#গোধূলি_বেলায়_তুমি_এসেছিলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ১৪
ঘুম ঘুম চোখে প্রায় নেতিয়ে চেয়ারে বসে আছে মেহরাজ। একটু পর ভোরের আলো ফুটবে। একটু আগেই অফিস এসেছে সে। তাও নির্জনের ডাকে। ঘুমটা যখন গভীর হয়েছিল তখনি নির্জনের ফোন আসে। উপায়ন্তর না পেয়ে নিজের আকাশ সমান ঘুম টাকে বালিশের নিচে চেপে ভোরের আগেই হাজির হতে হলো অফিসে। বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল মেহরাজ। চোখটা জোর করে আর মেলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। টেবিলে মাথা লাগিয়ে দিয়ে চোখ বুঁজল সে। ধীর গলায় বলে উঠল,
“স্যার না নিজের ঘুমাচ্ছে। না আমাকে ঘুমোতে দিচ্ছেন। জীবন থেকে ঘুমটা পুরোই উবে গেল।”
দরজার খোলার শব্দ কানে পৌঁছালো মেহরাজের। উঁহু, আর বসে থেকে এভাবে নেতিয়ে পড়ে থাকা যায় না। মানুষটাকে স্যালুট জানাতে হবে। তৎক্ষনাৎ সোজা হয়ে বসতে বসতে নির্জন তার চেয়ারে বসে পড়ে। টেবিলে পা তুলে দেয়। মেহরাজের উঠে দাঁড়ানোর শক্তি হচ্ছে না। সে বসে থেকেই হাতটা কপালের কাছে ঠেকিয়ে স্যালুট জানিয়ে আবারও ধপ করে টেবিলে মাথা লাগিয়ে দেয়।
“মেহরাজ! সিক্রেট টিমের একজন অফিসার হয়ে এতো লেজি হলে কি করে চলে?”
মেহরাজ আবারও বড় বড় শ্বাস নেয়। মুখটা তুলে চোখটা আধখোলা করে বিরবির করে বলে,
“স্যার, আমি তো আপনার মতো এতো সেবা পাই না। না আমাকে যত্ন করে রান্না করে খাওয়ায় আর না আমাকে এতো টাইম দেয়। আমাকে অফিস ক্যান্টিন থেকে যা দেয় তাই খেতে হয়। আর বাড়িতে থাকলে নিজেকে রান্না করতে হয়। আপনার মতো আমার এতো সুবিধা কোথায় স্যার?”
এবার চোখ দুটো সরু হয়ে এলো নির্জনের। এই মেহরাজের সাহস দিন দিন বেড়ে চলেছে। যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে একমনে। মনে কোনো ভয়-ডর নেই। তারপরই তার মনে হয় সে ভুলটাই বা বলেছে কোথায়? নিজেকে ধাতস্থ করতে কয়েকবার গলা খাঁকারি দিয়ে সোজা হয়ে বসে সে। এ বিষয়ে আর কথা না বাড়ালেই ভালো। বলা যায় না মেহরাজ আবার কি বেফাঁস কথা বলে দেয়। এবার বিষয়টা ঘুরিয়ে কঠিন গলায় প্রশ্ন করে,
“এনি নিউ ইনফরমেশন?”
“নো স্যার। সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। না মিলছে কোনো ইনফরমেশন আর না মিলছে কোনো প্রমাণ। জীবনে অনেক ক্রিমি’নাল দেখেছি। কিন্তু এই টিমের মাস্টারমাইন্ডের বুদ্ধির জোরটা একটু বেশিই।”
ক্লান্ত ভঙ্গিতে বলতে থাকলো মেহরাজ। আবারও চুপ মেরে থাকলো। নিরবতা বিদ্যমান থাকে বেশ কিছুক্ষণ। নির্জন দুটো হাত এক করে কপালে ঠেকিয়ে বসে রয়েছে। মাথায় অনেক প্রশ্নই ঘুরছে। কিন্তু উত্তর মেলাতে পারছে না কোনোকিছুর। ফলে সবটা এলোমেলো লাগছে। মেহরাজের নিরবতা ভাঙ্গে তখন। সে এক মূহুর্তেই সোজা হয়ে বসে পড়ে। তার চোখে ছিল রাজ্যের ঘুম। এখন যেন ঘুমটাও গায়েব। ঢক গিলে ক্ষীণ সুরে বলে,
“স্যার একটা বলতে তো ভুলেই গেছি আপনাকে।”
চোখ বুঁজে রেখেছিল নির্জন। মেহরাজের কথায় তার গভীর ও স্বচ্ছ চোখ দুটো খুলল সে। ভ্রু কুঁচকে জানতে চাইল,
“কি কথা?”
মেহরাজ এবার উশখুশ করতে থাকল। বলল,
“স্যার, মিস আহমেদ তার ফ্ল্যাট থেকে পালিয়েছে।”
নির্জনের গভীর চোখদুটোতে নেমে এলো তীক্ষ্ণতা। চোখমুখ শক্ত হয়ে এলো। উঠে দাঁড়াল সে তৎক্ষনাৎ। বিস্ময়ের সুরে বলে উঠল,
“হোয়াট? হাউ ইজ ইট পসিবল, মেহরাজ? ফ্ল্যাটের চারিদিকে গার্ড আছে। ও ওদের ফাঁকি দিয়ে কি করে পালাতে পারে?”
“উনি নাকি এক্সারসাইজের নাম করে বের হন। আর খুব দূরে যাওয়ার আগেই যখন গার্ড বুঝে ফেলে তখন আর লাভ হয়নি।”
নির্জনের চিন্তা যেন বেড়ে গেল। কপালে ফুটে উঠল কয়েকটা ভাঁজ। টেবিলে এক থাবা দিতেই কাঁধে ব্যথা অনুভূত করল সে। গুটিয়ে নিল তার হাত। মেহরাজ এবার নির্জনের এমন সংকীর্ণ অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি উঠে দাঁড়িয়ে নির্জনের দিকে এগিয়ে গিয়ে বিচলিত সুরে বলল,
“স্যার আপনি…. ”
অন্যহাতটা তুলে ইশারা করে নির্জন। তার চোখে আবৃত ঘন পাপড়িগুলো কাঁপছে। কপালের রগ দপদপ করছে। হলুদ ফর্সা চেহারায় আবৃত খোঁচা দাড়ির মাঝে দুটো চোয়ালের পেশি উঠানামা করছে।
“আমি ঠিক আছি মেহরাজ। আমাকে চিন্তা করার কোনো দরকার নেই।”
মেহরাজ এবার মাথা দুলিয়ে তার টেবিলের কাছে গিয়ে একটা পেনড্রাইভ বের করে। নির্জনের কাছে এসে সেটা এগিয়ে দিয়ে বলে,
“স্যার এটা পেয়েছি আমি। কোনো কাজে লাগবে কিনা জানা নেই। আপনি দেখতে পারেন।”
নির্জন বসে পড়ে। আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে ল্যাপটপ কাছে চায়। মেহরাজ এগিয়ে পেনড্রাইভ কানেক্ট করে ল্যাপটপ অন করে। বাকিটা নিজেই করে নেয় নির্জন। মেহরাজ বলতে শুরু করে,
“এডিশনাল এসপি স্যারের বাড়ির সামনের যেই বিল্ডিং আছে। সেখান থেকে অনেক খুঁজে এটাই পেয়েছি। এটা সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ।”
নির্জন অন করল ফুটেজ। খুব তীক্ষ্ণ চোখে প্রতিটা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে থাকল। তেমন কিছুই নেই সেখানে। সামনের রাস্তায় গাড়ি চলছে। আর এডশনাল এসপি সাহেবের বাড়ির পুরোটা নয় একাংশ দেখা যাচ্ছে। হতাশ হয় নির্জন চোখ বুঁজে নেয়। মেহরাজ তৎক্ষনাৎ বলে,
“স্যার, এখানে শুধু একজন ডেলিভারি ম্যানই এসেছিল সেদিন। এইযে সে।”
ফট করে তাকায় নির্জন। মনোযোগ পড়ে সেই ডেলিভারি ম্যানের উপর। বাইক নিয়ে এসেছে সে। বাইক থামিয়ে বাড়ির বাহিরের গার্ডের সঙ্গে কিছু কথা বলে ভেতরে ঢুকল। চোখটা সরু হয়ে আসে নির্জনের। এবার রিমাইন করে আবারও ছেলেটার চেহারায় জুম করে নির্জন। তবুও চেহারাটা ঠিকঠাক দেখা যায় না। মাথায় টুপি আর চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। মস্তিষ্কে অনেক বিষয় আসে। নিচের ঠোঁট কামড়ে কিছু একটা ভেবে টেবিলে ধীরে থাবা দিয়ে বলে,
“ইয়েস, আই গট ইট। মেহরাজ, তোমার মনে আছে? সেদিন বেঁচে যাওয়া গার্ড বলেছিল ওইদিন স্যারের বাড়ির পেছন দিকে যেই স্টোর রুমে যাওয়ার রাস্তা আছে ওইদিকের সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো হয়ে যায়। এই ছেলেটাই করেছে। তাছাড়া অন্য কাউকে দেখছি না আমি এখানে।”
“কিন্তু স্যার ওর পরনে তো ডিলেভারি ম্যানের পোশাক। ও কি করে…”
নির্জন আগেই বুঝে উত্তর দেয়,
“হতে পারে সে ডেলিভারি ম্যান ছিলই না।”
মেহরাজের মাথা ঘুরে ওঠে। কি বলছে নির্জন? নির্জন থেমে থেমে বলে ওঠে,
“সে কোন কোম্পানি থেকে এসেছে খোঁজ নাও। আর এটাও দেখো যে সেদিনের পর কোনো ডিলেভারি ম্যান নিখোঁজ হয়েছে কিনা!”
মেহরাজ শক্ত করে জবাব দিল,
“ইয়েস স্যার।”
দরজায় টোকা পড়ল। নির্জন বাঁকা চোখে দরজার দিকে তাকিয়ে বলল,
“কাম ইন!”
সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততার সাথে ঘরে ঢুকে পড়ল নির্জনের টিমের আরেকজন এজেন্ট। বলে উঠল,
“স্যার, চট্টগ্রাম সিক্রেট টিমের লিডার একটা ছবি আর কিছু ডিটেইলস পাঠিয়েছে। ছবিটা একটা মেয়ের।”
বলেই লোকটি একটা খাম এগিয়ে দেয়। নির্জন তা হাতে নিতেই কাজ শেষ হওয়ায় বেরিয়ে যায় লোকটি ঘর থেমে। নির্জন অপেক্ষা না করে খামটা খুলতেই বেরিয়ে আসে একটা ছবি। ছবিটা উল্টে রাখা। সেটা সোজা করে ধরতেই একটা অচেনা মেয়ের ছবি চোখে পড়ে তার। কপাল কুঁচকে যায় নির্জনের। এটা কার ছবি? নির্জন ভেতরে আরো কিছু দেখতে পায়। সেটা নিতে যাওয়ার আগেই তার ল্যান্ডলাইনে ফোন আসে। নির্জন ছবি ও খাম রেখে ল্যান্ডলাইনের কল ধরতেই ওপাশ থেকে এক গম্ভীর পুরুষের গলা ভেসে আসে।
“অফিসার নির্জন আহমেদ! আমি আদিল রাহমান। আপনি কি ছবি আর ডিটেইলস্ হাতে পেয়েছেন?”
আদিল আহমেদ হচ্ছে চট্টগ্রামের সিক্রেট টিমের মেইন অফিসার। নির্জন একবার ছবিটির দিকে তাকিয়ে বলে,
“ইয়াপ। কিন্তু এটা কার ছবি? এই মেয়ে কে?”
আদিল রাহমান একটু হেঁসে জবাব দেয়,
“মি. আহমেদ রিল্যাক্স। আমি জানি আপনি অনেক প্রেশারে আছেন। অবশ্যই আপনাকে বিয়ের পাত্রী খুঁজে দিই নি। সে কে সেটা বলার জন্যই ফোনটা করা। আমাদের চট্টগ্রামে যখন লাস্ট টেরো’রিস্ট এট্যা’ক হয় তখন একটা ক্যামেরাই এই মেয়েটা ধরা পড়েছিল। তার হাতে রি’ভলবার দেখতে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় পরে আমার সিউর হই সে সেই টেরো’রিস্ট টিমের সাথে যুক্ত। মেয়েটার সঠিক নাম এখনো জানি না। সে নিজেকে কোথাও রুপাঞ্জনা, কোথাও কায়া, কোথাও ললিতা ইত্যাদি নাম ইউজ করেছে। আমরা আশঙ্কা করছি এই মেয়েটাকে ধরতে পারলে আপনাদের অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে।”
নির্জন আবারও ছবিটির দিকে তাকায়। এই মেয়েটাই কি তাহলে সে যাকে নির্জন খুঁজছে? আদিল রাহমান আবারও বলে,
“বাকি ডিটেইলস খামেই আছি। আপনাদের কাজে লাগতে পারে।”
“ঠিক আছে এখন রাখছি আমি।”
নির্জন টেলিফোন রেখে দেয়। ছবিটা ভালো করে ধরে। রাগিনী তাজরীনের চোখমুখ নির্জনের কাছে অজানা কোনো মুখশ্রী নয়। স্পষ্ট সার্বক্ষণিক মনে থাকে তার। তার মুখশ্রীর সঙ্গে এই মুখশ্রীর কোনো মিল নেই। মেহরাজ নিজেও হতবাক। বিস্ময়ের সুরে প্রশ্ন করে,
“স্যার, এ যদি টেরো’রিস্ট টিমের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে রাগিনী তাজরীনকে কেন আমরা সন্দেহ করছি। এই মহিলার সাথে কি সেও যুক্ত আছে?”
“কেসটা দিন দিন আরো জটিল হয়ে মেহরাজ হয়ে উঠছে মেহরাজ। রাগিনী তাজরীন একেকসময় একেক রূপ প্রদর্শন করছে? নাকি ওর রূপ একটাই?”
মেহরাজ মুখ ভার করে থাকে। উত্তর কি দেওয়া উচিত নিজেও বুঝতে পারছে না। মেহরাজের নিরবতা দেখে নির্জন থমথমে গলায় বলে উঠল,
“গতদিনে রাগিনীর যা রিয়েকশন দেখেছি তা একেবারেই কাম্য নয়। একটা মেয়ে যে একটা ছোট্ট প্রাণের কষ্ট দেখেও চুপ থাকতে পারে না। অস্থির হয়ে ওঠে শুধুমাত্র সেই ছোট্ট প্রাণটার জন্য। একটা মেয়ে যে একটা মানুষের সেবায় নির্দ্বিধায় মত্ত থাকতে পারে। একটা মেয়ে যে গু’লির শব্দ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে কি করে একটা টেরো’রিস্ট টিমের মতো ভয়াবহ জিনিসের সাথে যুক্ত থাকতে পারে?”
মেহরাজ এবার মাথা চুলকায়। নির্জন আবারও আপনমনে বলে,
“যদি সে নির্দোষও হয় তবে সেদিন রাতে যেদিন আমাদের একটা অফিসারের খু’ন হয়ে যায় ওই ফ্যাক্টরিতে সেদিন রাগিনী কেন কিছুটা আ’হত হয়ে গিয়েছিল? আর কেনই বা এডিশনাল এসপির স্যারের বাড়ি ব্লা’স্ট হওয়ার দিন রাতেও দেরিতে বাড়ি ফিরেছিল?”
“স্যার, এবার আমি পাগল হয়ে যাব!”
হাতের ছবিটা আবারও টেবিলে রাখে নির্জন। টেবিলে থাকা রি’ভলবার কাছে টেনে নেয়। থেমে থেমে উঠে বলে,
“এই কেসটা এতোটা সোজা নয় মেহরাজ। আমি বুঝতে পারছি আমার সামনে দুটো পথ আছে। হয় আমাকে ওদের মা’রতে হবে নয় নিজেকে ম’রতে হবে।”
এরপর চলে ভীষণরকম নিস্তব্ধতা। মেহরাজ ঢক গিলতে থাকে। আসলেই কি হতে চলেছে সামনে? এরপর মেহরাজের মাথায় একটা কথা আসতেই সে ফট করে মুখ ফস্কে বলে ফেলে,
“স্যার একটা কথা মানুন বা না-ই মানুন। রাগিনী তাজরীন কিন্তু অনেক সুন্দর। এহেম… মানে নির্জন আহমেদের পাশে একজন পারফেক্ট নারীকে দেখতে পেয়েছি গতকাল। রাগিনী তাজরীন ইজ রিয়েলি বিউটিফুল! তাই না স্যার?”
টেবিলের ওপাশে দাঁড়িয়ে ছিল মেহরাজ। মুচকি মুচকি হাসছিল। চোখ গরম করে তাকায় নির্জন। তার হাসি দেখে আরো গা জ্বলে ওঠে। টেবিলের উপর এক পা তুলে জোরে ঠেলা মারে নির্জন মেহরাজের দিকে। টেবিল গিয়ে লাগে মেহরাজের পেটে। পেট খিঁচে ধরে মুখটা ফুলিয়ে ফেলে মেহরাজ। আর বলার চেষ্টা করে,
“স্যার…”
নির্জন কটমট করে তার রি’ভলবার হাতে নিয়ে মেহরাজের দিকে তাক করে বলে,
“গেট আউট ফ্রম মাই কেবিন।”
মেহরাজ পেটে হাত নাড়াতে নাড়াতে মুখ ভার করে দরজার দিকে অগ্রসর হয়। ফিসফিস করে বলে,
“সত্যি কথার দাম নেই আজকাল।”
“কিছু বললে?”
চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে ওঠে নির্জন। মেহরাজ মাথা নাড়িয়ে বলে,
“না স্যার। আমি বাহিরে যাচ্ছি।”
দরজা খুলে বাহিরে চলে যায় সে। নির্জন তার ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকে একপলকে। কিন্তু মনটা যেন তার থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। চোখটের দৃষ্টিটা যেন হারিয়ে একজায়গায় স্থির থাকছে। ভেসে উঠছে সেই অনবরত কাঁপতে থাকা ঠোঁট, সেই কাঠগোলাপ চুলে গুঁজে রাখা নারী! সেই ভয়ংকরী চোখ যা দেখতে মস্তিষ্ক শূন্য বলে। শরীর অবশ লাগে। নির্জন বিরবির করে বলে ওঠে,
“সে শুধু সুন্দর নয়। সে এক জীবন্ত কাঠগোলাপের মতো। যাকে ছুঁয়ে দেখার লোভ সামলানো বড়ই কঠিন।”
চলবে…
[বি.দ্র. আজকের পর্ব ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু এই পর্বটা জরুরি ছিল। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]