#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৫০
তাই নাকি?আবার এক্সাম দিয়েছিল?
হুম।এখানে থেকেই এক্সাম দিয়েছে।বলতেই হবে এই বয়সে এতোটা রিস্ক কে নিতে পারে।
এবার রুবিনা বেগম মীম এ-র দিকে এগিয়ে গিয়ে বললেন,
সামান্য এ-ই বিষয়ে কেও বাড়ি ছারে?নাদিম এ-র বাবা তোমাকে না নিয়ে আসলে কোই যেতে?যদি কোন বিপদ হয়ে যেত?ফেল করায় এতো লজ্জা পেয়েছো যে অন্য বাড়ি কাজের মেয়ে হয়ে থাকতেও রাগি?এটাতে লজ্জা করে নাই?
সাথে সাথে উপস্থিত সবাই চমকে গেল।মীম কাজের মেয়ে হয়ে ছিল!তাছাড়া আর কি হবে?অন্যের মেয়েকে তো আর এমনি এমনি রাখবে না।মীম এ-র বাবা মা একে অপরের দিকে তাকালো।রাফি ও এই ব্যাপার যানতো না।তাই ও সহ অন্যরাও একে অপরের দিকে অবাক চোখে তাকা তাকি করছে।এ-র মধ্যে মীম বলে ওঠে,,
আমি ভাবতেও পারিনি এভাবে এসএসসি তে ফেল করে বসবো।অনেক ভেঙে পরেছিলাম।তার মধ্যে প্রতিবেশীদের নানান কথায় অনেক অপমানিত বোধ হচ্ছিলো।কারো কথা আমি সহ্য করতে পারি না।তখন জবাব দেয়ারও ভাষা ছিল না।তাই কিছু বলতে পারিনি।এসব অপমানিত কথা আর নিজের কষ্ট নিয়ে এটাই ঠিক মনে হয়েছিল।
আর কোই যাব কি করবো এতকিছু ভাবার অবস্থায় ছিলাম না তখন।কাজের মেয়ের কথা বলছেন?আমার তেমন মনেই হয়নি যে এই বাড়ির কাজের মেয়ে।আপনি তো কখনো মনেই করতে দেননি।কত খেয়াল রেখেছেন আমার। মেয়েরা তো নিজের বাড়িতেও মাকে সাহায্য করে যেমনটা আমি করেছি।অনেক আপন লেগেছে সবাইকে তাই তো নিজের বাড়ির সবাইকে ছেড়েও এতোদিন থাকতে পেরেছি।
মীম এ-র কথায় যেন সবার মুখেই হাসি ফুটলো।যেমনটা ভেবেছিল তেমনটা না।নাদিম এ-র ঠোঁটটা আপনা আপনি প্রসারিত হয়ে গেল।যার নাম দেয়া যায় মিষ্টি হাসি যা কেও দেখতে পেল না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার মেয়েটাকে দেখে রাখার জন্য।যদি কোন খারাপ মানুষের হাতে পরতো?কিজে হতো।খালি বাসায় নিয়ে নেই এ-র জন্য যে ওর কপালে কি আছে ও নিজেও জানে না।(মা)
বাড়ি!ওকি চলে যাবে?
এতখন পর নাদিম এ-র মাথায় এলো মীমের চলে যাওয়ার ব্যাপারটা।সাথে সাথে বুকে কেমন ব্যাথা অনুভব করলো।[এমন হচ্ছে কেন আমার?ও চলে গেলে আমার কি?যাক।এমনিতেও ওকে আমার পছন্দ না।খালি ভাব দেখায় আর ঝ*গড়া করে।চলে গেলেই আমার ভালো।আর কেও অশান্তি করবে না।]
মনকে অনেক কিছু বঝানোর চেষ্টা করছে নাদিম কিন্তু ব্যাথা কিছুতেই কমছে না।শেষে ওখান থেকে চলে গেল।আর সবার সাথে থাকা যাচ্ছে না।
মীম এ-র বাবা,মা মীমকে নিয়ে তখনি চলে যেতে চেয়েছিল কিন্তু নাদিম এ-র মা যেতে দেয়নি।আকরাম খান..
চলবে,,,,