#গোধূলি_বেলায়_তুমি_এসেছিলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ২
“আমার চেঞ্জ করা এখনো হয়নি। বাকি আছে। বাহিরে আছেন বাহিরেই থাকুন।”
ঘরের ভেতর থেকে কোহিনূরের কড়া কন্ঠ ভেসে আসায় পলাশ ও আজিম দুজন দুজনের দিকে তাকাতাকি করে রাগিনীর দিকে তাকায়। রাগিনী হালকা কেশে ওঠে। পলাশ ও আজিম দুজন হসপিটালের পেশেন্টদের কেয়ারটেকার। তাদের সাথে দাঁড়িয়ে আছে আরেকজন পেশেন্ট। মূলত সেই পেশেন্টকে একপ্রকার ধরে বেঁধে বের করে দিয়েছে কোহিনূর চেঞ্জ করবে বলে। আর খুবই কড়া সুরে বলে দিয়েছে ওই ঘরটায় সে একা থাকবে। অন্যকেউ তার সাথে থাকতে পারবে না। সেই পেশেন্টকে বের করে দেওয়ার পরেও সে এখানেই দরজার কাছে দাঁড়িয়ে। সেও গড়গড় করে বলে উঠল,
“আমিও এই ঘরেই থাকব। খালি দরজাটা খুলে দেক তারপর বুঝিয়ে দেব ঘরটাতে কে থাকবে!”
রাগিনী বুঝতে পারছে কোহিনূর দরজা খুললে বড়সড়ই ঝামেলা হতে চলেছে। এই পেশেন্টদের মন মস্তিষ্ক কি বলে সেটা বোঝাই মুশকিল। তাদেরকে তাদের মতো বুঝিয়ে থামানোই বুদ্ধিমানের। রাগিনী কিছু একটা বলতে চায়। কথাটি বলার পূর্ব মূহুর্তে কোহিনূর দরজা খোলে। সঙ্গে সঙ্গেই সেই পেশেন্টটি হিংস্রভাবে তেড়ে যায় কোহিনূরের দিকে। রাগিনী হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তৎক্ষনাৎ সেই পেশেন্ট কোহিনূরকে ধাক্কা দিয়ে বলে,
“শোন এই ঘর আমার। এই ঘরে আমি আগে আসছি। আমাকে তাড়াচ্ছিস! এইতো আসলি কয়দিন আগে। বাহির হ তুই!”
অবস্থা বেগতিক দেখে পলাশ আর আজিম এগিয়ে যায়। দুজনকে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দুজন তো থামেনা। ইতিমধ্যে কোহিনূরের শিশুসুলভ আচরণ বেরিয়ে এসেছে। সে পড়েছে ফ্লোরে সে যাবেই না। বসে থেকে হাত কামড়াচ্ছে। সেই পেশেন্টও কোহিনূরের চুল ধরতেই পলাশ বাহিরে এসে একটা লাঠি আনে। রাগিনী তা খেয়াল করে বাঁধা দেয়।
“আশ্চর্য লাঠি আনছেন কেন? মে*রে ওদের দমিয়ে রাখলেই কি সুস্থ হয়ে উঠবে? এখানে কি ডক্টরের কমতি পড়েছে? ইমিডিয়েট একটা ডক্টর ডাকুন। ডক্টরই এদের শান্ত করতে পারবে। জাস্ট গো!”
পলাশ ছুটে যায়। আজিম চেষ্টা চালায়। আজিমকে হঠাৎ ধাক্কা দেওয়া হয়। সে পড়ে যায়। কোহিনূরকে দাঁড় করিয়ে তাকে ইচ্ছেমতো ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে দেখে রাগিনীরও মাথা কাজ করে না। সে ছুটে যায়। সেই রোগীকে সরাতে চায়। কিছু বলতে চায়। তখনি সেই রোগী রাগিনীকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে। কোহিনূর তৎক্ষনাৎ হামলে পড়ে। রাগিনীকে দুহাতে সামলে নেয়। ধমকে উঠে বলে,
“ডোন্ট টাচ হার। আই নো ইউ এ মেন্টাল পেশেন্ট। কিন্তু যখনতখন যা ইচ্ছে সহ্য করব না।”
রাগিনী ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে। এই কোহিনূর নামক মেন্টাল পেশেন্ট সত্যিই অন্যরকম। এমন বিষয়ে রাগিনী আগে জানত না। অবশ্য সে শুনেছে পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীদের আচরণ এমনই হয়। একেক সময় একেক আচরণ করে ফেলে। কখনো হিংস্র হয়ে ওঠে। আবার কখনো শিশুসুলভ! আবার কখনো ম্যাচিউরড। রাগিনীর এই তাকিয়ে থাকা দেখে কোহিনূর ঠোঁট উল্টায়। আর হঠাৎ বাচ্চাদের ন্যায় বলে ওঠে,
“তুমি তো আমার বন্ধু। আমি তো তোমাকে বন্ধু মনে করি। আর এই লোকের কত বড় সাহস! আমার বন্ধুর গায়ে হাত দেয়। আমি তো একে ছাড়বোই না।”
কথাটা শেষ হওয়া মাত্র কোহিনূর ছুটে লোকটার গলা চেপে ধরে। আজিমও আটকাতে আসে। রাগিনীও দিশেহারা হয়ে ওঠে। তখনি পলাশ ডক্টর নিয়ে আসে। সবাই মিলে কোহিনূরকে ছাড়াতে সক্ষম হলেও সেই পেশেন্ট এই ঘর ছাড়তে রাজি না। সে বার বার বলে চলেছে,
“এটা আমার ঘর!”
ডক্টর মাঝখানে বলে ওঠেন,
“আপনি এই ঘরে থাকলে এই লোক আপনার গলা আবার চেপে ধরবে। তখন আপনি বাঁচবেন না। তখন কি হবে বলুন তো?”
“তাহলে এই লোকটাকে বের করেন।”
জেদ ধরে বলে পেশেন্ট। রাগিনী নরম সুরে বলে,
“এর থেকে আরো সুন্দর ঘর আপনাকে দেওয়া হবে আপনি যদি এদের সাথে যান তবে।”
রাগিনীর শান্ত কথা সে বিশ্বাস করে। পলাশ আর আজিমের সাথে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। রাগিনী হাফ ছেড়ে বাঁচে। কোহিনূরের পানে চেয়ে দেখে সে হাত কামড়াতে ব্যস্ত। রাগিনী দৃষ্টি সরিয়ে ডক্টরের দিকে তাকায়। ডক্টরের এপ্রোনের নেম প্লেটে লিখা ডক্টর রাজিন লিখা। রাগিনী স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে বলে,
“সো ড. রাজিন! এই হসপিটালে আপনি সহ ডক্টর কয়জন?”
ডক্টর রাজিন জবাব দেয়,
“১৫ জন! আপনাকে চিনলাম না। আপনি কার অভিভাবক? মি. কোহিনূরের? কিন্তু আমার জানামতে তো উনার কোনো অভিভাবক নেই!”
“আমি ডক্টর শাহ্ রাশেদের মেয়ে রাগিনী তাজরীন। অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছি। তাই এই হসপিটাল দেখতে এলাম। কিন্তু এখানে যা অবস্থা তা দেখে আমি আশাহত! ১৫ জন ডক্টর। অথচ প্রতিটা পেশেন্টকে কথায় কথায় মা*রার হুম’কি দেওয়া হচ্ছে। একজন সাইকোলজিস্টের কাজ প্রতিটা পেশেন্টকে দিনে একবার মেডিটেশন করানো। তাদের সাথে আলাপ করা। কিন্তু এখানে আদেও তা হয়? আমার বাবা কয়েক বছর ধরে কিছুটা অসুস্থ বলে এদিকটা দেখতে পারে না। তাই বলে এখানে এতো বাজে অবস্থা হবে কল্পনা করিনি। আর কোহিনূরের অভিভাবক নেই মানে?”
“তাকে যে এখানে ভর্তি করিয়ে দিয়ে গেছে সে বলেছে একটা এক্সিডেন্টে তার পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সে একা বেঁচে গিয়েছে। তাও অতিরিক্ত আঘা’ত পেয়ে মেন্টাল ট্রমার মধ্যে চলে গিয়েছে। আর সরি ম্যাম, আমাদের এই ব্যর্থতার জন্য।”
রাগিনী কিছুক্ষণ চুপ থেকে শক্ত গলায় উত্তর দেয়,
“সরি বলে লাভ নেই। এখানকার কেয়ারটেকার এবং আপনারা কথায় কথায় লাঠি চা’লানো বন্ধ করুন। নয়ত আমি নিজ দায়িত্বে আপনাদের কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা করব।”
ডক্টর রাজিনের মাথা নত হয়। কোহিনূর রাগিনীর পাশে চুপি চুপি এসে দাঁড়াল। এক আঙ্গুল দিয়ে রাগিনীর বাহুতে টোকা দিয়ে একটু নিচু হয়ে রাগিনীর সমান হয়ে ফিসফিস করে বলল,
“এই লোকটার সাথে কথা বলবে না তুমি বেশি। লোকটা শুধু ইনজেকশন দিয়ে ব্যথা দেয়!”
রাগিনী কোহিনূরের সাথে কথায় কথা মিলানোর জন্য বলল,
“আচ্ছা বলছি না। আমি এখন যাই? আমার কাজ আছে। আপনার ঘরে আপনি ছাড়া অন্যকেউ থাকতে আসবে না। চিন্তা করবেন। আমি এখন যাই। পরে আবার আসব। ঠিক আছে?”
কোহিনূর রাগিনীর এই কথা শুনে খপ রাগিনীর হাত নিজের হাতের ভাঁজে নিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে বলে,
“কি আশ্চর্য! আমি ভাবলাম তুমি আমার সাথে থাকবে। তাই তো কাউকে আমার ঘরে আসতে দিলাম না। তুমি আর আমি থাকব!”
রাগিনী ভ্যাবাচেকা খেয়ে ঘনঘন চোখের পলক ফেলে হাসার চেষ্টা করে। উত্তরে কি বলবে খুঁজে পায় না। বেশ কিছুটা ভেবে বলে,
“আমি এখন না গেলে আমার বাবা চিন্তা করবে। আমি কাল আবার আসব। ঠিক আছে? আজকে যাই?”
কোহিনূর মাথা নাড়ায়। সে যেতে দেবে না। চোখজোড়া সূক্ষ্ম করে তাকিয়ে বলে,
“নো ওয়ে! তুমি গেলে আমার খেয়াল রাখবে কে?”
কোহিনূরের প্রতিটা কথায় থমকাচ্ছে রাগিনী। তার কথায় বাচ্চা ভাবটা নেই। এখন তার কন্ঠে মোটা ভাবটা চলে এসেছে। শিশুসুলভ ভাবটা কেটে গেছে। রাগিনী বলে,
“কাল আমি আবার আসব। আজকে আমাকে যেতেই হবে।”
“তুমি গেলে কিন্তু আবারও আমি তোমাকে আগের মতোই ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে বেঁধে রাখব!”
রাগিনীর বিষম ওঠে। অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। সে বুঝতে পারছে সে এখন জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। রাগিনী ধীর পায়ে এগিয়ে ঘরে থাকা চেয়ারে বসে বলে,
“আচ্ছা যাচ্ছিনা। বসে আছি। আপনি খুশি?”
কোহিনূর উত্তর দেয় না। সেও গিয়ে অগোছালো বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে পড়ে চোখ বন্ধ করে। রাগিনী চুপচাপ সোজা হয়ে বসে থাকে আর অস্থির হয়। মিনিট দশেক পর রাগিনীর ফোন বেজে ওঠে। রাগিনী হাতের কাছে থাকা ব্যাগটা থেকে ফোন দ্রুত বের করে। কোহিনূর চোখ মেলে বিরক্তির দৃষ্টিতে তাকায়। রাগিনী ফোন রিসিভ করার আগেই কোহিনূর তড়িঘড়ি করে উঠে বসে। আর রাগিনীর হাত থেকে ফোনটা ছোঁ মেডে কেঁড়ে নিয়ে রিসিভ করে নিজের কানে ধরে। রাগিনী বিস্ময় নিয়ে ফোনটা নিজের কাছে নেওয়ার চেষ্টা করেও পারে না। ওপাশ থেকে একটা বয়ষ্ক কন্ঠ ভেসে আসে।
“হ্যালো রাগিনী! সন্ধ্যা পার হয়ে গেল। এখনো বাড়ি এলে না যে? এতো রাত অবধি বাহিরে থাকা ভালো নয়।”
রাগিনী ফিসফিস করে বলল,
“মি. কোহিনূর রত্ম! আমার ফোনটা দিন। আমার বাবা ফোন করেছে। টেনশন করছে!”
কোহিনূর যেন কোনো কথা কানেও নেয় না। নিজেই উত্তর দেয়,
“রাগিনী এখন তার বন্ধুর সাথে ব্যস্ত। এখন ওকে বাড়িতে ডাকবেন না তো।”
কথাটা শেষ করেই কলটা কেটে দিয়ে নিজের বালিশের নিচে ফোনটা চাপা দিয়ে রাখে কোহিনূর। আর রেগে রেগে বলে,
“তুমি এখানেই থাকবে।”
“কিন্তু…”
রাগিনী চুপ হয়। কোহিনূর আবার শুয়ে পড়ে। খানিকক্ষণ পর খাবার আসে। রাতের খাবার। খাবার দেখে কোহিনূর চোখ হালকা মেলে তাকিয়ে চোখমুখ জড়িয়ে বলে,
“এই খাবার আমি খাব না। বাজে টেস্ট!”
কিছুক্ষণ থেমে কোহিনূর আবারও আদেশের সুরে বলে,
“শোনো রাগিনী নাকি রাগের রানী! কাল আমার জন্য তুমি খাবার নিয়ে আসবে।”
এমন কথা শুনে রাগিনী আকাশভরা বিস্ময় নিয়ে চেয়ে থাকলেও মৌনতা অবলম্বন করে। আর মাথা দুলায়। কোহিনূর এখন খাবে না মানে খাবেই না। তাকে খাওয়ানো গেল না। রাগিনী খাবার ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলে।
রাত তখন ৯ টা। কোহিনূর গভীর ঘুমে। রাগিনী আস্তে করে তার ফোনটা বালিশের নিচ থেকে টান দিয়ে নেয়। ঘুমন্ত কোহিনূর নড়েচড়ে ওঠে। তবে ঘুম ভাঙ্গে না। হাতে ফোন নিয়ে চেয়ার থেকে উঠে পা টিপে টিপে দুইধাপ রাখতেই ওড়নায় টান পড়ে তার। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে কোহিনূরের এক হাতের মুঠোয় ধরে রাখা তার ওড়না। কি এক বিপত্তি। রাগিনী ফিরে এসে একটা একটা করে আঙ্গুল খুলে ওড়না ছাড়িয়ে নেয় অনেক কষ্টে। ওড়না নিজ হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রাগিনী খানিকটা কোহিনূরের ঘুমন্ত মুখের উপর হেলে পড়ে বলে,
“মি. রত্ম! বুঝতে পারছি আপনি খুব ডিমান্ড করতে জানেন। যাকে তাকে আদেশ দিয়ে বেড়ান। জোকের মতো একেবারে। পেলে একেবারে শুষে নেন দেখছি। সত্যিই সাইকোলজিস্ট হওয়া যে সে ব্যাপার নয়। বাট আমি আপনাকে হ্যান্ডেল করে দেখতে চাই আমি কতটুকু যোগ্য সাইকোলজিস্ট হওয়ার।”
অতঃপর সে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসতেই ডক্টর রাজিন তার সামনে পড়ে। সে কোহিনূরের দিকে একটু তাকিয়ে বলে,
“ম্যাডাম, হি ইজ মেন্টালি ইল। ওর ব্যবহার আপনি সহ্য করতে পারবেন না। তাই নিজের ভালো চাইলে আর এখানে পা রাখবেন না। ওকে না হয় আমরা সামলে নেব।”
রাগিনী ডক্টর রাজিনের উপর চোখে চোখ রেখে স্পষ্ট সুরে বলে,
“মে’রে সামলে নেবেন?”
ডক্টর রাজিন গলা খাঁকারি দিয়ে ইতস্তত বোধ করে বলে,
“ম্যাডাম আপনি কিন্তু…”
“মি. কোহিনূরকে আমার খুব মিস্টেরিয়াস লেগেছে। এমন পেশেন্ট সম্পর্কে আমি আরো জানতে চাই। তাই যতদিন আমি এখানে আছি আমার আসা যাওয়া চলতে থাকবে! থ্যাংকস ফর ইউর সাজেশন ডক্টর।”
আর দেরি করে না রাগিনী। জবাব দিয়ে ব্যাগটা ভালো করে নিয়ে পাশ কাটিয়ে হনহনিয়ে চলে যায়।
“বস! সবকিছু রেডি। এখন শুধু ভোরের অপেক্ষা। ভোর ৪ টা বাজবে আর কাজ হয়ে যাবে।”
এক টিমটিমে আলো জ্বালিয়ে রাখা ঘরে একটা চেয়ারের উপর বসে টেবিলের উপর পায়ে পা তুলে গা এলিয়ে বসে থেকে মনোযোগ দিয়ে নখ পরিচর্যা করা সেই নারীটির মনোযোগ সরে গেল। ঘাড় বাঁকিয়ে তার সামনে থাকা ব্যক্তিটির দিকে তাকালো। তার কাছে থাকা কাঁচের পুতুলটা হাতে নিয়ে সেটা নাড়তে চাড়তে বলল,
“তুই সিউর তো কবীর? পরে কোনো ঝামেলা হলে কিন্তু তোদের জানের উপর দিয়ে গাড়ি চা’লিয়ে দেব। এই বস কোনো ঝামেলা পছন্দ করে না।”
“কোনো সমস্যা হইতো না। আপনি দেখেন খালি। আমি নিজে সব সেট করে দিয়ে আসছি।”
“সমস্যা না হলেই ভালো। আমরা যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছি সেটা এবার সবাই জানতে পারবে। সব পাবলিকের মনে ভয় সৃষ্টি হবে। সবাই ভয়ের দ্বারা আমাদের ওয়েলকাম করবে।”
বলেই উচ্চস্বরে হেঁসে ওঠে সেই নারী জন। কবীরও তা দেখে হাসে। সে পুতুলটা রেখে ঘড়ির দিকে তাকায়। ঘড়িটে ৯ টা ৪৫ বাজে। মনে মনে গুনে নেয় সেই সময়। তারপর উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে,
“আর তো বেশি সময় নেই। সময় হবে আর ঘুমন্ত অবস্থায় অফিসার আলম সহ তার পুরো পরিবার বো*ম!”
তার হাসি প্রগাঢ় হয়। চেনা চেহারায় সেই হাসিটাও চেনা লাগে। সে কবীরের দিকে তাকিয়ে বলে,
“যা যা! তাড়াতাড়ি হুইস্কির বোতলটা নিয়ে আয়। এখনি সব রেডি রাখি। ওদিকে আগু’ন জ্বলবে। এদিকে আমরা আনন্দ করব।”
চলবে…
[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। গল্পের মূল নায়ক সে সেটা জানতে আপনারা অনেকে আগ্রহী। সঠিক সময়ে জানবেন আসল নায়ক কে। নায়ক কে সেটাও একটা টুইস্ট। আপনাদের কি মনে হয় নায়ক কে আসলে?]