#কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,পর্ব:৫৫
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
গভীর রজনী জঙ্গলের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে পাথর। প্রতিবার জঙ্গলের মাঝামাঝি এসেই ওকে ফিরে যেতে হয়েছে। শেষটা দেখা হয়নি। ভাবলো একবার অন্তত চেক করা উচিত। কথাটা ভেবেই ও কাউকে কিছু না বলে এখানে এসেছে। ঘন গাছের সারি। আকাশে চাঁদ আছে কিনা সেটা এখানে থেকে বোঝা মুশকিল। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে এখানে ওখানে আলো এসে মাটিতে ছুঁয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে এই আবছা আলোতে কিছুতেই চোখে দেখা সম্ভব ছিল না। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে ও জঙ্গল পেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসলো। জঙ্গলের এপাশে একটা ছোটখাট বাজান। লোকজন বেচাকেনা করছে। রাস্তার পাশে নানারকম খাবারের দোকান গুলো কেমন অদ্ভুত টাইপের। পাথর ভ্রু কুচকে সবটা দেখলো। লোকজন নিজেদের মতো কাজকর্মে ব্যস্ত। ওকে কেউ দেখেও দেখছে না। মনে হচ্ছে ওর অস্তিত্ব এখানে নেই বললেই চলে। বাজারের দক্ষিণদিকে মানুষের ছোটখাট জটলা দেখা যাচ্ছে। কিছু বিক্রি হচ্ছে সেটা নিয়ে সব হৈচৈ করছে। পাথর ভিড়ের দিকে এগিয়ে যেতে পা তুলল ঠিক সেই সময় হঠাৎ পেছন থেকে কেউ একজন ওর হাতটা টেনে ধরলো। পাথর থমকে গিয়ে চমকে উঠলো। পেছনে তাঁকিয়ে হতভম্ভ, কারণ কহিনুর দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটা আবারও সেই চন্দ্রের মতো সুন্দর করে সেজে এসেছে। কেমন বউবউ লাগছে। পাথরের ঘোর লেগে যায়।মেয়েটা কি কিছুই বুঝে না? কি দরকার এভাবে এসে ওর কাজে বাঁধা দেওয়ার? পাথর আজ আর নিয়ন্ত্রণ হারা হবে না বলে প্রতিজ্ঞা করলো। শেষ রক্ষা হলে হয়। ওর ধ্যান ভাঙলো ফিসফিস আওয়াজ শুনে। কহিনুর মাথাটা ওর দিকে কিছুটা ঝুকে বলে উঠলো,
> কোথায় যাচ্ছেন? এটা কিন্তু সাধারণ কোনো বাজার না। ভাগ্য ভালো আপনাকে আমি অনুসরণ করেছি। নয়তো কি হতো শুনি?
পাথর ভ্রু কুচকে বলল,
> তোমার মাথা হতো। আমাকে ফলো করছিলে? অনুমতি না নিয়ে যখন এসেছো তখন চুপচাপ দেখো। কথা বলবে না। আর শুনো এসব আজেবাজে পোশাক পরে আমার মতো ব্রহ্মচারীর ক্ষতি করবে আসবে না। ব্রত নষ্ট হবে। আমি তো বিবাহিত ব্যাচেলার। অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়। অর্ধেক বিধবা বলা যায়।
পাথর এলোমেলো বকছে। গলা হঠাৎ শুকিয়ে আসছে। মেয়েটা এতোটা সুন্দর না হলে কি হতো? ওকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে কহিনুর ওর হাতে আস্তে করে থাপ্পর বসিয়ে দিলো। তারপর মুখটা কঠিন করে বলল,
> যেভাবে দেখছেন কবেই আপনার ব্রত ভেঙে খানখান হয়েছে। ঢপবাজি কম করে সামনে এগিয়ে চলুন। এখানে কি হচ্ছে জানতে হবে। আমি হারিয়ে যাচ্ছি না। দেখার অনেক টাইম পাবেন।
কহিনুর কথা বলতে বলতে সামনে এগিয়ে গেলো। পাথর কিছু একটা ভেবে ওর পিছু নিলো। ছুটে গিয়ে কহিনুরের মাথায় আচলটা টেনে ঘোমটা তুলে দিয়ে বলল,
> মুখটা ঢেকে রাখো প্লিজ। দেখছো কতগুলো লোকজন এখানে? এদের পরিচয় জানা যায়নি। শত্রু হতে পারে। যদিও মিত্র হলেও সেম করাই উচিত।
কহিনুর বাঁধা দিলো না শাড়ির আচলটা ভালো করে তুলে নিলো। যথাযথ চেষ্টা করলো মুখটা ঢেকে রাখার। দুজনে চুপচাপ ভিড়ের কাছে গিয়ে থামলো। একজন টিকেট বিক্রি করছে। কোথায় একটা নাচের মহড়া চলছে। সেখানে নামকরা এক নৃত্য শিল্পী নৃত্য পরিবেশন করবে। তবে টিকিটের প্রচুর দাম। কহিনুর পাথরের হাত খামচে ধরে আবদারের কণ্ঠে বলল,
> দুটো টিকিট নিয়ে নিন। টিকিট ছাড়া আমরা যেতে পারবো না। দেখুন অনেক মেয়েরাও নিচ্ছে।
পাথর ভ্রু কুটি করলো। বিরক্ততে মুখটা কুচকে গেলো। এসব নৃত্য আর জনসমাবেশ ওর পছন্দ না। কহিনুর কেনো যেতে চাইছে বুঝতে পারল না। তাই প্রতিবাদ করে বলল,
> পারবো না। এসব আজেবাজে জায়গায় আমি যায়না আর তুমিও যাবে না। ফালতু নৃত্যের নামে দাপাদাপি আমি পছন্দ করি না। ফিরে চলো।
পাথরের কথা শুনে কহিনুর চোখ রাঙিয়ে উত্তর দিল,
> আমিতো সারাদিন নৃত্য করে বেড়ায় তাই নৃত্য আমার ভীষণ প্রিয়। এই নৃত্যটা না দেখলে তো আমি মা/রাই যাবো। চুপচাপ টিকিট কাটুন বলছি।
> কখনও না। জিদ করে লাভ হবে না।
টিকিট নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক লেগে গেলো। কহিনুর নিজের কথায় অনড় অপরদিকে পাথরও মানবে না। শেষমেশ কহিনুর কিছুটা নরম হয়ে বলল,
> ওখানে যাওয়াটা খুব দরকার। আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে ওখানে কিছু আছে। চলুন না প্লিজ। আপনি না গেলে আমি কিন্তু একাই চলে যাবো। তখন আফসোস করবেন। সাঈদ হলে ঠিকই আমার কথা শুনতো। কেনো যে ওকে রেখে আসলাম।
কহিনুরের মুখে সাঈদের কথা শুনে পাথর আরও রেগে গেলো। ঘনঘন নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে চুপচাপ এগিয়ে গিয়ে চড়া দামে দুটো টিকিট কিনে নিলো। ফিরে এসে কহিনুরের হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো। লোকজন লাইন ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। সামনে বড়সড় একটা গেট দেখা যাচ্ছে। কহিনুরের কথা শুনে ওর ধ্যান ভাঙলো।,
> পাতিলের মতো মুখ করে আছেন মনে হচ্ছে নৃত্য দেখতে না আপনাকে জেলে নিয়ে যাচ্ছি। আপনার ডান পাশের নীল পোশাকের মেয়েটাকে দেখুন। ওকে কেমন চেনাচেনা লাগছে। কোথায় দেখেছি বলুন তো?
পাথর চুপচাপ পাশ ফিরে ভ্রু কুচকে ফেলল। চোখ জুড়ে ওর কৌতূহল খেলা করছে। ফিসফিস করে উত্তর দিলো,
> তোমাদের বাড়ির কাজের মেয়েটা না? ও এখানে কিভাবে?
> জানিনা। জানতে হলে ওখানে যেতে হবে। আশেপাশে খেয়াল রাখুন।
পাথর উত্তর দিলো না। কহিনুরের হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় পুরে নিয়ে হাটা ধরলো। খানিকটা এগিয়ে গিয়ে ওরা বিশাল বড় একটা বিল্ডিংয়ের সামনে উপস্থিত হলো। লোকজন ভেতরে যাচ্ছে দেখে ওরাও অনুসরণ করলো। ভেতরে প্রবেশ করে ওরা বেশ চমকে গেলো। ডাইনিং রুমের সোফায় লোকজন চুপচাপ বসে আছে। ফ্লোরে এক মেয়ে ঘোমটা টেনে অনবরত নেচে চলেছে। পাথরের মুখটা বিরক্তিতে ছেয়ে গেলো। কহিনুর ওকে নিয়ে জোরকরে এক সাইডে বসে পড়লো। কহিনুরের পায়ের নিচ থেকে র/ক্ত গড়িয়ে পড়ছে। গতকাল ঐশ্বর্য ওর পায়ের উপরে গ্লাস ফেলে দিয়েছিলো সেখানে চাপ পড়েছে। বাড়িতে ওকে নিয়ে সন্দেহ হবে তাই এই যন্ত্রণাটা ওকে ভোগ করতে হচ্ছে। নয়তো অনেক আগেই কাটা স্থান ঠিক করে নিতে পারতো। পাথর এখনো পযর্ন্ত জানেনা।জানতে পারলে কি করবে কে জানে। কহিনুর বাম হাতটা সাবধানে পা পযর্ন্ত নামিয়ে নিয়ে জুতা সামান্য নাড়িয়ে দিলো। ততক্ষণে সামনের মেয়েটা ঘোমটা তুলে নিয়েছে। কহিনুর ভ্রু কুচকে ফেলল। ওর সামনে নৃত্য করা মেয়েটা অন্য কেউ না মারিয়া ফারুকী মানে ওর ছোট ফুপি। সুলতান বাড়ির মেয়েরা এভাবে লোকজনের সামনে নৃত্য করতে পারে ওর বিশ্বাস হচ্ছে না। পাশ থেকে পাথর গম্ভীর কণ্ঠের বলল,
> নূর তুমি জানতে চন্দ্রের পেশা কি ছিল? চন্দ্র সত্যি ছলনা করেছে নূর। ও সুলতান ফারাবী ফারুকীকে ঠকিয়েছে বিয়ে করেছে আমার বিশ্বাস। একজন সামান্য নর্তকী কিভাবে সুলতান পরিবারের বউ হতে পারে? এই পযর্ন্ত যতগুলা ডাইরী পাওয়া গেছে সেগুলো ছিল এই পরিবারের ছেলেদের লেখা।সেখানে চন্দ্রের নিজের কোনো মতামত বা উল্লেখযোগ্য পরিচয় ছিল না। নূর এই মহিলার মধ্যে রহস্য আছে।
পাথরের কথা শুনে কহিনুর অবাক হলো। পাথর কেনো ওর নিজেরই কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। মারিয়া ফারুকীর এখনোও এতোটা খারাপ দিন আসেনি যে সকলের সামনে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে নৃত্য করবে। এসব চন্দ্র ওকে দিয়ে করাচ্ছে কিন্তু ওর উদ্দেশ্যে কি? আবার নতুন কোন রহস্য এই চন্দ্রের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে সুলতান পরিবারে আঘাত করবে কে জানে। কহিনুরের ধ্যান ভাঙার হঠাৎ নৃত্য থেমে যাওয়া দেখে। নৃত্য থামতেই লোকজন যেমন এসেছিলো তেমনিভাবে চলে যাওয়ার জন্য উঠে পড়লো। কহিনুর তখনও বসে আছে পাথর উঠতে দিচ্ছে না। শেষটা দেখে তবেই ফিরবে ও। কয়েক মিনিটের মধ্যে কক্ষ জনশূন্য হয়ে উঠল। ডাইনিং রুমে শুধুমাত্র কহিনুর আর পাথর বসে আছে। ঠিক সেই সময় এক মহিলা এসে ওদের সামনে একটা বক্স রেখে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
> ক্ষতযুক্ত স্থান পরিস্কার করে নিন। র/ক্তের তীব্র গন্ধে ওরা জেগে যাবে।
মহিলা কথাটা বলেই যেভাবে এসেছিলো সেভাবে চলে গেলো। এখানে কি হচ্ছে মাথায় আসছে না। পাথর মুখটা কঠিন করে কহিনুরের পায়ের কাছে বসে পড়লো। জুতা খুলতে চাইলো কিন্তু পারলো না। কহিনুর ফিসফিস করে বলল,
> ভুলেও এমন করবেন না। পায়ের উপরের অংশ থেকে রয/ক্ত গড়িয়ে পড়ছে। ঝামেলা হয়ে যাবে।চলুন আমার সঙ্গে।
কহিনুর দাঁড়িয়ে পড়লো। পাথর মানতে নারাজ কিন্তু এখন তর্ক করার সময় নেই। নৃত্য শেষ করে মারিয়া ফারুকী গায়েব হয়েছে। কোনদিকে গেছে জানাটা খুব জরুরী। ওরা দ্রুতগতিতে সিঁড়িধরে উপরে উঠে গেলো। কহিনুর ফিসফিস করে পাথরকে বলে দিলো বিপদের আভাস পেলেই পালিয়ে যেতে হবে। পাথর উত্তর দিলো না ওর মেজাজ খারাপ। রাগে উল্টোপাল্টা কিছু করে ফেলবে তাই চুপচাপ আছে। দোতালায় ছয়টা কক্ষ তবে সারি সারি না। এগিয়ে পিছিয়ে সরু রাস্তা। কয়েকটা কক্ষে খোঁজ করেও যখন কিছু পেলো না তখন ওরা সিঁড়ির পাশের কক্ষে গিয়ে উঁকি দিলো। বিছানায় মারিয়ার ফারুকী না অন্য একটা মেয়ে শুয়ে আছে। পোশাক দেখে আর পায়ের ক্ষতচিহ্ন দেখে কহিনুর বুঝতে পারলো এটা চন্দ্রের লা/শ। কহিনুর ভেতরে ঢুকে পড়লো। মারিয়া এখানে নেই বোঝা শেষ। কহিনুর লা/শের দিকে খানিকটা ঝুকে গিয়ে বলল,
> পাথর লাইট আছে আপনার কাছে? দ্রুত জ্বালিয়ে দিন। তো চন্দ্র এবার কি হবে? তোমার সৌন্দর্য খসে খসে পড়বে।যার মায়াতে তুমি এসব করছো সেটাই যদি না থাকে?
কহিনুরের কথা শেষ হতেই হঠাৎ লা/শের চোখ খুলে গেলো। কহিনুর জানতো এমনটাই হবে। এর মধ্যে চন্দ্রের আগমন ঘটেছে বুঝে কহিনুর আর অপেক্ষা করলো না দ্রুত আগুন লাগিয়ে দিয়ে যখন বেরিয়ে আসলো। কিন্তু ঠিক তখনই বিপত্তি বাধলো অন্য জায়গায়। যে কক্ষে চন্দ্র ছিল সেই কক্ষের ন্যায় আরও একটা কক্ষ ওদের সামনে। আর হুবহু চন্দ্রের লা/শ বিছানায় রাখা। পাথর বিড়বিড় করে বলল,
> নূর আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা রীতিমতো ফেঁসে গেছি। এখান থেকে বের হতে হবে। আমি রূপ পরিবর্তন করতে পারছি না।
কহিনুর হতভম্ভ হল। মায়াজাল বিচানো হয়েছে ওকে ধরার জন্য। কহিনুর চোখ বন্ধ করে ঢোক গিললো। শত্রু পক্ষ বেশ শক্তিশালী মনে হচ্ছে। কি হবে এখন?
*************
ঝকঝকে খ/ঞ্জর দিয়ে আপেলের আংশ টুকরো করতে ব্যস্ত মীরা। জামসেদ সোফায় ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে। কাজের মধ্যে মীরা চাপা কণ্ঠে বলল,
> জানেন তখন কিচেনে আমার ঠিক পেছনে কেউ ছিল। হুডির জন্য দেখতে পাইনি কিন্তু লোকটার হাতে খ/ঞ্জর ছিলো। আর ও যখন আমার পেছনে ছিল তখন কেমন অস্বস্তি হয়েছিলো। সঙ্গে কিসের একটা গন্ধ। আমি ভয়ে চিৎকার দিবো ঠিক সেই সময় অধরা চলে আসে। লাইট জ্বালানোর পরে কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না।
জামসেদ ওর দিকে চেয়ে আছে। বাড়িতে অপরিচিত লোকের আনাগোনা কিভাবে সম্ভব? গেটের কাছে কড়া পাহারা সঙ্গে এতগুলো ক্যামেরা। একটা তো ধরা পড়তো? কিছু ভেবে ও উত্তর দিলো,
> তোমার চোখের ভুল। এখানে কেউ নেই। অন্ধকারে কোথাও যাবে না। অধরাকে বলবে ও তোমাকে সাহায্য করবে তাছাড়া কুপি আছে না? ওকে বলবে করে দিবে।
মীরা হঠাৎ কিছুটা রাগ মিশ্রিত কণ্ঠে বলল,
> কুপি আ/হত,অনেক দুর্বল । ঐশ্বর্য ওর পায়ের উপরে গ্লাস ফেলেছে বেচারী কক্ষে ঘুমিয়ে আছে। বিশ্রামের দরকার।
জামসেদ রেগে গেলো। ঐশ্বর্যকে ওর প্রথম থেকেই পছন্দ ছিল না। এমন ব্যবহার দেখে আরও বিরক্ত হলো।কিন্তু কক্ষের বাইরে গিয়ে কুপির কক্ষে যাওয়ার পথে জুবায়ের ওকে আটকে দিয়ে বলল,
> কিছুক্ষণ আগে ডাইনিং রুমে কি তুমি ছিলে?
জামসেদ ভ্রু কুচকে বলল,
> আমি কক্ষে ছিলাম। এইমাত্র বের হলাম। আমি কুপিকে দেখতে যাচ্ছি।
জামসেদ কথা শেষ করতে পরলো না। হঠাৎ অধরা চিৎকার করে উঠলো। জুবায়ের দ্রুতগতিতে নিজের কক্ষের দিকে এগিয়ে গেলো।আবার কি হচ্ছে কে জানে। এই বাড়িতে কি তবে ভৌতিক উৎখাত শুরু হলো? কে আছে এসবের পেছনে?
চলবে