#কাজের_মেয়ে
#Janna_Mim
#পর্বঃ৫২
ভিশন অভিমান হলো মীম এ-র।
তো কি করবো আমি বলো(চাপা রাগ নিয়ে বললো নাদিম)
চা চেয়েন😏দেখি কে আপনাকে একটু পর পর চা দেয়।আপনার রুমের প্রতিটি জিনিস সুন্দর করে গুছিয়ে রুমটাকে ঝকঝকে করে রাখে।বাড়ি ফেরারা সাথে সাথে দৌরে দরজা খুলে দেয়।কারোনে অকারোনে আপনার ডাকে দৌড়ে আসে।খাবার নিয়ে বসে থেকে বেড়ে বেড়ে খাওয়ায়।(রেগে গিয়ে এক টানে বলে ফেলে মীম)
এতোখন নাদিম এ-র বুকে ঢিপ ঢিপ করে ঝালা করলেও এখন মনে হলো মীম তার কথার দ্বারা কেরোসিন ঢেলে দিল।যাতে নিভু নিভু আগুন দাও দাও করে জলতে শুরু করলো।এতোই যখন বুঝে তো যাওয়ার দরকার কি?আর যাবেই যখন তখন আগুন ইবা জালিয়ে যাওয়ার দরকার কি?তীব্র রাগে নাদিম বলে ওঠে,
আরেকটা কাজের মেয়ে রেখে নিব।
ধুক করে ওঠে মীম এ-র বুক।তার আর একটা কাজের মেয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই?আরেকটা মেয়ে আনলে তার অভাব পুরন হয়ে যাবে?অবশ্য সেদিন নাদিম দেখিয়ে দিয়েছিল মীম এ-র জায়গা কোথায়।যেদিন নিরা তাকে গলা টিপে ধরায় মীম চ*ড় মেরেছিল।সেদিন এ-র কথা গুলো সে এখনো ভুলেনি।বলেছিল মাথায় তুলে ফেলেছে বলে সে তার জায়গা ভুলে গেছে।আসলেই তো! আমি যেই হোই না কেন এতোদিন কাজের মেয়ে হয়েই তো ছিলাম।হ্যা আমি কাজের মেয়ে। #কাজের_মেয়ে আমি।কাজের মেয়ে।
ভিশন কষ্ট হচ্ছে মীম এ-র তাও নাদিমকে বুঝতে দিল না।নাদিম এ-র দৃষ্টি সামনের দিকে ছিল তখন।শুখনো গলাটা ঢোক গিলে ভিজিয়ে নিয়ে মীম বললো,
আচ্ছা নিয়েন।
নাদিম মীম এ-র দিকে তাকাতে মীম জোরপূর্বক হাসি দিল।তারপর আর এক মিনিটও দাড়ালো না।নাদিম মীম এর চলে যাওয়া দেখে।ইচ্ছা করছে জোর গলায় বলতে প্লিজ যেওনা আমি থাকতে পারবো না।কিন্তু মনে আসলেও মুখে আসলো না তার।মনের কথা মনেই রয়ে গেল।
____
রাত ১১ টা। সবাই কথা বলছে।আকরাম খান ও আছে।তাকে ফোনে রুবিনা বেগম জানিয়েছিল সবটা।আবারো এই বিষয় কথা হচ্ছে।আকরাম খানের কথা সত্যিটা জানালো না কেন মীম?তারা কি মীমকে বের করে দিত?মীম জানালো তারা যদি তাকে বাড়ি দিতে আসতে চায় সেই ভয়ে কিছু বলেনি।রাফি কিছু সময় এ-র জন্য চলে গেলেও ১০ টার দিকে আবার আসে।একটু দেখা করে চলে যাবে এই ভেবে।রাফি আর নাদিম এ-র বাসার দূরত্ব ৩০ মিনিট এ-র হবে।বাইকে গেলে আরো তারাতাড়ি আসা যায়।সবার সাথে কথা বলে সে যায় নাদিম এ-র ঘরে।নাদিম রাফিকে দেখের তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। বলে,
তুই এখানে?এখুনি বেড় হ।আমি তোর মুখও দেখতে চাইনা।
তোর রাগের কারণ আমি বুঝতে পারছি।তাইতো..
চলবে,,