#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_২৩
.
.
কিং ফায়ার নিজের পরিকল্পনা মতো তৈরি হয়ে নেয় ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে৷ কিং ফায়ার কাউকে না বলে দেশ ছাড়ার উদ্দেশ্য যেতে নিলে হঠাৎ কিং ফায়ারের ফোনটা বেজে ওঠে৷ কিং ফায়ার কল রিসিভ করতে ফোনের ওপাশ থেকে কেউ একজন বলতে লাগলো,
-” মিস্টার কিং ফায়ার লুকিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে মা বোনকে সেইফ জনে পাঠানোর প্লান করছেন নিশ্চয়ই তাই না?”
কিং ফায়ার হতবিহ্বল হয়ে ফোনের দিকে একবার তাকিয়ে আর একবার নিজের আশে পাশে তাকিয়ে রাগি কন্ঠে বলে ওঠে, ” হু দ্য হেল আর ইউ বিচ?” খানিকটা চিৎকার করে বললো কিং ফায়ার৷
” আহা আস্তে কিং ফায়ার৷ এতো সাউটলি আমার সাথে কেউ কথা বলুক তা আমার পছন্দ না৷ তবুও আপনার সন্তুষ্টির জন্য এই অধম বলছে আপনার মা বোন আরুর জিম্মায় আছে৷ ইতালিতে আপনার মা বোনকে আপনি খুজে পাবেন না কারণ তারা ইতালিতে নেই৷”
” কোথায় আছে তারা বল আমায়, কোথায় আছে?”
ফোনের ওপাশ থেকে হাসির শব্দ ভেষে এলো ৷ তারপর পর কল ডিসকানেক্ট হয়ে গেল৷
” হ্যালো হ্যালো বল আমার মা বোন… বাকিটা বলার পূর্বে ওপাশ থেকে কল ডিসকানেক্ট করায় কিং ফায়ার কয়েকটা বাজে বিশ্রি গালি দিয়ে ফোন পকেটে রেখে দাঁত কিড়মিড় করতে করতে বলতে লাগলো,” ডাবল গেম খেলা হচ্ছে আমার সাথে, এই কিং ফায়ারের সাথে তাই তো? ফাইন এবার আমি যা করবো তার জন্য আরু প্রস্তুত থেকো৷ এমন অবস্থা তোমাদের দুই বোনের করবো যে তোমরা কখনো ভাবতেও পারবে না৷ কিন্তু ফোনের ওপাশে কে ছিলো? কন্ঠ শুনে পুরুষের কন্ঠ মনে হলো৷ সে যেই থাকুক না কেন! আমার আর আমার দলের ক্ষতি যে করবে তাকে আমি কখনো ছাড়বো না হোক সে আমার সব চেয়ে প্রিয় মানুষ৷ শাস্তি দিতে এই কিং ফায়ারের জুড়ি মেলা ভার৷ ”
কিং ফায়ার এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্য রওনা না দিয়ে ভিতরে চলে যায়৷ কারণ এবার আর বসে থাকলে চলবে না বড় কিছু তাকে করতে হবে৷
(৪৫)
তনুর রুমে পাইচারি করছে ফারহা যখন থেকে শুনেছে ফারিহাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না৷
” ফারু এই নে তোর ফোন৷ ফারিহা হয়তো তোর ফোনটা রেখে পালিয়েছে৷”
ফোনটা ফারহা হাতে নিতে নিতে বললো ,” না তনু ফারিহা পালায়নি৷ আমি ফারিহাকে চিনি ও পালিয়ে যাওয়ার মেয়ে নয়৷ আর ওর ওই ক্ষত শরীর নিয়ে পালিয়ে যাওয়া এক প্রকার অসম্ভব৷ আমার মনে হয় ওকে কেউ কিডন্যাপ করেছে৷”
” কিং ফায়ার যে করবে না৷ এতোটুকু শিওর ফারু এখন বল কে কিডন্যাপ করলো ফারিহাকে?”
ফারহা চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ ভেবে হুট করে বলে,” অর্নিল, অর্নিল ফারিহাকে কিডন্যাপ করেছে তনু৷”
“অর্নিল!”
” ইয়েস, অর্নিল ফারিহাকে পাগলের মতো ভালোবাসে৷ ও ছাড়া এই কাজ করার সাহস আর কোন ব্যক্তি করবে না৷”
“তাহলে এখুনি চল ওই অর্নিল ফর্নিলের বাড়িতে৷”
” উহু একদম না৷ ফারিহা আমি ব্যতিত যদি অন্য কারোর কাছে সেইফ থাকে সেটা হলো অর্নিল৷ অর্নিল বেঁচে থাকতে ফারিহার কোন ক্ষতি হতে দিবে না৷”
” এতো কন্ফিডেন্টের সাথে কি করে বলতে পারিস তুই?”
” ফারহা মানুষ চিনতে ভুল করে না৷ তবুও তোর শান্তির জন্য প্রমান দিচ্ছি যাস্ট ওয়েট৷”
ফারহা অর্নিলের নাম্বার ডায়েল করে৷ অর্নিল সবে মাত্র তার মম ড্যাডকে বুঝিয়ে গেস্ট রুমে এসে বেডে শরীর এলিয়ে দিয়েছিলো৷ তখনি অর্নিলের ফোনটা বেজে ওঠে৷ অর্নিল বিরক্তি চোখে ফোনটার স্কিনে তাকাতে অর্নিলের চোখে মুখের বিরক্তি ভাব কেটে যায়৷ তার পরিবর্তে রাগ ফুটে ওঠে ৷ অর্নিল কল রিসিভ করে বলে,” বলুন মিস ফারহা৷”
” ফারিহার মেডেসিন গুলো ঠিক করে খাইয়ে দিয়েছেন মিস্টার খন্দকার?”
সরাসরি এমন প্রশ্নে অর্নিল ঘাবড়ে গেল৷ ফোনের ওপাশ থেকে ফারহার হাসির শব্দ পেয়ে অর্নিল গলা খাকাড়ি দিয়ে বলল,” আপনি ঠিক কি বলছেন আমি সত্যি কিছু বুঝতে পারছি না মিস৷”
” মিস্টার খন্দকার ফাস্টলি আমাকে মিস বলা বন্ধ করুন৷ কারণ আমি এখন মিস নয় বরং মিসেস চৌধুরী ৷ আর আপনি কি বুঝতে পারছেন আর কি বুঝতে পারছেন না৷ ওটা নিয়ে না হয় পরে কথা বলবো৷ এখন মেইন পয়েন্টে আসি আমরা?”
” বলুন মিসেস চৌধুরী?”
” ফারিহার সামনে বিপদ৷ ওকে একদম একা ছাড়বেন না৷ ডক্টর আমি দেখিয়েছি ওকে৷ ডক্টর বলেছে দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবে ফারিহা কিন্তু মেডেসিন গুলো সঠিক সময়ে খেতে হবে৷ আর আমি জানি আপনি আমার বোন আর আপনার ভালোবাসার যত্ন নিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবেন না৷ ওর যত্ন নিবেন আর আমি আগামিকাল আপনাদের বাড়িতে আসবো বোনকে দেখতে৷”
অর্নিল ফারহার কথা শুনে অবাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ফোন কানে ধরে আছে৷
” আ,, আপনি জানলেন কি করে ফারিহা আমার কাছে?”
অর্নিলের প্রশ্নটা ফারহার কাছে জোক এর মতো লাগলো ৷ ফারহা হাসতে হাসতে বলল,” কারো এমন শক্ত কলিজার বুকের পাটা হয়নি যে ফারহা খান এর বোন কে কিডন্যাপ করবে৷ যেখানে কেউ জানতো না ফারিহা কোথায় সেখানে আপনি আমার পেছনে সোর্স লাগিয়ে জানতে পেরেছেন ইজেন্ট ইট?”
” ইয়েস৷ কিন্তু এটা জানার পরও আমার বিরুদ্ধে আপনি কোন একশন নিলেন না কেন? চাইলে তো ফারিহাকে দু’মিনিটের ভিতর নিজের কাছে রাখতে পারতেন?”
” বর্তমানে ফারিহা আমার কাছের থেকে আপনার কাছে সেইফ থাকবে তাই৷ তবে এ কথা ঠিক বলেছেন৷ আমি চাইলে ফারিহাকে আমি আমার নিজের কাছে রাখতে পারি কিন্তু এখন ক্ষমতা বহিঃপ্রকাশ করার সময় নয় ৷ ফারিহার সেইফ থাকাটা ইম্পট্যার্ন্ট আমার কাছে ৷”
অর্নিল ফারহার সাথে কথা বলে বুঝতে পারলো৷ ফারহা মোটেও বোকা সোকা মেয়ে নয় বরং প্রচন্ড সাহসী আর বুদ্ধিমতী ৷ তবে ফারিহা লন্ডনে চলে গেছে এই মিথ্যে কথা বলার কারণটা জানতে চাইছে অর্নিল৷ তাই প্রশ্ন করেই ফেললো৷
” মিসেস চৌধুরী আপনি তাহলে আমাকে মিথ্যে বলেছিলেন কেন? ফারিহার চলে যাওয়া নিয়ে?”
” এই প্রশ্নের উওর চাইলে আমি এখন দিতে পারি কিন্তু দিবো না কারণটা ধীরে ধীরে আপনি জেনে যাবেন৷ এখন রাখছি তবে আমার বোনের খেয়াল রাখবেন আর কেউ জেনো জানতে না পারে বোন আপনার বাড়িতে৷”
” কিন্তু কেন কি অসু….” বাকিটা বলার আগে ফারহা কল ডিসকানেক্ট করে দেয়৷ ফোন লাউডে থাকায় তনুও সবটা শুনতে পায়৷
” ফারু অর্নিল পারবে তো ফারিহাকে সেইফ রাখতে?”
” পারবে৷ অর্নিল তার ভালোবাসাকে হাড়াতে চায়না বলে ফারিহাকে কিডন্যাপ করেছে৷ ওর কোন ক্ষতি হতে অর্নিল দিবে না এটা আমি শিওর৷”
” টাইম ওয়েল সে ফারু ৷ এখন রুমে যা দেখ গিয়ে জিজু কি করছে৷”
” হুম যাচ্ছি তার আগে তোকে একটা কাজ করতে হবে তনু৷”
” কি কাজ?”
” তোকে আজ রাতে ইতালি যেতে হবে৷ আর এই নে এড্রেস ৷ এই এড্রেসে চলে যাবি সেখানে দুজনকে পাবি মা আর মেয়ে৷ ”
” ওরা কারা?”
” আমার ট্রাম কার্ড৷ ওদের সেইফলি এ দেশে নিয়ে আসার দায়িত্ব তোর৷”
” ওকে”
” রাত দশটায় ফ্লাইট৷ তোর টিকিট পাসপোর্ট সব রেডি আছে ৷ সময় মতো তৈরি থাকিস৷”
” ওকে মেরি নানী ৷ সময় মতো আমি তৈরি থাকবো৷”
ফারহা তনুর সাথে কথা বলে৷ ফোন করে সে আগন্তুক কে৷
” সব ঠিক আছে তো?”
” হ্যাঁ এখন অব্দি সব ঠিকঠাক আছে৷ কিং ফায়ারকে কথার জালে আটকে দিয়েছি৷ তবে কিং ফায়ার মনে হয় এবার বড় কোন চাল চালবে৷ তোমাকে সাবধানে থাকতে হবে আরু৷”
” হুম সাবধানে তো আমি থাকবো কিন্তু তোমাকেও সাবধানে থাকতে হবে৷ কোন ভাবে যদি কিং ফায়ার জেনে যায় তুমি বেঁচে আছো তাহলে সব পর্দা ফাঁস হয়ে যাবে৷ আমার আসল উদ্দেশ্য টেরোরিস্ট দলের সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে তখন ওরা আরো হিংস্র রুপ ধারণ করে দেশটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে ৷”
” আমি জানি আরু৷ আমি নিজের খেয়াল রাখবো সাথে সাবধানেও থাকবো৷ তুমিও সাবধানে থেকো৷”
” ওকে এখন রাখছি আর তুমি দুর থেকে ওদের উপর নজর রাখো৷”
” হুম , বাই৷”
ফারহার কথা শেষ হতে আড়াল থেকে একটা ছায়া মূর্তি দ্রুত সরে গেল৷ ফারহা রুমে গিয়ে দেখে কোথাও মেঘ নেই৷ ফারহা কয়েকবার মেঘকে কল করে কিন্তু মেঘ রিসিভ করে না৷
খান মন্জিল থেকে বেশ খানিকটা দুরে গাড়ি থামিয়ে মেঘ ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে৷ ফারহার কল বাজতে বাজতে কেটে গেল৷ তবুও কল রিসিভ করলো না মেঘ৷ মেঘের মনে ফারহার জন্য বেশ খানিকটা অভিমান জন্ম নিয়েছে৷ হ্যাঁ তখন যে ছায়া মূর্তি পালিয়ে গিয়ে ছিলো সেটা আর কারোর নয় মেঘের ছিলো৷ মেঘ আড়ালে দাড়িয়ে সবটা শুনে নেয়৷ ফারহা যে দেশের ক্ষতি চায় না বরং দেশকে বাঁচাতে চায় ওই সব টেরোরিস্টদের হাত থেকে এটা স্পষ্ট৷ তবে ফারহার প্রতি অভিমানের কারণ হলো ফারহা সবটা কেন লুকালো তার থেকে? কেন সবটা শেয়ার করতে পারলো না তার সাথে! নাকি বিশ্বাস নামের বস্তুটা এখন অব্দি অর্জন করে উঠতে পারিনি? এই সব কথা ভেবে মেঘ আনমনা হয়ে গাড়ি চালাতে লাগলো৷
(৪৬)
গোধূলির শেষ লগ্ন ফারিহা ঘুম থেকে উঠে ধীরে ধীরে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে ব্যালকনিতে এসে দাড়ায়৷ রুমটা যেহেতু অর্নিলের তাই তার পছন্দ মতো রুম এবং ব্যালকনি সাজানো৷ ব্যালকনিটা বেশ সুন্দর করে সাজানো৷ ছোট বড় টপে ফুলগাছ লাগানো৷ বেশির ভাগ বিদেশি গাছ ৷ ব্যালকনি সামনেটা চিকন গ্রিল দিয়ে আটকানো৷ এক সাইডে দোলনা আর দু’টো মোড়া আর ছোট্ট একটা টেবিল রাখা৷ ফারিহা গ্রিল ধরে দোলনায় গিয়ে বসে পড়ে৷ গোধূলির লগ্নে সবকিছুই দারুণ লাগে৷ আকাশে লাল কমলা নীল রঙের আভা ছড়িয়ে আছে৷ পাখিরা যে যার নীরে ফিরে যাচ্ছে৷ হঠাৎ ফারিহার চোখ জোড়া দুরের গাছের ডালে আটকে যায়৷ দুটো পাখি তার ছানাদের ঠোঁট দিয়ে আদর করছে৷ আর তাদের ভাষায় কথা বলছে৷ একটা ছোট্ট সুন্দর ভালোবাসাময় পরিবার৷ ফারিহার কেন যেন তার মনও চাইছে এমন একটা সুন্দর পরিবার হোক তার৷ কেউ অন্তত নিজের বলে থাকুক৷ যার কাঁধে মাথা রেখে মনে সব কথা বলা যাবে৷ যার স্পর্শে নিজেকে হারিয়ে ফেলবে৷ যাকে ভালোবেসে অনন্তকাল কাটাতে পারবে৷ যার বুকে মাথা রেখে দুনিয়া সব শান্তি অনুভব করতে পারবে৷ কিন্তু আদো কি এমন কাউকে খুজে পাবো? ফারিহা কথা গুলো ভেবে চোখের পাতা বন্ধ করতে অর্নিলের হাস্যময় মুখটা ভেষে উঠলো৷ সাথে সাথে ফারিহা চোখ মেলে তাকিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে৷
অর্নিল দুই মগ কফি নিয়ে রুমে এসে ফারিহাকে রুমে না দেখতে না পেয়ে ঘাবড়ে যায়৷ কফি হাতে ব্যালকনির দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখে থমথমে মুখ নিয়ে ফারিহা দোলনায় বসে আছে৷ ফারিহাকে দেখে স্বস্থির শ্বাস ফেলে ফারিহার পাশে বসে পড়ে বলে, মন খারাপ?”
নিরুত্তর ফারিহা এক মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে৷ অর্নিল কফির মগ জোড়া ছোট্ট টেবিলের উপর রেখে ফারিহার মাথায় হাত রাখতে আচমকা ফারিহা অর্নিলকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে৷ অর্নিল ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল ফারিহার এমন কান্ডে৷ অর্নিল কি বলবে বুঝে উঠতে না পেরে ফারিহাকে বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে৷ ফারিহা একমনে কেঁদে যাচ্ছে ৷
কিছুক্ষণ পর ফারিহার কান্না থেমে আসতে ফারিহা চোখ মুছে অর্নিলকে বলতে লাগলো,” অর্নিল তুমি জানো না তুমি আমাকে ভালোবেসে কতো বড় পাপ করেছো৷ আমি কারো ভালোবাসা যোগ্য না৷ আর না আমি তোমার যোগ্য৷ এখনও সময় আছে তুমি আমাকে ভুলে যাও ৷ নতুন করে কাউকে ভালোবাসো৷”
ফারিহার কথা শুনে অর্নিল ফারিহার চুলের মুঠি ধরে বলে,” এই অর্নিল খন্দকার জীবনে একজনকে ভালোবেসেছে আর একজনকে সারা জীবন ভালোবেসে যাবে আর সেটা তুই৷ তুই কিসে যোগ্য কি যোগ্য না আই ডোন্ট কেয়ার ৷ তুই শুধু এতোটুকুই শুনে রাখ তুই শুধু আমার ৷ আমার ভালোবাসার যোগ্যতা শুধু তোর আছে৷ আর কারো নয়৷”
“তাহলে আজ তোমাকে আমার অতিত আর বর্তমানে করা অপরাধ গুলো তোমাকে জানতে হবে৷ জানতে হবে আমার অন্ধকারময় জীবনের কথা৷ ”
” আমি কিচ্ছু জানতে চাই না ফারিহা৷”
” কেন ভয় হচ্ছে? যদি সবটা শুনে আমাকে ভালোবাসতে না ইচ্ছে করে? যদি ঘৃনা করতে হয় সেই ভয়ে শুনতে ভয় পাচ্ছো অর্নিল?”
অর্নিল দাঁতে দাঁত চেপে ফারিহাকে বলে,” তোর অতিত নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা আগেও ছিলো না আর এখনও নেই৷ আমি শুধু জানি তুই আমার৷”
” তাহলে আমার অতিতটা তোমাকে জানতে হবে অর্নিল ৷ তারপর তুমি ডিসাইড করবে৷ আমাকে ভালোবাসবে কি না?”
অর্নিলের উওর পাওয়ার আশা না করে ফারিহা তার পুরো অতিতটা এক এক অর্নিলের সামনে তুলে ধরে৷ ছোট বেলা থেকে করা প্রত্যেকটা অন্যায় , টেরোরিস্ট দলে যোগ দেওয়া ৷ নিরিহ মানুষকে হত্যা করা৷ ফারহার সাথে করা প্রত্যেকটা অন্যায়ের কথা না লুকিয়ে অর্নিলকে বলে৷ সবটা শুনে অর্নিল হতভম্ব হতবিহ্বল স্তব্দ হয়ে গেল৷
ফারিহা অর্নিলকে নিরুত্তর দেখে তাচ্ছ্যিল্যের হাসি দিয়ে বলে উঠলো,
.
.
.
#চলবে………….