#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৪৭
.
.
সূর্য যাওয়ার সময় একটা বক্সের মুখ খুলে দেয় সাথে সাথে অনেক গুলো ইদুর বেড়িয়ে আসে সে বাক্স থেকে, পুরো বেসমেন্টে ইদুরের কিচিরমিচির তার সাথে কামড় ফ্রি ,,,,, সামিরা না পেরে চিৎকার করতে লাগলো কিন্তু সে চিৎকার বেসমেন্ট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ৷
এদিকে সূর্য তনুর দরজার লক খুলতেই তনু ভারি একটা শোপিচ দিয়ে সূর্যকে আঘাত করতে নিলে সূর্য কায়দা করে তনুর হাত ধরে ফেলে সামনে ছুড়ে মেরে বলে,” উপস মিসটেক হয়ে গেল তাই না তনু? ইস দেখলে আবারো একই ভুল করলাম৷ জেরি বলবো নাকি জেসিকা নাকি তনু এত্তো এত্তো নাম কোন ছেড়ে কোনটা ডাকি বলো?”
হাতে মোচকা ব্যথা পেয়ে দাঁতে দাঁত চেপে আগুন দৃষ্টিতে সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলে,” ইউ বাস্টার্ড তুই এখনো বেঁচে আছিস? বেঁচে আছিস ভালো কথা কিন্তু এবার তুই আমার হাতে মরবি৷”
তনুর সব কথা ঠিক থাকলেও বাস্টার্ড গালিটা নিতে পারলো না৷ ঝড়ের গতিতে তনুর কাছে গিয়ে, শক্ত করে তনুর চুলের মুঠি ধরে বলে,” তোর মতো চুনুপুটি আমাকে শেষ করবে হাহ্! এগুলো তোর কল্পনা অতিত৷ যেখানে ফারিহা আমাকে শেষ করতে পারলো না সেখানে তুই কি করে করবি? তবে আজ তোকে এমন শিক্ষা দিবো যে ভুলেও তোর ওই নোংরা মুখ দিয়ে কাউকে বাস্টার্ড বলতে পারবি না৷ ”
সূর্য তনুর গলা চেপে ধরতে তনুর জীব্বাহ বেড়িয়ে আসতে সূর্য তনুর জীব্বাহ কাটতে উদ্ধত হলে তৎক্ষনাৎ সেখানে আদিল রাফি রোজা এসে হাজির হয়৷ আদিল গিয়ে সূর্যকে থামায়৷ রোজা গিয়ে তনুকে উঠিয়ে দ্রুত পানি খেতে দেয়৷ সূর্য আদিল রাফি রোজাকে দেখে বিরক্ত চোখে তাকিয়ে বলে,” তোমরা এখানে কেন এসেছো?”
সূর্যের কথা শুনে আদিল গম্ভির গলায় বলে উঠলো,” সূর্য ভাইয়া আপনি ভুলে যাচ্ছেন তনুপু আপনার নয় ফারহা আপার শিকার৷ আপনি তনুপুকে একটা আচরও কাটতে পারেন না৷ ”
সূর্যের হঠাৎ কি হলো আদিলের কথার কোন উওর না দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল৷ সূর্য চলে যেতে তনু রোজাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যেতে নিলে রাফি তনুকে সামনে পা বাড়িয়ে দেয় যার দরুন তনু রাফির পায়ে পা বেঁধে পড়ে যায়৷ তখনি রোজা বলে ওঠে,” কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় না তনুপু ৷ আর তুমি তার চাক্ষুষ প্রমান৷ ”
তনুকে ওভাবে ফেলে আদিল রাফি রোজা রুম থেকে বেড়িয়ে দরজাটা আবারও লক করে দেয়৷
” আদিল ভাইয়া আর রাফি আমি মমের কাছে যাচ্ছি৷ তোমরা গিয়ে রেস্ট নেও ভোর হতে তো আর বেশি সময় বাকি নেই৷ আগামিকাল অনেক কাজ আছে৷”
” হুম তুমি ঠিক বলেছো রোজা৷ আমরা রুমে যাচ্ছি তুমিও রুমে গিয়ে রেস্ট করো৷ চল রাফি৷”
আদিল রাফি রোজা যে যার রুমে চলে গেল৷
অর্ধচন্দ্র বিলিন হয়ে সূর্যের কিরণ ছড়িয়ে পড়লো পৃথিবীর বুকে৷ পাখি কিচিরমিচির শব্দে জানান দিচ্ছে সকাল হয়ে গেছে৷ শিশির ভেজা কুয়াশায় আচ্ছন্ন সকালটা ফারহা ব্যালকনিতে দাড়িয়ে উপভোগ করছে৷ পুরো রাত ঘুম না হওয়ার দরুন ভোর বেলা চোখ জোড়া বুঝে আসছিলো তখনি তার ফোনটা বেজে ওঠে৷ সারা রাত জ্বালিয়ে মেঘ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ মেঘের শক্ত বাধণ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ফোন সাইলেন্ট করে ফ্লোরে পড়ে থাকা বেনারসীটা নিয়ে শরীরে পেচিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়৷ হট শাওয়ার নিয়ে চেন্জ করে মেজান্ডা
রঙের শাড়ি পড়ে ভিজে চুলের পানি মুছতে লাগলো৷ হঠাৎ ফারহার নজর পড়ে তার ফোনের দিকে , ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে আননোন নাম্বার৷ ফারহা কল রিসিভ করে কানে ধরতে ওপাশ থেকে কেউ চাপা কন্ঠে বলে উঠলো,” হেল্প হেল্প ” ব্যস এতোটুকু বলে কল ডিসকানেক্ট হয়ে গেল৷ ফারহা কল ডিসকানেক্ট হবাব পর পর আবারও সে নম্বরে কল করে কিন্তু ফোন বন্ধ বলায় ফারহা একটু দুঃচিন্তা হয় এটা ভেবে ফোনের ওপাশে কে ছিলো?
ব্যালকনিতে দাড়াতে বাইরের পরিবেশ দেখে মনমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল ফারহা৷ কয়েক মুহূর্তের জন্য ফোন কলের বিষয়টা যেন মাথা থেকে বেড়িয়ে গেল৷
(৮৪)
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে কাজে লেগে পড়লো৷ এদিকে মেঘের ঘুম ভাঙতে পাশে ফারহাকে দেখতে না পেয়ে বিরক্তি মাখা চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে ফারহাকে না পেয়ে মেঘের বুকের ভেতর যেন ছ্যাৎ করে ওঠে৷ মেঘ ওয়াশরুম চেক করে ফারহাকে না পেয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়াতে ফারহাকে দেখতে পেয়ে স্বস্থির শ্বাস ফেললো৷ ধিমি পায়ে হেটে পেছন থেকে ফারহাকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো,” গুড মরনিং ফারুপাখি৷”
মেঘের স্পর্শে শিউরে ওঠে ফারহা৷ বোঝার বাকি নেই তার মেঘরাজ তাকে আষ্টে পৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে৷
” মেঘরাজ ঘুম থেকে উঠে দুস্টুমি শুরু করেছো? যাও শাওয়ার নিয়ে এসো৷ আমি কিচেনে যাচ্ছি৷”
” নো ওয়ে জান৷ এখন তোমাকে আমি ছাড়ছি না৷ কারণ আমরা এখন একসাথে শাওয়ার নিবো৷”
” আমি অলরেডি শাওয়ার নিয়েছি মেঘরাজ৷” বিরষ গলায় বলল ফারহা৷
” তাতে কি? আমি না আমাদের একসাথে শাওয়ার নেওয়ার ব্যবস্থা করছি কি বলো জান?”
মেঘের কথা শুনে ফারহা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলে,” একদম না বেত্তামিজ ৷”
” বেত্তামিজ যখন বানিয়ে দিলে তালে বেত্তামিজ হয়ে যাই৷”
ফারহাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মেঘ ফারহাকে কোলে তুলে নিলো৷ ফারহার কোন কথাই কানে নিলো না মেঘ ৷ বাধ্য হয়ে আবার শাওয়ার নিতে হলো ফারহাকে৷ রেগে মেগে ফারহা রেডি হয়ে নচে চলে যায়৷ কিচেনে গিয়ে দেখে মেহরীমা এর আইরিন গল্প করছে আর রান্না করছে৷ ফারহা কিচেনে গিয়ে সবাইকে গুড মরনিং বলে ৷ ফারহাকে দেখে মেহরীমা বলে উঠলো,” মামুনী তুমি এখন কিচেনে কি করছো? রুমে যাও দেখো মেঘের কিছু প্রয়োজন কিনা? ”
” মামুনী আমি এই বাড়ির বউ আমারও তো কিছু দায় দায়িত্ব আছে৷”
” মামুনী তুমি এখনো ছোট মানুষ এখন তোমাকে কোন দায় দ্বায়িত্ব নিতে হবে না৷ আমরা তো আছি আমরা সামলে নিবো৷”
শাশুড়ীর কথা শুনে ফারহা নিজের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,” মামুনী আমাকে কোন এঙ্গেলে তোমার ছোট মানুষ মনে হলো? আজ বাদে কাল দাদী হবে আর এখন বলছো আমি ছোট!”
ফারহা কথা গুলো বলে নিজেই লজ্জায় লাল হয়ে গেল৷ ফারহার কথা শুনে মেহরীমা আর আইরিন হাসতে লাগলো৷ তখনি নুপূর নিচে এসে ফারহার পাশে দাড়ায়৷ নুপূরকে দেখে মেহরীমার মুখের হাসি বন্ধ হয়ে যায়৷
” সুপ্রভাত আপু৷”
” সুপ্রভাত নুপূর উপস স্যরি ভাবি হবে৷”
নুপূর মাথা নাড়িয়ে বলে উঠলো,” একদম না আপু আমি তোমার ছোট বোন তাই তুমি আমাকে নাম ধরে ডাকবে আর তুমি নয় তুই বলবে৷”
” কিন্তু সম্পর্কে তুমি আমার থেকে বড় নুপূর৷ কি করে তুই বলি?”
” ঠিক আছে তুমি বলো তবে নাম ধরে ডাকবে৷”
” ওকে, তাই হবে৷”
নুপূর আর ফারহা মেহরীমা আর আইরিন কে কিচেন থেকে বের করে দিয়ে দুজনে রান্না করতে লাগলো৷ সে সময় ফারিহা এসে হাজির হয়৷ তারপর তিনজন মিলে গল্প করতে করতে বাকি রান্নাটা কম্পিলিট করে ফেলে৷
বাড়ির সকলকের নাস্তা করা শেষ হলে ফারহা ফারিহা সবার অজান্তে চৌধুরী বাড়ির বেসমেন্টে চলে যায়৷
বেসমেন্টের দরজা খুলতে ফারহা ফারিহা পুরো বেসমেন্ট জুড়ে ইদুরের ছুটাছুটি আর একপাশে চেয়ারে বাধা অবস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে সামিরা৷ হাতে পায়ে ছোট ছোট ক্ষত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে৷ ফারিহা বিরক্তি সূচক “চ” শব্দ মুখ থেকে বের করে৷ ফারহা সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে সূর্যের গলার আওয়াজ পেয়ে থেমে যায় ফারহা ফারিহা৷
” ওয়েট আরুপাখি ৷ আমি ইদুর গুলোর একটা ব্যবস্থা করে নি তারপর না হয় তোমরা নিচে এসো৷”
” ওকে যা করার দ্রুত কর ভাই৷”
সূর্য কয়েক টুকরো কেক নিয়ে একটা বস্তায় ভেতর রেখে ইদুরের দিকে বারও কয়েক টুকরো কেক ছুড়ে মেরে বাকিটা বস্তায় ঢুকাতে ইদুর গুলো ছুটে বস্তায় গিয়ে ঢুকতে লাগলো কেক খাওয়ার জন্য সে সুযোগে সূর্য বস্তার মুখটা আটকে ফেলে৷
ফারিহা সূর্যের এই চমৎকার ইদুর ধরার বুদ্ধি দেখে হতবাক৷ তার সাথে প্রচন্ড রকমের শক্টড সূর্যকে দেখে; সূর্য যে সত্যি বেঁচে আছে তার কোন প্রমান আর ফারিহার প্রয়োজন নেই৷ আর সেদিন সূর্যকে দেখা কোন হেলুসিনেশন ছিলো না এটাও খুব ভালো করে বুঝতে পারছে ফারিহা৷ তবে ফারহা যেহেতু আছে সেহেতু সূর্যের থেকে তার কোন বিপদ নেই৷ ফারহা ফারিহা দুজনে নিচে এসে সামিরাকে দেখতে লাগলো ৷
” আরুপাখি এর পানিশমেন্ট তুমি এখানে দিবে নাকি অন্য কোথাও?”
“সামিরা যেহেতু একটু স্পেশাল সেহেতু ওর পানিশমেন্টও হবে একটু স্পেশাল রাইট ফারিহা?”
” ইয়েস আপু৷”
” আর মারুরানীর পানিশমেন্ট কে দিবে আরুপাখি?”
ফারহা ফারিহার দিকে এক ঝলক তাকিয়ে সূর্যকে বলে, ” কেন তুমি”
ফারহার কথা শুনে ফারিহার গলা শুকিয়ে কাঠ হবার জোগার৷ ফারিহা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ফারহাকে বলতে লাগলো,” আ,,আপু! ”
ফারিহার ভিতু ফেসটা দেখে ফারহা সূর্য দু’জনে হেসে উঠলো৷ সূর্য হাসতে হাসতে বলল,” ভয় পেও না মারু ৷ আমি তোমাকে অনেক আগে ক্ষমা করে দিয়েছি৷ তোমার উপর মার কোন অভিযোগ নেই৷ ”
” বাঁচলাম তাহলে এখন সামিরার কি ব্যবস্থা করবো?”
সূর্য ফারহার মুখে তাকাতে ফারহার বাঁকা হাসি দেখতে পেয়ে বুঝতে পারলো তাকে ঠিক কি করতে হবে৷
চোখে মুখে পানি ছিটে পড়তে সামিরা চোখ মেলে তাকাতে আতঁকে ওঠে৷ নিজেকে এমন ঝুলন্ত পানির উপরে থাকতে দেখে মুখে খেই যেন হাড়িয়ে ফেললো সামিরা৷ বুঝে উঠতে পারছে না সে আসলে কোথায় আছে?
সামিরার ভাবনার মাঝে হঠাৎ একটা মাছ লাফিয়ে সামিরা হাত কামড়ে ধরে৷ একটা সামান্য মাছ এভাবে এট্যাক করবে এটা সামিরা কল্পনাও করেনি৷ সামিরা হাত ঝাড়া দিয়ে মাছ টাকে ফেলে দিতে আবারও একের পর এক মাছ এট্যাক করে সামিরার উপর, সামিরার হাতে আগেই ইদুরে কামড়ে ছিলো আর এখন মাছের এমন বিশাক্ত কামড় ৷ এটা দেখে সামিরা ভয় পেয়ে চিৎকার করতে লাগলো তখনি কেউ বলে উঠলো,” চিৎকার করে লাভ নেই৷ আমার না হওয়া বড় জা৷ এখানে তোমার চিৎকার আমি ফারিহা সূর্য আর খালের রাক্ষুসে মাছ ছাড়া কেউ শুনবে না৷ ”
ফারহার মুখে রাক্ষুসে মাছের কথা শুনতে আতঁকে ওঠে সামিরা৷
” রা,,রাক্ষুসে মাছ মানে?”
” রাক্ষুসে মাছ মানে যাদের পেটে তোমার ভালোবাসার মানুষটা এতোদিনে হজম হয়ে গেছে ৷ আমি তাদের কথা বলছি৷”
সামিরার আর কিছু বুঝতে বাকি নেই৷ আশে পাশে তাকিয়ে জায়গাটা ভালো করে দেখে শুকনো ঢোক গিললো৷ সূর্য সামিরাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,” তাহলে সামিরা মরবার জন্য তৈরি তো?”
” না না আরু মারু আমাকে মেরো না৷ আমি কথা দিচ্ছি আমি তোমাদের কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করবো না৷”
” সামিরা দাঁত কিড়মিড় করে বলে উঠলো,” সে সুযোগ পেলেতো ক্ষতি করবে সামিরা৷”
সূর্য গাছের সাথে বাধা দরিটা খুলে সামিরাকে খালের পানির দিকে আর একটু নামিয়ে দিতে মাছ গুলো সামিরার হাত দুটোর মাংস কামড়ে খেতে লাগলো৷ সামিরার গলা ফাটানোর চিৎকার শুনে ফারহা আর ফারিহার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো ৷ সূর্য একটু একটু করে সামিরাকে খালের পানির দিকে যতো এগিয়ে দিতে লাগলো ততো মাছের আক্রমন বাড়তে লাগলো৷ এক সময় ফারহার ইশারা পেতে সূর্য দরিটা ছেড়ে দিলো৷ মুহূর্তে খালের পানির রঙ লাল হয়ে গেল৷
” আরুপাখি আমাদের কাজ শেষ৷”
” না ভাই আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি৷ এখনো একজনকে তার করা বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দেওয়া বাকি৷ আর তারপর পুরো টেরোরিস্ট দলটার চিন্হ নিশ্চিন্হ করতে হবে৷”
” এটা কি করে সম্ভব আরুপাখি?” অবাক হয়ে বলল সূর্য৷
” সব কিছুই সম্ভব ভাই যাস্ট একটু সময়ের অপেক্ষা মাত্র৷”
শাই শাই করে ফারহার গাড়ি চলতে লাগলো৷ যতো দ্রুত সম্ভব তাকে চৌধুরী ম্যানশনে পৌছাতে হবে কারণ তনু এখনো সেখানে ঘর বন্দি হয়ে আছে৷
কিছুক্ষণ আগে আদিল ফোন করে জানায় তনু নাকি সুইসাইড করার চেষ্টা করেছে ৷ ফারহা এতো সহজে তনুর মৃত্যু দিবে না৷ তীলে তীলে মারবে তনুকে আর তাই আদিলকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে যেন তনুর কোন ক্ষতি না হয় যে ভাবে হোক ওকে বাচাঁতে ৷ প্রয়োজন পড়লে হসপিটালাইজড্ করতে৷ ”
আদিল প্রত্ত্যুতরে কিছু বললো না বরং কল ডিসকানেক্ট করে ফারহার নির্দেশ মতো কাজ করতে লাগলো৷
ফারহা হঠাৎ গাড়ি চৌধুরী ম্যানশনের দিকে না নিয়ে অন্য দিকে যেতে লাগলো৷
.
.
.
#চলবে …….