ধূসর প্রেমের অনুভূতি – পর্ব ১

0
1879

(০১)
বয়ফ্রেন্ডকে সারপ্রাইজ দিতে এসে নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেল ফারিহা৷ রাগে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে হাতে থাকা ফ্লাওয়ার ভাসটা স্বজোরে মাটিতে ছুড়ে মারে, কাঁচ ভাঙার শব্দে অর্নিল ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে ফারিহাকে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে গেল ৷ দ্রুত অর্ধনগ্ন মেয়েটিকে তার নগ্ন বুকের উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে দিয়ে ফারিহার কাছে ছুটে যেতে নিলে ফারিহা ফ্লোর থেকে কাঁচের টুকরো হাতে নিয়ে অর্নিলের দিকে ধরে বলে, ” আর একটা পা এগোবে না রাস্কেল ৷ তোর মতো ছেলেকে ভালোবেসে আমি সত্যি ভুল করেছি ৷ তোর মতো নোংরা ছেলে কখনো আমার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা রাখিস না ৷ ধোকা দিলি আমাকে এর শাস্তি তোকে আমি অবশ্যই দিবো বাস্টার্ড যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ৷”

অর্নিল ফারিহাকে কিছু বলতে নিবে ফারহা তার হাতের কাঁচটা অর্নিলের গলার কাছে ধরে বলে , ” নো মোর ওয়ার্ড ইউ বাস্টার্ড ৷ আদার ওয়াইজ আই উইল কিল ইউ ৷”

অর্নিল ভয়ার্ত চোখে ফারিহার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো , ” আ,, আমার কথা শুনো ফারিহা আ,, মি এ,, ই মেয়েটাকে সত্যি চিনিনা৷ ”

” যাস্ট শাটআপ অর্নিল তোর ওই নোংরা মুখে আমার নাম উচ্চারণ করবি না ৷ যদি করিস তাহলে তোর জিব্বাহ্ আমি এই মুহূর্তে টেনে ছিড়ে ফেলবো৷”

ফারিহার রক্তলাল চোখ দেখে ভয়ে অর্নিল মুখ ফুটে কিছু বলতে পারলো না ৷ মূর্তির মতো দাড়িয়ে রইল৷ ফারিহা অর্নিলকে অভার টেক করে অর্ধনগ্ন মেয়েটার চুলের মুঠি ধরে ফারিহা দাঁতে দাঁত চেপে বলে, ” তোকে ছেড়ে দিবো এটা কখনো ভাবিস না ৷ ছেলেদের বেডে যাওয়ার শখ তোর আমি সারা জনমের জন্য মিটিয়ে দিবো আমি যাস্ট ওয়েট ৷ তোদের দুজনকেই এমন শাস্তি দিবো যে আমাকে ধোকা আর প্রতারনার করার কথা গুলো ভাবতেই তোদের শরীরে কাটা দিয়ে উঠবে কলিজা কেঁপে উঠবে৷ ” ফারিহা মেয়েটির চুল ছেড়ে দিতে মেয়েটি শরীরে চাদর পেচিয়ে অর্নিলের সামনে দাড়িয়ে বলে, ” এই যে মিস্টার আমার টাকাটা দিন আমি চলে যাই৷ আপনার জন্য এই ম্যাডাম আমারে খুন করবো৷ আপনি অন্য কাউরে ডাইক্কালন হে আপনার লগে শুইবো আমি আর থাকুম না আমার টাকা ডা দিয়া দেন ৷”

অর্নিল মেয়েটা জোড়ে ধমক দিয়ে বলে ওঠে, ” এই মেয়ে কে তুমি? আর এই সব কি বলছো? আমি কেন তোমাকে ডাকবো? আর তুমি এখানে কি করছো আমার বেড রুমে?”

” ক্যান স্যার আপনে তো আমাকে নিয়া আনছেন আপনার লগে শোবার লাইগ্গা৷ ”

ফারিহা অর্নিল আর মেয়েটার কথা শুনে রেগে অনির্লের গলা চেপে ধরে বলে, ” ছিঃ অর্নিল তোর এতোই শরীরের ক্ষিদে যে রাস্তার প্রস্টিটিউড নিজের বেডে নিতে দু’বার ভাবলি না? তোর মতো নোংরা জঘন্য ছেলে আমার বয়ফ্রেন্ড এটা ভাবতেই আমার সারা শরীর ঘিন ঘিন করতে ৷ তোর ওই নোংরা হাত দিয়ে আমাকে ছুঁয়েছিস ৷ তোকে না আমি কখনো ক্ষমা করবো আর না ছেড়ে দিবো ৷ এবার দেখবি এই ফারিহা তোর সাথে ঠিক কি কি করে ৷ ” ফারিহা রক্তিম চোখে অর্নিল আর মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রেগে রুমে থেকে বেড়িয়ে যায়৷

ফারিহা চলে যেতে অর্নিল স্বজোরে এক থাপ্পড় মারে মেয়েটিকে…

” শালি বল তোকে কে পাঠিয়েছে? আমি তো তোকে ডাকি নি ৷ তাহলে কে তোকে পাঠিয়েছে বল?”

অর্নিলের ধমক শুনে মেয়েটা কেঁদে দিয়ে বলে ,” আপনি তো আমারে ফোন কইরা ডাকলেন৷ নাইলে আমি কেমনে এই হানে আপনার ঘরে আসমু?”

অর্নিলের যেন রাগে মাথা ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম৷ দু’মাস ফারিহার পেছনে ঘুরে এক সপ্তাহ আগে ফারিহা তার ভালোবাসার প্রপোজালে রাজি হয়৷ আর এখনি তাকে এমন নোংরা বাজে অবস্থায় দেখে ভুল বুঝলো৷ অর্নিল নিজের ভাবনা থেকে বের হয়ে মেয়েটিকে কিছু বলবে কিন্তু পুরো রুমে খুজে মেয়েটিকে দেখতে পায় না ৷ কয়েক মুহূর্তে মেয়েটি যেন ভ্যানিস হয়ে গেল৷ অর্নিল ভেবে পাচ্ছে না ওর সাথে কি হলো! …..

(০২)

” আপু কাজ হয়েছে? অর্নিল তোকে চিনতে পারেনি তো? তুই যে ফারিহা নয় ফারহা?”(ফারিহা)

” ফারিহা আজ পর্যন্ত আমাদের মম ড্যাড চিনতে পারলো না কে ফারহা আর কে ফারিহা তাহলে তোর এই দুই দিনের প্রেমিক কি করে আমাকে চিনবে হুম?” (ফারহা)

” আপুরে তুই এই অর্নিলকে আমার হাত থেকে বাচিঁয়ে দিলি নাহলে আজ ওর মৃত্যু নাচছিলো আমার হাতে….”

” ফারিহা আমি তোকে আগেও বলেছি নিজের রাগ জেদটাকে কন্ট্রোল কর এমন না হয় তোর এই রাগ আর জেদ এর জন্য তোকে তোর জীবনটাকে হারাতে হয়৷ আর আমরা যাস্ট তিনমাস হলো বিডিতে ফিরেছি এখনি এমন কিছু করিস না যাতে পুলিশ কেস হয়৷ ”

ফারহার কথা অগ্রাহ্য করে ফারিহা বলতে লাগলো, ” আমি এখানকার একটা কলেজে চাকরি পেয়েছি৷ বাট মম জব টা করতে দিতে চাচ্ছে না ৷”

” আমি মমকে ম্যানেজ করে নিবো বাট তোকে প্রমিজ করতে হবে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করবি৷”

” ঠিক আছে তোর কথা মতোই সবটা হবে ৷ ”

ফারহা ফারিহা তাদের গাড়িতে উঠতে গাড়ির সামনে অর্নিলের সাথে থাকা মেয়ে এসে দাড়ায়৷ মেয়েটিকে দেখে ফারহা ফারিহার পার্সটা নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে মেয়েটির সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলে,” দারুন অভিনয় করেছো ফুলি ৷ আ’ম ইম্প্রেস এই নেও তোমার বাকি টাকা ৷”

ফারহা পার্স থেকে মোটা অংকের একটা বান্ডিল বের করে ফুলির হাতে দিয়ে বলে,” তোমাকে যেন আর এই শহরে না দেখি ফুলি ৷”

” দেখবেন না ম্যাডাম ৷ আমি আইজকা গ্রামে চইলা যামু ৷ এই শহরে আর ফিরুম না ৷ আপনি নিশ্চিতে থাকেন ম্যাডাম৷”

ফারহা কিছু বললো না তবে ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসিটা ফুটে উঠলো ৷ ফারহা চোখে সানগ্লাস পড়ে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টাট দেয়৷

________

” স্যার আপনি এখানে? আপনার তো খান মন্জিলে থাকার কথা ৷” ফাইল গুলো ঘুছাতে ঘুছাতে বলতে লাগলো আসলাম৷ আসলামের কথা শুনে মেঘ আড়চোখে আসলামের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ,” কি বেপার আসলাম আজ কাল দেখছি আমার থেকে খান মন্জিলের খবর তুমি বেশি রাখছো? কারোর প্রেমে ট্রেমে পড়লে নাকি?” শীতল গলায় বলল মেঘ..

মেঘের কথা শুনে এসি চলা কালিন দর দর করে ঘামতে লাগলো৷ আসলামের মনের কথা মেঘ অতি সহজে বুঝতে পারবে তার তীক্ষ্ম চোখ দুটো দিয়ে.. আসলাম জানে মেঘ যে কোন মানুষের চোখ দেখে তার ভিতর টা পড়ে ফেলতে পারে ৷

” ভয় পেলে আসলাম? ভয় পাবার কিছু নেই আসলাম বলে ফেলো তুমি কি বলতে চাও৷”

” বলছিলাম আপনি এবার সংসারি হন স্যার ৷ আর কতো বছর লুকিয়ে এই কাজ গুলো করবেন? ”

” আমার লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমি যে এই পথ থেকে ছাড়তে পারবো না আসলাম৷ ”

মেঘ শার্টের উপর ব্লেজার পড়তে পড়তে আসলাম কে বলে, ” আমি বের হচ্ছি ৷ খান মন্জিল থেকে এসে পুরো ডিটেইলস এর ফাইল যেন আমার টেবিলের উপর দেখতে পাই আসলাম৷”

” ওকে স্যার ৷”

মেঘ গাড়ির চাবি নিয়ে ফুরফুরে মন নিয়ে গাড়ি স্টাট দেয়৷

(০৩)

খান মন্জিলের সামনে দাড়িয়ে আছে মেঘ ৷ দীর্ঘ সাত বছর পর খান মন্জিলে পা ফেললো মেঘ৷ খান মন্জিলে প্রবেশ করার সাথে সাথে দু’পাশ থেকে সারভেন্টরা ফুল দিয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে ৷ মেঘ প্রথমে বিরক্ত হলেও চোখে মুখে তা প্রকাশ করে না৷
হঠাৎ পেছন থেকে মেঘ কে বলে ওঠে..
” কেমন আছো মেঘ ?” (ফায়েজ খান)

” আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনি কেমন আছেন আঙ্কেল?”

” দুই মেয়েকে দীর্ঘ সাত বছর পর কাছে পেয়ে বাবা মা যেমন থাকে আমিও তেমন আছি মেঘ৷”

” উহু আঙ্কেল এটা কিন্তু আমার প্রশ্নের উওর হলো না ৷”

ফায়েজ খান মুচকি হেসে মেঘ কে আবার জ্বিজ্ঞাসা করলো, ” এখন কি মেহরাবের বিজনেস সামলাচ্ছো মেঘ?”

” না আঙ্কেল আপনার বন্ধুর বিজনেস আমি নই বরং শ্রাবণ ভাইয়া সামলাচ্ছে ৷ ”

” তাহলে তুমি কি করছো মেঘ?”

” আমি! আ,, বাকিটা বলার পূর্বে মিহি কন্ঠে পেছন থেকে কেউ বলে উঠলো , ” ড্যাড মম কোথায়? মম কে কোথাও দেখছি না কেন?”

মেঘ এমন মিষ্টি কষ্ঠ শুনে পেছনে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে চকলেট রঙের একটা সুন্দর গাউন পরিহিতা রমনী ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি নিয়ে সামনে দাড়িয়ে আছে৷ মেঘের হার্টবিট যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য ওখানে থেমে গেল৷ বুক ধুক ধুক যেন হঠাৎ করে বেড়ে গেল৷ গলা শুকিয়ে এলো মেঘের…

ফায়েজ খান তার মেয়েকে দেখে বুঝতে পারছে না এটা তার বড় মেয়ে ফারহা নাকি ছোট মেয়ে ফারিহা! কারণ সিড়ি দিয়ে তার আর এক মেয়ে একই রকম গাউন পড়ে তাদের দিকে আসচ্ছে৷

মেঘের সামনে দাড়িয়ে থাকা রমনী মেঘের সামনে এসে দাড়িয়ে বলে , ” কেমন আছো মেঘরাজ?”

” ফারহা!”
ফারহা মুচকি হাসলো৷ ফারিহা পেছন থেকে ফারহাকে জড়িয়ে ধরে বলে , ” আপু দেখনা চুল টা খোপা করতে পারছি না৷ একটু হেল্প করে দে না ৷”

ফারহা মেঘের উপর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ফারিহার চুল খোপা না করে ফ্রাঞ্চ বেনি করে দেয়৷

খানমন্জিলে ফায়েজ খান আজ পার্টি থ্রো করেছে তার দুই রাজ কন্যা ফারহা আর ফারিহার জন্য… ফারহার ফুফি মোহনা রহমান তার দুই ছেলে রাফি আর আদিল কে নিয়ে খান মন্জিলে প্রবেশ করতে তিনি চমকে ওঠে ফারহা আর ফারিহাকে দেখে, রাফি আর আদিল দুজনে প্রচন্ড খুশি তাদের প্রাণ প্রিয় বোনদের দেখে , ফারহা ফারিহা যে গত তিনমাস আগে বিডিতে এসেছে এই খবর খুব কম মানুষই জানে,

দুই ভাই এসে ফারহা ফারিহার কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে৷ ফারহা ফারিহা দুজনে বেশ অবাক হয় কিন্তু পরক্ষণে চিনতে পেরে ভাইদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়৷

এদিকে মেঘ দুরে দাড়িয়ে ফারহাকে অবলক্ষণ করছে৷ ফারহা সফট ড্রিং নেওয়ার জন্য মিনি বারে আসতে হঠাৎ করে ফারহার মুখ চেপে ধরে একটা একটা রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা লক করে দেয়৷

ফারহাকে জড়িয়ে থাকা লোকটার পায়ে আঘাত করে বেডের উপর ছিটকে পড়ে ৷

ফারহা কিছু বলতে যাবে তখনি মেঘ ফারহার গলা চেপে ধরে বলে ওঠে, ” সাত বছর আগে আমাকে না বলে চলে গিয়ে যে ভুল করেছো তার শাস্তি তোমাকে পেতে হবে এবার ফারুপাখি ৷ আমাকে দেওয়া প্রত্যেকটা কষ্টের মূল্য এবার তোমাকে দিতে হবে ফারুপাখি ৷”

মেঘের হাত কিছুটা আলগা হতে ফারহা মেঘকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মেঘের উপর উঠে বসে মেঘের গলার আঙ্গুল দিয়ে স্লাইট করতে করতে বলে, ” তুমি আমাকে শাস্তি দিতে পারবে মেঘরাজ? তোমার ফারুপাখিকে তুমি কষ্ট দিবে? আচ্ছা মেঘরাজ আমার কষ্ট দেখে কি তোমার কি বিন্দুমাত্র কষ্ট হবে না? ”

ফারহার স্পর্শে মেঘের বুকের ভেতর টা যেন তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে ৷ দীর্ঘ সাত বছর পর তার ভালোবাসার মানুষটির স্পর্শ তাকে কঠিন থেকে তরল হতে বাধ্য করছে যেটা মেঘ কোন মতে চাইছে না৷

মেঘ কিছু বলতে যাবে তার পূর্বে মেঘের ফোনটা বেজে ওঠে ৷ ফারহা মুচকি হেসে মেঘের উপর থেকে নেমে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়৷ মেঘ ফারহার চলে যাওয়ার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে কল রিসিভ করে কানে ধরতে ওপাশ থেকে কেউ একজন বলে ওঠে , ” স্যার একটা ইনফরমেশন আছে৷ আজ শহরের বোম ব্লাস্ট হবে ৷ কিন্তু কোথায় কখন এটা জানা সম্ভব হয়নি৷”

” ইউ ইডিয়েট এটা না জানলে কি করে এটা আটকাবো আমি? ” মেঘ কিছু একটা ভেবে বলে , ” ওয়েট আজ যা হতে চাইছে হতে দেও ওদের নেক্সট প্লান কি হবে এটা বুঝতে পারবো আজ কোথায় কোথায় বোম ব্লাস্ট হবে৷”

আসলামের পুরো কথা শেষ হবার পূর্বে মেঘ কল ডিসকানেক্ট করে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়৷

অর্নিল ভয়ে থর থর করে কাঁপছে ৷ তারই রুমে ফুলি নামের মেয়েটির মৃত দেহ পড়ে আছে৷ অর্নিল কি করবে ভেবে পাচ্ছে না৷ মেয়েটি কি করে তার ফ্লাটে আবার ফিরে এলো আর মরে গেল কি করে এটাও অর্নিলের মাথায় ঢুকছে না৷ অর্নিল আরো ভালো করে শিওর হওয়ার জন্য ফুলির হাতের পাল্স চেক করার জন্য হাত স্পর্শ করতে কেঁপে ওঠে অর্নিল…….
.
.
.
#চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here