#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৫৭
আহা ছিলিতো কাজের মেয়ে।(মনি,আরেক কাকাতো বোন)
হিসস কি করছিস মনি চুপ,কেও শুনলে মান সম্মান শেষ হয়ে যাবে।(লাজিনা বেগম, মীম এ-র মা)
কি মান সম্মান শেষ হবে আম্মু আমি কি চুরি করে আসছি নাকি?
আর মনি, কাজের মেয়ে ওইটা কথার কথা।আমি ও-ই বাড়ির মেয়ের মতো ছিলাম।নিজের বাড়িতে কি মানুষ কাজ করে না নাকি?ওনারা সবাই আমাকে খুব ভালো বাসতো।
সে যাই হোক ছিলি তো ও-ই হিসাবেই ।
এবার মীম এ-র রাগ হলো।গরম চোখে বললো,
তোকে বলছে?
মনির কানের কাছে গিয়ে আবারও বললো,
ও-ই বাড়ির ছেলের সাথে আমার সম্পর্ক আছে।আমরা একে অপরকে ভালো বাসি।এটা ও-ই বাড়ির সবাই জানে।তাইতো আমাকে ওনাদের সাথে রেখেছে আর এতো আদর করে।আমি ও-ই বাড়ির কাজের মেয়ে না বউ হিসেবে ছিলাম।বুঝলি??
এটা শোনার সাথে সাথে মনির মুখে এত্ত বড় হা হয়ে গেল।ছেলেটা বেস হ্যান্ডসাম।দেখেছে সে।কিন্তু তলে তলে এই তা জানতো না।অবাক হয়েই জিগ্যেস করলো,
সত্যি??
এই তোরা ফিস ফিস করা বন্ধ করে খা চুপ চাপ।(মা)
মনির আর কিছু শোনা হলো না।সবাই আবার খাওয়ায় মন দিল।
দিনটা কোনো রকম কেটে গেল।সব কিছুই যেন পানসে লাগে মীম এ-র।এতোদিন নিজের বাড়ি আসার যে ইচ্ছা ছিল না তা না অনেক ইচ্ছা হতো আসার কিন্তু জেদের জন্য আসতে পারতো না।আর এখন এসেও পুরো ভালো লাগছে না।ও-ই বাড়িকে অনেক মিস করছে সে।
—-
এদিকে নাদিম বাড়িতে থাকে না দিনের বেলা।দম বন্ধ লাগে এখন এই বাড়িতে।জীবন থেকে ভালোটা মনে হয় বাদ পরে গেছে।সারাদিন মাঠের পাসে বসে ছিল চুপচাপ।সকালে বেরুনোর আগে মা জোর করে খাইয়ে দিয়েছে।জানে এখন গেলে কখন আসে কে জানে।এ-র একটা ব্যাবস্থা করতে হবে।ছেলেটার এই দশা চোখে দেখা যায় না।
একটা বড় মাঠের মাঝে বসে আছে নাদিম।মুখে তার এক পৃথিবী সুখের হাসি।তার কোলে বলে আছে গোলাপি সাড়ি পরা এক মেয়ে।চুল গুলো এক পাসে সিঁথি করে খোলা।ফর্সা লম্বাটে মুখ।কানে গোলাপি কানের দুল সাথে এক পাসে গোলাপ গোজা।ঠোঁট দুটোও গলাপি।চোখে কাজল।
কি অপরুপ চেহারা।মেয়েটাকে কোন রাজকুমারীর থেকে কোনো অংশে কম মনে হচ্ছে না নাদিম এ-র।মনে হচ্ছে আল্লাহ তাকে অনেক বেশিই দিয়ে ফেলেছে। নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
সে মেয়েটার কোমর জোরিয়ে ছিল।মেয়েটা তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতেছে।নাদিম এ-র মুখেও হাসি।এক হাত দিয়ে তার এক পাসে গালে হাত দিয়ে মাথাটা নিজের দিকে আনলো।এরপর কপালে চু*মু খেল।মেয়েটা লজ্জায় মাথা নিচু করে নিল।নাদিম ওর মাথা..
চলবে,,