#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৪৩
মাথার চুল এলোমেলো,চেহারা যেন এটুকু সময়ে শুখিয়ে গেছে,শার্ট এর দুটো বোতাম খোলা,জায়গায় জায়গায় ঘামে ভেজা। চোখ দিয়ে যেন লাল আভা বের হচ্ছে।কেমন লাল দেখাচ্ছে।দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো যুদ্ধ করে আসছে।
মীম কিছু বুঝে ওঠার আগেই নাদিম মীম এ-র হাত ধরে দ্রুত মীম এ-র রুমে নিয়ে গেল।কি হচ্ছে কিছুই মাথায় ঢুকছে না।নাদিম হাতটা টেনে নিয়ে ধাক্কার সাথে ঠেলে হাতটা ছেরে দিল।মীম নিচে পরতে যেয়েও নিজেকে সামলে নিল।এরপর নাদিম এ-র দিকে ঘুরে দাড়াল।নাদিম এ-র চোখ দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে।কেমন যেন জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।এরপর বলে উটলো,,
কোই ছিলে সারাদিন?
কথাটা সাভাবিক ভাবে বললেও মীম এ-র কাছে কেন যেন অসাভাবিক লাগলো।কেমন যেন ভয় করছে।গলা শুখিয়ে আসছে।ও অসহায় চোখ করে নাদিম এ-র দিকে তাকিয়ে আছে আর একটু পর পর ঢোক গিলছে।মীম এ-র সারা না পেয়ে নাদিম চেচিয়ে উঠলো,
কোই ছিলে সারাদিন বলো ?
মীম যেন কেপে উঠলো।ভিশন ভয় লাগছে আজ নাদিমকে।ওর এমন রুপের সাথে সে পরিচিত না।আগে কখনো এভাবে রাগ করতে দেখেনি।মীম ভয়ের চোটে মুখ খুলতেই পারছে না।নাদিম আবারও বলে উটলো,
তোমার কোনো কমন ছেন্স নাই?সেই সকালে বাড়ি থেকে বের হইছো এখন বাড়ি আসলে।কোই ছিলে সারাদিন?নিজের বাড়িও এভাবে সকালে গিয়ে রাতে আসতা?এটা কোনো ভদ্র মেয়ের কাজ?ছেলেরাও তো এমন করে না।নিজের বাড়ি কেও কিছু বলে নাই দেখে এখানেও এমন করতে পারবে ভাবলে কি করে?আমাদের কি ভদ্র সমাজের মানুষ বলে মনে হয় না?যে এখানে থেকে যা খুশি তাই করতে পারবে কেও কিছু বলবে না।সকাল থেকে তোমাকে খুজতে খুজতে আমার নাজেহাল অবস্থা।নাওয়া খাওয়া সব ভুলে খুঁজে চলেছি আর তুমি ফুর্তি করে বেড়াচ্ছো।ফোনও অফ করে রাখছো।তোমার ফোন দিয়ে কি হবে এখুনি ভেঙে ফেলবো ওটা দাও।
মীমকে কোনো কথা বলতে না দিয়ে এক দমে চিৎকার করে করে কথা বলছে নাদিম।কথা শেষ করে ফোন খুজছে ভাঙবে বলে।চোখের সামনে যা পাচ্ছে ছুরে ফেলে দিচ্ছে।মীম ভয়ের চোটে এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে আর নাদিম এ-র কান্ড দেখছে।নাদিম এ-র বাবা ফেরেনি অফিস এ-র কাজ শেষ করে। নাদিম এ-র মা নাদিমের চিৎকার শুনে মীম এ-র রুমে এসে দেখে নাদিম জিনিস পত্র ছুরাছুরি করছে আর মীম ভয় পেরে দাড়িয়ে আছে।এসব দেখে তিনি দ্রুত নাদিম এর কাছে যায়।ওকে ধরে বলে,
নাদিম কি হইছে বাবা শান্ত হ।
মা ওকে বলে দাও এ বাড়িতে এসব চলবে না।এখানে থাকতে হলে যা খুশি তাই করতে পারবে না।
চলবে,,,