#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_২২
.
.
ফারিহা রাগি চোখে অর্নিলের দিকে তাকাতে অর্নিল হু হা করে হাসতে হাসতে বলে,” আ’ম জোকিং সুইটহার্ট তবে বাসর তো হবে আমাদের বিয়ের পরে৷”
” বিয়ে মাই ফুট৷ আমি এখুনি এখান থেকে চলে যাবো৷” এই বলে ফারিহা বেড থেকে নেমে দরজা দিকে এগোতে হঠাৎ হাতে টান পড়তে ফারিহা চোখ বন্ধ করে ফেলে৷ এক সেকেন্ডের মাথায় ফারিহা চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে তার হাত দুটো দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে দুটো শক্ত পক্ত হাতের বাধনে আবদ্ধ৷ আর সেই হাত জোড়ার মালিক তার দিকে রক্ত বর্ণ চোখে তাকিয়ে আছে৷
ফারিহা হাত ছাড়ানোর ট্রাই করতে করতে অর্নিলের দিকে রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে,” আমার হাত ছাড়ো অর্নিল৷”
” ছাড়ার জন্য তোমার হাত ধরেনি সুইটহার্ট ৷ ”
” ইটস হার্টিং অর্নিল৷” লাস্ট কথা গুলো ফারিহার কথা কানে পৌছাতে অর্নিলের হাতের বাধণ আলগা হয়ে আসে৷ সে সুযোগে ফারিহা অর্নিলকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বলে,” অর্নিল তুমি সত্যি খুব ভালো ছেলে না হলে আমি যা করেছি তোমার সাথে তারপর ও তুমি বারংবার আমার কাছে ফিরে এসেছো৷ বাট ট্রাস্ট মি আমি তোমার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য নই৷ ইনফ্যাক্ট আমি কারো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা রাখি না৷ তাই বলছি প্লিজ পাগলামি করো না৷ আর আমাকে যেতে দেও৷ আপু এসে আমাকে দেখতে না পেলে টেনশন করবে৷”
ফারিহা অর্নিলকে কথা গুলো বলে দরজার দিকে এগোতে নিলে হুট করে অর্নিল ফারিহাকে দেওয়ালের সাথে আরো শক্ত করে চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,” আমাকে কি তোমার মানুষ মনে হয় না ফারিহা? আমার ভালোবাসাটা তোমার চোখে কি পড়ে না? দেখতে পাওনা তোমার ভালোবাসার দহণে আমি কতোটা পুড়ছি? আমার ভালোবাসাটাকে কি তুমি হাতের খেলনা পেয়েছো? যখন ভালো লাগলো খেললে আর যখন ভালো লাগলো না ফেলে দিলে৷ আ’ম নট অ্যা টয়েস ফারিহা৷ আমার ধৈর্যের বাধ যদি একবার ভেঙে যায় তাহলে তুমি আমার সেই রূপ দেখবে যেটা আমি তোমাকে দেখাতে চাই না৷ ”
ফারিহা কিছু বলতে নিবে তখনি অর্নিল তার ওষ্ঠধর জোড়া ফারিহার ওষ্ঠাধরের ভাজে ডুবিয়ে দেয়৷ ফারিহার হাত জোড়া যেহেতু অর্নিলের হাতের মুঠোয় সেহেতু ফারিহা কোন ভাবে অর্নিলকে আটকাতে পারলো না৷ অর্নল তার রাগ ক্ষোভ সবটা ফারিহার কোমল ঠোঁটের উপর ঝেড়ে দিলো৷ কয়েক মিনিট পর অর্নিল ফারিহার ঠোঁট জোড়া ছেড়ে দিয়ে ফারিহার কপালে কপাল ঠেকিয়ে দুজনে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে লাগলো৷ ফারিহার উপর রাগ কিছুটা কমে আসতে অর্নিল ফারিহার কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে ফারিহাকে কোলে তুলে নিয়ে আবারও বেডে শুইয়ে দিয়ে বলে,” সুইটহার্ট এই লাস্ট বার যদি তুমি পালানোর চেষ্টা করো তাহলে তুমি যা ভাবতেও পারবে না ৷ আমি ঠিক তাই করবো৷ ভেবো না তোমায় আমি ছেড়ে দিবো! ভালোবেসেছি তোমায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য নয় বরং ভালোবাসার জন্য, তুমি শুধু আমার এই অর্নিল খন্দকারের৷ ”
ফারিহার ঠোঁট জোড়া যেন আগুনের ন্যায় জ্বলছে৷ ঠোঁট সহ তার আশে পাশে লাল হয়ে আছে যেন টাচ লাগলে রক্ত বেরিয়ে আসবে৷
ঠোঁটের জ্বালা তার উপর অর্নিলের এমন পরিবর্তন কোনটাই ফারিহা মেনে নিতে পারছে না৷ শরীর অত্যান্ত দূর্বল থাকায় ফারিহা চেয়েও অর্নিলের বিরুদ্ধ লড়তে পারলো না৷ কারণ সেই শক্তি তার ভিতর অবশিষ্ট নেই পুরো দেরদিন না খেয়ে থাকা ইভেন বিন্দু পরিমান পানি পান না করা তার উপরন্ত বিশাক্ত পোকামাকড়ের কামর৷ সব মিলিয়ে ফারিহা কাহিল হয়ে পড়েছে৷
ফারিহা বরাবর অর্নিলের দিকে আগুন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে অন্যদিক মুখ করে শুয়ে পড়ে৷ আর মনে মনে বলতে লাগলো,” অর্নিল তুমি ভুল করছো৷ আমার সাথে তোমার এই সম্পর্ক কখনো সম্ভব নয়৷ আমি একজন টেরোরিস্ট দেশদ্রোহী যে কিনা নিজের দেশের ক্ষতি করতে দু’বার ভাবেনি৷ আমি সে মারু যার হাতে অজস্র মানুষের রক্ত লেগে আছে৷ আমি সেই মারু যে তার মাতৃতুল্যে বোনকে নষ্ট করার জন্য খারাপ লোকের হাতে তুলে দিতে একবারও ভাবেনি৷ আমি সেই মারু যে তার বোনের প্রতি হিংসাত্মক হয়ে মেরে ফেলার কথা বলতে মুখে বাধেনি৷ এই মারু অনেক পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়ে বিছানা গরম করেছি৷ তুমি তাকে ভালোবাসতে চাইছো অর্নিল? এই মারু তোমার ভাষায় ফারিহা কারো ভালোবাসার যোগ্য নয় বরং কঠিন শাস্তি এবং ঘৃনার যোগ্য৷ হয়তো তুমি এখন বুঝতে পারছো না কিন্তু যেদিন সব সত্যিটা তুমি জানতে পারবে সেদিন নিজে থেকে আমাকে ঘৃনা করবে৷ আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন তোমার দু’চোখে আমার জন্য ভালোবাসা নয় বরং ঘৃনা দেখতে পাবো৷”
অর্নিল ফারিহার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়৷
(৪৩)
” কিং ফায়ার খান মন্জিলে কেন ফারু?”
তনুর থেকে হাত ছাড়িয়ে ফারহা গাঁ ছাড়া ভাব নিয়ে বলল,” ফারিহার খোজে৷ ”
” ওয়াট! ফারু কিং ফায়ার জানতে পারেনি তো তুই ফারিহাকে উদ্ধার করেছিস?”
” না৷ আর জানতে বা যদি পারে তাতে কিচ্ছু হবে না তনু৷ কারণ কিং ফায়ারের প্রাণ ভোমরা আমার হাতের মুঠোয়৷”
” মানে! কিসের প্রাণ ভোমরার কথা বলছিস তুই? আমাকে একটু ক্লিয়ার করে বলতো৷”
“কিং ফায়ারের ফ্যামিলির খোজ আমি পেয়ে গেছি তনু আর ওটা দিয়ে কিং ফায়ারকে ব্লাকমেইল করেছি৷”
তনু ফারহার কথা শুনে ধপ করে বেডে বসে পড়ে বলে,” এটা তুই আমাকে কি শুনালি ফারু! কিং ফায়ারের ফ্যামিলিকে নিয়ে তুই ব্লাকমেইল করেছিস আর কিং ফায়ার ভয় পেয়ে গেল?”
” আগুন তার মা বোনকে ভিষণ ভালোবাসে তনু৷ তাই তো ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক ৷”
” কিন্তু ফারু আমরাতো সবাই জানি কিং ফায়ারের কেউ নেই এতিম৷”
” তনু আগুন হচ্ছে তীক্ষ্ম বুদ্ধিমান৷ সে নিশ্চয়ই চাইবে না তার ফ্যামিলির খোজ তার শত্রু পক্ষরা জানুক? তাদের উপর এট্যাক করুক সেটা কিং ফায়ার (আগুন) চাইবে কেন?”
” হুম তাও ঠিক বলেছিস? বাই দ্য ওয়ে ফারিহাকে কোথায় রেখেছিস? কি অবস্থা ফারিহার?”
” ফারিহার শরীরের কন্ডিশন এখন মোটামুটি স্টেবেল আছে৷ আর খান মন্জিলের আর একটা অংশে ওকে রেখেছি৷”
” গ্রেট তাহলে আপাদতো কিং ফায়ার ফারিহাকে আর খুজে পাচ্ছে না৷”
” রাইট ৷ তনু দুপুরে ফারিহার খাবারটা নিয়ে তুই যাস৷ আমি এখন আর বের হতে পারবো না মেঘ সন্ধেহ করবে৷”
” ঠিক আছে ৷ আমি কিচেনে গিয়ে ফারিহার জন্য হালকা কিছু রান্না করে নিয়ে যাবো৷”
” ঠিক আছে তাই কর৷ আমি এখন যাচ্ছি পড়ে কথা হবে৷”
মেঘ ফোনে কাউকে ইন্সট্রাকশন দিচ্ছিলো হঠাৎ পায়ের আওয়াজ পেতে মেঘ কল ডিসকানেক্ট করে এমনি ফোন টিপতে থাকে৷ ফারহা রুমে ঢুকে দেখে যেমন খাবার তেমন ভাবে পড়ে আছে৷ মেঘ খাবারের এক বিন্দু কণা মুখে তুলেনি৷
” মেঘ তুমি এখনো খাওনি কেন?”
” তুমি খেয়েছো ফারুপাখি?” পাল্টা প্রশ্নে ফারহা কপাল কুচকে ওয়াশরুমে গিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে এসে মেঘের মুখের সামনে খাবার তুলে ধরে৷ মেঘ মুচকি হেসে খাবারটা খেয়ে নেয়৷ মেঘ ও সেম ওয়েতে ফারহাকে খাইয়ে দেয়৷ হঠাৎ মেঘের ফোনটা বেজে উঠতে ফারহা ফোনের স্কিনে আসলাম নামটা দেখে মেঘকে বলে,” তোমার পিএ ফোন করেছে৷”
” করুক আমি এখন বউয়ের সেবায় মগ্ন৷”
” ধ্যাত আমার খাওয়া শেষ৷ দেখো কল কেটে গেল৷ কোন আর্জেন্ট হয়তো তুমি ফোন করে কথা বলে নেও মেঘ৷ আমি হাত ধুয়ে আসছি৷”
ফারহা উঠতে নিলে মেঘ বা হাত দিয়ে ফারহার কোমড় চেপে ধরে ফারহার ঠোঁটের কোনে লেগে থাকা খাবারের অবশিষ্ট অংশটা মেঘের ঠোঁটের ধারা খেয়ে নিয়ে বলে,” এবার আমার খাওয়া কম্পিলিট হলো ফারুপাখি৷”
মেঘের কান্ড দেখে ফারহা কয়েক মুহূর্তের জন্য হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল মেঘের দিকে৷ ফারহার অবস্থা বুঝতে পেরে মেঘ মুচকি হেসে ফারহার আবির রাঙা ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলে,” আমার রাজ্যের রানী এতোটুকুতে হতভম্ব হলে চলবে? এতো গুলো বছর তোমার না পাওয়া ভালোবাসায় যতোটা না কষ্ট পেয়েছি তার পই পই করে হিসেব আমি নিবো তোমার কাছ থেকে যাস্ট ওয়েট এন্ড সি বেইব৷”
লজ্জায় ফারহার গাল দুটো লাল বর্ন ধারণ করলো৷ ফারহার এমন লজ্জা মাখা মুখশ্রী দেখে মেঘ বলে ওঠে, ” যতোবার তোমার লজ্জা মাখা মুখশ্রী দেখি ততোবার নতুন করে তোমার প্রেমে পড়ি আমার হৃদয় হনন কারিনী৷ ইচ্ছে করে হৃদয়ের অন্তরালে তোমায় লুকিয়ে রাখি৷ ধূসর প্রেমের অনুভূতির ন্যায় নতুন করে তোমার প্রেমে পড়ে যাই আমি৷ আমার হৃদয়ের অন্তস্থলের ভালোবাসার আর এক নাম ফারুপাখি৷ যাকে ছাড়া এই মেঘ শূন্য ৷ যার ভালোবাসা বিহিন এই মেঘের জীবন অর্থহীন মরুভূমির ন্যায় শুষ্ক প্রাণহীন এক জীবন্ত লাশ ফারুপাখি ৷”
ফারহা পারে না মেঘের বুকে ঢুকে পড়তে৷ এতো শক্ত করে মেঘকে জড়িয়ে ধরে আছে যেন ছেড়ে দিলে মেঘ হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে৷ মেঘ কথা গুলো ফারহার হৃদয়ে যে দাঁগ কেটে আছে সেটা কাউকে বোঝানোর ক্ষমতা ফারহার নেই৷ এই অনুভূতি গুলো সম্পূর্ণ তার একান্ত নিজের;
ফারহার দু’চোখে পানি টলমল করছে৷ হয়তো এখুনি একপষলা বৃষ্টির মতো এখুনি ঝড়ে পড়বে৷ফারহা চায় না তার অশ্রুশিক্ত আখিদ্বয় মেঘকে দেখাতে৷ হুট করে ফারহা মেঘকে ছেড়ে ওয়াশরুমে দৌড়ে চলে গেল৷ এভাবে ফারহাকে যেতে দেখে মেঘ হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ ৷ হঠাৎ ফোনের রিংটোনের শব্দে মেঘের ধ্যান ভেঙে যায় ৷ ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখে আসলাম আবার ফোন করেছে৷ মেঘ দ্রুত কল রিসিভ করে বলে,
” কোন নিউজ পেলে আসলাম?”
” নো স্যার, ক্রিমিনালের পুরো লিষ্টে আপনার পাঠানো ছবিটির লোকটার সাথে কারো বায়ো ডাটা বা ফেস মেলেনি৷ এক কথা কোন ইনফরমেশন পাওয়া যায়নি৷ ”
” আসলাম এই লোকটার নিশ্চয়ই কোন বিশেষ ব্যক্তি নাহলে ফারুপাখি কখনো তার সাথে দেখা তো দুরে থাক কথাও বলতো না৷ আমার মনে হচ্ছে এই আগুন নামের ব্যক্তি নিশ্চয়ই টেরোরিস্ট দলের কেউ হবে৷ তুমি লোকটার পুরো বায়ো ডাটা খুজে বের করো আজ বিকেলের মধ্যে৷”
” ইয়েস স্যার৷”
” রাখছি৷” মেঘ কল ডিসকানেক্ট করে পেছনে ঘুরতে ফারহাকে দেখে চমকে যায় মেঘ৷ কিন্তু ফারহা মটেও অস্বাভাবিক আচরণ না করে এটো প্লেটের ট্রেটা নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল৷ এদিকে মেঘ ভেবে যাচ্ছে ফারহা কখনতার পেছনে দাড়ালো আর তার পুরো কথা বলতে শুনেছে কিনা? এটা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে৷
(৪৪)
দুপুরে অর্নিল নিজের হাতে ফারিহার জন্য চিকেন সুপ বানিয়ে নিয়ে আসে৷ অর্নিল ফারিহাকে সুপ খাইয়ে দিতে চাইলে ফারিহা রাগি গলায় বলে,” আমি খাবো না অর্নিল ৷ এই সব নিয়ে যাও আর আমাকে যেতে দেও৷ নাহলে তোমার জন্য মহা বিপদ অপেক্ষা করবে৷ ”
অর্নিল ফারিহার কথা শুনে কোন প্রত্ত্যুতর না করে আচমকা ফারিহার গাল চেপে ধরে সুপ ফারিহার মুখে ঢুকিয়ে দেয়৷ অর্নিল ততোক্ষণ ফারিহার গাল ছাড়ে না যতোক্ষণ না ফারিহা সুপটা গিলে ফেলে৷ ফারিহা না পেরে সুপটা গিলে ফেলতে অর্নিল ফারিহার গাল ছেড়ে দিয়ে বলে,” খেতে তো তোমাকে হবেই সুইটহার্ট নাহলে তুমি সুস্থ হবে কি করে? আর তুমি সুস্থ না হলে আমাকে ঠকানোর শাস্তি আমি তোমাকে দিবো কি করে হুম? আর কি যেন বললে মহা বিপদ অপেক্ষা করছে আমার জন্য রাইট? তা কি বিপদ হবে আমার একটু যদি বলতে?”
” আ’ম নট জোকিং অর্নিল৷” অর্নিল ফারিহার কথা শুনে রেগে সুপের বাটি টেবিলের উপর শব্দ করে রেখে বলে,” আ’ম নট জোকিং টু ইউ ফারিহা৷ এই অর্নিল খন্দকারের কথা নরচর হয় না৷ ভালোবাসি বলে শাস্তি দিতে পারবো না এতোটাও দূর্বল নই আমি৷ সুপ টা খেয়ে মেডেসিন নিতে হবে তোমাকে তাই তর্ক না করে চুপচাপ খেয়ে নেও নাহলে প্রথমে যেভাবে খাইয়েছি ঠিক সেভাবে খাওয়াবো৷ যদি তুমি চাও৷ ”
ফারিহা আর কোন টু-শব্দ করলো না৷ চুপচাপ অর্নিলের হাতে সুপ টা খেয়ে মেডেসিন খেয়ে নিলো৷ মেডেসিনের ভিতর কড়া ডোজের ঘুমের মেডেসিন থাকায় অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ফারিহা ঘুমিয়ে পড়লো৷
ফারিহাকে ঘুমাতে দেখে অর্নিল এসির পাওয়ার বাড়িয়ে দিয়ে ফারিহার গায়ে পাতলা ব্লাংকেট টেনে দিয়ে ফারিহার কপালে আলতো করে ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে৷ রুম লক করে বেড়িয়ে যায় অর্নিল৷
হ্যারি তার লোকজন চারিদিক ছড়িয়ে দিয়েছে ফারিহাকে খোজার উদ্দেশ্য৷ ফারিহাকে খুজে বের করার জন্য হ্যারিকে প্রচন্ড খাটতে হচ্ছে অবশ্য তা কিং ফায়ার বা দলের জন্য নয় বরং নিজের জন্য, ফারিহা পালিয়ে যেতে হ্যারির একটা বড় প্লান ইতোমধ্যে ফ্লপ হওয়াতে ভিতরে ভিতরে প্রচন্ড রেগে আছে৷ যেটা কিং ফায়ারের সামনে প্রকাশ করছে না ঠিকি কিন্তু সেই দলের অন্যত্রদের উপর ঝাড়তে বাদ রাখছে না৷ সবাই এখন হ্যারির ভয়ে ফারিহাকে খোজার জন্য শহরে চিরনি তল্লাশি চালাচ্ছে হ্যারি৷
অন্যদিকে কিং ফায়ার ফারিহাকে খুজে পাওয়া নিয়ে যতোটা না চিন্তিত রাঙ্গানিত তার থেকে শতগুন রাঙ্গানিত হয়ে আছে আজকে আরুর (ফারহা) করা থ্রেট শুনে৷ মনে মনে একটা ভয় কিং ফায়ারের মনে কাজ করছে আর তা হলো তা মা বোন কে নিয়ে৷ আরু (ফারহা) এক কথা মানুষ যখন বলেছে তার পরিবারের একচুল ক্ষতি হলে তার ফ্যামিলিকে শেষ করে দিবে তো আরু(ফারহা) ঠিক তাই করবে৷ তাই কি ফায়ার তার মা বোনকে আগে সেইফ জনে রাখতে চাইছে আর তার জন্য তাকে ইতালিতে যেতে হবে৷ কিং ফায়ার নিজের পরিকল্পনা মতো তৈরি হয়ে নেয় ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে৷ কিং ফায়ার কাউকে না বলে দেশ ছাড়ার উদ্দেশ্য যেতে নিলে হঠাৎ কিং ফায়ারের ফোনটা বেজে ওঠে,
.
.
.
#চলবে……………….