স্যার I Love You – Part 15

0
478

#স্যার_I_Love_You
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৫
____________
একটু ভালো করে দেখতে লাগলাম। হ্যা এতো স্যারই বাহ বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে তো। আমি স্যারের দিকে হা করে তাকিয়ে আছি। স্যার হেঁটে আমার সামনে এসে দাঁড়ায় কিছু বলতে এমন সময় স্যার আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত লক্ষ্য করে। এখন দুই জনেই দুই জনেরই দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছি!
কিছুক্ষণ পর আশেপাশের মানুষের কথায় আমাদের দু’জনেরই ধ্যান ভাঙ্গে!
স্যার- আজ হঠাৎ শাড়ি?
আমি- ইচ্ছে হলো তাই পরেছি।
স্যার- ওও তাহলে এটা বলো কেনো আসতে বলেছো।
আমি এদিকে সেদিক ভালোভাবে তাকালাম কেউ দেখছে না তো। না কেউ দেখছে না।
বলেই স্যারের পায়ের সামনে এক হাঁটু গেড়ে বসে পরলাম।
স্যার- কি করছো ইতি মানুষ কি ভাববে উঠো বলছি।
আমি- স্যার ওয়েট।
এক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে নিলাম। জানি না এখন কি ঘোড়ার ডিম উগান্ডা বলবো।
“ স্যার আপনি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার লাইফের সব কিছু পাল্টে গেছে। আজ থেকে ৩ মাস আগে আমি যেমন ছিলাম এখন আর তেমন নেই। আর সবটা হয়েছে আপনার জন্য আপনার জন্য আমি পাল্টে গেছি। প্রথম দিন যেদিন জানতে পারি আপনি আমার স্যার সেদিন খুব করে চেয়েছিলাম আপনাকে কিভাবে তাড়াবো? তারপরেই আপনার কিছু কথা শুনে আমার মন পাল্টে যায়। নিজের ভুল বুঝতে পারি। আর তারপর থেকেই আমার আপনার প্রতি কিছুটা ভালোলাগা কাজ করে। সে ভালোলাগা ধীরে ধীরে ভালোবাসায় পরিনত হয়েছে। আমি জানি আপনি ও আমাকে ভালোবাসেন আর যদি তাই হয় তাহলে প্লিজ আমার ভালোবাসা কবুল করে নিন। আমার আব্বু আম্মুকে আমি রাজি করাবো। স্যার আপনি যদি আমাকে ভালোবাসেন তাহলে আমার প্রপোজ করার সাথে সাথেই এক্সেপ্ট করবেন। ”
বলেই চুলের খোঁপা থেকে গোলাপ ফুলটা খুলে নিলাম আর দুইহাত দিয়ে গোলাপ ফুলটাকে ধরলাম আর বললাম।
আমি- স্যার I Love You ~
স্যার আমার হাত থেকে ফুলটা নিয়ে বললো।
স্যার- ইতি I love you too ~
স্যারের মুখে ভালোবাসি শুনে উঠে দাঁড়িয়ে সোজা ঝাপিয়ে পরলাম স্যারের বুকে মানে জরিয়ে ধরলাম।
স্যারও আমাকে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো আর বললো।
স্যার- আমিও তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি ইতি। সারাজীবন আমার বুকের মধ্যে খানে তোমাকে জরিয়ে ধরে রাখবো।
বলেই স্যার আমার দুই গালে হাত দিলেন আর স্যারের মুখ বরাবর ধরলেন স্যার কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন আর বললেন।
তোমার এই চোখ তোমার এই ঠোঁট আমাকে জেনো পাগল করে দেয়। বলেই স্যার স্যারের ঠোঁট জোড়া আমার ঠোঁট জোড়ার সাথে মিশিয়ে ধরলেন।
পাগলের মতো কিস করতে লাগলেন। আমার ঠোঁটের সব লিপস্টিক খাইয়া ফেলতাছে রে। (মনে মনে)
স্যার স্যারের মতো কিস করতে ব্যস্ত। পাঁচ মিনিট পর স্যার আমাকে ছেড়ে দিলো। তারপর স্যার উনার এক হাত দিয়ে আমার কোমড় চেপে ধরলো আর আরেক হাত দিয়ে আমার চুলের খোঁপা ধরলো আমাকে আবারও উনার কাছে নিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো আবারও আমার ঠোঁটে উনার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।
এদিকে আমি সহ্য করতে না পেরে কোলবালিশ কে শক্ত করে জরিয়ে ধরে পুরো বিছানায় গড়াগড়ি করতে লাগতাম আর কোলবালিশ কেই পাপ্পি দিতে শুরু করলাম। বেচারা কোলবালিশ নিজের ইজ্জত যেতে দেখে সহ্য করতে পারলো না তাই খাট থেকে পরে সুইসাইড করতে চাইলো।
গড়াগড়ি করতে করতে বেডের সাইডে এসে পরি আর কোলবালিশ নিয়ে ঠাসসসস করে ফ্লোরে পরে যাই।
ফ্লোরে পড়ার সাথে সাথেই চিৎকার দিয়ে বসে পরি।
আমি- ওরে আল্লাহ গো মাজা ডা মনে হয় ভাইঙ্গাই গেছে গা রে। এক মিনিট আমি ফ্লোরে কি করছি আর এই কোলবালিশ আমার পায়ের কাছে কি করে আর আমি আমার রুমে কেন আমি না স্যারের রুমে আছিলাম তাইলে কেমনে কি এদিকে ফোনের এলার্ম বেজে উঠে ফোনের এলার্ম বন্ধ করে মানে মাত্র ৬টা বাজে। আর আমি এতক্ষণ স্বপ্ন দেখতে ছিলাম।
এত রোমান্টিক এটা স্বপ্ন ছিলো বাস্তব কেনো হলো না। হায় কি কিউট লাগতাছিলো আমারে আর স্যারকে কত হ্যান্ডসাম লাগতাছিলো।
কি রোমান্টিক স্বপ্ন ভাবতে ভাবতে ফ্লোরে বসেই আবার কোলবালিশকে টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে জরিয়ে ধরি।
দুই মিনিট পর চোখ যায় কোলবালিশের উপর।
আমি: ইয়াক থু। আমি আবার কোলবালিশ কে জরাই ধরছি কেউ দেখলে ইজ্জতের ফালুদা হইয়া যাইবো এই কোলবালিশ তোর জন্য যদি আমার মান ইজ্জত নিয়া টানাটানি হয় তোরে দেখিস ফাঁসিতে ঝুলাইয়া দিমু। বলেই দিলাম বিছানার উপর ঢিলা। মানে বেডের উপর ছুরে মারলাম।
আর চলে আসলাম ওয়াশরুমে কি রোমান্টিক স্বপ্ন।
ওইদিকে কোলবালিশ যদি কথা বলতে পারতো তাহলে এটা ঠিকই বলতো, “এতক্ষণ আমার ইজ্জতের ফেলুদা বানাইয়া এখন ঢিলা দিয়া ফালাইয়া দেওয়া। যাকে বলে জুতা মেরে গরু দান। ঘুমের মধ্যে এত আদর সোহাগ করলা আর ঘুম থেকা উঠলেই লাথি মাইরা ছু্ড়ে ফেলে দিলা। ”
আমি ১০০% সিউর বলতো!
ব্রেকফাস্ট করে কলেজ চলে আসলাম।
কলেজ ছুটি হতেই সব গুলা মিললা ক্যাফে তে চলে আসলাম আর ওদেরকে স্বপ্নের কথা বললাম।
আমার পাঠক পাঠিকারা আবার ভাইবো বা কিসমিস করছে ওইগুলাই বইলা দিছে ওইগুলা আবার সাথে বলা যায় না আর তোমরাও বইলো না যত হোক ইতি আর স্যারের মান সম্মানের প্রশ্ন বইলো না কিন্তু।
ওরা সবাই বললো এবার আমাকে স্যারকে সব পরিস্কার করে বলে দেওয়া উচিত! আমিও ঠিক করি আগামী শুক্রবার স্যারকে সব বলে দেবো আনার ফিলিংসের কথা আমি উনার জন্য যা ফিল করি সব বলে দেবো আর স্বপ্নে যেভাবে দেখেছি ঠিক সেভাবেই সেজে যাবো।
আজ থেকে স্যার পড়াতে আসছেন। এভাবেই চলছে দিন আর শুক্রবার ও গনিয়ে আসছে স্যারের। মায়ের অবস্থা তেমন ভালো নয় ভালো ডাক্তার দেখাতে হবে।
আর গাজীপুরে উনার রোগ কোনো ডাক্তারই দরতে পারছেন না। স্যার মনে মনে প্ল্যান করে শনিবার দিন সকালে উনার মা কে নিয়ে মাদ্রাস চলে যাবেন। আর এই বিষয়ে স্যার ছাড়া কেউ জানে না। স্যার বাড়িওয়ালার কাছেও বলে দিয়েছে উনারা বাড়ি ছেড়ে শুক্রবার দিন সকালে চলে যাবে।
বাড়িওয়ালা ও দ্বিমত করে না কারণ নেই কোনো দ্বিমত করার কারণ উনি তো উনার বাড়ি ভাড়া পেয়েই গেছেন।
কাল বৃহস্পতিবার স্যার ভাবে কালকে ইতির বাবার কাছে জানিয়ে দেবে সে যে আর ইতিকে পড়াতপ পারবে নি কিন্তু স্যার ডিরেক্টর ইতিকে এ কথা বলতে পারবে না কারণ স্যারও যে বুঝে গেছে সে ইতিকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে কিন্তু ইতি আর স্যারের মিক হবে না কারণ ইতি যে বড়লোক বাপের এক মাত্র মেয়ে আর স্যার যে মধ্যবিত্ত।
রাতে খেয়ে শুয়ে পরে ইতি আর এদিকে স্যার সব কিছু প্যাকিং করছে।
To Be Continued?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here