#মন_বাড়িয়ে_ছুঁই ❤
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ .
#পর্বসংখ্যা_২৩ . শেষ
#ফাবিয়াহ্_মমো .
মাহতিম বিভোর হলো, মুগ্ধ হলো, ডুবে গেলো। সে শুধু অপলক চাহনিতে তাকিয়েই রইলো। তার ঠোঁটে মিষ্টি হাসি, তার চোখে আকাঙ্ক্ষিত মূহুর্তের জন্য খুশি, তার দেহের প্রতিটি রোমে-রোমে প্রফুল্লতার সন্ঞ্চার। মাহতিম আবিষ্ট নজরে উঠে দাঁড়ালো বিছানা থেকে, ঠোঁটে হাসি মাখিয়ে মেহনূরের সামনে গেলো। বুকটা ফুলিয়ে বড্ড গভীরভাবে শ্বাস নিলো সে। ডানহাত এগিয়ে নতমুখটার থুতনি উঁচিয়ে ধরলো, ওই স্বচ্ছ-সরল-মায়াকাতর নয়নদুটিতে চোখ জড়ালো মাহতিম। আলতো ঢোক গিলে সুকোমল দৃষ্টিতে বললো,
– যেই সময়টার জন্য আমি অপেক্ষা করেছি মেহনূর, আমি জানি আমি ভুল ছিলাম না। যেই মেহনূরের ফুটন্ত নূরে আমি তিনবছর আগে ফেঁসে গিয়েছি, সেখান থেকে নিজেকে কোনোদিন মুক্ত করবো না। আমার বউ, আজ তোমাকে এমন জায়গায় এনেছি, যেখানে একসময় আমার বাবার স্মৃতি ছিলো। আমার বাবার জীবনে মায়ের প্রথম আগমনটা এই বাড়িতে। তখন এই বাড়িতে ছিলো আমার বুড়ো দাদী, আমার ফুপু, আমার চাচা। আমার বাবার জীবনে সবচাইতে আনন্দের মূহুর্ত এই বাড়িতে কেটেছে। বাবা-মায়ের সব স্মৃতি এই বাড়িতে আবদ্ধ, এই রুমের আনাচে-কানাচে মধুর দিনগুলো মিশে আছে। তোমাকে তো আমার জীবনের সবটুকু ভালোবাসা দিয়েছি। শুধু অধিকার মেশানো ভালোবাসা দেইনি। আজ আমি বয়সের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শুধু এটুকু বলতে চাই, জানিনা ক’বছর তোমার পাশে, তোমার মাথায় ছাউনি দিয়ে থাকবো। ঠিক ক’বছর তোমার চারিদিকে আমার অস্তিত্ব থাকবে। কিন্তু তিনটে বছরের দূরত্ব দিয়ে তোমার মনে যেই প্রণয়ের বীজ বুনেছি, আজ শুধু তোমার দেহে আমার ভালোবাসাটুকু রাখতে চাই। যেন,
এটুকু বলেই মাহতিম দুহাত বাড়িয়ে ওর মুখটা ধরলো। আরো গাঢ় হয়ে শীতল কন্ঠে বললো,
– যেন আমার অনুপস্থিতিতে সেই ছোট্ট-ছোট্ট হাতদুটো তোমায় ছুঁয়ে দেয়। তোমাকে বুঝিয়ে দেয়, ‘ আমি আছি ‘।
বলেই মাহতিম প্রাণপূর্ণ মায়ায় হাসি দিলো। মেহনূর জানে না এমন অদ্ভুত কথার মানে কি। কেন ‘অনুপস্থিত’ কথাটা কাটার মতো ফুঁটলো। মেহনূর সরল চোখে তাকিয়ে থাকতে-থাকতে দুচোখ ভরে টলমল অশ্রু ছুটে এলো। ঠোঁট কাঁপিয়ে ভেজা গলায় বললো,
– পার্থিব জীবনের পরিসীমা খুব ছোট, তাই না?
মাহতিম শুধু তৃপ্তির হাসিটুকু দিলো। নীরবে মেহনূরের কপালটা নিজের ওষ্ঠছোঁয়ায় চেপে গভীর চুমু খেলো। মেহনূর চোখদুটো বন্ধ করতেই দু’কোল ঘেঁষে টপ করে দু’ফোঁটা মোটা অশ্রু ঝরে পরললো। ভেজা হাতদুটো মাহতিমের পিঠ ছুঁয়ে সাদা শার্টটা মুঠোয় মোচড়ে ধরলো। বুকটার মধ্যে মাথা রেখে পরম সান্নিধ্যে নিজেকে মাহতিমের ডেরায় সমর্পণ করলো মেহনূর। নিজের উষ্ণ-নরম-পরিস্ফুটিত মনটা ক্ষণেক্ষণে উদ্বেলিত করার জন্য তার কাছে তুলে দিলো। তার দেহে মাহতিমের ভালোবাসাটুকু বপনের জন্য অন্তরালে সম্মতি বোঝালো। বাইরে বৃষ্টির তোলপাড়। ঘরের ভেতর নিস্তব্ধ অবস্থা। মূহুর্মূহু নিরবতায় শীতে কাঁপছে মেহনূর। উষ্ণতার কুঠিরে নিজেকে লুকোনোর জন্য প্রচণ্ড আনচান করছে। হঠাৎ মেহনূরের দু’বাহু ধরে বুক থেকে সরিয়ে দিলো মাহতিম। মেহনূর আচানক এমন কাণ্ডে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। শীত সহ্য করতে না-পরে তৎক্ষণাৎ হাতদুটো বুকের কাছে আড়াআড়ি করে রাখলো। শীতে যুঝতে থাকা মেহনূর আরক্ত চোখে মানুষটার পানে তাকালো। তার একান্ত সৌম্য মানুষটা সাদা শার্টটার বোতাম খুলছে। গা থেকে শার্টটা খুলে বাঁদিকে ছুঁড়ে মারতেই সেটা খস করে চেয়ারে যেয়ে পরলো। কোমরের কালো বেল্টটা ডানহাতে একটান মারলো সে। ধীরপায়ে মেহনূরের দিকে এগুতে-এগুতে সেটাও বাঁ-পাশে অনির্দিষ্ট জায়গায় ছুঁড়ে দিলো। দৃশ্যটুকু দেখে মেহনূরের সর্বাঙ্গে এক অদ্ভুত শিহরণ ছড়িয়ে পরলো। মৃদ্যু অনূভূতিতে চোখ বন্ধ করলো মেহনূর। অনুভব করলো, তার ভেজা বাহুদুটোতে হাত রেখেছে সে। ছুঁয়ে-ছুঁয়ে একটা হাত গলায় রেখে অন্য হাতটা কাধে ফেলেছে। কাধের বাঁ-পাশে দু’আঙ্গুলে চাপ দিয়ে খুলে ফেললো সেফটিপিন। তখনই কর্ণ-লতিতে অনুভব করলো প্রখর চাপ। ঈষৎ কম্পনে কুঁকড়ে গেলো মেহনূর। হাতের মুঠোদুটো আঙ্গুলে-আঙ্গুলে মুষ্টিবদ্ধ করলো। সেই কোয়ার্টারের প্রথম রাতটা ঝাপসা-ঝাপসা মনে পড়ছে। ঠিক একইভাবে কাধ থেকে ভেজা আঁচলটা ফ্লোরে লুটিয়ে পরলো। গা থেকে সমস্ত সিক্ত বসন খুলে দিলো মাহতিম। সবটুকু গাত্রাবরণী উন্মুক্ত করে নিজের বুকটার মধ্যে দ্রুত মেহনূরকে লুকিয়ে নিলো। এমন ভাবে লুকালো, যেন এই মেহনূরকে কেউ না-দেখুক। এমন ভাবে বাহুপাশে আবদ্ধ করলো, যেন তার দেহের আবরণে আবৃত হোক। চট করে কোলে তুললো মাহতিম। সাথে-সাথে নিজের দুহাতে মুখ ঢাকলো মেহনূর। ফিনফিনে সাদা পর্দা সরিয়ে শয়নশয্যার মধ্যভাগে শুইয়ে দিলো। পায়ের তলা থেকে নরম কম্বল নিয়ে বুক অবধি ঢেকে দিলো। জানালার ফাঁক গলে এক টুকরো নরম আলো আসছে। সেই আলোতে একবার আরক্তিম মুখটা দেখার জন্য ডাকলো। ব্যাকুল সুরে আদর মিশিয়ে বললো,
– ও মেহনূর,
ঝিমঝিম করে কিছু একটা হলো। মেহনূর বশীভুত হয়ে ঢোক গিলে হাতদুটো সরালো। অশান্ত নিশ্বাসে চোখ মেলে চাইতেই মাহতিমের ধারালো-প্রখর-সুগভীর চাহনিতে আঁটকা পরলো। পরমাদরে ক্ষুদ্র আহ্বান করলো মেহনূর। বিছানা থেকে মৃদ্যুভাবে হাতদুটো তুলে তাকে কাছে আসতে বললো। আজ গম্ভীর-রুক্ষ-বিচক্ষণ মানুষটার মুখে শুধু পরিপূর্ণ হাসির ঝলক। একটুও দেরি না-করে মেহনূরের উষ্ণ বাহুডোরে নিজেকে ছেড়ে দিলো। মেহনূর হৃদয়কাননের একান্ত মানুষটিকে দৃঢ়ভাবে জড়িয়ে ধরলো। তাকে ঢেকে দিলো কম্বলের আবরণে। মেহনূরের বাহুডোর থেকে মুখ তুললো মাহতিম। ওর মুখের উপর ঝুঁকে মৃদ্যু স্বরে বললো,
– আই লাভ ইউ।
মেহনূর তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো আবার শুনতে চাইলো। এ যেন ছুঁতে পাওয়া সোনার হরিণ। নির্ভার কন্ঠে বললো,
– আবার,
মাহতিম মুখ নামিয়ে ঠোঁটে চুমু খেলো। আবার তাকিয়ে বললো,
– আই লাভ ইউ। নে/ভির এই আনসারী আপনাকে খুব ভালোবাসে ম্যাডাম। আপনার প্রতি তিনবছরের জমানো লোভটা আজ আপনার জিম্মায় ছেড়ে দিতে চাই।
বজ্রপাতের দামাল শব্দে কেঁপে উঠলো দালান। শব্দে মেহনূর একটুও কাঁপলো না। খুব আস্তে-আস্তে তার হাতদুটোকে দখল করছে মানুষটা। আঙ্গুলের ফাঁকে-ফাঁকে গুঁজে দিচ্ছে আঙ্গুল। বিছানার সাথে সরু হাতদ্বয় চেপে ধরতেই কপালে চুমু খেলো। হৃদয়ের প্রতিটি স্তরে-স্তরে মানুষ যেমন অধিকার ফলায়, তেমনি নিজের অধিকার ফলালো মাহতিম। চোখের পাতায়, নরম গালে, সুডৌল নাকে, থুতনির মধ্যখানে ছুঁয়ে দিলো সে। গলার ওই ছোট্ট তিলতুল্য বিন্দুতে ওষ্ঠাধর চাপলো মানুষটা। মেহনূর সৌহার্দ্যে, সোহাগে, স্নেহের ভূষণে তলিয়ে যাচ্ছে। আজকের এই আনসারীকে চেনা বড্ড মুশকিল। তাকে নিয়ে রুক্ষ-গম্ভীর-শক্ত মূর্তির চেহারা কল্পনা করা যাচ্ছে না। কল্পনা করা যাচ্ছে, বেহিসেবি আদর করা অনুরক্ত পুরুষ। দীর্ঘ অধরচুম্বনের আশ্লেষে অবগাহন করলো মেহনূর। এই মাহেন্দ্রক্ষণটা তার দেহের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে শিরশির অনুভূতি ছড়ালো। এক নৈসর্গিক ভুবনের কাছে মুখপাত হলো। মেহনূর ভুলেই গেলো, আজ প্রকৃতি বড্ড চন্ঞ্চল। বাইরে বৃষ্টির হুঁ-হুঁ শোরগোলটা বেশ ভয়ানক। মফস্বলের আবহাওয়াটা খুব খারাপ। মেহনূর সমস্ত শরীরে মাহতিমকে অনুভব করলো; আরো অনুভব করলো, এক নিবিড়-আকুল-অব্যক্ত সন্ধি।
.
শব্দটা একবার হলো, দুবার হলো, তৃতীয় বার হতেই চমকে উঠলো রজনী। অস্থিরভাবে ঘুম থেকে উঠে ফোন খুঁজতে লাগলো। ফোনটা অসহ্য রিংটোনে বাজছে। ঝট করে বিছানা থেকে নেমে ওয়ারড্রবের কাছে গেলো। সেখানেই পেলো ফোনটা। কলার আইডি দেখে বুকটা খরার মতো শুকিয়ে গেলো। তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উ/ন্মাদের মতো নামলো। অন্ধকার হলরুমে দৌঁড় লাগিয়ে চিৎকার করলো, ‘ ভাইজান! কোথায় গেছেন? ‘
কোত্থেকে যেনো সাড়া দিলো,
– রজু, আমি এখানে। এদিকে চলে আয়।
শঙ্কিত চিত্তে ঢোক গিললো রজনী। চট করে তাকালো ডানদিকে। হ্যাঁ, ওইতো! ওইতো ওই রুম থেকে আলো জ্বলছে। রজনী তড়িঘড়ি করে ছুট লাগালে ফোনটা বাজতে-বাজতে বন্ধ হলো। বিশাল রুমটায় গিয়ে হাঁপাতে লাগলো রজনী। বড় ভাইয়ের দিকে বাড়িয়ে দিলো ফোনটা। তার ভাই জনাব রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি ইজিচেয়ারে বসা অবস্থায় ফোনটা হাতে নিলেন। সদ্য আসা কলটা চেক করে তিনি বিস্ফোরণ চোখে তাকালেন। ধপাস করে চেয়ার থেকে উঠে বিস্ময় চোখে বললেন,
– একি! এর মানে কি! কি হচ্ছে রজু? তোমাকে এ/ম/পির প/দ দিয়ে বড় ভুল করলাম নাকি? তুমি কি আমাকে ডো/বা/তে চাচ্ছো? এদের দ/ল তোমাকে কল দিচ্ছে কেন?
রজনী অপরা/ধীর মতো চোখ নিচু করলো। আফসোসের সুরে নত হয়ে বললো,
– কথা শুনুন ভাইজান, আমি খা/রাপ কিছু করিনি। সরদার মা//রা যাওয়ায় আমাদের যেই ক্ষ#তিটা হয়, ওটা ফিলাপের জন্য কল দিয়েছিলাম। এখন ওরা আমাকে শা/ষা/চ্ছে। বলছে আ/ন্ডা/রগ্রা/উ/ন্ডেও যেতে পারছে না। ওদের সবদিক থেকে ঘিরে ফেলছে। ওরা ধ/রা পরলে খুব বি/প/দ ভাইজান। চোখ বন্ধ করে আমাদের না/ম নিবে।
রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী রা/গে টেবিলের উপর এক ঘু/ষি মা/র/লো। টেবিলের সমুদয় জিনিস কিন্ঞ্চিৎ কেঁ/পে উঠলো। গজগজ করে বললো,
– কালাম সরদার সব খ/ত/ম করে গেলো! ওর জন্য কো/টি টা/কার অ/র্ডার এখন সা/প্লাই দিতে পারছি না। এইসময় পাঠাতে পারলে দ্বিগুণ দাম বসাতে পারতাম। সব শে/ষ করলো! সব শে/ষ করলো! রজু? এ্যাই রজু শোন, তুই আমাকে শুধু বল, এই খবরটা কিভাবে লিক হয়েছে? কোন্ বেজ/;ন্মা/র বা;/চ্চা স/রদারের ঘট/না ফাঁ/স করলো?
রজনী গভীরভাবে দম ছাড়লো। টেবিল থেকে গ্লাস তুলে ঢকঢক পানি গিলে বললো,
– নাম বললেও কি/ছু করতে পারবেন না। আমি ব্যর্থ হয়েছি ভাইজান। এখন কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না। বুঝতেই পারছিনা, মাহদির খু;//ন থেকে কিভাবে এসব হলো। কোথায় মাহদির খু;//ন; আর কোথায় আমাদের ব্যবসা। এখন দুটোকে তছনছ করে দিচ্ছে ভাইজান। এরকম চলতে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি প/দ হারাবো। পা;/র্টি থেকে গ/লা/ধা:ক্কা মা;র/;বে।
এর মানে এসবের সাথে মাহতিম জ/ড়িত। মাহদির খু//ন নিয়ে ত/দ/ন্ত করতে গিয়ে নিশ্চয়ই অনেক কিছু জেনেছে। নাহলে পা\গ:লা কু/কু/রের মতো পেছনে লাগতো না। এভাবে চলতে থাকলে সব ধা/ন্দা ব/ন্ধ হতে বাধ্য! এটা অসম্ভব! না, না, না! ওর আগানো চলবে না। ওকে রুখতে হবে। ওকে পথ থেকে স/রা/তে হবে। এই ভ/য়া\বহ বি/পদ যদি কোনোভাবে ফাঁ/স হয়, দে:শে;র মা\নুষ তাদের ছা/ড়বে না! এটা হতে দেওয়া যায় না, এটা হতে দেওয়া যায় না। চটপট ভঙ্গিতে টেবিল থেকে ফোন তুলে নিলো। একটা বিশেষ নাম্বারে কল দিয়ে বসালো। এখন বিকাল চারটা। ফোনটা ধরতে অসুবিধা হবে না। সত্যি-সত্যিই কলটা রিসিভ হলো,
– আসসালামুয়ালাইকুম ভাই। কেমন আছেন? কি খবর?
রোকনুজ্জামান কোনো কুশন না-সেরে সোজাসাপ্টা জিজ্ঞেস করলো,
– কোনো খবর আছে? নতুন কোনো খবর থাকলে এখনই জানাও। দেরি কোরো না, দেরি কোরো না।
ওপাশের ব্যক্তি চুপ মে/রে গেলো। কিছুক্ষণ তাকে লাইনে রেখে হঠাৎ বলে উঠলো,
– জ্বী ভাই, এইতো পাইছি। মাহতিমের ফো/ন থেকে কিছু পাওয়া যায় নাই। কিন্তু একটা ইর্ম্প/ট্যান্ট ক্লু পা/ইছি। উনার বউ মেহনূর আছে না? উনি নোমানকে ফোন দিছিলো, ক/লে মালিবাগের ক/থা ব/লছে। মনেহয় মাহতিম আ/র্জেন্ট ওখানে যাবে। আর এটা নিয়ে মেহনূর অনেক চি/ন্তায় আছে। এখন বাকিটা বুঝে নেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে গো/পন ম/জ/লিশ।
এমন চমকপ্রদ ঘটনা শুনে ভদ্রলোক আনন্দে হাসি দিলো। ঠিক যেন পৈ/শা/চিক/তার হাসি। শি/কারীর নাগালে যখন লো/ভনীয় শি/কা/র ফাঁ/সে, তখন তাকে মা/র/তে পা/রার যেই হিং/স্রা/ত্মক আনন্দ, ঠিক তেমনি একটা অপ/বি/ত্র হাসি দিলো। রজনী কয়েক হাত দূরত্ব থেকে সবকিছু দেখলো। সে এই হাসির অর্থ জানে; তবুও সে সন্তুষ্টির জন্য শুধালো,
– ভাইজান? সুখবর?
নির্যুত্তর রইলো রোকনুজ্জামান। ইজিচেয়ারে দোল খেতে-খেতে একপর্যায়ে উত্তর দিলো,
– আনসারীকে ক/য়টা টু/ক/রা করা যায় রজু? কয়টা পি/স করলে শান্তি পা/বো? এই জা/নো/য়া:রের বা/চ্চাকে পিস-পিস করে কু/;কু;র দিয়ে খাও/য়াবো। আমাকে চিনে না। আমার ধা/ন্দায় যদি গু/ল/তি মা;র/;তে আসে, আমি রোকনুজ্জামান ওকে ছিঁ;/ড়ে-ছিঁ/;ড়ে মা/র/বো। আমার ঘু\ম হা/রা/ম করে তুই মালিবাগ যা/বি? ওই মালিবাগের রাস্তায় তো/কে শু/ইয়ে দিবো জা/নো/য়া;রের বা/চ্চা!
চলমান .
#FABIYAH_MOMO .
#নোটবার্তা : শব্দ সতর্কতার জন্য চিহ্ন বসাতে হ য়। আমি দুঃখিত 💔