#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৫২…………..🌼
“বাঙ্গালী নারীদের মতো সাদা পাই লাল শাড়িতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে আয়ানাকে।বাঙ্গালী নারীরা যেমন করে পরে ঠিক সেইভাবে পরেছে শাড়িটা একদম বাঙ্গালি স্টাইলে।।চুল গুলো মাঝখানে সিঁথি করে হাল্কা টিকলি, কানে টানা দুল , নাকে নথ, কোমরে টানা বিছা, ঠোঁটে গাঢ় করে চকলেট কালার লিপস্টিক, চোখে গাঢ় কাজল দিয়েছে।দুই হাত ভর্তি লাল রঙ্গের কাঁচের চুড়িতে।হাত দুটোতে আলতা দেওয়ার কারনে টানা টানা করে সোজা করে রেখেছে যাতে করে আলতা গুলো শুকিয়ে যায় আর ছড়িয়ে না যায় সারা হাতে। ইরফান আয়ানার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে দুই পায়ে সুন্দর করে সযত্নে আলতা দিয়ে দিচ্ছে আয়ানা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। আজকে পহেলা বৈশাখ হাঁসি মজায় ইরফান আয়ানার ভালোবাসা খুনসুটিতে কেটে গিয়েছে অনেক গুলো দিন আয়ানার কথা অনুযায়ী আজকে পহেলা বৈশাখের আয়োজন করা হয়েছে বাড়িতে সেই উপলক্ষে বাড়ির সাথে সাথে বাড়ির প্রত্যেক সদস্য সেজে উঠেছে নতুন সাজে ।।এই কয়েক দিনে ইরফান আয়ানার ভালোবাসা আরো গাঢ় হয়েছে প্রতিটা মূহুর্ত ইরফানের কেয়ারিং আয়ানাকে তাঁর প্রতি আরো মুগ্ধ আর আসক্তি করে তুলেছে।।ভালোবাসা পরিপূর্ণ হয়েছে দুজনের জীবন প্রতিটা মূহুর্ত ইরফান এটা বুঝিয়েছে আমার আসক্তি তুমি তুমিয় বিষাক্ত আমার জীবন তোমার প্রেমে হিংস্র আমি , কারন অতিরিক্ত ভালোবাসা হারানোর ভয় বেশি থাকে তাই যাতে হারাতে না হয় তাই ভালোবাসা রক্ষার্থে হিংস্র আমি। হুমায়ূন স্যারের বিশেষ এক উক্তি রয়েছে,
“প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে
পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে
তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ
দখল করে নিবে।
যদি সে তোমাকে কখনো ছেড়ে চলে
যায় সে তোমার জগতের ঐ বিরাট
অংশটাও নিয়ে চলে যাবে তুমি হয়ে
যাবে শূন্য জগতের বাসিন্দা”।
ইরফানের ও আয়ানা ছাড়া এই বিরাট পৃথিবীতে কোনো অস্তিত্ব নেই।তাই হারানোর ভয় বেশি।
আয়ানা মৃদু হেসে বললো,,
—বাহ আপনি তো বেশ ভালো করে আলতা দেওয়া শিখে গিয়েছেন। কিন্তু আমাকে দেখুন এই পর্যন্ত হাজার বার ইউটিউব দেখেও আমি কিছু শিখতে পারছি না। আমার এতো দিন ধারনা ছিল ইউটিউবে সব ফালতু ফেক ভিডিও দেখায় যেমন ধরুন ওঁরা তৈরি করে এক আর দেখায় আরেক মানে ইডেট করে এতো সুন্দর করে দর্শকদের বোকা বানায় কারন আমি কখনো ইউটিউব দেখে একইরকম কিছু তৈরি করতে পারিনি ওঁরা বানায় এক আর আমারটা হয়ে যায় আরেক লাইক আইসক্রিম বানাতে গেলে আইসললি হয়ে যায় সেই টাইপের।আর আপনি দেখুন কতো সুন্দর করে একই রকম শিখে ফেলেছেন তাঁর মানে ওঁরা ঠিক আমি পাড়ি না। ঠোঁট উল্টিয়ে গাল ফুলিয়ে বললো।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান উচ্চস্বরে হেসে দিলো, হাসতে হাসতে মুখ একদম লাল হয়ে গিয়েছে।আয়ানা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে ইরফানের দিকে সাদা রঙের পাঞ্জাবি যার বুকের কাছে কিছুটা লাল আর সিলভার রঙের সুতোর কাজ গলায় ঝুলানো লাল রঙের উরনা পায়ে দামি নাগরা জুতা, চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করে রেখেছে কানে ব্ল্যাক টপ চোখে হালকা সুরমা ব্যস অসাধারণ সুন্দর লাগছে তাকে হাঁসি দেওয়ার ফলে দুই গালে হালকা টুল পরাতে আরোও বেশি সুন্দর লাগছে । উফ্ এতো সুন্দর ছেলেটা তাঁর স্বামী যে কিনা সকল মেয়েদের ড্রিম বয় ভাবতে আয়ানার নিজের উপর নিজেরই হিংসা হচ্ছে না জানি অন্য মেয়েরা তাকে কতোটা হিংসা করে ভাবতেই মনে মনে দারুন খুশি হয় সে।। ইরফান আলতা দেওয়া কমপ্লিট করে আয়ানার পায়ে মোটা সাদা পাথরের এক জোড়া নূপুর পড়িয়ে দিলো । সোজা হয়ে আয়ানার চুলের পেছনের দিকে চাঁদের মতো বাঁকিয়ে বকুল ফুলের মালাটা লাগিয়ে দিলো।সব কাজ শেষ করে আয়ানার হাত ধরে দাঁড় করিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে বললো,,,,
—-অসাধারন লাগছে মেরি জান লুক লাইক বাঙ্গালী বধূ বলে টুপ করে গালে চুমু এঁকে দিলো।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।ইরফানের কথা শুনে আয়ানা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নিলো ইরফান থুতনিতে হাত রেখে মাথা সোজা করে বললো,,,
—-লজ্জা পেলে লাল স্ট্রবেরি মতো দেখতে লাগে ইচ্ছে করে কামড়ে কুমড়ে খেয়ে ফেলি। বাঁকা হেসে।
ইরফানের লাগামহীন কথা শুনে আয়ানা ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইল তারপর রেগে হাতে আলতো চিমটি কেটে বললো,,,
—-হুশশশ! সবসময় বাজে কথা।
—কী করবো এতো সুন্দরী পিচ্চি বউ থকলে কী মাথা ঠিক থাকে বলো। হাতে আলতো ঠোঁট ছুঁইয়ে ইনোসেন্ট ফেইস করে বললো।।
আয়ানা বুঝতে পেরেছে এখন তাকে লজ্জা দিয়ে মারবে এই ভিলেনটা তাই মৃদু ধাক্কা মারে তা দেখে ইরফান মুচকি হাসে।আয়ানা চোখ থেকে কিছুটা কাজল এনে ইরফানের কানের পেছনে দিয়ে দিলো তা দেখে ইরফান ঠোঁট বাঁকিয়ে চোখ ছোট করে বললো,,,
—-এটা কী ছিল?
—-নজর ফোঁটা আম্মি রোজ আমাকে আর ‘দি’কে দিয়ে দিতো যাতে করে কারোর নজর না লাগতে পারে। আপনাকেও দিয়ে দিলাম যদি কারোর নজর লেগে যায় নাক কুঁচকে।।
ইরফান কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে উচ্চস্বরে হেসে দিলো তা দেখে আয়ানা আরোও নাক কুঁচকে ঠোঁট ফুলিয়ে নিলো তা দেখে ইরফান নিজের হাঁসি থামিয়ে নাক টেনে বললো,,,
—সত্যি পিচ্চি একটা। আমার পিচ্চি পরী। আমার আয়ু জান ছাড়া কারোর দুঃসাহস নেই তাঁর ভিলেনের দিকে তাকানোর বুঝতে পেরেছো মেরি জান।।
আয়ানা ইরফানের গলা জড়িয়ে ধরে ব্যঙ্গ করে বললো,,,,
—কেউ তাকালে ভিলেনের মেরি জান তাঁকে শূলে চরাবে ঠোঁট বাঁকিয়ে।
ইরফান কিছুক্ষণ শান্ত চোখে তাকিয়ে থেকে মাথা নিচু করে মুচকি হেসে সোজা হয়ে আয়ানার কোমর জড়িয়ে ধরে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে গালে স্লাইট করতে করতে নেশাক্ত গলায় বললো,,,
—-দ্যা ভিলেনের মেরি জান কী এখন ভিলেন গিরি করবে। ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে।।
আয়ানা আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে হালকা হেসে বললো,,
—প্রয়োজন হলে অবশ্যই কজ আই এম দ্যা কুইন ওফ দ্যা কিং ওফ দ্যা ব্লাক কিংডম।। ধীরে গলায়।
ইরফানের আয়ানার কথা শুনে মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠে কোনো বিলম্ব না করে আয়ানার ঠোঁটের বাজে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো আয়ানাও আবেশে চোখ বুজে ইরফানের সাথে তাল মেলাতে লাগলো।
/লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম/
————-
—-হ্যালো স্যাম পৌঁছে গিয়েছো খাঁন বাড়িতে ।।। (নিশান উদ্দিন)
—-জ্বী বস আমি পৌঁছে গিয়েছি আর এমন বেশে এসেছি কেউ চিন্তে পারবে না আপনি কোনো চাপ নিবেন না শুধু ক্যাশ প্রস্তুত রাখুন এইবার আপনার কাজ হয়ে যাবে বলে কট করে মোবাইল কেটে দিলো।।
অপর পাশে নিশান উদ্দিন হ্যালো হ্যালো করছে কিন্তু কোনো উত্তর আসছে না,তা দেখে রেগে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে আর গর্জে উঠে বলে,,,,,
—-এবার আবার ধরা পরে যাবে মূর্খের দল। খুব ফিল্মি পছন্দ এই স্যাম মূর্খের এর এই ফিল্মিগিরির জন্য নিজেও মরবে আমাকেও মারবে। কেনো যে এই মূর্খ কে হায়ার করতে গিয়েছি। দাঁত কটমট করে।। তারপর জোরে জোরে চিৎকার করে গার্ডকে ডেকে বললো, কাশ্মীর যাওয়ার ব্যবস্থা করতে ছদ্মবেশে যাবে কাশ্মীর প্রয়োজন হলে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিজের জানও দিতে রাজি আছে সে।।।।।
মানুষের মৃত্যুর পাখনা গজালে তাঁর কোনো দিকে হুঁশ,জ্ঞান থাকে না সে উন্মাদের মতো মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় ঠিক একই অবস্থা হয়েছে নিশান উদ্দিনের সেও উন্মাদের মতো মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।।।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম/স্যাম হচ্ছে ছোটখাটো মাস্তান সে খুব ভাব নিয়ে চলাচল করে মডার করেছে বেশ অনেক গুলো তাই সে নিজেকে মস্ত বড় ডন মনে করে। সে নিজেকে ইরফান খান থেকে বড় মাফিয়া মনে করে মাটিতে বসে চাঁদ ধরার স্বপ্ন যেমন ঠিক সেইরকম। ফিল্মি দেখে ফিল্ম জগত থেকে বের হতে পারছে না। আজকে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত কিন্তু সে তাঁর আবাশ পাচ্ছে না , ঠিক হেলেদুলে বাগানে প্রবেশ করে গার্ডদের পোশাক পড়ে গার্ডদের মতো সেজে যাতে করে তাকে কেউ চিনতে না পারে । আজকে আয়ানাকে কিডন্যাপ করার উদ্দেশ্যে সে এখানে এসেছে কিন্তু সে ভুলে গিয়েছে ইরফান খানের প্রাসাদে তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারে না কিন্তু সে খুব সহজ এবং স্বাছন্দে প্রবেশ করেছে কোনো বাধা ছাড়া এতো সহজ কী এখানে প্রবেশ করা।।।
গার্ডদের সাথে মিলে কাজ করছে বাগানের সাইটে বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তাঁর ব্যবস্থা তোরজোর করে চলছে স্যাম ভেবেছে এইসবের মাঝে কেউ টের পাবে না সে গুপ্তচোর কিন্তু একজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি যে তাঁর উপর সে বুঝতে পারেনি এক ভয়ানক অগ্নি লাভা তাকে গ্ৰাস করতে আসছে মুখে পৈশাচিক হাসি , চোখ মুখে ভয়াবহ হিংস্রতা যা তাকে দুমরে মুচড়ে শেষ করে দিবে।। এক ভয়ংকর মৃত্যু ফাঁদে পা দিয়েছে সে মৃত্যু আসলে বুঝি এইভাবে জেনে শুনে পা রাখে মৃত্যু ফাঁদে।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
—-আপনি এখানে কী করছেন চলুন না নিচে সব কিছু কী সুন্দর করে সাজানো হয়েছে আমি এখনো দেখিনি আমি দেখবো চলুন না।। হাত ধরে টেনে।।
ইরফান নিজেকে স্বাভাবিক করে মৃদু হেসে বললো,,,
—-সব তো তোমার জন্য মেরি জান! ধীরে ধীরে দেখবে।। এখন আগে খাবার খাবে তারপর সব কিছু ঠিক আছে কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে।।
আয়ানা মুচকি হেসে মাথা নাড়ালো। ইরফান আয়ানার হাত ধরে ধীরে ধীরে নিচে গেলো,এইভাবে শাড়ি পরার ফলে হাঁটতে একটু অসুবিধা হচ্ছে পরে যাতে না যায় তাই শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে ইরফান।
🦋🦋
বাহারি রঙের ফুল,লতা পাতা, মরিচ বাতি, বিভিন্ন ধরনের লাইট,প্রদিপ, হারিকেন ইত্যাদি দিয়ে বাঙ্গালীদের মতো করে সারা বাড়ি ডেকরেট করা হয়েছে।সারা খান বাড়ি লাল,সাদা,নীল, হলুদ বিভিন্ন রঙের নেট, ফুল দিয়ে সজ্জিত হয়েছে একদম আয়ানার মনের মতো করে। কোনো ধরনের ত্রুটি রাখা হয়নি বরং আরো বেশি সুন্দর হয়েছে। নিচে নামতে নাকে ভেসে আসলো ইলিশ ভাজার গন্ধ সাথে সাথে জিভে জল চলে আসে আয়ানার চারিদিকে মৌ মৌ করছে খাবারের গন্ধে। চারিদিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখলো, বাড়ির সবাই খুব সুন্দর করে বাঙ্গালী সাজে সেজেছে।।সবাই টেবিলে অপেক্ষা করছে তাদের জন্য ইরফান আয়ানাকে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে নিজেও বসে পড়লো।। টেবিলের উপর সব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রান্না হয়েছে সব রান্না করা জিনিস মাটির সুন্দর সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়েছে অনেক সুন্দর করে খাবার গুলো সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ টেবিল জুরে সব আয়ানার পছন্দের খাবার তা দেখে এক গাল হাসে সে ।।ইরফান মৃদু হেসে আয়ানাকে খাইয়ে দিতে লাগলো আর নিজের পছন্দের খাবার খেতে পেরে আজকে আয়ানা খুব খুশি অন্ততপক্ষে আজকে ইংলিশ খাবার থেকে সে ছুটি পেয়েছে।খুব তৃপ্তি নিয়ে খেলো কোনো ঝামেলা ছাড়া যেহেতু পছন্দের খাবার তাই অন্য দিনের মতো খাবো না বলে ঝামেলা করেনি কিন্তু ইরফানের খেতে বেশ কষ্ট হলো সে এসব খাবার একদম পছন্দ করে না কেমন নাক মুখ কুঁচকে খাচ্ছে শুধু আয়ানার জন্য তা দেখে আয়ানা বেশ মজা পেলো আর মনে মনে বললো, কেমন লাগলো এরোগেন্ট ম্যান আমারও এমন লাগে যখন আপনি আমাকে অস্বাস্থ্যকর ঘাস লতাপাতা জোর করে খাইয়ে দেন এবার আপনার পালা হুম। ঠোঁট বাঁকিয়ে মৃদু হেসে।।
খাবার শেষ করে সকলে বাগানের দিকে চলে গেলো এতোক্ষণে সকল মেহমান চলে এসেছে।।।
“বাগানের দিকে বিশাল আয়োজন হয়েছে পহেলা বৈশাখের।বৈশাখ উৎসবে উপস্থিত হয়েছে অনেক মানুষ গ্ৰামের প্রত্যেক মানুষ উপস্থিত হয়েছে সকলে সাদা লাল রঙের ড্রেস মেয়েরা মাথায় হিজাব ছেলেরা টুপি বেশ সুন্দর লাগছে সবাইকে।সকলে বৈশাখ উদযাপন করছে খাওয়া দাওয়া হৈ হুল্লোড়ে মেতে উঠেছে উৎসব।।আয়ানা ইরফানের হাত ধরে সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখছে কী সুন্দর করে সাজানো সব এতো বিশাল আয়োজন সে কখনো দেখিনি মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি মেলায় আছে। কখনো এতো সুন্দর মেলা হয় নাকি কথাটা ভেবে হাসলো আয়ানা কারন মেলা হয় গিজগিজ মানুষের ভীড়ে যা খুব অস্বস্তিকর তাঁর জন্য।বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ বাড়ির এরিয়াজুড়ে সম্পূর্ণ বাড়ির আশপাশ জুড়ে সাজানো হয়েছে সবাই বেশ হাঁসি খুশি ভাবে উদযাপন করছে নববর্ষ উৎসব।
অন্যদিকে,,
“স্যাম বেশ অনেকক্ষণ ধরে সু্যোগ খুঁজছে আয়ানাকে কিডন্যাপ করার জন্য কিন্তু সুযোগ পাচ্ছে না ইরফান আর গার্ডদের জন্য। হঠাৎ ইরফান আর আয়ানা অন্যদিকে চলে গেলে সেও পেছন নেয় কিন্তু বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর হরিয়ে ফেলে তাদের এদিক সেদিক খুঁজে না পেয়ে ফিরে যেতে নিবে তখন কেউ পেছন থেকে হাত মুখ চেপে টেনে নিয়ে যেতে লাগে সে হাত পা নাড়াচাড়া করেও ছুটতে পারেনি লোক গুলো তাকে টেনে বাগানের পেছনের দিকে নিয়ে যায়।।
“আয়ু তুমি এখানে চুপটি করে বসে থাকবে আমার একটা ইম্প্রটেনট কাজ পরেছে আমি বিশ মিনিট পর ফিরে আসছি তুমি কিন্তু এখান থেকে নড়বে না। গালে হাত রেখে।।
আয়ানা ইরফানের হাত শক্ত করে ধরে বললো,,,
—-কোথায় যাচ্ছেন আপনি আর হঠাৎ কী কাজ আমিও যাবো। বাচ্চাদের মতো করে বললো।
ইরফান হেসে দিয়ে হাটু ভর দিয়ে বসে আয়ানার গালে হাত রেখে বললো,,,
—-আমি এখানেই আছি একটা ইম্প্রটেনট কাজ পরেছে ক্লাইন্টের সাথে তাঁর ব্যপারটা ফিনিশ করে আসি তারপর চলে আসবো। অদ্ভুত হেসে।।
—-আমার ভয় করছে আমি থাকি না আপনার সাথে। মাথা নিচু করে।
—-আচ্ছা বাবা পনেরো মিনিট তুমি সাফিয়ার সাথে থাকো আমি যাবো আর আসবো।। গালে চুমু খেয়ে।।
—-আচ্ছা ঠিক আছে। মৃদু হেসে।
ইরফান কপালে চুমু খেয়ে সাফিয়া কে ইশারা করে আয়ানাকে দেখতে বলে চলে যায়।যাওয়ার পূর্বে অদ্ভুত হাসি হেসে কিছু গার্ডদের ইশারা করে বলে আয়ানার দিকে নজর রাখতে বলে নিজের কাজে চলে যায়।আয়ানা ইরফানকে অন্যদিকে চলে যেতে দেখে সেও সাফিয়ার সাথে চেয়ারে বসে জিলিপি খাওয়ায় মনোযোগ দিলো। কিছুক্ষণ বাদে তাদের পাশে এসে বসে আসফিয়া খান ইমরান খান সকলের সাথে কথা বলছে আসফিয়া খানের সাথে কিছু লোক দেখা করতে আসলে সে আবার চলে যায়। আয়ানা জিলিপি খাচ্ছে আর চোখ ঘুরিয়ে সব কিছু দেখছে আর সাফিয়া ইসহাক কে খাইয়ে দিচ্ছে।।
অন্যদিকে ইরফান হাতে হ্যান্ড গ্লাভস লাগিয়ে বাগানের পেছন সাইটে চলে যায়।।।।।
(খুব শীঘ্রই গল্পটা শেষ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। ১৮৫৪ শব্দের আজকের পর্ব অনেকটা ২০০০শব্দের কাছাকাছি তাই কেউ ছোট বলবেননা।।আজকের পর্ব কেমন হয়েছে সবাই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন ধন্যবাদ সবাইকে 💞💞💞)
#To_be_continued………🌼
#Happy_Reading
༄লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম༄✵