#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ১৭
এ-র মধ্যে নাদিয়ার ডাক আসে। মীম একটু ভয় পেয়ে যায়। আবার বকবে নাতো?নাকি ফোন নিয়ে কিছু বলবে।উনি কি জেনে গেলেন নাদিম ভাইয়া আমাকে ফোন দিয়েছে।
ফোনটা রেখে ভয়ে ভয়ে বাইরে বেরিয়ে আসলো।
।
কি হইছে আপু।
।
আমরা একটু বাইরে যাচ্ছি।দিয়া আর ছাদ ঘুমিয়েছে ওদের রেখে যাচ্ছি। আমরা বেরিয়ে গেলে তুমিও আবার বেরিয়ে যেওনা যেন।ওদের পাশে বসে থাকবে আর ওদের খেয়াল রাখবে।ঘুম থেকে উঠে যেন কান্না না করে।
।
আচ্ছা আপু আমি ওদের দেখে রাখবো আপনি চিন্তা করবেন না।[যাক বাবা বাঁচা গেল।আমি ভাবলাম কি নাকি বলে। ]
।
নাদিয়া আর ওর মা বেরিয়ে গেলো।আকরাম সাহেব অফিস এ আর নাদিম ও বেরিয়ে গেল ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। মীম বারিতে একা রয়ে গেল।
কিছুখন এ-র মধ্যে দিয়া উঠে গেল।শুধু উঠে নি উঠে কান্না শুরু করে দিল জোরে জোরে। ওর কান্নার শব্দে ছাদ ও উঠা গেল।
মীম কিছুতেই দিয়াকে চুপ করাতে পারছে না।ও কেদেই যাচ্ছে।
।
[যাব বাবা একে তো থামেতেই পারছি না।আচ্ছা বিপদ হলো তো। নাদিয়া আপু এসে এমন দেখলে না যানি কতো কথা বলে।কিন্তু তার কথার থেকেই তো আমার কান টা বড়।কানের ১২ টা বেজে গেল।কিকোরে যে থামাই। মায়াও লাগছে কিভাবে কেদে যাচ্ছা বাচারি।]
।
ওর কান্নায় ছাদ ও বিরক্ত। কেও থামাতে পারছে না দিয়াকে।মা মা করে কেদে যাচ্ছে।এখন মীম এরই কান্না পাচ্ছে।মনে হচ্ছে দিয়ার সাথে অও কেদে দিবে।নাযেহাল অবস্থা একেবারে। ঠিক ও-ই সময় কলিং বেল বেজে উঠলো।মীম এবার শান্তি পেল। যা বলার বলবে তাও দিয়া চুপ কোরুক।কিন্তু এতো তারাতারি কিভাবে আসলো।এখন তো আসার কথা না।ভাবতে ভাবতে মীম দরজার দিকে এগিয়ে দরজা খুলে দিলো,,
।
।
একি আপনি (মীম)
।
কেন তোমার কি অসুবিধা হলো। (নাদিম)
।
না আমার কি অসুবিধা হবে।এই সময় তো ভার্সিটি থাকেন তাই আরকি।
।
শরিরটা ভাল লাগছিল না আজ(জুতা খুলতে খুলতে)
।
ও আচ্ছা ভাল হইছে।(খুশি হয়ে)
।
আমার শরির ভাল লাগছে না বলে তোমার খুশি লাগছে?(রেগে মীম এ-র দিকে এগিয়ে)
।
আরে না(ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে)
।
তাহলে এতো খুশি হচ্ছো কেন?
।
আপনি বারিতে চলে আসছেন এই জন্যে।
।
মানে (ভ্রু কুচকে অবাক হয়ে)
।
মানে আমার এখন কাওকে খুব দরকার ছিল।
।
মানেটা কি?আমি এখন তোমার দরকার মেটাবো?
।
রাগ করছেন কেন।দরকার টাকি আমার একার নাকি? আপনারও।
।
কি বলছোটা কি কিছুই বুজতেছি না।(নিজের ঘরের দিকে এগুতে এগুতে দিয়ার কান্নার আওয়াজ কানে আসে)
।
দেখুননা দিয়াকে কিছুতেই,,,
।
।
চলবে,,,