#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৩৯
চিৎকার শুনে মীম দৌড়ে নাদিম এ-র ঘরে গেল।কিন্তু নাদিম তো নাই।কই সে?এদিক ওদিক তাকিয়ে বুঝতে পারলো ওয়াস রুম থেকে শব্দ আসছে।সেখানে দিয়ে সে অবাক,
একি পরলেন কিভাবে?😮
এখানে আসলাম,পা বাড়ালাম,আর স্লিপ করে বসে পরলাম ব্যাস।(বিরক্ত মুখে)
না মানে এখানে কেন আসতে গেছেন?
ওইতো হঠাৎ ইচ্ছা হলো একটু নাচবো তাই নাচতে চলে আসলাম ওয়াস রুমে।😕
এমন ত্যারা ত্যারা কথা বলতেছেন কেন?😒
তোমার মতো স্টুপিড মেয়ের সাথে আমার স্বাভাবিক কথা আসে না।
কিভাবে পরলেন,ওয়াস রুমে কেন আসলেন এগুলা কেও জিগ্যেস করে?জানো না ওয়াস রুমে কেন আসে মানুষ?
আরে আমি ও-ই ভাবে বলতে চাইনি।উত্তেজনায় হয়ে গেছে।বলতে চাইছি একা কেন আসছেন আমাকে ডাক দিতেন।
তোমাকে কেন ডাকবো আমি?আমার কিছুতে কিছু যায় আসে তোমার?
সাজিদ ভাইয়া তো আমকে দায়িত্ব দিয়ে গেছে।যায় আসতে হবে এখন।
তুমি আমার চোখের সামনে থেকে দূর হও এখনি।
না না আমার কাজ তো আমকে করতেই হবে।আমি যাব না কিছুতেই।কি করবেন শাওয়ার নিবেন না অন্য কিছু?
তোমাকে আমি যেতে বলছি।
এএহ নিজের তো চলার মুরদ নাই আবার আমাকে তাড়ানো হচ্ছে। একটা কথা বলবেন তো ওয়াস রুমের জালনা দিয়ে নিচে ফেলে দিব।
তুমি..
চুপ
বলেই মীম শাওয়ার ছেড়ে দিল।এবার হাত বারিয়ে চোখ এ-র ইশারায় নাদিম এ-র হাত দিতে বলে।নাদিম গভির চোখে মীমকে পর্যবেক্ষণ করতে বেস্ত।তাই মীম নিজেই ওর হাত নিয়ে টি-শার্ট টা খুলে দেয়ার চেষ্টা করছে।নাদিম তখনো দেখে চলছে।কেন জানি বাধা দিতে ইচ্ছা করছে না।মনে হচ্ছে এভাবেই যদি ২ জন ২ জনের পাশে থাকা যেত।[ধুর কি ভাবছি আমি।মীম আর আমি!! নো নো অসম্ভব।দিন দিন আমার রুচির অধঃপতন ঘটছে।সেম অন মি]
এই সরো আমি পারবো।
😕
এখন এমনিতেই সোরতাম।বাচ্চাদের মতো আপনাকে ডলে ডলে গোসল করানোর কোনো ইচ্ছা নাই আমার।
কিছু লাগলে ডাইকেন।ভাবের বস্তা নিয়ে আবার এখানেই বসে থাইকেন না।হুহহ
তাড়াহুড়া করে দের হতে গিয়ে মীম পা স্লিপ করে নাদিম এ-র ওপর পরতে যায়।তা দেখতে পেয়ে নাদিম ওকে ধরে ফেলে।শাওয়ার এ-র পানিতে মীম ভিজে একাকার।শরির কাপছে সাথে নাক,মুখ, চোখ আর ঠোঁট ও।মীম ভয়াদ্র চোখে তাকিয়ে আছে নাদিম এ-র দিকে না জানি এখন তাকে কি বলে।
কিন্তু নাদিম এ-র রাগ হচ্ছে না।তার মধ্য এক অদ্ভুত শিহরণ কাজ করছে।সে অপলক তাকিয়ে আছে সেই মায়া ভরা চোখে,কাপা কাপা ঠোঁটে।খুব ইচ্ছা করছে একটু ছুয়ে দিতে।
চলবে,,