বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ১১

0
1267

বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ১১………..🌼

বিশালবহুল বাগান বাড়িতে প্রবেশ করছে কালো চকচকে বিএমডব্লিউ গাড়ি টা।। দুই দিক থেকে দারোয়ানারা গেইট লাগিয়ে দেয় গাড়িটা প্রবেশ করার পরে।। অসাধারণ সুন্দর বাড়িটি।। সম্পূর্ণ বাড়িটায় কাঠ কালারের কারুকাজ করা। সম্পূর্ণ বাগান জুরে রয়েছে নানা ধরনের বিদেশি ফুল গাছের সমাহার।এই বাগনটায় প্রত্যেকটা ফুলের আলাদা আলাদা একাধিক সংখ্যক গাছ রয়েছে।লাল গোলাপ থেকে শুরু করে কালো গোলাপ পর্যন্ত সম্পন্ন গোলাপের জাত প্রত্যেক রকমের ফুলের সমাহার। ছোট্ট ঝিল ভর্তি রয়েছে পদ্মা ফুলের সমাহার !এই যেনো এক সর্গ এতো সুন্দর পরিবেশ চোখে না দেখলে নয়, অসাধারণ মনোরম। চারিদিকে হালকা হালকা সাদাটে হয়ে আছে তুষার পরার ফলে।লিপা বেলীতে এই একমাত্র সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় একদম মন ছুঁয়ে যায়। কাশ্মীরের প্রত্যেক অঞ্চল সুন্দর এমনকি লিপা বেলী ও খুব সুন্দর কিন্তু লিপা বেলী কে আরো সুন্দর করেছে এই খান বংশের বাগান বাড়িটা।।

“হুম এটা ইরফানদের বাগান বাড়ি ! প্রত্যেকটা শহরে নিজেদের নিজিস্ব বাড়ি , বাগান বাড়ি আছে, আর এইগুলোতে প্রায় সময় কাজের সূত্রে আসে।। ইমরান খান সহ পরিবারের লোকজন নিলাম বেলীতে চলে গেলেও ইরফান যায় নি সে বিয়ের আগ পর্যন্ত লিপা বেলীতে থাকতে চায় এবং তাও আবার আয়ানার কাছাকাছি।।আয়ানার আর ইরফানের সম্পূর্ণ বিয়ে সম্পন্ন হবে এখানে এটাই ইরফানের আদেশ।”

গাড়ি থেকে নেমে ইরফান আয়ানার পাশে দরজাটা খুলে আয়ানাকে কুলে তুলে নেয়। একজন গার্ডকে চোখে কিছু ইশারা করতেই সে মাথা নাড়িয়ে ভেতরে চলে যায়। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে দেখলো সে মাথাটা ইরফানের বুকে হেলিয়ে রেখেছে তা দেখে ইরফান মুচকি হেসে সামনের দিকে পা বাড়ালো।।

“আয়ানা এখনো আগের ট্রমা থেকে বের হতে পারেনি ্্মাথাটা হেলিয়ে দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে একদিকে !একদম জড়বস্তুর মতো।। হঠাৎ একটা মিষ্টি সুর তার কানে আসলো , সে হালকা তাকিয়ে দেখলো দরজার ঠিক বরাবর পিলারে একটা খাঁচা আর তার মাঝে একটা সাদা সুন্দর পাখি।এটা মূলত ইরফান নতুন শিকার করেছে। সে পাখিটা মূলত আয়ানাকে মিন করে শিকার করেছে।তার মতে সে ও আয়ানাকে এমন করে আটকিয়ে রাখবে নিজের কাছে সম্পন্ন নিজের করে।।আয়ানা চাইলে ও এর থেকে ছাড়া পাবে না এটা বোঝানোর জন্যে।।”

“পাখিটা আয়ানাকে দেখে নিজের গান বন্ধ করে দিয়ে লাফাতে লাগলো তার কাছে যাওয়ার জন্য। এটা পোষা পাখি তাই নতুন সদস্য দেখে খুশি হয়ে যায়। তাঁর কাছে ও মনে হচ্ছে এতো সুন্দর মেয়ে যদি তার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারতাম ।।”

ইরফান পাখিটাকে উড়তে দেখে বাঁকা হেসে আয়ানার দিকে তাকিয়ে বলে তোমার ফ্রেন্ড।। ইরফানের কথার মানে বুঝতে পেরে ভয়ে তারাতাড়ি চোখ নামিয়ে নিল আয়ানা।।

“ইরফান বুঝাতে চাচ্ছে যদি তুমি এর সাথে বন্ধুত্ব করো কিংবা এর সাথে কথা বলো তাহলে এই অবুঝ প্রানি তার প্রান খুয়াবে।সে ব্যাতিত কেউ তার সাথে বন্ধুত্ব তো দূরের কথা কাছে ও ঘেঁসতে পারবে না সেইটা প্রানি হোক আর মানুষ।। ইরফান তার প্রতি এতো প্রজিটিভ যে সে আয়ানার পাশে আয়ানার আপন বোনকে ও সহ্যে করবে না,আর এটা তো সামান্য পাখি।। ইরফান আয়ানাকে সম্পন্ন নিজের করে চায় আর সবার থেকে আলাদা সে ব্যাতিত কারোর সংস্পর্শে আয়ানা যেতে পারবে না।।।।”

ইরফান আয়ানাকে নিয়ে রুমে প্রবেশ করতে উপর থেকে ফুলের বর্ষন শুরু হলো;
চারিদিক থেকে ফুল ছিটানো হচ্ছে।অন্য সময় হলে আয়ানা খুশিতে লাফা-লাফি করতো কিন্তু এখন চুপ করে আছে। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে ড্রইংরুমের সোফায় বসিয়ে দেয় তারপর একজন গার্ডকে বলে ফার্স্টএইড বক্স আনতে বলে।।

“আয়ানা আশেপাশে তাকিয়ে দেখছে, খুব সুন্দর করে সাজানো বাড়িটা। বিশাল বড় বাড়িটায় সব ইউনিক সুন্দর ফার্নিচার দিয়ে সাজানো।সব জিনিস কাঁচের তৈরি।।স্বচ্চ কাঁচের তৈরি প্রত্যেকটা জিনিস খুব চকচক করছে বাড়িটা।‌”

একজন গার্ড ইরফান কে ফার্সএইড বক্স দিতে, ইরফান আয়ানার পাশে বসে খুব যত্ন করে ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছে।।যাতে ব্যাথা না লাগে বারবার ফু দিচ্ছে চুখ-মুখ কুঁচকে বারবার ফু দিয়ে ওষুধ লাগাচ্ছে।। ইরফান লাল লাল চোখ করে আয়ানার দিকে তাকাতে আয়ানা ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়।।

ইরফান আয়ানার চোখে চুমু দিয়ে আয়ানার মাথাটা নিজের মাথার সাথে ঠেকিয়ে বলতে লাগলো—,,,,

“আর কয়েকটা দিন তারপর তুমি আমার , চোখ বন্ধ করে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে বললো! আবার বলতে লাগলো–,,
তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য আমি কতোটা পাগল তুমি বলতে পারবে না আয়ু জান,যখন তোমাকে ওই জানোয়ারটা ধরে ছিল এখানে ঠিক এখানে কষ্ট হচ্ছিল আয়ানার হাত টা বুকের সাথে চেপে ধরে বলল।। তারপর মাথাটা সোজা করে আয়ানাকে আবার কোলে তুলে নেয়। ভয় পেয়ে আয়ানা ইরফানের জেকেট আকরে ধরে তা দেখে মুচকি হেসে আয়ানাকে নিয়ে শিড়ি বেয়ে উপরে চলে যায়।।

*******””*”**”””
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং মোবাইলের আওয়াজে জায়েদ আহাম্মেদ হাতের খবরের কাগজটা রেখে চোখের চশমাটা আরেকটু ঠুসে দিয়ে মোবাইলটা রিসিভ করেন তিনি।।

হ্যালো বলতেই অপর পাশ থেকে কোন ভঙ্গিমা না করে বলতে লাগল।

“আপনি আমার সাথে এমন কি করে করতে পারেন, আপনি আয়নার বিয়ে ঠিক করেছেন কিছুটা জোরে চিল্লিয়ে।””

“আস্তে কথা বল তুমি কি ভূলে যাচ্ছ তুমি কার সাথে কথা বলছ”(জায়েদ)

“না আমি ভুলিনি আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন সবকিছু! আপনি কি ভুলে গেছেন আমার আর আয়ানার বিয়ে ঠিক করেছিলেন আপনি। ছোটবেলায় আব্বি আর আম্মু কে কথা দিয়েছেন যে আপনি আমার সাথে আয়ানার বিয়ে দিবেন। এখন কি হলো এসবের কিছুটা কাঠ কাঠ গলায় বলল অপরপাশের ব্যক্তিটি।”

“তুমি সব কিছু জানো কি হয়েছে এভাবে না জানার ভান করে আমার ওপর দোষারোপ করতে পারো না, আর বাসায় আসো আমি তোমাকে সব বুঝিয়ে বলছি।”(জায়েদ)

কি বুঝাবেন আপনি কি বুঝাতে চান এখন আর আপনি?? সেই ছোটবেলা থেকে আয়নার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন আপনি আর আব্বিজান তাহলে ।

“তুমি অবুঝ না তুমি খুব ভালো করে জানো কি হয়েছে!আর বাচ্চাদের মতো জিদ না করে ঠান্ডা মাথায় কথা বলবো।আর আয়ানার কথা ভুলে যাও শক্ত গলায় বললো জায়েদ।।”

কখনো না আমি আয়ানাকে খুব ভালোবাসি শুধুমাত্র আপনার জন্য এমন হয়েছে। আমি আয়ানার জন্য এতো পরিশ্রম করে এখানে পৌছেছি এগুলোর এখন কি হবে আমাকে আপনি বলেন! আপনি যদি আয়ানার সাথে আয়ানার আঠারো বছর হওয়ার সাথে সাথে আমার আর আয়ানার আকাদ করে রাখতেন তাহলে এমন হতো না।। আমি আপনাকে কতো রিকোয়েস্ট করেছি আপনি আয়ানা ছোট বলে এড়িয়ে গেছেন।। জোরে চিৎকার করতে করতে বলল অপরপাশের ব্যক্তিটি।।

“তুমি আস্তে কথা বল ইরফান বা ইরফানের লোক তোমার কথা শুনতে পেলে তোমাকে মেরে ফেলবে তুমি তাড়াতাড়ি করে বাড়িতে চলে–টুটটুটটুট্্্্্্অপর পাশের ব্যাক্তি মোবাইল কেটে দিতে জায়েদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সোফায় এক হাত কপালে রেখে বসে পরে।।। আবার নতুন আরেকটি টেনশন।।

কী হয়েছে তোমার চায়ের কাপ টা টি টেবিলের উপর রাখতে রাখতে প্রশ্ন করল শীতল?

কিছু না বলে চায়ের কাপে চুমুক দেন জায়েদ আহাম্মেদ। স্বামীর দিকে তাকিয়ে দির্ঘশ্বাস ফেলে চলে যায় শীতল।।

ইরফান আয়ানাকে কোলে করে নিজের রুমের বিছানার উপর বসিয়ে দেয়, তারপর আয়ানার দিকে কিছুটা ঝুঁকে আয়ানার কপালে চুমু খায়। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার আয়ু জানের দিকে।আয়ানা অনেক সাহস সঞ্চয় করে বলল,,,,,,,

আ-আমি বাসায় যাবো আব্বি আম্মির কাছে নিচের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বলল।।
ইরফান আরেকটু কাছে গিয়ে আয়ানার নাকের সাথে নিজের নাক রেখে আয়ানার ঠোঁটে দিকে তাকিয়ে বলল।

হুম——–তারপর !
আয়ানা আরেকটু সাহস জোগিয়ে বললো—,, আমি বাড়িতে যেতে –হুসসসসস বলে ইরফান আয়ানার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে কাথা বন্ধ করে দিলো।

টুপ করে আয়ানার ঠোঁট দুটো নিজের ঠোঁটের বাজে নিয়ে চুমু খেতে লাগল।আয়ানা চোখ খিচে বন্ধ করে ঠোঁট দুটো ভেতরে নিয়ে গেল। ইরফান এক হাত গারে আর অন্য হাত দিয়ে আয়ানার গাল শক্ত করে চেপে ধরে মুখ থেকে ঠোঁট বের করে আবার ডিপলি কিস করতে লাগল।বেশ কিছু সময় পর আয়ানা হাঁপিয়ে গেলে ইরফান আয়ানাকে ছেড়ে দেয়।আর বলতে লাগলো;

“পরবর্তীতে যদি আমার রোমান্সের ডিস্টাভ করেছো তো এর শাস্তি হিসেবে আরো গভীর রোমেন্স করবো বলে আবার আয়ানার ঠোঁটে হালকা চুমু খায়।আয়ানা নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁপাতে থাকে। ইরফান আয়ানার দিকে বাঁকা হেসে বলে;;

“আমার খাওয়া সেরা মিষ্টি ছিল একদম অমৃত ।আর এই অমৃত পান করে মরতে ও রাজি আছি বলে বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে আয়ানার ঠোঁট মুছে দেয়।।”

“তুমি এখানে রেস্ট করো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি বলে আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।আয়ানা এখনো লজ্জা, ভয়ে মাথা নিচু করে রাখে।কিসটা তার কাছে খারাপ লেগেছে তেমন না,এই নতুন নতুন ফিলিংস্রের সাথে সে পরিচিত হচ্ছে একটু একটু করে।”

আয়ানা সম্পন্ন রুমটায় খেয়াল করল সারা রুম জুড়ে তার ছবি আর পেইন্টিং। পেইন্টিং গুলো খুব সুন্দর হয়েছে মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি আয়ানা শুধু জানটা দিলে চলতে পারবে। সবগুলো পেন্টিং ইরফান এঁকেছে সে বুঝতে পারলো। সারা রুমের রং কেমন কালো এবং কি বিছানায় কুশন চাদর ফিনফিনে পাতলা পর্দা গুলো পর্যন্ত।আয়ানা খুব অবাক হলো শুধু মাত্র এই বাড়িতে এই রুম ছাড়া বাকি রুম গুলো খুব সুন্দর পিংক আর সাদা কালার শুধু এটা বাদে।আয়ানার বুঝতে কষ্ট হলো না এই দেওয়ালের রং গুলোর মতো তার জিবনটাও কালো হয়ে গেছে।। এটা ভেবে দির্ঘশ্বাস ফেলে বিছানা থেকে উঠে পরলো, উদ্দেশ্য বারান্দায় দেখার আয়ানা কিছু পা সামনে নিতে ইরফান বলে উঠলো।

“তোমাকে না আমি রেস্ট নিতে বলেছি এখানে কি করছ”
ইরফানের কথায় আয়ানা একবার ইরফানের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে ফেলল হাত দুটো কচলাতে লাগলো ভয়ে।আয়ানার এই আরেক সমস্যা ভয় পেলে হাত কচলাতে থাকবে।।

ইরফান শাওয়ার নিয়ে একটা কালো শার্ট আর প্যান্ট পরে এসেছে চুল থেকে টুপ টুপ করে পানি পরছে, যেকোনো মেয়ে এখন থাকলে চোখ ফেরাতে পারতো না! কিন্তু আয়ানা তো ভয়ের কারণে তাকাতেই পারছে না।। ইরফান আয়ানার সামনে এসে মুচকি হেসে আয়ানার কমড় জরিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলে , ইরফানের ঠান্ডা হাতের স্পর্শে আয়ানা কিছুটা কেঁপে উঠে। ইরফানের চুলের পানি গুলো আয়ানার মুখে পরছে।।।

তুমি এতো ভয় কেনো পাও আমাকে জান আমি চাই না তোমার চোখে আমার জন্য ভালোবাসা ছাড়া অন্য কিছু থাকবে ! খুবই শিতল গলায় বলল ইরফান।।
ইরফানের কথায় আয়ানা একটু ইরফানের দিকে তাকিয়ে আবার মাথা নামিয়ে নিলো।। ইরফান আয়ানার কমড় ছেড়ে আয়ানার হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে গেলো।।আয়ানাকে সামনের দিকে দাড় করিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে গারে চুল গুলো সরিয়ে সেখানে নিজের থুথুনি রাখলো আয়ানা আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলল।।

লুক জান হাত দিয়ে ইশারা করে বাহিরে তাকাতে বললো।।আয়ানা ইরফানের হাতের ইশারা অনুযায়ী বাহিরে তাকালো।।এখান থেকে সম্পূর্ণ বাগান টা দেখা যাচ্ছে কী সুন্দর লাগছে চারিপাশ?? বাগানের পিছনের ঝিলের পদ্মা গুলো অসাধারন লাগছে।। দূরের পাহাড় গুলো এতোক্ষণে সাদা হয়ে গেছে তুষার পাতের জন্য ।।আয়ানাকে এইভাবে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে আরেকটু শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।।

“কী সফট তুমি জান মন চাচ্ছে কামড়ে খেয়ে ফেলি বলে গারে একটা বাইট করলো।আয়ানা ভয়ে তারাতাড়ি চোখ বন্ধ করে ফেলল জীবনে প্রথম এমন কথা আর কাজের সাথে তার সাক্ষাৎ।। ইরফান আয়ানার গারে নাক ঘসতে ঘসতে বলে;;

“কালকে আমাদের এনগেজমেন্ট জান, কালকে সারা দুনিয়ার মানুষ জানবে তুমি আমার,সব নিউজে আমাদের বিয়ের খবর দেখাবে। সবাই জানবে তুমি ইরফান খানের বৌ। মিসেস আয়ানা ইরফান খান ।বলে জরিয়ে ধরে মুখ গুজলো।।।।

To be continued……..🌼

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here