তুমি হাতটা শুধু ধরো – পর্ব ৪৩

0
739

#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ৪৩
#Jhorna_Islam

কয়েকদিন যাবত সোহার শরীর টা ভালো যাচ্ছে না। কেমন যেনো দূর্বল লাগে।পুরো শরীর ব্যাথা ব্যাথা হয়ে আছে। খেতে ইচ্ছে করে না একদম।অবশ্য কাউকে কিছু বলেনি।ভাবছে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু আজ একটু বেশিই খারাপ লাগছে।মাথা ও কি রকম ঘুরাচেছ।

আজ ভেবেছিলো নোহার সাথে যাবে।বোনের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন।তার বোন নিজে থেকে কিছু করবে।এটাতো সে অনেক আগে থেকেই চাইতো।তাইতো বোনের পাশে থাকতে চেয়েছিলো।

চুপচাপ শুয়ে আছে সোহা।উঠার মতো শক্তি পাচ্ছে না। সারাদিন শুধু ঘুমেই ধরে।বুঝে পায় না এতো ঘুম কই থেকে আসে।ঘুমের ঔষধ খেলেও মনে হয় এতো ভালো ঘুম হবে না।এসব ভাবনার মাঝে নোহার ডাক শুনতে পায়। ওকেই ডাকছে।দায়ান অফিসে চলে গেছে সকাল সকাল।

— এর মধ্যে নোহা রুমে ঢুকে। কিরে বোন শুয়ে আছিস যে? তৈরি ও দেখি হস নি।রুশ সাহেব তো নিচে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। বলেছিলাম উপরে আসতে এখন নাকি আসবেন না।যা উঠ তৈরি হো তারাতাড়ি।

— আপু আমার শরীরটা ভালো লাগছে না।তুই বরং রুশ ভাইয়ার সাথে চলে যা।

— কি হয়েছে তর, শরীর খারাপ আগে বলিস নি কেনো? বলেই কপালে হাত দেয়।কই জ্বর তো নেই।

— আরে আপু ব্যস্ত হতে হবে না।এমনিতেই ভালো লাগছে না। শরীরটা জাস্ট দূর্বল লাগছে আর কিছু না।

— ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া না করায় তোর এই অবস্থা। তাহলে আমি রুশ সাহেবকে বলে দিচ্ছি আমরা যাবো না।তুই সুস্থ হলেই যাবো।

— না না।তুই যা আমি একা থাকতে পারবো।আর আমার এতোটাও শরীর খারাপ হয় নি।

— কিন্তু,,,,,,,,

— কোনো কিন্তু না তুই যা।আর উনি আজ তারাতাড়ি ই এসে পরবে।মিটিং টা শেষ হলেই।চিন্তা করিস না আপু তুই যা।

— হুম যাচ্ছি। তুই নিজের খেয়াল রাখিস।কোনো অসুবিধা হলে আমাকে ফোন দিবি।

— ওকে যা।আর অল দা বেস্ট আপু।

থ্যাংকস সো’না।

—————————————-
নোহাকে একটি এনজিও সংস্থায় নিয়ে আসে রুশ।এইখানে নোহা কিছুদিন নানা ধরনের হস্ত শিল্প তৈরি করার জন্য ট্রেনিং নিবে।তারপর উনারাই কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিবে।

রুশ আর নোহা গাড়িতে বসে টুকটাক কথা বলতে বলতেই এনজিও সংস্থা তে এসে পৌছায়।

তারপর এখানকার হে’ড অফিসারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ট্রেনিং নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়।আজ আঠাশ তারিখ তাই এক তারিখ থেকে জয়েন হতে পারবে।সকল প্রকার ফর্মালিটি পূরণ করে রুশ আর নোহা অফিস রুম থেকে বের হয়ে আসে।

মাঠে বসে বিভিন্ন বয়সের মেয়েরা কাজ করছে। এসবই ঘুরে ঘুরে দেখছে নোহা।রুশ হাটছে আর নোহার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে। মেয়েটার মাঝে কি আছে বুঝে পায় না।এই যে সাধারণ একটা থ্রি -পিছে কি সুন্দর লাগছে। এই সবুজ কালারটা শরীরের সাথে কি সুন্দর দেখা যাচ্ছে। কোনো সাজ নাই তবুও যেনো চোখ ফেরানো দায়।

নোহা কথা বলছে রুশের সাথে রুশের কোনো পাত্তাই নেই।সে একমনে নোহাকে দেখছে। নোহা রুশের চাহনিতে কিছু টা অপ্রস্তুত হয়ে যায়। তাই রুশের মুখের সামনে তু’ড়ি বাজায়।

এতে রুশের ধ্যান আসে।অন্য দিকে চোখ ঘুরিয়ে নেয়।

নোহা রুশের দিকে তাকিয়ে বলে,, রুশ সাহেব আপনার সাথে কিছু কথা আছে।গাড়ির পাশে চলুন।

বলেই গাড়ির কাছে চলে যায়।

রুশ ও নোহা কি বলবে ভাবতে ভাবতেই গাড়ির পাশে গিয়ে হেলান দিয়ে দাড়ায় গাড়িতে।

মেয়েরা কে তাদের দিকে কোন নজরে তাকায়,তা কিন্তু খুব ভালো করেই বুঝতে পারে।

রুশ নোহার কথায় কিছু টা হকচকায়।

নোহা আবার বলতে শুরু করে,,,, ঐদিন কিন্তু আপনি আমার জন্যই পুরি-সিঙারা গুলো নিয়ে গিয়েছিলেন।কারণ আপনি জানতেন আমার অনেক পছন্দের খাবার ঐগুলো।

আর এই যে এনজিওর খোঁজ বা এই কাজের কথা আপনিই দায়ান কে বলেছেন তাই না? কারণ আমার এই স্বপ্নের কথা কেউ জানতো না।কেউ না মানে কেউ না। এমনকি সোহা ও না।

আ-আসলে নোহা হয়েছে কি,,,,,

আপনাকে বলতে হবে না। আমিই বলি।আপনি কি করে আমার পছন্দের কথা জানতে পেরেছেন।

আমার ডায়েরিটা আমাকে ফেরত দিয়ে দিলে খুব খুশি হবো রুশ সাহেব।আপনি ঐদিন আমার রুম থেকে আমার ডায়েরি টা নিয়ে এসেছিলেন তা আমি খুব ভালো করেই জানি। হাসপাতাল থেকে বাসায় এসে যখন নিজের রুমে গিয়েছিলাম,,তখন বইয়ের তা’কের উপর আমার ডায়রিটা পাইনি।

অনেক খুঁজেছি।কাউকে বলতেও পারছিলাম না। আমার রুমের জিনিস সাধারণত কেউ ধরে না।আর আমার বই পত্র গুলোতো একদম না।শুধু মাঝে মাঝে গিয়ে মা পরিষ্কার করে দেয়।

ডায়রিটা আমার বিয়ের আগের।তখন কি পছন্দ কি করতে ভালোবাসি সব লিখে রাখতাম।আমি নানা ধরনের হাতের জিনিস তৈরি করতে পারি।ভেবেছিলাম ভবিষ্যতে এসব নিয়েই কিছু করবো।আর এই ব্যাপারে কাউকে কিছুই বলিনি।ডায়েরি তে লিখে রেখেছিলাম।

বিয়ের পর আর ডায়েরি লিখা হয়ে উঠে নি।তাই ওটা ওখানে যত্ন সহকারে রেখে দিয়েছিলাম।ওটা যখন খুঁজে পাচ্ছিলাম না তখনই শুনি আপনি আমার রুমে ছিলেন।কিছুটা সন্দেহ হয়। কারণ কেউ নিবে না বাড়ির এটা আমি জানি।আপনি যে নিয়েছেন তবুও শিওর ছিলাম না।তাই চুপ ছিলাম।ঐদিন যখন আপনি খাবার গুলো নিয়ে গেলেন তখনই আমি শিওর হয়ে গিয়েছিলাম আমার ডায়েরি টা আপনার কাছে।

“আপনার চোখের ভাষা কিন্তু কিছুটা হলেও আমার বোঝার ক্ষমতা আছে রুশ সাহেব”।

রুশ নোহার কথাগুলো শুনে কিছুসময় চুপ করে থাকে হয়তো কি বলবে মনে মনে গুছাচেছ।

হ্যা আপনার ডায়েরি টা আমার কাছেই।ঐদিন যখন দেখেছিলাম সাথে করে নিয়ে এসেছি। আর আপনার ডায়েরি পরেই এতোসব করেছি। আপনার স্বপ্ন গুলো পূরণ করার চেষ্টা করছি।সব যখন জেনেই গেছেন এখন কিছু লোকানোর নেই।আমি সোজাসাপটা বলছি,,,,,,,

” আমি আপনাকে ভালোবাসি।হ্যা খুব ভালোবাসি।ঐদিন যখন আপনি হাসপাতালে সোহার সাথে কথা বলে হাসতে ছিলেন।বিশ্বাস করেন ঐসময় থেকে আমার সব উলট পালট হয়ে গেছে।আটকে গেছি আপনার হাসিতে।আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। আর আমি চাই ও না ফিরতে।”

আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি নোহা।আপনার সাথে থাকতে চাই।আপনি কি আমায় বিয়ে করবেন?

নোহা রুশের কথায় স্তব্ধ হয়ে গেছে। বলেকি লোকটা একেবারে বিয়ের প্রস্তাব?

আপনার মাথা কি ঠিক আছে রুশ সাহেব? আপনি জানেন কি বলছেন? এসব কোনোদিন ও সম্ভব না।আমি আর আমার লাইফে কাউকে জড়াতে চাই না। আমার সংসার করার শখ মিটে গেছে। আর আপনি এটা কি করে বলতে পারেন? আমার সব কথা জেনেও।

আমার আপনার অতীত নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।আমি সব জেনেই আপনাকে ভালোবেসেছি নোহা।আর ওমির মতো সবাই যে খারাপ হবে তা কিন্তু নয়।হাতের পাঁচ আঙুল কিন্তু সমান না।সবারই উচিত লাইফকে দ্বিতীয় বার একটা সুযোগ দেওয়া।

আমার মতো ডিভোর্সি মেয়ের পিছনে কেনো পরে আছেন রুশ সাহেব? এটা আপনার আবেগ ভালোবাসা না।আর আপনার বাবা মা ও এ সম্পর্ক কোনোদিন মেনে নিবেন না।

আমি এখন কিশোর বয়সের ছেলে না নোহা যে আমার ভালোবাসা কে আবেগ বলে চালিয়ে দিবেন।আর আমার বাবা মা কে নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।।সেটা আমি সা’মলে নিবো।আপনি জাস্ট রাজি হয়ে যান।

নাহ্ কখনো না।আপনি আমার পিছনে পরে সময় নষ্ট করবেন না।অন্য কোথাও ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে সুখে থাকুন।

বিয়ে করলেতো আপনাকেই করবো নোহা।যতদিন পর্যন্ত আপনি রাজি না হবেন ততোদিনে পিছু ছাড়ছিনা আপনার।দেখি আমার থেকে কতোদিন মুখ ফিরিয়ে থাকেন।

শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে আপনার।বলেই নোহা গাড়িতে উঠে গিয়ে বসে।

রুশ বলে সে দেখা যাবে।আর আমরা এখন বাড়ি যাচ্ছি এমন। দুপুরের লাঞ্চটা একসাথে করবো।

আরে,,,,,,,

আপনার কোনো কথা শুনছিনা।
——————————–
দায়ান মিটিং শেষ করেই অফিস থেকে বের হয়ে গেছে।দরজার সামনে এসে কলিং বেল বাজায়।নোহা যাওয়ার আগে বলে গিয়েছে যে সোহা যায়নি।ওর নাকি ভালো লাগছে না তাই।

সোহা মাত্রই ব’মি করে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় শুয়েছে।এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠে। তাই অনেক কষ্টে উঠে যায়।উফফ এতো দূর্বল লাগছে কেন ভেবে পায় না।দরজাটা খোলার শক্তি ও যেনো পাচ্ছে না। কাঁপা কাঁপা হাতে দরজা খুলে দেয়।
দায়ানকে দরজার ঐ পাশে দেখে দূর্বল শরীরে মুচকি হাসে।

দায়ান সোহার দিকে তাকায়,, মুখটা কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। এই তোমায় এমন দেখা যাচ্ছে কেনো।সকালেও তো এমন দেখা যায়নি।দুই হাতে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,,জা’ন তুমি ঠিক আছো?

হু চিন্তা করবেন না।গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন।দায়ান সম্মতি জানিয়ে সোহাকে নিয়ে রুমে চলে যায়। সোহাকে বিছানায় বসিয়ে তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসে।

আপনি বসেন আমি এখানেই আপনার খাবার নিয়ে আসছি।

একদম না তুমি চুপচাপ বসে থাকো আমি খাবার আনছি।আজ আমি নিজের হাতে তোমায় খাইয়ে দিবো।এতোদিন কাজের চাপে তোমার দিকে খেয়াল দিতে পারিনি।এজন্য শরীরের কি অবস্থা করেছো।কাল তোমায় নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবো।তারপর দায়ান খাবার আনতে চলে যায়।

কিছু সময়ের মাঝেই খাবার নিয়ে রুমে আসে।সোহার পাশে বসে সোহার মুখে খাবার ধরে।

আমি খাবো না এখন আপনি খান।দায়ান চোখ রাঙিয়ে সোহার দিকে তাকায়। সোহা কোনো উপায় না পেয়ে মুখে নেয়।দুই লোকমা খেয়েই ভিতর থেকে সব উল্টে আসছে।দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে,, বে’সিনের সামনে গিয়ে ব’মি করে দেয়।
দায়ান তারাতাড়ি গিয়ে সোহাকে আগলে ধরে। কি হয়েছে বলোতো?

সোহা ব’মি করে ক্লান্ত হয়ে দায়ানের উপর সব ভর ছেড়ে দেয়।দায়ান সোহার মুখটা মুছিয়ে দেয়। কি হয়েছে কলিজা তোমার শরীরতো অনেক খারাপ।তোমার শরীরেতো এক বিন্দুও শক্তি নেই। খুব খারাপ লাগছে জা’ন? সোহা দূর্বল শরীরে দায়ানের দিকে তাকিয়ে উপর নিচ মাথা নাড়ায় যে তার খারাপ লাগছে।দায়ান সোহার কপালে চুমু খেয়ে বলে চলো এখনই ডাক্তারের কাছে যাবো।

রুমে এসে সোহাকে বসিয়ে দিয়ে বলে,,তুমি একটু বসো।আমি খাবারের প্লেটটা রেখে এসেই তৈরি হয়ে নিচ্ছি।

দায়ান বেরিয়ে যেতেই সোহা উঠে দাঁড়ায় তৈরি হওয়ার জন্য। কিন্তু দুই কদম এগোতেই মাথা ঘুরে পরে যায়। ওখানেই জ্ঞান হারায়।

দায়ান রুমে এসে সোহাকে নিচে পরে থাকতে দেখে দৌড়ে সোহার কাছে যায়। হাঁটু গেড়ে বসে সোহার মাথাটা কোলে তুলে নেয়। জা’ন এই জা’ন কি হয়েছে? চোখ খুলো কলিজা।এইই এখানে পরলা কিভাবে।সোহার এই অবস্থা দেখে দায়ান কি করবে ভেবে পায় না।নোহা ও বাড়িতে নেই।

এই পা’গলি চোখ খোলো দেখো আমি ডাকছিতো।আর এক মুহূর্ত ও দেরি করে না দায়ান।তারাতাড়ি সোহাকে কোলে নিয়ে গাড়িতে করে হাসপাতালে ছোটে।সোহাকে ক্যাবিনে নেওয়া হয় চে’ক আপ করানোর জন্য। দায়ান বাইরে পাইচারি করছে।পরনে টাওজার আর টি-শার্ট। বাড়ির পোশাক পরেই এসে পরেছে।এসবের দিকে তার খেয়াল কই? এই দিকে তার জা’ন অসুস্থ হয়ে পরে আছে।

প্রায় অনেকসময় পর ডাক্তার ক্যাবিন থেকে বেরিয়ে আসে। দায়ান ছুটে ডাক্তারের কাছে যায়।ডক্টর আ-আমার ওয়াইফ? ওও ঠিক আছে তো, কিছু হয়নিতো?

রিলেক্স মি. শেখ।ভয়ের কিছু নেই কংগ্রে’চুলে’শন আপনি বাবা হতে চলেছেন। আপনার ওয়াইফ প্রেগন্যান্ট। আশ্চর্য উনি এতো সি’ম’টম দেখেও বুঝতে পারলেন না? সে যাই হোক মিষ্টি খাওয়াতে ভুলবেন না যেনো।আর আপনার ওয়াইফের ভালো করে খেয়াল রাখবেন।উনার শরীর অনেক উইক।বেশি বেশি খাওয়াবেন আর যত্ন নিবেন।বলেই ডাক্তার দায়ানের কাধে হাত চাপড়ে চলে যায়।

দায়ান আস্তে আস্তে করে ক্যাবিনের ভিতর ঢুকে।সোহা শুয়ে আছে।দায়ান গিয়ে দৌড়ে সোহাকে ঝাপটে ধরে। সোহা চোখ তুলে তাকায়। দায়ান সোহার সারা মুখে চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে।তারপর গলায় মুখ গুঁজে জোরে জোরে নিশ্বাস নেয়। সোহা দায়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। কি হয়েছে? আমি ঠিক আছি তো।

আমি ঠিক নেই জা’ন আমি ঠিক নেই।আমি একদম ঠিক নেই।আমি এতো খুশি কই রাখবো জা’ন? আমারতো খুশিতে পা’গল পা’গল লাগছে নিজেকে।বলেই সোহার পেটের কাছে গিয়ে,,পেটে চুমু খেতে থাকে।

উফফ আমিতো ভাবতেই পারতেছিনা জা’ন আমি-আমি বাবা হবো।আমার পরিবারে কেউ আসতে চলেছে।

সোহা দায়ানের দিকে অবাক হয়ে তাকায়।

দায়ান চোখের ইশারায় বোঝায় যে সত্যি। সোহার চোখেও পানি চলে আসে।

দায়ান সোহার কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে বলে,,,,এতো সুখ সুখ লাগছে কেনোরে জা’ন সব কিছু?

#চলবে,,,,,,,,

❝ সবাই মিষ্টি মুখ করে যাও।❞

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here