#গোধূলি_বেলায়_তুমি_এসেছিলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ৯
পরিবেশটা থমথমে। নিঝুম! স্তব্ধতা বিরাজমান ঘরে মুখোমুখি বসে থাকা দুজন মানব ও মানবীর মাঝে। সকালের তীব্র সূর্য মামাী আলো ঘরের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে সরাসরি সেই কাঠগোলাপে মুড়ে থাকা মানবীর মুখশ্রীতে হা’না দিয়েছে। কোহিনূর নিজেই থতমত খেয়ে গিয়েছে তার একটু আগে বলা কথাটির জন্য। বেশ অবাধ্য হয়েছে তার মুখের জবান। ইচ্ছে করছে কোনোভাবে অতীতে ফিরে গিয়ে সেই বলা কথাটা যদি মুছে ফেলা যেতো। এবার যে কন্ঠস্বর থেকে একটা বাড়তি শব্দও বের হচ্ছে না। অন্যদিকে রাগিনী স্তব্ধ সামনে থাকা মানুষটির স্নিগ্ধতা মাখানো কথাটি শ্রবণ করে। সে ভুল শুনেছে নাকি ঠিক শুনেছে সেটাই বুঝতে ব্যস্ত। দুজনের চোখ দুজনের মাঝে আঁটকে রয়েছে। দুজন দুজনের নেত্রের সাগরে হারিয়েছে যেন!
খানিকটা সময় পর ইতস্তত বোধ করল রাগিনী। তার মায়ারী চোখ দুটো নামিয়ে নড়েচড়ে বসল। তবুও আঁড়চোখে তাকালো কোহিনূরের দিকে। বোঝার চেষ্টা করল লোকটা বর্তমানে কোন মুডে আছে। স্বাভাবিক ভাবে নাকি অস্বাভাবিক? অতঃপর তার অন্যহাতে থাকা টিফিনবক্সটা এগিয়ে ধরে বলে,
“কোহিনূর! আপনার জন্য খাবার এনেছি। খাবেন না?”
কোহিনূরও এবার হালকা কেশে মাথা নাড়ায়। তার ঘাড়ে হাত দিয়ে ঘাড় কাঁত করে বলে উঠল,
“কি মিস. রাগের রানী? আমার জন্য একটুও চিন্তা নেই তোমার। সকাল সেই কখন হয়েছে। অথচ তুমি সকালের খাবার দুপুরে নিয়ে এসেছো!”
রাগিনী কোহিনূরের কথার হাবভাব শুনে বুঝতে সময় লাগে না যে সে এখন আগের মতো গম্ভীর আর একটু ভয়ানক রকম মুডি মানুষ হয়ে রয়েছেন। তাই সে দ্রুত টিফিনবক্সটা খুলতে শুরু করে। দুহাত দিয়ে খোলার সময় বাম হাতে হালকা ব্যথাও পায় সে। ঠোঁট দিয়ে হালকা শব্দ করে হাতটা ঝটকা মেরে সরিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ থেমে আবারও টিফিনবক্সে হাত দেয়। হাতে চাপ পড়ায় ব্যথা কয়েক গুন বেড়ে গিয়েছে। তারপর ব্যস্ত কন্ঠে বলে ওঠে,
“আ…আসলে ঘুম ভাঙতে লেট হয়ে গিয়েছে আজ। তাই আসতেও দে…দেরী করে ফেলেছি।”
কোহিনূর এবার মাথা ঝুঁকে ফেলে খানিকটা নিচু হয়ে বসে রাগিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আর ক্ষীণ সুরে বলে,
“আই থিংক ইউ আর এন অ্যাক্টিভ গার্ল। তো কীসের খুশিতে এতো লেট করে ঘুম ভাঙলো আপনার মিস.?”
অস্বস্তিতে পড়ে যায় রাগিনী। সেই সাথে রাগ হয় বেশ। না চাইতেও মুখ ফসকে বলে ফেলে,
“কারণটা তো আপনিই। সারা রাত জ্বালিয়েছেন আমাকে!”
ভড়কে উঠে তাকায় কোহিনূর। এই কথার মানে কি? ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে কিছু না বুঝে বলে,
“মানে?”
এবার নিজেকে সামলে নেয় রাগিনী। খাবার কোহিনূরের সামনে ধরে কথা এড়িয়ে যাবার জন্য বলে,
“এই নিন খাবার। খেতে শুরু করুন। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন তো। আজকে আমরা বাহিরে যাব।”
রাগিনীর সব কথায় যেন কোহিনূরের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। ভ্রু কুঁচকায় কোহিনূর। পুনরায় জিজ্ঞেস করে,
“বাহিরে যাচ্ছি?”
“হুমম। অন্যদিন তো ঠিকই বাহিরে পালিয়ে চলে যান। আমি আজ আপনাকে নিয়ে যাব।”
মূহুর্তেই যেন কোহিনূরের সেই ঠোঁটে দেখা যায় এক চিলতে হাসি। হাসিটা যেন কত কথা বলে দেয়। সেই কথা বোঝার ক্ষমতা নেই কারোর। রাগিনীরও হয়ত না! দ্রুত খাবারটা রাগিনীর হাত থেকে নিতে যেতেই তার হাতে ব্যান্ডেজ করা দেখে কোহিনূর। সঙ্গে সঙ্গে কপালে সূক্ষ্ণ ভাঁজ পরিলক্ষিত হয় তার। চোখের ধরন পাল্টে যায়। রাগিনীর সেই হাতে আলতো স্পর্শ করে বলে ওঠে,
“হাত কিভাবে কেটেছে তোমার? কাল অবধি ভালো ছিলে।”
“তেমন কিছু না। সামান্য এক্সিডেন্ট। এমন করছেন যেন এই প্রথম কোনো মানুষের হাত কা’টা গেল।”
বলেই হেঁসে দেয় রাগিনী। আসলে যে নিজেই মানসিকভাবে অসুস্থ সে-ই মানুষটাই উল্টে তার কেয়ার নিতে আসছে। ভেবে হাসিটা চলেই আসে তার। কোহিনূর কিছু বলল না। মুখটা পানসে হলো তার। হাতে খাবার নিয়ে নির্লিপ্ত ভাবে খেতে শুরু করল সে।
কোহিনূরের খাওয়া শেষ হতে না হতেই রাগিনী তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। একপ্রকার কোহিনূরকে টেনেই আয়নার সামনে বসিয়ে দিল সে। কোহিনূরের মেয়েটার ভাবসাব কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না।
“আরে আরে কি করছো তুমি?”
রাগিনী তার কথার পাত্তা না দিয়ে তার ব্যাগ থেকে চিরুনি বের করল। তখনি চোখ গোল গোল হয়ে এলো কোহিনূরের। মেয়েটার মতলব কি? কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাগিনী তার মাথায় চিরুনি চালিয়ে দিয়ে বলে উঠল,
“চুল গুছিয়ে রাখেন না কত বছর?”
কোহিনূর মাথা সরাতে গেলে চোখ গরম করে তাকায় রাগিনী। এবার ধমক দিয়ে বলে ওঠে,
“খবরদার নড়াচড়া করবেন না। ডোন্ট মুভ! আমি বাহিরে এই অগোছালো, এলোমেলো কোহিনূরকে নিয়ে যাব না। আমি আজ এতো যত্ন করে নিজেকে সাজিয়েছি আমার পাশে এই অগোছালো কোহিনূরকে রাখার জন্য মনে হয়? আমার পাশে শুধু কোহিনূর রত্ন থাকবে। আন্ডারস্ট্যান্ড?”
কোহিনূর ভ্যাবাচেকা খায়। মুখে শুধু রাজ্যের বিস্ময়। তবে অন্য কিছু বলতে পারে না। বলতে চায়ও না। চুলগুলো ঠিকঠাক মনমতো করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল রাগিনী। চিরুনি করা শেষে ব্যাগ থেকে হেয়াল জেল বের করতেই চোখ বড় বড় হয়ে এলো কোহিনূরের। তা খেয়াল করে রাগিনী গমগমে সুরে জিজ্ঞেস করল,
“কিছু বলতে চান?”
কথাটা শোনামাত্র কোহিনূর ঝড়ের গতিতে মাথা নাড়ায়। সে কিছুই বলতে চায় না। আশ্চর্য! এতো ভয় পাচ্ছে কেন সে? এতো ভীতু তো সে নয়। সামান্য ছোটখাটো একটা মেয়ের কথায় ভয় পাচ্ছে? এই ভয় পাওয়াটা কি স্বাভাবিক? নাকি এই রাগিনী নামক নারীটির কথাগুলো মানতে ভালো লাগছে তার? কোনটা?
চেয়ারে বসে থেকে কিছু ফাইল চেক করছিল রায়ান। ব্যস্ত ভঙ্গিতে মনোযোগটা ফাইলেই রেখেছে। কাজে একদম হেলাফেলা তার পছন্দ নয়। কাজের সময় কাজটাই সে প্রাধান্য দেয়। তার চেয়ার টেবিলের সামনেই খানিকটা দূরে বসে ছিল শেখর। কিছু একটা বলতে উশখুশ করছে সে। তবে রায়ানের ব্যস্ততা দেখে বলতে পারছে না। রায়ান কাজের সময় অকাজের কথা বললে বেশ ক্ষেপে যায়। তবুও কথাটা চেপে রাখতে না পেরে সে কন্ঠস্বর দৃঢ় করে বলে উঠল,
“স্যার, আপনার কি মনে হয়? অফিসার নির্জন এই কেস সলভ করতে পারবে?”
কথাটা কর্ণগোচর হতেই রায়ানের মনোযোগ সরে গেল। তবে ফাইল থেকে চোখ সরলো না। ফাইলের পাতা উল্টিয়ে বলল,
“করতেই পারে। সেটা তার অ্যাবিলিটির উপর নির্ভর করছে। আমার মনে হয় সে পারবে।”
“কিন্তু আপনার মতো ইন্টেলিজেন্ট আর ব্রিলিয়ান্ট মানুষকে রেখে ওই নির্জনকে এই বড় কেসের ইনভেস্টিগেশন করতে দেওয়া কোনো কি দরকার ছিল?”
এবার শেখরের দিকে চোখ তুলে তাকায় রায়ান। তার দুটো চোখেই যেন রাজ্যের গাম্ভীর্য। শান্ত একটা মানুষ। চোখ দুটো দেখেই যে কেউ শান্ত হতে বাধ্য। অতিরিক্ত কথা সে পছন্দ করে না শুনতেও বা বলতেও। ভার কন্ঠে বলে,
“আমিও মনে করি তার মধ্যে নিশ্চয় এমন কিছু একটা আছে যেটা যেকোনো কিছু সলভ করতে পারবে। আমাকে কেন কেস দেয়নি সেটা নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই। এই ধরনের কেস সাধারণত সিক্রেট টিমকেই দেওয়া হয়। প্রকাশ্যে এই তদন্ত করলে আত*ঙ্কবাদী সাবধান হয়ে যাবে।”
এবার থামে রায়ান। দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ে। হাতটা টেবিলের উপর রেখে পায়ের উপর পা তোলে। মুখটায় দেখা যায় বিষণ্ণতা। আনমনে বলে ওঠে,
“অফিসার নির্জনের প্রতি আমার কোনো হিংসা নেই। কিন্তু আমার এখনো মনে পড়ে, তার বাবার জন্য আমার বাবা যখন পুলিশের পদ থেকে সাসপেন্ড হয়েছিল। তখন আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল চিন্তায়। লজ্জায় মুখ দেখাতে পারতো না কাউকে। আমি জানি আমার বাবার দোষ ছিল। কিন্তু জানি না হালকা চাপা ক্ষোভ আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না কিছুতেই। হয়ত তার ছেলে হিসেবে এটা স্বাভাবিক! কিন্তু সত্যিই আমি তাকে হিংসে করিনি।”
শেখর বাকহীন হয়ে পড়ে। রায়ানের মুখভঙ্গি স্বাভাবিক তবে তার কথায় দুঃখের আভাস পেয়েছে সে। রায়ান শক্ত দৃষ্টিতে শেখরের দিকে তাকায়। আর বলে,
“অফিসার নির্জনকে তার মতো কাজ করতে দেওয়াই ভালো। দরকার পড়লে ফিউচারে আমি তাকে সাহায্য করব এই কেসে।”
শপিংমলে এসেছে রাগিনী। পাশেই হাঁটছে কোহিনূর। তাকে রীতিমতো জোর করে সেখানে আনা হয়েছে। তবে রাগিনী কেন তাকে এখানে এনেছে সেটা তার মস্তিষ্কে এখনো আসে নি। তারা গিয়ে দাঁড়াল জেন্টস্ সাইটে। সেখানে ছেলেদের জন্য বিভিন্ন কোট, শার্ট, ব্লেজার পাওয়া যায়। রাগিনী ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো জিনিসগুলো। এরপর কালো রঙের একটা ব্লেজার বের করে দেখলো কোহিনূর অন্যদিকে ঘুরে রয়েছে। তার হাত ধরে টেনেই সামনে ঘোরালো রাগিনী। কটমট করে বলল,
“কি হয়েছে আপনার?”
“আমার কি হবে? তোমার কি হয়েছে? আমাকে বাহিরের আনার নাম করে আমাকে কি জোকার বানানোর প্ল্যানিং আছে তোমার?”
চোখমুখ জড়িয়ে ফেলে রাগিনী। হাতে ব্লেজারটা তুলে ধরে চোখ রাঙিয়ে বলে ওঠে,
“এটা কি জোকার পড়ে?”
দমে গেল কোহিনূর। রাগিনী তার নিকটে এসে ব্লেজার ধরতেই দেখল ব্লেজারটা ছোট হচ্ছে। বিরবির করে সে বলে উঠল,
“মানুষটাও তো হয়েছেন দৈত্যের মতো! ফিট হতে চাইছে না গায়ে।”
কথাটা ধীরে বললেও কানে এলো কোহিনূরের। নিজেকে আবারও পা থেকে দেখে নিল। হাত দুটো ভালো করে দেখে নিল। তাকে সত্যিই দৈত্যের মতো মনে হয়? মেয়েটা কি অন্ধ? তার এতো সুন্দর চেহারা কি চোখে পড়ে না?
রাগিনী সেখানকার কর্মরত থাকা একটা মহিলাকে ডেকে বলল কোহিনূরের জন্য ঠিক কালো রঙের একটা ব্লেজার দিতে। মহিলাটি সম্মতি জানিয়ে কিছুক্ষণ পড়েই কালো রঙের ব্লেজার সহ পুরো সুট নিয়ে হাজির হতেই রাগিনী ইশারা করে বলে তাকে চেঞ্জ করে আসতে। কোহিনূরের কোনো পথ থাকে না মানা করার মতো। কথা মতো চলে যায় চেঞ্জিং রুমে।
নির্জনকে একের পর এক কল করে যাচ্ছে মেহরাজ। তার স্যারের পাত্তা নেই। একেবারেই লাপাত্তা। লাস্ট একবার কল করে ক্লান্ত হয়ে ফোনটা টেবিলে রেখে বড় শ্বাস নিয়ে চেয়ারে বসে সে। ফোনের দিকে তাকিয়ে একনিশ্বাসে বলে ওঠে,
“আমাকে রাজ্যের প্রেশার দিয়ে নিশ্চয় উনি শান্তিতে সেবা গ্রহণ করছেন! এডভান্টেজ নিতে তো উনি মাস্টার!”
কথাটা মুখ থেকে ছোটা মাত্র ফোনটা বেজে উঠতেই ধড়ফড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে মেহরাজ। স্যালুট করে দরজার দিকে ঘুরে চোখ বন্ধ করে একনাগাড়ে বলতে থাকে,
“সরি স্যার! সরি! আমি যা বলেছি ভুল বলেছি। এগুলো কথা আর জীবনে উচ্চারণ করব না স্যার।”
এরপর মেহরাজের মনে হয় তার ফোনটা বাজছে। নির্জন এখনো আসেনি। চোখ মেলে তাকায় সে। নিজের মাথায় নিজেই হালকা চাপড় মে’রে ফোনটা হাতে নিয়ে রিসিভ করতে ভেসে আসে নির্জনের চাপা সুর।
“স্টুপিড! এতবার কল করার কি আছে?”
নির্জনের চাপা সুর শুনে মেহরাজের টনক নড়ে। ভাবুক হয়ে প্রশ্ন করে,
“স্যার, আপনি কি ডেঞ্জার জোনে আছেন? এভাবে কথা বলছেন কেন?”
“সেরকমই কিছু ধরে নাও। যেটা বলার জন্য তোমাকে ফোন করেছি সেটা শোনো। তোমরা রেডি তো?”
“ইয়েস স্যার। আপনি যখন বলবেন। তখনি আমরা কাজে লেগে পড়ব। কিন্তু স্যার, বলছিলাম যে কাজটা একটু রিস্কি হয়ে যাচ্ছে না?”
নির্জন এবার চাপা সুরেই ধমক দেয় মেহরাজকে।
“শাট আপ! আমি পুরোপুরি না হওয়া অবধি শান্তি পাচ্ছি না। রাতে ঘুম কেঁড়ে নিয়েছে মেয়েটা আমার। ঘুমটা পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য হলেও এতো বড় রিস্ক আমাকে নিতে হবে। এই কনফিউশানে আমি ভুগতে পারব না।”
মেহরাজ কিছু একটা ভেবে দাঁত বের করে হাসে। একটু হেঁসে নিয়ে বলে,
“স্যার, মেয়েটা যদি সত্যিই রাগিনী তাজরীন হয় তাহলে আপনার কষ্ট হবে তাই না?”
“কষ্ট? কীসের কষ্ট?”
নির্জনের ক্ষুব্ধ সুর বেজে উঠতেই নিজেকে দমিয়ে নেয় মেহরাজ। নিজেকে ধাতস্থ করে বলে,
“না স্যার কিছু না।”
ওপর পাশে এবার নির্জন চুপ। কিছুক্ষণ নিরবতা রেখে সে এবার বেশ রয়েসয়ে প্রশ্ন করে,
“লিসেন মেহরাজ, একটা কথা বলো! আমাকে কি কোনোদিক থেকে দেখতে দানব বা দৈত্য টাইপের মনে হয়?”
প্রশ্নটা শুনে নিজেই বোকা হয়ে গেল মেহরাজ। থম মেরে রইল কিছুক্ষণ। তারপর তড়িঘড়ি করে জবাব দিয়ে উঠল,
“প্রশ্নই ওঠে না। আপনার মতো একটা সুদর্শন আর পারফেক্ট মানুষকে কে দানব বলল? কার এতো বড় স্পর্ধা?”
নির্জন ধীর কন্ঠে বলল,
“যার স্পর্ধা সে ঠিকই খুব সহজে বলে দিয়েছে। বাই দ্যা ওয়ে বি রেডি ওকে?”
বলেই ফোনটা ওপাশ থেকে ফট করে কেটে গেল। মেহরাজ সেই ভ্যাবাচেকা খেয়েই দাঁড়িয়ে রইল।
চলবে…
[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গতকাল গল্প লিখতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম হঠাৎ করেই। লিখা কমপ্লিট হয়নি। সকালে একটু লিখেই দিয়ে দিলাম। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]