বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৩

0
1400

বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ৩……..🌼

আশেপাশে অনেক অপরিচিত মুখ সবাই প্লাটফর্ম থেকে নিজেদের ব্যাগ পত্র নিয়ে বের হচ্ছে এই মাত্র আয়ানাদের ফ্লাইট কাশ্মীরে এসে পৌঁচ্ছেছে।।প্লাটফর্ম থেকে বের হয়ে দেখে জিসান গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আয়ানাদের আসতে দেখে তাদের সামনে গেলো।।

সালাম চাচাজান সালাম চাচি আম্মু জায়েদ আহাম্মেদ আর শীতলকে উদ্দেশ্য করে বলল।।
সালাম জিসান কেমন আছো তুমি।। অনেক বড় হয়ে গেছো।।( জায়েদ)
আর হ্যান্ডসাম ও।।(তুতুল)
কেমন আছিস তুই পেত্নী তুতুলকে জরিয়ে।।
ভালো আছি খাটাশ বোড়ো জিসান কে জরিয়ে।।(জিসান তুতুলের চেয়ে এক বছর বড় ছোট বেলায় এক সাথে খেলা করে অনেক সময় জিসানের সাথে ছিল তাই এদের বন্ডিং টা বন্ধু সুলভ তাই একে অন্যের সাথে খুব ক্লোজ)।।তুতুলকে ছারিয়ে আয়ানার কাছে গেল যে এতোক্ষণ স্নো ফল দেখায় বিজি ছিলো স্নো ফল টা বড়াবড়ি পছন্দের সাদা সাদা তুষার গুলো যখন মুখে এসে পরে অন্যরকম আনন্দ দেয় তাকে মূলত এই সময় স্নো ফল হয় না আয়ানা কে স্বাগতম করতে হচ্ছে এমনটা মনে হচ্ছে তার হঠাৎ জিসানের ডাকে সেইদিকে তাকালো।।
জিসান: কেমন আছিস লিটল এনজেল আয়ানার নাক টান দিয়ে।।
আয়ানা: ভালো আছি ভাইয়া তুমি কেমন আছো।।
জিসান: হুম ভালো তোকে আগের চেয়ে বেশি সুন্দর লাগছে একদম গুলোমোলো পুতুল গালে টান দিয়ে অনেক ঠান্ডা লাগছে তোর চল গাড়িতে ওঠে বস সবাই অপেক্ষা করছে।।।
তারপর সবাই একসাথে গাড়িতে ওঠে বসলো।।আয়ানা তর বাবার পাশে বসে আছে আর তার বাবা জানালায় দিয়ে কাশ্মীর এর সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো দেখাচ্ছে কোনটা কোন জায়গা তার সম্পর্কে বলছেন।।
মাথাটা ভিতরে ডুকাও আয়ানা আর জানালায় আটকিয়ে দেও তোমার ঠান্ডা লাগবে।।(শীতল)
মায়ের ডাকে সোজা হয়ে বসে জানালায় আটকিয়ে দেয় এমন সময় শু শু করে চারটা গাড়ি তাদের অপজিট সাইটে চলে গেল।।।
বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যায় বাড়িতে গিয়ে বেল বাজাতে মিসেস সামিয়া আহম্মেদ দরজা খুলে দিল আয়ানাদে দেখে খুব খুশি হয় আয়ানাকে জরিয়ে ধরে চুমু খায় ।।
বড় মা: কেমন আছিস আয়ানা।।
আয়ানা: ভালো বড় মা আপনি কেমন আছেন।।
বড় মা: ভালো তোকে দেখে আরো ভালো হয়ে গেছি কতো বড় হয়ে গেছে আমাদের পরিবিবি টা আর কতো সুন্দর হয়ে গেছিস মাসাআল্লাহ।।।
শুধু আয়ানা কে দেখলে হবে আমার দিকে একটু তাকাও পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল তুতুল।।
বড় মা :তোর কথা আর কি বলবো তুই তো পাকা বুড়ি তুতুলের গাল টেনে মা তোরা ফ্রেশ হয়ে সাফিয়ার রুমে যা কখন থেকে অপেক্ষা করছে তোদের।।।
ওকে বড় মা।।। আয়ানা আর তুতুল উপরে চলে যায়।।

কেমন আছেন। ভাবী মিসেস সামিয়া কে জরিয়ে (শীতল)
ভালো আছি কেমন আছো তোমরা আর এতো দেরি হলো কেন।।।
ভাবী দেরি করে ফ্লাইট ল্যান্ড হয়েছে।। (জায়েদ)
আচ্ছা ঠিক আছে ফ্রেশ হয়ে নাও আমার তোমাদের সাথে কথা আছে।।
আচ্ছা ঠিক আছে।।

এই আয়ানা দেখ বাহিরে ভিউটা কি সুন্দর রাতের কাশ্মীর অসাধারণ সকাল বেলা তো রূপকথার রাজ্যকে ও হার মানাবে বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুতুল বলল রুমে এসেই প্রথমে চারিপাশ দেখে তারপর বারান্দায় গেলো।।আয়ানা নিজের হাতের ব্যাগটা রেখে তুতুলের কাছে গেল।। সত্যি কাশ্মীর জাদুর শহর একএক সময় একএক রুপ দারন করে।।অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আয়ানা বাহিরে স্নো ফল হচ্ছে কিন্তু খুব কম চার পাশে জকমক করছে বিভিন্ন লাইট আয়ানাদের বাড়ি কিছু দূর বাড়ি অনেকখানি জায়গা নিয়ে পর পর বাড়ি গুলো অবস্থিত বেশি একটা মানুষ বাহিরে দেখা যাচ্ছে না আর পরিবেশটাও মনোরম বাংলাদেশ এমন দেখা যায় না সবসময় শুধু কোলাহল।।আয়ানার ইচ্ছে করছে এখানেই একটা ঘর বানিয়ে দেখে যাবে এই পরিবেশেটা খুব মনে ধরেছে।।। দূরের উঁচু পাহাড় টা স্পষ্ট না তবুও দারুন লাগছে।।আব্বিকে বলে ওইখানে নিয়ে যেতে বলবে।।।
এই আয়ানা কোথায় হারিয়ে গেলি কখন থেকে ডাকছি তুতুলের ডাকে ঘুর কাটল।।
সরি দি আসলে প্রকৃতি উপভোগ করছি চোখ বন্ধ করে জোরে নিঃশ্বাস টান মেরে।।
রুমে চল এখানে বেশি থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে।।
আরেকটু থাকি দি পরিবেশটা অনেক সুন্দর।।।
না অনেক ঠান্ডা এখানে রাত বারার সাথে সাথে ঠান্ডাও বারছে তোর ঠান্ডা এলার্জি একবার ঠান্ডা লাগলে ছারবে না এই ভাবে ও জায়গায় চেঞ্জ করায় তুই অব্যস্থত না ।।। বলে আয়ানাকে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা আটকে দিল।।।।
যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আস তোর পরে আমি ফ্রেশ হবো আর ঠান্ডা পানি গায়ে লাগাবি না অনেক ঠান্ডা পানি হিটার অন করে ফ্রেশ হবি কেমন ।।
ওকে দি তার পর ড্রেস নিয়ে ওয়াশরূমে চলে গেল আর তুতুল ব্যাগ থেকে সব কাপড় কাবাডে রেখে দিল।।।

খান মেনশন***
বহু বছর পর খান বাড়িতে বিয়ের আয়োজন হচ্ছে বড় ছেলে ইসহাক এর বিয়ে উপলক্ষে কোন অংশে যেন কম না পরে ইমরান খান আজ অনেক খুশি ছেলের বিয়ে উপলক্ষে সারা কাশ্মীরে রমরমা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে আর শহরের কোনায় কোনায় সজ্জিত হচ্ছে ইমরান খানের ছেলের বিয়ে বলে কথা কিছুক্ষণ বাদ বাদ আসছে লোকের দল স্বাগতম জানাতে নিলাম বেলীতে খুশির জোয়ার বইছে।।।নানা প্রেস মিডিয়ার ভির জমেছে তাদের একা হাতে হেন্ডল করছে আলি আকবর আর কিছু বডি গার্ড রা।।। সবচেয়ে খুশি ইসহাক সারা ঘরে সকলকে দৌড়ে দৌড়ে জানাচ্ছে তার বিয়ে হচ্ছে।।

ইরফান কোথায় আসফিয়া খান কে উদ্দেশ্য করে বলেন ইমরান খান।।
জ্বী আমি কি করে বলবো আমার ছেলে বির কোথাও নিশ্চই নিজের বীরত্য প্রমান করছে পান চিবোতে চিবোতে বলল।।
স্ত্রী পাশে বসে বলল হুম আমার সাত রাজার ধন।। তখনি সেইখানে প্রবেশ করলো একজন ব্যক্তি।।
সালাম হুজুর।।(লোক)
সালাম বসো। লোকটিকে দেখতে মাথার ঘোমটা টেনে সেখান থেকে প্রস্থান করলেন আসফিয়া এটা নিয়ম কোন পরপুরুষের সামনে এই বাড়ির মহিলারা যায় না।।
কী খবর ইকবাল তোমাকে যে কাজ দিয়েছি কতো দূর আয়েশ করে সোফায় বসে বললেন।।
জ্বী হুজুর কাজ শেষ আর এটা নিজের হাতে ইরফান স্যার করেছে।।
খুব ভালো খবর তুমি যাও আর নিজাম উদ্দিন এর ইনফর্মেশন বের করো কত দিন দিল্লিতে লুকিয়ে থাকবে বলে সেইখান থেকে নিজের রুমে চলে যায় আর লোকটা তার নিজের কাজে।।
রুমে এসে বসতে না বসতেই ইসহাক দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল তার পিছন পিছন দুজন লেডি র্সাভেন্ট আসে হাতে খাবার আর মেডিশিন নিয়ে।
কি হয়েছে ইসহাক খাবার খাচ্ছো না কেন।। (ইমরান খান)
আমি বৌ বৌউয়ের কাছে যা-যাবো তুমি আ আমাকে নিয়ে যাও ইমরান কে জরিয়ে।।।
বৌ আসবে তুমি খেয়ে নিবে চলো খাবার গুলো নিচে টেবিলে রেখে আসো র্সাভেন্টদের উদ্দেশ্যে করে বললেন।।।
জ্বী হুজুর বলে র্সাভেন্ট গুলো চলে যায়।। ইমরান খান ইসহাককে নিয়ে নিচে চলে আসে টেবিলের কাছে আসতে একজন ইমরান খান ও তার পাশে ইসহাক কে বসায় একজন র্সাভেন্ট খাবার এগিয়ে দিলে ইমরান খান নিজের হাতে ইসহাক কে খাওয়াতে লাগলো।। ইসহাক খাচ্ছে আর হাতের পুতুল টা নারাচারা করছে । খেতে খেতে বলে উঠলো।
আব্বি জান আ আমার বউ কে নিয়ে আসতে ক-কখন যাবো তোতলিয়ে
সে নিজে আসবে তোমার কাছে মুখ মুছতে মুছতে বলল।।
আব্বি জান ভাই কে বিয়ে ক-করাবো সুন্দর পু-পুতুল বৌ দেখে আমি খু খুব মজা করবো আমি আ আকাশ বাজি ফুটাবো।।
আচ্ছা ঠিক আছে তখনি ফলের প্লেট নিয়ে আসফিয়া আসে এতোক্ষণ তিনি কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করছিল তার নামাজের ঘরে এসে ছেলের পছন্দ মত ফল কেটে আনে ছেলের পাশের চেয়ারে বসে বলে
ইরফান এর জন্য ও বৌ আনবো সুন্দর দেখে আর তার জন্য তোমাকে সুস্থ থাকতে হবে ইসহাক নাহলে আনন্দ কি করে করবে খাওয়ার শেষে ফল খাবে কেমন।।
আ আচ্ছা আম্মিজান।।

আয়ানা এই নে এই সুয়েটারটা পরে নে ঠান্ডা লাগবে না (তুতুল)
এটা লাগবে না দী আমার ঠান্ডা লাগছে না অসহায় মুখ করে বলল বরাবরই বিরক্ত হচ্ছে কতোখন তুতুল কতোখন শীতল আয়ানা এটা করবি না আয়ানা এটা পর ওটা কর এখন আবার সুয়েটার পরার জন্য ফ্রোস করছে বাধ্য হয়ে সাদা বেবি ফ্রক আর টাওজারের সাথে কালো লং সুয়েটার পরে নিল সাথে সাদা ওরনা মাফলারের মতো দুই দিক থেকে জরিয়ে নিল যাতে তার শরীরের ঠান্ডা না লাগে ঠান্ডা এলার্জি আছে বাড়ির ভেতরে হিটার লাগানো প্রত্যেক রুমে তবু জায়গায় চেঞ্জ করায় এই কঠোর নির্দেশ অবলম্বন করতে হবে তাকে ।।রেডি হয়ে সাফিয়ার রুমের দিকে রওনা হলো আসার পর একবার সাফিয়া এসে দেখে গেছে তখন আয়ানা ওয়াশরূমে ছিল।।কাল থেকেই বাড়িতে বিয়ের আয়োজন শুরু হবে।।সাফিয়ার রুমের সামনে দরজা নক করতে সাফিয়া দরজা খুলে দেয় আয়ানা কে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে জড়িয়ে ধরে।।।
সাফিয়া:কেমন আছিস আয়ু জান।।
আয়ানা: ভালো আছি দী তুমি কেমন আছো 😊
সাফিয়া: ভালো আর বাহিরে দাঁড়িয়ে কেন আছিস ভেতরে আয় বলে টেনে বিছানায় বসিয়ে দিল।তো কেমন কাটছে তোর দিন কাল আমাকে এখন মিস করিস না তাই তো রোজ কল করিস না ঠোঁট উল্টিয়ে।।
আয়ানা: সরি দি ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় রোজ তোমাকে কল দেওয়া হয় না কিউট ফেইস করে বলল।।
সাফিয়া: ঠিক আছে এখন দুই দিন তুই শুধু আমার সাথে কাটাবি কেমন।।
আয়ানা: ঠিক আছে দি।‌একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো দি।।
হুম কর না এটা আবার বলতে।।
তুমি এই বিয়েতে রাজি তো আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে তুমি বিয়েতে খুশি নও।। সন্দেহর নজরে তাকিয়ে।। সাফিয়া কিছু টা ঘাবরিয়ে তা তবু মুখে মেকি হাসি দিয়ে বলে হুম আমি খুব খুশি ইনফেক্ট আমি নিজে আব্বু আম্মুর কাছে বিয়ের কথা জানিয়েছি তোর এমন কেন মনে হচ্ছে আয়ু।।
না দি এমনি ।।
তখনি রুমে তুতুল তিন মগ কফি নিয়ে আসে ব্যাস জমে গেল তাদের আড্ডা তিনজন একসাথে হলে কথার ফুলঝুড়ি নিয়ে বসে এদের মধ্যে তুতুল বেশি কথা বলে আর চঞ্চল ও।।।

ব্রেকিং নিউজ রাতিগালি লেকের সামনে একটি লাশ পাওয়া গেছে লাশটি প্রচন্ড নেশা করে গাড়ি চালানোর সময় এক্সিডেন্ট করেছে এমন বক্তব্য পুলিশ অফিসার নেয়ামত ও তার ফোর্স জানিয়েছেন।। টিভি টি বন্ধ করে আরাম করে শুয়ে পরেন ইমরান খান মুখে তার রহস্যময় হাসি।।।

ইরফান বাড়িতে এসে সোজা নিজের রুমে চলে যায় আর তার সাথে চেলা পেলা গুলো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে ইরফান সোজা নিজের রুমে চলে যায় দরজা লাগিয়ে শরীরের সাদা পাঞ্জাবিটা খুলে ফেলে খুলে বাস্কেটে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সাদা পাঞ্জাবিতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ লেগে আছে ।। হুম আজকে ও আরেকটা মাডার করেছে যার নিশানা তার পরিহিত পাঞ্জাবি প্রমান তখন খবরে তা দেখাচ্ছিল শহরের খুন হলে অনায়াসে বলা যায় ইরফান খান খুন করেছে।।‌আর সেই সব খুন অনায়াসে ধামাচাপা দেওয়া হয় কেউ জানলে ও কিছু করতে পারে না , ইরফানের উপর কেউ কথা বলে না।‌‌ কাবাড থেকে ট্রাউজার আর টি শার্ট নিয়ে ওয়াশরূমে চলে যায়।।
শাওয়ার অন করে তার নিচে দেয়ালের সাথে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে পরে শাওয়ারের পানিতে শরীরের ছিটা রক্ত গুলো ধোয়ে যায় এটা রোজকার কাজ।।গাড়ের কাছে নীল টেটুটা তার মতই ভয়ংকর।। শাওয়ার শেষ করে চুল মুছতে মুছতে আয়ানার সামনে দাঁড়ায় তখন নজর পরে বিছানার পাশের টেবিলের কাছের গিটার টার উপর হাতের তাওয়ালটা বিছানার উপর রেখে এগিয়ে গিয়ে গিটারটা হাতে তুলে নেয় তার ছোট পরীর জন্য কিনা গিটার টা আজোও রয়ে গেছে কিছুক্ষণ গিটার টা দিকে তাকিয়ে তা আগের জায়গায় রেখে দেয় রুমের মধ্যে মিডিয়াম টেবিলটায় চেয়ার টেনে বসে পরে ইরফান টেবিলের সাথে দেয়ালে এর্টাচ স্লেফে মদের বোতল আর গ্লাস রাখা এক বোতল নামিয়ে খেতে লাগল তখন পেছন থেকে গেও গেও আওয়াজ করে একটা কুকুর ঢুকলো এসে ইরফানের পায়ের আসে পাশে ঘুরতে শুরু করলো তার পিছনে একজন গার্ড।
সরি স্যার টাইগার দৌড়ে চলে আসলো আমি ও অনুমতি ছাড়া আপনার রুমে প্রবেশ করলাম মাথা নিচু করে বলল।।
ওকে ইউ কেন গু (ইরফান)
গার্ডটি চলে যায় আর ইরফান টাইগারের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে আর টাইগার ও খুব আল্লাদের সাথে তা গ্ৰহন করছে হাতে ড্রিংসের বোতল নিয়ে চলে যায় বারান্দায় সাথে টাইগার ও।। টাইগার ইরফানের পালিত কুকুর খুব ভালোবাসে ইরফান আর টাইগার ও তার মালিকের জন্য নিজের জান দিতে প্রস্তুত।। টাইগার কে কেউ কুকুর বললে ইরফান রেগে যায় গত দুই দিন টাইগারকে পশু হাসপাতালে রাখা হয় টিকার জন্য আজকের ছাড়া হয়।।‌

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এক মগ কফি নিয়ে বারান্দায় চলে যায় আয়ানা সুয়েটারের সাথে চাদর ও নিয়েছে খুব ঠান্ডা লাগছে ।। রাতের তুলনায় সকালের পরিবেশটা মনোরম এখন বাহিরে কুয়াশা পরছে সূর্য এখনো ভালো করে আলো দেয় নি আজকে থেকে সাফিয়ার বিয়ের সব কাজ শুরু হবে ।।।চারিপাশে চোখ বুলিয়ে বারান্দায় থেকে রুমে চলে গেল তুতুল এখনো ঘুমিয়ে আছে বড়রা হয়তো উঠে পরেছে তাই নিচে চলে আসে আয়ানা।। নিচে গিয়ে দেখে শীতল আর সামিয়া নাস্তা বানাচ্ছে।। কিছুক্ষণ বাদে সাফিয়ার গায়ের হলুদের কাজ শুরু হয়ে যাবে মেহমান আসতে শুরু করবে।।।

দশটার পর থেকে মেহমান আসা শুরু করে দিয়েছে ডেকরশনের লোক নিজদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।। কিছুক্ষণ বাদে সাফিয়ার হলুদের যাবতিয় জিনিস পাঠানো হবে ওই বাড়ি থেকে।।‌

ইরফান আজকে রাতে তোমাকে আমাদের সাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে।।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here