বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ১৮

0
1234

বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ১৮………..🌼
(Wedding special 🍁)

সন্ধ্যায় হতে না হতে চারিদিকে জ্বলে উঠলো রং বেরঙের ফেয়ারি লাইট মরিচ বাতি, বিভিন্ন রঙের লাইট।।নিলাম বেলীর প্রত্যেকটা বাড়ি সাজানো হয়েছে,প্রত্যেক বাড়িতে জ্বলজ্বল করছে এসব রং বেরঙের লাইটের আলোতে।।খান বাড়িতে মেহমানদের আসা শুরু হয়ে গেছে।। সম্পূর্ণ খান বাড়িটা আলোয় চকচক চকচক করছে।

______হলুদ ভাড়ি লেহেঙ্গা পরে বসে আছে আয়ানা।।একমণ ওজনের লেহেঙ্গটা পড়ে মূর্তির ন্যায় বসে আছে সে। কিছুক্ষণ আগে র্পালারের মেয়েরা তাকে হলুদের সাজে সাজিয়ে দিয়েছে।। হলুদ ভাড়ি লেহেঙ্গার সাথে মাথার সামনের চুল গুলোকে হালকা পাম্প করে খোঁপা করে তাঁতে হলুদ স্টারগেজার ফুল দিয়ে দিয়েছে, কপালে টিকলি ,হাত ভর্তি কাঁচের হলুদ রঙের চুড়ি, মুখে হালকা মেকআপ আর নাকে নথ। পায়ে গারো আলতা তাঁর সাথে গর্জিয়াস দু’টো পায়েল। গলায় কানে দামি দামি জুয়েলারি! অনেক সুন্দর লাগছে আয়ানাকে। একবার তাকালে আরেকবার দেখতে ইচ্ছে হবে ঠিক এমন।। চোখ ধাঁধানো সুন্দরী লাগছে আজকে আয়ানাকে।।। সাজানোর পর র্পালারের মেয়ে গুলো যেতে সেখানে উপস্থিত হয় শীতল আর তুতুল।।আয়ানার দিকে তাকিয়ে মলিন হেসে কানের নিচে নজর ফোটা দিয়ে দেয়! এতে করে লাভ হবে না ঠিকই কারন যার নজর পরার কথা তার নজর খুব ভালো ভাবে পরে গেছে।।।।। রুমের ভেতর কিছু মেয়ে প্রবেশ করতে আয়ানাকে নিয়ে নিচে চলে আসে তাঁরা।।।

______আয়ানাকে নিচে এনে স্টেজে বসিয়ে দেওয়া হয়।। ইরফান আয়ানার হলুদ একসাথে হবে।।।আয়ানা স্টেচু হয়ে বসে আছে কোনো দিকে তাকাচ্ছে না।।আয়ানাকে নিচে আনার পর ইরফান রেডি হয়ে নিচে আসে।।______

_______ইরফান আয়ানার সাথে ম্যাচ করে একরকম পাঞ্জাবি পরেছে।। সবসময়ের মতো তাকে আজকে ও খুব সুন্দর লাগছে।ডেসিং কুল কিলার টাইপের লাগছে।। ইরফান নিচে আসতে তাঁর চোখে পড়ে স্টেজে বসে থাকা তাঁর হলুদ পরীর উপর।। সাথে সাথে তার হার্ট বিট বেড়ে যায়।। ইরফানের হাত অটোমেটিক তার বুকের বাম পাশে চলে যায়।।‌অসাধারন সুন্দর লাগছে তার জানকে একদম হুর দের মতো।।।চোখ ফেরানো দায় হয়ে যাচ্ছে তার।।আয়ানাকে দেখে তার সাদা মনির চোখ দুটোর আশপাশ লাল হয়ে যায়।।গাল গরম হতে থাকে।। নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে তার পরীর দিকে।এই পরীটা তার শুধু তার! কালকে থেকে এই পরীটা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিজের করে ফেলবে।আয়ানার নামের পাশে নিজের নামের ট্যাগ লাগিয়ে দিবে ভেবে ইরফানের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠে।।। ইরফান ধিরে ধিরে আয়ানার কাছে চলে আসে।। ইরফানের উপস্থিত বুঝতে পেরে আয়ানা আরেকটু গুটিয়ে নিচের দিকে মাথা করে বসে পরে।।‌ইরফান পাশে একটি মেয়ে সার্ভেন্ট যে হলুদের বাটি সাজানো থালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাকে ইশারা করতে সে মাথা নিচু করে সামনে এগিয়ে আসে।।‌ইরফান বাটি থেকে হলুদ নিয়ে নিচু হয়ে একদম আয়ানার মুখ বরাবর হতে আয়ানা ভয়ে চোখ খিচে নেয়। ইরফান আয়ানার দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে থাকে। হাতের হলুদ টা ধীরে ধীরে আয়ানার সারা গালে লাগিয়ে দেয়। গালে ঠান্ডা অনুভব করতে দাঁত মুখ খিচে আরেকটু চেপে বন্ধ করে ফেলে আয়ানা।।। ইরফান পরপর একই ভাবে হলুদ লাগিয়ে আয়ানার কানে ফিসফিস করে নেশা ভরা কন্ঠে বলল,,,,,,,,,,,,,

______তোমাকে মরাত্মক ভাবে সুন্দর লাগছে মেরি জান।।। আমার পক্ষে নিজেকে আটকানো কষ্ট দায়ক হয়ে যাচ্ছে।।‌খুব করে তোমাকে নিজের করে পেতে ইচ্ছে করছে বলে কানের লতিতে হাল্কা করে চুমু খায়।।।_______

____ইরফানের কথায় আয়ানার কাঁপুনি শুরু হয়ে যায়।। ভয়ের সাথে সাথে লজ্জাটাও যুক্ত হচ্ছে।।গাল দুটো লাল হয়ে গেছে নাকের ডগাটাও লাল হয়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে।।।______

____ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলতে লাগে,,,,,,___

_____লজ্জা পেলে তোমাকে একদম স্ট্রবেরির মতো লাগে ইচ্ছে করে খেয়ে ফেলি ।বলে বাঁকা হেসে আয়ানার গালের সাথে নিজের গাল ঘেঁষে দেয়।এতে করে তাঁর খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো আয়ানার গালে লাগায় অন্য রকম শিহরণ বয়ে যায় তার শরীরের।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে দেখে সে এখনো মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে রেখেছে তা দেখে ইরফান বাঁকা হেসে আয়ানার কানের কাছে এসে বলে,,

___আর লজ্জা পেতে হবে না জান! কিছু লজ্জা কালকে রাতের জন্য অবশিষ্ট রেখো কেমন বলে আয়ানার পাশে গায় ঘেঁষে বসে পরে।। ইরফানের কথায় আয়ানার আবার ভয় জেকে বসে।।‌_____

___এক এক করে সবাই আয়ানাকে হলুদ লাগিয়ে দেয়।। সবাই হাতের পিঠে হলুদ লাগিয়ে দেয়।। ইরফানের নিষেধ আয়ানার গালে হলুদ না ছুয়াতে! কারণ আয়ানার গালে শুধু তার স্পর্শ থাকবে।।তার ছুঁয়া হলুদ থাকবে আর কারোর না।।‌______

___এক এক করে সব নিয়মকানুন মেনে হলুদের অনুষ্ঠানের পর্ব শেষ হয়।। ইরফানের কথা মতো সবাই যেমন যেমন বলেছে এমন করে হলুদের কাজ সম্পূর্ণ করে।। সম্পূর্ণ হলুদে ইরফানের নজর আয়ানার উপরে ছিল।।।। হলুদ দেওয়া শেষ হলে একজন মেয়ে আয়ানাকে মেহেদী দিতে বসে।।। দুই হাতের কনুই পর্যন্ত আয়ানাকে মেহেদী আর্টিশ মেহেদী দিয়ে দেয়।।। ইরফান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আয়ানার হাতের দিকে।।।।‌‌

____হঠাৎ ইরফানের হাঁসি হাঁসি মুখটা উধাও হয়ে যায়।।। মুখের মধ্যে মুহুর্তে ফুটে ওঠে হিংস্রতা। ইরফান একটানে আয়ানার মেহেদী দেওয়ার হাতটা টান মেরে নিজের কাছে নিয়ে আসে।।। হঠাৎ এমন হওয়া আয়ানা ভয় পেয়ে যায় ভিতু চোখে একবার ইরফানের দিকে তো একবার বাড়ির সবার দিকে তাকায়।। সবাই হঠাৎ ইরফানের রেগে যাওয়ার কারণ বুঝতে পারছে না।।। হঠাৎ ইরফানের চিৎকারে সবাই কেঁপে উঠে সাথে আয়ানা ও________

___এটা কেমন করে হয়েছে?ওর হাত লাল কেনো হয়ে গেছে ? রেগে চিৎকার করে বললো ইরফান__

___ইরফানের কথায় আয়ানার হাতের দিকে তাকালো সবাই।আয়ানার মেহেদী দেওয়া হাতে মেহেদীর চারপাশে সাদা অংশ গুলো লাল হয়ে গেছে।।।সারা হাত রক্তের মতো লাল হয়ে গেছে।।‌এমনটা দেখে সবাই ঘাবড়ে যায়।।।আয়ানার হাত মেহেদী দেওয়ার সাথে সাথে জ্বলছিল কিন্তু ইরফান পাশে বসায় কিছু বলতে পারছিল না।।‌এখন হাতের দিকে তাকিয়ে আতকে উঠে।।হাত লাল হয়ে আছে যেকোনো সময় রক্ত পড়তে পারে।।‌‌_______

_____ আসফিয়া একজন সার্ভেন্টকে পানি আর মেডিসিন আনতে বলে।।। ইরফান তো রাগে গজগজ করতে থাকে।।আয়ানার হাতের অবস্থা দেখে তার সব কিছু ধ্বংস করে দিতে ইচ্ছে করছে।।। সবাই ইরফানের রাগ দেখে ভয়ে কাঁপতে লাগল।।। সারা বাড়ির মেহমানরা ভয়ে এতোক্ষণের হইচই সব থামিয়ে দেয়।।। ইমরান খান এগিয়ে এসে ইরফানের কাঁধে হাত রেখে তাকে শান্ত হতে বলছে।।। কিন্তু ইরফান রাগে থরথর থরথর করে কাঁপছে। রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে তাঁর।। নিজের ঘার টাকে একবার এদিকে আরেকবার ওইদিকে বাঁকিয়ে নিজের চোখ জোড়া একবার বন্ধ করে তারপরে খুললো।।আয়ানা হাতে হালকা জ্বলছে তেমন ভাবে ইনফেকশন হয় নি।।। সার্ভেন্ট পানি নিয়ে আসলে শিতল শিগ্ৰই আয়ানার হাত ধরতে নিলে ইরফান শীতল কে হাত দিয়ে থামিয়ে দেয়। শিতল ভয়ে ইরফানের সামনে পানির কাঁচের বলটা রেখে দিল।।__

_____ইরফান বল থেকে কাপড় ভিজিয়ে আস্তে আস্তে আয়ানার হাতের মেহেদী তুলে দেয়।।আয়ানার হাতের দিকে সম্পূর্ণ খেয়াল।।তার চেহারা শান্ত দেখাচ্ছে কিন্তু চোখ মুখ আগের মত লাল হয়ে আছে,,যেমনটা ঝড় উঠার আগে পরিবেশ হয়।আয়ানা ভিতু চোখে ইরফানের হাব ভাব বুঝার চেষ্টা করছে কিন্তু বরাবরই ব্যার্থ হচ্ছে ‌।‌।।_______

_____আয়ানার হাতে খুব সুন্দর মেহেদীর রং ধরেছে।।মেহেদীর মেডিসিন টা বেশি হওয়া হাতে সমস্যা করেছে।।আর বেশিক্ষণ থাকলে ইনফেকশন হওয়ার চান্স ছিল। ইরফান আয়ানার হাতে যত্ন সহকারে মলম লাগিয়ে দিলো।। তাঁর পর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হাত টাকে ভালো করে দেখলো। তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আয়ানার হাতের লাল স্থান গুলোতে।।।

______এটা কেমন করে হলো! মেহেদী ডিজাইনার কে উদ্দেশ্য করে শান্ত গলায় বলল ইরফান।। তার নজর এখনো আয়ানার হাতের দিকে।। ইরফানের কথা শুনে মেহেদী আর্টিশ ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলে,,,,,,,,,,

____আ_আসলে স্যার আমি বুঝতে পারিনি। মেহেদীর মধ্যে মেডিসিন টা বেশি ছিল!আই এম স্যরি স্যার বলে মাথা নিচু করে কাঁদতে শুরু করে_____

ইরফান মেয়েটির কথা শুনে জোরে চিৎকার করে বলে,
____হুয়াট স্যরি ননসেন্স! কী বুঝাতে পারো নি তুমি! তোমাকে কী জন্য টাকা দিয়েছি আমি! ভালো করে চেক করতে বলেছিলাম কিনা??? আন্সার মি বলে পাশের কাঁচের টেবিলটায় জোরে লাথি মারে।। সাথে সাথে ভেঙ্গে যায় টেবিলটা।।। সকলে ভয়ে জড়সড় হয়ে যায়।।‌ ইমরান খান সকল মেহমানদের বিদায় জানিয়ে দেন। ইরফানের গার্ডরা সকলকে বের করে দেয় এখন হলরুমে ইরফানের পরিবারের সদস্য আর আয়ানার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত।।।।
মেয়েটি ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিচে বসে পরে।সে তার কাজের জন্য দুঃখিত।। মেয়েটি হাত জোর করে বলতে লাগে,,,,,,,,

___আমাকে এই বারের মতো মাফ করে দিন স্যার ! পরবর্তীতে এমন ভুল হবে না।।। মেয়েটির কথা শুনে বাঁকা হেসে ইরফান বলতে লাগে,,,,,

____নোও!ভুল করলে তার শাস্তি পেতে হবে।আর তুমি তো মারাত্মক ভুল করেছো বলে মেয়েটির দিকে এগিয়ে যায়।মেয়েটি ভয়ে কান্নার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।। আয়ানা ভয়ে শিতলের কাছে চলে যায়। তার বুঝতে বাকি নেই ইরফান নিজের হিংস্র রুপে আসছে।‌।

“ইরফান হাতে একটি ছুরি নিয়ে মেয়েটির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরে!তা দেখে ভয়ে মেয়েটি থরথর করে কাঁপতে লাগল।। ইরফান বাঁকা হেসে মেয়েটির হাত ধরে সামনে এনে সারা হাতে পরপর পাঁচটি আঘাত করে একই ভাবে অন্য হাতে ও।।হাত থেকে গরগর করে রক্ত পড়ছে।। মেয়েটি ব্যাথায় ঘর কাঁপিয়ে চিৎকার দেয়।।

___আয়ানা ভয়ে শীতলের বুকে মুখ লুকায়।।সবাই ভয়ে কাঁপছে শুধু ইমরান খান আসফিয়া আর গার্ডরা বাদে।কারন তাঁরা এসবে অবস্থিত।।।।

____আমার জানের দিকে বারন্ত হাত ঠিক এমন অবস্থা হবে।।।মাইন্ড ইট বলে গার্ড দের ডেকে মেয়েটির চিকিৎসা করারা জন্য নিতে বলে সাথে মেয়েটিকে কিছু টাকা ও দিয়ে দেয়।।।।। ইরফান আয়ানার কাছে গিয়ে শীতল থেকে আয়ানাকে টেনে ছাড়িয়ে উপরে নিয়ে যায়।।।আর তাঁর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে সকলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে যার যার রুমে চলে যায়।।।।

_______ইরফান আয়ানাকে নিয়ে রুমে এসে আয়ানার কমড় জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।।আয়ানার চোখের পানি মুছে দিয়ে চোখের পাতায় চুমু খেয়ে বলতে লাগে—-

“অন্য কারোর জন্য নিজের চোখের মূল্যভান পানি নষ্ট করবে না আয়ু জান।। তোমার প্রত্যেক জিনিসে তোমার চেয়ে আমার অধিকার বেশি বুঝতে পেরেছো।।।আয়ানার হাতের লাল হয়ে যাওয়া অংশে চুমু খেয়ে আয়ানার কপালে গভীর চুমু খায়।।তারপর আয়ানাকে বলে হাত মুখের হলুদ তুলে আনতে।।।।

ইরফানের কথায় আয়ানা হাত মুখ ধুয়ে আসে।। রুমে আসতে ইরফান নিজের হাতে আয়ানাকে খাইয়ে দেয়।।তারপর আয়ানাকে নিয়ে বারান্দায় চলে যায়।।আয়ানাকে পেছন থেকে জড়িয়ে আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে।।‌

____তোমাকে যারা সামান্য কষ্ট দিবে তাদের আমি দুমরে মুচড়ে শেষ করে দিবো আয়ু জান।। খুব খুব বেশি ভালোবাসি তোমায়।। তোমার একটু আঘাত পাওয়া আমার ভেতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়।।।। কালকে থেকে তুমি সম্পূর্ণ আমার হয়ে যাবে বলে চোখ বন্ধ করে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে গান গাইতে থাকে______

🎶🎶🎶Tumhe apna banane Ka junnon
Sar pe hai , kab se hai
Mujhe aadat bana lo ik buri
Kehna ye tumse hai
Tumhe apna banane Ka junnon
Sar pe hai , kab se hai
Sar pe hai , kab se hai🎶🎶

_______________________________________________

বিয়ের দিন দুপুর হতে না হতে কয়েক জন বিউটিশিয়ান এসে আয়ানাকে সাজাতে লাগলো।।গোল্ডেন কালারের লেহেঙ্গাটা খয়েরী সুতার কাজ, মাথার দুপাটা খয়েরী রঙের।সব ভারি ভারি জুয়েলারি দিয়ে সাজানো হয়েছে তাকে। মুখে হালকা মেকআপ আর গারো খয়েরি লিপস্টিক। নাকের খয়েরি নথটা ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে গেছে।। একদম গর্জিয়াস রয়েল লুক দেওয়া হয়েছে এতে করে রয়েল ব্রাইড লাগছে তাকে।।। মেয়েরা সাজিয়ে চলে যেতে আয়ানা একবার নিজের দিকে তাকালো।।।

_____শীতল তুতুল সাফিয়া ও আরো কিছু মেয়ে এসে আয়ানাকে নিচে নিয়ে গেলো।মাথার উপর খয়েরী গোল্ডেন কালারের ওরনা ধরে রেখেছে চারজন মেয়ে।।।আয়ানাকে নিচে নামতে দেখে ইরফান মুচকি হেসে আয়ানার কাছে যায় তার পিছন পিছন ক্যামেরা ম্যান ও।।আয়ানা শেষ তিন শিড়ির উপরে থাকতে হাত বাড়িয়ে দেয় আয়ানার দিকে।।ইরফানকে ও আজকে দারুন লাগছে একদম কিং দের মতো লাগছে আয়ানার সাথে মিল রেখে সে ও আজ খয়েরি আর গোল্ডেন কালারের শেরওয়ানি পরছে।। ইরফান হাত বাড়াতে শীতল আয়ানার হাত ইরফানের হাতের মাঝে নিয়ে দেয়।।। ইরফান আয়ানাকে সাবধান স্টেজের দিকে নিয়ে যায়।।আর সবাই এই সুন্দর কাপালদের ছবি আর ভিডিও করতে লাগলো।।।

____ইরফান আয়ানাকে নিয়ে স্টেজে বসতে সবাই আশে পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।।। কিছুক্ষণ পর একজন কাজী এবং উকিল নিয়ে হাজির হলো ইমরান খান ও তার সাথে জায়েদ আহাম্মেদ।।সব ফর্মালিটি পূরন করে আয়ানা কে কবুল বলতে বলায় আয়ানা নিচের দিকে তাকিয়ে কান্না করে দেয়।।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে।।কাজি সাহেব আয়ানাকে আবার কবুল বলতে বলায় আয়ানা না বলায় জায়েদ এসে মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলে,,,,,

আম্মি কবুল বলো আমরা সবাই অপেক্ষা করছি তোমার কবুল শুনার।। জায়েদের কথা শুনে আয়ানা জায়েদকে জড়িয়ে তিন বার কবুল বলে দেয়।।।

__সবাই জোড়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে।। ইরফানকে কবুল বলায় সে মুচকি হেসে গটাগট কবুল বলে দেয়।।। সবাই আবারো ঘড় কাঁপিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে।।‌‌তারপর রেজিস্ট্রেশন পেপারে ইরফান সাইন করে দেয় তারপর আয়ানা কাঁপা কাঁপা হাতে সাইন করে দেয়।। শেষ তাদের বিয়ে কমপ্লিট! একজনের মুখে সুখের ছাপ আর আরেক জনের মধ্যে দুঃখের।।‌

______বিয়ের পর ফটোগ্রাফার এসে দুজনের ছবি তুলতে। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে খুব ক্লোজ ক্লোজ বিভিন্ন ধরনের পোজে ছবি তোলে। ছবি তোলার ফাঁকে ইরফান আয়ানার কানে কানে বলল,,,,,

______তৈরি তো জান আজকে রাতের জন্য বলে বাঁকা হেসে আয়ানার কপালে চুমু খায়।।।
আয়ানা ইরফানের কথা শুনে রাতের কথা ভাবতে ভয়ে শিউরে উঠে।।।

#To_be_continued

(ইরফান আর আয়ানার বিয়ে তো দিয়ে দিলাম এবার আমার গিফট গুলো দিয়ে দিও।।।আর কেমন হয়েছে তার গঠন মূলক মন্তব্য সবাই করবে)

#Happy_Reading

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here