শিমুল_ফুল #৪৬

0
526

#শিমুল_ফুল
#৪৬
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর

শিমুল বাড়িতে যায়।গ্রামে এসে তার মাকে না দেখে চলে যাবে?কখনোই না।সেই কতোমাস ধরে মায়ের মুখটা দেখে শান্তি নেওয়া হয় না।রাবেয়া প্রায়ই ফোন করে কান্নাকাটি করে।তাই শিমুল সকালে ঘুম থেকে উঠে পুষ্পর থেকে বিদায় নিয়ে বাড়িতে গেলো।তার মনের ভাব মায়ের কাছে ঘন্টাদুয়েক থেকে ঢাকা চলে যাবে।শিমুল বাড়িতে ঢুকছে।যেই বাড়িতে শৈশব থেকে যুবক হয়েছে আজকে সেই বাড়িতে ঢুকতেই শিমুলের কেমন অসস্তি লাগছে।হয়তো বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো বলেই এমন লাগছে।রাবেয়া ছেলেকে দেখে আবার কান্নাকাটি শুরু করেন।দুজনে সোফায় বসে কথা বলার এক পর্যায়ে শওকত হাওলাদার আর মজিব হাওলাদার বাড়িতে আসে।তারা কেউই ড্রয়িংরুমে শিমুলকে আশা করেনি।শওকত হাওলাদার গলা ছেড়ে ফুলিকে ডেকে পানি দিতে বলে ড্রয়িংরুমে আসে।শিমুলকে দেখে কিছুটা চমকে যায়।শিমুল অপ্রস্তুত হয়ে নড়েচড়ে বসে।তারপর কাঠকাঠ গলায় বললো,
“কেমন আছেন?”

শওকত হাওলাদার নিজের ঘরের দিকে পা বাড়াচ্ছিলো কিন্তু শিমুলের কথা শুনে দাঁড়ায়।আস্তে করে সোফায় বসে।পূর্ণদৃষ্টি মেলে শিমুলের দিকে তাকায়।ছেলেটা কি একটু শুকিয়ে গিয়েছে?হয়তো!শওকত হাওলাদার ইদানীং বেশ শূন্যতা অনুভব করেন।শিমুল ছাড়া যে তিনি কতোটা অচল তা হাড়ে হাড়ে টের পান।আস্তে করে বললো,
“ভালো।তোমার কি অবস্থা?”

শিমুল তার আম্মার দিকে তাকায়।রাবেয়া অবাক হয়ে স্বামীকে দেখছে।শিমুল বললো,
“আলুহামদুলিল্লাহ।”

মজিব হাওলাদার ঠেস দিয়ে বললো,
“কি করোছ ঢাকা?গার্মেন্টস টার্মেনস কাজ করোছ নাকি?”

বাবার কথায় শওকত হাওলাদার বিরক্ত।ছেলেটাকে এসব না বললে হচ্ছে না?মজিব হাওলাদারকে কিছু বলার আগে শিমুল জবাব দেয়।শিমুল মুচকি হেসে মজিব হাওলাদারের দিকে তাকায়।
“গার্মেন্টসে কি মানুষ কাজ করেনা?গরু ছাগল কাজ করে নাকি?তাহলে গার্মেন্টস নিয়ে এতো অবহেলা কেনো?অনেক মানুষ আছে গার্মেন্টসে কাজ করে সংসার চালায়।”

শিমুল থামার পরে রাবেয়া গর্বের সাথে বললো,
“আমার শিমুল ভার্সিটির প্রফেসর।”

শওকত হাওলাদার চমকে শিমুলের দিকে তাকায়।প্রফেসর!উনার চমকে তাকানোটা শিমুলের চোখে পড়ে।ভেবেছিলো কিছুক্ষণ থাকবে কিন্তু তা আর সম্ভব না।

পেশকারা শুনে হতভম্ব।শিমুল ভার্সিটিতে পড়ায়?বেতন কতো?গলা বাড়িয়ে বললো,
“ভাই তোর বেতন কতো রে?”

পেশকারার কথা শুনে শিমুল হাসে।ভাই!কতো য/ন্ত্রণা যে এই মহিলা তাদের দিয়েছে তা তারাই জানে।সে দাম্ভিকতার সাথে বললো,
“বউ পালতে পারছি।”

শিমুল কোন কথার পিঠে এই কথাটা বলেছে শওকত হাওলাদার ঠিক বুঝতে পারছে।আজকে তার মনে হচ্ছে এতো ছোট একটা মেয়ের সাথে তারা একটু বেশীই অন্যায় করে ফেলেছেন এতোটা না করলেও হতো।আর পুষ্পর সাথে এমন না করলে হয়তো শিমুলও ঢাকামুখী হতো না আর তার এই দুর্দশার দিনও আসতো না।শিমুল উঠে দাঁড়ায়।হাতের ছাইরঙা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখে।
“মা।আসি তাহলে?”

রাবেয়া বাধ সাধে।
“আব্বা দুপুরে খেয়ে যা।”

“না আম্মা।রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকে।আসি।”

শিমুল চলে যাচ্ছে!শওকত হাওলাদারের বলতে ইচ্ছা করে শিমুল আর ঢাকায় যাওয়ার কি দরকার!বাড়িতেই থেকে যা না!তুই না থাকলে বাড়িটা খালি খালি লাগে।আবার আমার হয়ে কাজ কর,তোকে ছাড়া আমি অসহায়।কিন্তু দাম্ভিকতার জোড়ে হেরে যাওয়ার জেদে নিজেকে আর মেলে দেয়া হয় না।মায়াটা মনের গহীনে চলে যায়।পেশকারা কিছু বলতে চাইলে শওকত হাওলাদার চোখ রাঙায়।উনারা আজকেও এতো কথা কিভাবে বলে?উনারাই যতো নষ্টের মূল।শিমুল চলে যায়।

সময় তার গতিতে ছন্দ করে চলছিলো।পুষ্পর আর মাত্র দুইটা পরিক্ষা বাকি।মিজান শেখের আসতে একটু দেরী হয় বিধায় দুপুরে ভাত খেতে তিনটা বেজে যায়।টেবিলে গিয়ে পুষ্প দেখে গরুর মাংস রান্না হয়েছে।গরুর মাংস দেখেই কিনা শিমুলের হাসোজ্জল মুখটা চোখে ভেসে উঠে।তার শিমুল যে গরুর মাংস পছন্দ করে।রোকসানা পুষ্পর প্লেটে মাংস তুলে দেয়।পুষ্প খায় না চুপচাপ মাংসের দিকে তাকিয়ে আছে।টাকার অভাবে ঢাকা যাওয়ার পরে আর মাংস কিনা হয়নি খাওয়াও হয়নি।এই দুইমাস ধার-দেনা,ফ্লাট এডভান্স ভাড়া,আর টুকটাক কেনাকাটা দিয়েই টাকা ফুরিয়ে গিয়েছে।এই মাংস তরকারী পেলে শিমুল অনেকটা ভাত খেতে পারতো।কি জানে আজকে দুপুরে কি খাবে!এই তরকারি কি পুষ্পর গলা দিয়ে নামবে?বুকটায় জ্বালাপোড়া হয়।সামান্য একটা তরকারীই তো তাও কেন জানি পুষ্পর চোখ ভরে পানি আসে?মা বাবার সামনে পানি দেখাতে চায় না বিধায় উঠে বলে বাথরুম থেকে আসছি।রুমে গিয়ে মায়ের মোবাইল দিয়ে শিমুলকে ফোন দেয়।শিমুল তখন ভাত খাচ্ছিলো।ফোন ধরে অস্পষ্ট গলায় বললো,
“পাখি ভাত খাচ্ছি।”

“এতো দেরী কেনো?”

“মাত্র ভার্সিটি থেকে আসলাম।”

পুষ্প জবাবে বলে,
“কি দিয়ে খাচ্ছো?”

“সকালে তাড়াহুড়োয় রান্নার সময় পাইনি।তাই আজকের স্পেশাল মেনো ছিলো মসুর ডাল আর ডিম ভাজি।মাত্র এসেছি রান্নার সময়ই পাইনি সকালের যা ছিলো তাই খাচ্ছি।”

পুষ্পর গলা ধরে আসে।কোনোমতে বললো,
“তোমার খাওয়ার খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না?”

“না রে বউ।কোনো কষ্ট হচ্ছে না।পা/গলি তুমি কি এসব নিয়ে টেনশন করছো?”

“আমি জানি কষ্ট হচ্ছে কিন্তু তুমি বলবে না।”

শিমুল কাধ বাকিয়ে মোবাইল কানে ঠেকিয়ে বেসিংয়ে প্লেট ধুয়ে রাখে।আসলেই তার খাবারে একটু সমস্যা হচ্ছে কিন্তু পুষ্পকে এসব বলা যাবেনা।সে জানে মেয়েটা তাকে নিয়ে কতোটা টেনশন করছে।পুষ্পর কথা পাত্তা না দিয়ে বললো,
“আরে না।”

পুষ্প কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে।তারপর হঠাৎ ফুপিয়ে উঠে বললো,
“মিস করছি।কবে আসবে?”

শিমুল হাসে।পুষ্পবিহীন ফ্লাটটা তার কাছে খুব অসহ্য লাগছে,পুষ্পর শূন্যতা বুকের গভীরে ঘুচিয়ে বুকটা র/ক্তা/ক্ত করছে।সেও তো রাজ্যের মিস করছে তার পুষ্পরানীকে।আদুরে গলায় বললো,
“এখন তো আসতে পারবো না সোনা।”

পুষ্প অভিমানে টলমল করে বলে,
“না কেনো?তুমি কি আমাকে মিস করছো না?আমাকে বুকে না নিয়ে ঘুমাতে পারছো?আমি তো পারছিনা।এমন কেনো তুমি?”

শিমুল হাসে।এটা ঠিক প্রথম কয়দিন পুষ্পকে ছাড়া ঘুমাতে কি যে খারাপ লাগতো।কতোদিন ধরে মেয়েটা বুকে ঘুমায় হঠাৎ করেই শূন্যতায় শিমুলের চোখের ঘুম চলে গিয়েছিলো।কিন্তু কয়দিন যাওয়ার পরে আস্তে আস্তে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে।কথায় আছে না মানুষ অভ্যাসের দাস!বউকে মানাতে বললো,
“ঢাকা আসলে সারাক্ষণ বুকে নিয়ে রাখবো।হলো?”

“না হলো না।আমার আজকেই চাই।চাই মানে চাই।”

“পরিক্ষাটা শেষ হোক গিয়ে নিয়ে আসবো।এর মাঝে আর যাবো না আমি গেলেই দেখেছি তোমার পড়া হয় না।”

“আমি পড়বো।প্রমিস।আসো প্লিজ।”

“ওরে আল্লাহ।বউটা কি খুব মিস করছে?”

পুষ্প আহ্লাদে গলে যায়।
“হুম।”

“কিন্তু ভার্সিটিতে ক্লাস পরিক্ষা আছে।খাতা টাতা দেখতে হবে।খুব ঝা/মেলাই আছি।”

পুষ্প বুঝলো শিমুল আসবে না।মন খা/রাপ করেই ফোন কাটে।কালকে শুক্রবার কিন্তু শিমুল আসবে না।চুপচাপ ভাত খেতে যায়।অল্প একটু ভাত খেয়ে উঠে পড়ে।

রাত তখন কয়টা জানা নেই।পুষ্প অনুভব করে তাকে আষ্টেপৃষ্টে কেউ জড়িয়ে আছে।ছোঁয়াটা,গায়ের গব্ধটা,বুকের হৃদস্পন্দটা পুষ্পর খুব পরিচিত।আধো ঘুমের মধ্যেই বুঝলো এটা শিমুল।হুট করে চোখ খুলে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকায়।শিমুল হাসছে।পুষ্প অবাক হয়।শিমুল যে!তার কি আসার কথা ছিলো?সে তাহলে পুষ্পর ডাকে সাড়া দিতেই এসেছে!মস্তিষ্কটা ঘুম থেকে জেগে খুশীতে ভরে গেলো।বিড়ালের মতো শিমুলকে জড়িয়ে ধরে।
“সত্যি এসেছো?”

শিমুল হাসে।আহ্লাদীর আহ্লাদে সামিল হতে তার কোনোকালেই আপত্তি ছিলো না।ফোনেই বুঝেছিলো আজ রানীর মন খারাপের দিন।এতো দূর থেকেও ঠিক প্রেয়সীর মিন খারাপের আঁচ টের পাচ্ছিলো।শিমুল থাকতে তার শিমুলরানীর মন খারাপ থাকবে?অসম্ভব!তাইতো ছুটে আসা।পুষ্পকে ঘুমোতে দেখে আর জাগাতে ইচ্ছে করেনি।ফ্রেস হয়ে শাশুড়ির আপ্যায়নে খাবার খেয়ে এসেছে।রুমে এসে এলোমেলো বউটাকে দেখে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি।পিছন থেকে আদুরে স্পর্শে জড়িয়ে নিয়েছে।শিমুল জানে পুষ্প জেগে যাবে।হলোও তাই।
“জ্বী।রানী হুকুম করলো না আসলে যে গ/র্দান যাবে।আমি এতো তাড়াতাড়ি গ/র্দান হারাতে চাই না।”

পুষ্প খিলখিল করে হেসে উঠে।এই পুরুষটা তাকে এতো বুঝে।তার।ছোট ছোট ইচ্ছাগুলোকে এতো প্রাধান্য দেয়।তার মনের রাজ্যে সুখের বন্যা বয়িয়ে দিতে একটুও কিপটামো করে না।
“গ/র্দান চাই না।আমি খুব খুশী হয়েছি।”

“আচ্ছা!তাহলে খুশীর প্রতিদান কি দিবে?”

পুষ্প চোখ পিটপিট করে তাকায়।দুষ্টুমির গলায় বললো,
“চকলেট।”

“আমাকে বাচ্চাদের খাবার দিচ্ছো কেনো?আমি কি বাচ্চা!অন্য কিছু দাও।বড়োদের কিছু।”

“বড়োদের কিছু মানে?”

শিমুল বাম চোখটিপে বললো,
“থাকেনা কিছুমিছু।”

পুষ্প কথার সুর ধরতে পেরে বললো,
“ওরে দুষ্ট!”

শিমুল ভ্রু নাচিয়ে বললো,
“ওরে বাটপার!আমি দুষ্টু?আরেকজন যে আমার দহনে জ্ব/লেপু/ড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে।তার মতলব কি?”

পুষ্প মুচকি হেসে শিমুলের আদুল বুকে নাক ঘষে।
“কোনো মতলব নেই শিমুল ভাই।”

শিমুল শক্ত হাতে পুষ্পকে ধরে নিজের বুকের উপরে উঠিয়ে নেয়।ফিসফিস করে বললো,
“আপনি কি মনে করেছেন আমি আপনার মতলব বুঝি না?”

উপুর হওয়াতে পুষ্পর বেনীচুল সামনে লুটিয়ে পড়ে।
“দূর।এসব না।”

“তাহলে।কোনসব?”

“বরকে মিস করতে পারিনা নাকি?”

শিমুল পুষ্পর বেনী পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে বললো,
“আমি তো বুঝি গো সুন্দরী।”

পুষ্প শিমুলের গালে হাত রাখে।
“তোমাকে ভিষণ মনে পড়ছিলো।মনে হচ্ছিলো তোমার বুকে গেলেই শান্তি লাগবে।”

শিমুল তার হাত দিয়ে পুষ্পকে বুকে নিয়ে বললো,
“শান্তি লাগছে?”

“ভিষণ।তোমার বুকে আমার এতো শান্তি লাগে।”

শিমুল চোখ বন্ধ করে পুষ্পর বুকের ধুকপুকানি অনুভব করে।পুষ্প এই মূহুর্তে উপলব্ধি করে শিমুল ভ/য়ংকর প্রেমিক ভ/য়ংকর স্বামী।সঠিক মানুষটা যদি পাওয়া যায় তাহলেই সুখের প্রহর শুরু।একজীবনে প্রেমিককে স্বামী হিসেবে পাওয়া বড়ো সৌভাগ্য এমন সৌভাগ্য সবার হয় না।যার হয় সে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবতী।

পলাশ স্তব্ধ হয়ে বসে আছে তার হাতে প্রেগ্ন্যাসি কিট।তাতে স্পষ্ট দুটো লাল দাগ জ্বলজ্বল করছে।নিধি পাশে দাঁড়িয়ে আছে।উত্তেজনায়,খুশীতে পলাশের গলা শুকিয়ে যায়।শুকনো ঢোক গিলে বলে,
“আমার কান্না আসছে কেনো নিধি?”

নিধি মুখে হাত চেপে কেঁদে দেয়।ইশ তার পেটে অন্য কেউ ভাবতেই শরীর শিরশির করে উঠে।পলাশ বিছানা থেকে ফ্লোরে বসে নিধিকে টেনে কাছে নেয়।পেটে মাথা ঠেকিয়ে বলে,
“আম্মু আমার কথা শুনতে পাচ্ছো?আমি আজকেই জানলাম তুমি আসছো।আমার না কাঁদতে ইচ্ছে করছে।আম্মু তুমার পাপা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।লাভিউ আম্মু।”

পলাশের পাগলামি দেখে নিধি হাপুস নয়নে কাঁদে।পলাশ নিধিকে বুকে জড়িয়ে ধরে।
“তোমাকে কি দেবো নিধি?আমাকে এতো ভালো একটা খবর শোনালে।”

মা-বাবা হীন এতিম মেয়েটা নিজের একান্ত কেউ আসবে শুনে খুশীতে আর্তহারা।পলাশের কথা শুনে বললো,
“কিছু লাগবে না।”

পলাশ নিধির কপালে চুমু দিয়ে বললো,
“ধন্যবাদ নিধি।আমাকে এতো সুখ অনুভব করানোর জন্য।”

বাবা মা হওয়া এতো সুখের কেনো।খবরটা পাওয়ার পর থেকেই কেমন সুখের পর্দা দুজনকে ঘিরে রেখেছে।একটা সংবাদ যে এতো মিষ্টি হতে পারে জানা ছিলো না।এই সুখের রেশ তাড়াই অনুভব করতে পারবে যারা মা বাবা হয়েছে।কি বুক ধুকপুকানি অনুভূতি।পলাশ বারবার নিধির পেটে হাত ভুলাচ্ছে।নিধি হেসে বললো,
“এখনো কিছুই হয়নি।”

“তাতে কি?আস্তেধীরে হবে।আমি তো অপেক্ষা করবো।তাইনা আম্মু?”

পলাশ নিধির পেটে চুমু খায়।এতো যত্নে চুমু খাচ্ছে মনে হচ্ছে এটা নিধির পেট না এটা সদ্যজন্মানো কোনো বাচ্চা।পলাশ ভাবে এতো খুশীর সংবাদ তার আম্মাকে বলা অতি আবশ্যক।পলাশ রাবেয়াকে ফোন দেয়।
“আম্মা।রানী না রাজা চাই তোমার?”

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here