#অদ্ভুদ_বর
#দিয়া_মনি
#পর্ব_০২
সকালে রওশনের ঘুম ভাঙ্গে দিয়ার ডাকে। দিয়া চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বিছানার সামনে দাড়িয়ে আছে। তারপর আস্তে আস্তে রওশনকে ডাকছে।
—- শুনছেন ? উঠুন সকাল হয়ে গেছে। ৭টা বাজে এতো বেলা করে কেউ ঘুমায় ? উঠুন
রওশন আড়মোরা ভেঙে চোখ কচলে দিয়ার দিকে তাকায়,, দিয়ার হাত কাঁপছে সেই সাথে হাতে থাকা চায়ের কাপটাও।
—- ভয় পাচ্ছো কেন..?? তোমাকে কি আমি কাল বকেছি..?? মেরেছি..?
—- না মানে আপনারা বোধ হয় অনেক বেলা করে ঘুমান ১০-১১ টা পর্যন্ত তাইনা..?? আর আমি আপনাকে ডেকে আপনার ঘুম নষ্ট করে দিলাম।
—- আমি কফি খাই। ( নিমিষে দিয়ার মুখটা কালো হয়ে গেলো। ও তো কফি বানাতে পারে না।) ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না কফির চেয়ে চা ই ভালো। দাও। ( দিয়া হাসি মুখে চায়ের কাপটা দিলো )
—- আমি কি এখন গোসল করবো..??
—- তোমার ইচ্ছা।
—- তাহলে আপনিও গোসল করে নিন। আমি আগে রান্নাটা সেরে ফেলি।
—- আমি গোসল করবো কেন..??
—- ওমা আপনি জানেন না ? বিয়ের পরের দিন খুব ভোরে গোসল করতে হয় স্বামী-স্ত্রীর।
এতোক্ষনে রওশন গোসলের মানে বুঝলো। রওশন প্রথমে ভেবেছিলো দিয়ার ভোরে গোসল করার অভ্যাস এখন দেখছে বাসরের জন্য গোসল করতে বলছে। রওশন এবার জোরে জোরে হেসে দেয়। দিয়া হাসি দেখে চোখ ছোট ছোট করে ফেলে। তারপর বলে
—- হাসছেন কেন..??
—- তুমি এবার কোন ক্লাসে পড়ো.?
—- ক্লাস না কলেজ। কলেজে উঠেছি আমি। সাইন্স নিয়ে বৃত্তি পেয়েছি।
—- স্বামীস্ত্রীর সম্পর্কে পাঠ্য বইএ কি কিছুই নেই..?? কিছুই জানো না নাকি..??
—- জানি তো সাইন্সের চ্যাপ্টারে সবই তো আছে। ( বলেই জিব্হায় কামড় দিলো দিয়া। ইশ কি রকমের লজ্জা। রওশন চা খেয়ে হাসতে হাসতে বাথরুমে ঢুকে গেলো। )
দিয়াও নিচে চলে আসে,,, রান্নাঘরে দিয়ার শাশুড়িআম্মু আর ননদ রান্না করছে। দিয়া গিয়ে রান্নাঘরের এক কোণে দাড়ালো। অমনি রশনি ( দিয়ার ননদ।) বলে উঠলো।
—- কি ভাবি রাতে ঘুম কেমন হলো..?? আদৌ ঘুমোতে পেরেছো তো.?
—- রশনি দিয়া আমার চেয়েও আগে উঠেছে, চা বানিয়ে আমাদের রুমে গিয়ে দিয়ে এসেছে। তুই বরং দেরিতে উঠেছিস। ( রিমিকা )
—– আমার পড়া ছিলো আম্মু। কিন্তু দিয়ু ভাবি তুমি বলো রাতে কি হয়েছে।
—- ইয়ে মানে। রান্না কতদূর..??
—- কথা এড়িয়ে গেলে.? যাক সেটা বিষয় না। রান্না করতে এসে দেখি আম্মু অলরেডি পরটা করে ফেলেছে, মাংস রান্নার জন্য ঝাল খুজছি।
—- কেন রান্না তোমরা করো না..?
—- না বুয়ারা করে। কিন্তু ঈদের জন্য সবাইকে ছুটি দিয়েছে আম্মু।
এমন সময় রিমিকা ( দিয়ার শাশুড়ি) বলে উঠলো।
—- দিয়া মা তুই গিয়ে পড়তে বস। এদিকটা আমি দেখে নিচ্ছি। আর রশনি তুইও যা তোর কলেজে নাকি আজ এক্সট্রা ক্লাস আছে।
দিয়া লাফিয়ে উঠে বললো,,,
—- আম্মু আমিও কলেজে যাবো।
দিয়ার লাফ দেখে সবাই জোরে জোরে হেসে দিলো। তারপর রশনি দিয়ার দিকে এগিয়ে এসে দিয়ার কাধে হাত রেখে বললো
—- তোমাকে ভাইয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে এডমিশন করিয়ে দিবে। তোমার ইচ্ছা ছিলো না ? বড় হার্ট সার্জন হবে।
—- না আপু আমি আর মেডিকেলে পড়বো না। আমি হিউম্যানিটিস নিয়ে পড়বো।
—- সেকি কেন..?? ( রিমিকা )
—- আম্মু আমি রক্ত ভয় পাই। আসলে ছোট থেকেই রক্ত দেখলে গা শিউরে উঠতো, মাথা ব্যাথা করতো। আমি ভাবতাম দূর্বলতার কারনে এমন হয়। কিন্তু বোর্ড পরিক্ষার কিছুদিন আগে আমাদের স্কুলের সামনে একটা খুন হয়,, ওটা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার ম্যাডাম আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় আর ডাক্তার বলে আমার ব্লাড ফোবিয়া। ছোট থাকতে যদি ভয় ভাঙানো যেতো তাহলে হয়তো সমস্যা হতো না।কিন্তু এখন সমস্যা হবে। আর ডাক্তার হলে তো হাত কাটতে হবে, বুক কাটতে হবে, নাড়িভুঁড়ি দেখতে হবে।
—- ঠিক আছে রওশনকে আমি বলে দিবো যেন তোকে রশনির কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়। তাছাড়া রওশন কিন্তু ওই কলেজেরই টিচার। ( রিমিকা )
—- তাহলে তো খুব ভালো হবে আম্মু। আমি আর দিয়া একসাথে যাবো, আসবো। ভাইয়ারও ডাবল খাটনি হবে না। ভাবি তুমি গোসল সেরে নাও আমাদের সাথে আজই কলেজে যাবে। টাটা ( রশনি )
রিমিকা আর রশনির সাথে কথা শেষে দিয়া রুমে আসে। রওশন তখন চুল আচড়াচ্ছিলো। আয়নায় দিয়াকে দেখে গম্ভীর কন্ঠে বললো,,
—- তোমার যে ব্লাড ফোবিয়া আছে সেটা আগে বলোনি কেন..?? জানো তোমার এই কথাটা লুকানোর জন্য আমার বাসর মিস হয়ে গেছে…
—- কেন কেন..?
—- ভেবেছি আমার বউ ডাক্তার হবে। অনেক স্ট্রাগেল করতে হবে। তাই কাল টাচই করিনি।
দিয়া এবার লজ্জা পেয়ে গেলো। এই ছেলেটাও কেমন জানি। #অ_দ্ভু_দ
—- কলেজে যাবো। রেডি হতে হবে।
—- হও।
—- আপনি বাইরে যান। আমি কি আপনার সামনে রেডি হবো নাকি। এমনিতেও কাল রাতেএএ
—- কাল রাতে..?? ( দিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রওশন। )
—- কিছু না। ( বলেই দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে গেলো। বাথরুমে ঢুকেই আরেক বিপদ। গোল গোল হ্যান্ডেল দেখে কিছুই বুঝতে পারছে না দিয়া। রাতে খেয়াল করে নি তবে এখন খেয়াল করলো বাথরুমে সাদা চৌবাচ্চা জাতীয় কিছু আছে।) এখন গোসল করবো কিভাবে? কাল রাতে কোনটা টেনেছিলাম,, ওটা টানার সাথে সাথেই তো পানি পড়ছিলো।
১৫মিনিট হলো বাথরুমের ভেতর থেকে পানির আওয়াজ আসছে না। রওশন ভাবলো দিয়া হয়তো বাথটাবে গোসল করছে কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব..? দিয়া তো কিছুই জানে না। রওশন গিয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লো কারন দিয়া বাথরুমের দরজা লক করতে ভুলে গেছে। রওশন গিয়ে দেখে দিয়া ট্যাব, শাওয়ার বাথটাব হাতিয়ে হাতিয়ে দেখছে।
—- দিয়া..??
—- কে..?( চমকে পেছনে তাকায়।) আপনি ভেতরে আসলেন কিভাবে..?
—- তুমি যেটার ওপর দাড়িয়ে আছো ওটা বাথটাব। তোমার ডানদিকেই ওটার সুইচ। উপরে যেই গোল হ্যান্ডেলের মতো চেইন ঝুলছে ওটা শাওয়ারের জন্য। এই যে সাদা গামলার মতো গোল বস্তুটা এটা বেসিন আর এই ট্যাব ঘুরালে এখান থেকে পানি পড়বে। তোমার বাম পাশে যে বক্সটা আছে ওখানে শ্যাম্পু, সোপ, হ্যান্ডওয়াস সব আছে। তোমার জামাকাপড়ও আছে। বুঝলে।
—- হুম।
—- আমি নিচে যাচ্ছি। রেডি হয়ে নিচে আসো। বোরকা পড়ে কলেজে যাবে। আর তুমি যে আমার বউ সেটা এখন কাউকে বলার দরকার নাই।
—- ( তাহলে কি উনি এখনো ওনার দায়িত্বই পালন করছে..?? আমাকে উনি পছন্দই করে না। সেজন্যই কাউকে জানাতে চাচ্ছে না। যদি তাই হয় তাহলে ঠিক আছে কাউকে বলবো না আমি। আমার এই শ্যামবর্নের মুখও কাউকে দেখাবো না।) ঠিক আছে।
রওশন বেরিয়ে গেলো ওখান থেকে। দিয়া গোসল করে হলুদ রং এর একটা থ্রিপিচ পড়ে তারওপর বোরকা পড়ে নিলো। সাথে কালো হিজাব দিয়ে মুখ বেঁধে রাখলো। তারপর নিচে আসলো। রওশনদের খাওয়া শেষ। দিয়াকে দেখেই রওশন বলে উঠলো,
—- রশনি তুই গাড়ি নিয়ে চলে যা। আমি দিয়াকে নিয়ে পরে আসছি।
—- কেন ? গাড়ি কি অনেক ছোট.?? তিনজন বসতে পারবে না..?? চলুন না একসাথে যাই। ( দিয়া )
—- চুপচাপ খেতে বসো। না খেয়ে কলেজে যাওয়া বারন তোমার। রশনি তুই যা।
—- ঠিক আছে ভাইয়া। টাটা আম্মু।
দিয়া একটা চেয়ার টেনে খেতে বসলো। এমন সময় রায়হান ইয়ারাভ ওরফে রওশনের আব্বু নিচে নামে। দিয়া শশুড়ের দিকে একবার তাকিয়ে রওশনের দিকে তাকালো। হঠাৎ মুখ ফসকে বলে ফেললো
—- আপনার চেয়ে তো আপনার আব্বু বেশি সুন্দর দেখতে।
দিয়ার কথায় রওশন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। রিমিকা আর রায়হান চোখ ছোট ছোট করে দিয়ার দিকে তাকায়। দিয়া ভাবতে লাগলো ও কি কিছু ভুল বলেছে ? তারপর 4g স্পীডে বললো।
—- না মানে আংকেল আপনার থেকে আপনার ছেলে বেশি সুন্দর।
এবার সবাই জোরে জোরে হেসে দিলো। রায়হান টেবিলে বসতে বসতে বললো।
—- এটা কেমন কথা মামনি রিমিকাকে তুমি আম্মু বলে সম্বোধন করো আর আমাকে আংকেল বলে ডাকছো। আমাকে কি তোমার বাবা হিসাবে পছন্দ হয়নি..??
—- না মানে,,
—- বুঝতে পেরেছি। সমস্যা নেই প্রথম প্রথম এমন হয়। পরে ঠিক হয়ে যাবে। তুমি খেয়ে কলেজে যাও। রওশন তুমি কি দিয়ার সাথে যাচ্ছো..?
—- হ্যা আব্বু। কেন তোমার কোনো কাজ আছে..? কিছু করতে হবে আমাকে..??
—- করতে তো হবেই। সাবধানে যাবে আর নিজের বউ এর খেয়াল রাখবে যেমন আমি তোমার মায়ের খেয়াল রাখি। সবসময় সুখি রাখি।
—- ছেলে মেয়েদের সামনে কি বলছো এসব ( রেগে কটমট করে উঠলো )
দিয়ার খাওয়া শেষ হতেই রওশন দিয়াকে নিয়ে রওনা দিলো। ড্রাইভিং সিটে রওশন আর পাশের সিটে দিয়া। রওশন রেডিও অন করে দিলো। রেডিওতে শো শো আওয়াজ হতেই দিয়া ছটফট করতে শুরু করে,,, দিয়া রওশনের হাত চেপে ধরে,, ওর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে দেখে রওশন গাড়ি থামিয়ে দেয়।
—- কি হয়েছে দিয়া ? কষ্ট হচ্ছে ? দিয়া ? দিয়া কথা বলো।
—- আওয়াজটা বন্ধ করেননননন।
সেন্সলেস হয়ে গেলো দিয়া। রওশন রেডিও বন্ধ করে দিয়ার হিজাবটা খুলে ফেললো। ৫মিনিটেই মেয়েটা ঘেমে ভিজে গেছে,, রওশন দিয়ার হিজাব খুলে এসি অন করে দেয়,,, দিয়ার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বারবার হাঁপিয়ে উঠছে,,
—- দিয়া ? দিয়া ওঠো।
রওশন দিয়ার গালে হালকা ভাবে চাপড় দিতে লাগলো,, দিয়া জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে যেন দম আটকে আসছে ওর। রওশন একবার দিয়ার ঘর্মাক্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে দিয়ার ঠোট জোড়া নিজের ঠোটের মাঝে ঢুকিয়ে নিলো। কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন দেওয়া যাকে বলে।
১০মিনিট পর রওশন খেয়াল করে দিয়া শান্ত স্থীর হয়ে গেছে। তাই ও ঠোট ছেড়ে দিয়াকে নিজের বুকের সাথে হেলান দিয়ে বসালো।
—- দিয়া চোখ খোলো
—-হুমমমমম। ঘুমাই।
—- আচ্ছা ঘুমাও। ( দিয়াকে এক হাত দিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরে অন্য হাতে ড্রাইভ করছে রওশন। রওশন কলেজে না গিয়ে সোজা হসপিটালে চলে আসে। )
—-দিয়া ওঠো
দিয়ার সাড়া না পেয়ে রওশন ওকে কোলে তুলে নিলো। দিয়ার ঘুম ভাঙ্গতেই ও নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করে। পাশে রওশন ওর হাত ধরে এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
—- আমি এখানে কেন ? ( হাতে ক্যানোলা দেখে প্রশ্ন করলো ) কি হয়েছে আমার?
—- তোমার ওজন কতো জানো..?
—- ৪৬। অনেকদিন আগে মেপেছিলাম।
—- এখন ৪৫. না খেয়ে খেয়ে আজ এই অবস্থা,,, প্রেশার লো, গায়ে রক্ত নেই বললেই চলে। আজ থেকে যা বলবো তাই শুনবা আর সেটাই করবা।
—- আমি সেন্সলেস হয়ে গেছিলাম নাকি..??
—- সাইন্সের স্টুডেন্ট হয়ে এতো বোকা আর কেয়ারলেস হও কিভাবে..?? পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে শেখো নি..?? নাকি সারাজিবন গ্রামের বোকা মেয়ে হয়ে থাকতেই শিখেছো।
—- বকা দিচ্ছেন কেন..?? কি করেছি আমি
—- না তোমাকে বকা দিবো কেন..?? তোমার কাজের জন্য তো তোমাকে আদর করা উচিত, পুরষ্কার দেওয়া উচিত তাইনা..?? আম্মুকে বলবো যেন তোমাকে আবার গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। এখানে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই তোমার।
রাগে রওশন দেওয়ালে জোরে জোরে ঘুসি দিতে লাগলো। দিয়া ভয়ে কেঁদে ফেলেছে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর বিরবির করে বলছে,,,
—- দিন না পাঠিয়ে দিন। কেন রেখেছেন এখানে,, আজ এক রকম তো কাল আরেকরকম ব্যবহার করেন। আমি কি পুতুল নাকি ? আমার কষ্ট বলে কিছু নেই ? কাল প্রথমে ধমক দিলেন তারপর ভালো বরের মতো গয়না খুলে দিলেন, ঘুম পাড়িয়ে দিলেন। আজ সকালে ভালো ব্যবহার করেছেন আর এখন বকা দিচ্ছেন,, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। থাকবো না আমি,, দালানঘরের চেয়ে আমাদের টিনের ঘরই বেশি ভালো।
দিয়া কাঁদতে কাঁদতে হাতের ক্যানোলা টেনে খুলে ফেললো, শিরার রক্ত ক্যানোলা দিয়ে স্যালাইনের প্যাকেট অবধি পৌছে গেছে,, রওশন স্যালাইনের প্যাকেটের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যায়। সেই সাথে ওর রাগ চরম সীমায় পৌছে যায়। রওশন দিয়ার গালে জোরে চর বসিয়ে দেয়,,, তারপর নার্সকে ডেকে ক্যানোলা ঠিক করে। দিয়া হাটু ভাজ করে হাটুর মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে কাঁদছে। দিয়ার কান্না দেখে রওশনের বুকের ভেতর চিনচিন করে ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। রওশন দিয়ার মুখ উচু করে ধরে,,, কেঁদে কেঁদে মুখ ফুলে গেছে,,,
—- আর কেঁদো না শরীর খারাপ করবে। সরি আর কখনো মারবো না। বকাও দিবো না। শুধু আমার সব কথা শুনবে,, এক কাজ করি, চলো কোথাও ঘুরে আসি। ( দিয়া আরো জোরে জোরে কেঁদে দিলো ) আরে বাবা ভুল হয়ে গেছে আর কেঁদো না প্লিজজ। তুমি কখনো কাউকে কিস করছো..?
এমন প্রশ্ন শুনে দিয়ার কান্না অটোমেটিক থেমে যায়। তারপর ভ্রু কুচকে রওশনের দিকে তাকিয়ে মাথা দুদিকে নাড়লো যার অর্থ “না”। রওশন ঠোট বাঁকা করে হেসে দিয়ার দিকে এগিয়ে যায়।
চলবে,,
[ গল্পটার প্রথমদিকে বোরিং লাগতে পারে আপনাদের কাছে। তবে আশা করবো ধৈর্য না হারিয়ে ধীরে সুস্থে পড়বেন। কারন ধীরে ধীরে গল্পে টুইস্ট আসবে যা প্রথম ধাক্কায় আসে না। আর যেহেতু আমার লেখনী এখনো অনেক কাঁচা তাই আশা করবো আপনারা আমার পাশে থাকবেন । যাতে আমি লেখার প্রতি অনুপ্রাণিত হই। ধন্যবাদ।
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ]