রোদেলা,৭৩

0
671

রোদেলা,৭৩
লেখা: মাহাবুবা মিতু

বাড়ি ফিরেই ওরা রেস্ট নিয়ে দুপুর বারোটা নাগাদ চলে গেলো কৃষ্ণচূড়ায়। যাওয়ার কোন ইচ্ছে ওদের দুবোনের কারোই ছিলো না, দাওয়াত ছিলো বলে ওদের অগত্যা যেতে হলো। গিয়েই রোদেলা প্রিসিলাকে রেখে রান্নাঘরের দিকে উঁকি দিতেই দেখে নাসিমার মুখ গম্ভীর। রোদেলা কিছুটা আঁচ করার চেষ্টা করলো। আপাততঃ তিনি চামচ, খুন্তি আর ঢাকনা ঠুসঠাস করে রেখে তার মেজাজের সীমানা বোঝাতে চাইছেন হয়তো। একটা সময় এসব সামঝে চলতো রোদোলা। কিন্তু এখন আর এসব সামঝে চলতে ভালোও লাগে না ইচ্ছে ও করে না। অনেকে…, না ঠিক অনেকে না ওর মা-ই এসব কথার উত্তরে মনে মনে বলবে যে নিজে উপার্জন করে, স্বাবলম্বী, প্রতিষ্ঠিত , এখন তাই বদলো গেছে, মায়ের দুঃখ কষ্ট তাই গায়ে লাগে না। কিন্তু কথাটা ভুল।

জীবণ প্রত্যেককে কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় তা কেবল তিনি নিজেই জানেন। অন্য কেউ জানে না তার উপর দিয়ে কি যায়। প্রতিটা দিন কি সব ঝামেলা, সমস্যা প্রতিবন্ধকতা ঠেলে নিজের চলার পথ তৈরী করতে হয়। এই যে শব্দগুলো প্রতিষ্ঠিত, স্বাবলম্বী এগুলো কিন্তু এমনিতেই যোগ হয় নি নামের পাশে। কত কষ্ট করতে হয়েছিলো এসবের মালিকানা পেতে, তার সাক্ষী সেইসব বিনিদ্র রাত্রীগুলো।

আর তখন….. হুহ্
কেও পাশে ছিলো না। না পরিবার, না প্রিয়জন….
জীবণের এই দৌড়টা একাই দৌড়াতে হয়। কোন কোন ভাগ্যবানের পাশে প্রিয়জন থাকে হয়তো, সাহস দেওয়ার জন্য, অনুপ্রাণিত করার জন্য, ভালোবাসার জন্য। তারা কিন্তু আপনার হয়ে আপনার দৌড়টা দৌড়ে দিতে পারে না। এই যুদ্ধটা আপনার একার, এক্কেবারে একার। যুদ্ধের মাঠে আশেপাশে যাকেই দেখবেন তারা সবাই আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী, তারা প্রত্যেকে উন্মুখ হয়ে আছে আপনার জায়গাটা দখলের চেষ্টায়। আর প্রিয়জন…! তারা থাকে যুদ্ধ প্রান্তরের সীমানার বাইরে।

কত কত রাত হতাশায় ডুবে যেতো ও, টেবিলের সব কাগজপত্র, ঠেলে ফেলে দিতো রাগে, ক্ষোভে, ক্লান্তিতে। চোখ দুটো বুজে আসতো, ক্লান্তিরা জানান দিতো শরীর খুব করে একটু বিশ্রাম চায়, সেসব দিনে গড়ে পাঁচ ঘন্টা ঘুমিয়েছে ও। প্রিয়জনের মমতা মাখানো একটা হাত আশা করতো কাঁধের উপর। চেনা করো সাথে একটু কথা বলতে ইচ্ছে হতো। কারন নতুন কাওকে দুঃখ বলতে হলে তো একেবারে শুরু থেকে শুরু করতে হবে। সেই সময় আর ধৈর্য দুটোই না থাকায় এসব আর বলা হতো না। রাগে ফেলে দেয়া সেইসব কাগজপত্র নিজেকেই আবার গুছাতে হতো। নিজেকে তখন এত অসহায় লাগতো…..

কত বড় এই পৃথিবী, কত কত মানুষ চারপাশে। অথচ কেউ নেই তার এই কষ্টকে অনুভব করার, তার রাগ ক্ষোভ উপরে নেওয়ার, তার অভিমান গুলোকে মুছে দেওয়ার। নিজেই নিজের সব। অথচ এত এত আপনজন থাকা সত্ত্বেও ও আজ
নামগোত্রহীন।

সেসব কষ্ট সয়ে এসে আজকের দিনগুলোতে এসব কেন জানি গায়ে লাগে না। তবুও মাঝে মাঝে অভিনয় করতে হয়। সব বুঝেও কিছুই না বোঝার। রোদেলা রান্নাঘরে রাখা টুলটাতে বসে দা টেনে নিলো। নতুন শাড়ির কুঁচি আর আঁচল
গুজে বসে পানিতে ভিজিয়ে রাখা শশা, টমাটো, লেবু আর কাঁচামরিচ এর পাত্রটা টেনে নিলো। এক এক করে খোসা ছাড়িয়ে সিংকের কাছে গিয়ে পানি বদল করলো। ওর মা তখনো রাগ মিশ্রিত কথা বলেই যাচ্ছে। মনোযোগ সরাতে ওর মাকে বললো। কয়েকটা পেয়াজ দাও তো….?

কথা বলা অবস্থায়ই নাসিমা পেয়াজের সাঁঝি ঠেলে দিলেন রোদেলার দিকে। রোদেলা এক এক করে সালাদ কেটে প্লেট সাজিয়ে ফেললো। গোল একটা প্লেটে প্রথমে রাখলো শশা কুচি, তার পাশে টমেটো, তারপর কাঁচা মরিচ, তারপাশে পেয়াজ আর শেষে ধনেপাতা কুঁচি গুলো সার্কেলটা পূর্ণ করলো। মাঝখানে টকদই এর বাটি রাখালো। সেটাতে টপিংস হিসেবে দিলো কঁচি ডাল সহ পুদিনা পাতা এত সুন্দর লাগছে দেখতে মনটাই ভালো হয়ে গেলো৷ এমন অবস্থায় নাসিমা এক ধমক লাগালো।
: এটা হাতে নিয়ে বসে থাকবি এখন, যা টেবিলে রেখে তোর মেঝে খালামনিকে একটা ফোন দে, দেখ কদ্দূর এলো….?

এতক্ষণ ধরে তাদেরই কথা হচ্ছিল। কাটাকুটি গুলো পরিষ্কার করে হাত ধুয়ে দাঁড়ালো রোদেলা। নতুন পরা শাড়িটার কুঁচি নষ্ট হয়ে গেছে। দাঁড়িয়ে সেগুলো ঠিক করতে লাগলো ও। এমন সময় দ্বিতীয় বার ধমক দিলেন নাসিমা,
: এই যা তো এখান থেকে, শাড়ি নিয়ে ঢং শুরু করছে এখন। যা ফোন না দিতে বললাম। আমার হয়েছে ম*র*ণ….

রোদেলা চলে এলো সেখন থেকে। তার মাথা এখন জলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো। এতক্ষণ ধরে তার কারনই বলছিলেন তিনি। এতগুলো মানুষের আয়োজন বাড়িতে, দুই বোনকে বলেছিলেন সকাল সকাল এসে পরতে। যাতে তারা তাকে সাহায্য করতে পারে। অথচ সকাল গড়িয়ে এখন দুপুর তার উপর মেয়ের জামাইরাও এসে গেলো, তবুও তাদের দেখা নাই। কেমন বিবেক তাদের৷ একা এত কাজ কিভাবে সামাল দেন তিনি।
রাগ করাটা যৌক্তিক। কিন্তু এমন ঘটনা এবারই প্রথম হচ্ছে না। তাদের দেরিতে আসাটা বহু পুরাতন। এ বাড়িতে নানু থাকতে কাজির ভাত রান্না হতো, নানান পদের ভর্তা, ইলিশ আর পুঁটি মাছ ভাজ। পাহাড় সমান কাজ। কিন্তু কেও আগে এসে হাত বাটতো না। এত এত কাজ তার একাই করা লাগতো। বোনেরা আসতো আড়াইট কি তিনটায়। অথচ তাদের বাড়িতে মেহমান এলে সকাল সকাল তাকে নিতে লোক পাঠায় তারা৷ এত মানুষের রান্নার আয়োজন, নাসিমাকে ছাড়া অসম্ভব। সেখানে গিয়ে সব জোগাড়যন্ত্র, রান্নাবান্না সব একা হাতে করে নাসিমা। অন্য কেও হাত দিলে তার কাজ নাকি নষ্ট হয়। পিঠাপুলির বেলায়ও একই ঘটনা। তারা কেউই পিঠা বানাতে পারতো না। কোন কোন সময় দেখা যেতো বাকী দুই বোন সবকিছু কিনে পাঠিয়ে দিতো, পিঠা বানাতে, তারা পারে না এসব। নাসিমা এসব কাজে খুব দক্ষ, তার হাতের পিঠাও ভীষণ মজা খেতে। একা একা গজগজ করলেও সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে তৈরী করে পাঠিয়ে দিতো বড় বড় পাতিলে ভরে। তখনো তারা কেউই আসতো না। শিল নোড়ায় চাল গুঁড়ো করা, নারকেল কুঁড়ানো সব একা হাতে করতেন তিনি। সেসব দিন তার মেজাজ থাকতো সপ্তম তারে বাঁধা। আগে এসব বুঝতো না ওরা দুবোন। তাই সামান্য কথাতেই ভীষণ মার পরতো সেসব দিন গুলোতে । একটা কবিতা মনে পরলো রোদেলার-

“” পরের কারনে স্বার্থ দিয় বলি
এ জীবণ মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও……””

কামিনী রায়ের এই কথাটা তার মায়ের অস্থিমজ্জায় গেঁথে গেছে একেবারে। কে গাঁথালো, কিভাবে গাঁথলো কেউ জানে না, এমন ভাবেই গেঁথেছে সে কথা যে পরের জন্য কিছু করবার সেইসব দিনে তিনি তার মেয়ে দুটির কথা ভুলেই যেতেন। এমনো হয়েছে ওরা দুবোন সেই দুপুরে খেয়েছে, সন্ধ্যায় নাশতার কথা ভয়েও বলতে পারে নি, মা রেগে যাবেন। এমনকি রাতেও না খেয়ে ঘুমিয়ে পরেছে ওরা ছোট্ট দুটি বোন ।
কি সুন্দর না ব্যাপারটা….!
এমন আত্নত্যাগ কজন পারে করতে….?
রোদেলা প্রিসিলা অন্ততঃ ওদের চারপাশে এমন আত্মত্যাগী মা আরেকটা দেখে নি।

দুপুর আড়াইটা নাগাদ তারা এলেন। ছোটজনের পরিবার এলে আরেক জনের জন্য অপেক্ষা। দুই জামাই খাবার ভর্তি টেবিলের সামনে ক্ষুদার্ত হয়ে ঘুরঘুর করছে, সবাই আসার অপেক্ষায়। নাসিমা এতোটাও নিষ্ঠুর নন। তিনি দুবার এসে ডেকে গেছেন বাকীদের রেখেই খাওয়া শুরু করতে, বেলা তো কম গড়ালো না। কিন্তু লাজুক দুই জামাই-ও বলেছেন ব্যাপারনা মা, আসুক সবাই একসাথে বসি…..!

হাস্যজ্জ্বল মুখে ফেরত গিয়েছেন ঘর থেকে, মনে মনে বলেছেন এমন লক্ষ্মী জামাই পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু দুই জামাইকেই এমন অনেক কঠিন কঠিন মুহূর্তে মেজাজকে নিয়ন্ত্রণ করে লক্ষ্মী জামাইয়ের এই তকমা পেতে হয়েছিল। সুফিয়ান এসবে গা সওয়া হয়ে গেছে। রেজওয়ান তো একটু অন্যরকম। প্রথম দিনই বাসায় ফিরে প্রিসিলাকে বলেছিলো- তোমাদের আত্মীয়স্বজন গুলো কি মেয়ের জামাইর চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ তোমার মায়ের কাছে…? সারাজীবন দেখালাম আত্মীয়রা জামাইয়ের জন্য অপেক্ষা করে। আর এখানে কেস উল্টো….। তারা যখন এতই ব্যাস্ত আর গুরুত্বপূর্ণ তাহলে একসাথে দাওয়াত না দিলেই পারে। ঘটনাটা যে পরোক্ষ ভাবে জামাইদের ছোট করা তা নাসিমা বুঝেও অবুঝ। তিনি তাদের বোন-বোনজামাইদের সাথে আড়ালে রাগ দেখালেও তা কোন কিছুর পরিবর্তন করতো না। যেই বাহান্ন সেই তিপ্পান্নই রয়ে গেলো। তারা তাদের মতোই আসতো। আর দাওয়াতের দিনে বাকীদের জন্য অপেক্ষা করা নিয়ম হয়ে গিয়েছিল ওদের।

সেদিন খাবার খেতে বসতে বসতে তিনটা বেজে গিয়েছিলো। খাবারগুলো আরেকদফা গরম করতে হয়েছিল। গ্যাসের সমস্যা এখানে। সারাদিন লেগে যায় রান্না শেষ করতে। খেতে বসে রোদেলা প্রিসিলাকে কিছু একটা ইশারায় দেখালো টেবিলের উল্টোপাশে। কিছু বুঝলো না ও। খাওয়া শেষে হাত ধোয়ার সময় জিজ্ঞেস করলো কিরে কি বললো তখন….

মেঝো আন্টির নাকের নাকফুলটা দেখেছিস…?
নাতো খেয়াল করি নি। দাঁড়া দেখে আসি, বলেই হাঁটা ধরে প্রিসিলা। রোদেলা খপ করে হাত ধরলো ওর। আরে গাধা…..! এখন পথ বেয়ে দেখা লাগবে না, পরে খেয়াল করিস।

সন্ধ্যায় প্রিসিলা ছাদে বসে থাকা রোদেলার পাশে দাড়িয়ে বলে-

: নাকফুলটা তুই এনেছিলি মায়ের জন্য তাই না….?
: হুম,
: মা-টা না এমনি…
তোর মনে আছে প্রথম টিউশনির টাকায় তুই ওড়না কিনে এনেছিলি মায়ের জন্য…?
প্রিসিলার দিকে উদাস দৃষ্টিতে তাকায় রোদেলা…
যার মানে এ কথা ভুলি কি ভাবে…
: সেটা বড় খালামনিকে দিয়ে দিলো একবার পরে।
: বাদ দে এসব…
জানিস গত পাঁচ বছর আমি এত টাকা আয় করা সত্ত্বেও এক আনা ওজনের গহনাও কিনি নি নিজের জন্য, বিয়ের সময় শুধু সুফিয়ানের জন্য প্লাটিনামের
একটা আংটি কিনেছিলাম। তাও কয়েক বছর আগের ঘটনা। এ বাড়িটা কিনতে আমি কেবল টাকাই জমা করেছি চোখকান বুজে। কত ইদ, পয়েলা বৈশাখ, গেলো সে পাঁচ বছরে। এক টাকার শপিং ও আমি সে উপলক্ষে করি নি। শাহনাজ আন্টি বাংলাদেশ থেকে শপিং করে পাঠাতো সবার জন্য, সেখানে আমার জন্য ও হয় শাড়ি নয়তো থ্রি পিস থাকতো। তাছাড়া নানু, মামা, মামীও কিছু না কিছু দিতোই এসব উপলক্ষে। আমি নিজ থেকে তাই আর কিনতাম না কিছু। কোন কিছু পছন্দ হলে তিনদিন সময় নিতাম। কিংবা নিজেকে প্রশ্ন করতাম এটা কি আমার প্রয়োজন? একটা লার্জ সাইজ ব্যাগ কিনেছি গত পাঁচ বছরে। সেটা নষ্ট হওয়ায় মামী লক্ষ করে ব্যাগ কিনে দিয়েছিলো। তুই তো জানিস সেখানে সবকিছু কত এক্সপেন্সিভ। এবার আসার সময় মনে হলো মায়ের জন্য কিছু নেই। টাকায় টানাটানি থাকায় নাকফুলটা কিনেছিলাম। তাও দেশী টাকায় প্রায় পয়ষট্টি হাজার টাকা পরেছে। দুপুরে খাওয়ার সময় মেঝো খালামনির নাকে সেটা দেখে অবাক হয়েছিলাম। তাই তখন তোকে ইশারায় সেটাই দেখিয়েছিলাম,
: এসব আর নতুন কি..? যা কিছু আমাদের তা তাদের পছন্দ হলেই তাদের হয়ে যায়। সব কিছুর হিসেব অন্য। এ নাকফুলটা মা কিভাবে দিতে পারলো, সুন্দর বললেই কি দিয়ে দিতে হবে….? দাঁড়া তুই আমি এক্ষুনি জিজ্ঞেস করছি..।
: দরকার নেই থাক, এখন এসব আর ভাল্লাগে না, বাদ দে। এখন হয়তো জিজ্ঞেস করলে বলবে পরতে নিয়েছে। নিজের কাছেও ছোট লাগে এসব আলোচনা করতে। কিন্তু দেখিস এটা তিনি তাকে দিয়ে দিয়েছে। সে কিন্তু চায় নি, তোর মা-ই দিয়েছেন জোর করে। আচ্ছা তাদের কি কম আছে….? তবুও কেন…?

: স্বভাব…..! বুঝলি না, সুন্দর বললেই তিনি খুলে দিয়ে দেন, তাই তারা এ সুযোগ নেয়। তিনি এমনি উদার যে স্বামীকে কেও যদি সুন্দর বলে, তাকেও হয়তো…. ভাগ্যি আমার বাবা সুবিধার লোক না তা নাহলে….. হেসে ফেললো প্রিসিলা, রোদেলা জোর করে হাসি ফুটালো মুখে।

এমন সময় ওদেরকে ডাকতে আসে নাসিমা। নশতা রেডি হয়ে গেছে। এখানে এসেও এক ঝাঁক অভিমান ঝেড়ে দিলেন তিনি। সারাদিন ধরে রান্নাঘরেই কাটলো তার, সবাই হাত গুটিয়ে বসে আছে, এমন সব কথা। এত কষ্ট হলে দাওয়াত না দিলেই তো পারে, মনে মনে বিরক্ত হয়ে তা ভাবছে প্রিসিলা।

রোদেলা তাকিয়ে রইলো তার দিকে, এক দৃষ্টিতে। ওর খুব ইচ্ছে করে ও যে কষ্ট পেয়েছে তা বলতে। ঐ নাকফুলটা শুধু উনিশটা হিরার টুকটাই না শুধু অনেক ভালোবাসাও মিশে আছে তাতে যা এ জীবণে নাসিমা নিজেই ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে বহু বার। কিন্তু ও বলে না, কারন ও জানে ওদের মা পরিস্থিতি যাই হোক, দোষ যেই করুক না কেন সবদিক ঘুরে তা কিভাবে ওদের ঘাড়ে দিতে হবে তা খুব ভালো করে জানেন তিনি। পুরো জীবণটায় এমন
এসব দেখতে দেখতে ও ক্লান্ত…..!
বড্ড ক্লান্ত।
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here