ধূসর প্রেমের অনুভূতি – পর্ব ৩৫+৩৬

0
310

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩৫+৩৬
.
.
(৬৪)

চোখে মুখে পানির ছিটে পড়তে টিপ টিপ করে চোখের পাতা মেলে কিং ফায়ার সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে ভয় পেয়ে চমকে উঠলো৷ সেই তীক্ষ্ম চোখ সেই মুখের বাঁকা হাসি আর চোখে মুখে হিংস্রতা৷ কিং ফায়ার কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলো, ” আ,,আরু?”

” কেমন আছো আগুন? উপস স্যরি কিং ফায়ার?” আগুনের হাতের বাধন খুলতে খুলতে বললো ফারহা৷ ফারহাকে দেখে কিং ফায়ারের কলিজা শুকিয়ে গেছে৷ তার উপর এমন অজানা অচেনা জায়গায় নিজেকে গাড়িতে আবিষ্কার করবে এটা কিং ফায়ার কল্পনাও করতে পারেনি৷ মেঘ ফারহার হাতে মার খাওয়ার পর কিং ফায়ার এখনো সুস্থ হয়ে ওঠেনি৷ আর আজ আবার আরুর সামনে সে এর পর আরু তার সাথে ঠিক কি কি করবে? তবে আরু কি ভাবে তাকে ওই ফ্লাট থেকে কিডন্যাপ করলো এটা কিং ফায়ার বুঝতে পারলো না কারণ জেসিকা তাদের তিন জনকে সেইফ জনে রেখেছিলো৷ কিং ফায়ারের মাথায় চট করে হ্যারি আর লিওর কথা স্মরণ এলে মনে মনে বলতে লাগলো,” হ্যারি লিও কোথায়? আরু ওদের কোথায় রেখেছে? নাকি ওদের কে নয় শুধু আমাকে কিডন্যাপ করেছে?”

হঠাৎ ফারহার হাতের তুরির শব্দে কিং ফায়ারের ধ্যান ভেঙে যায়৷ ফারহা কিং ফায়ারের অসহায় ফেসটা দেখে ঠোঁটের কোণে পৌশাচিক হাসি ফুটে উঠলো৷ কিং ফায়ারের গালে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইট করতে করতে বলতে লাগলো,” কি ভাবছো আগুন? এটাই যে শুধু তোমাকে কিডন্যাপ করেছি নাকি তোমার দুই চামচাকেও তোমার সাথে কিডন্যাপ করেছি৷ তাই তো?”

কিং ফায়ার তার ভয়টা চেপে কঠোর গলায় ফারহাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো ,” লিভ মি আরু আদার ওয়াইজ আই উইল কিল ইউ৷ ”

কিং ফায়ারের কথা শুনে ফারহা হো হো করে হেসে ওঠে, তা দেখে কিং ফায়ার কিছুটা দমে যায়৷ কিং ফায়ারের কাছে অস্র বা কোন এমন কোন বস্তু নেই যেটা দিয়ে আরুকে(ফারহা) আক্রমন করতে পারে৷

হঠাৎ হাসি থামিয়ে ফারহা কিং ফায়ারের শার্টের কলাট ধরে গাড়ি থেকে বের করে খালে দিকে ধাক্কা মারে৷ একটুর জন্য কিং ফায়ার খালে পড়ে যায়নি বরং পাড়ে মুখ থুবরে পড়ে যায়৷ আদিল রাফি দু’জনে দাড়িয়ে তাদের বোনকে দেখছে৷ আজ তার বোনফারহার চোখে মুখে অদ্ভুত এক হিংস্রতার ছাপ দেখতে পেলো আদিল রাফি৷ রাফি আদিলের হাত শক্ত করে ধরে আদিলের কানের কাছে মুখ এনে বলে,” ভাই দি কি এখন আবার মার্ডার করবে?”

” জানি না রাফি৷ আপু কখন কি করে সেটা আজ পর্যন্ত বুঝতেই পারলাম না৷ কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আপু ভয়ংকর কিছু একটা করতে চাইছে৷ যেটা দেখার জন্য আমাদের দু’জনকে মানুষিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে৷”

আদিলের কথা শুনে রাফির গলা বুক শুকিয়ে আসছে৷ শুকনো ঢোক গিলে রাফি ভয়ার্ত অসহায় দৃষ্টিতে আদিলের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ,” ভাই আমি বাড়ি যাবো৷”

রাফি কথা আদিলের কান অব্দি পৌছানো মাত্র আদিল দাঁত কটমট করে রাফিকে বলল,” আপু তোকে কি করবে জানি না রাফি কিন্তু আমি তোকে এবার এই খালে ফেলে দিবো৷ আর যদি একটাও বাড়তি কথা তোর মুখ থেকে আমি শুনতে পাই৷”

রাফি মুখটা কাচুমাচু করে রইল৷ আর কিছু বলার সাহস পেল না৷

_______________

রুমে বদ্ধ অবস্থায় তিনজন নার্সকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে জেসিকার কেন যেন সন্ধেহ হলো৷ জেসিকা সামনে এগিয়ে নার্স তিনকে ডেকে তোলার চেষ্টা করে কিন্তু তাদের কোন রেসপন্স না দেখে পাশের টেবিল থেকে পানির বোতল এনে নার্সদের চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যে নার্সদের জ্ঞান ফিরে আসতে, জেসিকা তাদের উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে, ” তোমরা এখানে এভাবে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে ছিলে কেন? আর দরজা বা কেন লক ছিলো বাইরে থেকে?”

জেসিকা নার্সের কথা শুনে নার্স মাথায় হাত দিয়ে বলল,” ম্যাম আমি কিছু জানি না৷ হঠাৎ করে পেছন থেকে কেউ চোখ চেপে ধরে মুখে কিছু একটা স্প্রে করে তারপর আর কিছু মনে নেই ম্যাম৷”

তিনজন নার্সের কথা একই থাকায় জেসিকা আর এক মুহূর্ত দেরি না করে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে হ্যারি লিও এর রুমে সামনে গিয়ে দেখে বাইরে থেকে দরজা লক করা৷ জেসিকা দ্রুত দরজা লক খুলে ভেতরে ঢুকে হ্যারি লিওকে দেখে স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে৷ তৎক্ষনাৎ জেসিকার কিং ফায়ারের কথা মনে আসতে দ্রুত কিং ফায়ারের রুমের সামনে এসে দেখে রুমের দরজা খোলা ৷ জেসিকা রুমে ঢুকে কোথাও কিং ফায়ারকে খুজে না পেয়ে জেসিকা রাগে ফুসতে ফুসতে চিৎকার করে বলে উঠলো, ” ফারহা……”

(৬৫)

” স্যরি স্যার ম্যামকে কোন ভাবে ট্রেস করতে পারি নি৷ ”

” ইটস ওকে আসলাম৷ আমি খুব ভালো করেই জানি ফারুপাখিকে আজ কোন ভাবে ট্রেস করা যাবে না তবে;”

” তবে কি স্যার?”

” আর একটা ওয়ে আছে ফারুপাখিকে ট্রেস করার৷ ”

” কি উপায় স্যার?”

” রাফি বা আদিলের ফোন নাম্বার ট্রেস করো৷ আমি জানি ওরা দুই ভাই ফারুপাখির সাথে আছে৷”

” কিন্তু স্যার আপনি কি করে এতোটা শিওর হলেন? আর ওরা যে ম্যামের সাথে থাকবে তার গ্যারান্টি কি?”

” সব প্রশ্নের উওর পেয়ে যাবে আসলাম যখন ওদের কে ট্রেস করতে পারবে৷”

” ওকে স্যার আমি এখুনি ওদের ট্রেস করছি৷”

আসলাম তার ল্যাপটপ নিয়ে কাজে বসে পড়ে৷ অন্যদিকে মেঘ তার আঙ্গুলের ফাঁকে পেন ঘুড়াতে ঘুড়াতে বলতে লাগলো,” আই নো ফারুপাখি তুমি আজ ভয়ংকর কিছু করবে৷ কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে তোমায় নিয়ে; তোমার কোন ক্ষতি হয় তাহলে আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না৷ বিকজ ইউ আর মাই লাইফ মাই লাইফ লাইন মাই লাভ৷ যাই হোক না কেন তোমাকে আমি এই জীবনে ছাড়ছি না৷ তুমি আমার এবং শুধু আমার হয়ে থাকবে৷ থাকুক না ধূসর প্রেমের অনুভূতি ৷ হোক লুকুচুরি খেলা কখনো চোর পুলিশ খেলা তো কখনো অনুভূতি প্রকাশে মেলা৷ ”

মেঘের ভাবনার মাঝে আসলাম ঝড়ের বেঁগে মেঘের কাছে ছুটে এসে বলে, “স্যার আদিলের ফোন নাম্বার ট্রেস করা গেছে৷ তাদের অবস্থান শহর থেকে বেশ দুরে৷”

” গাড়ি বের করো আসলাম আমরা এখুনি বের হবো৷ গো ফাস্ট আসলাম৷”

” ওকে স্যার৷” আসলাম ল্যাপটপ রেখে ফোন নিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল৷

মেঘ দুটো রিভালবার কোমরে গুজে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো৷

________________

খালের পাশে বড় গাব গাছের ডালটায় কিং ফায়ারকে দরি দিয়ে উল্টো ঝুলিয়ে রেখেছে ফারহা৷ গাব গাছের বড় ডালটা খালের মাঝ বরাবর বিধায় ওই গাছটাই বেঁছে নিলো ফারহা৷ আদিল রাফি দু’জনে গাড়ি থেকে পানির বোতল বের করে ঢকঢক করে পানি খেয়ে ফারহার সামনে এসে দাড়ায়৷

কিং ফায়ারকে পানি থেকে এক পাঁচ ইন্চি উচুতে ঝুলানো বিধায় পানিতে থাকা রাক্ষুসে মাছ গুলো বারংবার পানি থেকে লাফিয়ে তাদের ধাড়ালো বিশাক্ত দাঁত দিয়ে কিং ফায়ারকে কাঁমড়ে যাচ্ছে৷ কিং ফায়ার নিজেকে বাঁচাতে ফারহার কাছে বার বার ক্ষমা চাইছে ৷ কিন্তু ফারহা নির্বিকার হয়ে তাকিয়ে আছে কিং ফায়ারের দিকে; এদিকে কিং ফায়ারের সুন্দর চেহারার অবস্থা কাহিল করে ফেলেছে রাক্ষুসে মাছ গুলো৷ কয়েকটা মাছ কিং ফায়ারের হাত দুটো দাঁত দিয়ে কেটে নিয়ে চলে গেল পানির গভীর তলদেশে৷ খালের কাঁদা পানির রং লাল বর্ণে ইতোমধ্যে ধারণ করেছে৷ রক্তের স্বাদ রাক্ষুসে মাছের কাছে পৌছাতে চারিদিক দিয়ে রাক্ষুসে মাছের দল ঝাঁক ধরে আসতে লাগলো৷

এদিকে আদিল রাফি এই ভয়ংকর মাছের দৃশ্য দেখে দুজনের অবস্থা বেশ নাজুক৷ ফারহা তার দুই ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ম্লান হেসে বলে,” কিরে খুব ভয় লাগছে? যদি খুব বেশি ভয় লাগে তাহলে চলে যেতে পারিস৷ এখন আর তোদের উপর কোন বিপদ আসবে না৷ আর এখানটা আমি নিজে সামলে নিতে পারবো৷”

ফারহার কথা শুনে আদিল রাফির দুজনে বেশ খারাপ লাগে৷ একজন মেয়ে হয়ে তার চেয়ে বড় কথা তাদের বোন যদি এই দৃশ্য চোখের সামনে দেখে সহ্য করতে পারে তাহলে তারা কেন পারবে না? এটা ভেবে আদিল তার মুখে ভাব ভঙ্গি পাল্টে ফেললো৷ রাফি আরো এক ঢোক পানি খেয়ে নিয়ে ফারহাকে বলে,” দি যেখানে তোর মতো এমন সাহসী বড় বোন আছে৷ সেখানে আমরা ভয় পাবো ভাবলি কি করে? আমি জানি দি তোর উপর এতো গুলো বছর কি ঝড় বয়ে গেছে৷ বাট ট্রাস্ট মি দি আমরা যদি আগে এতো কিছু জানতে পারতাম তাহলে তোকে কখনো ওই নরকে থাকতে দিতাম না৷ তোকে আমরা ঠিক উদ্ধার করে নিয়ে আসতাম৷ ”

রাফির কথা শুনে ফারহা তাচ্ছিল্যর হাসি দিয়ে বলে,” যে নরকে নিজের আপন বোন ঠেলে দিতে পারে সেখানে তোরা আমাকে উদ্ধার করার কথা বলছিস?”

“আমার লাইফে বড্ড গোলমেলে রাফি ৷ আমার আজ পরিচয় আমি একজন টেরোরিস্ট ,দেশদ্রোহী ৷ ”

” তুই ভুলছিস আপু৷ কারণ তোর পরিচয় তুই ফারহা খান আর এখন তুই ওয়াইফ অফ মেঘ চৌধুরী ৷ ”

ফারহা আদিলের মুখের দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থেকে আবার কিং ফায়ারকে দেখায় মনোনিবেশ করলো৷

________________

” স্যার গাড়ি বা’দিকে নিন৷ ”

” আসলাম বা দিকে ঘণ জঙ্গল৷ গাড়ি নিয়ে ঢোকাটা বেশ টাফ৷”

” তাহলে স্যার আমরা হেটেই জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করি?”

” হুম এখন এখন এ ছাড়া আর কোন রাস্তা খোলা দেখছি না৷ ”

মেঘ গাড়ি লক করে আসলামকে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর প্রবেশ করে৷ বেশ কিছুদুর হাটতে হাটতে মেঘের চোখে হঠাৎ জঙ্গলের ভিজে মাটিতে গাড়ির টায়ারের চিন্হ দেখতে পেলো৷ এখন যেহেতু শীত পড়ছে সেহেতু রাতে নিশির পড়ায় জঙ্গলের মাটি এখনো ভিজে আছে৷ জঙ্গল ঘন হওয়ায় সূর্যের আলো খুব কম প্রবেশ করে৷ তাই মাটি এখনো ভেজা৷ মেঘ মাটিতে গাড়ির টায়ারের চিন্হ দেখে দেখে পথ এগোতে থাকে৷ হাটতে হাটতে মেঘ আসলাম সেই খালের সামনে এসে থামে৷ মেঘ আসলাম দুজনে আশে পাশে কাউকে না দেখতে পেয়ে বেশ নিরাশ হয়৷ আসলাম ট্যাবে আদিলকে ট্রেস করতে গিয়ে হঠাৎ খেয়াল করে ট্যাব অফ হয়ে গেছে৷ আসলাম ভয়ে ভয়ে কথাটা মেঘকে বলতে নিলে হঠাৎ চোখ পড়ে খালের মাঝ বরাবর ঝুলন্ত পানিতে ডোবা অর্ধেক মানুষের শরীর৷ এই দৃশ্য দেখে আসলাম মেঘকে বলে ওঠে, ” স্যার ওই যে দেখুন কাউকে খালে অর্ধেক ডুবিয়ে রেখেছে৷”

মেঘ আসলামের কথায় খেয়াল করে দেখে সত্যি কোন পুরুষকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে৷

” আসলাম ফাস্ট ওই গাছের কাছে যাও ৷ দেখো দরিটা গাছের সাথে বাধা আছে৷”

” ইয়েস স্যার৷ ”

আসলাম দ্রুত গাব গাছের কাছে গিয়ে দরিটা দেখতে পেয়ে খুলে টেনে ধরে, সাথে সাথে কিং ফায়ারের অর্ধভাগ মৃত শরীর পানি থেকে উঠে যায়৷ এটা দেখে আসলাম মেঘ দু’জনে বেশ ঘাবড়ে যায়৷ কিং ফায়ারের অর্ধভাগ মৃত অবস্তায় শরীর টা পানি থেকে তুলতে পানির ভেতরে থাকা রাক্ষুসে মাছ গুলো পানি থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে কিং ফায়ারের শরীরে কামড়ে ধরে আছে৷ মেঘের বুঝতে আর বাকি নেই এই কাজটা কার হতে পারে!

মেঘ তার চোখে মুখে কাঠিন্য ভাব ফুটিয়ে তুলে আসলামকে নির্দেশ দেয়৷ পুরো পুরি ভাবে অর্ধভাগ মৃত শরীর টা খালে ছেড়ে দিতে৷ আসলাম মেঘের নির্দেশ মতোই দরিটা ছেড়ে দেয়৷ কিং ফায়ারের অর্ধেক লাশটা পানিতে পড়তে রাক্ষুসে মাছেরা লাশটাকে মুহূর্তে ছিড়ে খেয়ে ফেলে৷

__________________

” উফফ দি আর একটুর জন্য জীজুর কাছে ধরা পড়তে গিয়েও পড়লাম না৷ যদি না তুমি জীজু আর তার পিএ আসলাম ভাইয়ের গলা শুনতে৷ ”

” হুম রাফি তুই ঠিক বলেছিস৷ আপু যদি জিজুর গলা না শুনতো তাহলে আমরা আজ ধরা পড়ে যেতাম৷ কিন্তু আপু আমার না তোর কিং ফায়ারকে মারার স্টাইল টা ভালো লাগে নি৷ ওকে আরো কষ্ট দিয়ে মারা উচিত ছিলো৷ ”

ফারহা গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে রাফি আদিলের কথা শুনে নিরবে হাসতে লাগলো৷ ফারহা হাসি থামিয়ে রাফি আদিলকে বললো,” তোরা আজ তোদের বাড়িতে ফিরে যাবি৷ ফুফি যদি কিছু জানতে চায় তো বললি তোদের অফিসের কিছু ইম্পট্যার্ন্ট ফাইল রেখে গেছিস৷ আজ চৌধুরী ম্যানশনে তোরা যাবি না৷ ”

” কিন্তু কেন আপু?”

” কারণ আজ তোদের চৌধুরী ম্যানশনে থাকাটা নিরাপদ নয়৷ আর হা তোরা আজ আর কোথাও বের হবি না৷”

” ওকে আপু৷”

ফারহা আদিল আর রাফিকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে ফারহা চৌধুরী ম্যানশনে চলে আসে৷

ফারহা বাড়িতে ফিরে ড্রাইভার কে দিয়ে গাড়ি ওয়াশ করতে পাঠিয়ে দেয়৷ ফারহা চায় না মেঘ কোন ভাবে কোন ক্লু খুজে পাক৷ তাই সব প্রুফ মিটিয়ে দিতে চায়ছে৷

বাড়িতে প্রবেশ করে তনুকে ড্রইংরুমে দেখে ফারহা সেখানে দাড়িয়ে যায়৷ তনু তার ফোন দেখায় এতোটাই ব্যস্ত যে ফারহা তার পাশ দিয়ে উপরে চলে গেল সেটা টের পেল না৷ ফারহা ধীরে ধীরে নিজের রুমের দিকে এগোতে লাগলো৷ তখনি হঠাৎ পেছন থেকে কারো গলা শুনে থমকে ফারহা…….
.
.
.
#চলবে……..

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩৬
.
.
ফারহা বাড়িতে ফিরে ড্রাইভার কে দিয়ে গাড়ি ওয়াশ করতে পাঠিয়ে দেয়৷ ফারহা চায় না মেঘ কোন ভাবে কোন ক্লু খুজে পাক৷ তাই সব প্রুফ মিটিয়ে দিতে চায়ছে৷

বাড়িতে প্রবেশ করে তনুকে ড্রইংরুমে দেখে ফারহা সেখানে দাড়িয়ে যায়৷ তনু তার ফোন দেখায় এতোটাই ব্যস্ত যে ফারহা তার পাশ দিয়ে উপরে চলে গেল সেটা টের পেল না৷ ফারহা ধীরে ধীরে নিজের রুমের দিকে এগোতে লাগলো৷ তখনি হঠাৎ পেছন থেকে কারো গলা শুনে থমকে যায় ফারহা ৷ ফারহা পেছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে তনু ক্রুর হাসি দিয়ে ফারহার দিকে এগিয়ে আসছে৷

ফারহার ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি ফুটে উঠতে দেখে তনুর পুরো শরীরে যেন আগুন জ্বলে উঠলো৷

” কোথায় গিয়ে ছিলে ফারু? সকাল থেকে তোকে বা আদিল রাফি কাউকে খুজে পেলাম না৷”

” হৃদয় দিয়ে খুজলে ঠিকি আমাকে খুজে পেতি তনু৷ যাই হোক বের হবার সময় তোকে কেন কোথাও খুজে পেলাম না তনু? কোথায় গিয়েছিলে?”

ফারহার প্রশ্ন শুনে তনুর মুখের ভাব ভঙ্গি কিছুটা বদলে গেল৷ তনু এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে বলতে লাগলো,” আসলে পুরো দিন এই বাড়িতে থাকতে থাকতে খুব বোর লাগছিলো তাই ভাবলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি৷ ”

” জানু এই সময়টা আমাদের জন্য কতটা রিস্কি সেটা তুই আমি দু’জনে জানি৷ কিং ফায়ার আর তার দুই চামচা হ্যারি লিও পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছে? যে কোন সময় আমাদের উপর এট্যাক হতে পারে৷”

ফারহার কথা গুলো দাঁতে দাঁত চেপে শুনে আলতো করে হেসে বলে,” হুম তুই ঠিক বলেছিস৷ আমাকে আরো সর্তক হওয়া উচিত ছিলো৷ এনিওয়েস এর পর থেকে সর্তক থাকবো৷ কিন্তু তুই তো বললি না, তুই এতোটা সময় কোথায় ছিলিস?”

ফারহা তার দাঁত গুলো বের করে তনুর দিকে তাকিয়ে বলে,” উফফ জানু আজ লং ড্রাইভে গিয়ে ছিলাম৷ তোর মতো আমারও না বাড়িতে ভিষণ বোর লাগছিলো৷ তাই ভাবলাম একটু লং ড্রাইভে বেরিয়ে আসি৷ ”

তনু ফারহাকে মনে মনে দু’তিনটে গালি দিয়ে বলল,” আমার গল্প আমাকে শুনালো ফাজিল মাইয়া৷ ”

তনুকে চুপ থাকতে দেখে ফারহা বলতে লাগলো,” জানু কোথায় হারিয়ে গেলি? দেখ তোর সব প্রশ্নের উওর এতিমধ্যে আমি দিয়ে দিয়েছি নাও আমি আমার রুমে যাচ্ছি ৷ আর শোন নিচে সারভেন্ট বলেদিস আমার জন্য কফি পাঠিয়ে দিতে৷ হাত দুটো টন টন করছে৷ ”

বলতে বলতে ফারহা নিজের রুমে ঢুকে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো৷ এদিকে তনু পারে না ফারহাকে চিবিয়ে খেতে৷ রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে নিচে ড্রইংরুমে গিয়ে সারভেন্টকে ফারহার জন্য কফি বানিয়ে তার রুমে পাঠিয়ে দিতে বলে তনু নিজের রুমে চলে গেল৷

(৬৬)

” স্যার এখন কি করবো?”
আসলামের কথার প্রত্ত্যুতরে মেঘ তার হাত দিয়ে কপাল ঘষে বলল,” এই বিষয়টা এখানে শেষ আসলাম৷ এই বিষয়টা যেন তৃতীয় কোন ব্যক্তি না জানতে পারে আসলাম৷”

” ওকে স্যার৷ এই ব্যাপারটা এখানে ক্লোজ তারেক স্যার এই বিষয়ে বিন্দু মাত্র জানতে পারবে না৷ ”

” গুড৷ এখন আমাদের দ্রুত ফিরতে হবে তার পূর্বে গাড়ির টায়ারের চিন্হ গুলো মুছে ফেলতে হবে৷”

” স্যার আপনি গাড়ি নিয়ে বড় রাস্তায় উঠে যান৷ আমি প্রমান গুলো মিটিয়ে আসছি৷”

আসলামের কথা মতো মেঘ গাড়ি নিয়ে বড় রাস্তায় উঠে যায়৷

_____________

ছাঁদের কানির্শে দারিয়ে গুনগুন করে গান গাইছিলো ফারিহা৷ অর্নিল ফারিহার পেছনে দারিয়ে গান শুনছিলো৷ হঠাৎ করে ফারিহা গান বন্ধ করে হু হু করে কেঁদে ওঠে৷ ফারিহার এহং কান্ডে অর্নিল হতভম্ব হয়ে ফারিহার কাছে গিয়ে ফারিহাকে জড়িয়ে ধরে বলে,” ফারিহা তোমার কি হয়েছে কাঁদছো কেন? আমি কোন অপরাধ করেছি? বলো আমাকে?”

ফারিহা কাঁদতে কাঁদতে অর্নিলকে কিছু একটা বলতে গিয়েও বললো না বরং দৌড়ে চলে গেল৷

অর্নিল কিছু না বুঝতে পেরে ফারিহার পেছন পেছন ছুটে গেল৷

______________

” ফারহা শাওয়ার নিয়ে তোয়ালে দিয়ে ভিজে চুল মুছতে মুছতে আয়নায় নিজেকে দেখছে আর হাসছে৷ ফারহা মনে মনে পরবর্তী প্লান করে নিলো৷ এদিকে মেঘ নিঃশব্দে রুমে ঢুকে ফারহার পেছন থেকে কোমর জড়িয়ে ধরে ফারহার কানের লতিতে চুমু দিয়ে বলে,” ভালোবাসি ফারুপাখি ৷ ”

মেঘের মুখে ভালোবাসি শব্দটা শুনে ফারহা মিষ্টি করে হেসে মেঘের দিকে ফিরে মেঘের গলা জড়িয়ে ধরে বলে,” তো মিস্টার পুরো দিন পর এখন বলা হচ্ছে ভালোবাসি? তোমার ভালোবাসা আজ এক্সেপ্টেড নয়৷ ” বলে গাল ফুলালো ফারহা৷ মেঘ ফারহার ফুলানো গালে টুপ করে চুমু দিয়ে বলে , ” আমার রাজ্যের রাজরানী বুঝি আমার উপর অভিমান করেছে? ” ফারহার কপালে কয়েকটা চুল কানের পিঠে গুজে দিয়ে ফারহাকে কোলে তুলে নিয়ে বেডের উপর বসিয়ে দিয়ে তোয়ালে দিয়ে ফারহার ভেজা চুল গুলো মুছতে লাগলো৷

ফারহা মেঘের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বললো,” মেঘরাজ কিং ফায়ার আর তার চামচাদের খুজে পেয়েছো?”

মেঘ ফারহার মুখের দিকে একবার তাকিয়ে অন্যদিকে ফিরে হেসে ফেলে৷ মেঘের এই হাসি ফারহার চোখ এরায়নি৷ ফারহা খুব ভালো করে জানে মেঘ সবটাই বুঝতে পেরেছে৷ মেঘ হাসি থামিয়ে ফারহাকে বলে,” জানো ফারুপাখি আজ একটা কান্ড ঘটেছে৷ একটা লোককে কেউ বা কারা লোকটিকে উল্টো ঝুলিয়ে মানুষ খেকো মাছের খাদ্য বানিয়েছে৷ ”

” এমা তাই নাকি?” ফারহা গালে হাত দিয়ে অবাক হওয়ার মতো এমন ভাব করলো যেন আজ প্রথমবার ফারহা এরকম ভয়ংকর মৃত্যুর কথা শুনলো৷ মেঘ ফারহাকে কখনো কখনো বুঝতে পারে না৷ ফারহা আসল রুপ কোনটা? ফারহা মেঘের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিয়ে বলল,” মেঘরাজ ফ্রেস হয়ে এসো আমি সারভেন্টকে বলছি লাঞ্চ রেডি করতে৷ ” কথাটা বলে ফারহা বসা থেকে উঠে রুম থেকে বেরিয়ে যায়৷

ফারহা তনুর রুমের সামনে থেকে যেতে নিলে ফারহা তনুর রুম থেকে ভাঙচুরের আওয়াজ শুনতে পায়৷ ফারহা ওখানে দারিয়ে পরে৷ এদিকে তনু রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে রুমের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে লাগলো৷ একটার পর একটা প্লান ফ্লপ হয়ে যাচ্ছে তনুর; কিছুতেই তার প্লান সাকসেসফুল হচ্ছে না বরং আরো সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে৷

তনু ফ্লাওয়ার ভাজটা ড্রেসিং টেবিলের উপর ছুড়ে এক প্রকার চিৎকার করে বলে উঠলো, ” ছাড়বো না আমি কাউকে ছাড়বো না৷ আমার পথে কাঁটা হয়ে যে আসবে তাকে আমি শেষ করে দিবো৷ ”

তনুর কথা গুলো ফারহার কান অব্দি পৌছাতে বেশি সময় লাগলো না৷ ফারহা কথা গুলো শুনে ক্রুর হেসে বিড়বিড় করে বলে উঠলো,” আরুকে শেষ করার মত ক্ষমতা জেসিকার এখনো তৈরি হয়নি তনু ৷ তবে আমি জেসিকাকে একটা সুযোগ অবশ্যই আমি দিবো তবে সুযোগ একটাই পাবে জেসিকা৷ তবে সেই সুযোগ যদি জেসিকা একবার হারিয়ে ফেলে তাহলে আই সোয়ার জেসিকা তোকে তোর প্রাণটা আমার হাতে দিতে হবে৷ আজরাইল হয়ে তোর সামনে আমি দাড়াবো ৷ সেদিন তুই নিজেকে বাঁচাতে পারলে বাঁচিয়ে নিস৷ ” কথাটা বলে ফারহা নিচে কিচেনে চলে গেল৷

(৬৭)

হ্যারি লিও এর জ্ঞান ফেরার পর থেকে নার্স তিনজন তাদের রুম থেকেবের হতে দিচ্ছে না৷ যতবার রুম থেকে বের হতে চাইছে ঠিক ততোবার নার্সরা বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে হ্যারি লিওয়ের সামনে; এক প্রকার বিরক্ত হয়ে হ্যারি নার্সদের বলতে লাগলো,” হাউ ডেয়ার ইউ ৷ তোমাদের সাহস দেখে আমি রেইলি সারপ্রাইজড্ ৷”

একজন নার্স চোখ জোড়া ফ্লোরে নিবন্ধ করে বলল,” স্যরি স্যার, আপনাদের এই রুমের বাইরে যাওয়ার কোন অনুমতি নেই৷ ম্যাম আমাদের স্ট্রিটলি বারণ করে দিয়েছে ৷ আপনাদের রুমের বাইরে বের হতে দিতে৷ ”

” ওয়াট! জেসিকা?”

” ইয়েস স্যার৷”

” আমরা আমাদের বস কিং ফায়ারের কাছে যেতে চাই৷ তিনি পাশের রুমে আছে৷”

” স্যরি স্যার আমরা আপনাদের বাইরে যেতে দিতে পারবো না৷ আপনারা বরং ম্যাম আশা অব্দি অপেক্ষা করুন৷”

নার্সের কথা শুনে হ্যারির মেজাজ প্রচন্ড বিগড়ে গেল৷ সেন্টার টেবিলের উপর থেকে কাঁচের জগটা তুলে নিয়ে নার্সের মাথা আঘাত করে বসলো হ্যারি৷ নার্স মেয়েটি মুহূর্তে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লো৷ সাদা টাইলসের ফ্লোর রক্তে ভেষে যাচ্ছে৷ এটা দেখে বাকি দু’জন নার্স ভয়ে পিছিয়ে যায়৷ হ্যারি বা লিওকে বাধা দেওয়ার মতো সাহস তাদের দু’জনের মধ্যে অবশিষ্ট নেই বললে চলে৷

হ্যারি বাকি দু’জন নার্সের দিকে তাকিয়ে ঘাড় বাঁকা করে বলে,” টুয়েন্টি মিনিসের মধ্যে পুরো রুম আমার ক্লিন চাই ৷ ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?”

নার্স দু’জন ভয়ে ভয়ে মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়৷ হ্যারি লিও দুজনে এক সাথে বের হয়ে কিং ফায়ারের রুমে গিয়ে দেখে পুরো রুম ফাঁকা৷ ওয়াশরুম বা পুরো ফ্লাটে কোথাও কিং ফায়ারকে খুজে পেল না হারি লিও৷ হ্যারির চোখে মুখে চিন্তার ছাপ ৷ টেরোরিস্টের সকল পাওয়ার কিং ফায়ারের হাতে , কিং ফায়ার যতোক্ষণ না নিজের মুখে নিজের সকল পাওয়ার হ্যারির উপর না দিচ্ছে ততোক্ষণ হ্যারি কোন ভাবে কিং ফায়ারের জায়গা নিতে পারবে না৷ লিওয়ের মাথায় ঘুরছে অন্য চিন্তা৷ কিং ফায়ার হঠাৎ এভাবে উধাও কি করে হতে পারে? হয় কেউ তাকে কিডন্যাপ করেছে নাহলে জেসিকা কিং ফায়ারকে কোথাও সরিয়ে দিয়েছে৷ কথাটা লিও হ্যারিকে জানাতে নিলে হ্যারি বলে ওঠে,” লিও কিং ফায়ারকে জেসিকা সরিয়েছে আ’ম ড্যাম শিওর ৷”

” আমরা এখন কি করবো হ্যারি? এই ফ্লাট থেকে বের হবার তো কোন অপশন দেখছি না? তাহলে বের হবো কি করে?”

হ্যারি কিছু একটা ভেবে ঠোঁটের কোণে পৌশাচিক হাসি ফুটে ওঠে৷ হ্যারি লিওয়ের দিকে বলল,” উপায় একটা আছে লিও৷”

” কি সেই উপায়?”

” আমার সাথে এসো৷” হ্যারির পেছন পেছন লিও তাদের রুমে গেল৷ সেখানে নার্স দু’জন খুব দ্রুত ব্লাড ক্লিন করছে৷ হ্যারি লিওয়ের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিতে লিও বুঝতে হ্যারির এই হাসির কারণ বুঝতে পেরে সেও হাসি দিলো৷

____________

” রোজা তার মম মেঘ ফারহার মম ড্যাড অর্নিল ফারিহা তনু সবাই এক সাথে ডাইনিংয়ে বসে লাঞ্চ করছে৷ তনু আর ফারিহার মুখ থম থমে হয়ে আছে৷ ফারিহা খাবার না খেয়ে নাড়াচাড়া করছে৷ এদিকে তনুও সেম কাজ করছে৷ ফারহা সবটাই খেয়াল করছে কিন্তু কিচ্ছু বলছে না৷ অন্যদিকে রোজার দু’চোখ যেন কাউকে খুজে যাচ্ছে৷ বার বার দরজার দিকে তাকাচ্ছে৷ মেঘ বিষয়টা খেয়াল করে বলে,” রোজা খেতে কোন অসুবিধা হচ্ছে? ”

মেঘের হঠাৎ এমন প্রশ্নে রোজা থতমত খেয়ে বলতে লাগলো,” না ভাইয়া৷ আসলে…. ধ্যাত মেঘ ভাইয়ার চোখে পড়ে গেলাম৷ কেন যে বার বার দরজার দিকে তাকাচ্ছি! সেটা নিজেও জানি না৷ ”

মেঘকে কথা বলতে বলতে রোজা চুপ হয়ে মনে মনে কথা গুলো বলতে লাগলো৷ হঠাৎ মেঘের কথায় রোজা তার ভাবনার জগত থেকে ফিরে এসে কিছু বলতে যাবে তখনি তনুর ফোনটা বেজে ওঠে৷ তনু সবার দিকে তাকিয়ে ফোনের স্কিনে তাকাতে কপাল কুচকে কল রিসিভ করে কানে ধরতে ৷ ফোন কলে ওপাশ থেকে কিছু একটা শুনে তনুর দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো,
.
.
.
.
[আসসালামু আলাইকুম রিডার্স৷
অনেকদিন পর যেহেতু লিখছি তাই লেখা গুলো তেমন সাজিয়ে গুছিয়ে লিখে উঠতে পারি নি৷ তাই ভুল ট্রুটি হলে সেগুলো ধরিয়ে দিবেন৷ ]
#চলবে……………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here