মিশে আছো মুগ্ধতায় – পর্ব ১৮

0
1154

#মিশে_আছো_মুগ্ধতায়
#লেখনীঃআরভি_আহিয়াদ_তিহু
#পর্বঃ18

ওয়ার্ড বয়েরা ওকে নিয়ে এসে একটা রুমের মধ‍্যে ঢুকালো। রুমটার মধ‍্যে ঢুকতেই মেঘ শিউড়ে উঠলো। কারন এটা একটা অপারেশন থিয়েটার। আর এখানে তেমন কেউই নেই। চারপাশে কেমন গুমোট একটা ভাব। এসব দেখে মেঘ নার্সটাকে উদ্দ‍্যেশ‍্য করে ভয়ার্ত কন্ঠে বললো

“sis আমাকে এখানে কেনো নিয়ে এসেছেন? এখানে তো কেউ নেই।”

মেঘের কথা শুনে নার্সটা ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। তারপর ওয়ার্ড বয়দের দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে কিছু একটা ইশারা করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো। আর ওনার পিছনে পিছনে ওয়ার্ড বয় দুটোও বাইরে বের হয়ে গেলো। ওদের বের হয়ে যেতে দেখে মেঘ দ্রুত কন্ঠে বললো

“আমাকে এখানে একা ফেলে আপনারা সবাই কোথায় যাচ্ছেন? আমাকে নিয়ে যান প্লিজ। আমি এখানে থাকতে চাই না। আমার ভিষন ভয় লাগছে।”

ওরা মেঘের কোনো কথাই কানে তুললো না। ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে তিনজন বাইরে গিয়ে বাইর থেকে দরজাটা লক করে দিলো। দরজা লক করতেই রুমটা একদম ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে গেলো। কারন বাহিরের কড়িডোর থেকে আসা লাইটের মৃদ‍্যু আলোর জন‍্যে রুমটা এতোক্ষন আলোকিত দেখাচ্ছিলো। দরজাটা বন্ধ করে ফেলায় সেই আলোর উৎস টুকুও হারিয়ে গেলো। এতে মেঘ আরো বেশী ভয় পেয়ে গেলো। ‘ও’ জোড়ে চিল্লিয়ে বললো

“একি আপনারা দরজাটা লক করে দিয়েছেন কেনো? দরজাটা খুলে দিন প্লিজ! আমার ভিষন ভয় লাগছে। আমি বাইরে যাবো।”

এইটুকু বলে মেঘ মাথা চেপে ধরে শোয়া থেকে উঠে বসে পড়লো। ঠিক তখনই রুমের এক কর্নারে থাকা একটা লাইট জ্বলে উঠলো। আর মেঘ চোখ খিচে বন্ধ করে ফেললো। এতো ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ‍্যে আচৎমকা এভাবে লাইট জ্বলে উঠায় ওর চোখ কিছুটা ধাধিয়ে গেছে। ‘ও’ কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে রেখে কারো পায়ের শব্দ পেয়ে পিটপিট করে চোখ খুলে সামনে তাকালো। দেখলো এই রুমটার সাথে এটার্চ করা যে অন‍্য একটা রুম আছে সেখান থেকে হোয়াইট এপ্রোন আর মুখে মাস্ক পড়া একজন লোক বের হয়ে আসছে। লোকটা রুমটা থেকে বের হয়ে সোজা মেঘের দিকে এগিয়ে আসলো। মেঘ লোকটার দিকে ভীতু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ওর গলা শুকিয়ে একদম কাঠ হয়ে গেছে। লোকটা এগিয়ে এসে স্ট্রেচারের উপরে উঠে মেঘের একদম পাশে বসলো। এতে মেঘ ঘাবড়ে গিয়ে কিছুটা পিছনে সরে গেলো। তারপর লোকটার দিকে তাকিয়ে কাপাকাপা কন্ঠে বললো

“কে আপনি? আর এখানে কি করছেন?”

মেঘের প্রশ্নের অ‍্যান্সার না দিয়ে লোকটা মুখের উপর থেকে মাস্কটা টেনে খুলে ফেললো। মাস্ক খুলতেই মেঘ লোকটার দিকে কিছুক্ষন বিষ্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে একটা স্বস্তিত নিশ্বাস ফেললো। তারপর দাতে দাত চেপে বললো

“আপনার কোনো কাজ নেই? আমি যেখানেই যাই আপনি সেখানেই ভুতের মতো এসে হাজির হয়ে যান। সারাক্ষন আমার পিছু করেন নাকি?”

মেঘের কথা শুনে আহান ভ্রু কুচকে বললো

“সেটা তুমি আজকে জানতে পারলে ? তোমাকে তো বেশ বুদ্ধিমতি ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন তো দেখছি তোমার মতো মাথা মোটা মেয়ে পৃথিবীতে আর একটাও নেই।”

মেঘ চোখ ছোট ছোট করে বললো

“মানে?”

আহান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো

“তুমি যেদিন থেকে বাংলাদেশে পা রেখেছো সেদিন থেকেই আমি তোমার পিছু করছি। তাই তুমি যখনই কোনো প্রভলেমে পড়েছো সবার আগে আমি তোমার কাছে গিয়ে হাজির হয়েছি। আর তুমি সেটা আজ অবদি কখনো বুঝতেই পারোনি।”

আহানের কথা শুনে মেঘ ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। আহান আবারও বলা শুরু করলো

“ইনফ‍্যাক্ট তুমি আমাদের বাসায় যে ফ্লাট’টা ভাড়া নিয়েছিলে সেটা কোনো কো-ইন্সিডেন্স ছিলো না। এই সব কিছুই আমার প্লান করা ছিলো। আমি তোমাকে আমার থেকে দূরে রাখতে চাই ছিলাম না। তাই সেদিন হোটেলের রিসিভশনিষ্ট কে টাকা খাইয়ে তোমাকে আমাদের ফ্লাটের এড্রেস টা দিতে বলেছিলাম। কারন আমি সিওর ছিলাম তোমার হাতে একবার ওই এড্রেস টা পৌছে গেলে তুমি ওই ফ্লাট ছেড়ে অন‍্য কোথাও যেতে চাইবে না। আর আমার ধারনাটা তখনই সত‍্যি হলো যখন বাসার এড্রেসটা দেখে তুমি হাতে আকাশের চাদ পাওয়ার মতো খুশী হলে।”

আহানের কথা শুনে মেঘের চোখের সামনে সেই দিনের দৃশ‍্য ভেষে উঠলো যেদিন ওরা বাংলাদেশে এসেছিলো। ওরা এখানে এসে প্রথম দিন একটা হোটেলে উঠেছিলো। কারন মেঘ আর দিশা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলো যে বাংলাদেশে এসে ওরা কাউকে নিজেদের পরিচয় দিবে না। তাই ওরা নিজেদের কোনো আত্মীয় স্বজনদের সাথেও যোগাযোগ করেনি। হোটেলে উঠে একদিন রেষ্ট নিয়েই পরদিন থেকে ওরা বাসা খোজা শুরু করে দিয়েছিলো। কিন্তু মনের মতো কোনো ফ্লাটই খুজে পাচ্ছিলো না। কারন ওরা মিড়া রহমানের বাসার আশেপাশের কোনো একটা বিল্ডিংয়ে ফ্লাট ভাড়া নিতে চেয়েছিলো। যাতে মিড়া রহমানের কাছাকাছি থাকা যায় সেইজন‍্যে। কিন্তু টানা দুইদিন বাসা খোজার পরেও যখন খালি ফ্লাট না পেয়ে ওরা সব আশা ছেড়ে দিলো, ঠিক সেই মূহুর্তে হোটেলের রিসিভশনিষ্ট নিজে এসে দুটো ফোন নম্বর আর একটা এড্রেস দিয়ে গেলো। এবং বললো :- “ম‍্যাম এই বাসার একটা ফ্লাটে দুইজন ভার্সিটি স্টুডেন্ট আছে। যারা ওদের সাথে থাকার জন‍্যে আরো দুজন রুম’মেড খুজছে। কারন ফ্লাট ভাড়া অনেকটা বেশি হওয়ায় ওরা দুজন এতো টাকা এফোর্ট করতে পারছে না। আপনারা চাইলে ওদের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।”

কথাটা বলে ছেলেটা চলে গিয়েছিলো। কিন্তু মেঘ আর দিশা মিড়া রহমানের বাসার এড্রেস দেখে শকড হয়ে থম মেরে কিছুক্ষন বসে ছিলো। কারন ওরা একদম অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে মিড়া রহমানের কাছাকাছি থাকার একটা সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলো। তাই আর বেশি দেড়ি না করে মেঘ মেয়ে দুটোকে ফোন দিয়ে কথা বলে ফ্লাট ভাড়া নেওয়ার ব‍্যাপারটা কনফার্ম করে। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে মেঘ আহানের দিকে বিষ্মিত দৃষ্টিতে তাকালো। তারপর বললো

“তারমানে ওটা কো-ইন্সিডেন্স ছিলো না?”

“উহুম! এই সব কিছু আমার আগে থেকেই প্লান করা ছিলো।”

আহানের কথা শুনে মেঘ অবাক কন্ঠে বললো

“তারমানে আপনি আমাকে আগেই চিনতে পেরেছিলেন? কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব? আপনার সাথে আমার যখন লাষ্ট দেখা হয়েছিলো তখন আমরা খুব ছোট ছিলাম। তারপর তো আমাদের আর কখনো দেখাও হয়নি বা কথাও হয়নি। তাহলে আপনি আমাকে কিভাবে চিনতে পারলেন?”

আহান শান্ত স্বরে বললো

“এতোকিছু তোমার না জানলেও চলবে। তুমি শুধুমাত্র এইটুকু জেনে রাখো যে একবার যখন তুমি বাংলাদেশে চলেই এসেছো, তখন আমি আর তোমাকে কোথাও যেতে দিচ্ছি না। তাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউরোপে ফিরে যাওয়ার প্লানটা মাথা থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলো। কারন যতো যাই হয়ে যাক না কেনো তোমাকে আমার কাছেই থাকতে হবে।”

আহানের মুখে এমন কথা শুনে মেঘ কিছুটা ভ‍্যাবাচ‍্যাকা খেয়ে গেলো। কিন্তু পরক্ষনেই একটা প্রশ্ন এসে ওর মাথায় ঘুড়পাক খেতে লাগলো। মেঘ চুপ করে কিছুক্ষন বসে থেকে হঠাৎ কপাল কুচকে আহানের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো

“আচ্ছা আপনি তো আমাকে আগে থেকেই চিনতে পেরেছিলেন তাইনা?তাহলে সেদিন পার্টিতে এতো গুলো লোক‍ের সামনে মিড়া রহমান যখন আমাকে অপমান করেছিলো তখন সবাইকে সত‍্যিটা বললেন না কেনো? কেনো সেদিন কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ শংয়ের মতো দাড়িয়ে ছিলেন?”

“তোমার বাংলাদেশে আসার কারনটা তখনও আমি জানতাম না মেঘ। তাই সবাইকে তোমার আসল পরিচয় দিয়ে তোমার প্লানটা নষ্ট করতে চাইনি। শুধু তাই নয় আহির, মিহির, তৃধা তোমাকে কখন, কোথায়, কি বলে অপমান করেছে সেই সব কিছুই আমি বেশ ভালো করে জানতাম। কিন্তু কাউকে কিছুই বলিনি,শুধুমাত্র তোমার প্লানটা ফ্লপ হয়ে যেতে পারে সেইজন‍্যে। নাহলে ওদের মতো বেয়াদব সোজা করতে আমার এক ঘন্টাও সময় লাগতো না।”

মেঘ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো

“সবই তো বুঝলাম। বাট আমাকে হঠাৎ এখানে এভাবে নিয়ে আসার কারনটা তো বুঝতে পারলাম না?”

আহান শক্ত কন্ঠে বললো

“কারন একটাই! সেটা হলো আমি তোমার বাবাইকে বুঝিয়ে দিলাম যে উনি যতো জন গার্ডকেই পাহাড়ায় রাখুক না কেনো আহান খানকে আটকে রাখা ওনার পক্ষে সম্ভব না।”

আহানের কথা শুনে মেঘ রেগে গেলো। ‘ও’ রাগি দৃষ্টিতে আহানের দিকে তাকিয়ে বললো

“আমার বাবাইয়ের ডিকশনারিতে অসম্ভব বলতে কিছুই নেই বুঝলেন? আমার বাবাই সবকিছু করতে পারে।”

আহান বাকা হেসে বললো

“তাই নাকি? তাহলে একটা কাজ করি। তোমাকে এখনি কিডন‍্যাপ করে এখান থেকে আমার সাথে করে নিয়ে যাই। তারপর দেখি তোমার বাবাই ঠিক কী করতে পারে।”

আহানের কথা শেষ হতেই মেঘ ঝাঝালো কন্ঠে বললো

“এটা যদি আমার বাবাই জানতে পারে,তাহলে আপনাকে কেটে কুচি কুচি করে আপনার লাশটা সাগরে ফেলে দিয়ে আসবে। আর হাঙরেরা এসে আপনার শরীর টাকে গাপুস গুপুস করে খেয়ে ফেলবে।”

মেঘের কথা শুনে আহান ফিক করে হেসে দিলো। তারপর মেঘের বাহু ধরে ওকে বেডের উপর শুইয়ে দিয়ে ওর দুইপাশে হাত রেখে ভর দিয়ে ওর দিকে কিছুটা ঝুকে বললো

“তোমার কি মনে হয়, তুমি আমাকে এসব বাচ্চা,বাচ্চা মার্কা হুমকি দিবে আর আমি ভয় পেয়ে যাবো?”

কথাটা বলে আহান মেঘের দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচালো।কিন্তু মেঘ চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আহান কি বলেছে সেদিকে ওর বিন্দুমাত্রও খেয়াল নেই। আহান এতোটা কাছে আসায় মেঘের হৃদ স্পন্ধনের গতি দ্রুত উঠানামা করছে। মেঘকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আহান দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে হুট করেই মেঘের ঠোটের সাথে নিজের ঠোট মিলিয়ে দিলো। আচৎমকা এমনটা হওয়ায় মেঘ হতবিহ্বল হয়ে আহানের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো।
________________________

এক সপ্তাহ পর……..

রাত দুইটার সময় হঠাৎ করেই মেঘ ঘুমের মধ‍্যে চিৎকার দিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো। মেঘের চিৎকার শুনে দিশার ঘুম ভেঙে গেলো। ‘ও’ শোয়া থেকে উঠে বসে বেডের সাইডের টেবিলে রাখা ল‍্যাম্পটা জ্বালিয়ে দিয়ে ঘুমু চোখে মেঘের দিকে তাকালো। দেখলো মেঘ হাত দিয়ে ঠোট চেপে ধরে থম মেরে বসে আছে। এটা দেখে দিশা রেগে গিয়ে মেঘকে জোড়ে একটা লা/থি মারলো। লাথি খেয়ে মেঘ ধপাস করে বেড থেকে ফ্লোরে পড়ে গেলো। দিশা দাতে দাত চেপে বললো

“আজকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তোর এই টর্চার সহ‍্যে করছি বেয়াদব মেয়ে। আমার দ্বারা এসব সহ‍্যে করা আর কোনো মতেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই কালকে থেকে ঘুমে থাকা অবস্থায় তোর গলা দিয়ে যদি একটা আওয়াজও বের হয় তাহলে তোকে ছাদে নিয়ে গিয়ে লাথি মেরে আমি তোর বডিটাকে নিচে ফেলে দিবো।”

মেঘ হাত দিয়ে কোমর চেপে ধরে দিশার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে কাদো কাদো কন্ঠে বললো

“আমাকে বকছিস কেনো? ঘুমের মধ‍্যে যদি দুঃস্বপ্ন এসে পড়ে সেটা কি আমার দোষ?”

দিশা ধমকের স্বরে বললো

“গুষ্টি কিলাই তোর দুঃস্বপ্নের! সেই এক সপ্তাহ আগে একজন ওনাকে একটা কিস করেছিলো, সেইজন‍্যে উনি এখন রোজ রাতে ঘুমের ঘোড়ে চিল্লিয়ে উঠে ঠোট চেপে ধরে বসে থাকে। লাইক সিরিয়াসলি?”

দিশার কথা শুনে মেঘ ঠোট ফুলিয়ে বসে রইলো। দিশা একটা ঝাড়ি মেরে বললো

“কালকে থেকে চিল্লাচিল্লি করে যদি আমার কানের বারোটা বাজিয়েছিস,তাহলে তোর ঠোট পুরোটা একদম সেলাই করে দিবো। তখন না পারবে কেউ কখনো তোকে কিস করতে,আর না পারবি তুই চিল্লাচিল্লি করতে।”

কথাটা বলে দিশা লাইট টা বন্ধ করে রাগে গজগজ করতে করতে শুয়ে পড়লো। আর মেঘ গালে হাত দিয়ে অন্ধকারের মধ‍্যে অসহায় বাচ্চার মতো বসে রইলো। আহানের সেদিনের কিসটা মেঘের মনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করে দিয়েছে। ‘ও’ যখনই চোখ বন্ধ করে তখনই ওর চোখের সামনে সেদিনের দৃশ‍্যটা ভেষে উঠে। উঠতে, বসতে, খেতে, শুতে সব সময় শুধু ওই একটা চিন্তাই ওর মাথার মধ‍্যে ঘুরঘুর করে। ‘ও’ বারবার সবকিছু ভোলার চেষ্টা করেও কেনো যেনো কোনো কিছু ভুলতে পারে না।

#চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here