা! সকলে উদগ্রীব।
“আপনি একটু অন্যদিকে তাকাবেন প্লিজ!”
ফিসফিস করে স্বচ্ছের উদ্দেশ্যে বলল মোহ। স্বচ্ছ আশেপাশে তাকিয়ে বলল,
“আমাকে বলছো?”
“জি। আপনাকেই বলছি। এমনিতে সকলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনি তাকিয়ে থাকায় অস্বস্তি আরো বেশি হচ্ছে।”
“আমার এতটুকু দৃষ্টিতে তুমি তো একেবারে নিচে হেলে পড়তে পড়তে কুঁজো হয়ে যাচ্ছো সুন্দরী! বিয়ের পর আমাদের সো কলস স্পেশাল নাইটে যেভাবে তাকাবো তুমি ঠিক থাকতে পারবে তো?”
লজ্জায় চমকে তাকায় মোহ। তৎক্ষনাৎ চোখ সরিয়ে আশেপাশে তাকায় সে। কাজি সাহেব আবারও বলে ওঠেন,
“মা কবুল বলো!”
“হ্যাঁ মা কবুল বলো। ফাস্ট!”
আবারও স্বচ্ছের এমন কথা শুনে রীতিমতো ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় মোহ। বাকি সকলেও থতমত খেয়ে চেয়ে রয় স্বচ্ছের পানে। সবার এমন রিয়েকশন দেখে স্বচ্ছ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলে ওঠে,
“আরে সবাই এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন আমার দিকে? আমি জাস্ট ওর সাহস একটু বাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম।”
সকলে আবারও উচ্চস্বরে হেঁসে ওঠে। লজ্জা ও রাগে একাকার হয়ে ওঠে মোহ। তড়তড় করে ঘামতে থাকে স্বচ্ছের এমন কান্ডে। এই লোকটার সাথে একসাথে নাকি থাকতেও হবে। কি করে থাকবে সে? কখন কি বলে তার ঠিক নেই! দাঁতে দাঁত চেপে পাশে বসে থাকা স্বচ্ছের হাতে জোরে চিমটি কাটতে হালকা চোখমুখ জড়িয়ে মোহের দিকে তাকায় সে। কি হয়েছে সেটা চোখ দিয়ে ইশারা করে জানতে চায় স্বচ্ছ। মোহ এগিয়ে এসে স্বচ্ছের কানের কাছে বলে,
“আপনি জানেন? আপনার কথাবার্তা শুনে এখনই বিয়ে থেকে উঠে গিয়ে হাত-পা ছড়িয়ে কান্নাকাটি করে সবাইকে বলতে ইচ্ছে করছে, ‘এমন অসভ্য লোকের সঙ্গে আমায় বিয়ে দিও না কেউ!’ একটু তো মুখ কন্ট্রোল করুন।”
বাঁকা হাসে স্বচ্ছ। হালকা ফুঁ দিয়ে বলে,
“ইউ নো হোয়াট? এখন যদি তুমি বিয়ে নাও করতে চাও তাহলে তোমায় জোর করে বিয়ে করব। কারণ তুমি আমার জন্য আজ তৈরি হয়েছো। সেটা বৃথা যেতে দিচ্ছি না আমি। আর আমি ঠিক করে নিয়েছি সেই হরিণী চোখ যা লজ্জায় পরিপূর্ণ থাকে! সেই লজ্জা সবসময় আমি দিতে চাই।”
স্বচ্ছের চোখের দিকে তাকালো মোহ। স্বচ্ছের চোখজোড়ায় মোহের বড্ড পছন্দের। পুরুষ মানুষেরও যে এতোটা সুন্দর চোখ হয় জানা নেই মোহের। সুন্দর করে আবৃত চোখের পাপড়ি আরো মোহনীয় করে তুলেছে। এবার মিসেস. নিরা এগিয়ে এসে ফিসফিসিয়ে বলেন,
“মোহ! তুই কবুল বলবি না? সবাই কিন্তু অন্যরকম কথা বলবে।”
ফোঁস ফোঁস করে নিশ্বাস ছেড়ে ঢক গিলে নেয় মোহ। চোখ বন্ধ করে ফেলে সে। কথায় আছে অতীত পিছু ছাড়ে না। মোহের অতীতটাও ছাড়ছে না। সে অতীতটাকে আর পছন্দ করে না। চায় না আয়মান নামক বিষাক্ত মানুষটাকে। যে অসময়ে তাকে ছেড়ে গিয়েছে। স্বচ্ছের সাথে কাটানো মূহুর্ত মনে হতেই অনুভূতিরা যেন সুন্দর হয়ে এলো। তিরতির করে কাঁপছে মোহের ঠোঁট। নিশ্বাস নিয়ে তিনবার কবুল বলেই দিল সে। কেউ আলহামদুলিল্লাহ বলবে তার আগেই স্বচ্ছই উচ্চস্বরে আলহামদুলিল্লাহ বলে ফেলল। আবারও বসে গেল হাসির রোল। মোহও মুচকি হেঁসে বন্ধ নামিয়ে ফেলল চোখ। তার কানে ভেসে এলো স্বচ্ছের শীতলতায় ভরা কন্ঠ!
“সো মিসেস. আহিয়ান হয়েই গেলে এট লাস্ট। নির্ঘুম কাটিয়ে দিতে হবে আমায় সারা রাত। কারণ সুন্দরী তো আমাকেই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে কাটাবে আজ থেকে সারাজীবন। শেষ নিঃশ্বাস অবধি। কি কাটাবে তো?”
চলবে…
[বি.দ্র. কাল গল্প দিই নি। তার জন্য দুঃখিত। আমি একটু অসুস্থ ছিলাম। মাথাব্যথা ছিল আরো কিছু কারণ ছিল। কালকেও গল্প দিতে পারব কিনা তার সিউরিটি দিতে পারছি না। কাল আমার ভাইয়ের জন্মদিন। তাই হয়ত ব্যস্ত থাকতে পারি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।]
লেখিকার গল্পের গ্রুপ : আনিশার গল্পআলয় (সাবির পাঠকমহল)🤍