#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৪১
খাওয়া প্রায় শেষ এ-র দিকে এখন আপনি ঢং ধরছেন।খাওয়া ও হলো আর বকাও হলো।ভালই বুদ্ধি আপনার মানতেই হবে।
নাদিম যেন একটু লজ্জা পেল।সত্যিই তো খেয়ে ফেলে এখন বলে আর কি লাভ?কথা ঘুরাতে ওর দিকে রাগি লুক নিয়েই বললো,
এটা কে বানিয়েছে?
কে আবার বানাবে আর কেও আছে নাকি আমিই বানালাম।
তুমি ফ্রাইড রাইস বানাতে পার😕
হ্যা, শুধু এটা না আরও অনেক চাইনিজ আইটেম বানাতে পারি।
কিভাবে??যে গ্রামে থাকতে সেই গ্রামের কারো এসব খাবার চেনারই কথা না।সেখানে তুমি সব বানাতে পারো?? অবাক করা বিষয় না?
মীম যেন ভরকে গেল।বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে নাদিম এ-র দিকে। তা দেখে নাদিম আবারও বললো,
কিহলো বলো কিভাবে পারো এগুলো?
আমার নানু বাড়ির ওইদিকে একটা বড় বাড়ি ছিল।ও-ই বাড়িতে এগুলো রান্না হতো। আমি ওইবাড়ির মেয়ের সাথে যেতাম ওইখানে। তখন দেখতাম।দেখতে দেখতে হয়ে গেছে।(কিছু একটা ভেবে উত্তর দিল)
সত্যি তো?
মিথ্যা বলার কি আছে এখানে?
আচ্ছা যাও এখন। আমি ঘুমাবো।
যাইতেছি থাকতে আসি নাই যাবোই তো।
বলতে বলতে মীম রাগ দেখিয়ে চলে গেল। তা দেখে নাদিম আবারও মীমকে নিয়ে গবেষণা চালালো।
পরের দিন নাদিম এ-র এই অবস্থার কথা শুনে তার মা-বাবা চলে এলো।এই অবস্থায় ছেলেকে রেখে থাকবে কিভাবে।এসে রুবিনা বেগম ছেলেকে অনেক বকাবকি করলো এ নিয়ে যে কেন তার এই অবস্থা হলো।
মীম তো এখন নাদিম এ-র পিছেই লেগে আছে।সব কাজে সাহায্য করে তাকে।দিনে ৪-৫ বার চা লাগে নাদিম এ-র। আগে থাকে খেত না মীমকে জালানোর জন্য খায় তা জানা নেই মীম এর।এভাবে কেটে গেল কিছু দিন। নাদিম এখন পুরোপুরি ঠিক।
সকালে ওঠার পর থেকে মীমকে দেখতে পায়নি নাদিম।১১ টার দিকে উঠেছে সে।খাবার এ-র টেবিলের কাছেও পায়নি।কেন যেন চোখ দুটো তাকে খুজে বেড়াছে।অবশেষে মাকে জিগ্যেস করে ফেললো,
মীম কোই দেখছি নাতো।
ও ওর কাজে বাইরে গেছে।কি নাকি দরকার ছিল তাই আমি না করি নাই।
একা একা কি দরকারে গেল?
যে দরকার এই যাক একা যাবে নাতো দোকা পাবে কই?তুমি কি যাবি ওর সাথে?আর আমি যেতে চাইলে নেয়ও না বলে কষ্ট করার দরকার নাই ওর জন্য।
নাদিম আর কিছু বলে না চুপ হয়ে যায়।অনেক্ষন হয়ে যায় তাও মীম এ-র দেখা নাই।এবার নাদিম বাইরে বেরিয়ে গেল।কিছুখন পরে বাড়ি ফিরে এসে জানতে পারলো মীম তাও বাড়ি আসেনি।এবার ওর অসস্তি হতে লাগলো।কই গেল মেয়েটা?এতখন কি করছে?নানার কথা ভেবে আবারও বাইরের দিকে গেল।
চলবে,