#মিশে_আছো_মুগ্ধতায়
#লেখনীঃআরভি_আহিয়াদ_তিহু
#পর্বঃ28
বেডের সাথে হেলান দিয়ে বসে এক মনে ফোন টিপছিলো মিহির। হঠাৎ মেঘ রুমের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে চিল্লিয়ে বললো
“মিহিরের বাচ্চাআআআআআআআআআ!”
আচৎমকা মেঘ এতো জোড়ে চিল্লিয়ে উঠায় মিহির ভয় পেয়ে চমকে উঠে বেড থেকে ধরাম করে নিচে পড়ে গেলো। তারপর কোমড়ে হাত দিয়ে ব্যাথায় চোখ-মুখ খিচে মেঘকে উদ্দ্যেশ্য করে বললো
“ফাটা বাশের মতো একটা কন্ঠ নিয়ে আমার কানের কাছে এসে চিল্লাচিল্লি না করলে তোর শান্তি হয় না? তোর ওই রাক্ষসী মার্কা চিৎকারের জন্যে পড়ে গিয়ে বোধহয় আমার কোমড়টাই আজকে শেষ হয়ে গেলো।”
মিহিরের কথা শুনে মেঘ দাতে দাত চেপে বললো
“সবেমাএ তো তোর কোমড় শেষ হয়েছে।এখন আমি তোর হাত-পা ভেঙে শেষ করবো।”
কথাটা বলে মেঘ মিহিরের স্টাডি টেবিলের কাছে এগিয়ে গিয়ে টেবিলের উপর থেকে একটা স্টিলের স্কেল হাতে নিলো। মেঘকে স্কেল হাতে নিতে দেখে মিহির ধরফর করে বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে গেলো। তারপর মেঘের দিকে তাকিয়ে ভিতু কন্ঠে বললো
“বোন, এটা কেনো হাতে নিয়েছিস?”
“তোকে মা*র*বো বলে!”
কথাটা বলে মেঘ স্কেলটা হাতে নিয়ে মিহিরের দিকে তেড়ে আসতে লাগলো। আর মিহির ভিতু দৃস্টিতে মেঘের দিকে তাকিয়ে অসহায় কন্ঠে বললো
“আমি না তোর বড় ভাই? তুই এটা দিয়ে আমাকে মারতে পারবি বোন?”
মেঘ দাত খিচিয়ে মিহিরকে উদ্দ্যেশ্য করে বললো
“বড় ভাই? তোর মতো বড় ভাই থাকার চেয়ে হাজার খানেক শএু থাকাও অনেক ভালো। তোকে আমি বলেছিলাম না A.K. এর সাথে আমরা কোনো রকম পার্টনারশিপ করবো না। তুই শুনেছিস আমার কথা? আমি বারন করা সর্তেও তুই এ.কে. এর সাথে ডিলে সাইন করেছিস, ওকে আমাদের পার্টনার করেছিস। এতোটুকু পযর্ন্তও নাহয় ঠিক ছিলো। তাই বলে এই প্রজেক্টটার সমস্ত দায়ভার তুই আমাকে দিয়ে দিবি?যেখানে তুই আছিস, আহির ভাইয়া আছে, বাবাই আছে তোদের মধ্যে কেউ একজন এই প্রজেক্টার দ্বায়িত্ব নিলেই তো হতো। তা না করে, ওই ছাগলটার সাথে কাজ করার জন্য তুই আমাকে ফাসালি কেনো?”
মিহির কাদো কাদো গলায় বললো
“মি. এ.কে. এই ডিল’টা সাইন করার জন্যে আমাকে কয়েকটা সর্ত দিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটা হলো, আমাদের কম্পানির হয়ে তোকেই ওনার সাথে এই প্রজেক্ট’টা সামলাতে হবে। উনি বলেছেন যদি আমি এই শর্তটায় রাজি থাকি তাহলেই উনি আমাদের সাথে ডিল’টায় সাইন করবেন। নাহলে করবেন না।”
মেঘ অবাক কন্ঠে বললো
“ওই ছাগল’টা তোকে এমন উদ্ভট শর্ত দিলো, আর তুই সেটা মেনে নিলি? আরেহ ভাই, আমাদের কম্পানি থেকে আমরা কাকে এই প্রজেক্টের কাজটা হ্যান্ডওভার করবো, সেটা একান্তই আমাদের ব্যাপার। এখানে উনি শর্ত দেওয়ার কে?”
মেঘের কথা শুনে মিহির বললো
“দেখ, ওনার হয়তো তোর কাজ করার ধরন’টা ভালো লেগেছে। তাই হয়তো তোকেই এই প্রজেক্টের জন্যে সিলেক্ট করেছেন। কারন’টা যাই হোক, আমরা প্রজেক্ট’টা পেয়েছি এই মুহূর্তে এটাই আমাদের জন্যে সবচেয়ে আনন্দের বিষয়।এবার এটা নিয়ে বেশি না ভেবে তুই তোর কাজে মনোযোগ দে।”
মিহিরের কথা শুনে মেঘ ভয়ংকর রেগে গেলো। ‘ও’ রাগি দৃষ্টিতে মিহিরের দিকে তাকিয়ে চেচিয়ে বললো
“তোর কাজের মনোযোগের খাতায় আগুন। আর ওই এ.কে. না টেকে ওকে তো আমি দেখে নিবো। আগে তোর একটা ব্যাবস্থা করি। তারপর ওই ছাগলটার ফালতু শর্ত আমি ওর মুখের উপর ছুড়ে মারবো।”
কথাটা বলে মেঘ মিহিরকে পেটানোর জন্যে ওর পিছনে ছুটলো। মিহির মেঘের হাত থেকে বাচতে দৌড়াতে দৌড়াতে মেঘকে উদ্দ্যেশ্য করে বললো
“আরেহ তুই আমাকে কেনো তাড়া করছিস? আমি কি করেছি?”
“তুই’ই তো সব করেছিস। তোকে এই ডিলটায় সাইন করতে কে বলেছে? ওই ছাগলটার দেওয়া শর্তগুলোই বা তোকে কে মানতে বলেছে?”
মেঘের কথা শুনে মিহির কি বলবে বুঝতে পারলো না। ‘ও’ বেশ ভালো করেই জানে ‘ও’ যদি আর এক সেকেন্ডও এই রুমে থাকে তাহলে মেঘ ওকে ধরে ফেলবে। তারপর নিজের সব রাগ ওর পিঠের উপরে ঝাড়বে। তাই মিহির আর বেশি দেড়ি না করে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে নিচের দিকে চলে গেলো। উদ্দ্যেশ্য বাসা থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়া। কারন মেঘের রাগ কমা না অবদি বাসায় থাকাটাও ওর জন্যে রিস্কের ব্যাপার।
এদিকে মেঘও মিহিরের পিছনে পিছনে রুম থেকে বের হয়ে ওকে খোজার জন্যে কড়িডোর দিয়ে দ্রুত পায়ে হেটে যাচ্ছিলো। কিন্তু আহিরের রুমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই আহির ওর হাত টেনে রূমের মধ্যে নিয়ে আসলো। তারপর উৎফুল্ল হয়ে মেঘকে উদ্দ্যেশ্য করে বললো
“মেঘ এইমাএ এ.কে. এর পি.এ. আমাকে ফোন করেছিলো। বললো, এ.কে. নাকি ওনার টিম নিয়ে কালকে আমাদের অফিসে আসছে। উফফ আমার তো ভিষন এক্সাইটেড লাগছে।”
মেঘ এমনিতেই এতোক্ষন মিহিরের উপর রেগে বোম হয়ে ছিলো। এখন আহিরের কথা শুনে ওর রাগের মাএাটা আরো কয়েক গুন বেড়ে গেলো। ‘ও’ রাগে ফোশফোশ করতে করতে হাতে থাকা স্কেল টা দিয়ে আহিরের পিটে ধরাম করে একটা বারি মারলো। ঘটনায় আকস্মিকতায় আহির ব্যাথা পেয়ে বানরের মতো লাফিয়ে ছিটকে মেঘের থেকে কিছুটা দূরে চলে গেলো। মেঘ রাগে গিজগিজ করতে করতে বললো
“তোর এক্সাইডমেন্টের গুষ্ঠি কিলাই। কালকে একবার ওই এ.কে. এর বাচ্চা এ.কে. আমাদের অফিসে আসুক তারপর ওকে যদি আমি বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ঠাস করে ফেলে না দিয়েছি তাহলে আমার নামও মেঘ না।”
মেঘের কথা শুনে আহির বোকার মতো কিছুক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর এগিয়ে এসে মেঘের কপালে হাতের উল্টোপিঠ ছুইয়ে বললো
“তুই ঠিক আছিস তো বোন? কি বলছিস বুঝতে পারছিস? তুই জানিস, তুই যতোক্ষনে এ.কে. কে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিবি। ততোক্ষনে এ.কে. কে নিচ থেকে সোজা উপরে পাঠিয়ে দিবে।”
কথাটা বলার সাথে সাথে মেঘ আবার আহিরের পিঠের উপর ঠাস করে একটা বারি মারলো। তারপর হুমকির স্বরে আহিরকে উদ্দ্যেশ্য করে বললো
“আর একবার যদি আমার সামনে ওই এ.কে. এর নাম নিয়েছিস, তাহলে সবার আগে তোকে আমি ছাদ থেকে ফেলে দিবো।”
কথাটা বলে হনহন করে মেঘ আহিরের রুম থেকে বের হয়ে গেলো। মেঘের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আহির কাদো কাদো কন্ঠে বললো
“রাক্ষুসী মেয়ে একটা মেরে আমার পিঠটাকে একদম আলু, আলু বানিয়ে দিয়েছে। এখন আমি সোজা হয়ে রাতে ঘুমাবো কিভাবে?”
_________________________
এদিকে মিহির বাসা থেকে বের হওয়ার উদ্দ্যেশে দ্রুত পায়ে নিচে এসে যখনই দরজা খুলে বাইরে বের হতে যাবে তখনই ওর সাথে কারো জোড়ে ধাক্কা লাগলো। আকষ্মিক ঘটনায় মিহির সামনে থাকা ব্যাক্তিটাকে রেগে কিছু বলতে যাবে তার আগেই সামনে থাকা ব্যাক্তিটা মার্জিত কন্ঠে বলে উঠলো
“আই অ্যাম সরি। আমি আসলে দেখতে পাইনি।”
চির চেনা পরিচিত একটা কন্ঠস্বর কানে ভেষে আসতেই মিহির মাথা তুলে সামনে তাকালো। সামনে তাকাতেই বিষ্ময়ে ওর চোখ জোড়া রসগোল্লার মতো বড়বড় হয়ে গেলো। আজ প্রায় দুই বছর পর দেখছে এই মুখটা। মিহির এক দৃষ্টিতে সামনে থাকা হোয়াইট জিন্স আর ব্লাক কূর্তি পড়া মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা মাথা নিচু করে ফোনের দিকে তাকিয়ে ফোন স্ক্রল করছে। অবশ্য ফোন স্ক্রল করছে বললে ভুল হবে। মিহিরকে ইগনোর করার জন্যে ফোন স্ক্রল করার নাটক করছে। মিহির অস্ফুট স্বরে কাপা কাপা কন্ঠে বলে উঠলো
“স-সাঈফা!”
সাঈফা ফোনের দিকে তাকিয়ে বললো
“আমি জানি, আমার নাম সাঈফা। এইবার দরজার সামনে না দাড়িয়ে থেকে আমাকে একটু সাইড দিলে আমি খুশী হতাম। আসলে অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছি তো, তাই এখন আমার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন।”
সাঈফার কথা শুনে মিহির নিষ্পলক দৃষ্টিতে কিছুটা সময় সাঈফার দিকে তাকিয়ে রইলো। ওর বুকের মধ্যে কেমন শূন্যতা অনুভব করলো। মিহির সরছে না দেখে সাঈফা এবার ফোন থেকে চোখ সরিয়ে মিহিরের দিকে তাকালো। তারপর ভ্রু কুচকে বললো
“কি হলো? ভিতরে যেতে দিবেন না নাকি?তাহলে কি আমি এখন চলে যাবো?”
সাঈফার কথা শুনে মিহির আর কিছু না বলে হনহন করে বাইরে বের হয়ে গেলো। সাঈফা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাতে থাকা টলি ব্যাগটা টানতে টানতে বাসার ভিতরে প্রবেশ করলো। তারপর উচ্চস্বরে ফুপি মনি বলে জোড়ে ডেকে উঠলো। সাঈফার কন্ঠস্বর শুনে মিড়া রহমান কিচেন থেকে দৌড়ে ড্রইংরুমে আসলেন। এসেই সাঈফাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ছুটে এসে ওকে জড়িয়ে ধরলেন। এরমধ্যে অভি আরেকটা ব্যাগ হাতে নিয়ে দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে মিড়া রহমানকে উদ্দ্যেশ্য করে বলে উঠলো
“কাকি মনি ওই বাদরটাকে জড়িয়ে না ধরে ওর কানের নিচে ঠাটিয়ে কয়েকটা চড় মারো। জানো, কতো কাঠ খর পুড়িয়ে আমি ওকে এখানে নিয়ে এসেছি। ম্যাডাম তো এখানে আসার জন্যে রাজিই হচ্ছিলেন না। আমি এক প্রকার ওর হাত-পা ধরে ওকে এখানে আসার জন্যে রাজি করিয়েছি।বেয়াদপ মেয়ে একটা, লন্ডনে গিয়ে আমাদের সবাইকে একদম ভুলেই গেছে।”
অভির কথা শুনে মিড়া রহমান অভিমানি কন্ঠে বললো
“বড় হয়ে গেছে তো তাই আমাদেরকে এখন আর ওর প্রয়োজন হয় না। আমাদের কথা মনেও পড়ে না। তাই এখন আর আমাদের কাছে আসারও ওর সময় হয় না।”
মিড়া রহমানের কথা শুনে সাঈফার মুখটা অন্ধকার হয়ে গেলো। ‘ও’ মাথাটা নিচু করে ফ্লোরের দিকে তাকালো। তারপর মনে মনে বললো, “তোমাদের কথা আমার সব সময় মনে পড়ে ফুপি মনি। কিন্তু কি করবো বলো? দুই বছর আগের করা অপমান গুলো যে আমি কিছুতেই ভুলতে পারি না। ওই দিনটার কথা মনে পড়লে যে আমার এখানে ফিরে আসার ইচ্ছেটাও মরে যায়। তাই তো চেয়েও আমি তোমাদের কাছে ফিরে আসতে পারিনি।”
কথাগুলো সাঈফা মনে মনে বললেও মুখে বললো
“উফফো তোমরা এখন ওসব কথা বাদ দাও তো। আগে বলো মেঘ আপি, আহির ভাইয়া, আজম আংকেল ওরা কোথায়?”
মিড়া রহমান বললেন
“সবাই উপরে আছে, যা দেখা করে আয়।”
সাঈফা দাত বের করে হেসে বললো
“তোমরা এখানেই দাড়াও। আমি গিয়ে সবাইকে একটু চমকে দিয়ে আসি। আমার আসার খবরটা ওদের আবার জানাও নি তো?”
সাঈফার প্রশ্নের প্রতি উওরে মিড়া রহমান মুচকি হেসে না সূচক মাথা নাড়লেন। মিড়া রহমানের থেকে সাঈফা নিজের কাঙ্খিত উওরটি পেয়ে দৌড়ে উপরে চলে গেলো। ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মিড়া রহমান একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন।
দুই বছর আগে সাঈফা একদিন হঠাৎ করেই ওর মা-বাবাকে জানিয়েছিলো যে ‘ও’ আর বাংলাদেশে থাকতে চায় না। ‘ও’ এখান থেকে অনেক দূরে চলে যেতে চায়। প্রথমে ওর মা-বাবা ওর কথা শুনতে রাজি না হলেও, পরে ওর জিদের কাছে ওনারা হার মেনে নেন। সাঈফাকে ওনারা লন্ডনে সাঈফার খালার বাসায় পাঠিয়ে দেন। সাঈফা চলে যাওয়ার পর সাড়িকা একদম ভেঙে পড়েছিলো। যার সাথে ছোট বেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছে তাকে ছেড়ে থাকাটা সাড়িকার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছিলো। তাই সাড়িকাও সাঈফার কাছে লন্ডনে চলে আসে। কিন্তু সাড়িকা মাঝে মাঝে বাংলাদেশে এসে সবার সাথে দেখা করলেও, সাঈফা সেই যে গিয়েছিলো তারপর আর বাংলাদেশে আসেনি। কারো সাথে ভালোভাবে যোগাযোগও রাখেনি।শুধুমাএ মেঘ ছাড়া। সাঈফার এমন অদ্ভুত ব্যাবহারের কারনটা আজ অবদি সবার অজানাই রয়ে গেছে।
আর কিছুদিন পরে দিশার সাথে অভির বিয়ে। তাই অভির বিয়ে উপলক্ষ্যে সাড়িকা আরো এক মাস আগেই বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। কিন্তু সাঈফাকে সবাই মিলে হাজার বার বুঝিয়েও এখানে আসার জন্যে রাজি করাতে পারে নি। অবশেষে অভি নিজে লন্ডনে গিয়ে সাঈফাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে অনেক কস্টে ওকে এখানে নিয়ে এসেছে। সাঈফা অবশ্য একা আসেনি। ওর সাথে ওর কয়েকজন কাজিনও এসেছে।
সাঈফার আসার খবরটা শুধুমাত্র মিড়া রহমান একাই জানতেন। কারন সাঈফা আগেই ওনাকে ফোন করে ওর আসার খবরটা কাউকে জানাতে বারন করে দিয়েছিলো। ভেবেছিলো হঠাৎ করে এখানে এসে সবাইকে চমকে দিবে। কিন্তু হলো তার উল্টো! দরজার সামনে মিহিরকে দেখে ‘ও’ নিজেই চমকে গেলো।
#চলবে