বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৪

0
1405

বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ৪…………🌼

সারা বাড়িতে মানুষের কোলাহল গিজগিজ করছে মানুষের কারনে,একজন এই কাজ তো আরেক জন এই কাজ বিয়ে বিয়ে গন্ধ টা এখন আসছে সামিয়া আহম্মেদ আর শীতল আহাম্মেদ এর বসার সময় নেই পরিবারের বড় মেয়ের বিয়ে হচ্ছে বলে কথা।। কতোক্ষণ এই কাজের পিছন তো কতোক্ষন ওই কাজ সকলকে আবার কাজ বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে।।বাড়ির ছোট সদস্যরা ছাদে আড্ডা দিচ্ছে।। তাদের ও অনেক কাজ কে কি রকম ড্রেস পরবে কি করবে নাচ গান আরো অনেক কিছু এসব নিয়ে ব্যস্ত তারা।। ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে সাফিয়া তার দৃষ্টি গেইটের দিকে কত সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে তার বিয়ে উপলক্ষে কত মানুষের ভিড় মজা মাস্তি সব হচ্ছে কিন্তু যার জন্য সব সে তো সুখি না কই তার খবর তো কেউ নিচ্ছে না আর পাঁচটা মেয়ের মতো সুন্দর জীবন ছিল তার কিন্তু জিবন সাথী।।।একটা অন্ধকার রাজ্যের রানী হচ্ছে না না রানী না দাসি ভেবে নিজের জিবনের উপর তাচ্ছিল্য হাসি হাসলো।। বাবা মার দোষ দিবে না সব তার কপালের দোষ।। হঠাৎ কাঁধে কারোর স্পর্শে বাস্তবে ফিরে আসলো ।।
আরে আয়ু তুই কিছু কি বলবি মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে।।
হ্যা দি বড় মা তোমাকে নিচে ডাকছে তোমার হলুদের জিনিস পাঠানো হয়েছে।।
ও আচ্ছা চল বলে যেতে নিলে আয়ানা হাত ধরে তার দিকে ঘুরিয়ে বলে তুমি খুশি তো দি।।
মুখের হাসিটা উধাও হয়ে যায় আয়ানার কথায় তারপর অন্যদিকে মুখ করে বলে হুম আমি খুশি।।
তাহলে আমার এমন কেনো মনে হচ্ছে তুমি জোর করে নিজের মনকে বোঝাচ্ছো যেখানে মন তোমার সারা দিচ্ছে না সেই কাজটা করো না হিতে বিপরীত হতে পারে।।।
আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল বড় হয়ে গেছিস বুড়িদের মত কথা বলছিস জানিস তো আয়ু আমরা যা চাই তা আমরা পাই না আর যা পাই তা চাই না জীবনে একসময় ভাগ্য আমাদের এমন পরিস্থিতিতে ফেলবে আমাদের হাতে কিছুই থাকবে না আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন কখনো এমন পরিস্থিতি তোকে পরতে না হয় বলে নিচে চলে যায় আর তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল আয়ানা এসব কথা ভাবতে ভাবতে সে ও নিচে চলে যায়।

ড্রইং রুমে সবাই বসে আছে কয়েক জন গার্ড এসে মাত্র অনেক গুলো জিনিস দিয়ে গেল সব খান বাড়ি থেকে এসেছে গায়ের হলুদের জিনিস সেইগুলো নেড়েচেড়ে দেখছে সবাই সব জিনিস খুব সুন্দর দামি রয়েল পা থেকে মাথা পর্যন্ত যা লাগবে তা ।।সবার মুখে খুশির ঝলক দেখতে পেলে ও দুজনের মুখে নেই এক সাফিয়া আর এক আয়ানা সে ভাবছে কি পরিস্থিতি পরতে না করল সাফিয়া দি এমন সময় দুজন মেয়ে এসে আয়ানা কে জরিয়ে ধরে মেয়ে গুলোর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে তাদের জরিয়ে ধরলো।।
সাবিহা লাবিহা তোদের এতোক্ষণে আসার সময় হলো আর ফুফি ফুফা কোথায় আসে নি কেনো।।(আয়ানা)
আম্মি আব্বি আসবে না তুই ভূলে গেলি গত সপ্তাহে আব্বির বিজনেস টুরে গেছে সাথে আম্মি ও।।(লাবিহা)
ও ভূলে গেছিলাম কখন আসবে ফুফি।।(আয়ানা)
সামনের সপ্তাহে তখন সোজা এখানে চলে আসবে।। (সাবিহা)
আচ্ছা তোরা সবার সাথে দেখা করে আমার রুমে আয়।।(আয়ানা)
ওকে (লাবিহা)

ইসহাক আসতে আসতে ইরফানের রুমে গিয়ে দরজাটা আটকিয়ে দিল তারপর ইরফানের পাশে এক পা উপরে তুলে ইরফানের গায়ের কম্বল টা সরিয়ে ফেললো যেই না হাতের আইসক্রিম টা ইরফানের উদোম গায়ে ফেলতে যাবে ওমনি ইরফান সোজা হয়ে ইসহাক এর হাত উল্টো দিকে করে বিছানায় ফেলে দেয় বালিশের নিচ থেকে বন্দুক টা বের করে ইসহাক এর মাথায় ঠেকায় অসম্ভব রেগে গেছে সে মুখ একদম লাল আকৃতি ধারণ করেছে ইসহাক তা দেখে ভ্যে ভ্যে ভ্যে ভ্যে করে চিৎকার করে তা দেখে ইরফান পাশের টেবিলের উপর থেকে টিস্যু নিয়ে তা মূখে পুরিয়ে দেয় আর বেড শিট দিয়ে পা আর হাত বেঁধে ফেলে তারপর ইসহাক এর দিকে গম্ভীর গলায় বলে

এখানে কি করছেন ভাইজান কে অনুমতি দিয়েছে এখানে আসার জানেন না আমি পছন্দ করি না কিছু টা চিৎকার করে তা দেখে ইসহাক আওয়াজ না করে কান্না করছে মুছরা মুছরি একবারে বন্ধ হয়ে যায়।।।

আনসার মি জোরে চিৎকার করে বলে ,আর আমি নিষেধ করার শর্তে এখানে কেন এসেছেন এখন এর শাস্তি তো আপনাকে পেতে হবে বাঁকা হেসে।।তা বলে ইসহাক কে টেনে নিয়ে নিচে গেলো ইরফান ইসহাককে টেনে আনতে দেখে ভয়ে সবাই জরোসরো হয়ে যায় ইমরান খান আর আসফিয়া নিজেদের রুমে ছিলো বাহিরে আওয়াজে নিচে এসে দেখে এই অবস্থা আর এটা খুব বুঝতে পারছে ইসহাক ইরফানের কিছু জিনিস র্টাচ করেছে বা কোন অঘটন ঘটিয়েছে না হলে ইরফান কখনো ইসহাক এর সাথে এমন করে না যদি কেউ ভূল করে তার শাস্তি ইরফান নিজে দেয় সে যতো আপন হোক না কেনো ভূলের শাস্তি তাকে পেতে হবে।। ইসহাক কে টেনে বাগানে নিয়ে যায় তারপর মালি কে ডেকে কিছু একটা বলতে সে সেখান থেকে চলে যায় ভয়ে ইসহাক থরথর করে কাঁপছে আজকে বেঁচে গেলে আর এমন দুষ্টুমি করবে না।।
ইসহাক কী করেছে ইরফান ওকে এই ভাবে কেনো ধরে রেখেছো ভয়ের সাথে বললো আসফিয়া ।।
আসফিয়ার দিকে শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো আমি কাউকে কৈফিয়ত দিতে পছন্দ করি না আম্মি জান আপনি ভূলে গেছেন আর আমার কাজে আপনি আর আব্বিজান বিরক্ত করবেন না দূরে গিয়ে ড্রেমো দেখেন বলে বাকা হেসে ইসহাক কে একটা লোহার চেয়ারের সাথে বাঁধল ইমরান খান কিছু দূরে দাঁড়িয়ে আছে তার কিছু বলার নাই তার সাথে আসফিয়া ও।।
কিছুক্ষণ পর মালি একটা ব্যাগ এগিয়ে দিল ইরফানের হাতে ইরফান তা হাতে নিয়ে ইসহাক এর দিকে তাকালো যে ভয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে ইরফান হাতের ব্যাগটা উল্টিয়ে ইসহাকের উপর ফেলতে লাফাতে লাগলো সে ভয়ে চিৎকার করছে কিন্তু মুখ বাঁধা থাকায় তার চিৎকারে বাহির হচ্ছে না , ইরফান কিছুটা পিছিয়ে চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে ইসহাক এর দিকে তিক্ষন নজরে তাকিয়ে আছে ইসহাকের উপর তেলাপোকা ছেরে দিয়েছে ইসহাক তেলাপোকা খুব ভয় পায় তাই ইরফান তাকে এই শাস্তি দিলো বিশ মিনিট পর ইসহাক যখন অনেক ক্লান্ত হয়ে পরলো তখন তেলাপোকা গুলো সরিয়ে রাখা হলো ইরফান পকেটে হাত দিয়ে ইসহাক এর কাছে গেল আর বলল।।
আমার অনুমতি ছাড়া আর কোন কাজ করবেন।।
ইসহাক মাথা নাড়িয়ে না বললো।।
ইরফানের কথা না শুনলে কিংবা ভূল করলে তার শাস্তি পেতে হবে মনে থাকবে।।
তারাতাড়ি মাথা নাড়লো ইসহাক যার অর্থ মনে থাকবে।।
ইরফান ইশারা করতেই একজন বর্ডিগাড ইসহাক এর হাত পায়ের বাঁধন খুলে দেয় আসফিয়ে দৌড়ে এসে ইসহাক কে জরিয়ে ধরে মুখের ব
টিস্যু খুলে দেয় আর বলতে থাকে
আসফিয়া: আর কখনো ইরফানের কথার খিলাফ করবে না আমি কতো বার নিষেধ করেছি ।। ইমরান খান সেখান থেকে চলে যায় নিজের কাজে।।
ইরফান এসে আসফিয়ার হাত থেকে ইসহাক কে টেনে নিজে ধরে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যায় ইসহাক হাঁটতে পারছে না খুব ক্লান্ত।। ইরফান কাউকে ছেড়ে দেয় না যে ভূল করবে তাকে শাস্তি পেতে হবে ইসহাকে আগেও অনেক শাস্তি দিয়েছে যার কারনে ইরফান কে সবার মত সে ও ভয় পায়।। ইসহাক কে সোফায় বসিয়ে একজন গার্ডকে ইশারা করতে সে একটি ফার্স্ট এইড বক্স এনে দেয়।। ইরফান নিজের হাতে ইসহাক কে মলম লাগিয়ে দেয় ইসহাক ইরফানের দিকে তাকিয়ে বলে
তু তুমি সবসময় আ আমাকে ব্যাথা দেও ইরফান আ আমি তো তোমাকে খুব ভয় পাই।।
আপনি এমন কাজ নেক্সস্ট টাইম করলে এর চেয়ে বেশি ব্যাথা পাবেন ভাইজান নিজের কাজ করতে করতে গম্ভির গলায় বলল।।
আমি আ আর এমন কা কাজ করবো না ইরফান প্রমিস গলায় হাত দিয়ে।।
গুড এখন এই দুধটুকু খেয়ে ঘুমিয়ে পরোন গিয়ে হাতের গ্লাস টা দিয়ে।।
আমি বৌ এর বা বাড়ি যা যাবো না ইরফান।।
আমি আপনাকে যা বলেছি তা করোন গু বলে সেখান থেকে চলে যায় আর ইসহাকে একজন সার্ভেন্ট আর আসফিয়া উপরে নিয়ে যায়।।

বিকেল হয়ে যাচ্ছে সাফিয়াদের বাড়িতে সবাই কমিউনিটিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে সাফিয়ার বিয়ে টা কমিউনিটি সেন্টারেরতে হবে সাফিয়া তুতুল আয়ানা সাবিহা লাবিহা আরো সাফিয়ার কাজিন ফ্রেন্ড মিলে পার্লারে যায় সাজতে আয়ানা কে এক প্রকার টেনে হিছরে নিয়ে যায় লাবিহা সাবিহা পার্লার জিনিস টা বরাবরই বিরক্ত লাগে তার তবু সবার মন রাখতে যায় কিন্তু গিয়ে এককোনায় বসে সবাই কে ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে সবাই খুব সাজছে এর চেয়ে অন্যজনকে সুন্দর লাগলে লেগে যায় ঝগড়া সাফিয়ার বান্ধবী গুলো পার্লারে মেয়ে গুলোর সাথে , সবাইকে আজ ভালো লাগতে হবে বিকজ আজকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সব মেয়েদের ক্রাশ আইকন ভালো তো লাগতেই হবে।। সাফিয়ার সাজ কমপ্লিট হলে আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে আয়ানা এখনো বসে আছে রেডি হয়নি।।
সাফিয়া: রেডি হচ্ছি না কেন তুই আয়ু।।
সাফিয়ার দিকে আয়ানা তাকিয়ে দেখে খুব সুন্দর লাগছে তাকে কাচা হলুদ শাড়িতে তার সাথে মেচিং করা অনামেনস্ট চুল গুলো বেনি করে তার মধ্যে ফুল লাগিয়ে দিয়েছে আর মুখে ভারি মেকআপ দারুন লাগছে।।
আয়ানা: তোমাকে খুব দারুন লাগছে দি একদম পরির মত সাফিয়া কে জরিয়ে ধরে বলল।।
সাফিয়া: তোকে সাজ ছারাই পরি লাগছে যা রেডি হয়ে নে ।।
আয়ানা: ওকে দি কিন্তু আমি এসব মেকআপ লাগাবে না আমার ভালো লাগে না।।
সাফিয়া: আচ্ছা ঠিক আছে।।
কিছুক্ষণ বাদে আয়ানা চেঞ্জ করে আসে এসে দেখে সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে সে কি অন্য জগৎ থেকে এসেছে যে এই ভাবে তাকাতে হবে।।
ও মাই গড আয়ু তোকে খুব দারুণ লাগছে অবস্যই তুই আমাদের চেয়ে অনেক সুন্দর বলে জরিয়ে ধরে সাফিয়া।।
আয়ানা মুচকি হেসে রেডি হতে থাকে । সবার সাজ কমপ্লিট সবাই কে দারুন লাগছে সবচেয়ে বেশি লাগছে আয়ানাকে তাকে যেন আজ আসমান থেকে নেমে আসা হুর দের রানি লাগছে হলুদ লেহেঙ্গা সাদা শরীরে দারুন মানিয়েছে সাথে হালকা ফুলের অনামেন্টস মাথায় ফুলের টিকলি হাত ভর্তি হলুদ কাঁচের চুড়ি দুই পায়ে গারো করে আলতা দিয়েছে তার সাথে দুই পায়ে পায়েল মুখে কোনো প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করে নি চকলেট কালার ঠোঁট দুটো আরেকটু চকলেট কালার লিপস্টিক দিয়েছে এতে তাকে সবার সেরা লাগছে সবাই প্রশংসা করেছে।।সাজের পর্ব শেষ করে বিল মিটিয়ে কমিউনিটির সেন্টারের উদ্দেশ্য রওনা হলো।।।

চারিদিকে রং বেরঙের ফেয়ারি লাইট মরিচ বাতি আর সুন্দর সুন্দর তাজা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে কমিউনিটি সেনান্টারটা অবাক চোখে ঘুরে ঘুরে দেখছ আয়ানা অসম্ভব সুন্দর লাগছে ডেকোরেটটা কমিউনিটি সেন্টারে প্রবেশ করতে আরেক দফা সবার সুনামের মুখোমুখি হয় শীতল কাজলের টিপ লাগিয়ে দিয়েছে কানের নিচে এসব থেকে বাঁচতে চারিদিকে ডেকোরেশন দেখতে বিজি এসব ফাংশানে থাকা অবস্থিত নয় আয়ানা তাই মানুষের ভিড় এরিয়ে চলছে।। হঠাৎ সব মেয়েরা ফুলের ঝুড়ি নিয়ে গেইটের দুই দিকে দাঁড়িয়ে পরলো অনেক গুলো গাড়ি গেইটে প্রবেশ করেছে হয়তো সাফিয়ার শশুর বাড়ির লোকজন চলে এসেছে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে নিলে লাবিহা হাত ধরে অন্যদিকে নিয়ে যায়।।

ইরফানকে গাড়ি থেকে নামতে চারিদিকে মেয়েরা হা করে তাকিয়ে আছে আজকে পুরাই কিলার লুক নিয়ে এসেছে হলুদ পাঞ্জাবীতে অনেক সুন্দর লাগছে চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করে রেখেছে হাতে ব্রেন্ডের গড়ি সু আর কালো সানগ্লাস অসাধারণ লাগছে মেয়েরা যদি পারতো হুমরি খেয়ে পরত কিন্তু এমন যদি কেউ করে তার লাশ পরবে।। চারপাশে প্রেশ এর লোক বর্ডি গার্ডরা তাদের আটকিয়ে রেখেছে এটিটিউট এর সাথে গটাগট পা চালিয়ে সেন্টারের ভিতর ঢুকে পরে ইরফান তার পিছন পিছন তার বর্ডি গার্ডরা কিছু মেয়ে এসে ফুলের তোড়া দিতে নিলে ইরফান ইগনোর করে চলে যায় তার বিরক্তি আর রাগ দুটোই হচ্ছে এমন অকেশন একদম পছন্দের না আর এসব মেয়েদের তো নয়।।গটাগট গিয়ে নিজের জায়গায় বসে পরে আর সাথে হাতে ড্রিংসের গ্লাস নিয়ে খেতে থাকে।।

আরে লাবিহা কি হয়েছে এমন করে টেনে কেনো আনললি।।।
দেখ না আয়ানা আমার জামার চেইন টা খুলে গেছে লাগিয়ে দেয় না।।
ও এই ব্যাপার ঘুর আমি লাগিয়ে দিচ্ছি ।।
ধন্যবাদ ইয়ার।।
এই নে এবার ঠিক আছে চল আমাদের দি খুঁজবে।।
হুম চল।
এই এই আয়ানা শুনো সিমি সাফিয়ার ফ্রেন্ড
জ্বী আপু সামনের দিকে তাকিয়ে।।
ওইদিকে চলো আমরা সব মেয়েরা অনেক মজা করছি তুতুলরাও ওখানে আছে।।
আচ্ছা আপু বলে আয়ানা আর লাবিহা সিমি মিলে করিডোরের কাছে গেল এইখানে সব মেয়েরা আড্ডা দিচ্ছে আয়ানা আসতেই তুতুল বলে উঠলো
এই নেও শুরু করো আয়ানা চলে এসেছে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে সাফিয়ার সাথে আমাদের শেষ আড্ডা আমরা একটা গেমস খেলবো।।
এখন গেমস দি সবাই কি বলবে আর সাফিয়া দির শশুরবাড়ি লোকজন চলে এসেছে আমরা এখন গেমস খেলবো।।
চিল আয়ু কিছু হবে না আম্মি নিতে আসলে চলে যাবো আর এখানে কেউ আসবে না সো গেমস স্টাট গাইস।।

স্যার আপনার কল এসেছে খুবই জরুরি।।(গার্ড)
হাতের মোবাইল টা নিয়ে উঠে দাঁড়ালো ইরফান কানে দিয়ে কথা বলতে বলতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার পিছন পিছন দুজন গার্ড।।

এই নে আয়ু এবার তোর পালা তোকে একটা ট্রুথ আর একটা ডেয়ার নিতে হবে প্রথমে ট্রুথ কে প্রশ্ন করবে।। আমি করবো ইশা বলে উঠে কখনও প্রেম করেছো আয়ানা।।
না আপু।।
সবাই একসাথে কেনো 😶😶
একটা প্রশ্ন করার নিয়ম ছিল 😁
চালাক মেয়ে ওকে এবার ডেয়ার কি দেওয়া যায় ইশা লাবিহা আর সিমা মিলে ঠিক করলো তারপর ওকে তোমার ডেয়ার তৈরি চলো।।
কোথায় ।।।
আরে আসো তোমাকে প্রেমে পরার ব্যবস্থা করছি।।
কী 😳😳 (আয়ানা)
জ্বী ওকে গাইস আমরা চারজন আসছি আয়ানার ডেয়ার পূরন করে বলে চলে যায়।।

আর কতোক্ষণ আপু দাড়িয়ে থাকবো আমাদের এখন চলে যাওয়া উচিত।।(আয়ানা)
আর একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখি এখানে তো কেউ আসে না।। (সিমি)
এই পেয়েছি ওই দিকে গ্লাসের বাহিরে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে হলুদ পাঞ্জাবী গায়ে।।(ইশা)
হ্যা তাই তো দেখছি যাও আয়ানা নিজের ডেয়ার পালন করো।।( সিমি)
আপু অন্য একটা ডেয়ার দেও এটা আমি পারবো না প্লিজ।।(আয়ানা)
না না আয়না ডেয়ার তো তোকে মানতে হবে দেরি করলে পানিসমেন্ট।(লাবিহা)
ওকে ঠিক আছে আমি যাচ্ছি বলে একটা ঢুক গিললো তার পর কাপাকাপা পায়ে এগিয়ে গেল সামনের ব্যাক্তির কাছে যে উল্টো দিকে মুখ করে কথা বলছিল আয়ানার যেন পা চলছিল না মনে হচ্ছিল কেউ জোর করে আটকিয়ে রেখেছে আর বলছে না আয়ানা যাস না সেখানে তোর বিপদ।।লোকটার কাছে আসতে দেখতে পেলো কারোর সাথে কথা বলছে অনেক লম্বা বডি বিল্ডার এতো বড় লোক আয়ানা হা করে তাকিয়ে আছে লোকটা এতো লম্বা যে তার হাইট আকাশ ছোই মনে হচ্ছে তার কাছে নিতান্তই ছোট পিচ্চি একটা মেয়ে চুনুপুটি সে আরেকটু কাছে আসতে বুকের ভেতর কেউ ট্রেন চালাচ্ছে মনে হচ্ছে ডুক গিলে পিছনে তাকালো দেখলো সিমি রা দাঁড়িয়ে আছে আর তাকে তার কাজ কনটিনিউ করতে বলছে।।

খুব সুন্দর একটা মিষ্টি গন্ধ নাকে আসছে অসাধারণ গন্ধ টা ড্রাগস নেওয়ার মতো করে জোরে টান দিতেই আরো গভীরে ভাবে পাচ্ছে আস্তে একটা ঢুক গিললো ইরফান নেশা চরে যাচ্ছে তার এতো সুন্দর গন্ধ হঠাৎ ঝুন ঝুন আওয়াজ পেলো তার পিছন থেকে খুবই সুন্দর মনোরম মধুর ধ্বনি কানে ভাসছে যেটা তার খুব কাছ থেকেই আসছে মোবাইলটা রেখে হঠাৎ নিচু হয়ে ফিরতে কারোর ঠোঁটে ঠোঁট বসিয়ে দেয় আকস্মিক কাজে ইরফান হতবাক কিন্তু এই অবাক চিহ্ন কাটিয়ে মুখে মুগ্ধতা ফুটে ওঠে সামনে থাকা চোখ গোল গোল করে তাকিয়ে থাকায় অপরুপ রমনীর উপরে সেখানে আটকে যায় চোখ , হ্রদপিন্ডটা ধরাসা ধরাস আওয়াজ করছে এই রকম ফিলিংস প্রথম হচ্ছে তার নেশায় পরে গেছে সে।। ইরফান খানের নেশা চরেছে তাও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নেশা এই নেশায় থেকে সে আসক্ত হচ্ছে তাও আবার গভীর ভাবে ।।আয়ানা হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে এসেছে গালে কিস করতে কিন্তু এখন উল্টো হয়ে গেছে এক ঝটকায় লোকটার থেকে নিজেকে জড়িয়ে নিলো হাতের উলটো পিট দিয়ে ঠোঁট মুছতে শুরু করলো সামনে কে দাঁড়িয়ে আছে তার খবর নেই নিজের ঠোঁট নিয়ে ব্যাস্ত জীবনের প্রথম কিস তাও আবার এমন ছিল ভাবতে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে সামনে না তাকিয়ে বুঝতে পারছে লোকটা গভীর ভাবে তাকিয়ে আছে তার দিকে ।।

ইরফান অবাক হয়ে আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে এতো সুন্দর কোন মেয়ে হয় সে ভাবতে পারছে না সাদা গুলমুলো গাল গুলো লজ্জা লাল টকটকে হয়ে আছে চকলেট এর মতো ঠোঁট গুলো মন চাচ্ছে ছিরে খেয়ে ফেলে আর চোখের কথা কি বলবে চোখের দেখায় গায়েল হয়েছে আর হাঁটুর নিচ অব্দি লম্বা চুলগুলো তো পুরাই পাগল করে দিচ্ছে ঠোঁটের নিচের তিল টা ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে এক কথায় ছোট খাটো একটা পুতুল প্রথম দেখায় নেশা চরে গেছে এই নেশায় সারাজীবন নিলে ও তার স্বাদ মিটবে না।।চাই এই নেশা টা তার চাই
এই নেশায় তাকে #বিষাক্তময় আসক্তি ফেলেছে আর তার শাস্তি তাকে পেতে হবে।।এই বিষাক্ত আসক্তি তার চাই যেকোনো মূল্যে।।।।আয়ানার দিকে এগোতে নিবে এমন সময় সেখানে উপস্থিত হলো ইরফান এর গার্ডরা যাদের ইরফান অন্য জায়গায় দার করিয়ে রেখে এসেছে ইরফান আসছে না বলে তারা এখানে এসেছে।।

ইরফান চোখ দিয়ে ইশারা করতে গার্ডগুলো চলে যায়।। ইরফান কে কিছু বলতে না দিয়ে এই খান থেকে দৌড়ে চলে যায় আয়ানা,আয়ানার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসে ইরফান।।আর মনে মনে বলতে থাকে তোমার দিকে শুকুনের নজর পরেছে মাই লাভ #The Villain তোমার জিবনে দখল নিয়ে ফেলছে যেখানে তোমার বলতে কিছু থাকবে না তোমার সব কিছুই আমার অধিকার থাকবে তোমার প্রত্যেক বাজে বাজে আমার নাম থাকবে ওয়েল কাম মাই কিংডম মাই ডেবিল কুইন পালিয়ে কোথাও যেতে পারবে না ফিরে এই ইরফানের কাছে আসতে হবে বাঁকা হেসে 😈

🌼…………(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here