#মন_বাড়িয়ে_ছুঁই ❤
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ .
#পর্বসংখ্যা_২৮ .
#ফাবিয়াহ্_মমো .
গগনবিদারী হু:ঙ্কার দিচ্ছে। বজ্রপাত শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য চারপাশ অন্ধকার। এমতাবস্থায় বাইরে বেরুনো যায় না। দুপুর এখন বারোটা বাজে, অথচ বাইরের অবস্থা সন্ধ্যা। পুরো রাস্তায় পানি উঠে গেছে, কোনো যান চলাচল করছে না। সিএনজির ভেতর গুটিয়ে আছে মেহনূর, সে বজ্রনাদের সশব্দ হু:ঙ্কার নিতে পারে না। নীতি অস্থিরভাবে কল দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। সিএনজির দুপাশে প্লাস্টিক নামিয়ে দিয়েছে, যেন বৃষ্টির ছাঁট না আসে। কিন্তু বাতাসের লীলাখেলায় বারবার প্লাস্টিক সরে বেশ পানি আসছে। ভেজা আঁচলটা পিঠের উপর টেনে গুটিশুটি হলো মেহনূর, শীতকাতুরে দেহটা প্রবলভাবে কাঁপছে। পাশ থেকে নীতি ওর পিঠে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে। অন্যহাতে ফোন নিয়ে একের-পর-এক কল বসাচ্ছে। নেটওয়ার্কের কারণে বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন। হঠাৎ সিএনজি ড্রাইভারটা দুম করে গাড়ি থামালো। আরেকটু হলে নীতির মাথায় বেকায়দায় বা:রি লাগতো। ভাগ্যিস ফোনটা ছেড়ে সামনের জালযুক্ত বেড়িতে ডানহাত বসায়, তাৎক্ষণিকভাবে তাল সামলায়। নীতি প্রচণ্ড ক্ষে:পে গিয়ে কর্কশকণ্ঠে বললো,
– মা:থা খারাপ? এভাবে গাড়ি থামায়? এখনই আমার মা:থাটা ফে:টে দুভাগ হয়ে যেতো! কি আশ্চর্য! আপনি গাড়ি চালাতে জানেন না, তাহলে চালান কেন?
সিএনজি ড্রাইভারটা সম্পূর্ণ পিছু না ফিরে মুখটা শুধু ডান কাধে রাখলো। নীতির উদ্দেশ্যে উচ্চকণ্ঠে বললো,
– সামনে চাইয়া দ্যাহেন। রাস্তায় হাডু সমান পানি। এই পানির ভিত্তরে ক্যামনে নিয়া যামু? আপনেরা নাইমা যান। আর সামনে যাওন যাইবো না। আমার গাড়িতে পানি ঢুইকা পরলে ইন্ঞ্জিনে সমস্যা হইবো।
নীতি অযাlচিত কথা শুনে ভীষণ চ;টে গেলো। এগুলো কি ধরনের কথা? মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে আবার নেমে যেতে বলছে? মগের মুল্লুক পেয়েছে? এই বৃষ্টির মধ্যে কোথায় যাবে? নীতিও বেজায় রাগ দেখিয়ে কপাল কুঁচক বললো,
– আপনি কি জানেন না? বৃষ্টি পরলে রাস্তায় পানি উঠে? এটা কি নতুন কিছু? এখন আমরা কোথায় যাবো? আপনি আমাদের কোথায় নামানোর চেষ্টা করছেন? আগে বলেননি না কেন সামনে পানি দেখলে যাবেন না? এই ঝড়ো বৃষ্টির মধ্যে আর গাড়ি পাবো? আপনি গাড়ি স্টার্ট দিন। ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছি।
ড্রাইভার বেঁকে বসলো। সে যাবে না। স্পষ্ট সুরে বললো,
– ভাড়া চাইর গুণ বাড়াইলেও যামু না। আপনেরা বড়লোক মানুষ খালি ট্যাকা ট্যাকা করতে জানেন। এইদিকে আমার ইন্ঞ্জিন ন:ষ্ট হইলে হাজার ট্যাকার লস। হেই লসের ট্যাকা কি আসমান থিকা নাইমা আইবো? নাকি গাছ ঝাঁক্কি মাlরlলে ফড়ফড়ায়া পরবো? কথা বাড়ায়েন না। নাইমা যান। আমি আর যাইমু না।
লোকটার কথা শুনে ভীষণ রাগ হচ্ছে। তার চেয়ে বেশি রাগ লাগছে লোকটার উদাহরণটা শুনে। নীতি এমনেই বাংলাদেশের মাটিতে অভ্যস্ত না। যা একটু অভ্যস্ত সেটা শুধু ভাইয়ের জন্য এসেছে। এখন এই মূহুর্তে কি করবে? এই প্রবল বৃষ্টির মধ্যে কোথায় যাবে? এখনো গন্তব্য ত্রিশ মিনিট দূরে আছে। পানি ভেঙ্গে হেঁটেও যাওয়া সম্ভব না। ড্রেনের নোংরা পঁ:চা পানিতে রাস্তাঘাঁট বিশ্রী হয়ে আছে। হঠাৎ বাঁ-পাশ থেকে দাম্ভিকতার সুর এলো, এমনই ভাবে কথাগুলো বললো যেন এটা একটা স্বাভাবিক ইস্যু।
– মামা, কথা বাড়াতে হবে না। আমরা নেমে যাচ্ছি। আপনি এতদূর কষ্ট করে নিয়ে এসেছেন, এর জন্য আপনাকে তিনগুণ ভাড়াই দেবো। কিন্তু দয়াকরে অন্য যাত্রীর কাছে ডাবল ভাড়া চাইবেন না। সবাই পকেটের দিক দিয়ে এক না। বৃষ্টি হয়েছে বলে যাই-তাই ভাড়া চাইবেন এটা কিন্তু জ:ঘ:ন্য কাজ। নোং:রা ট্রি:ক্স চালিয়ে মানুষকে বিপদের মুখে ফেলবেন, আর গাছ ঝাঁ:ক্কি দেওয়ার হিসাব বুঝাবেন, এসব একদম ঠিক না।
মেহনূর দেরি করলো না। ড্রাইভারকে বলে দরজা খুলে সোজা পানিতে নামলো। বৃষ্টির তীব্র ছোঁয়া গায়ে মেখে ভাড়া গুণতে লাগলো। ডানহাত বাড়িয়ে তিনটে কচকচে নোট বাড়ালো সে। কাlঠখোট্টার মতো কথাগুলো বলেছে মেহনূর। কথার গরিমা দেখে অবাক হয়েছে নীতি। এমন ধাঁচের কথা শুধু একজনই বলে। ঢোক গিলতেই মাহতিমের পুরোনো কথা মনে পরলো। মাহতিম সেদিন স্টাডি টেবিলে বসে পেন্সিল দিয়ে কিছু একটা আঁকছিলো। কাগজে ব্যস্ত আঁচড় বসাতেই বাঁকা হাসিতে জানায়,
‘ ওকে একটু সময় দে। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। সবসময় চার দেয়ালে আবদ্ধ, ঘরকুনো, একা-একা থেকেছে। আমাদের সাথে মিশতে একটু সময় লাগবে। আমার বউকে আমার মতোই বানাবো। দরকার পরলে আমার চেয়েও এক কাঠি ধী-সম্পন্ন হবে। দেখে নিস নীতি। সবটাই সময়। ওকে ওর মতো ছেড়ে দে। চাপ দিলে যেমন প্যাঁচ কাটে, চাপ দিলে মানুষ বিগ;ড়ে যায়। ‘
‘ – চলো নীতি আপু। গাড়ি থেকে নামো। বসে থেকে লাভ শূন্য। উনাকে যেতে দাও। ‘
হঠাৎ পুরোনো ভাবনা থেকে ছিটকে এলো নীতি। মেহনূরের কথায় সম্বিত পেলো সে। গাড়িটা ছেড়ে দিয়ে চুপচাপ মেহনূরের কাছে আসে। রাস্তায় কেউ নেই। পানির উচ্চতা হাঁটু অবধি। রাস্তার দু’পাশে সবকিছু ঠান্ডা, দোকানপাট বন্ধ। নীতির দিকে তাকালো মেহনূর, সাদা পায়জামাটা লক্ষ করে বললো,
– পায়জামাটা উপরে তোলো। বেশি নোংরা হলে দাগ উঠে না।
নীতি প্রজার মতো কথাগুলো শুনলো। পায়ের নিচ থেকে গুটিয়ে-গুটিয়ে একটু উপরে তুললো। মেহনূর পা মাড়িয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলো, যে করেই হোক গন্তব্যের দিকে যাবে। মেহনূর কয়েক পা এগোনোর পর হঠাৎ থেমে যাচ্ছে। সন্দিহান চোখে ডানে-বামে তাকাচ্ছে, আবার চট করে পিছু ফিরে তাকাচ্ছে। নীতি ব্যাপারটা লক্ষ করে সেও দৃষ্টি ধরে পিছু তাকালো, কিন্তু পেছনে শুধু পানি-আর-পানি। মেহনূর এখনো কান খাড়া করে স্থির। নীতি কৌতুহল গলায় শুধাল,
– থামছো কেন?
মেহনূর ডান হাতের তর্জনী তুলে ঠোঁটের উপর রাখলো। ইশারায় চুপ করতে বললো। ওর চোখদুটো ডানে-বামে অনিশ্চিত ভাবে ঘুরছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা নিয়ে ঘোর চিন্তায় আছে। কিয়ৎকাল নীরব থেকে আবার চলতে শুরু করলো। নীতির সাথে স্বাভাবিক হাঁটা চালিয়ে সতর্ক কণ্ঠে বললো,
– আমাদের ফ:লো করা হচ্ছে। সাlবlধাlন হও নীতি আপু। যখনই আমরা পানি ঠেলে এগুচ্ছি, তখন পেছন থেকে বাড়তি একটা শব্দ আসছে। যেই থেমে যাচ্ছি, ওমনেই সেটা থামছে। কিন্তু থামতে গিয়ে কিছু সেকেন্ড হেরফের করে ফেলছে। সেই শব্দটা আমার আসছে।
নীতির বুকটা ধ্বক করে উঠলো! সমস্ত গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছে। আপনা-আপনি হাঁটার গতি থেমে যাচ্ছিলো, তৎক্ষণাৎ মেহনূর ওর হাতটা ধরে চাপা গলায় বললো,
– সাবধান! থেমো না আপু। ওদের বুঝতে দিও না। ওরা এখনো কিছু বুঝেনি। কষ্ট করে পা চালাও। দেখি কি করে। আমি নিশ্চিত ওরা আমার পেছনে লেগেছে।
নীতির মুখের অবস্থা করুণ হয়ে গেলো। অপ্রতিভ ভঙ্গিতে এগুতে লাগলো। কথাটা ভুল বলেনি মেহনূর। একদিকে মাহতিম ভাইকে জা;নে মেlরে দিচ্ছে, অন্যদিকে মেহনূরের উপর চোখ লাগানো। সময়টা কতো নিlষ্ঠুর! বি:পlদ যেন পিছ্ ছাড়ছেই না। মানুষ যে বলে, ঠিকই বলে। বি:পlদের বেলায় আরো দশটা বি:পlদ এসে হানা দেয়। নীতি মুখ তুলে আকাশের পানে চাইলো। উপরে আকাশ, নিচে জলাবদ্ধ পানি; পেছনে বিlপদ, সামনে বোধহয় গুঁড়ে বালি।
.
সিয়াম সবকিছু ফেলে ছুটে গিয়েছে। সৌভিকের গাড়িটা নিয়ে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে। খবরটা পাওয়া মাত্র দেরি করেনি সিয়াম। কাউকে কিছু জানায়নি সে। বন্ধুর শ:ঙ্কটা:পন্ন অবস্থা শুনে উন্মাদের মতো করছে। স্টিয়ারিং ধরা হাতদুটো কাঁপছে, চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। বক্ষস্থলের খাঁচার নিচে ছোট্ট হৃৎপিন্ডটা ধড়ফড়-ধড়ফড় করছে। হাতের উলটো পিঠে চোখ ডলে আবার স্টিয়ারিং ধরলো সিয়াম। আবার চোখটা ঝাপসা হয়ে আসছে। বুক ফাটা কান্নায় তার কিছু ভালো লাগছে না। কে জানতো এমন কিছু হবে? সৌভিকের ছেলেকে নিয়ে সবাই যেখানে মত্ত, সেখানে দুঃখদায়ক অবস্থা সবার জন্য মুখিয়ে আছে। এইতো একটু আগে সৌভিকের ছোট্ট শিশুকে নিয়ে সিয়ামও হেসে-হেসে খেলছিলো। তার কোলজুড়ে নিষ্পাপ প্রাণটা ঘুমুচ্ছিলো। অন্যদিকে মৃ:ত্যু:র সাথে লড়ছে মাহতিম। ‘ শাlলা তুই আস্ত একটা স্বা:র্থপ:র! তুই আমাদের কারোর কথা চিন্তা করলি না। ‘ আবারও চোখ মুছতে গিয়ে মনে-মনে বললো সিয়াম। গাড়িটা ডানে বাঁক নিয়ে ড্রাইভ-ওয়েতে উঠলো। হাসপাতাল চত্বরে এসে ভেতরে ঢুকলো সে। লিফটে চড়ে কাঙ্ক্ষিত রুমের কাছে যেতে-যেতেই পা থামিয়ে ফেলে। শার্টের হাতায় চোখ মুছে নিজেকে শান্ত করলো সে। কিন্তু লাভ হলো না। আবারও চোখের কার্নিশ গলে পানি গড়িয়ে পরছে।
‘ – সিয়াম সাহেব, ‘
সম্বোধন শুনে চোখ তুললো সিয়াম। সামনেই দাঁড়িয়ে আছে তাশরিফ সাগ্রত। গোlয়েন্দাlভাজন ব্যক্তিটি হেঁটে-হেঁটে কাছে আসলো। সিয়ামের কাধে হাত রেখে নতনয়নে বললো,
– স্যারের —
ছোট্ট শব্দটা গলার ভেতর কুণ্ডলী পাকিয়ে গেছে। সাগ্রত বাকি কথাটুকু বলতে পারলো না। সিয়াম যতটুকু মনোবল দিয়ে নিজেকে দমিয়ে রেখেছিলো, হঠাৎই ঝরঝর করে সাগ্রতকে জাপটে ধরে কেঁদে ফেললো। এভাবে তো কোনোদিন কাঁদেনি। ছোট থেকে একসাথে বড় হলো। খেলাধুলা, স্কুল সব একসাথে করলো। ও যে এতো আপন ছিলো, বুকের কাছটায় কোনো প্রিয়জন ছিলো, সেটা কোনোদিন বুঝতে পারেনি সিয়াম। সিয়াম কান্না জুড়ে হাউমাউ করে বললো,
– ওরে আমি হাসিখুশি বিদায় দিলাম, শাlলা আমার সাথে নাlফরlমাlনী করলো। সাগ্রত ভাই, বহুত ক:ষ্ট হচ্ছে। আমি — আমি জীবনেও এই দিনের কথা চিন্তা করতে পারি নাই। ওরে এই অবস্থায় কিভাবে দেখবো? দেখার মতো শক্তি আমার নাই। আমি সামনে যাব না। ওর এই অবস্থা আমি দেখতে পারবো না।
সিয়ামের অবস্থা দেখে ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। যদি সিয়ামের মতো বন্ধু এভাবে কাঁদতে পারে, তাহলে স্যারের বউ কি করবে? চিত্রটা কল্পনায় আনা যাচ্ছে না। কি ভ:য়া:বহ দৃশ্য! সিয়ামকে শান্ত করে চেয়ারে বসিয়ে দিলো। আরেকবার দৃষ্টি তুলে সামনের দিকে চাইলো। করিডোরের শেষ রুlমটায় ‘ I. C. U. ‘ লিlখা। দরজা দুটো ভেতর থেকে বন্ধ। গতরাত থেকে এক রত্মি দেখার সুযোগ হয়নি। সিয়াম সারিবদ্ধ চেয়ারে বসে অশ্রু ঝরিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে থামাতে পারেনি সে। পকেট থেকে ফোন বের করে সৌভিকের নাম্বারে ডায়াল করে। ছেলেকে কোলে নিয়ে ডানহাতে কলটা রিসিভ করে সৌভিক। কিছু বলতে যাওয়ার আগেই সিয়াম ভেঙ্গে পরে। মুষড়ে পরা কান্নায় বলে,
– সৌভিক, বন্ধু রে… ও বন্ধু, মাহতিমের অবস্থা ভালো না। শাlলা হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। আlশ:ঙ্কাজনক কে:সে ডাক্তার ঢুকতে দেয় না।
সৌভিক কথা বলার জন্য ঠোঁট খুলেছিলো, সেই ঠোঁট নির্লিপ্তের মতো স্থির হয়ে গেলো। কানে শুধু হৃৎপিণ্ডের শব্দগুলো বাজছিলো। ‘ ধ্বক ধ্বক ধ্বক ‘। বুকের কাছে ছোট্ট ছেলে যে বাবার চুপটি পেয়ে কেঁদে দিয়েছে, সেদিকে ক্ষণিকের জন্যও হুঁশ নেই।
.
চলমান .
#FABIYAH_MOMO .
#নোটবার্তা : মনোযোগ দিয়ে আর লিখতে পারছি না। বাইরের আকাশটার মতো ঠিক মনের অবস্থাও খারাপ। পর্বটা বেশিই ছোট হয়ে গেছে। আরো কিছু ঘটনা যুক্ত করা হতো। কিন্তু মন বসিয়ে লেখাটা আগানো যাচ্ছে না। আর দুটো পর্ব আছে। পরের দুটো পর্ব বেশ বড়ই হবে। বলেছিলাম, শেষ পর্ব পযর্ন্ত টান-টান উত্তেজনা রাখবো। এবার ভাবতে বসুন। এবং কমেন্টে লিখুন, এই দুই পর্বের ভেতর কতটা জম্পেশ কিছু থাকতে পারে।
আমি পরবর্তী পর্ব গোছাতে আজকের মতো চললাম। সবার একপ্রস্থ মন্তব্য পড়তে ও দেখতে চাই। ❤