#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৪২
দুপুরের দিকে আবার ফিরে আসলো নাদিম।নাদিম কে দেখে ওর মা এগিয়ে আসলো।নাদিম এ-র চোখে অসস্তির ছাপ।নাদিম এ-র মা কিছু বলতে যাবে তার আগেই নাদিম বলে ওঠে,
মীম আসছে বাড়িতে?
না এখনো আসে নাই।
নাদিম এ-র চোখে নিরাশা দেখা গেল।নাদিম এ-র এই অবস্থা দেখে ওর মা বুঝতে পারছে না যে ওর কি হয়েছে।মীম এ-র জন্য চিন্তা হচ্ছে কি?কিন্তু এটাও কি সম্ভব?মীম এ-র দেরি হচ্ছে বলে নাদিম অস্থির?এটা তো মেনে নেয়ে যাচ্ছে না।অন্য সমস্যা কি?এসব ভেবে জিগ্যেস করেই বসলেন,
কি হইছে বাবা?এমন দেখাচ্ছে কেন তোকে?মীম তো খুব ছোট না যে হারিয়ে যাবে।হয়তো কেনাকাটার জন্য কিছু খুজছে কিন্তু পাচ্ছে না তাই দেরি হচ্ছে।
মা কিজে ভাবো তুমি ওর জন্য আমার কেন চিন্তা হবে?বাড়ি আসলে চা লাগে তাই খুজি অন্য কিছু না।(মার থেকে নজর লুকিয়ে)
আচ্ছা আমি দিচ্ছি চা দাড়া।
না লাগবে না এখন আমি একটু আসছি।
আবার কোই যাস?এতখন তো বাইরেরি ছিলি।আর যেতে হবে না ঘরে যা খাওয়ার সময় হয়ে গেছে।
মা আমি একটু আসছি
বলেই নাদিম চলে গেল।ওর মা ভাবতে লাগলো ছেলেটার কি হলো?এমন আচরণ করছে কেন?কনো সমস্যা নাই তো?
বিকেল হয়ে এলো না মীম ফিরলো আর না নাদিম।নাদিম অবশ্য কিছুখন পর পর ফোন দিয়ে জানছে মীম আসছে নাকি।এতে ওর মা এবার বুঝে গেছে যে মীম এ-র জন্য এতো চিন্তা ছেলের যা অনাকে বেশ অবাক করেছে।
নাদিমকে বাড়ি আসতে বললেও যে আসেনি।সন্ধ্যা হয়ে আসছে তাও মীম না ফেরায় রুবিনা বেগমও বেশ চিন্তায় পরে গেছে।এতখন তো লাগার কথা না।কোনো বিপদ হল নাতো?এই ভেবে বসে আছে যে নাদিম যখন চিন্তিত তখন ও ঠিক মীমকে নিয়েই আসবে।
___
রাত ৮ টা বাজে এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠলো। রুবিনা বেগম তারাতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দিল।দরজার ওপারে মীমকে দেখতে পেয়ে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো।কিন্তু রাগী কন্ঠে বলে উটলো,
কোই ছিলি সারাদিন?এতো দেরি হলো কেন?তোর না ফোন আছে?একটা ফোন দিতে কি হতো?আমাদের কি চিন্তা হয় না?
রুবিনা বেগম এ-র চিন্তা দেখে মীম এ-র বেশ ভাল লাগলো।সে মৃদু হাসলো।তারপর তাকে এটা সেটা বুঝিয়ে রুমে পাঠিয়ে দিল আর নিজেও রুমে চলে গেল।
এতো কিছুর মধ্যে রুবিনা বেগম নাদিমকে খবর দিতেই ভুলে গেছে।
__
রাত ১০ টা। মীম ফ্রেশ হয়ে চুল ছেরে দিয়েছে শুখানোর জন্য।সারাদিন ঘুরাঘুরিতে সে বেশ ক্লান্ত।এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠলো। মীম গিয়ে খুলে দিল।সামনে থাকে মানুষ টাকে দেখে সে অবাক হয়ে গেলো।
চলবে,,