বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৫

0
1437

বিষাক্তময় আসক্তি
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ৫…………🌼

ইরফান চোখ দিয়ে ইশারা করতে গার্ডগুলো চলে যায়।। ইরফান কে কিছু বলতে না দিয়ে এই খান থেকে দৌড়ে চলে যায় আয়ানা,আয়ানার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসে ইরফান।।আর মনে মনে বলতে থাকে তোমার দিকে শুকুনের নজর পরেছে মাই লাভ #The Villain তোমার জিবনে দখল নিয়ে ফেলছে যেখানে তোমার বলতে কিছু থাকবে না তোমার সব কিছুই আমার অধিকার থাকবে তোমার প্রত্যেক বাজে বাজে আমার নাম থাকবে ওয়েল কাম মাই কিংডম মাই ডেবিল কুইন পালিয়ে কোথাও যেতে পারবে না ফিরে এই ইরফানের কাছে আসতে হবে বাঁকা হেসে 😈

আয়ানা দৌড়ে গিয়ে তুতুলের পাশে চেয়ারে বসে পরে এখনো বুকটা ধকধক করছে।।‌ একটু আগের কথা ভেবে লজ্জায় গাল গুলো গরম হয়ে গেছে সবাই জেকে ধরলো সে তার ডেয়ার পূরন করেছে কিনা পিছন পিছন সিমি শিলা লাবিহা ও এখন কি বলবে সবাইকে এক কাজ করতে গিয়ে অন্য কাজ করে এসেছে ভাগ্যিস লাবিহারা দূরে ছিল তাই কিছু বুঝতে পারে নি ।।
এই আয়ানা বলছো না কেন তুমি ডেয়ার পালন করেছো তো নাকি ছেলেটা সেখান থেকে চলে গেছে আর তুমি কিছু করতে পারোনি।(শিলা)
আমার মনে হচ্ছে আয়ানা ভয়ে ওইখান থেকে পালিয়ে এসেছে যেই ভিতুরানি সে।।(সাবিহা)
সাবিহার কথা শুনে চটে গেলো আয়ানা সে ভিতু এই কথাটা একদম সহ্য হয় না রাগ হয় কেউ তাকে ভিতু বললে তাই চটজলদি বলে ফেলে ডেয়ার ডান।। সবাই আরো কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু তার আগে শীতল চলে আসে সবাইকে নিচে যেতে বলে তারপর সবাই নিচে চলে যায়।।।

স্যার মেম এর নাম আয়ারা আহাম্মেদ আয়ানা সাফিয়া ভাবির চাচা জায়েদ আহাম্মেদ এর ছোট মেয়ে বড় মেয়ের নাম সায়রা আহাম্মেদ তুতুল মেমরা বাংলাদেশ থাকে বিয়ে উপলক্ষে এখানে এসেছে এক নিঃশ্বাসে কথা বলে থামালেন একজন বডিগার্ড।।

আয়ু আনমনে বলে মুচকি হাসলো ইরফান তার পর গার্ড কে চলে যেতে বলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় নিজের জায়গায় বসে পরে তার পর কিছু একটা ভেবে একজন কে কল করে।।।

আয়ানা সবার সাথে হল রুমে আসতে চোখ যায় মেইন প্লেসে যেখানে সাফিয়ার শশুরবাড়ি লোকজন সেইখানে মোবাইলে কথা বলছে ওই সময়ের লোকটা তাকে দেখে লজ্জার চেয়ে ভয় বেশি হচ্ছে সে ওইখানে কি করছে এটাতো বরের বাড়ির লোকদের জন্য যদি এমন হয় কপালে দুঃখ আছে তখন লোকটিকে ভালো করে দেখতে না পেলেও এটা ওই লোকটা বুঝতে পেরেছে।। চারপাশে কতো গুলো বডিগার্ড যাদের গায়ের পোশাক আর রোবটের মত চলাচল গুলো প্রমান , লোকটার চারপাশে এতো বডিগার্ড বাহিরে বডিগার্ড লোকটা কি খুব স্পেসাল কেউ মনে মনে ভাবছে।। দেখতে মাসাল্লাহা অনেক লম্বা বডিবিলডার সুন্দর হ্যান্ডসাম ডেশিং লোক ঠোঁট গুলো কালো মনে হয় স্মোক করে কিন্তু খুব সুন্দর এমন চেহেরার সাথে এমন না হলে বেমানা দেখাতো কেমন জেন মাফিয়া মাফিয়া হাবভাব যেটা একদম পছন্দ হয়নি তার হঠাৎ নিজের কাজের জন্য অভাক হলো সে এতোক্ষণ একটা ছেলেকে স্কেন করছিল ছেটা বরাবরই লজ্জা জনক আজকে যদি এমন না হতো কখনোই সে এই অচেনা ব্যাক্তিকে স্কেন করতো না যে মেয়ে ছেলেদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না শুধু মাত্র তার বাবা ছাড়া সে কিনা একটা অচেনা পুরুষকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে ভেবে গালে বাড়ি দিয়ে তওবা পরলো।। কিন্তু এখন কথা হচ্ছে লোকটা কে যদি সবাইর কাছে বলে দেয় ভেবে মাথায় বিন্দু বিন্দু ঘাম হচ্ছে।। তারাতাড়ি তুতুলের পিছন লুকিয়ে পরল যাতে তাকে না দেখা যায় তুতুল যেই দিকে যাচ্ছ সে ও যাচ্ছে তুতুল থেমে গেলে আয়ানা ও থেমে যাচ্ছে তুতুল বিরক্ত হয়ে বলল কি হয়েছে তোর এমন বাচ্চাদের মত পিছন পিছন ঘুরছিচ কেনো।।
আসলে দি আমার এতো মানুষ অনেক আনিজি লাগছে তাই।।।
তাহলে সামনে এসে আমার পাশাপাশি হাট পিছন পিছন হাঁটছিস কেনো তোকে দেখে যে কেউ ভাববে চুরি করে জেলে যাওয়ার ভয়ে এমন করছিস।।(তুতুল)
না দি আমার সত্যি আনিজি লাগছে ।।(আয়ানা)
আচ্ছা দি ওই যে লোকটা সোফায় বসে আছে ওনি কে ইরফানের দিকে ইশারা করে।
ওনি সাফিয়ার দেবর কালকে তুই যখন ঘুমাচ্ছিলি বড় বাবার কাছে সাফিয়ার শশুর বাড়ির সবার ছবি দেখেছি কেন বলতো ভ্রু নাচিয়ে।।
না এমনি বললাম আশেপাশে এতো গার্ড কোনো বিআইপি পার্সোন কিনা তাই কিছুটা ভয়ের সাথে বললো।।।(আয়ানা)
বিআইপি তো হ্যা পুরা কাশ্মীরের রাজা রাজনীতিবাদ ও নেতা বিআইপি তো হবেই তুই এতো ভয় কেন পাচ্ছিস তোকে কিছু করবে নাকি চল এখন।।
আমি কেনো ভয় পাচ্ছি তোমাকে বুঝাতে পারবো না দি মনে মনে।।

ইরফান কথা বলে সামনে তাকাতে দেখে আয়ানা। মুখ দেখা যাচ্ছে না কিন্তু এটা আয়ানা তার নেশা যাকে আবছা দেখে চিনতে পারে আর এটা খুব ভালো করে বুঝতে পারছে তার নজরে যাতে না পরে তাই এমন করছে কিন্তু সে তো আর জানে না ইরফানের চোখ একবার যাতে পরে তার চোখ থেকে পালানো সহজ না আর এটা তো তার প্রপাটি তার ভালোবাসা এটা চোখের আড়াল হওয়ার কথা প্রশ্ন আসে না ভেবে বাঁকা হেসে সামনে এগিয়ে যেতে নিলে হঠাৎ করে তার চোয়ালে শক্ত হয়ে গেল মুখের রং পরিবর্তন হয়ে হিংস্রতা প্রকাশ পেলো তার ঠিক কিছু দূরে আয়ানা যে এখন নিজের জামা দুই হাত দিয়ে ঝারছে ।। আয়ানা যখন তুতুলের পিছন পিছন এদিক সেদিক যাচ্ছিল এমন সময় একজন ওয়েটারের সাথে ধাক্কা লেগে জামায় জোস পরে যায় ভূলটা আয়ানার ছিল সে না দেখে ধাক্কা খায়।।।
সরি সরি ম্যাম আমি দেখতে পাই নি আমি দুঃখিত 😔।
ইটস ওকে আমিও না দেখে ধাক্কা খেয়েছি আমি সরি বলে মুচকি হেসে জামা ঝারতে লাগলো।।
ম্যাম এইনিন টিস্যু পেপার আপনি ওয়াসরুম থেকে ক্লিন করে আসুন আমি আবারও দুঃখিত 😔।।
ইটস ওকে চল আয়ানা আমি তোর সাথে যাবো।(তুতুল)
ওকে দী।।(আয়ানা) বলে দুজনে ওয়াশরুমে চলে যায়।।
আর অন্যদিকে ইরফান রেগে আগুন হয়ে যায় রাগের ফলে হিসহিস আওয়াজ আসতে শুরু করে পকেট থেকে মোবাইল বের করে একজনকে কল করলো তারপর সামনের দিকে হাঁটা দিল।।

এই যে ম্যাম শুনছেন।।(মেয়ে)
জ্বী কিছু বলবেন।।(তুতুল)
জ্বী আসলে আমার আপনার সাহায্যের প্রয়োজন ছিল আসলে আমি আমার হিরের আংটি টা খুজে পাচ্ছি না হল রুমে কোথাও পরে গেছে আপনি কি আমাকে একটু আংটি টা খুঁজতে সাহায্য করবেন প্লিজ।।(মেয়ে)
তুতুল ওয়াসরুমের দিকে একবার তাকিয়ে বলল আচ্ছা চলুন আমি সাহায্য করছি।।(তুতুল)
ধন্যবাদ আপনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আপনাকে বিরক্ত করলাম।।(মেয়ে)
মাই প্লেজার মুচকি হেসে ( তুতুল)

আয়ানা জামা থেকে জুসের দাগ সারাতে চেষ্টা করছে কিন্তু ওটছে না খুব করে আরো এটে জাচ্ছে এখন বিরক্ত লাগছে দশ মিনিট ধরে চেষ্টা করছে দাগ ওঠছে না হলুদ জামা তাই বুঝা না গেলেও কাছ থেকে বুঝা যাবে নতুন জামাটা আজকেই পরলো আর নষ্ট হয়ে গেল এখন কান্না পাচ্ছে ভ্যা ভ্যা করে কান্না করতে পারলে ভালো লাগতো হঠাৎ ওয়াশরুমের লাইট ওফ হয়ে গেল অন্ধকারকে বরাবরই ভয় পায় সে ছোট বেলায় থেকে অতিরিক্ত রক্ত আর অন্ধকার এই দুই জিনিসের মধ্যে তার ফোবিয়া আছে অতিরিক্ত ভয় পেলে অজ্ঞান হয়ে যায় মাঝে মাঝে তো ভয়টা বেশি হলে দুই দিন জ্ঞান ফিরে না হঠাৎ দরজায় আটকানো আওয়াজে আরোও ভয় পেয়ে গেলো ওয়াশরুমে সে যারাও কারোর উপস্থিত বুঝতে পারছে ভয়টা এখন দ্বিগুণ হয়ে গেছে ভয়ে তরতর করে কাঁপছে তাও সাহস জুটিয়ে বলল ।

দি এটা কি তুমি কোথায় তুমি তোমার ফ্লাশটা একটু অন করো প্লিস আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ।(আয়ানা)

্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্।।

কী হ-হলো দি শুনতে পা-পাচ্ছো না কাপাকাপা গলায় ভয়ের ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে পাশের বেসিনে ধরে নিচু হয়ে কাঁপতে লাগল তখন খুব কাছে কেউ আছে মনে হচ্ছে এটা যে তুতুল না বুঝতে পেরেছে আর এটাও বুঝতে পারছে এটা ছয় ফিট বডি বিশিষ্ট একটা পুরুষ বাহিরে ঝকমকে লাইটের আবছা আলোয় বলে দিচ্ছে, কথা বলার মত অবস্থা ও নেই সে শরীর গনগন কাঁপছে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে কাঁপা কাঁপা গলায় কিছু বলতে যাবে ঠোঁটে কারোর ডিপ কিস অনুভব করল যা ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে সরিয়ে দেওয়ার বিন্দুমাত্র শক্তি নেই।। আগুন্তক লোকটি ধিরে ধিরে তার লেহেঙ্গার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে পেটের সাইটে স্লাইট করছে আয়ানা কাপাকাপা হতে সরাতে চাইলে ও পারে না ওল্টো লোকটি গারের পিছনে শক্ত করে ধরে আরো গভীর ভাবে কিস করতে থাকে মনে হচ্ছে কোন ছোট বাচ্চা ললিপপ চুষছে ।। আগুন্তক লোকটি একটু পর পর পুশ করে কিস করছে এমন হাবভাব সে গুড কিসার।। অন্যদিকে আগুন্তক ব্যাক্তি নিজের সামনে নিজের সবচেয়ে বড় নেশাটা পেয়ে তার বিষাক্ত মন কে শান্ত করছে এই নেশায় সে জীবনের তৃপ্তি পেয়েছে যত নীবে ততো কম হবে সামনের ব্যাক্তি যখন বুঝতে পারলো আয়ানা ক্রমে দুর্বল হয়ে পরেছে না চাওয়ায় শর্তে ও আস্তে আস্তে তাকে ছেড়ে দেয় এই বিষয়টা সে খুব বিরক্ত এতো টুকুতে হাঁপিয়ে গেছে একদম পছন্দ নয় তার নিজের কাজে ব্যাঘাত ঘটানো কিন্তু এখন তাকে ছেড়ে দিতে হবে কারণ আর একটু থাকলে আয়ানা সেন্সলেস হয়ে যাবে আগুন্তক ব্যাক্তিটি আস্তে করে ছেড়ে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে খুব যত্ন সহকারে বসিয়ে আস্তে করে চলে গেল আগুন্তক ব্যাক্তিটি চলে যেতে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলল আয়ানা তারপর বেসিনের সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস নিলো হঠাৎ আলো আসায় পিট পিট করে চারিদিকে তাকালো না কেউ নেই দরজাটাও যেই ভাবে ভিরানো ছিল সেই ভাবে আছে তাহলে এতোক্ষণ তার সাথে কি হয়েছে।।।

এইতো ম্যাম পেয়ে গেছি আপনাকে ধন্যবাদ আপনি যে কাজ করছিলেন তা করোন তা বলে মেয়েটি সেখান থেকে চলে গেল মেয়েটির যাওয়ার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তুতুল কি হলো এটা তার কথা শুনার প্রয়োজন বোধ করলো না অদ্ভুত হঠাৎ আয়ানার কথা মনে পরায় তারাতাড়ি ওয়াসরূমে যা যেয়ে দেখে আয়ানা বেসিনের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে চোখ বন্ধ ঘেমে নাজেহাল অবস্থা মুখটা একদম লাল হয়ে গেছে আয়ানার এই অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায় তুতুল দৌড়ে আয়ানার কাছে যায়।।
কি হয়েছে তোর আয়ানা এমন লাগছে কেন তোকে তুই কি কিছু দেখে ভয় পেয়েছিস বল আমায় কষ্ট হচ্ছে তোর আমি আম্মি কে ডাকছি।( তুতুল)
না দি আ আমি ঠিক আছি ওয়াশরুমে লাইট অফ হয়ে যাওয়া ভয় পেয়েছি এখন একটু বেটার ফিল করছি।।(আয়ানা)
কি বলছি লাইট কেনো অফ হবে আর আমার উচিত হয় নি এখান থেকে যাওয়া ওঠ এখন চল রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে বলে আয়ানাকে উঠিয়ে দার করালো তারপর আস্তে আস্তে করে গেস্ট রুমের দিকে নিয়ে গেল আয়ানারা ওয়াশরুম থেকে বের হতে আগুন্তক ব্যাক্তিটি পাশের পিলারের পিছন থেকে বের হলো তিক্ষ্ন্য দৃষ্টি নিক্ষেপ করল আয়ানার চলে যাওয়ার দিকে , তার নজর তুতুলের ধরে রাখা আয়ানার হাতের উপর চোখ বন্ধ করে গার টা একদিক ওদিক করে নিজের রাগ কমানোর চেষ্টা করছে তার সহ্য হচ্ছে না কেউ আয়ানার হাত ধরুক সেটা মেনে নিতে পারছে না সে হোক মেয়ে অথবা আয়ানার বোন মা বাবা ।কেউ তাকে ছুঁতে পারবে না তাকে শুধু তার ছোঁয়ার রাইট আছে আর কারোর না মোবাইলের আওয়াজে সেদিকে তাকালো মোবাইলটা কানে নিয়ে রিসিভ করতে অপর পাশ থেকে বলে উঠলো।।
স্যার কাজ হয়ে গেছে।।(লোক)
ওকে আমি আসছি বলে মোবাইল টা কেটে দিলো। তারপর বলতে থাকলো তোমার দিকে তাকানোর সব জিনিস কে আমি দুনিয়া ছারা করে দিবো ছোঁয়া তো দূরের কথা তুমি শুধু আমার তোমাকে সব ভাবে আমি ছোবো আর কেউ ছোয়লে তার জান নিয়ে নিব আয়ু জান বলে নিজের রহস্যময় হাসি দিয়ে বাহিরে চলে যায় নিজের কাজ পরিপূর্ণ করতে।।

এই কি হয়েছে আয়ানা তোমার শরীর খারাপ লাগছে তুতুল কি হয়েছে আয়ানার কিছুটা চিন্তিত হয়ে বললেন শীতল আয়ানাকে গেস্ট রুমে এনে তুতুল মিসেস শীতল কে কল করে এখানে আসতে বলে এসে আয়ানার অবস্থা দেখে ঘাবড়ে যায়।।
আসলে আম্মি আয়ানা ওয়াশরূমে অন্ধকার দেখে ভয় পেয়ে যায় তাই একটু ওইক হয়ে গেছে।।(তুতুল)
তুমি কোথায় ছিলে তুতুল আমি তোমাকে বলেছি না সব সময় বোনের সাথে থাকতে তুমি জানো আয়ানা এসব মানুষের ভিড় অবস্থিত নয় কিছুটা রেগে বলেন।(শীতল)
সরি আম্মি মাথা নিচু করে বলল তুতুল।।
ইটস ওকে এখন গিয়ে আমার ব্যাগ থেকে মেডিসিনের বাক্সটা নিয়ে আসো আর সাথে করে লেবুর শরবত। শীতল আয়ানার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললেন।।
ওকে আম্মি বলে তুতুল বের হয়ে যায়।।
এখন কেমন লাগছে আয়ান মা একটু বেটার ফিল করছো মাথা হাত বুলিয়ে বলল।।
হ্যা আম্মি এখন কিছুটা বেটার ফিল করছি মুচকি হেসে।।(আয়ানা)
এতো ভয় কেন পাও আয়ু সোনা তোমার এই ভয়ের জন্য আমাকে সব সময় ভয়ে থাকতে হয় কবে তুমি এসব ভয় দুর করতে পারবে নিজের মন থেকে মাথায় চুমু দিয়ে জরিয়ে ধরলো।।
আমি অনেক চেষ্টা করি আম্মি কিন্তু বরাবরই হেরে যাই নিচু স্বরে বলল।।
আচ্ছা ঠিক আছে মাথায় প্রেশার দিও না সমস্যা হবে।।
আম্মি এই নেও মেডিসিনের বাক্স আর শরবত শীতলের হাতে দিয়ে আয়ানার পাশে বসল।।আয়ানা সোজা হয়ে বসতে আয়ানার হাতে শরবতের গ্লাস ধরিয়ে দেয় শীতল।।
এক নিঃশ্বাসে সম্পূর্ণ করো।।
শীতলের হাত থেকে গ্লাস টা নিয়ে এক নিঃশ্বাসে সম্পূর্ণ গ্লাস শেষ করল কিন্তু মুসিবত হলো মেডিসিন খাওয়া নিয়ে সে কোন কালে মেডিসিন খাওয়া পছন্দ করে না মেডিসিন খেলে তার বোমি আসে গিলতে পারে না গলায় আটকে যায় মনে হয় ।। আজকে ও সে মেডিসিন খাবে না।।
আম্মি আমি বেটার ফিল করছি মেডিসিন লাগবে না। (আয়না)
কোনো ঝামেলা করো না আয়ানা আমার অনেক কাজ তোমাকে মেডিসিন খাইয়ে আমাকে যেতে হবে ঝটপট খেয়ে ফেলো।।
না আম্মি প্লিজ🥺🥺🥺
নো মোরস ওয়াড বলে চেপে মুখে মেডিসিন দিয়ে চেপে ধরে যাতে না ফেলতে পারে অনেক কষ্টে ডুক গিলে আয়ানা তার পর পানি খেতে খেতে বলে কি নির্দয় আম্মি।।(আয়ানা)
আয়ানার কথা হেসে দেয় মিসেস শীতল আহমেদ আর তুতুল।। ওকে ঠিক আছে তুমি রেস্ট করো আমরা আসছি বের হবে না একদম তুমি অনেক ওইক আমি কিছুক্ষণ বাদে এসে দেখে যাবো।।
ওকে আম্মি😊।।শীতল আর তুতুল চলে গেল ।।

বাগানে হাত বেঁধে হাঁটু মুড়িয়ে বসে আছে একটা লোক মাথা থেকে টপটপ করে রক্ত পড়ছে হাত পায়ের অসংখ্য জায়গায় থেঁতলে গেছে তার থেকে ফিনকে রক্ত পড়ছে সাদা শার্টের অনেক অংশ রক্তে লাল হয়ে গেছে তার চারপাশে অনেক গুলো লোক দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ লোকটার সামনে একজন লোক হাঁটু গেড়ে বসে মাথার চুল গুলো টেনে উপরে তুলল সামনের ব্যাক্তিকে দেখে ভয়ে আতকে উঠে লোকটি। থরথর করে কাঁপছে বুঝতে পারছে না তার ভূল কোথায় যে তাকে দ্যা ইরফানের সম্মুখে হতে হলো।।হরতাল লোকটিকে যে মেরেছে সে ইরফান আর তখনের সেই আগুন্তক ব্যাক্তিও ইরফান ছিল ইরফান একটা ছুরি দিয়ে লোকটার সারা শরীরে স্লাইট করছে তা দেখে ভয়ে লোকটির অন্তর আত্মা বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম ভয়ে তোতলাতে তোতলাতে বললো
স্যা স্যার আ আমাকে ছেড়ে দেন আ আমি কি করেছি আমাকে আটকে কেনো রেখেছেন ভিতু কন্ঠে বললো।।(লোক)
কী করেছিস তুই বুঝতে পারছিস না তাইনা চুলের মুঠি আরো জোরে টান দিয়ে তুই আমার জানের গায়ে হাত দিয়েছিস তোর সাহস কি করে হয় আমার জানের দিকে হাত বাড়ানোর বলে জোরে বুকে লাথি মারে ইরফান।।
লোকটা হেচরি হেচরিয়ে ইরফানের পা জরিয়ে ধরে বলে স্যার আপনি কার কথা বলছেন আমি বুঝতে পারছি না দয়া করে আমাকে মাফ করে দেন।।।

বুঝতে পারছিস না তাই না ওকে তোকে আমি বুঝাসি বলে টেনে দাঁড় করালো তারপর লোকটার কানে ফিসফিসিয়ে ভয়নকর কন্ঠে বললো হলরুমে তুই যার গায়ে জোস ফেলেছিস সে আমার জান তোর সাহস কি করে হয় আমার জিনিস নোংরা করার বলে আবারও জোরে লাথি মারে লোকটা এবার জোরে চিৎকার করে উঠল সাথে সাথে ইরফানের লোক গুলো মুখে টেপ মেরে দেয় ইরফান লোকটার পাশে বসে হাতের আঙ্গুল গুলো দেখতে দেখতে বলে এই আঙ্গুল গুলো আমার জানকে স্পর্শ করেছে এগুলোর কিছু একটা করতে হবে ইরফানের কথা শুনে লোকটা ছটপট করতে থাকে ইরফান একজনকে কিছু একটা আনতে বলে লোকটা চলে যায় তারপর হাতে করে অনেক বড় লোহার ধারালো কেচি আনে তারপর হাতে নিয়ে লোকটার হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলে চাপ দিতে ফট করে আঙ্গুল টা মাটিতে পরে গেল রক্তে মিনিটে সবুজ ঘাসের রং লাল হয়ে গেছে লোকটা কৈ মাছের মত লাফাতে লাগলো তারপর এক এক করে দশটা আঙ্গুল কেটে দিলো লোকটার মাঝে এখন সেন্স নেই শুধু মৃদু মৃদু শ্বাস ফেলছেন কাতরাতে কাতরাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ইরফানের গায়ে ও রক্ত লেগে আছে তার এই র্নিমম কাজ দেখে তার বডি গার্ডরা থরথর করে কাঁপছে এটা তাদের কাছে নতুন না এমন রোজ হয় তবুও এজিদের কাপাকাপি থামাতে পারেনা।। হঠাৎ একটা লোক এসে ইরফানের হাতে একটা ধারালো ছুরি দিতে ইরফান আহত ব্যক্তির বোক থেকে শার্ট সরিয়ে হার্ট বরাবর খুব নির্মম ভাবে আগাত করতে থাকে লোকটি মারা যাওয়ার পর ও হঠাৎ জোরে চিৎকার এর আওয়াজে হাত থেকে ইরফানের ছুরিটা পরে যায় সমনে তা দেখে তার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলো না সে।।।

আয়ানা ভয়ে নিজের মুখ চেপে রাখার চেষ্টা করছে বর কাঠ গোলাপ গাছের পিছন থেকে সে এতোক্ষণ যা হয়েছে তা সব দেখেছে ভয়ের চোটে নিজের হাত জোরে কামর দিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করছে ভয়েই থরথর করে কাঁপছে সামনে এমন একটা ঘটনার মুখে পরেছে দৌড়ে পালানোর শক্তি পযন্ত অবশিষ্ট নেই।।

ইরফান আয়ানার ভয়ার্ত মুখটা দেখে আবারও তার প্রেমে পড়ে গেছে এই ভয় মাখা মুখ খানা ও তার মাথায় নেশা চরাছে কিন্তু। আয়ানা তাকে ভয় পাচ্ছে এটা তার সহ্য হচ্ছেনা পৃথিবীর সবাই ভয় পেলে ও হ
আয়ানা তাকে ভয় পাবে এটা সে মেনে নিতে পারছেন এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছে আয়ানার দিকে সারা শরীরে রক্তে মাখামাখি তাকে এই ভাবে এগোতে দেখে কোন রকমে সেখান থেকে পালাতে যাবে ইরফান পিছন থেকে থাকে খপ করে জরিয়ে ধরে আয়ানার চুলে মুখ গুজে দেয় এতে করে আয়ানার কাপাকাপি আরো বেরে যায় ভয়ে সেখানে জমে যায় চোখ থেকে টপটপ করে পানি পরছে সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে আয়ানার চুলের ভিতরে মুখ গুজে ইরফান নেশা ভরা কন্ঠে বলতে লাগলো এখানে আসা তোমার একদম উচিত হয়নি আয়ু জান এখন আবার আমার কাছ থেকে পালাতে চাইছো এটা তো ঠিক না তুমি অন্যায় করেছো আমার অনুমতি ছাড়া আমার জীবন আসার এখন এর ঝাল তোমাকে মিটাতে হবে বলে সামনের দিকে ঘুরিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয় কোমর টা স্লাইট করতে করতে আরেকটু কাছে এনে যেই না কিস করতে যাবে ওমনি আয়ানা সেন্সলেস হয়ে ইরফানের বুকে ঢুলে পরে ইরফান আয়ানাকে জরিয়ে ধরে চুমু খায় মাথায়।।।
অনেকক্ষণ ধরে একা একা বসে আছে আয়ানা এখন অনেক বেটার ফিল করছে অনেকবার হল রুমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে চাইলে শীতল সরাসরি নিষেধ করে দেয় তাই চুপচাপ করে বসে আছে আর বসে থাকতে না পেরে হল রুমের পিছনের দরজা দিয়ে বাগানের দিকে বেরিয়ে যায় অনেক সুন্দর বাগনটা অনেক ফুলের আর ফলের গাছ ও আছে চারপাশে লাইট লাগানো তাতে করে চারিদিকে দিনের মত পরিষ্কার হঠাৎ কিছু মানুষের আওয়াজ পায় এবং সেদিকে তাকিয়ে দেখলো কয়েক জন ব্যাক্তি একটা লোক কে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাই তাদের পিছন পিছন যায় কি হচ্ছে দেখার জন্য আর এসে এই অবস্থা পরে।।
ইরফান আয়ানাকে কোলে নিয়ে হলরুমের শেষের দরজা দিয়ে আয়ানকে তার রুমে নিয়ে যায় তারপর বিছানায় ভালো ভাবে শুইয়ে শরীরে চাদর টেনে দেয় আয়ানার দিকে ঝুঁকে বসে খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করছে তাকে।। একদম পরীর মতে দেখতে কেমন করে ঠোঁট দুটো উল্টিয়ে ঘুমিয়ে আছে ঠোঁট দুটো একদম চকলেটর মত ইরফান চকলেট পছন্দ করে না কিন্তু এই চকলেট সে না নিলে বাঁচতে পারবে না বলে ঠোঁটে হাত বুলালো ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে এতো নেশালো কারোর ঠোট হয় এই পুরা আয়ানাটা তার ভেবে মুচকি হেসে ঠোঁটে হালকা একটা কিস করলো এতো সহজ হবে না এই সুন্দরী রমণীকে বশে আনা অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে তাকে ,যতো যাই করোর এই নোশালো আয়ানাক তার চাই সমর্পণ তার চাই এটার মধ্যে নিজের প্রান ভুমরা এটাকে আঘাত করা মানে নিজেকে করা।।।
খুব শিগ্ৰই তুমি আমার রাজ্যের রানী হবে তোমার পুরোটা জুড়ে আমার বসবাস থাকবে আমার থেকে দূরে যেতে দিবো না খুব শীঘ্রই তোমাকে আমার কাছে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি মাই লাভ বলে মাথায় চুমু খেয়ে চলে যায় ইরফান।।।।।

চলবে……..🌼
( পর্ব দুইয়ের মধ্যে আয়ানার বয়স একুশ দেওয়া হয়েছে এটা 19 হবে ।।গল্পটা ধৈর্য্য ধরে পরার অনুরোধ রইল নেটওয়ার্ক সমস্যা তাই দেরি করে দিয়েছি তার জন্য দুঃখিত 😔)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here