তোমার নেশায় আসক্ত – পর্ব ১৬

0
518

#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:16
#Suraiya_Aayat

আরিশ আর আরূ দুজনেই একসঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে ওখানে সময় কাটালো ৷ আরুশি নোনা জল আর বালিতে মাখামাখি হয়েগেছে , কিন্তু আজ যেন ও সেখান থেকে হোটেলে ফিরে যাবে না বলে প্ল্যান করেছে , আরিশের এখন ঠিক তেমনটাই মনে হচ্ছে ৷

আরিশ: আরুপাখি অনেক হয়েছে,এখন আর ভিজতে হবে না চলো আমরা ফিরে যাই ৷

আরু: প্লিজ আরেকটু থাকি না !আমার খুব ভালো লাগছে , আপনিও থাকুন, কত ইনজয় হচ্ছে বলুন তো৷

আরিশ: আর এক মিনিটও নয় , আমরা এক্ষুনি হোটেলে ফিরে যাব ৷

আরু জলের মধ্যে বসে আছে আর উঠবে না বলেই ঠিক করেছে ৷

আরিশ: আরূপাখি ওঠো ৷

আরুশি গাল ফুলিয়ে: আমি উঠবো না ৷

আরিশ : তুমি শিওর উঠবে না!

আরোশী: হ্যাঁ উঠব না, আমি আরো কিছুক্ষণ থাকবো ভললাম না আমার খুব ভালো লাগছে এখানে ৷

আরোশীর কোনরকম উঠার প্ল্যান না দেখে আরিশ আরুকে এইবার কোলে তুলে নিল, নিয়ে হাটা দিল হোটেলের দিকে ৷

আরুশি আরিসের কোল থেকে নামার জন্য ছটফট করছে , আরু জোরে জোরে চেঁচাচ্ছে৷

আরু:আমাকে প্লিজ ছাড়ুন আমি ওখানে যাব, দেখুন সবাই কত মজা করছে ৷

আরিশ: একদম না আরুপাখি , এরকম পাগলামো করছো কেন ?আমরা আবার বিকালে আসবো তো!

আরিশ আর আরুর কান্ড দেখে সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে আছে আর মাঝে মাঝে কেউ কেউ আবার ওদের দেখে মুচকি মুচকি হাসছে ৷

আরূশি :দেখুন সবাই আমাদের দিকে কেমনভাবে তাকিয়ে আছে আর দেখে কিভাবে হাসছে ৷প্লিজ আমাকে নামান ৷

আরিস :কে কি ভাববে আই ডোন্ট কেয়ার…..

|
|❤
|

এদিকে,,,,,

আরাভ: দেখুন আঙ্কেল আন্টি আমি জানিনা আমি এখন যে কথাটা বলব আপনারা তাতে সম্মতি প্রকাশ করবেন কিনা, তবুও এটা আপনাদেরকে জানানো আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে ,বাকিটুকু আপনাদের ওপর ,আপনারা কি করবেন ৷ আপনাদের মতের অমতে আমি কোন কিছুই করবো না ৷

আফজাল সাহেব :কি বলবে আরাভ বাবা ?আমরাও তো শোনার জন্য অপেক্ষা করে আছি আর তাছাড়া তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিমান একটা ছেলে,আর অ্যাডাল্ট একজন , আশা করি ঠিক ভুল বিবেচনা করার ক্ষমতা তোমার আছে তাই আমি মনে করি তুমি যা সিদ্ধান্ত নেবে ভুল কিছু নেবেনা ৷

আরিশের মা: বলো কি বলছিলে তুমি বাবা ৷

আরাভ: দেখুন আমি বেশি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে একদমই পছন্দ করিনা তাই সোজাসাপ্টা এই কথাটা বলতে চাই যে আমি সানা কে বিয়ে করতে চাই৷

আরাভের মুখ থেকে কথাটা শুনে আফজাল সাহেব আর কনিকা খান দুজন পরস্পরের দিকে তাকালেন তারপরে হেসে ফেললেন দুজনেই ৷ ওনাদের হাসতে দেখে আরাভ একটু চমকে গেল , মনে মনে ভাবতে লাগল তাহলে তারা কি ওকে ভুল বুঝল ?

আফজাল সাহেব উঠে আরাভ কে জরিয়ে ধরল তারপর বললেন : আমি জানতাম তুমি এরকম একটা কিছু বলবে , আর তোমার হাতে আমার মেয়েটাকে দিয়ে আমি নিশ্চিন্ত থাকব সেটা আর বলতে বাকি রাখেনা ৷

আরিসের মা :তোমার আংকেলকে আমি এর আগে কথাটা একবার বলেছিলাম কিন্তু উনি তখন বলেছিলেন তুমি হয়তো রাজি হবে না সেই কারণে আর বলে উঠেনি ৷ কিন্তু এখন তুমি যখন বলেছ কথাটা দুই পরিবারের সম্মতি নিয়ে এগোতেই পারি৷

আফজাল সাহেব: আমাদের তরফ থেকে কোন অমত নেই আর আশাকরি আরিস বা আরু মামনির ও থাকবে না ৷তাহলে আর দেরি করে লাভ কি পাঠিয়ে দাও তোমার বাবা-মাকে আমাদের বাড়িতে ৷

আরাভ: আচ্ছা আঙ্কেল, তবে যতদিন না আরিশ আর ভাবী ফিরছে ততদিন কোন কাজই হবে না, আমি ওদের ছাড়া কিছু করতে চাই না ৷

আফজাল সাহেব : সে তো অবশ্যই , তবে সানার এই বিয়েতে মত আছে কি তাও তো আমাদেরকে জানতে হবে তাইনা, না হলে মেয়েটার সাথে খারাপ হবে ৷

আরাভ: আমি ওকে মানিয়ে নেব আন্কেল ,আপনি চিন্তা করবেন না বলে আরও টুকটাক কিছু কথা বলে বেরিয়ে গেল আরাভ ৷

আফজাল সাহেব আর আরিশের মা দুজনেই এখন বেশ নিশ্চিন্ত ৷

আফজাল সাহেব : আরূ মামনি আসতেই আরিশের জীবনটা কেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে, আর আমার ছেলেটার মধ্যে ও অনেক পরিবর্তন এসেছে, এবার মেয়েটার দায়িত্ব আরাভ নিলে তাহলে তো আমি চিন্তা মুক্ত….

|
|❤
|

লাঞ্চ করে এসে আরূ আর একমূহূর্তও দেরী করেনি ঘুমাতে কারণ আরিশ আরুকে বলেছে ও যদি না ঘুমায় তো বিকালে ঘুরতে নিয়ে যাবে না , সেই ভয়ে ভয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছে আরুশি ৷

ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে আরিশ আর উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ দেখতে ব্যাস্ত ৷ হাতের জ্বলন্ত সিগারেটটা মাঝে মাঝে টেনে ধোঁয়া উড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে আর চারিদিকে কর্কশ একটা গন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে৷

সিগারেটের ধোঁয়া আরুর নাকে পৌঁছতেই আরূ ঘুমের মধ্যে থেকেই কাঁশতে শুরু করল,,,, আরিশ পিছন ফিরে একবার বাঁকা একটা হাসি দিল তারপর আবার আগের মতোই তাকালো সমুদ্রের দিকে ৷

টেবিলের উপরে থাকা মোবাইল ফোনটা বেজে উঠতেই রুমে গেল, গিয়ে আরুশির থুতনিতে থাকা তিলটার দিকে প্রথমে নজর যেতেই আলতো করে তিলটা স্পর্শ করে ফোনটা নিয়ে ব্যালকনিতে গেল ৷

অচেনা : স্যার আপনি যা যা করতে বলেছিলেন তাই তাই করেছি ৷

আরিশ: ওনাকে পেয়েছো?

অচেনা : উনি যেখানে থাকেন সেখানকার এড্রেসটা আমরা জানতে পেরেছি তবে এখন উনি আগের জায়গায় থাকেন না , সেখান থেকে অন্য জায়গায় চলে এসেছিলেন এটা জানতে পারলাম ৷

আরিশ: ইমিডিয়েট কাজটা করো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয় ৷ ওনার ঠিকানাটা কোথায়?

অচেনা : স্যার ওনার বাসা হল সিলেটে , কিন্তু বহু বছর আগে উনি ধানমন্ডিতে থাকতেন তারপর ওখান থেকেই সিলেটে চলে আসেন ৷

আরিশ: ওকে , পুরোটা খোঁজখবর নিয়ে আমাকে জানাবে….

সিগারেটটা আরেকবার টান দিয়ে বাইরে ফেলে দিল আরিস ৷ এতদিন শুধু শুনেছে যে সিগারেট নাকি একটা পুরুষের ব্যথা নির্মূল করতে অনেকটা কার্যকরী একটা উপাদান কিন্তু তা আজকে কতটা কার্যকর সেটা ও বুঝতে পারছে ৷ এক প্রকার ব্যথা আছে ওর বুকে,ভালোবাসার মানুষটাকে না পাওয়ার কষ্ট, আরুশির ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় কষ্ট ৷ আরিশ এগুলো ভেবেই কষ্ট পাচ্ছিল যে কবে সেই দিন আসবে যেদিন আরূশি ভালোবেসে ওকে গ্রহণ করে নেবে, আর সেদিনের অপেক্ষায়ই আছে আরিশ ৷

|
|❤
|

বিচের ধার দিয়ে হেঁটে চলেছে আরূ আর আরিশ ৷ আর কিছুক্ষণ পরেই সূর্য অস্ত যাবে ৷ বিচের ধারে মানুষজনের কোলাহলে পূর্ণ, সকলেই তাদের ভালোবাসার মানুষ এবং পরিবারের সঙ্গে একান্তে ভালো সময় কাটানোর জন্য এখানে এসেছেন….

দুজনে পাশাপাশি হেঁটে চলেছে তবে আজকে আরিশ নিস্তব্ধ , আর তার সঙ্গে আরূ ও ৷ আরশিকে আজকে দেখে খুবই অবাক লাগছে আরুর ৷ কারন ও যেই আরিশকে চেনে সেই আরিশ আর এখনকার আরিশের মধ্যে হাজারো তফাৎ ৷ এই আরিশকে দেখলে কেউ কখনোই বলবে না যে ইনি হলেন সেই মানুষ যিনি আরূশির উপর রাগ ,অভিমান ,ভালোবাসা সমস্ত কিছুই দেখায় ৷ এই সমস্ত কথাগুলো আরুশি ভাবছে আর ভাবার চেষ্টা করছে যে এমন কি হলো যার জন্য আরিশের এমন নিস্তব্ধতা৷ সকালে তো বেশ ভালই ছিল তাহলে কি দুপুরে কিছু হয়েছে তার জন্য আরিশের মুডটা অফ ৷

আরোশী না পেরে বলে উঠলো : আপনার কি কোন কারনে মুড অফ ?

আরিশ সামনের দিকে শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল: নাহহহ ৷

আরুশি: ওহহ ৷

তারপর দুজনের মধ্যে আবার নীরবতা ৷ অন্যদিনের আরিশ আর এখনকার আরিশ এর মধ্যে কোন মিল খুজে পাচ্ছে না আরুশি , ও একটু না হলেও অনেকটাঔই পুরানো আরিশটাকে বড্ড মিস করছে, যে বারবার ওর উপর অধিকার ফলাত আরুশির না চাইতেও ৷ আরূশির এখন কেন জানিনা খুব ইচ্ছা হচ্ছে আরিশের উপর অধিকার ফলানোর ৷

আরোশী হঠাৎ জোরে চেঁচিয়ে : ওই দেখুন না ওখানে কত সুন্দর সুন্দর জুয়েলারি বিক্রি হচ্ছে আমিও কিনবো৷

আরিশ : আমি কি বারণ করেছি তোমাকে ৷

আরুশি: না তা করেননি তবে আপনি চয়েজ করে দেবেন বলে আরূ আরিশকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওর হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেল….

সেখানে গিয়ে আরুশি ইচ্ছা করেই নিজে কিছু পছন্দ করছে না বারবার আরিসের সামনে এটা-ওটা ধরছে, আর যেটাই ধরেছে আরিশ সেটাতেই মাথা নাড়াচ্ছে,ওর মনোযোগ যে কেন অন্যকিছুতে সেটাই বুঝতে পারছি না আরূ….

শেষমেষ আরিশের এরকম ব্যবহার দেখে আরূশির রাগ হলো আর তার সাথে একটু খারাপও লাগলো , রাগ করে জুয়েলারি গুলো আর কিনল না আরূ….
কিছুক্ষণ বিচের ধারে কাটিয়ে সন্ধ্যা হতেই ওরা হোটেলে ফিরে গেল ৷

|
|❤
|

রাত 10:30 ,,,,,,

ডিনার করে এসে ওরা অনেকক্ষণ আগেই হোটেলে ফিরে এসেছে, আরুশি ঘরের মধ্যে থাকলেও আরিশ ব্যালকনিতেই ছিল এতোক্ষণ ধরে…..
আরুশি না পেরে আরিশের কাছে গিয়ে আরিসের পাশে দাঁড়ালো তারপর নির্লিপ্ত ভাবে আরিশের কাছে আবদার করল…..

আরূ: চলুন না এখন একটু বিচের ধারে যাই ,আমার এখন যেতে ইচ্ছা করছে ৷

আরিশ অবাক চোখে আরুশির দিকে তাকিয়ে, তারপরে শান্ত দৃষ্টিতেই বলল : অনেক রাত হয়েছে আরুপাখি, ঘুমিয়ে পড়ো ৷

আরু: আমি যখন একবার বলেছি যাবো তখন যাব, আপনি না যেতে চাইলে বলেন আমি একা একাই যাচ্ছি ৷(ইচ্ছা করে কথাটা বলল যেন আরিশ ওকে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় ৷)

আরিশ : পাগলামো করো না আরুপাখি, ঘুমিয়ে পড়ো৷

আরূ: ও বুঝতে পেরেছি আপনি নিয়ে যাবেন না তাই তো ! আচ্ছা আমি একাই যাচ্ছি , বলে বেরিয়ে যেতে গেলেই আরিশ আরুশির হাত ধরে ফেলল ৷

আরিশ : এ হাত যখন একবার ধরেছি তখন কখনো একা ছাড়বো না বলেও আরিশ ও আরুর সাথে সি বিচের ধারে গেল ৷

জোছনা রাত ৷ চারিদিকে জনমানব শূন্য ৷ আকাশের উজ্জ্বল চাঁদও যেন দীর্ঘ বছর ধরে প্রতীক্ষারত৷
জলের মাঝখানে দুজন দুজনের হাতেটা ধরে রেখে দাঁড়িয়ে আছে, চাঁদের উজ্জলতা সারা শরীরে মাখামাখি….
নীরবতা কাটিয়ে আরিশ বলে উঠলো: একটা কবিতা শুনবে আরূপাখি?

আরুশি সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে : বলুন ৷

আরুশি (মনে মনে): আমি তো আপনার কথা শোনার জন্যই , অপেক্ষায় রত৷

আরিশ:

একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল,
কতো হুলুস্থূল অনটন আজম্ন ভেতরে আমার ৷

তুমি ডাক দিলে
নষ্ঠ কষ্ঠ সব নিমেষেই ঝেড়ে মুছে
শব্দের অধিক দ্রুত গতিতে পৌঁছাব
পরিণত প্রণয়ের উৎসমূল ছোঁব
পথে এতটুকুও দেরী করবোনা ৷

তুমি ডাক দিলে
সীমাহীন খাঁ খাঁ নিয়ে মরুদ্দ্যান হব,
তুমি রাজি হলে
যুগল আহলাদে এক মনোরম আশ্রম বানাবো৷

একবার আমন্ত্রণ পেলে
সব কিছু ফেলে
তোমার উদ্দেশে দেবো উজাড় উড়াল,
অভয়ারণ্য হবে কথা দিলে
লোকালয়ে থাকবো না আর
আমরন পাখি হয়ে যাব,– খাবো মৌনতা তোমার ৷

কবিতাটা শেষ হতেই আরিশ এর চোখের কোনে জল জমে এল ৷

এরপর আরুশি আরিশের দিকে ফিরে আরিসের কাধের উপর নিজের হাত দুটোকে রেখে পা দুটোকে সামান্য উঁচু করে আরিশের ঠোঁট দুটোকে স্পর্শ করল৷ আরিশ হয়ত এই মুহূর্তে আরুশির থেকে এতটাও ভালোবাসা আশা করেনি, পরম আবেশে আরুশিকে নিজের সঙ্গে আরও জড়িয়ে ধরল আরিশ ৷

আরোশী আরিশের থেকে অনেকটাই বেটে ৷নিজের মাথাটাকে আরিশের বুকে ঠেকাতে পারলেও আরিশ এর ঠোটদুটোকে স্পর্শ করা ওর পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয় তাই একটু ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এতোটুকু করেছে আরুশি ৷ সমুদ্রের জল গুলোও পরম আবেশে ভালবাসার দুটি মানুষকে ক্রমাগত ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে ৷

আরোশী আরিশকে ছেড়ে বলল: আপনার কবিতার কাতরোক্তি আমার হৃদয় স্পর্শী….
আমি যদি আপনাকে আহবান জানাই এ রাতে আমাকে একান্তই নিজের করে পাওয়ার আপনি কি আমাকে ফিরিয়ে দেবেন ? একটু ভালবাসবেন আমায় ? মুড়িয়ে নেবেন কি আমাকে আপনার ভালোবাসার চাদরে ৷

আরিশ যেন এবার অবাক এর চূড়ান্ত পর্যায়ে , আরুশির থেকে এত কিছু এত তাড়াতাড়ি আশা করে নি ও ৷ তাহলে কি ওর ভালোবাসা আরূর হৃদয়কে স্পর্শ করতে পেরেছে!

আরিশ : দেখো আরুপাখি তুমি হয়তো আবেগের বশে সমস্তটা বলছ ৷ যেদিন ভালোবেসে একান্তে আমাকে গ্রহণ করবে সেদিন তোমাকে আমি ফিরিয়ে দেব না৷

আরু: এটা আবেগ নাকি ভালোবাসা সেটা আমি জানি না তবে আমি খুব অদ্ভুত এক অনুভূতিতে জর্জরিত ৷

আরুশি: বলুন ভালোবাসবেন না আমায়!

আরিশ: ভালোবেসেই নিজের সাথে জড়িয়ে রাখতে চেয়েছি তোমায় , তো কি করে আমি তোমাকে ফিরিয়ে দেব তা আমার জানা নেই ৷

আরিশ এবার আরুশিকে কোলে তুলে নিয়ে হোটেলের দিকে এগিয় গেল ৷

চলবে,,,,,,

পরেরদিন ভালোবাসার part 😏ওরে বাবা টুরু লাভ😏 ৷
ওদের এত ভালোবাসা কোথা থেকে আসে বাপু😒৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here