তুমি হাতটা শুধু ধরো – পর্ব ১৮

0
788

#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ১৮
#Jhorna_Islam

দায়ান লোকজনের ভি’ড় ঠেলে ঐ ছেলের পাশে গিয়ে ঠা’স করে একটা চ’ড় মেরে দেয়।

ছেলেটার বয়স ১৬-১৭ হবে হ্যাংলা পা’তলা গায়ের গড়’ন।দায়ানের এক চ’ড়েই ছেলেটার জা’ন যায় যায় অবস্থা।

দিনে-দুপুরে এতো লোক সমাগমের মাঝে চু’রি করার সাহস দেখাস? তাও যে সেই জায়গায় না এতে বড় একটা হাসপাতালের সামনে।

ছেলেটা চুপচাপ কাদু কাদু মুখ করে সবার দিকে তাকিয়ে মাথাটা নিচু করে নেয়।

দায়ান ছেলেটার মুখ একহাত দিয়ে চে’পে ধরে বলে,,,,তুই ব্যাগ নিলি মেনে নিলাম।তোকে আমি ছেড়ে দিতাম কিছু বলতাম না।

বাট,,,,বাট,,,বাট তুই চু’রি তো করলিই সাথে আরেকটা চু’রির থেকেও বড় অপরাধ করে ফেলছস।

দায়ান এবার চিল্লিয়ে বলে ওঠে,,, তুই কোন সাহসে ওর গায়ে হাত দিছস।ওরে তুই ধা’ক্কা কেনো মারলি?
তোর সাহস কি করে হয় ওরে আঘাত করার? যদি ওর কিছু হতো।শরীর একটা আ’চড় লাগতো তাহলে তরে আমি জ্যা’ন্ত পুঁ/তে ফেলতেও দুই বার ভাবতামনা।বলেই এলোপাতাড়ি কয়েকটা চ’ড় লাগিয়ে দেয় ছেলেটার গায়ে।

সোহা দায়ানের পিছন পিছনে এসে এতোসময় ভি’ড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলো।দায়ানের এই রুপ দেখে সোহা হা করে তাকিয়ে রইছে।
আমার জন্য এতোটা কন’সার্ন উনি? কি রকম রে’গে আছে লোকটা।আমাকে শুধু ধাক্কা দেওয়ায ছেলেটাকে এভাবে মারতেছে? যদি হাত পা কেটে যেতো তাহলেতো মনে হয় খু/ ন ই করে দিতো।ছেলেটার ভাগ্য ভালো বলতে হবে যে আমার হাত’পা কাটেনি।নয়তো কি যে করতো ছেলেটার সাথে আল্লাহ আর উনিই একমাত্র জানে।

আহারে ছেলেটার জন্য মায়া হচ্ছে। কেমন চি’কনা চা’কনা।মনে হচ্ছিলো কতোদিন ধরে খায় না।

ছেলেটাকে দায়ান আর কয়েকটা লাগাতে গেলেই,,,,,

পাশ থেকে কয়েকজন বলে উঠে ভাই ছেড়ে দেন।আপনাকে আর কিকি করতে হবে না। পুলিশ কে খবর দিয়েছি আমরা। পুলিশই যা করার করুক। শুধু শুধু আমাদের আর ঝামলা পাকিয়ে লাভ নাই।

দায়ান লোকগুলোর কথায় ছেলেটাকে ছেড়ে দেয়।পাবলিক প্লেস দেখে।নয়তো ছেলেটা কে বুঝিয়ে দিতো সে কি জিনিস।

সোহা আর ওখানে দাঁড়ায় নি।গাড়ির দিকে দৌড় লাগায়।দায়ান তাকে গাড়িতে উঠে বসে থাকতে বলেছিলো।আর সে তা না করে ভি’ড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলো। এমনিতেই রে’গে বো/ম হয়ে আছে। তারপর যদি দেখে সোহা তার কথা রাখেনি।ঐ ভি’ড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলো। তাহলে সোহা তুই শেষ।শুকনো ঢুক গিলে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে বসে পরে।

দায়ান ঐখানে আর দাড়ায় নি।যা করার পাবলিক ই করুক।এমনিতেই মাথা গরম হয়ে আছে।এখন যদি ছেলেটার সামনে থাকে তাহলে ছেলেটাকে আরো কয়েকটা লাগাতে ইচ্ছে করবে।তাই চুপচাপ সোহার ব্যাগটা হাতে নিয়ে ভি’ড় ঠেলে বেরিয়ে আসে। ধুপাধুপ পা ফেলে গাড়িতে এসে বসে পরে।

গাড়িতে এসে বসে মাথাটা সিটে এলিয়ে দেয়। চোখ বন্ধ করে বসে থাকে। রা’গ একটু ও কমেনি।আর কয়েকটা ছেলেটা কে লাগাতে পারলে শান্তি লাগতো।

সোহা দায়ানের দিকে তাকিয়ে আছে। দায়ান চোখ বন্ধ করে হাত মু’ষ্টিব’দ্ধ করে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে রাগ একটু ও কমেনি।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের রেখা।শার্ট টা ও ঘামে হালকা ভিজে আছে।

সোহা কি করবে ভেবে পায় না।শুকনে ঢোক গিলে,,, কাঁপা কাঁপা হাতে দায়ানের কাঁধে হাত রাখে।

জিভ দিয়ে ঠোঁটটা ভিজিয়ে নিয়ে বলে,,,,, এক-একটু পানি খেয়ে নিজেকে ঠান্ডা করুন।এতো রেগে থাকতে হবে না। আমি ঠিক আছি দেখেন।আমার কিছু হয়নিতো।

দায়ান এবার সোহার দিকে একবার,,নিজের কাছে রাখা সোহার হাতের দিকে তাকিয়ে রয়।কিছুসময়ের মধ্যেই সোহার হাত ধরে হেঁচকা টানে নিজের কাছে নিয়ে আসে।

সোহা দায়ানের হঠাৎ করে টানে নিজেকে সামলাতে পারে নি।হুড়মুড়িয়ে দায়ানের সন্নিকটে চলে আসে।

দুইজনের মধ্যে কয়েক ইঞ্চি ব্যবধান।

দায়ানের উ’ত্তপ্ত গরম নিশ্বাস সোহার চোখে মুখে এসে বারি খাচ্ছে। আবেশে সোহা চোখ বন্ধ করে নেয়।ইচ্ছে করতেছে দুই হাতে ঝাপটে ধরে বুকের ভিতর পুরে নিতে।আর বলতে আপনি শান্ত হোন।দেখেন আমার কিছু হয়নিতো।আমি একদম ফিট এন্ড ফাইন।সো এতো হাইপার হবেন না প্লিজ।

মনের ইচ্ছে মনেতেই রাখলো।সামনা সামনি প্রকাশ করা বা করার কোনোটারই সাহস সোহার কাছে নেই।তাই নিজেকে মনেই সামলে নিলো।

দায়ান এবার হিসহিসিয়ে বলে উঠে,,,, তুমি ঠিক আছো তা তো দেখতেই পাচ্ছি। যদি বাই এনি চান্স ঠিক না থাকতে তখন? তোমার যদি কিছু একটা হয়ে যেতো তখন কি হতো ডে’মে’ট?

আমার প্রতি এতো কনসার্ন আপনি? আপনি আমায় ভালোবেসে ফেলেন নি তো দায়ান?

এই প্রথম সোহা দায়ানের নাম নিজের মুখে নিলো।তাতে অবশ্য নিজেও কিছু টা অবাক হয়ে গেছে ।

দায়ানের কানে এখনো সোহার সেই একটা কথাই বার বার প্রতিদ্ধনিতো হচ্ছে। আপনি আমায় ভালোবেসে ফেলেন নি তো দায়ান?

দায়ান সোহার কথা শুনে যেমন আরো রেগে যায়।দুই হাতের বাধন শক্ত করে সোহার বাহু চেপে ধরে। আর র/ক্ত চক্ষু নিয়ে বলে,,,,
চুপ একদম চুপ।কিসের ভালোবাসা হ্যা? কিসের ভালোবাসা? ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই।সবই স্বার্থের খেলা বুঝলে? এই দুনিয়ায় শুধু টাকা পয়সা আর নিজ স্বার্থের খেলা চলে। নেক্সট টাইম তোমার মুখে ভালোবাসার কথা শুনতে চাই না আমি গট ইট?

সোহা ব্যাথাতুর দৃষ্টিতে দায়ানের দিকে তাকিয়ে বলে লাগছে আমার।ছাড়ুন না।

দায়ানের হুস আসে সোহাকে ছেড়ে ছিটকে দূরে সরে আসে।

সোহা নিজের জায়গায় গিয়ে বসে হাত দুটো ডলতে থাকে।ব্যাথা বানিয়ে দিয়েছে লোকটা।কি ভাবে চেপে ধরে ছিলো।।আরেকটু হলে হয়তো হাড্ডি গুলোই কড়মড় করে ভেঙে যেতো।

দায়ান সোহার দিকে এক পলক তাকায়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাথা পেয়েছে।যার একটু ব্যাথার জন্য এতো কিছু করলো।শেষ মেষ তাকেই কিনা নিজের হাতে ব্যাথা দিলো?

দায়ানের রা’গ যেমন আরো দিগুণ বেড়ে গেলো।জোরে নিজের চুল নিজেই খামচে ধরে।

নিজের রাগ সামলাতে না পেরে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে গাড়ির জানালার কাঁচে জোরে ঘু’ষি মেরে দেয়। ঘু’ষিটা৷ এতো জোরেই পরে যে জানালার কাঁচে ফাটল ধরে গেছে। দায়ানের ডান হাত দিয়ে স্রোতধারার মতো র/ক্ত বের হয়ে চলেছে।

হাঠাৎ হওয়া বিকট শব্দে সোহা চোখ বন্ধ করে ফেলে।

কিছু সময়ের পর চোখ খুলে দায়ানের দিকে তাকিয়ে রয়।দায়ানের হাতের দিকে তাকিয়ে সোহার দুই হাত আপনা আপনিই মুখে চলে যায়। দুই চোখ দিয়ে স্রোত ধারা বয়ে চলেছে সোহার।নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।

আর কিছু না ভেবেই সোহা দায়ানের কাছ ঘেসে বসে। দুই হাত দিয়ে দায়ানের হাতটা চেপে র/ক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করে। হাত দিয়ে ধরে রাখলে কি র/ক্ত পরা বন্ধ হয়? সোহা ও পারেনি উল্টে সোহার জামা ও হাত দায়ানের র/ক্তে ভ’য়ংক’র রুপ ধারণ করেছে।

দায়ানের কোনো হেলদোল নেই। যেনো সে এটাই চেয়েছিলো।এখন মন শান্ত হয়েছে।সে নিজের মতো আবার চোখ বন্ধ করে সিটে মাথাটা হেলিয়ে রাখে।

সোহা আর নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারলোনা।একি হা’ল করেছে লোকটা নিজের হাতের।সব দোষ আমার।আমার জন্যই এসব কিছু হয়েছে।আমার একা তো না। ঐই ছেলেটার জন্য। না ছেলেটা সোহাকে ধাক্কা দিতো।না এমন কিছু হতো।নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।

সোহা আর নিজেকে কনট্রোল করতে পারলোনা।শব্দ করে কেঁদে দেয়।

দায়ান সোহার কান্না শুনে চোখ খুলে শান্ত দৃষ্টিতে সোহার দিকে তাকায়।

সোহা কাঁদতে কাঁদতে হিচকি তুলে ফেলে।আর বলতে থাকে,,,,,সব আমার দোষ।আমার জন্য এসব কিছু হয়েছে।আমার জন্য শুধু মাত্র আমার জন্য আপনার হাতের এ অবস্থা। সোহা এসব বলতে বলতে অনেকটাই হাইপার হয়ে গেছে। জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে।

দায়ানের হুস আসে।ডাক্তার আংকেল বার বার বলে দিয়েছে। কোনো ভাবে যেনো সোহা হাইপার হয়ে না যায়।তাহলে সোহার জন্য সমস্যা হবে।

দায়ান তড়িঘড়ি করে বাম হাত বারিয়ে সোহা কে নিজের কাছে নিয়ে আসে। গালের মধ্যে হাত রাখে। শান্ত গলায় বলে হেই লিসেন।সোহা কিছু হয়নি আমার ওকে? দেখো আমি ফিট আছি একদম।ডোন্ট প্যানিক।সামান্য একটু খানি জাস্ট কেটেছে। চিন্তা করো না।আর তোমার এতে কোনো দোষ নেই নিজেকে দোষী ভাব্বানা একদম।

সোহা এখনো কেঁদেই চলেছে।ধরা গলায় এবার বলে,,,,, ডাক্তারের কাছে চলুন প্লিজ তাড়াতাড়ি কতো খানি কেটে গেছে।হাতের চিকিৎসা করাতে হবে এক্ষুনি নয়তো র/ক্ত পরা থামবে না।বলেই আবার ফোঁপাতে লাগে সোহা।

দায়ান বুঝতে পারলো এভাবে সোহাকে শান্ত করাতে পারবেনা।ফোঁস করে একটা নিশ্বাস ছাড়ে।

ওকে বাবা চলো যাচ্ছি। কিন্তু তুমি শান্ত হও।একদম হাইপার হবেনা ঠিক আছে?

সোহা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বোঝায় যে সে একদম হাইপার হবে না।

তারপর দায়ান বাম হাত দিয়ে গাড়ির দরজা খুলে বের হয়।

সোহা ও দায়ানকে বের হতে দেখে তড়িঘড়ি করে নিজেও বের হয়।দায়ানের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলে,,,,

আমিও যাবো আপনার সাথে।

জানি ম্যাডাম আপনি যে আমায় একা যেতে দিবেন না চলুন।

দায়ান হাসপাতালের ভিতর আবার ঢুকতে গেলে,,সোহা দায়ানের হাত টেনে ধরে পিছন থেকে।

দায়ান থেমে ঘার ঘুরিয়ে পিছনে সোহার দিকে তাকায়।

সোহা সে দিকে পাত্তা দেয় না।হাত থেকে এখনো ফোটায় ফোটায় র/ক্ত পরছে।সোহা কিছু না ভেবেই দায়ানের হাতটা যত্ন সহকারে নিজের ওড়না দ্বারা মুড়িয়ে নেয়।যেনো কিছুটা হলেও র/ক্ত পরা কমে।

দয়ান অবাক দৃষ্টিতে সোহার দিকে তাকিয়ে রয়।মনের কোণে প্রশান্তির ঢেউ বয়ে চলেছে।মুখে তা প্রকাশ করলো না। কিছু অনুভূতি মনের কোণেই রাখতে হয়।প্রকাশ করতে নেই।

সোহা এবার দায়ানের দিকে তাকিয়ে বলল এবার ঠিক আছে। চলুন এবার।দুজনেই হাসপাতালে ঢুকে গেলো।

নার্স দায়ানের হাত ড্রেসিং করানোর সময় সোহা যে কি পাগলামো করেছে।হুমকির সাথে বলে দিয়েছে আস্তে আস্তে করতে।দায়ান যেনো একটু ও ব্যাথা না পায়।ব্যাথা পাইলে খবর আছে।নিজে নির্দেশনা দিয়েছে কি ভাবে কি করতে।

দায়ানের হাত অনেকখানি ই কেটে গেছে। তাই ইনজেকশন দেওয়া লাগবে।

ইনজেকশন দেখেই সোহার হাত পা কাঁপা কাঁপি শুরু হয়ে যায়।তাও নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে উঠে,,, শুনুন একদম ভয় পাবেন না ওকে? আমি আছিনা।একটু খানি শুধু ব্যাথা লাগবে সহ্য করে নেন।বলেই দায়ানের কাঁধে হাত রেখে দাড়িয়ে থাকে চোখ বন্ধ করে।

সোহার কান্ড দেখে দায়ানের পুরো হাসপাতাল কাপিয়ে হাসতে ইচ্ছে করতেছে।অনেক কষ্টে নিজেকে কনট্রোল করেছে।

———————-

হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সোহার সেই একই প্রশ্ন ব্যাথা কি বেশি লেগেছে? কয়বার জিজ্ঞেস করেছে ও নিজেই জানে না।

তারপর দুইজন গাড়িতে ওঠে বসে।দায়ানের ডান হাত কাঁটায় বাম হাত দিয়ে ড্রাইভিং করছে।এক হাতে ড্রাইভিং করা খুবই টা’ফ ব্যাপার।তাই আস্তে আস্তে করেই গাড়ি চালাচ্ছে। এই হাত নিয়ে যে অনেক ভোগতে হবে তা দায়ানের বোঝা হয়ে গেছে।

সোহা চুপচাপ বসে আছে। সকাল থেকেই কি কি হয়ে গেল এসবই ভাবছে।

দায়ান আড়চোখে সোহার দিকে তাকায়। সোহার হাত,জামা,ওড়না দায়ানের র/ক্তে মাখামাখি অবস্থা।

আমার হাত এভাবে না ধরলেও তো পারতে।দেখো তোমার শরীর ড্রেস এর কি অবস্থা হয়েছে।ড্রেস টা নষ্ট করলে শুধু শুধু।

সোহা দায়ানের দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে বলে,,,,, আপনার থেকে আমার কাছে এই ড্রেস টা বেশি দামি না।আর এরকম হাজারটা ড্রেস আপনার জন্য নষ্ট হয়ে গেলে বিশ্বাস করুন আমার একটু ও আফসোস হবে না।আমি নির্দিধায় তা নষ্ট করবো।

দায়ান সোহার থেকে এরকম উত্তর আশা করেনি।হাঠাৎ ই গাড়ি ব্রেক করে সোহার দিকে,,অবাক হয়ে মায়াময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়।

#চলবে,,,,,,

গল্প লিখে ফেলার পর ডিলিট হয়ে গেলে কেমন অনূভুতি হয়,,,যাদের এমন হয়েছে তারাই জানে। পরে আবার লিখলেও প্রথম বারের মতো হয় না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here