#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:31
#Suraiya_Aayat
সারা রাস্তায় আরূ চুপচাপ ছিল , রিক্সাটা বাড়ির সামনে এসে থামতেই কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেল আরু ৷
আরিশ বুঝতে পারছে আরূর মনের অবস্থা ৷
রিক্সার ভাড়াটা আরিশ মিটাতেই সানা বলে উঠলো:
ভাইয়া আরুর হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গেল কেন? কিছু কি হয়েছে , নাকি তুই আবার ওকে কিছু বলেছিস বলতো ? রাগি চোখ নিয়ে তাকিয়ে ৷
আরিস চিন্তিত হয়ে বলল : আরে উনাদের সঙ্গে কথা বলার পর থেকেই আরুপাখির মন খারাপ ,হয়তো উনাদের দুঃখে বড্ড বেশি কষ্ট পেয়েছে ৷
সানা : বড্ড বেশি নরম মনের ও, যেকোনো কারোর কষ্টকে সহজে নিজের করে নেয় , তার জন্য আরো বেশি কষ্ট পায় ৷
আরিশ : চিন্তা করিস না আমি সামলে নেব ৷
সানা দাঁত বার করে হেসে : সে আমি জানি না যে আমার ভাইয়া কি কি পারে আর কি কি পারেনা ৷
আরিশ সানার কানটা ধরে : বড্ড বেশি পেকে গেছ তুমি বুঝেছি , সবকিছু আরাভের কাছ থেকেই শিখছ৷ তাড়াতাড়িই তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করছি চিন্তা করোনা ৷
অরিশের কথার পরিবর্তে সানা হাসতে লাগল ৷
ওরা ঘুরতে থেকে বাড়ি আসার পর আরিস আরুর সাথে আর ভালোভাবে সাথে সময় কাটাতে পারেনি ৷ আরু বাড়িতে এসেই রান্নাঘরে চলে গেছে , রাত্রে ডিনার টা নাকি ও বানাবে তাই আর আলাদা করে ওর সঙ্গে আর কথা বলা হয়নি ৷ তাছাড়া কিচেনে আরিশের মা ও আছেন তাই আর যেতে পারছেনা আরিশ ৷
কোন বাইরের লোক থাকলে আরিশ কিছু মনে করতো না কিন্তু বাড়ির লোকের সামনে একটু তো নিজেকে সংযত করে রাখতেই হবে না হলে তারা কি ভাববে!
হঠাৎ করে আরিশের ফোন আসতেই আরিশ রুম থেকে বেরিয়ে গেল….
আরূ রান্নাঘরে সব সবজিগুলো কাটছে আর অনিকা খান ওর পাশে দাঁড়িয়ে হাতে হাতে সাহায্য করে দিচ্ছেন ৷ মেয়েটা একা সবকিছু সামলাতে পারবে কিনা সেই কারণেই উনি রয়েছেন…
আরু: জানোতো মামনি , আমার ওনাদের জন্য খুব খারাপ লাগছে ৷ উনারা নিজের সন্তানকে হারিয়েছেন, খুঁজে পাচ্ছেন না ৷ জন্ম দেওয়ার কয়েক মাস অব্দি নাকি উনারা পেয়েছিলেন নিজের সন্তানকে তারপরে নাকি হারিয়ে ফেলেছিলেন উনাদের কত কষ্ট তাই না!
আরিশের মা আর উত্তরে কিছু বললেন না ৷
মনে মনে বলতে লাগলেন : তুইও যে এরকমই কারোর সন্তান রে মামা ৷ তোকে যে ,,,,,,,,
এই বলে আর কিছু ভাবতে পারল না তখনই আরূ বলে উঠল ৷
” আল্লাহ যেন উনাদের সন্তানকে আবার ওনাদের কাছে ফিরিয়ে দেন , তাহলে উনারা এ কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন ৷”
অনিকা খান : আল্লাহ যেন তোর দোয়া কবুল করে মামনি….
❤
আরিস : আপনি সব ঠিকঠাক বলছেন তো ! মানে এটা কোন ভুল খবর না তো ?
অচেনা লোক : আমি যা বলছি একদম সত্যি বলছি , সব ঠিকঠাক খোঁজখবর নিয়েই আপনাকে বলছি স্যার , আর যা বলছি তাতে কোনো ভুল নেই , আপনি এবার আসল অপরাধীকে ধরতে পারবেন ৷
আরিস লোকটার সাথে হ্যান্ডশেক করে : থ্যাংক ইউ সো মাচ , আপনি অনেক বড় উপকার করলেন আমার ৷ আপনার এই খবরটা হয়তো অনেকগুলো জীবন পাল্টে দিতে পারে তা আফনি হয়তো জানেন না……
অচেনা : আমি জানি স্যার আপনি যা করবেন সবার ভালোর জন্যই করবেন ৷
অচেনা : স্যার ম্যাডাম ভালো আছেন?
আরিশ মুচকি হেসে বলল : হ্যাঁ ভালো, আল্লাহ যেন সবসময় এভাবেই ওকে হাসি খুশি রাখে ৷
অচেনা : আমিন ৷
❤
রাত্রে ডিনার করে আরিশ রুমে যেতেই দেখল আরুশি ওয়াশরুমে গেছে….
তখনই পাশে থাকা ফোনটা বেজে উঠতেই তা রিসিভ করার জন্য ফোনটা হাতে করে নিয়ে বাইরে চলে গেল আরিশ ৷ প্রিন্সিপালের ফোন এসেছে , হয়তো আরিশের এই সাফল্যের ব্যাপারেই কিছু বলবেন….
আরোশী রুমে এসে দেখল আরিশ রুমে নেই, ও ভাবল হয়ত এখনো নিচেই আছে তাই আরিশের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল ৷ রুমের ভিতর একটু বসে রইল , সেখানে বসে থেকে যেন দমটা বন্ধ হয়ে আসছে ভালো লাগছে না কিছুতেই , বারবার পাইচারি করছে আর বারবারই চোখে ভেসে আসছে সেই মহিলার কাতরোক্তি তার সন্তানকে ফিরে পাওয়ার৷ শুধু একটু পায়চারি করে শান্ত হলো না তাই না পেরে ছাদে চলে গেলে…
ছাদের এক কোনে দাঁড়িয়ে আছে আরূ আর ব্যস্ত নগরীর দিকে দৃষ্টিপাত করছে ৷ এ শহরে মানুষ কত ব্যস্ত , কারোর কারো জন্য সময় নেই , কেউ বা সব কিছু পেয়েও অখুশি , আবার কেউ বা কিছু না পেয়েও সে সুখী ৷ এক অদ্ভুত নিয়মে যেন জীবনটা পরিচালিত হয়, যেভাবে সৃষ্টিকর্তা ওদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তেমনভাবে এগোচ্ছে , হাসি , দুঃখ-বেদনা , আনন্দ সবকিছু মিলেই জীবনটা চলে যাচ্ছে ৷ জীবনের প্রতি অভিযোগ করলেও তা বৃথা কারণ সৃষ্টি কর্তা নিজেই তেমনটা চেয়েছেন ৷ তিনি যেমন দুঃখ দেয় আবার দুঃখের পরেও কষ্টটা নির্মূল করে দেন আনন্দ দিয়ে ৷ তাই সময়ের অপেক্ষা করে আর বিধাতার উপর ভরসা রাখা উচিত ৷
বাইরে ঠান্ডা বাতাস গুলো যেন আরুর শরীর আর মন ঊভয়কেই ছুঁয়ে যাচ্ছে ,এত ক্লান্ত আর ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে অনেকটাই স্নিগ্ধ লাগছে আরুর…
তবে পাশে যদি এখন আরিশ দাঁড়িয়ে থাকতো তাহলে মন্দ হতো না , এই কথাটা আরু মনে মনে ভাবছিল তখন হঠাৎ ই পেটে কারোর শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে কিঞ্চিৎ কেঁপে উঠলো আরূ, বুঝতে বাকি রইল না যে প্রিয় মানুষের কথা মনে পড়তেই সে হাজিরা দিতে এখন তার কাছে উপস্থিত….
খোপা করে রাখা চুলগুলো আলতো করে স্পর্শ করে খুলে দিল আরিশ, খোঁপাটা খুলে দিতেই চুলগুলো ছাড়িয়ে পরল আর তা প্রায় কোমর ছুঁই ছুঁই,
আরিশ এখন আরূর চুলের ঘ্রাণ নিতে ব্যস্ত…
আরশি: বড্ড ভালোবাসি আরূপাখি তোমাকে,
তুমি হীনা আমি নিঃস্ব, তুমি আমার জীবনের শেষ সম্বল ৷ আমার পরিণীতা ৷
আরূ আরিশের কথা শুনে মুচকি হাসলো…..
হাজারও কষ্টের মাঝেও আরিশের বলা কথাগুলো যেন ওর সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দেয় , অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করে তখন ৷
আরুশিকে আরিশ নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে বলতে শুরু করল,,,,,,
এমন করছ কেন আরুপাখি ? আমি কি কোন ভুল করে ফেলেছি ?
আরুশি মুখের এক চিলতে হাসির রেখে টেনে আরিশের গালে আলতো করে স্পর্শ করে বলল: আপনি কেন কোন ভুল করতে যাবেন ? আমি জানি আপনি আমাকে কতটা ভালবাসেন তা আমি জানি৷ আপনি যদি আপনার ভালোবাসা প্রকাশে কখনো ব্যর্থ হন তবুও আমি ভাববো যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন ৷ হয়তো আমি একটু পাগলামো করি তবে আপনার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তো করি ৷ আপনার কাছে যদি এই ছোট ছোট আবদার গুলো আর এই দুষ্টুমিগুলো না করতে পারি তাহলে আমার জীবনে আর অবশিষ্টাংশ হিসাবে কিছুই রইল না…..
আরিশ আজকে যেন এক অন্য আরুশিকে দেখছে৷ আজকে ওর মাঝে একজন রমণীর আভাস স্পষ্ট,যে সমস্ত জটিলতার সমাধান খোঁজার স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে পারে ৷
আরিশ খেয়াল করলো যে আরুশি কিছুটা হলেও বিকালের ঘটনা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে তাই আর কোনভাবে আরুশিকে সেই সমস্ত কথাগুলো মনে করিয়ে ওর মুডটা খারাপ করতে চায় না…
হঠাৎ করে আরিশ খেয়াল করলো যে আরুশির চোখের কোনে জল জমে আছে এসেছে, মুহূর্তেই ওর বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো ৷
চোখের কোনে জমে থাকা জলটা এক কোণা দিয়ে গড়িয়ে পড়তেই আরিস ওর বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে তা মুছে দিল ৷
আরিস : তোমার কি হয়েছে আরুপাখি, আমাকে বল৷
আরোশী আরিসের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল:
আমি আপনার পরিণীতা হয়ে আপনাকে পৃথিবীর সকল ভালোবাসা এনে দিতে চাই , সকল ভালোবাসা আপনার কাছে উজার করে দিতে চাই , নিজের সবটুকু দিয়ে ভালবাসতে চাই , আমিও একজন মা হতে চাই আর একজন মা হওয়ার সুখ অনুভব করতে চাই ৷
আরিশ আরুশির কথা শুনে অনেক অবাক হলো ৷
হঠাৎ করে আরুশির এমন পরিবর্তনে বাকরুদ্ধ , কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না ৷
আরিশ নেশাগ্রস্থ কন্ঠে বলল : তুমি এখন বড্ড ছোট আরুপাখি…
আরুশি : দেবেন কি আমায় সেই সুযোগ ? ভালোবাসবেন কি আমায় ?
ভালোবাসার এমন একটা পর্যায়ে এসে আরিশের আর কিছু বলার নেই , ও নিজেও চাই আরুশিকে নিজের সমস্তটা দিয়ে ভালবাসতে ৷
তাই আর আরুর কথার কোন উওর না দিয়ে আরুশির চোখের পাতায় ভালোবাসার পরশ একে ওকে কোলে তুলে নিল…..
❤
সকালবেলা এগারোটা,,,,,
আরিশের বাড়ির সবাই বসে আছে অডিটোরিয়ামের প্রথম সারিতে ভার্সিটির টপারের বাড়ির লোক হিসাবে৷ সবার মুখ খুশিতে ঝলমল করছে ৷
আরিশের বাড়ির লোকের মাঝে আরূকে বসতে দেখে সবাই যেন একটু অবাকই হচ্ছে তবে আরিশের সাথৈ আরুর ঠিক কি সম্পর্ক তা ঠিক বুঝতে পারছে না ৷ অনেকেই ভাবছে যে আরূ আরিশের বোন ৷ তবে যার জন্য এত বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সে নিজেই উপস্থিত নেই ৷
অনেকখন হয়ে গেল সবাই অপেক্ষা করছে তবে আরিশের আসার নাম নেই দেখে সানা আরুকে বলে উঠল:
ভাইয়া কোথায় রে ? ওকে, তো দেখতে পেলাম না কখন আসবে ও?
আরূ : আমি জানিনা ঠিক, আমার ফোনটাও তো তুলছেননা ৷
ওদের কথার মাঝে হঠাৎ তিথি এসে উপস্থিত হলো, বেশ হাসিমুখে আরূর পাশে বসলো ৷
তিথিকে হাসিমুখে দেখে আরুর মনটা যেন ভরে গেল, তিথির মুখে হাসি দেখে খুব ভালো লাগছে ওর,হয়তো কোন খুশির খবর আছে ৷
আরূ আর দেরি না করে তিথিকে জিজ্ঞাসা করল, আজকে মনে হচ্ছে তিথি ম্যাডামের মুডটা খুব ভালো, তা কোন খুশীর খবর নাকি ?
তিথি আনন্দে আরুকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগল:এবার আমার বাড়ির লোক নাহিদকে ঠিক মেনে নেবে আমি সিওর, আর না করতে পারবে না ৷
আরো ভুরু কুঁচকে অনেক কৌতুহল এর সাথে বলল: হঠাৎ কি হলো রে?কোন মিরাক্কেল!
তিথি: আরে নাহিদ একটা কোম্পানিতে জব পেয়ে গেছে , খুব ভালো স্যালারি ও দেবে বলল , তাই আর কোন চিন্তা রইল না আমাদের ৷
আরু আনন্দে তিথিকে জড়িয়ে ধরে বলল: এতো খুব ভালো খবর ৷
সানা: আনন্দটা আজকে দ্বিগুণ হয়ে গেল ৷
ওদের কথার মাঝখানে হঠাৎ মাইক্রোফোন নিয়ে প্রিন্সিপাল বলতে শুরু করলেন ,,,,,
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুষ্ঠান শুরু হবে আর আমাদের কৃতি ছাত্র আরিশ খান খুব শীঘ্রই আসবে৷
কথাটা শুনে আরুশি আবার আরিশের ভাবনায় মগ্ন হলো , সত্যিই তো কি এমন কাজ যে আরিশ আসতে পারছে না ! এখানে ওদেরকে আগে আগে পাঠিয়ে দিয়ে বলল যে তাড়াতাড়ি চলে আসবে , অফিসে নাকি একটা জরুরি কাজ আছে তাই ৷
আরুশি এবার নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে সবার থেকে কিছুটা দুরত্বে গিয়ে দাঁড়ালো , ফোনটা হাতে নিয়ে আরিশের নাম্বারে কল করতে গিয়ে ভুলবশত তুরানের কাছে কলটা চলে গেল ৷
তুরান ফোনটা ধরতেই আরোশী ফোনটা ধরেই চটজলদি তে বলতে লাগল : কোথায় আপনি ? আর এত দেরি হচ্ছে কেন ?সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ৷
তখনই হাসতে হাসতে তুরান বলে উঠলো : আরে এটা sir নয় ,এটা আমি রে তুরান বলছি ,sir তো কিছুক্ষণ আগেই বেরিয়ে গেলেন অনেক তাড়াহুড়োর মধ্যে ছিলেন মনে হল, কিন্তু এখন তোর তাড়াহুড়ো দেখে বুঝতে পারছি যে সত্যিই ওনার কোনো তাড়া আছে৷
আরুশি একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো তারপরে কোনরকম নিজেকে সামলে নিয়ে বললো: সরি আমি ভাবলাম উনি হয়তো ৷
তুরান : সমস্যা নেই , আসলে অফিসে একটা নিউ স্টাফ জয়েন হওয়ার জন্য তাকে sir সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন কাজগুলো তাই একটু দেরী হয়ে গেল .৷ ছেলেটা আমাদের বয়সী প্রায় বা আমাদের থেকে হয়তো কিছুটা বয়সে বড় হবে, কি যেন নাম বেশ ৷ ওহহহ নাহিদ হয়তো ৷
নাহিদ নামটা শুনেই আরু অবাক হয়ে গেল কারণ কিছুক্ষণ আগেই তিথি আরুকে বলছিল যে নাহিদ ভাইয়া কোন জব পেয়েছে , তাহলে তা কি আরিশের অফিসে ?
তখনই তুরান বলে উঠলো :কোন অনুষ্ঠানে গেছিস?
আরুশি : আসলে কলেজ থেকে ওনাকে সম্বন্ধনা দেবে সেই জন্য এখানে এসেছে, আর উনি নিজেই এখন বেপাত্তা ৷
তুরান হাসতে হাসতে বললো : আচ্ছা তাহলে এই সময় আমি এভাবে নষ্ট করতে দিতে চাইনা, আমি এখন রাখলাম পরে কথা হবে ৷ বলে ফোনটা রেখে দিল ৷
আরু যেন সবকিছু মিলিয়ে উঠতে পারছে না ৷
পিছন ঘুরে তাকাতেই দেখলো দৌড়ে দৌড়ে আরিশ ওর দিকে এগিয়ে আসছে, সম্পূর্ণ অগোছালো দেখাচ্ছে ওকে….
আরুর কাছে এসে আরিধ ক্রমাগত হাঁফাতে লাগলো৷
আরিস : আই এম রিয়েলি সরি আরুপাখি, একটা জরুরি কাজ ছিল বলেই দেরি হয়ে গেল ৷
আরু ভাবলো যে এ সমস্ত কথা পরে বলা যেতে পারে, এখনই বলে আরিশকে ব্যতিব্যস্ত করার কোন দরকার নেই ৷
আরু আরিশের কাছে গিয়ে ওর অগোছালো চুল টাকে নিজের হাত দিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করল, সামান্য কিছুটা পরিপাটি করে পাঞ্জাবির খুলে থাকা বোতামটা যত্নসহকারে লাগিয়ে দিল ৷
আরোশী মুচকি হেসে বলল : আমি জানি , তবে এখন সবার আপনাকে প্রয়োজন তাই আপনি চলুন ৷ বলে আরিশ এর হাত ধরে এগিয়ে গেল….
চলবে,,,,,,
ভালো ভালো comment করতে পারেন না😒৷ comment নিয়ে কি আমার সাথে শত্রুতা😒৷