#স্যার_I_Love_You
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৪
___________
আব্বু ঘুম থেকে মাত্র উঠলাম এখনো বেডেই বসে আছি। এদিকে সকাল ১১ টা বাজে!
বেড থেকে নামতে যাবো আর দেখলাম ফ্লোর ভর্তি হার্ট বেলুন রেড কালারের!
এখন চোখ গেলো সোফার সামনে টি টেবিলের উপর একটা বক্স বেশ বড়ই মনে তো হচ্ছে গিফট বক্স,, বক্স যখন গিফটের বক্সই হবে আমিও কেমন জানি উল্টা পাল্টা কথা ভাবতাছি।!
তো পা দিয়ে বেলুন গুলো ঠেলে ঠেলে গেলাম বক্সটার কাছে আর বক্সটা হাতে নিলাম।
বক্সটার উপরে কার্ডে লেখা আছে- আমার মামনির জন্য ছোট্ট গিফট আজকের পার্টিতে তুমি এটাই পরবে। ইতি তোমার আব্বু।
আমি- উফফ আব্বু!
বলেই বক্সটা খুলতে যাবো ওমনি পেছন থেকে কারা জেনো হ্যাপি বার্থডে বলে চেচিয়ে উঠলো।
হঠাৎ করে চেনানোর জন্য ভয় পেয়ে যাই আর পেছন ঘুরে দেখি আমার আব্বু আম্মু আমার ১৪ গুষ্টি + আমার বেস্ট ফ্রেন্ড মুন্নী মিম আব্রু রুবেল আর নাঈম!
আমি- এভাবে কেউ চেঁচায় ভয় পেয়ে গেছিলাম তো.!
বিরক্তি নিয়ে বললাম।
সবগুলা আর কিছুই না বলে আমাকে এসে শক্ত করে জরিয়ে ধরে।
আমি- আল্লাহ গো মইরা গেলাম ছাড় ছাড়।
সবগুলা ছাইড়া দূরে দাঁড়াইয়া পরলো।
আমি- এভাবে কেউ শক্ত করে ধরে নাকি? বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছি।
— সরি!
তারপর আর কি সবাই এক এক করে জরিয়ে ধরলো আর বার্থডে উইশ করলো।
সন্ধ্যায়~
সব গেস্ট চলে আসলে আর পুরো বাড়ি হইচই এ ভড়ে গেছে।
আর এদিকে আমি এখনও রেডিই হই নাই।
আম্মু এসে তারা দিয়ে গেলো।
মনের মধ্যে ভয় হচ্ছে কেনো জানি মনে হচ্ছে স্যার আসবে কি আসবে না যদি না আসে।
ভাবতে ভাবতে আব্বুর দেওয়া বক্সটা খুললাম।
ওমা এটা তো প্রিন্সেস ড্রেস হিহিহি তারাতাড়ি করে পরপ রেডি হয়ে নিলাম।
প্রিন্সেস ড্রেস পরে নিজেকে এখন প্রিন্সেস প্রিন্সেস লাগছে এখন শুধু আমার প্রিন্স আসার অপেক্ষা হিহিহি।
বলেই রুমের বড় আয়নার সামনে দাড়িয়ে সাজতাছি মেক-আপ করতাছি আর কি।
রেডি হতে প্লাস মেক-আপ করতে ১ঘন্টা সময় লাগছে।
রেডি হয়ে হল রুমে চলে আসলাম। সবাই আবারও উইশ করলো।
এদিকে রাত ঘনিয়ে যাচ্ছে সবাই বলছে কেক কাটতে কিন্তু কিভাবে কাটবো স্যার তো এখনো আসেনি।
আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি।
এদিকে আব্বু আম্মু বারবার বলছে আমি দাঁড়িয়ে আছি কেনো কেক কেনো কাটছি না গেস্ট রা আর কত অপেক্ষা।
আম্মুর কথা শুনতে শুনতে আমার চোখের কার্নিশ বেয়ে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরে।
এক ঘন্টা অপেক্ষা করেছি রাত নয়টা বেজেগেছে। স্যার কেনো আসলো না এখানে এত মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি পাচ্ছি না।
মুন্নী মিম আব্রু রুবেল নাঈম হয়তো বুঝতে পেরেছে আমার অবস্থা পাঁচ জনেই চোখ দিয়ে ইশারা করলো কেক কাটতে আমিও কেক কাটলাম সবাই হাত তালি দিচ্ছে কিন্তু আমার মনে তো শান্তি নেই খুব কান্না পাচ্ছে এত করে বললাম তবুও আসলো না।
আব্বু কেকের এক পিছ নিয়ে আমাকে খাওয়া নিলে আমি আব্বুর দিকে তাকালাম।
আব্বু আমার দিকে তাকাতেই আব্বুর মুখের হাসি মলিন হয়ে গেলো। কারণ আমার চোখে পানি।
আব্বু- ইতি মামনি কি হয়েছে?
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দৌঁড়ে চলে আসলাম রুমে আর দরজা ভেতর থেকে আটকে দিলাম। স্যার কেনো এলো না কাঁদতে কাঁদতে রুমের সব কিছু এদিক সেদিক ছুঁড়ে মারলাম বেডের পাশে বসে বেডের উপর মাথা রেখে কাঁদতে থাকলাম কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছিলাম নিজেও জানি না।
পরেরদিন ব্রেকফাস্ট না করেি রেডি হয়ে কলেজ যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পরি আব্বু হল রুমেই ছিলো। আমাকে যেতে দেখে ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করলো আগামীকাল এমন কেনো করেছি কি বলবো কোনো উত্তর নেই তাই কিছু না বলে মাথা নিচু করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলাম।
আজ কলেজ যেতে ইচ্ছে করছে না তবুও আসলাম।
ক্লাস শেষ হতেই ওরা পাঁচজন চেপে ধরলো কাল স্যার কেনো আসেনি এইটা সেইটা আরও অনেক কিছু।
আমি ওদের ধমক দিলাম আমি জানি না কেনো আসেনি কিচ্ছু জানি না। বলেই কলেজের মাঠে সবুজ সবুজ ঘাসের উপর বসে পরলাম। (ওপসস ঘাস গুলো চেপ্টা হয়ে গেলো।)
ওরা পাঁচজনেই সাজেস্ট করলো আমি জেনো স্যারের বাড়িতে যাই আর জেনো গিয়ে খোঁজ!
আমিও রাগ দেখিয়ে বলে দেই আমি কেনো যাবো? যাবো না আমি। বলেই ওদের সামনে থেকে উঠে আসলাম।
বিকেলে পড়ার টেবিলে বসে অপেক্ষা করছি সময়ের পর সময় ঘনিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আজও স্যারের আসার নামে খবর নেই।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলো ইচ্ছা করছে টেবিলের উপর রাখা সব বই গুলো ছুঁড়ে ফেলি দেই।
সন্ধ্যা ৬টা রুম টু বারান্দা, বারান্দা টু রুম পায়চারি করছি হাজারবার স্যারকে কল দিয়েছি কিন্তু সেই এক কথা বন্ধ সংযোগ দেওয়া সম্ভব না। উফফ টেনশনে মাথা ফেটে যাচ্ছে। আর কিছুই ভাবতে পারছি না ওরা যা বলছে আমাকে তাই করতে হবে।
পাঁচ মিনিটে রেডি হয়ে আম্মু বাহির যাচ্ছি বলে বেরিয়ে পরলাম।
স্যারের বাড়ির ওই রোডে এসে আশেপাশের কিছু লোকদের স্যারের বাসা জিজ্ঞেস করলাম অনেকেই বলতে পারে না তারপর আবারও হাঁটতে লাগলাম স্যারের নাম ছাড়া কিচ্ছু জানি না কিছু দূর আসতেই দেখলাম সন্ধ্যে বেলায় সবাই চায়ের দোকানে বসে অনেপ মানুষই আড্ডা দিচ্ছে মনে হলো তারা হয়তো কিছু বলতে পারবে গেলাম তাদের কাছে আর স্যারের বাসা চিনে কি না জিজ্ঞেস করলাম তাদের মধ্যে একজন বললো চিনে এবং ওই চায়ের দোকানে একটা বাচ্চা কাজ করে তাকে আমার সাথে পাঠিয়ে দিলো।
কিছুদূর আসতেই বাচ্চাটা একটা দুইতলা বিল্ডিং দেখিয়ে দিয়ে চলে গেলো।
আমিও এসে কলিংবেল বাজাতে লাগলাম কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ নেই।
পাঁচ মিনিট পর উপর তলা থেকে একজন মহিলা নেমে আসলেন আমি তাকে সালাম দেই সে সালামের উত্তর নিয়ে জিজ্ঞেস করে আমি কে?
আমিও উত্তর দেই স্যারের স্টুডেন্ট দুইদিন ধরে পড়াতে যাচ্ছে না আর ফোন ও বন্ধ তাই খোঁজ নিতে আসলাম।আন্টিটা বললো ও বাড়িতে নেই। আমিও জানতে চাই নেই মানে কোথায় গেছে?
আন্টি বললো- শনিবার দিন সকালে হঠাৎ করে ওর মার শরীর বেশি খারাপ হয়ে যায় আর তখনই তাকে নিয়ে শাওন তোমার স্যার হসপিটাল চলে যায় দুইদিন হয়ে গেছে হসপিটাল ভর্তি এই দুইটা আগেও শাওন আসছিলো আর কি জানি নিয়ে আবারও চলে যায়।
আমি- স্যারের মা অসুস্থ?
আন্টি- হ্যাঁ।
আমি- কোন হসপিটালে উনারা আছে আপনি কি জানেন আন্টি বলতে পারবেন প্লিজ?
আন্টি- তা তো জানি না।
আমি- আচ্ছা আন্টি ধন্যবাদ এখন আমি আসি।
আন্টি- আচ্ছা।
সেও উপরে চলে গেলো আর আমিও হাঁটা শুরু করলাম। এদিকে স্যারের মা অসুস্থ আর আমি স্যারকে কত ভুল বুঝেছি। কিন্তু স্যার কোন হসপিটালে আছে সেটা তো আমি জানি না।
হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম গাড়ির কাছে।
ড্রাইবার আঙ্কেল- ইতি মামনি গাড়িতে উঠে বসো আমাদের বাড়ি ফিরতে হবে তো আবার।
আমি- হুম চলো।
ডাইনিং টেবিলে আব্বু আম্মু জিজ্ঞেস করেছিলো স্যার কেনে আমাকে পড়াতে আসছে না আমিও বলি যে স্যারের আম্মু অসুস্থ ও হসপিটালে এডমিট আছে। এর চাইতে বেশি কিছু জানি না আর যেনো জিজ্ঞেস ও না করে। রাতে খেয়ে সোজা রুমে চলে আসলাম।
দুইদিন ঠিক মতো পড়তে পারিনি তাই আজ অনেক রাত পর্যন্ত পড়ি রাত ১টা ঘুম পাচ্ছে।
বই বন্ধ করে টেবিলের উপর সুন্দর করে গুছিয়ে রেখে বেডে এসে শুয়ে পরি। তার আগে ফোনটা বের করে ফোনের গ্যালারীতে ঢুকি সেদিন চুরি করে স্যারের একটা ছবি তুলেছিলাম সেটাই দেখছি দুইদিন ধরে দেখি না তাই ছবি দেখেই মন ভড়াতে হচ্ছে।
কিছুক্ষণ ছবিটার দিকে তাকিয়ে থেকে মোবাইলটা আমার মুখের কাছে নিয়ে আসি আরও একটু ঠোঁটের কাছে নিয়ে আসি ছবিটাতে একটা কিস করে ফোন পাশে রেখেই ঘুমিয়ে পরি।
সকালে হঠাৎ ফোনের রিংটোন শুনে ঘুম ভেঙে যায় ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি স্যার কল দিয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে কল রিসিভ করলাম।
আমি- স্যার আপনি কেমন আছেন কোথায় আছেন ঠিক আছেন তো আপনার আম্মু কেমন আছে কেন হসপিটালে আছেন আপনারা আমি আপনাকে কতগুলো কল দিয়েছি তাী ঠিক নেই আমার অনেক টেনশন হচ্ছিল আপনাদেরকে নিয়ে। (এক নিশ্বাসে বলতেই থাকলাম)
স্যার- থামো থামো ইতি এতগুলো প্রশ্ন এক সাথে করলপ উত্তর কিভাবে দিবো একটা একটা করো আর হ্যাঁ সব কিছুর জন্য সরি আমি খেয়াল করিনি যে আমার ফোন বন্ধ আর এখন ফোন অন করতেই দেখলাম তোমার এতগুলো কল তাই কল বেক করলাম।
আমি- আমি আপনাকে কতদিন ধরে দেখিনা। আমও আপনার সাথে দেখা করবো আর আজকেই আর সেটাও ১ ঘন্টা পর এড্রেস মেসেজ করে পাঠিয়ে দিচ্ছি চলে আসবেন।
স্যার- কিন্তু আমি তো?
আমি- আমি কোনো কিছু শুনতে চাই না আমি আপনার সাথে দেখা করবো তো করবোই আর আমার আপনাকে অনেক অনেক ইমপোর্টেন্ট কথা বলার আছে আর সেটা আজকেই বলতে হবে সো আপনাকে আসতেই হবে আমি অপেক্ষা করবো।
স্যার- অনেক ইমপোর্টেন্ট কথা?
আমি- হ্যাঁ অনেক অনেক।
স্যার- তাহলে এখনই বলো।
আমি- ফোনে বলা যাবে না সামনা সামনি বলতে হবে আপনি বাস চলে আসবেন।
বলেই ফোন কেটে দিলাম আর এড্রেস মেসেজ করে পাঠিয়ে দেই বেড থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে যাই তারাহুড়া করে ব্রেকফাস্ট করি।
আম্মু- এভাবে খাচ্ছিস কেন? আসতে খা.. দেখে তো মনে হচ্ছে তোর ট্রেন মিস হয়ে যাবে।
আমি- আম্মু টাইম নেই ট্রেনই মিস হয়ে যাবে। ওও আম্মু তোমার ওই নতুন সিল্ক শাড়িটা দাও না পরবো।
আম্মু- শাড়ি কেন কোথায় যাবি? কার সাথে দেখা করতে যাবি?
আমি- ও-ই ও-ই।
আম্মু- ওই ওই না করে সত্যি সত্যি বল।
আমি- আম্মু আমি ওই স্যারের সাথে দেখা করতে যাবো।
আম্মু- আচ্ছা যা আলমারি থেকে যেটা পছন্দ হয় বের করে পরে রেডি হো গিয়ে।
আমি আম্মুকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলাম আর দুইটা পাপ্পি দিলাম।
আম্মু- হইছে হইছে এখন যা পাগলী মেয়ে।
আমিও আম্মুর রুমে এসে আলমারি থেকে সন থেকে গরজিয়াস শাড়ি টা নিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।
লাল শাড়ি সাদা পাইড়ের শাড়িটা খুব সুন্দর করে আঁচল ছেড়ে দিয়ে পরে নিলাম।
সঙ্গে হালকা সাজ চোখে গাড় করে কাজল ঠোঁটে লাল লিপস্টিক কপালে লাল টিপ কানে স্যারের দেওয়া ইয়ারিং দুই হাত মুঠি ভরে কাঁচের চুড়ি পায়ে নুপুর চুলের খোঁপায় বেলীফুল সাথে একটা গোলাপ ফুল!
রেডি হয়ে নিচে আসতেই আম্মু চোখের আর্নিশ থেকে এক আঙুল দিয়ে কাজল নিয়ে আমার কানের পেছনে লাগিয়ে দেয় আর বলে।
আম্মু- কারো নজর জেনো না লাগে।
আমি- আম্মু এইসব কুসংস্কার।
আম্মু- কোই না যাইতেছিলি যা বেশি কথা কইস না।
আমি আর কথা বাড়ালাম না বাহিরে এসে গাড়িতে উঠে বসলাম।
গাড়ি চলছে আমার বলা ঠিকানায় এসে গাড়ি থেমে যায়।
আমি গাড়ি থেকে নেমে পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে পায়চারি করছি এটা একটা পার্কের মতো।
আমি- আমিই কি তারাতাড়ি চলে আসছি নাকি স্যারই আসতে লেইট করছে কোনটা।
বলতে বলতেই সাথেই একটা কাঁঠাল গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে পরলাম।
দুই মিনিট পর আমার পিঠে ব্লাউজের মধ্যে কি জেনো ঢুকে পরছে পিঠে ব্লাউজের ভেতর হাটাহাটি করছে।
আমিও গাছ থেকে একটু সে গেলাম। ভয়ে আনি শেষ ছেংগা না তো আল্লাহ এই একটা জিনিস আমি জন্মের ভয় পাই।
হাত দিয়ে বাহির করার চেষ্টা করছি পেছনে কিছু তো দেখছিও না।
আমি- আহহহহহহহহহহহহ। (দিলাম এক চিৎকার)
পিঁপড়া কামড় দিছে রে।
চিৎকার থামিয়ে ওহহ আহহ করতে করতে ব্লাউজের উপর দিয়েই পিঁপড়া টাকে পিষে মেরে ফেললাম।
বর্তমানে পিঠে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আর সব হয়েছে স্যারের জন্য স্যার যদি একটু তারাতাড়ি আসতো তাহলে আর পিঁপড়ার কামড় খেতে হতো না পিঠে জ্বলছে আর ফুলেও গেছে উফফ!
দীর্ঘ ২০ মিনিট পর ওই তো স্যারের মতো কাউকে এদিকে আসতে দেখে নিজেকে সামলে নিয়ে সুন্দর করে দাঁড়িয়ে পরি।
To Be Continued?