#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৪৪
আচ্ছা আমি ওকে ভাল করে বলে দেব।আর এমন ভুল করবে না ও কখনো।তুই শান্ত হ আর এখন ঘরে যা ফ্রেশ হয়ে নে।সারাদিন তো বাড়িতে ছিলি না আমি খাবার দিচ্ছি এখুনি খেয়ে নিবি। যা
নাদিম কোনো মতে রাগটাকে সামনে নিল। মায়ের কথার ওপর কথা না বলে সে নিজের রুমে চলে গেল।রুবিনা বেগম তো আগে বকা দিয়েছিম এখন আরেক দফা দিল।
এদিকে এমন কান্ড ঘটে যাওয়ায় মীম ভরকে আছে।ভাবছে কি হয়ে গেল মাত্র? নাদিম এতটা রাগ কেন দেখালো?বাড়ির কাজের মেয়ের প্রতি কেও এতো কেয়ারিং দেখায়?মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না।[যাই হক আমারই ভুলটা হয়ে গেছে।বাড়িতে যানানো উচিত ছিল।বাসা থেকে বের হয়ে তো ভুলেই গেছিলাম সবার কথা।অবশ্য আমিই বা জানবো কিভাবে সবাই এতোটা রাগ করবে।ভুল যখন করে ফেলেছি তখন সরি বলা উচিত ]
ভাবতে ভাবতে মীম ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে এলো।রুবিনা বেগম খারার সাজাচ্ছিলেন নাদিম এ-র জন্য।মীম গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলো।ওকে দেখে রুবিনা বেগম নাদিম কে ডাকতে বললো।মীম ও তাই নাদিম এ-র রুমের দিকে গেল।
নাদিম ভেজা চুলে দুহাত দিয়ে মাথা চেপে, খাটের বাইরে পা ঝুলিয়ে,পায়ের ওপর কুনুই এ-র ভড় দিয়ে,চোখ বন্ধ করে বসে ছিল।মীম দরজার সামনে গিয়ে মুখে কথা না বলে হাত এ-র সাহায্যে দরজায় ঠক ঠক শব্দ করলো।শব্দ কানে পৌছাতেই নাদিম দরজার দিকে তাকালো।দেখলো মীম ভীতু মুখ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।তা দেখেও নাদিম কোন কথা বললো না।আবার আগের ন্যায় বসে রইলো।নাদিম এ-র কোনো রেসপন্স না পেয়ে মীম বলে উটলো,
খেতে ডাকছে😟
……..(নাদিম চুপ)
সরি
……
তাও কনো উত্তর না আসায় মীম আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল। নাদিম এ-র থেকে একটু দূরে
দাঁড়িয়ে বললো,,
আমি আমার গ্রামে গিয়েছিলাম।মা-বাবা ফিরছে নাকি দেখতে।এখন তো পানি আর নেই।আমাকে তো ওদের খুজতে হবে।ওরা আমাকে না পেয়ে হয়তো অনেক কষ্টে আছে।আমাকে হয়তো অনেক খুজছে কিন্তু পাচ্ছে না তাই আমারও তো ওদের কাছে ধরা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।আমারও তো ওদের জন্য কষ্ট হয়।গ্রাম টা এখান থেকে দূরে হওয়ায় আসতে আসতে এতো দেরি হয়ে গেল।ফোনেও চার্জ ছিল না যে খবর দেব।খেয়াল করিনি কখন শেষ হয়ে গেছে।এ-র পর থেকে সব কিছু খেয়াল রাখবো। আর এমন হবে না সরি।
চলবে,,