#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ২৪
মীম আমার প্লেটটা ধরে রাখতে পারছি না। একটু ধরে দাও।
[তা পারবা কেন?খালি পারবা গিলতে]
নাদিম যা বলে উঠলো তাতে মীম অবাকই হলো। শুধু মীম না নিরাও অবাক হলো।
প্লেটটা ধরে খেতে পারছিস না?তাহলে তোর খাওয়ার দরকার কি?রেখে দে।
তুই আমাকে এভাবে বলতে পারলি?তাও একটা কাজের মেয়ের জন্য?
নাদিম যে কাকে কি বলে ফেলেছে ওর মাথায়ই আসেনি। সবাই এখন কি ভাববে ওর বেপারে।যেখানে ও নিজে সারাক্ষণ মীম এ-র ওপর হুকুক চালাতে থাকে। তাই কথাটা একটু ঘোরিয়ে বললো,,
তোরটা ধরলে আমার টা কে ধরবে?জানিস না এভাবে আমার অভ্যাস নাই? মীম এই নাও এটা ধরে দারিয়ে থাকো।
[মীম একটা হতাসার নিঃস্বাস ছারলো।
কোই ভাবছিলাম আমার জন্য একটু হয়তো মায়া হইছে।আমি তো ভুলেই গেছিলাম যে এই মানুষ আর মায়া!অসম্ভব। ]
তোরটা আমি ধরে দিচ্ছি।(নিরা)
তুই নিজের টাই ধরে রাখতে পারছিস না আবার আমারটা কি ধরবি?
নিরা মন খারাপ নিয়ে চুপ করে গেল।যার থেকে দূরে আনতে চেয়েছিল এখন আরো বেশি করে রয়ে গেল। মীম প্লেট হাতে নিয়ে দারিয়ে রইলো। যে খেয়াল করছে তখন কথা বলা ভিকি তার দিকে অদ্ভুত দৃস্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে।বেপার টায় চরম অসন্তুষ্টি তে ভুগছে যে। নাদিম মীম এর দৃস্টি অনুসরণ করে ভিকি কে দেখতে পেল।ভিকি কে তাকিয়ে থাকতে দেখে মীমকে আড়াল করে দাড়ালো।মীম বেপারটা বুজতে পারেনি।তার কেমন ভয় ভয় করছে।এতো অচেনা মানুষ এ-র মাঝে সে একা।তাও ছেলেটা কিভাবে দেখছে।মীম এ-র মন চাচ্ছে রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়ে বসে থাকতে।তা না হলে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।ভেতরে কেমন অসস্তি হচ্ছে।তাই নাদিমকে বললো,,
আর কতখন?তারাতাড়ি খান এভাবে কতখন হাতে নিয়ে দারিয়ে থাকবো।
কেন তোমারকি অনেক বেশি তারা।(একটু বিরক্তি নিয়ে)
ভালো লাগছে না।কেমন একটা অসস্তি হচ্ছে। আমি রুমে যেতে চাই প্লিজজজ।
ওকে ওটা ওইদিকে রেখে যাও আমার আর লাগবে না।আর শোনো সোজা রুমেই যাবে কিন্তু বুজছো??আর কিছু করতে হবে না। কেও কিছু বললে আমার কথা বলবে।
আচ্ছা বলে মীম প্লেটটা রেখে রুমের দিকে গেলো। ঘরে ঢুকে পেছন দিকে হাত দিয়ে দরজা লাগাতে গিয়ে বুজতে পারলো দরজা লাগছে না।শক্ত কিছুর সাথে আটকে গেছে।মীম পেছন ফিরতে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো,,
আপনি??
হুম তখন তো ভাল ভাবে কথা হলো না। তাই একটু কথা বলতে আসলাম।
ক ক কথা।নাহ এ এখন কোনো কথা বলা যাবে না। পরে বলে নিবনি।আপনি এখন আসেন।(ভয় পেয়ে তুতলিয়ে)
তা বললে কি হয়।
চলবে,,