#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ২৫
তা বললে কি হয়?(বাকা হেসে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে)
কি করছেন কি আপনি ঘরে আসছেন কেন?(ভয়ে ভয়ে)
আরে এতো ভয় পেলে চলে?আমি তো তোমার ক্ষতি করতে আসি নাই। একটু ভাল করে দেখতে আসছি।দেখি দেখি মাথায় ওরনা দিয়ে রাখছো কেন?সুন্দর মুখটা কি দেখাবা না নাকি।(ওরনা খুলতে খুলতে)
কি করছেন আপনি ওরনা খুলছেন কেন।ছারুন, ছারুন বলছি।(বাধা দিয়ে)
এতো ছটফট করছে কেন?বললাম না দেখতে আসছি।আর আমি যা করতে চাই করেই ছারি।এই ভিকি কে বাধা দেয়ার মতো কাজ করার আজ পরজন্ত কারো সাহস হয় নাই।(শয়*তানি হাসি দিয়ে)
[আল্লাহ!তবে কি আজি আমার মান সম্মান এ-র শেষ দিন।আর কি কোন দিন কাওকে মুখ দেখাতে পারবো না।কি সর্ব*নাস। তবে কি এই বাড়ি আসা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো? আসে পাসে তো কেও নাই সবাই তো এখন নিচে।আর আমি তো শক্তি তেও পারবো না।ছি!ছি!এখন আমি বাঁচবো কিভাবে।এ-র থেকে মরাও তো ভাল ছিল। না না এটা হতে পারে না কিছুতেই না।হে আল্লাহ প্লিজ কাওকে পাঠাও প্লিজ প্লিজ। আর না হলে এর কিছু করার আগেই তুলে নাও।তাওতো সম্মান এ-র সাথে মরতে পারবো।]
কথা গুলো ভাবতে ভাবতে মীম এ-র চোখ ভিজে উঠেছে। তিস্নার্থ কাক এ-র মতো চেয়ে আছে কারো আসার অপেক্ষায়।
ভিকি আরেকটু এগিয়ে এসে মীম কে জরিয়ে ধরলো।মীম এবার আরো ভয় পেয়ে গেলো। তবে কি সত্যি তার আর বাচা হলো না।মীম এ-র চোখ বেয়ে পারি পরে যাচ্ছে আর তার সাথে ভিকিকে ফেরানোর চেষ্টা করছে।
এতো ছটফট করছো কেন?আরে আমি একটু কাছ থেকে দেখছি আর কি।
ছারুন প্লিজ। ছেরে দিন। ছারুন বলছি।(ধাক্কা দিতে দিতে)
ভয়ে মীম এ-র জান যায় যায়।আর বুঝি বাঁচা হলো না।হঠাৎ আসার আলো হিসেবে কারো হাত ভিকির কাধে দেখতে পেলো। ভিকি ও তার হাতের বাধন আগলা করে দিয়েছে।ভিকি পেছনে তাকাতেই তার নাক বরাবর কেও জোরে ঘু*সি লাগানো।ছিটকে অনেক দূরে গিয়ে পরলো।নাক দিয়ে র*ক্ত বের হয়ে গেছে।মীম অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মানুষ টার দিকে।চোখে মুখে অসম্ভব রাগ।এ-র মধ্যে ভিকি চেচিয়ে উঠলো,,
নাদিম তুই আমাকে মারলি??
তোর সাহস হলো কি করে ওর গায়ে হাত দেয়ার।(তেরে গিয়ে কলার ধরে আবারও ঘু*সি মা*র*তে মা*র*তে)
কি করছিস কি তুই,সামান্য কাজের মেয়ের জন্য আমাকে মা*র*ছিস?
তোকে আজ আমি কথা বলার অবস্থায়ই রাখবো না।এ-র পর তুই কারো গায়ে হাত তো দূরে থাক চোখ তুলে তাকানোরও সাহস পাবি না।
মীম এতখন দেখছিল অবাক চোখে কিন্তু এখন না থামালে নাদিম ভিকিকে মেরেই ফেলবে।যে ভাবে,,
চলবে,,