#কাজের_মেয়ে
#Janna_Mim
#পর্বঃ৫৩
তোর রাগের কারণ আমি বুঝতে পারছিই।তাইতো সব বুঝিয়ে বলতে আসলাম।(এগিয়ে আসতে আসতে)
আমি তোর কোন কথা শুনতে চাইনা।বেড় হ তুই।
আরে শোননা।(বিছানায় বসে নাদিমকে এক পাশ থেকে জরিয়ে নিয়ে)
আমি তোকে বলতে চেয়েছিলাম সবটা কিন্তু মীম বলতে দেয়নি।সেদিন যখন প্রথম ওকে এখানে দেখেছিলাম আমি তো হা।কিছু বুঝে ওঠার আগে মীম চোখের ইশারায় বললো আমি যেন কিছু না বলি।তাই তখন কিছু বলিনি।ভেবেছিলাম পরে বলবো কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখি আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসে।রিসিভ করতে বুঝতে পারি মীম।ও তখন আমাকে বলে আমি যেন কাওকে কিছু না বলি এখন।এক্সাম হয়ে গেলে ও নিজেই ফিরে যাবে।এখন কিছু বললে এমন জায়গায় চলে যাবে তখন কেও আর খুজে পাবে না।এক্সাম ও দেয়া হবে না।ও খুব জেদি যা বলে তাই করে ওকে চিনিতো আমি।তাই কিছু বলতে পারিনি।
নাদিম কিছুটা সাভাবিক হলো।রাফি ওকে ছেড়ে দিয়ে পাশে বসে ভালো করে।নাদিম শান্ত কন্ঠে বলে উটলো,
মীম কি হয় তোর?
মামাতো বোন।
সামান্য এক্সাম এ খারাপ হয়েছে বলে কেও এমন করে।
বললাম না খুব জেদি।ঘটনা টা ওর আত্মসম্মান এ লেগেছে।তার ওপর মানুষের নানান কথা।সেই জন্যই এমন করেছে।তা না হলে এভাবে থাকতে পারে কেও?
ফট করে নাদিম বলে ওঠে,
কেন এখানে কি আমরা ওর ওপর ট*র্চার করেছি?
আরে আমি সেভাবে বলিনি।তোর ভরসায় ইতো রেখেছিলাম ওকে।জানতাম ও ভালো আছে।আমি শুধু বলছি নিজের পরিবার রেখে এভাবে ছিল ওইটা।
—
সকল কথা বার্তা শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে সবাই রুমে চলে যায়।এ-র মধ্যে নাদিম মীম এ-র চোখাচোখি হয় ২-৩ বার।কথা হয়নি আর।আর মাত্র এক রাত তারপর আলাদা হয়ে যাবে তারা।সবাই ঘুমিয়ে গেলেও নাদিম এ-র চোখে ঘুম নেই।অস্থির লাগছে খুব।কি যেন হারিয়ে যাওয়ার ভয় জেকে বসেছে মনে।এপাশ ওপাশ করেও ঘুমের দেখা মিলছে না।রাত প্রায় শেষ এমন সময় ঘুম এলো চখে।
সকাল ৯ টা।খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই রেডি হয়ে বেড় হলো।নাদিম এ-র মা নাদিমকে ডাকতেও তার ঘুম ভাংলো না রাতে ঘুম না হয়ায়।তাই আর জোর করেনি।বেরুনোর আগে মীম এ-র চোখ খুব করে নাদিমকে দেখতে চেয়েছিল।কিন্তু সে নেই তার সামনে।কি হতো আজ একটু তারাতাড়ি উঠলে।অভিমান টা আরো জেকে বসলো।বিদায় পর্বে মীম রুবিনা বেগম আর আকরাম খান কাছে যায়।
আপনাদের খুব মিস করবো।
রুবিনা বেগম এ-র চোখ টলটল করে ওঠে।এতোদিন ছিল মেয়েটা মায়া পরে গেছে খুব।এখন কিভবে থাকবে মেয়েটাকে ছাড়া ভাবতেই কেমন যেন লাগছে।নিজের মেয়ের মতোই আদর..
চলবে,