#মিশে_আছো_মুগ্ধতায়
#লেখিকাঃআরভি_আহিয়াদ_তিহু
#পর্বঃ11
মিহিরের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে তৃধাকে সামনে পেলে ‘ও’ তৃধাকে মাথায় তুলে একটা আছাড় মারতো। এই মেয়েটা সব সময় এক লাইন বেশি বোঝে। মিহির বারবার মেয়েটাকে বারন করে যাতে ‘ও’ ওর কোনো ব্যাপারে নাক না গলায়। কিন্তু ফাজিল মেয়েটা ওর কোনো কথাই শোনে না। সব সময় অযৌক্তিক একেকটা কান্ড করে মিহিরকে লজ্জার মধ্যে ফেলে দেয়। মিহির রাগি কন্ঠে বললো
“সব ব্যাপারে তৃধার এই বাড়াবাড়ি গুলো যাস্ট আর টলারেট করা যাচ্ছে না। ওকে কিছু বলি না বলে ইদানিং ‘ও’ মাথায় উঠে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে।”
সাঈফা বিদ্রুপের হাসি হেসে বললো
“অতিরিক্ত তোল্লাই দিতে দিতে তোমরাই তো ওকে মাথায় উঠিয়েছো। তাই এখন তোমাদের মাথায় উঠেই নাচছে। তবে চিন্তা করো না, ওর মধ্যে যদি মিনিম্যাম আত্মসম্মান বোধ থাকে তাহলে আজকের পর থেকে অন্তত কারো সাথে উল্টাপাল্টা বিহেব করার আগে একশো বার ভাববে।”
মিহির ভ্রু কুচকে বললো
“মানে?”
সাঈফা একটা বাকা হাসি দিয়ে বললো
“তোমার ফ্রেন্ড মায়া আপুর ফ্যামিলি স্ট্যাটাস নিয়ে কথা বলতে এসেছিলো। তাই আমিও ওর কানের নিচে ঠাটিয়ে দুইটা চড় মেরে ওর জায়গাটা বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি।”
সাঈফার কথা শুনে মিহির চোখ জোড়া রসগোল্লার মতো করে সাঈফার দিকে তাকালো। তারপর অবাক কন্ঠে বললো
“তুই তৃধাকে চড় মেরেছিস? তুই কি ভুলে গেছিস তৃধা তোর সিনিয়র?”
সাঈফা ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে বললো
“হ্যা মেরেছি। আর সিনিয়র হয়েছে তো কি হয়েছে? আমাদের মাথা কিনে নিয়েছে নাকি? সিনিয়র বলে কি আমরা ওকে আমাদের অপমান করার লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছি? দেইনি তো! তাহলে ‘ও’ আমাদের যখন তখন কেনো আপমান করবে?”
সাঈফার প্রশ্নের উওরে মিহির কিছুই বললো না। কারন সাঈফা তৃধাকে চড় মেরেছে এটা শুনে মিহিরও বেশ খুশী হয়েছে। তবে তৃধার উপরের রাগটা ওর এখনো কমেনি। কারন মায়াকে কেউ কিছু বললে কেনো যেনো ওর ভিষন রাগ হয়। হ্যা হয়তো ‘ও’ নিজেও মায়াকে অনেক বার উল্টাপাল্টা কথা বলেছে। তবে কথা গুলো বলার পর ওর নিজেরও ভিষন কস্ট হয়েছে। এমনটা কেনো হয় সেটার উওর ওর কাছে নেই। তবে ‘ও’ সব সময় মায়ার জন্যে আলাদা একটা টান অনুভব করে।
________________________
মাঝখানে কেটে আরো কয়েকটা দিন। এর মধ্যে মায়া, দিশা কেউই ভার্সিটিতে যায়নি। আহির,মিহিরের সাথেও ওদের আর দেখা হয়নি। কারন আহির,মিহিরও এই কয়দিন তেমন ভার্সিটিতে যায়নি। ওরা আপাততো আহানের সাথে ব্যাবসার কাজে হাত লাগিয়েছে। তাই কাজের চাপ থাকায় ভার্সিটিতে তেমন একটা যেতে পারে না। মায়া আর দিশাও বাসা থেকে তেমন একটা বের হয় না। ওদের আজকাল দেখা যায় না বললেই চলে।
মিহিরদের বাসার সামনের গার্ডেন এরিয়ার পুরোটা বিভিন্ন রঙের লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়েছে। কারন আজকে মেঘের বার্থডে। মিড়া রহমান নিজের মেয়ের বার্থডে সেলিব্রেশনে কোনো রকম কমতি রাখেন নি। উনি উনার ফ্রেন্ড,আত্মীয়,স্বজন এমনকি পরিচিত সবাইকে এই পার্টিতে ইনভাইট করেছেন। এটার অবশ্য অন্যে একটা কারনও আছে। আজকে মিড়া রহমান ওনার সব প্রোপার্টির অর্ধেক উইল মেঘের নামে লিখে দিবেন। এই বিষয়টা অবশ্য সবাই জানে। তবে কারোরই এই বিষয়টা নিয়ে কোনো অফজেকশন নেই।
সন্ধ্যা 08:00………
পার্টিতে সবাই যার যার মতো কথা বলায় ব্যাস্ত। আহান, আহির, মিহির, হিয়ান একপাশে দাড়িয়ে সফট ড্রিংকস খেতে খেতে কথা বলছিলো। হঠাৎ আহানের চোখ যায় ওদের বাসার গেটের দিকে। গেট থেকে মায়া আর দিশা বের হচ্ছে। ওরা দুজন পার্টি এরিয়ার দিকেই এগিয়ে আসছে। দুজনের গায়েই সব সময়ের মতো নরমাল ড্রেস। চেহারায় তেমন কোনো সাজসজ্জাও নেই। দুজনেই একদম সাদা মাটা লুকে আছে। যেটা এরকম একটা পার্টির জন্যে মোটেও মানান সই না।
মায়া আর দিশা এসে চুপচাপ এক সাইডে গিয়ে দাড়িয়ে পড়লো। আহান কিছুক্ষন মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। আর মনে মনে ভাবতে লাগলো সময়ের এই অদ্ভুত নিয়মের কথা। আজকে কার বার্থডে, আর কে সেলিব্রেশন করছে! আহান ওর হাতে থাকা গ্লাস টা ওয়েটারকে দিয়ে ধীর পায়ে একটা নিরিবিলি জায়গায় চলে গেলো। এখানে থাকতে ওর ভিষন অস্যস্তি হচ্ছে। বারবার এটা মনে হচ্ছে যে ‘ও’ সব কিছু জেনেও একটা অন্যায়কে সাপোর্ট করছে। হ্যা, সাপোর্টই তো করছে। চোখের সামনে অন্যায় হচ্ছে দেখেও কেউ যদি সেটা চুপচাপ মেনে নেয় তাহলে তো সেটাকে সাপোর্ট করাই বলে।
রাত 09:00….
একটু আগেই কেক কাটা হয়েছে। মেঘ এক পাশে দাড়িয়ে ওর ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলছে। আহির, মিহির,হিয়ান সবার থেকে অনেকটা দূরে দাড়িয়ে আছে। ওদের কাছে এইসব কিছু ন্যাকামো ছাড়া আর কিছুই না। বাকিরা সবাই নিজেদের মতো পার্টি ইনজয় করছে। আহান সেই যে গেছে তারপর থেকে আর এখানে আসেই নি। মায়া আর দিশাও একদম চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। কারো সাথে তেমন কোনো কথাই বলছে না। ওদের নিস্তব্দতা দেখে মনে হচ্ছে এটা কোনো ঝড় আসার আগের পূর্বাভাস। অভির চোখে মুখে চিন্তার ছাপ। আজকে এখানে কি হতে চলেছে সেটা একটু হলেও ‘ও’ আন্দাজ করতে পারছে। সব গেস্টদের কেক সার্ভ করার পরে মিড়া রহমান ওনাদের ফ্যামিলি ল’ইয়ার কে নিয়ে মেঘের কাছে আসলেন। তারপর মেঘের হাত ধরে ওকে নিয়ে এসে সবার একদম মিডেল পয়েন্টে দাড় করিয়ে দিয়ে মৃদ্যু হেসে বলা শুরু করলেন
“হ্যালো এভরিঅন! আজকের এই স্পেশাল দিনটাকে আরো স্পেশাল করার জন্যে আমি একটা ডিসিশন নিয়েছি। আমার সমস্ত সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা আমি আমার মেয়ের নামে উইল করে দিয়েছি।”
কথাটা বলে মিড়া রহমান ল’ইয়ারের থেকে একটা ফাইল এনে মেঘের হাতে দিলো। গেস্টরা সবাই ক্লাপ দিচ্ছে। মেঘ বেশ উচ্ছাশিত হয়ে ফাইলটা খুলে পড়তে শুরু করলো। ‘ও’ আজকে ভিষন খুশী। যেটার জন্যে এতোদিন ধরে ওরা এতো নাটক করে গেছে। সেটা ফাইনাললি আজকে ওর হাতে এসে পড়েছে। খুশীতে মেঘের আজকে নিজেকে পাগল পাগল মনে হচ্ছে। তবে ওর সেই খুশী বেশিক্ষন স্থায়ী হলো না। হঠাৎ করে কেউ এসে ওর হাত থেকে টান দিয়ে উইলের ফাইল টা নিয়ে নিলো। মেঘ মাথা তুলে সামনে তাকাতেই দেখলো ওর সামনে মায়া দাড়িয়ে আছে।
মায়ার চোখে মুখে অদ্ভুত রকমের হিংস্রতা। ওকে দেখে মনে হচ্ছে পারলে এখনি মেঘকে ভষ্ম করে দিতো। মায়া ফাইলটা হাতে নিয়ে কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওটাকে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেললো। তারপর টুকরো করা কাগজ গুলোকে ফ্লোরে ছুড়ে মেরে কেকের পাশে রাখা একটা মোমবাতি এনে কাগজ গুলোর উপরে ছুড়ে মারলো। ছুড়ে মারার সাথে সাথে কাগজ গুলোতে আগুন লেগে সব গুলো কাগজ পুরতে শুরু করলো।
মায়ার এমন কান্ডে পার্টিতে উপস্থিত সবাই হতবম্ভ হয়ে গেলো। সবাই বাক শূন্য হয়ে মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সবার অবাকের ধাপ আরেকটু বাড়িয়ে দিয়ে মায়া গিয়ে মেঘের গালে কশিয়ে একটা চড় মারলো। চড়টা মারার সাথে সাথে গেস্টরা সবাই বসা থেকে দাড়িয়ে গেলো। মায়া মেঘের বাহু চেপে ধরে রেগে চিল্লিয়ে বললো
“আর কতো নিচে নামবি তোরা? এতো কিছুর পরেও তোদের সেই সম্পওির লোভটা এখনো গেলো না? সামান্য কিছু সম্পওির জন্যে নিজেদের এতোটা নিচে কিভাবে নামালি? অবশ্য নিচে নামানোর কি আছে,তোরা তো এমনিতেই নিচ প্রকৃতির মানুষ।তোদের মানুষিকতা রাস্তার কুকুরের থেকেও অধম।”
কথাটা বলে মায়া মেঘের গালে আরেকটা চড় বসিয়ে দিলো। মেঘকে চড়টা দেওয়ার সাথে সাথে মিড়া রহমান এসে মায়ার বাহু ধরে ওকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে ওর গালে পর পর দুইটা চড় বসিয়ে দিলো। চড় দুটো এতোটাই জোড়ে দিলো যে মায়া ছিটকে মাটিতে পড়ে গেলো। মিড়া রহমান চিল্লিয়ে মায়াকে উদ্দ্যেশ্য করে বললেন
“তোর এতো বড় সাহস তুই আমার মেয়েকে চড় মারিস? তোর হাত ভেঙে আমি আজকে কুকুরকে খাওয়াবো। রাস্তার মেয়ে কোথাকার।”
মায়া থম মেরে মাটিতে বসে আছে। আহির আর মিহির স্টাচু হয়ে নিজেদের জায়গায় দাড়িয়ে আছে। এই মুহূর্তে ওদের ঠিক কি রকম রিয়্যাকশন দেওয়া উচিৎ সেটা ওরা নিজেরাও বুঝতে পারছে না। মিড়া রহমান আবারও একই ভজ্ঞিতে বললেন
“আসলে আমারই ভুল হয়েছে। পায়ের জুতোকে কখনো মাথায় তুলতে হয় না।তোদের মতো থার্ড ক্লাস মেয়েকে আমি আমার বাড়িতে থাকতে দিয়েই ভুল করেছি। না তোদের আমি থাকতে দিতাম আর না তুই আজকে আমার কলিজার গায়ে হাত তুলতে পারতি।”
আহান এতোক্ষন পার্টির লাইটিংয়ের থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে অন্ধকারে দাড়িয়ে ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে মানুষের চুপ হয়ে যাওয়া আর মিড়া রহমানের চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে ‘ও’ দৌরে ফাংশন এড়িয়ার দিকে এগিয়ে এলো। এসেই মায়াকে এই রকম মাটিতে বসে থাকতে দেখে আহান চারশো চল্লিশ বোন্টের শকড খেলো। ‘ও’ দ্রুত মায়ার দিকে এগিয়ে এসে ওর বাহু ধরে টেনে উঠিয়ে ওকে বসা থেকে দাড় করালো। তারপর ব্যাস্ত কন্ঠে বললো
“মামনি কি হয়েছে এখানে? সবাই এতোটা চুপচাপ কেনো? আর মায়াই বা নিচে পড়লো কিভাবে?”
মিড়া রহমান আহানের প্রশ্নের কোনো অ্যান্সার দিলেন না। উনি মায়ার দিকে তাকিয়ে কর্কশ কন্ঠে বললেন
“তুমি এই মুহূর্তে আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাও। জিবনে আর কখনো আমার বাসার তৃ সীমানায়ও আসবে না তুমি। এক্ষুনি দূর হও আমার চোখের সামনে থেকে।”
মিড়া রহমানের কথা শুনে আহান দ্রুত স্বরে বললো
“বের হবে মানে? মামনি তুমি কি সব বলছো? কি হয়েছে আমাকে একটু বলবে প্লিজ? না বললে আমি প্রভলেম টা সলভ করবো কিভাবে?”
আহানের কথা শেষ হতেই মিড়া রহমান ধমকের স্বরে বললেন
“শাটআপ আহান! তোমাকে আমি প্রভলেম সলভ করতে বলেছি? চুপচাপ যেখানে আছো সেখানেই দাড়িয়ে থাকো। কোনো কথা বলবে না।”
এইটুকু বলে মিড়া রহমান মায়ার দিকে এগিয়ে গেলো তারপর তীক্ষ্ম কন্ঠে বললো
“এখনো নিলজ্জের মতো এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো? কখন থেকে যেতে বলছি কানে শুনতে পাও না?”
মিড়া রহমানের কথা শুনে আহানের এবার ধৈর্য্যর বাধ ভেঙে গেলো। ‘ও’ গলা উচিয়ে চিল্লিয়ে বললো
“দিস ইজ টু মাচ মামনি। তুমি কি বলছো,সেটা তুমি নিজে জানো? প্লিজ এমন কোনো ভুল করো না যার জন্যে সারাজিবন তোমাকে পস্তাতে হয়।”
মিড়া রহমান আহানের কোনো কথাই কানে তুললেন না। উনি মায়ার কাছে এগিয়ে গিলে মায়ার হাত শক্ত করে চেপে ধরে বললেন
“বুঝেছি তুমি ভালোয় ভালোয় এখান থেকে যাবে না। তোমাকে গাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিতে হবে।”
কথাটা বলে মিড়া রহমান মায়ার হাত ধরে টানতে টানতে গেটের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো। ওনার পিছনে পিছনে আহানও হেটে আসছে আর বিভিন্ন কথা বলে মিড়া রহমানকে থামানোর চেস্টা করছে। মায়া পাথরের মতো সোজা থেকে মিড়া রহমানের সাথে সাথে যাচ্ছে। ওকে দেখে মনে হচ্ছে যেনো ‘ও’ একটা অনুভূতি হীন মানুষ। দিশাও মায়ার পাশে পাশে হাটছে ওর চোখ জোড়া পানিতে ভর্তি। ভেবেছিলো আজকে সবাইকে সবটা বলে দিবে। কিন্তু মিড়া রহমানের কথা গুলো শুনে মায়া আর দিশা কারোরই বিন্দু মাএও ইচ্ছে নেই সত্যি কথা গুলো সবাইকে বলার।
আহির আর মিহির পিছন থেকে মিড়া রহমানকে বারবার ডেকে ওনাকে থামতে বলছে। কিন্তু মিড়া রহমানের কোনো দিকে বিন্দুমাত্রও খেয়াল নেই। উনি মায়াকে টানতে টানতে গেটের কাছে নিয়ে এসে ওকে গেটের বাইরে ছুড়ে মারলো। মায়া ছিটকে গিয়ে রোডের মধ্যে পড়লো। ঠিক সেই মুহূর্তে একটা ব্লাক কালারের গাড়ি এসে মায়ার সামনে ব্রেক করলো। সেই গাড়িটার পিছনে এসে আরো দুটো গাড়ি থামলো। অভি ছাড়া সবাই ইচ্ছুক দৃস্টিতে গাড়ি গুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। শুধুমাত্র অভির ঠোটের কোনে বাকা হাসি।
সামনের গাড়িটার দরজা খুলে দুজন গার্ড বাইরে বেড়িয়ে এসে মাঝের গাড়ির দরজা খুলে দিলো। দরজা খুলতেই ব্লু রঙের সুট পড়া মাঝ বয়সী একটা লোক গাড়ি থেকে বাইরে বের হয়ে এলো। লোকটার মুখে খোচা খোচা চাপ দাড়ি। উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের রং। তবে চেহারায় কোনো বয়সের ছাপ নেই। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এখনো বেশ ইয়াং এবং ফিট আছেন।
লোকটার চেহারার দিকে তাকাতেই সবাই কয়েক সেকেন্ডের জন্যে থমকে গেলো। মিড়া রহমান কয়েক কদম পিছিয়ে গিয়ে পড়ে যেতে নিলেই আহান এসে ওনাকে ধরে ফেললো। দিশার ঠোটের কোনে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। লোকটা কোনো দিক না তাকিয়ে সোজা মায়ার দিকে এগিয়ে গেলো। তারপর ওর কাছে গিয়ে ওর পাশে হাটু গেরে বসে পড়লো। মায়া কিছুক্ষন ছলছল দৃস্টিতে লোকটার দিকে তাকিয়ে থেকে ওনাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেদে দিলো।
#চলবে…….