#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Jahan
#পর্বঃ৪৯
তুমি কি করে পারলে আমাদের ছাড়া থাকতে?
‘ কিরে এটা কি কাজ করলি আমাকে একা ফেলে চলে গেলি।(বেস্টু)
তোকে অনেক মিস করছিরে(জোরিয়ে ধরে)
থাক আর ঢং করতে হবে না ছাড়।
এতকিছু দেখে নাদিম আর নাদিম এ-র মা হা করে রইলেন যে হচ্ছেটা কি এসব।এবার রুবিনা বেগম মুখ খুললেন,
কি হচ্ছে কি এখানে কেও বলবেন প্লিজ?
মা তার আগে ওনাদের বসতে দাও।(কিছুটা সাভাবিক হয়ে)
হ্যা আসুন।
___
ড্রইংরুমের এক পাসে মীম তার বোন আর ফ্রেন্ড এ-র সাথে কথা বলতে ব্যাস্ত।অন্য পাসে সোফায় নাদিম,রুবিনা,মীম এ-র বাবা-মা বসা।নাদিম এ-র বাবা সারাদিন অফিসের কাজেই থাকে রাতে আসে।মাঝারি একটা কোম্পানি চালায় সে।তার বাবাও ভালো সম্পত্তি রেখে গেছে।
সামনে শরবত আর নাস্তা।মীম এ-র বাবা বলতে শুরু করলেন,
আমাদের এক মাত্র মেয়ে মীম।আমরা ২ ভাই এক সাথে থাকি।ছোট ভাইয়ের ২ মেয়ে।আমাদের বাসা গ্রামে কিন্তু ও-ই গ্রামের সবচেয়ে ধনী পরিবার আমরা।আমার বাবা অনেক সম্পত্তি রেখে গেছে।সেই হিসেবে মীম আর বাকি মেয়েরা কোন কিছুর অভাব বুঝতে পারেনি।যখন যা খুশি তাই করে।যা চায় সব হাতের কাছে পায়।ছোট বেলায় তো সব ঠিকই ছিল কিন্তু যত বড় হলো মীম এ-র আবদার বেড়ে যেতে লাগলো।এক মেয়ে আমরাও কিছু বলতাম না।বন্ধু-বান্ধব আর আড্ডা নিয়ে থাকতে থাকতে পরার দিকে নজর কমে গেল।ব্যাস এস এস সি তে ফেল করে বসলো।
মেয়ে আমার প্রচুর আত্তসম্মানী তাই এই লজ্জা সহ্য করতে পারলো না।প্রতিবেশীর দু একটা কথা কানে আসতেই কাওকে কিছু না বলে বেরিয়ে আসলো বাড়ি থেকে।অবশ্য একটা চিঠি লিখেছিল ছোট করে যার ফলে জানতে পারি ও নিজ ইচ্ছায় বাড়ি ছেরেছে।তাও অনেক খোঁজা খোঁজি করেছি পাইনি।অবশেষে রাফি বললো ও এখানে আছে।রাফি আমার বোন এ-র ছেলে।বোনের ঢাকাতেই বিয়ে হয়েছে।
এতখন সবাই মন দিয়ে শুনছিল চুপ করে কিন্তু রাফির কথা উঠতেই নাদিম চোমকে গেল।মীম এ-র বেপারে তার আগে থেকেই সন্দেহ ছিল তাই অবাক হলেও অনেক বেশী হয়নি কিন্তু রাফি!ও কেন সব জেনেও লুকালো?দারা তোকে একবার পাই।এতবড় কথা কিকরে লুকালি?
ভাবতে ভাবতে রাফি হাজির।দরজা খোলা থাকায় সোজা ভেতরে ঢুকে এলো।হাতে অনেক মিষ্টির প্যাকেট।
আরে তোমরা আমাকে রেখেই চলে আসলে?এতোসব ঝামেলা করতে গিয়ে কতো দেরি হয়ে গেল।আন্টি এগুলো একটু রাখুন প্লিজ। (রাফি)
আরে এতোসব এ-র কি দরকার ছিল?(রুবিনা)
রাখুন তো।আর একটা খবর মীম এ-র রেজাল্ট বের হইছে। A গ্রেট পেয়েছে।
তাই নাকি?আবার..
চলবে,,